বাহারি পণ্যের স্টল, মুড়ি-মুড়কি-কটকটি-বাতাসার পসরা, রঙিন নাগরদোলা, মাটির খেলনা। বৈশাখী মেলার চিরায়ত রূপ ফুটে উঠেছে এভাবেই।
এই মেলা বসেছে শেরপুর সদরের চান্দের নগরে।
আয়োজকরা জানান, বছরের পর বছর ধরে এই এলাকায় বৈশাখের শুরুতে বসে এক দিনের মেলা। এদিন গ্রামবাসী মেতে উঠে নির্মল আনন্দে। মেলায় কেবল বেচা-কেনাই নয়, খেলাধুলা ও নানা প্রতিযোগিতাও হয়।
চান্দের নগরে দুই বছর বিরতির পর এবার ফের বসেছে মেলা। শুক্রবার দিনভর গ্রামবাসী মেলা উপভোগ করেছে।
মেলার আয়োজক শেরপুর সদর চান্দের নগর মেলা উদযাপন পরিষদ। এবার তারা ঘোড়দৌড়, গাঙ্গি বা কুস্তি খেলা, মোরগ লড়াইয়ের মতো গ্রামীণ বিভিন্ন খেলা ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সন্ধ্যা ৬টায় ভাঙে ঐতিহ্যের মিলনমেলা।
কেবল বৈশাখী মেলাই নয়, এটি হয়ে উঠেছে গ্রামের মানুষের মিলনমেলা। মেলা বসলেই বাড়ির মেয়ের জামাইদের নিমন্ত্রণ করে সেখানকার প্রায় প্রতি পরিবার। এটা সেখানকার রেওয়াজ হয়ে উঠেছে।
নিপা বেগম মেলায় এসেছেন স্বামীকে নিয়ে। তিনি বলেন, ‘বিয়ের পর তো শ্বশুরবাড়ি থাকি। এখানে আমাগো এলাকার মেয়ে জামাইদের মিলনমেলা হয়। আমরা সবাই জামাই নিয়া বাপের বাড়ি আসি।’
স্থানীয় রাসেল মিয়া বলেন, ‘আমরা এ মেলায় খুব আনন্দ করি। বৈশাখ আইলে এই মেলা হয়, কিন্তু গত দুই বছর মেলা বন্ধ আছিল করোনার কারণে। আমরা আবার এলাকায় মেলা দেখলাম অনেক দিন পর।’
এই মেলাকে ঐতিহ্য আখ্যা দিয়ে স্থানীয় শাহিনুর ইসলাম জানান, আশপাশের জেলা থেকেও অনেকে মেলা দেখতে আসেন।
স্মৃতিচারণা করে করিম মিয়া বলেন, ‘আগে আমার বাপ আমারে কান্দো কইরা মেলায় আইছে। এহন আমি আমার পুরিরে (মেয়েকে) কান্দো নিয়া মেলা দেহাবার নিয়া আইছি। খুব ভালা নাগতছে।’
তবে মেলার পরিসর কমে যাচ্ছে বলে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত অনেকে।
স্থানীয় মোশারফ হোসেন বলেন, ‘এই মেলা আগে বড় হইত, এখন আস্তে আস্তে জায়গা কইমা যাইতাছে। আমরা চাই সরকার কিছু অনুদান দিয়ে আমগর এই মেলাডা টিকাই রাহুক।’
ঠিক কবে থেকে এ মেলা হচ্ছে? জানতে চাইলে আয়োজক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান বলেন, ‘এ মেলা যে কত বছর থেকে এখানে হচ্ছে তা আমরাও বলতে পারি না। আমরা প্রতি বছর এ মেলার আয়োজন করার চেষ্টা করি।
‘দুই বছর করোনার কারণে বন্ধ থাকলেও আজ আবার জমে উঠেছে। আমরা প্রতি বছরই আয়োজন করার চেষ্টা করব। মেলা আগে বড় করে আয়োজন হতো, এখন জায়গা কমে যাওয়ায় পরিধি একটু কমেছে। তবে মেলায় আসা মানুষজনের সংখ্যা বেড়েছে।’
মেলার পুরস্কার বিতরণী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিক।
তিনি বলেন, ‘এসব দেশের ঐতিহ্য। ঐতিহ্য ধরে রাখতে মেলা আয়োজনে সরকারিভাবেও সহযোগিতা করা হবে। জায়গার অভাবে এ মেলা যাতে হারিয়ে না যায়, আমরা এইটা দেখব।’
আরও পড়ুন:গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কাশিয়ানী উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামের কুমার নদে শুক্রবার বিকেলে এ আয়োজন করা হয়।
ওই ইউনিয়নের হোগলাকান্দি ও চকবোনদোলা গ্রামবাসীর উদ্যোগে মহেশপুর সেতু থেকে চকবোনদোল সেতু পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত হয়।
গোপালগঞ্জ, নড়াইল, ফরিদপুরের নগরকান্দা, বোয়ালমারী, আলফাডাঙ্গা থেকে আগত এ বাইচে অংশ নেয় ২৫টি নৌকা। প্রতিযোগিতা চলে বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
আবহমান গ্রাম বাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও নিজস্বতা ধরে রাখতে হাজার প্রাণের আনন্দ উচ্ছ্বলতায় মেতেছিলেন ওইসব এলাকার লোকজন। নৌকায় ও ট্রলারে করে নৌকাবাইচ দেখতে নারীদেরও উপস্থিতি ছিল।
হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবের আমেজে সন্ধ্যায় এ নৌকাবাইচ শেষ হয়। বিভিন্ন বয়সের মানুষ নদের দুই পাড়ে দাঁড়িয়ে নৌকাবাইচ উপভোগ করে।
নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে হোগলাকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে লোকজ মেলা বসে। মেলায় শতাধিক দোকান বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে। কিছু দোকানে বাঁশ-বেত, মৃৎ শিল্প, তৈজসপত্র খেলনা বিক্রি করা হয়।
ওই সময় দুই পাড় থেকে হাত নেড়ে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ দিতে দেখা যায় দর্শনার্থীদের।
প্রতিযোগিতায় যৌথভাবে প্রথম স্থান অর্জন করে স্থানীয় হোগলাকান্দি গ্রামের ওসমান শেখ ও বরকত মোল্লার নৌকা। চকবোনদোলা গ্রামের উকিল মিনার নৌকা দ্বিতীয় ও রাব্বির নৌকা তৃতীয় স্থান অধিকার করে।
পরে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহামন লুথু মিয়া।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘১৯৭৫-এর পরে বিএনপি অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশের সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে মাদক, জঙ্গিবাদসহ যুব সমাজের যে অধঃপতন, তা এ কারণেই হয়েছে।
‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের সংস্কৃতিকে আবার পুনরুজ্জীবিত করেছেন। এখন দেশের প্রতিটি জেলার গ্রামগঞ্জে প্রাচীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে আগামীতেও এমন খেলা বা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।’
নৌকাবাইচ আয়োজক কমিটির প্রধান গিয়াস উদ্দিন গালিব বলেন, ‘প্রতি বছর আমরা নৌকাবাইচের আয়োজন করে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছরও আয়োজন করেছি। খুব আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো আজকের এ নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা। আগামীতেও এ বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।’
আয়োজন দেখতে আসা রাকিব নামের এক যুবক বলেন, ‘নৌকাবাইচ দেখতে পাশের গ্রাম থেকে এসেছি। খুবই ভালো লেগেছে। আগামীতেও এমন বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে, এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের।’
আয়োজক কমিটির আরেক সদস্য ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক সালাহউদ্দিন রাজ্জাক বলেন, ‘দেশের যুবসমাজকে মাদক ও জঙ্গিবাদের হাত থেকে রক্ষা করতে এ ধরনের সংস্কৃতির আয়োজন করতে হবে। আগামীতে এমন বাইচের আয়োজন করা হবে।’
আরও পড়ুন:রাস্তার দুই পাশে সারি সারি অসংখ্য তালগাছ। জায়গার নাম ঘুঘুডাঙ্গা তাল সড়ক। প্রায় তিন কিলোমিটার এ রাস্তাজুড়ে তালগাছের নিছে বসেছে তালের পিঠা মেলা।
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার হাজীনগর ইউনিয়নে শুক্রবার বিকেল থেকে তিন দিনব্যপী এ মেলা শুরু হয়। প্রথম দিনেই সেখানে সমাগম ঘটেছে হাজারো মানুষের।
শীত আসার আগমুহূর্তে প্রতি বছরই এ সময় উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের আয়োজনে এখানে মেলার আয়োজন করা হয়। দর্শনার্থীরা সড়কটির সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি স্বাদ নিতে পারেন বাহারি সব তালের পিঠারও।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মেলার উদ্বোধন করেন। ওই সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক, নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমতিয়াজ মোরশেদ।
মেলা ঘুরে দেখা যায়, এ বছর তালের গোলাপ পিঠা, ঝিনুক পিঠা, মাংস পিঠা, পাটিসাপটা, তালের জিলাপি, তালের বড়া, ক্ষীর, তালের কফি, তালের আমতা, তালের নাড়ুসহ অন্তত ২৫ ধরনের পিঠা পাওয়া যাচ্ছে এ মেলায়।
অন্যদিকে বিভিন্ন জেলা থেকে পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন দোকানিরা।
সাপাহার উপজেলা থেকে আসা দোকানি ইসফাত জেরিন মিনা বলেন, ‘আমার স্টলে ১২ থেকে ১৫ রকমের পিঠা আছে। বেচাকেনাও ভালো হচ্ছে।
‘অনেক মানুষের সমাগমও ঘটেছে পিঠা মেলায়। কেউ পিঠা খাচ্ছে, কেউ বা বাড়ির জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।’
নিয়ামপুরের স্থানীয় দোকানি সেফালী বেগম বলেন, ‘আমার স্টলে আট থেকে ১০ রকমের তালের পিঠা আছে। কেউ স্টল ঘুরে দেখছেন আবার কেউ কিনে খাচ্ছেন পছন্দের পিঠাগুলো। তিন দিনব্যাপী এই আয়োজন চলবে। আশা করছি অনেক মানুষ আসবে পিঠা খেতে।’
জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন দর্শনার্থীরাও। এমন মেলায় আয়োজন করায় তারাও খুশি।
নওগাঁ শহরের উকিলপাড়া থেকে মেলায় আসা আবদুল মান্নান জানান, অনেকদিন ঘুরাফেরা করা হয় না তার। তাই পিঠা মেলায় এসেছেন।
আরেক দর্শনার্থী লুবনা আক্তার বলেন, ‘আমিসহ আমার কয়েকজন বন্ধু মিলে বদলগাছী থেকে এসেছি। আগে থেকেই জানতাম পিঠা উৎসব হবে। অনেক রকমের পিঠা।
‘বেশ কয়েকটি পিঠা খেয়েছি। দারুণ লেগেছে। সব মিলিয়ে আয়োজনটি অনেক সুন্দর।’
১৯৮৬ সালের দিকে স্থানীয় হাজিনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকাকালীন তালগাছগুলো রোপণ করেছিলেন বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তার উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয়দের বজ্রপাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি শোভা বাড়ানো।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘কালের বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতিগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এখন অনেকেই পিঠা বাজার থেকে কিনে এনে খায়। এতে কোনো আনন্দ থাকে না।
‘ব্যস্তময় জীবনে এখন প্রায় হারিয়ে যাচ্ছে পিঠা খাওয়ার উৎসব। প্রতি বছর বর্ণিল আয়োজনে এ সময়ে মেলা বসানো হয়। মূলত নতুন প্রজন্মের কাছে বিভিন্ন ধরনের গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী তালের পিঠা পরিচিত করে দেয়ার জন্যই এমন আয়োজন।’
আরও পড়ুন:কবি নির্মলেন্দু গুণের সেই লাইনগুলো মনে আছে? দু এক লাইন কবিতা পড়েছেন, এমন কারোও মনে থাকার কথা অবশ্য। ‘আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা খুলে দিক। কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক। কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে জিজ্ঞেস করুক: তোমার চোখ এত লাল কেন?’
ভালোবাসাবাসির ব্যাপার তো বটেই ঘর সামলে রাখার দায়িত্বে থাকা এক মহিয়সী নারী হলেন স্ত্রী। কখনো কখনো আবার ঘর-বাইরে দুই-ই সামলাতে হয় তাকে। এত দায়িত্ব, এতকিছু করছেন যিনি, এ জগত সংসারে তাকে প্রতিদিনই প্রশংসা করা উচিত।
তবু একটা দিন নির্ধারিত হয়েছে ‘বিশেষ’। সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার এই বিশেষ দিন। সারা বিশ্বে আজকের এদিন উদযাপন হয় ‘স্ত্রীর প্রশংসা করা দিবস’। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৬ সালে প্রথম দিবসটি উদযাপিত হয়। এখন অনেক দেশে উদযাপন করা হয় এ দিবস।
কীভাবে এসেছে এ দিবস, এ নিয়ে বিস্তারিত না জানা গেলেও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যানুযায়ী, একজন স্ত্রী তার স্বামীর জীবনে কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কীভাবে স্ত্রীরা তাদের জীবনকে আরও ভালো করে তোলেন তা বোঝানোর জন্য এই দিবস উদযাপন করা হয়।
ডেইজ অফ দ্য ইয়ার বলছে, কত বছর বিয়ে করেছেন, কতদিনের সংসার-এসব কোনো বিষয় না। স্ত্রী যে আপনার জন্য কিছু করছেন, এর প্রশংসা করা দরকার। কেউ কেউ হয়তো প্রশংসা এমনিতেই করেন, তবে যারা এতে অভ্যস্ত নন তারা আজকের দিনটি বেছে নিতে পারেন।
প্রশংসার পাশাপাশি এদিন স্ত্রীকে বাসার কাজ থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারেন। ফুল-চকলেট দিতে পারেন তাকে। খাবার খেতে তাকে নিয়ে যেতে পারেন কোনো ভালো রেস্টুরেন্টে। বইও উপহার দিতে পারেন স্ত্রী। সবমিলিয়ে স্ত্রীর প্রশংসা করা দিবসের দিনে তাকে একটু হলেও বোঝান তিনি আপনার জীবনের কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
যার সঙ্গে ‘পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি’ তার জন্য রাখুন একটি দিন। ‘নিয়তি আমাদের যা দান করে তার মধ্যে সবচেয়ে আশ্চর্য দান হলো স্ত্রী’- এ কথা মাথায় রেখে আজ উদযাপান করুন ‘স্ত্রীর প্রশংসা করা দিবস’।
আরও পড়ুন:মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউিনিভার্সিটিতে ‘লিটারেচার ফেস্ট ও গেট-টুগেদার-২০২৩’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গুলশান ক্যাম্পাসের সেমিনার হলে রোববার ইংলিশ ক্লাবের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। আয়োজনের মধ্যে ছিল কুইজ, কবিতা আবৃত্তি ও গান গাওয়ার প্রতিযোগিতা, মঞ্চ নাটক পরিবেশন ও পুরস্কার বিতরণী।
ইংরেজি বিভাগের প্রধান আহমেদ মাহবুব-উল-আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্কুল অব আর্টস অ্যান্ড হিউম্যানিটিসের ডিন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেজিস্ট্রার ড. মো. মোয়াজ্জম হোসেন।
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির ডিন ও ফার্মেসি বিভাগের প্রধান ড. নারগিস সুলতানা চৌধুরী, সিএসই বিভাগের প্রধান শারমিনা জামান, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফারজানা জামান, তাসমিয়া মোসলেহ উদ্দীন, সিজিইডির কোঅর্ডিনেটর ড. মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও ইংলিশ ক্লাবের (গুলশান) মডারেটর মোহাম্মদ আফসার কাইয়ুম, মাহবুবা সুলতানা, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. মুহাম্মদ ফায়জুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ইংরেজি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে সকালে সাহিত্য সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিযোগিতা যেমন- কবিতা আবৃত্তি, কুইজ ও গান গাওয়া অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় বিজয়ীদের পুরস্কার দেয়া হয়। মধ্যাহ্ন বিরতির পর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও সবশেষে বিকেলে ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’-এর ওপর ইংরেজি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে মঞ্চ নাটক অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:কেউ কফি ভালোবাসেন, কেউ বা আইসক্রিম। কেউ কেউ আছেন এ দুটোই ভালোবাসেন। একই সঙ্গে কফি ও আইসক্রিম যারা ভালোবাসেন, আজকের দিনটা তাদের জন্য। অন্য দিন তো বটেই, ইচ্ছে হলে আপনি সারাটা দিনই খেতে পারেন ‘কফি আইসক্রিম’। কারণ বিশ্ব ‘কফি আইসক্রিম’ দিবস উদযাপন হচ্ছে ৬ সেপ্টেম্বর।
বহু বছর ধরে এ পৃথিবীতে ভোজন রসিকদের খাবার তালিকায় রয়ে গেছে কফি ও আইসক্রিম। এভাবে দেখলেই অবশ্য খুব সহজে অনুমান করা যায়, কফির সঙ্গে আইসক্রিম মেশালে তা কত সুস্বাদু হতে পারে।
কীভাবে এলো আজকের এই দিবস, এর পেছনের ইতিহাসই বা কী- এ নিয়ে তথ্য দিয়েছে ডেইস অফ দ্য ইয়ার।
বিশ্বে কফির ইতিহাস দীর্ষ সময়ের। মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতি অংশ কফি পান। সপ্তম থেকে নবম শতাব্দির মধ্যে কফি পান এ অঞ্চলে সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠে। এরপর অন্য দেশগুলোতেও মানুষ এর সঙ্গে পরিচিত হতে থাকে।
তবে ১৬০০ শতকের আগে পর্যন্ত ইউরোপের মানুষ কফির সঙ্গে পরিচিত ছিল না। ১৭ শতাব্দির মধ্যভাগে এসে ব্যাপকভাবে ইউরোপে কফির পরিচিত বাড়ে। এরপর তা তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
অটোমানদের সঙ্গ ফরাসি সম্পর্কের মাধ্যমে বিশ্বে কফি নিয়ে আসে সমাজের উঁচু শ্রেণি বিশেষ করে রাজপরিবারগুলো। এরপর কফির বিস্তার ঘটেছে সব জায়গাতে।
আইসক্রিমের মতো খাবারের উৎসের প্রথম সন্ধান মেলে সম্ভবত খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে। একজন রোমান নেতা পাহাড়ে কর্মী পাঠিয়েছিলেন বরফখণ্ড আনার জন্য। মধু, বাদাম এবং ফল যুক্ত করে তখন খাওয়া হতো আইসক্রিমের মতো খাদ্যপণ্য।
তবে আধুনিক আইসক্রিমের শুরুটা হয় ১৮ ও ১৯ শতকে। ফ্রুট আইসক্রিম তখন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যজুড়ে জনপ্রিয় হতে থাকে।
১৮৬৯ সালের দিকে জনপ্রিয় হতে থাকে ‘কফি আইসক্রিম’। কফির সঙ্গে আইসক্রিম মিশিয়ে খাওয়া শুরু করে মানুষ। এর জন্য আসতে থাকে নানা রেসিপিও।
এই খাবারটি বিশ্বজুড়েরই এখন বেশ জনপ্রিয়। এরই ধারবাহিকতায় এক পর্যায়ে শুরু হয় ‘কফি আইসক্রিম’ দিবস।
আরও পড়ুন:এনআরবিসি ব্যাংক নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত অফিসারদের জন্য মাসব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্স শুরু করেছে।
ব্যাংকের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে রোববার প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল।
এ সময় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী গোলাম আউলিয়া, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক কবীর আহমেদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও হারুনুর রশিদ, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ওবায়দুল হক উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল বলেন, ‘সততা আর জবাবদিহিতার আলোকে নিজেকে যোগ্য ব্যাংকার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে নিজেকে সর্বদা সমৃদ্ধ রাখতে হবে। সেবা প্রদানে নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ থেকে অর্জিত জ্ঞান সঠিকভাবে প্রয়োগ নিশ্চিত করতে পারলে টেকসই ব্যাংকিং খাত গড়ে তোলা সহজ।’
বাংলাদেশে এই প্রথম এসিআইয়ের শাইনেক্স ফ্লোর ক্লিনার আয়োজন করতে যাচ্ছে শিশুদের হামাগুড়ির প্রতিযোগিতা ‘শাইনেক্স সেরা হামাগুড়িয়ান।’
শিশুদের পথ চলার প্রথম ধাপ এই হামাগুড়ি। ওদের বেড়ে ওঠার সুন্দর সময়টাকে আরও মধুর ও স্মৃতিময় করে রাখতে শাইনেক্সের এ আয়োজন।
শাইনেক্স সেরা হামাগুরিয়ান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অভিভাবকদেরকে শাইনেক্সের ফেসবুক পেজের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পূর্ণ করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য শিশুর নাম, বয়স ও অন্যান্য তথ্যসহ শিশুর হামাগুড়ির একটি ভিডিও শাইনেক্স পেইজে ইনবক্সের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
সকল তথ্য ও ভিডিও যাচাই-বাছাই করে সেরা ২০ জন হামাগুড়িয়ানকে মূল পর্বের জন্য নির্বাচিত করা হবে, যেটি ঢাকায় একটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রোগ্রামের বিস্তারিত তথ্য অংশগ্রহণকারীদের আগেই জানিয়ে দেয়া হবে।
শীর্ষস্থান অধিকারীসহ ২০ জনের সবার জন্যই শাইনেক্সের পক্ষ থেকে থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার।
শাইনেক্স ফ্লোর ক্লিনারের লক্ষ্য প্রতিটি শিশু যেন বেড়ে ওঠে জীবাণুমুক্ত, ঝকঝকে ফ্লোরে ও সুরক্ষিত থাকে ওদের আগামীর পথ চলা।
আপনার শিশু যদি হামাগুড়িতে দক্ষ হয়, ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করার জন্য ক্লিক করুন এই লিংকে।
রেজিস্ট্রেশনের শেষ সময়: ৭ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার), ২০২৩, রাত ১০ টা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য