× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Raw mango jilapi Many questions about fines
google_news print-icon

কাঁচা আমের জিলাপি: জরিমানা নিয়ে প্রশ্ন

কাঁচা-আমের-জিলাপি-জরিমানা-নিয়ে-প্রশ্ন
রাজশাহীর আলোচিত কাঁচা আমের স্বাদের জিলাপি। ছবি: নিউজবাংলা
আম একেবারেই পাননি?- এমন প্রশ্নে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, ‘না, তা নয়। আম ছিল, তবে তা ৫ শতাংশেরও কম হবে।’ জিলাপিতে আম কত শতাংশ থাকার কথা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, শতাংশ ওভাবে না। একেবারেই পরিমাণটা খুবই সামান্য। আবার এখন যে আমটা ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা খুবই ছোট। এখনও কোনো স্বাদ হয়নি।’

রাজশাহীর আলোচিত সেই কাঁচা আমের জিলাপিতে আমের পরিমাণ প্রত্যাশার চেয়ে কম পেয়ে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি দল। যদিও কত শতাংশ আম দেয়া উচিত ছিল- এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দিতে পারেননি জরিমানার আদেশ দেয়া কর্মকর্তা।

ওই কর্মকর্তার দাবি, কাঁচা আমের জিলাপিতে রং ও ফ্লেভার মেশানোয় ‘প্রতারণা’ হয়েছে। যদিও জিলাপি নিয়ে আসা প্রতিষ্ঠান ‘রসগোল্লা’র উদ্যোক্তা বলছেন, তারা প্রথম থেকেই বিষয়টি বলে আসছেন।

বিষয়টি নিয়ে ‘রসগোল্লা’র উদ্যোক্তারা ভীষণ হতাশ। তবে সরকারি আদেশ মেনে তারা জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে বাধ্য হয়েছেন।

শুক্রবার রাজশাহী উপশহরের নিউ মার্কেট এলাকার ‘রসগোল্লা’র একটি বিক্রয়কেন্দ্রে অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ। তিনি দোকানটিকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

গত বছরের শেষ দিকে ‘রসগোল্লা’ নানা স্বাদের মিষ্টি নিয়ে এসে তুমুল আলোচিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচার পায় খেজুরের গুড়ের রসগোল্লা। আরও আছে পাকা আমের, কমলার মিষ্টি, কাঁচা মরিচের রসগোল্লা।

এবার রোজায় তারা নিয়ে আসে কাঁচা আমের জিলাপি। আগের সবগুলো পণ্যের মতো এটিও আলোড়ন তোলে। দেশের প্রধান গণমাধ্যমগুলোতেও এটি প্রতিবেদন আকারে উঠে আসে।

কাঁচা আমের জিলাপি: জরিমানা নিয়ে প্রশ্ন

স্বভাবতই এই দোকানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান এবং প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করার বিষয়টি সংবাদমাধ্যম ছাড়াও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পায়।

জরিমানা কেন?

জরিমানার আদেশ দেয়া হাসান আল মারুফ বলেন, ‘কাঁচা আমের জিলাপির প্রচারণার জায়গায় কিছুটা প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। কাঁচা আমের জিলাপি বলে প্রচার করা হচ্ছে, আসলে এটা কাঁচা আমের না, কাঁচা আমের ফ্লেভারযুক্ত জিলাপি; যা এক ধরনের প্রতারণা।

‘জিলাপির রং কখনও সবুজ হয় না। ফুড গ্রেড কালার ব্যবহার করে কাঁচা আমের জিলাপি বলা হচ্ছে। এই প্রতারণা বন্ধ করার জন্য ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’

তাহলে কি আম একেবারেই পাননি?- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, তা নয়। আম ছিল, তবে তা ৫ শতাংশেরও কম হবে।’

জিলাপিতে আম কত শতাংশ থাকার কথা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘না, শতাংশ ওভাবে না। একেবারেই পরিমাণটা খুবই সামান্য। আবার এখন যে আমটা ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা খুবই ছোট। এখনও কোনো স্বাদ হয়নি।

‘তারা যদি বলত, কাঁচা আমের ফ্লেভারের জিলাপি, তাহলে হতো’- বলেন সেই কর্মকর্তা।


কাঁচা আম তো তারা ব্যবহার করেছে- এ বিষয়টি আবার স্মরণ করিয়ে দিলে তিনি আবার বলেন, ‘কিন্তু এটা খুবই নগণ্য।’

তবে জিলাপিতে রং ও আর ফ্লেভার ব্যবহারের কথা আগেই জানানো হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তাদের একজন আরাফাত রুবেল এই জিলাপি নিয়ে আসার কয়েক দিন পর নিউজবাংলাকে দেয়া এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ অর্গানাইজেশনের সার্টিফিকেট আছে, সেই ধরনের ফুড কালারগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করি, যেটা ক্ষতি নয়। পাশাপাশি আমরা কাঁচা আমকে ব্লেন্ড করে মিশিয়ে দিচ্ছি।’


যে
ধারায় জরিমানা

হাসান আল মারুফ জরিমানার আদেশ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৪৫ ধারা ব্যবহার করে। তার মতে, রসগোল্লা এই ধারায় অপরাধ করেছে।

এই ধারায় বলা আছে, ‘কোন ব্যক্তি প্রদত্ত মূল্যের বিনিময়ে প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করিলে তিনি অনূর্ধ্ব এক বৎসর কারাদণ্ড, বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’

যা বলছেনরসগোল্লা মালিক

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জরিমানার আদেশটি গণমাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর পরই রাজশাহীতে ব্যাপক প্রচার পায়।

কাঁচা আমের জিলাপি: জরিমানা নিয়ে প্রশ্ন

এ বিষয়ে ‘রসগোল্লা’র স্বত্বাধিকারী আরাফাত রুবেল ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট কাঁচা আমের জিলাপি পর্যবেক্ষণ করেন। তারা কাঁচা আমের জিলাপির ফুড গ্রেড কালার ও গুণগত মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও আমের সাইজ ও পরিমাণ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং গঠনমূলক পরামর্শ দেন।

‘তারা আমাদের কাঁচা আমের জিলাপির বিজ্ঞাপনের ভাষা সঠিকভাবে উপস্থাপন না করায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।’

নিউজবাংলার সঙ্গেও কথা হয়েছে আরাফাত রুবেলের। তিনি বলেন, ‘আমরা তো প্রথম থেকেই বলে আসছি, এখানে কাঁচা আম ব্লেন্ড করে দেয়া হয়। পাশাপাশি কালার, ফ্লেভার আছে। জনস্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক কোম্পানির সার্টিফিকেট আছে, এমন ফুড কালার ব্যবহার করি।’

আরও পড়ুন:
কাঁচা আমের জিলাপি: জরিমানা নিয়ে প্রশ্ন
এবার কাঁচা আমের জিলাপি
এক কেজি জিলাপির দাম কেন ২৭০০ টাকা
আমের চেয়েও মিষ্টি ও সুস্বাদু রাজশাহীর মানুষ: ভারতীয় মন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
The head teacher was killed by the leader in front of the students

শিক্ষার্থীদের সামনেই প্রধান শিক্ষককে নেত্রীর কিল-ঘুষি

শিক্ষার্থীদের সামনেই প্রধান শিক্ষককে নেত্রীর কিল-ঘুষি চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সামশাদ রানু। ছবি: সংগৃহীত
আলমডাঙ্গা সরকারি বহুমুখী মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বুধবার এ ঘটনা ঘটান চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সামশাদ রানু। তার মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান।

শিক্ষার্থীদের সামনেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের শার্টের কলার চেপে ধরে কিল-ঘুষি মেরেছেন যুব মহিলা লীগের এক নেত্রী। বুধবার চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি বহুমুখী মডেল পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

লাঞ্ছনার শিকার প্রধান শিক্ষকের নাম রবিউল ইসলাম খান। আর অভিযুক্ত সামশাদ রানু ওরফে রাঙ্গা ভাবি জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আলমডাঙ্গা পৌরসভার সাবেক মহিলা প্যানেল মেয়র।

লাঞ্ছনার শিকার প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান বলেন, ‘আজ (বুধবার) বিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হচ্ছিল। একই দিন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা ছিল।

‘অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলায় সামষ্টিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নিতে দেরি হচ্ছিল। তাই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করছিল। তাদের মধ্যে সামশাদ রানুর ছেলে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী অর্কও ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমি বিদ্যালয়ে আসতেই আমার শার্টের কলার চেপে ধরে টানতে টানতে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষের দিকে নিয়ে যান সামশাদ রানু। একইসঙ্গে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এ সময় পায়ের জুতা খুলেও তিনি আমাকে মারধর করতে যান। অন্য শিক্ষকরা এগিয়ে আসায় তিনি জুতা দিয়ে আমাকে মারতে পারেননি।

‘সামশাদ রানু বিদ্যালয়ে সবার সামনে আমাকে লাঞ্ছিত করেছেন। আকষ্মিক এ ঘটনায় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। বিষয়টি মোবাইল ফোনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানিয়েছি।’

অভিযুক্ত সামশাদ রানু এ বিষয়ে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের কক্ষ না খোলায় আমার ছেলেসহ প্রায় ৮শ’ শিক্ষার্থী সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত তীব্র তাপদাহের মধ্যে বিদ্যালয়ের মাঠে অবস্থান করছিল। সোয়া ১০টার পর প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে এলে আমি তাকে শ্রেণিকক্ষের তালা খোলার কথা বলি। ‘তিনি বলেন- এই দায়িত্ব আমার না, সহকারী প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস ও কর্মচারী সিদ্দীকের। তিনি আমাকে উল্টো বলেন, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ অন্যরা আপনাকে আমার পেছনে লেলিয়ে দিয়েছে।’

রানু বলেন, “প্রধান শিক্ষকের এমন বক্তব্যের জবাবে তাকে আমি বললাম, আমি এখানে কোনো নেত্রী হিসেবে না, অভিভাবক হিসেবে এসেছি। এরপরই আমি তার জামার কলার চেপে ধরে টেনে নিয়ে ‘তালা খোল’ বলে কক্ষের তালা খুলিয়েছি। তখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে বসে।”

এ বিষয়ে আলমডাঙ্গার ইউএনও রনি আলম নূর বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক মোবাইল ফোনে আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। আমি তাকে আমার কার্যালয়ে আসতে বলেছি। অভিযোগ পেলে ওই নারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
খুলনায় জবি অধ্যাপককে আটকে রেখে নির্যাতন
প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছনা, মেয়রের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ছাত্রকে শাসন করায় শিক্ষককে কুপিয়ে জখম, হাসপাতালে ভর্তি
রাষ্ট্রের সেবকদের কেন ‘স্যার’ ডাকতে হবে: উমর ফারুক

মন্তব্য

জীবনযাপন
Naogaon ADC Miltons name in Sultanas financial transactions

জেসমিনের আর্থিক লেনদেনে নওগাঁর এডিসি মিল্টনের নাম

জেসমিনের আর্থিক লেনদেনে নওগাঁর এডিসি মিল্টনের নাম বাঁ থেকে- সুলতানা জেসমিন, তার লেখা প্রমাণপত্র ও নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মিল্টন চন্দ্র রায়। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
সুলতানা জেসমিনের মামা নাজমূল হক মন্টু জানান, নওগাঁ শহরে তার ভাগ্নীর ভাড়া বাসা থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে গিয়ে আর্থিক লেনদেনের ৪৬ পাতার পত্রগুলো পাওয়া যায়। তার একটিতে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের নাম লেখা আছে। তাতে একটি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর এবং ৫০ হাজার টাকা দেনদেনের কথাও উল্লেখ করা আছে।

র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) হেফাজতে মারা যাওয়া নওগাঁ ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক সুলতানা জেসমিনের আর্থিক লেনদেনের প্রমাণপত্রে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের নাম পাওয়া গেছে। সুলতানার হাতে লেখা প্রমাণপত্রগুলো তার স্বজনরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দিয়েছেন।

৪৬ পাতা প্রমাণপত্রের মধ্যে একটি পাতায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একটি নম্বর, অংকে ও কথায় লেখা ৫০ হাজার টাকা, ০৫/০১/২০২৩ তারিখ (বৃহস্পতিবার) ও এডিসি মিল্টনের নাম লেখা আছে। সবই সুলতানার হাতে লেখা বলে তার স্বজনরা দাবি করেছেন।

সুলতানা জেসমিনের মামা নাজমূল হক মন্টু জানান, নওগাঁ শহরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তার ভাগ্নী। সম্প্রতি সেই বাসা থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নিতে গিয়ে আর্থিক লেনদেনের ৪৬ পাতার পত্রগুলো পাওয়া যায়।

পত্রগুলোতে দেখা যায়, মৃত্যুর আগে সাম্প্রতিক সময়ে সুলতানা বেশ কয়েকটি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বরে টাকা পাঠানোর কথা লিখে রেখেছিলেন। প্রমাণপত্রগুলো হাইকোর্টের নির্দেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটির হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।

৪৬ পাতা প্রমাণপত্রের একটিতে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মিল্টন চন্দ্র রায়ের নাম লেখা আছে। সেই কাগজে একটি মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর ও ৫০ হাজার টাকা দেনদেনের কথাও উল্লেখ করা আছে।

সুলতানার হাতে লেখা এসব প্রমাণপত্রের সূত্র ধরে অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এনামূল হকের দায়ের করা মামলা ও সুলতানার মৃত্যুর ঘটনার অনেক রহস্য বেরিয়ে আসবে উল্লেখ করেন মন্টু।

সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু ও তার বিরুদ্ধে এনামূল হকের করা মামলার বিষয়টি তদন্ত করছে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি নওগাঁ সার্কিট হাউসে সুলতানার স্বজনদের জবানবন্দি রেকর্ড করেছে কমিটি।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের জানান, খুঁটিনাটি সংশ্লিষ্ট সব বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েই তদন্ত করছেন তারা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রতিবেদন জমা দেয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সুলতানার আর্থিক লেনদেনের প্রমাণপত্রে নাম থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। সুলতানা জেসমিনকে আমি চিনতাম না। তার সঙ্গে আমার পরিবারের কারও কোনো সম্পর্কও ছিলো না।’

র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ আদালতের এক আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ২২ মে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। কমিটির প্রধান করা হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খানকে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব, নওগাঁর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং নওগাঁর পুলিশ সুপার মনোনীত একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

প্রসঙ্গত, র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি দল চলতি বছরের ২২ মার্চ রাজশাহী স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক যুগ্ম সচিব এনামুল হকের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে সঙ্গে নিয়েই নওগাঁ পৌরসভার চণ্ডিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে আটক করে। আটক অবস্থায়ই ২৪ মার্চ সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেসমিন মারা যান।

আরও পড়ুন:
পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত দল
র‍্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ
জেসমিনের ছেলে ও বোনজামাইকে র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদ
জেসমিনের মৃত্যু মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে: চিকিৎসক
হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

মন্তব্য

জীবনযাপন
Allegations of death due to pulse severing during surgery to remove gallstones

পিত্তথলির পাথর সরানোর অস্ত্রোপচারে নাড়ি কাটায় মৃত্যুর অভিযোগ

পিত্তথলির পাথর সরানোর অস্ত্রোপচারে  নাড়ি কাটায় মৃত্যুর অভিযোগ নওগাঁর বলাকা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভুল অস্ত্রোপচারে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠে। ছবি: নিউজবাংলা
স্বজনদের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময় ভুল করে চিকিৎসক ওই নারীর বেশ কয়েকটি নাড়ি কেটে ফেলেন। এতে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে চিকিৎসক আবদুল বারী খন্দকার পালিয়ে যান।

নওগাঁ শহরের স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে পিত্তথলির পাথর সরাতে গিয়ে ভুল করে নাড়ি কাটায় এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্বজনরা।

মারা যাওয়া ৪৮ বছর বয়সী নারীর নাম মিলি বেগম। বলাকা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে তার অস্ত্রোপচার করেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক আবদুল বারী খন্দকার।

স্বজনরা জানান, এক মাস আগে মিলি বেগমের পিত্তথলিতে পাথর আছে বলে জানান চিকিৎসক। সে পাথর অপসারণে বলাকা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ২০৩ নম্বর শয্যায় সোমবার বিকেলে ভর্তি হন।

ওই দিন সাড়ে ৫টার দিকে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।

স্বজনদের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময় ভুল করে চিকিৎসক ওই নারীর বেশ কয়েকটি নাড়ি কেটে ফেলেন। এতে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে চিকিৎসক আবদুল বারী খন্দকার পালিয়ে যান।

মিলি বেগমের ছোট ছেলে তায়েব হাসান বলেন, ‘অপারেশনের পর বেডে নেয়ার ৫০ মিনিটের মধ্যে মা মারা যান। ওরা ভুল করে পেটের নাড়ি কেটে মাকে মেরে ফেলেছে।

ভাতিজা আশফাকুর রহমান বলেন, ‘ওই ক্লিনিকে এর আগেও অনেক মানুষকে ভুল অপারেশনে মরতে দেখেছি। এরপরেও ক্লিনিক বন্ধ হচ্ছে না।’

বড় ছেলে মেহেদী হাসান বলেন, ‘মাকে দাফনের পর আমরা শোকে কাতর। এটা হত্যাকাণ্ড। ডা. বারী এবং ক্লিনিক মালিক এনামুলের বিরুদ্ধে শিগগিরই মামলা করব। মোটা অংকের টাকায় সমঝোতার লোভ দেখিয়েছিল। আমার মায়ের মতো আর কোনো মা যেন ভুল অপারেশনে মারা না যান, সে জন্য আমরা লড়াই করে যাব।’

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. আবদুল বারী খন্দকার বলেন, ‘অপারেশন থিয়েটারে নেয়ার আগে রোগীর সবকিছুই স্বাভাবিক ছিল। অপারেশন শুরুর পর সব প্রক্রিয়া ডিসপ্লেতে দেখানো হয়। এরপর তাকে শয্যায় নেয়া হলে সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ভুল অপারেশনে মৃত্যুর অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বলাকা ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের পরিচালক এনামুল হক বলেন, ‘মিলি বেগমের অপারেশন অভিজ্ঞ সার্জন দিয়েই করানো হয়। সেটা ঠিক না ভুল আমি বলতে পারব না। রোগীর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল। মৃত্যুর পর সমঝোতার চেষ্টার অভিযোগটি সঠিক নয়।’

নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘বলাকা ক্লিনিকে রাতে হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছিল। পরে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

নওগাঁর সিভিল সার্জন আবু হেনা রায়হানুজ্জামান সরকার বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখব।’

আরও পড়ুন:
পারভীনের রিপোর্ট দেখে পারভেজের পিত্তথলি কর্তন: হাইকোর্টে রিট
পারভীনের রিপোর্ট দেখে পারভেজের পিত্তথলি কাটলেন চিকিৎসক
বিনা মূল্যে চিকিৎসা-ওষুধ পেল গারো পাহাড়ের ৭ হাজার মানুষ
নিরাপদ হাসপাতাল চান তারা
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদের

মন্তব্য

জীবনযাপন
Road accident in Sylhet Funding for handover of body without post mortem

সিলেটে ১৫ প্রাণহানি: ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর

সিলেটে ১৫ প্রাণহানি: ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর সিলেটে বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনদের আহাজারি। ছবি: নিউজবাংলা
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান জানান, বুধবার দুপুরে নিহতদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় পিকআপে ট্রাকের ধাক্কার ঘটনায় নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইমরুল হাসান জানান, বুধবার দুপুরে নিহতদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে জেলা প্রশাসন নিহতদের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা ও আহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়।

এ ছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেন।

বুধবার ভোরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কুতুবপুর এলাকায় বালুবাহী ট্রাক ও যাত্রীবহনকারী পিকআপের সংঘর্ষে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

এদিকে দুর্ঘটনায় নিহতদের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়।

দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য জানালেও সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ১৪ জনের মরদেহ পাওয়ার কথা জানায়।

দুপুরে ওই ১৪ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। হতাহতদের সবাই নির্মাণশ্রমিক।

হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হিমঘরের পাশে মাটিতে বসে আহাজহারি করছেন নিহত মেহের মিয়ার স্ত্রী চাঁদনী বেগম। তিনি বলেন, ‘সকালে ডিম রান্না করে দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি না খেয়েই চলে যান। এখন আমার বাচ্চাগুলো এতিম হয়ে গেল। আমি টাকা চাই না। বাচ্চাদের বাবাকে চাই।’

আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রবিউল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকটি আমাদের পিকআপে ধাক্কা দিলে উল্টে যায়।’

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সিলেটের পুলিশ কমিশনার ইলিয়াছ শরীফ বলেন, ‘পিকআপে করে যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ। তারপরও মহাসড়কে পিকআপে করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। এ কারণেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা যাতে আর না হয়, সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক থাকব।’

আরও পড়ুন:
হবিগঞ্জে বাসচাপায় অটোরিকশার ৩ আরোহী নিহত
কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় বাবা-ছেলে ও ট্রাকচাপায় মা-মেয়ে নিহত
ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত  
যাত্রাবাড়ীতে বাসের ধাক্কায় যুবক নিহত
টাঙ্গাইলে বাসচাপায় স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৪

মন্তব্য

জীবনযাপন
One and a half kg of gold was detained at the Sharsha border 2

শার্শা সীমান্তে দেড় কেজি স্বর্ণসহ আটক ২

শার্শা সীমান্তে দেড় কেজি স্বর্ণসহ আটক ২ শার্শা সীমান্তে বিজিবির অভিযানে স্বর্ণসহ আটক দুই পাচারকারী। ছবি: নিউজবাংলা
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর রহমান জানান, বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে রুদ্রপুর গ্রামের বিলপাড়া এলাকা দিয়ে দুই ব্যক্তি সীমান্তের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে আটক করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে ১২টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়, যার ওজন এক কেজি ৪০০ গ্রাম।

ভারতে পাচারকালে যশোরের শার্শা সীমান্তের রুদ্রপুর থেকে এক কেজি ৪০০ গ্রাম ওজনের ১২টি স্বর্ণ বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি।

বুধবার ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের টহল দলের সদস্যরা স্বর্ণবারসহ এই দু’জনকে আটক করেন। তারা হলেন- বেনাপোল বন্দর থানার পুটখালী গ্রামের মিন্টু হালদারের ছেলে দেব হালদার ও শফিকুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল তানভীর রহমান জানান, সীমান্ত পথে একটি স্বর্ণের চালান ভারতে পাচার হবে এমন সংবাদে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি নজরদারি বাড়ায়।

বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে রুদ্রপুর গ্রামের বিলপাড়া এলাকার মেইন পিলার ২২-এর পাশ দিয়ে সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তি সীমান্তের দিকে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের ধাওয়া করে আটক করা হয়। পরে তাদের দেহ তল্লাশি করে ১২টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়, যার ওজন এক কেজি ৪০০ গ্রাম। উদ্ধার এই স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় এক কোটি ২০ লাখ টাকা।

আটক পাচারকারীদের বিরুদ্ধে স্বর্ণপাচার আইনে মামলা হবে বলে জানান বিজিবি কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামে এক দিনের ব্যবধানে আবারও স্বর্ণ উদ্ধার
দরজার কব্জায় মিলল ১ কেজি স্বর্ণ, আটক যাত্রী
শার্শার পাঁচ ভুলাট সীমান্তে ১৪ স্বর্ণের বার উদ্ধার
কোমরে লুকিয়ে ৩ কোটি টাকার স্বর্ণ যাচ্ছিল ভারতে
বোরকায় লুকিয়ে পাচার হচ্ছিল আড়াই কোটি টাকার স্বর্ণ

মন্তব্য

জীবনযাপন
The controversial Waheed Anju marriage is invalid High Court

আলোচিত ওয়াহিদ-আঞ্জুর বিয়ে অবৈধ: হাইকোর্ট

আলোচিত ওয়াহিদ-আঞ্জুর বিয়ে অবৈধ: হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। ফাইল ছবি
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, উইলকৃত সেই বাড়িতে বসবাসকারী জগলুল ওয়াহিদের মেয়েরা মুসলিম আইন অনুযায়ী তাদের সম্পত্তির অধিকার পাবেন।

প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদের ভাই প্রয়াত মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের সঙ্গে ভারতীয় নাগরিক আঞ্জু কাপুরের বিয়ে অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট।

বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় দেয়।

রায়ের ফলে আঞ্জু কাপুরকে উইল করা বাড়িটি তার অধীনে থাকল না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

আদালতে জগলুল ওয়াহিদের দুই মেয়ের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মনজিল মোরসেদ।

তিনি বলেন, উইলকৃত সেই বাড়িতে বসবাসকারী জগলুল ওয়াহিদের মেয়েরা মুসলিম আইন অনুযায়ী তাদের সম্পত্তির অধিকার পাবেন।

আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘আমরা জেনেছি আঞ্জু কাপুর বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে গিয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি আছে।’

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গৃহকর্তা জগলুল ওয়াহিদের মৃত্যুর পর মালিকানা নিয়ে বিরোধে তার দুই মেয়ে অবস্থান নেন বাড়ির সামনে। ওই দুই বোনের দাবি, বাড়ির দখল বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করা ভারতীয় নাগরিক আঞ্জু কাপুরের হাতে। তিনি কিছুতেই ওই বাড়িতে তাদের ঢুকতে দিচ্ছেন না। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে হাইকোর্ট স্বপ্রণোদিত আদেশ দেয়।

আদেশের পর দুই নারীকে তাদের বাবা মোস্তফা জগলুল ওয়াহিদের গুলশান-২-এর ৯৫ নম্বর সড়কের বাসায় প্রবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। পরবর্তী সময়ে বিষয়টি নিয়ে কয়েক দফায় হাইকোর্টে শুনানি হয় এবং হাইকোর্ট রুল জারি করে। একই সঙ্গে ভারতীয় নাগরিক ও হিন্দু নারী আঞ্জু কাপুরের সঙ্গে জগলুল ওয়াহিদের বিয়ে ও বাড়ি উইল করা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের চারজন সিনিয়র আইনজীবীর (অ্যামিকাস কিউরি) অভিমত শোনে হাইকোর্ট। অবশেষে আইনজীবীদের অভিমত বিবেচনায় নিয়ে এবং এর আগে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আজ রায় দিল উচ্চ আদালত।

আরও পড়ুন:
রাজশাহী শহরে এলেই চাঁদকে গণধোলাই: লিটন
চাঁদের গ্রেপ্তার চান ২৩ বিশিষ্ট নাগরিক
প্রধানমন্ত্রীকে হুমকিদাতা চাঁদ গ্রেপ্তার কি না জানতে চাইল হাইকোর্ট
তালগাছ উপড়ানোয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যকে বরখাস্তের নির্দেশ
তালগাছ মেরে ফেলায় আওয়ামী লীগ নেতাকে ৪ লাখ টাকা জরিমানা

মন্তব্য

জীবনযাপন
Mayor Tapas wants Tk 100 crore compensation from Daily Star

ডেইলি স্টারের কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চান মেয়র তাপস

ডেইলি স্টারের কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চান মেয়র তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ফাইল ছবি
নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইনে থাকা প্রতিবেদন অপসারণ এবং সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

মানহানির অভিযোগে দৈনিক পত্রিকা ডেইলি স্টারের কাছে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি বুধবার জানান তাপসের আইনজীবী মেজবাহুর রহমান।

তিনি জানান, গত ৫ জুন রেজিস্ট্রি ডাকে ওই নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশটি ডেইলি স্টারের সম্পাদক ও প্রকাশক মাহফুজ আনাম, নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হক ও লেখক নাজিবা বাশারকে পাঠানো হয়।

নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনলাইনে থাকা প্রতিবেদন অপসারণ এবং সাত দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।

আইনজীবী মেজবাহুর রহমান বলেন, ‘ডেইলি স্টারের পত্রিকা এবং অনলাইন ভার্সনে প্রতিবেদন বা কলাম প্রকাশ করা হয়। কলামের লেখা ছিল ‘বাতাস প্রবাহের জন্য গাছ কর্তন’, আরেকটি টাইটেল ছিল যেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নামকে বিকৃত করে লেখা হয় ‘ধোকা সাউথ টাউন করপোরেশন পরিবেশবাদীর চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছে’। শুধু তাই নয় মেয়র তাপসের নাম বিকৃত করে লেখা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করা হয়। এ ধরণের বক্তব্য আমাদের প্রচলিত ফৌজদারি আইন অনুযায়ী মানহানির পর্যায়ে পড়ে। প্রতিবেদন দেখে মেয়র তাপস আমাকে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেন।’

সাত দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষ না নিলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওই আইনজীবী।

আরও পড়ুন:
আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান শুরু
রেড জোনে ফের উচ্ছেদ
গুলিস্তানে সহস্রাধিক হকার উচ্ছেদ 
‘রাত ২টার পর ওষুধ লাগলে কোথায় যাব?’
ওষুধের দোকান বন্ধে ডিএসসিসির বিজ্ঞপ্তি পরিবর্তন চেয়ে নোটিশ

মন্তব্য

p
উপরে