ব্রিটিশ সুপার মডেল নাওমি ক্যাম্পবেল মা হয়েছেন সম্প্রতি। নতুন মা হওয়ার পরও আগের মতোই ব্যস্ত ৫১ বছর বয়সী এ তারকা। দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মিলান, লন্ডন, প্যারিসের নামিদামি সব ফ্যাশন শো। কাজ করছেন বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে। ৯ মাস বয়সী মেয়েকে সামলে নাওমি কীভাবে পেশাগত কাজ সমানতালে করে যাচ্ছেন, সেটি জানতেই তার মুখোমুখি হয়েছিল বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন ভোগ। ভোগে নাওমি ক্যাম্পবেলের ব্যস্ত দিনলিপি নিয়ে লিখেছেন সারাহ হ্যারিস। আর সেটি অবলম্বনে নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য লিখেছেন রুবাইদ ইফতেখার।
নাওমি দেরি করে ফেলেছেন। ৩৪ দিন, ২ ঘণ্টা, ১৫ মিনিট দেরি। ঠিক এতটা সময় আগে তার সঙ্গে আমাদের দেখা হওয়ার কথা ছিল। এখন যখন দেখা হচ্ছে, তখন নাওমি কাতার থেকে লন্ডনগামী এক ফ্লাইটে। আমাদের জন্য তিনি নিজের ব্যস্ত ও কোলাহলপূর্ণ জীবন থেকে এটুকু সময়ই বরাদ্দ করতে পেরেছেন। বিমানের ওয়াই-ফাইয়ের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে আমাদের। এ কারণে তার সঙ্গে ভিডিও কল করাও সম্ভব হয়নি।
তবে আমাদের ফটোগ্রাফার স্টিভেন মেইজেল ভোগের জন্য তার যে ফটোশুট করেছেন, সেসব ছবি দেখার পর নাওমিকে আমার সামনাসামনি না দেখলেও চলবে। ৫১ বছর বয়সেও নাওমি এক দেবীর মতো। নিঁখুত ত্বক, অসাধারণ চুল ও অবিশ্বাস্য চেকনাই ধারালো দেহ।
বিমান থেকে কথা বলার সময় যে বিষয়টি সার্বক্ষণিক বোঝা গেছে তা হলো, ৯ মাসের মেয়েকে নিয়ে কথা বলার সময় তার মাতৃত্ববোধ। নাওমির মেয়ে তার সঙ্গেই ছিল এবং অবাক করার মতো বিষয় হলো, আমাদের কলের সময় সে একদম চুপচাপ ছিল।
নাওমি গর্বভরে বললেন, ‘আমি খুব ভাগ্যবান যে ও আমার সঙ্গে ঘুরতে ভালোবাসে। টেক-অফ বা ল্যান্ডিংয়ের সময় এতটুকু বিরক্ত করে না। খুব ভালো মেয়ে। ঠিকঠাক ঘুমায়। একেবারেই কান্নাকাটি করে না। বয়সের তুলনায় ও খুবই বুদ্ধিমান। কিছুদিন হলো হাত নাড়ানো শিখেছে। খুবই মজার। অনেক হাসে। আর অল্প কয়দিনের মধ্যেই কথা বলা শুরু করবে।
‘আমার মনে হয় হামাগুড়ি দেয়ার আগেই সে হাঁটা শুরু করবে। ওর এরই মধ্যে ছয়টি দাঁত উঠে গেছে। দাঁত নিয়েও একদম কোনো বিরক্ত করে না।’
সত্যিই আদর্শ ও একটা শিশু। এক সুপার মডেলের আদর্শ শিশু।
২০২১ সালের মে মাসে নাওমি তার ও ছোট কন্যাশিশুর ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে মা হওয়ার ঘোষণা দেন। ছবিতে মেয়ের ছোট্ট তুলতুলে পা নিজের হাতে ধরে রেখেছিলেন। মেয়ের জন্মের বিস্তারিত এখনও কাউকে জানাননি তিনি।
এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি নিশ্চিত করেন, ‘ও দত্তক নেয়া নয়। ও আমার মেয়ে।’
বাকিটুকু নিজের বইয়ে বিস্তারিত লিখবেন বলে জানান নাওমি। বইয়ের কাজ এখনও শুরু করেননি, মেয়ের নামও কাউকে জানাননি। খুব কম মানুষই জানতেন, নাওমি মাতৃত্বের পরিকল্পনা করছেন।
তিনি বলেন, ‘ওর জন্মের খবর জানতেন এমন মানুষের সংখ্যা একবারে হাতেগোনা। তবে ও আমার জীবনের সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ। আমার জীবনে ঘটে যাওয়া সেরা বিষয়।’
নাওমি তার জীবনের আনন্দের এ উৎসকে ভোগের প্রচ্ছদে নিয়ে এসেছেন। ক্যামেরার সামনে শিশুটি ছিল একেবারে স্বাভাবিক।
নাওমি বলেন, ‘ও আলো খুব পছন্দ করে। সবার দিকে তাকাচ্ছিল। ও মানুষের চোখের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকে। সবকিছু বোঝার চেষ্টা করে।’
অবাক করার মতো বিষয় ছিল, স্টিভেন মেইজেল তার অন্যতম কাছের বন্ধু ও সহকর্মী। নাওমি তাকে ১৬ বছর বয়স থেকে চেনেন। তবে এবার তার সঙ্গে ভোগের ফটোশুট করার সময় নাওমি নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘স্টিভেনের সঙ্গে কাজ করতে গেলে আমি সব সময় নার্ভাস হয়ে পড়ি। আমি অনেক বেশি মনোযোগ দেয়ার চেষ্টা করি। চেষ্টা করি নতুন কিছু একটা ঘটাতে। স্টিভেনের চোখে নতুন কিছু পড়তে এবং তার নির্দেশনা বুঝে শতভাগ দিতে আমি চেষ্টা করি।’
১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরে নিউ ইয়র্কে প্রথম দেখা দুজনের। সে স্মৃতি এখনও নাওমির মনে উজ্জ্বল।
তিনি বলেন, ‘আমি অ্যাপলো স্টুডিওতে ঢোকার পরই তাকে দেখি। সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হয় মানুষটা কী দারুণ! সে সত্যিই ভেতরে ও বাইরে একজন সুন্দর মানুষ। খুব বুদ্ধিমান ও সপ্রতিভ। স্টিভেন আমার কাছে পরিবারের মতো।’
চলতি মৌসুমে নাওমি প্যারিস, মিলান ও লন্ডনে ভারসাচে, আলেক্সান্ডার ম্যাককুইন, বালমেইন ও ল্যানভিনের হয়ে র্যাম্প করেছেন। এখনও ফ্যাশন শোতে অংশ নেয়া উপভোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি এখনও মজা পাই, কিন্তু খুব নার্ভাস লাগে! আমার বয়স এখন ৫১। আর আমি যে মেয়েগুলোর সঙ্গে র্যাম্পে হাঁটছি তাদের বয়স ১৮।’
অতীত বা বর্তমানে কেউ-ই নাওমির মতো র্যাম্পে হাঁটেননি। পুরোটাই যেন তার নখদর্পণে। আগের দিনের সঙ্গে এখনকার সময়ের তুলনাও করলেন এ সুপার মডেল। নিজের স্বর্ণযুগের বান্ধবী ও প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য তিন সুপার মডেল লিন্ডা এভানজেলিস্তা, সিন্ডি ক্রওফোর্ড ও ক্রিস্টি টার্লিংটনের কথা বললেন নাওমি।
বলেন, “অবশ্যই এখনও ভালো লাগে। বিশেষ করে যখন আমার বান্ধবীদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছি। একই সঙ্গে এ বয়সে তরুণদের সঙ্গে অংশ নিতে পারাটা দারুণ। তবে বেশ কয়েকটি শোতে আমার মনে হয়েছে আমি ওদের বলি, ‘আরে মেয়ে! কী করছ! দ্রুত হাঁটো। এত ধীরে হাঁটছ কেন?’ তবে আমার সময়টা আনন্দময় ছিল। আমরা হাসাহাসি করেছি। আমাদের ব্যক্তিত্বের দিকগুলো তুলে ধরতে পেরেছি।”
নাওমি, লিন্ডা, সিন্ডি ও ক্রিস্টি এ চার গ্ল্যামারাস, উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও জেনেটিক্যালি নিখুঁত নারী তাদের সময়ে ফ্যাশনকে পাল্টে দিয়েছিলেন। তাদের অবস্থান ও খ্যাতি এত শক্তিশালী ছিল যে, বিখ্যাত যে সব ব্র্যান্ডের জন্য তারা কাজ করতেন সেগুলোর চেয়ে তাদের নাম অনেক সময় বড় হয়ে উঠত।
নাওমি বলেন, ‘অবিশ্বাস্য একটা সময় ছিল। আমরা অনেক কষ্ট করেছি। যত শো থাকুক, যতবারই পোশাক বদলাতে হোক না কেন, আমরা কখনও বলিনি যে ক্লান্ত লাগছে। আমরা সবাই কাজটিকে ভালোবাসতাম এবং একে অপরকে চাঙা রাখতাম।
‘এমন সময় ছিল যখন একদিনে আমরা আটটি শো করেছি। এরপর সন্ধ্যায় ডিজাইনারের সঙ্গে উদযাপন করেছি। আমি ভাবি, এখনকার মডেলরা আমাদের সঙ্গে পেরে উঠতেন কিনা।’
তিন দশকের বেশি সময় পর তারা এখনও বন্ধু। নাওমি জানালেন, তাদের একটা চ্যাট গ্রুপ আছে। তার মেয়ে যখন মাত্র কয়েক দিনের তখন সিন্ডি ক্রওফোর্ড প্রথম দেখা করেন। ক্রিস্টি টার্লিংটনের সঙ্গে নাওমির মেয়ের দেখা হয় যখন ওর বয়স সপ্তাহ দুয়েক। আর লিন্ডা এভানজেলিস্তা এখনও ওকে দেখেননি।
এই চারজন এখন কাজ করছেন অ্যাপল টিভি প্লাসের ডকুমেন্টারি সিরিজ ‘দ্য সুপারমডেলস’ নিয়ে। এর পরিচালক অস্কারজয়ী পরিচালক বারবারা কোপল। সিরিজে এই চার মডেলের ৯০ দশকের রাজত্ব মনে করিয়ে দেয়া হবে। রন হাওয়ার্ডের সঙ্গে চারজনই সিরিজটির নির্বাহী প্রযোজকের ভূমিকায় আছেন।
সিরিজ নিয়ে নাওমি বলেন, ‘এটা আমাদের চার জনের জীবন, ক্যারিয়ার, নারীত্ব ও মাতৃত্ব নিয়ে। মডেল হিসেবে আমাদের নিজের ইমেজের স্বত্ব আমাদের কাছে থাকে না। যে কারণে আমাদের নিজেদের মতো করে নিজেদের গল্প বলতে পারাটা আনন্দের।’
দক্ষিণ লন্ডনের স্ট্রেদমে নারীবেষ্টিত পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন নাওমি। তার মা ভ্যালেরি মরিস-ক্যাম্পবেল একজন নৃত্যশিল্পী ছিলেন, যিনি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় পারফরম করতেন।
নাওমি জানান, তার বেড়ে ওঠার সময় পারিবারিক সহায়তা পেয়েছেন। খালারা তাকে মিলান ও প্যারিসে বিভিন্ন কাজের জন্য উৎসাহ দিতেন। পরিবারের প্রধান ছিলেন তার প্রিয় নানি জ্যামাইকান।
তিনি বলেন, ‘নানিই আমাকে রান্না করা ও ঘর পরিষ্কারের কাজ শিখিয়েছেন। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর আমার জুতা ও নাচের পোশাক পরিষ্কার করতাম। শৃঙ্খলা আমার মতে খুবই জরুরি। আমার বেড়ে ওঠার সময় সেটা ছিল এবং আমিও এ রকমটাই চাইব।’
তিনি ১২ বছর বয়স পর্যন্ত বারবারা স্পিক স্টেজ স্কুলে পড়াশোনা করেন। সেখানে নাচ ও নাটক ছাড়াও বক্তৃতা দেয়ার প্রশিক্ষণ পান। এক কথায়, যে ধরনের শিক্ষা একটি তরুণ মেয়েকে তীব্র প্রতিযোগিতামূলক শিল্পে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে পারে সেগুলো তিনি পান এ স্কুলে।
নাওমি বলেন, ‘আমি দৃঢ়চেতা নারীদের পরিবার থেকে এসেছি। পরিবার ও আমার স্কুলে শিখেছি, কীভাবে নিজেকে রক্ষা করতে হয় এবং নিজের অধিকারের জন্য ঘুরে দাঁড়াতে হয়।’
সামাজিক বিভিন্ন বৈষম্যের বিরুদ্ধে নিবেদিত থাকা, নিজের ও অন্যদের পক্ষে দ্বিধাহীনভাবে কথা বলা, পরিবর্তনের শক্তি হয়ে ওঠা এবং বৈচিত্র্যহীনতার অভাবে ভুগতে থাকা একটি শিল্পে কৃষ্ণাঙ্গদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর পক্ষে তার দীর্ঘদিনের ভূমিকার পেছনে কারণও এটি।
৯০-এর দশক থেকেই অচেনা ডিজাইনার ও ফ্যাশন পত্রিকার সম্পাদকদের বিষয়ে তিনি কোনো বাছবিচার করতেন না। নাওমি বলেন, ‘যারাই ফোন ধরতেন তাদেরই কল দিতাম। কোনো অভিযোগ করার জন্য নয়, মানুষকে সচেতন করে তোলার জন্য।’
তিনি নিজে থেকেই জানান, তার কোম্পানি উইমেন ম্যানেজমেন্টের এজেন্ট আকিম রাসুল একজন কৃষ্ণাঙ্গ। রাসুলের সঙ্গে মিলে নেওমি চান আফ্রিকা, ভারত ও মধ্যপ্রাচ্যের মতো নতুন বাজারগুলোর উদীয়মান তরুণ প্রতিভাবাদের সঙ্গে কাজ করতে। তাদের জন্য একটা প্ল্যাটফরম তৈরি করতে চান তিনি।
আডুট আকেচ ও উগবাদ আবদির মতো এখনকার দারুণ সফল কৃষ্ণাঙ্গ মডেলদের কাছে তিনি অনেকটা মাতৃসুলভ এক ব্যক্তিত্ব। আকেচ ও আবদির মতো আফ্রিকান মডেলরা বর্তমানে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। একই সঙ্গে তারা সৌন্দর্যের ধারণাও বদলে দিচ্ছেন।
নাওমির কী ধারণা? তাদের সময়ে এমন পরিবর্তন সম্ভব ছিল?
উত্তরে তিনি বলেন, ‘সবার যাত্রাপথ লেখা থাকে। আমার যাত্রা এটা, এভাবেই এটা লেখা ছিল। তবে হ্যাঁ, অনেকবারই এমন হয়েছে, আমি র্যাম্পে হেঁটেছি কিন্তু আমাকে বিজ্ঞাপনে পরে আর নেয়া হয়নি। তখন কষ্ট পেতাম। অনেক কষ্ট পেতাম। এগুলোকে আমাদের টপকে এগিয়ে যেতে হবে। এখনকার মতো তখন যদি আমি সমর্থন পেতাম তাহলে দারুণ হতো। তবে এখন যা হচ্ছে সেটার জন্য আমি গর্বিত।
‘ভিন্নতা দেখতে পেয়ে আমি গর্বিত। তবে আমি আন্তরিকভাবেই বলছি, আমরা এখন কোনো ট্রেন্ড তৈরির চেষ্টায় নেই। অনেক কোম্পানিই বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে, কারণ তারা আলোচনার বাইরে থাকতে চায় না। আমি বলব, এভাবে কাজ করার দরকার নেই। এটা যে সঠিক সেটা বুঝে কাজ করা উচিত। সেটি অর্জনে এখনও দীর্ঘ পথ বাকি।’
আগের মতোই নাওমি কাজের ক্ষেত্রে নিরলস। গত সেপ্টেম্বরে, তিনি দ্য কুইন্স কমনওয়েলথ ট্রাস্টের বৈশ্বিক দূতের দায়িত্ব নেন। তার কাজের মধ্যে রয়েছে দাতব্য সংস্থাটির তহবিল সংগ্রহের চেষ্টাকে সাহায্য করা এবং এর তরুণ অধিকারকর্মীদের প্রচারের আলোয় নিয়ে আসা।
নাওমি এ প্রসঙ্গে বলেন, “ম্যান্ডেলা আমাকে একটি কথা বলেছিলেন, সেটি আমি সবসময় মনে রাখি। তিনি বলেছিলেন, ‘তখনই ঘুমাব যখন আমি চলে যাব। যতক্ষণ বেঁচে আছি ও শক্তি আছে আমি কাজ করে যাব।”
মা হওয়ার পর নাওমি কাজ করার নতুন উদ্যোম ও শক্তি পাচ্ছেন বলে জানালেন।
তিনি বলেন, ‘আমি ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলনের সমর্থক। যে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রতি আমার সমর্থন আছে। এ সমস্যাগুলো যতদিন ধরে আছে আমি তার চেয়ে বেশিদিন ধরে এ নিয়ে কথা বলছি। আমার জন্য এটি নতুন কিছু নয়।’
জীবনে সন্তান আসার পর এই পরিবর্তনগুলো ঘটানোর জন্য আরও কারণ খুঁজে পাচ্ছেন নাওমি।
বলেন, ‘আমি জানতাম কোনো একদিন মা হব। আমি ভাবতেও পারিনি বিষয়টি এত আনন্দের। আমি জানি, ওকে পেয়ে আমি কতটা ভাগ্যবান।’
নাওমির উদ্যোম এতটাই যে, তার ও তার মেয়ের মধ্যে যে ৫০ বছরের ব্যবধান সেটি একেবারেই বোঝা যায় না। নাওমি মাত্র কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়েই তরতাজা থাকতে পারেন ও কর্মশক্তির দিক থেকে হয়ত এখনও ২০ বছর বয়সী যে কাউকে হারিয়ে দিতে পারেন। তিনি এখন তার বয়সী সব বন্ধুদের বলছেন, সন্তান গ্রহণ করতে।
তিনি বলেন, ‘আমি তাদের সবাইকে বলেছি, সন্তান নিয়ে নাও। এত চিন্তা করো না।’
নাওমির মেয়ে তার সঙ্গে সব জায়গায় যায়। বড়দিন তারা উদযাপন করেছেন পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণ ফ্রান্সে। নিউ ইয়ার্স ইভে তারা দুজন গেছেন কাতারে, তারপর কয়েক দিনের জন্য লসএঞ্জেলেসে যাওয়ার আগে কয়েক ঘণ্টার জন্য লন্ডন ও প্যারিস গেছেন।
নাওমি প্যারিসে অতিথি হিসেবে গিয়েছিলেন, তবে সেখানে লুই ভুইতনের হয়ে ছেলেদের জন্য করা ভার্জিল আবলোর শেষ শোতে র্যাম্পে অংশ নেন। নাওমি ও তার মেয়ে আসলে কোথায় বাস করেন জানতে চাইলে তার তড়িৎ উত্তর, ‘আমরা বিশ্ব নাগরিক!’
তিনি এখন এই মুহূর্তগুলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে চাইছেন। নাওমি জানেন, তার মেয়ে স্কুলে পড়া শুরু করলে এই স্বতঃস্ফূর্ততা ও স্বাধীনতা শেষ হয়ে যাবে।
নাওমি ‘এক অসাধারণ ন্যানি’ পেয়েছেন, যিনি তার মেয়ের জন্মের দিন থেকে তার সঙ্গে আছেন। মেয়ের সেই ন্যানি দুজনের এই পুরো বিশ্বে ইয়ো-ইয়োর মতো ঘুরে বেড়ানোকে সহজ করে তুলেছেন। এই ন্যানিকে খুঁজে পেতে নাওমিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট করতে হয়নি। এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সুপারিশে তিনি তাকে নিয়োগ দেন।
নাওমি তার মেয়ের চোখ দিয়ে নিজের জীবনকে উপভোগ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আবার একটা বাচ্চার মতো হয়ে গেছি। নার্সারি রাইমস পড়ছি আবার, কত ধরনের নতুন খেলনা আছে সেগুলো শিখছি এবং সেগুলো দিয়ে খেলছি! কত ধরনের যে পুতুল আছে! এত কিছু আছে যা আমি আগে কখনও ভাবিনি।’
তিনি জানান, তার মেয়ে মিউজিক বক্স পছন্দ করে। ও বিভিন্ন রঙ, আকার এবং নকশা নিয়ে খেলতে পছন্দ করে। এছাড়া বাচ্চাদের জামা-কাপড় তো আছেই! শিগগির তার মেয়ে জামার সংখ্যার দিক দিয়ে মায়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে।
নাওমি বলেন, ‘ওর ক্লজেটে খুব সুন্দর সুন্দর কিছু জামা আছে। আমার বন্ধু ও ডিজাইনাররা ওকে সেগুলো উপহার হিসেবে পাঠিয়েছে। অবাক করার মতো ব্যাপার, শিশুরা কত তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে! তাই না?’
নাওমির নিজের কাছেও রয়েছে আলাইয়া, শ্যানেল, ভারসাচের মতো ব্র্যান্ড। এগুলো নিয়ে তিনি নতুন একটি প্রজেক্ট শুরু করতে যাচ্ছেন। আপাতত এটুকুই শুধু জানালেন।
নাওমি ফোন কেটে দেয়ার আগে আগে তাকে জিজ্ঞাসা করি, মা হওয়ার পর সবচেয়ে বড় চমক কী ছিল?
বিনাদ্বিধায় তিনি উত্তর দেন, ‘সবার আগে আমার মেয়ে। আমি এখন যা করি, তার জন্যই করি- এটাই। এটা সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থ, তাই না?’
আমি জিজ্ঞাসা করি, ‘ও কি আরও চায়?’
নাওমি হাসিতে দমকে উঠে উত্তর দেন, ‘অবশ্যই। কেন চাইবে না?’
আরও পড়ুন:আরব পরিবারে বেড়ে ঊঠে একজন পেশাদার রেসলার হওয়া পুরুষের জন্য মোটেও কঠিন কিছু নয়। কিন্তু নারীর জন্য? হয়ত কল্পনাই করা যায় না, কিংবা অসম্ভব।
অথচ এই অসম্ভব কাজটিকেই সম্ভব করেছেন আরব বংশোদ্ভুত কানাডীয় পেশাদার রেসলার আলিয়াহ।
গত বছরের নভেম্বরে ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের (ডব্লিউডব্লিউই) ফ্ল্যাগশিপ শো স্ম্যাকডাউনের মূল ইভেন্টে আলিয়া অংশগ্রহণ করেছেন।
টানা ২০ বছর ধরে প্রতিবছরই হতে থাকা স্ম্যাকডাউন শোতে আরব নারীর অংশগ্রহণের মতো ঘটনা এই প্রথমবারের মত ঘটল।
আলিয়াহর প্রকৃত নাম নহুফ আল আরাবি। জন্মেছেন কানাডার টরেন্টোতে।
কানাডায় বেড়ে উঠলেও সিরীয় ও ইরাকি বংশোদ্ভুত হওয়ায় রেসলার হিসেবে নিজেকে তৈরি করার রাস্তাটা তার জন্য সহজ ছিল না।
তিনি যখন রেসলার হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তখন পরিবারের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয়। প্রথমবার যখন পরিবার তার জীবনের লক্ষ্যের বিষয়ে জানতে পারে, তাদের একটাই উত্তর ছিল, আর তা হল ‘না’।
কিন্ত এরপরেও আলিয়াহ দমে যাননি। তিনি পরিবারকে খণ্ডকালীন চাকরির কথা বলে প্রশিক্ষণ নিতে চলে যান। ১৬ বছর বয়স থেকেই তিনি রেসলার হওয়ার প্রশিক্ষণ শুরু করেন।
পরে ২০১৫ সালে তিনি ডব্লিউডব্লিউইতে ডাক পান। আর ২০২১-এ এসে তিনি স্ম্যাকডাউনেই অংশগ্রহণ করলেন।
আলিয়াহর মতে, যদি আপনার হৃদয়ে কোনো স্বপ্ন থাকে। আপনার তাকে অনুসরণ করা উচিত। সবকিছুই সম্ভব।
আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘এটা পরাবাস্তব মনে হয়। আমি যখন ছোট ছিলাম তখন থেকেই এটি আমার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন।
‘ছোট থাকতে আমি রেসলিং দেখতাম, কিন্তু সত্যিই আমার মতো দেখতে বা আরব কাউকে দেখিনি। আমি আশা করি আরব নারীদের জন্য আমি ভাল উদাহরণ স্থাপন করতে পারব এবং ইচ্ছামত খেলায় যোগ দিতে তাদের অনুপ্রানিত করতে পারবো।’
মধ্যপ্রাচ্যে আলিয়াহ সবশেষ গিয়েছিলেন ২০০২ সালে। তিনি জানান, সেখানে তার অনেক আত্মীয় এখনও থাকেন। আরব নারীদের জন্য তিনি সবসময় অনুপ্রেরণা হতে চান।
তাই আলিয়াহর লক্ষ্য এবার মধ্যপ্রাচ্যে পারফর্ম করা। ডব্লিউডব্লিউই কর্তৃপক্ষও বলছে, মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রচুর দর্শক থাকায় এমন উদ্যোগ প্রতিষ্ঠানটির জন্য আর্থিকভাবে লাভজনক হতে পারে।
আরও পড়ুন:যুক্তরাষ্ট্রে বাতিল হলো গর্ভপাত অধিকার আইন। দেশটির সর্বোচ্চ আদালত শুক্রবার ঐতিহাসিক এ রায় দেয়। এতে দেশজুড়ে গর্ভপাতকে বৈধতা দেয়া ১৯৭৩ সালের আইনি সিদ্ধান্ত ‘রো বনাম ওয়েড’ আর থাকছে না। ফলে প্রতিটি রাজ্যই এখন নিজস্বভাবে গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ নিতে পারবে।
রায়ে বিচারকরা জানান, সংবিধান গর্ভপাতের অধিকার দেয় না। সিদ্ধান্তের পক্ষে সমর্থন দেন ছয়জন বিচারক, বিপক্ষে তিনজন।
এ রায়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ ও নিন্দার জন্ম দিয়েছে। প্রজনন অধিকারের সমর্থকরা বলছেন, লাখ লাখ নারী গর্ভপাত পরিষেবাগুলো নিতে পারবেন না।
প্রজনন অধিকার সংগঠন গুটমাচার ইনস্টিটিউট বলছে, ১৯৭৩ সালের আইনি নজির উল্টে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২৪টির বেশি রাজ্যে এখন গর্ভপাত নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে নিম্ন আয়ের নারীর ওপর প্রভাব ফেলবে।
BREAKING: The Supreme Court just overturned Roe v. Wade, ending our constitutional right to abortion. We know you may be feeling a lot of things right now — hurt, anger, confusion. Whatever you feel is OK. We’re here with you — and we’ll never stop fighting for you.
— Planned Parenthood (@PPFA) June 24, 2022
বিচারকরা জানান, আগের আইনে ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহের মধ্যে গর্ভপাত বৈধ ছিল। এটি ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। কারণ সংবিধানে গর্ভপাতের অধিকার নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ নেই।
রো বনাম ওয়েডের রায়ে যুক্তি দেয়া হয়েছিল, সংবিধানের অধীনে ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার একজন নারীর গর্ভাবস্থা বন্ধ করার ক্ষমতাকে রক্ষা করে।
সুপ্রিম কোর্ট ১৯৯২ সালের সাউথইস্টার্ন পেনসিলভানিয়া বনাম ক্যাসি প্ল্যানড প্যারেন্টহুড নামে একটি রায়ে গর্ভপাতের অধিকারকে পুনরায় নিশ্চিত করেছিল। রায়ে বলা হয়েছিল, গর্ভপাতের বিষয়ে ‘অযথা বোঝা’ চাপিয়ে দেয়া আইনগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
রক্ষণশীল বিচারপতি স্যামুয়েল আলিটো বলেন, ‘রো এবং প্ল্যানড প্যারেন্টহুড বনাম কেসি ভুল ছিল। এটি অবশ্যই বাতিল করা উচিত।
‘আমরা মনে করি যে রো এবং কেসিকে অবশ্যই বাতিল করা উচিত। সংবিধানে গর্ভপাত উল্লেখ নেই। এ ধরনের অধিকার সাংবিধানিক বিধান দ্বারা সুরক্ষিত নয়।’
বিচারপতি ক্লারেন্স থমাস, নিল গর্সুচ, ব্রেট কাভানাফ এবং অ্যামি রায়ের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিপক্ষে দেয়া তিন বিচারপতি ট্রাম্পের নিয়োগপ্রাপ্ত।
উদারপন্থি বিচারপতি স্টিফেন ব্রেয়ার, সোনিয়া সোটোমায়র এবং এলেনা কাগান ভিন্নমত পোষণ করেন।
তারা জানান, ‘এটা আদালতের জন্য দুঃখের খবর। তবে লাখ লাখ আমেরিকান নারী আজ একটি মৌলিক সাংবিধানিক সুরক্ষা হারিয়েছেন। আমরা ভিন্নমত পোষণ করছি।’
জনমত জরিপ দেখা গেছে, বেশির ভাগ আমেরিকান গর্ভপাতের অধিকারকে সমর্থন করেন।
গত মাসের শুরুর দিকে সুপ্রিম কোর্টের ফাঁস হওয়া একটি গোপন খসড়া নথিতে ঐতিহাসিক গর্ভপাত অধিকার আইন বাতিল হতে পারে বলে আভাস মিলেছিল। রাজনীতিবিষয়ক সংবাদমাধ্যম পলিটিকো সেই নথি প্রকাশ করেছিল।
আরও পড়ুন:ঠাকুরগাঁও রোড রেলস্টেশনে রাজশাহীগামী আন্তনগর বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন শারমিন ইসলাম। কোলে তার তিন মাসের সন্তান।
কিছুক্ষণ পর শিশুটি কেঁদে উঠলে তাকে বুকের দুধ খাওয়াতে এদিক-সেদিক আড়াল খুঁজতে থাকেন শারমিন। উপযুক্ত কোনো স্থান না পেয়ে লোক সমাগমের মধ্যেই অস্বস্তি নিয়ে কাপড় দিয়ে ঢেকে সন্তানকে খাওয়ান তিনি।
এভাবে জনসমাগমস্থলে বসে সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পরিস্থিতিকে অনিরাপদ ও সন্তানের প্রতি জুলুম বলে মনে করেন শারমিন।
তিনি বলেন, ‘একজন নবজাতককে এভাবে অনিরাপদভাবে বুকের দুধ খাওয়ানো তার প্রতি জুলুম। কাপড়ের ঢাকনা দিয়ে দুধ পান করানো তার জন্য ঝুঁকি। তারপরেও তার ক্ষুধা নিবারণের জন্য এ ঝুঁকি আমাকে নিতে হয়েছে।
‘স্টেশনে একটা ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার থাকলে আমরা সহজেই স্বাচ্ছন্দ্যে বেবিকে বুকের দুধ পান করাতে পারি। কর্তৃপক্ষের বিষয়টি ভাবা উচিত।’
এ ভাবনা এক বছর বয়সী সন্তানের মা পারুল বেগমেরও। রেলস্টেশনে কথা হয় তার সঙ্গে।
পারুল বলেন, ‘রাজশাহী যাব। সঙ্গে কেউ নেই। আমি জানি না আমার পাশের আসনে কে টিকিট কেটেছেন।
‘যেহেতু ট্রেন নিরাপদ বাহন তাই এতেই ভ্রমণ করি৷ কিন্তু ট্রেনের ভেতরে কোনো ব্রেস্ট ফিডিংয়ের ব্যবস্থা নাই। ভেতরেও এ সেবা নিশ্চিত করা উচিত। তাহলে আমরা অস্বস্তিতে পড়ব না।’
জেলা শহরের বিআরটিসি বাস কাউন্টারেও শিশুর মায়েদের এমন অস্বস্তিতে পড়তে হয় প্রতিনিয়ত।
রংপুর যাওয়ার জন্য শিশুসন্তানকে নিয়ে সেখানে অপেক্ষায় আছেন রিয়া আক্তার নামে এক যাত্রী। বাচ্চাকে দুধ খাওয়ানোর সময় বেশ বিব্রতই দেখাচ্ছিল তাকে।
তিনি বলেন, ‘বাসের জন্য অপেক্ষা করছি। এখানে কোনো ব্রেস্ট ফিডিংয়ের ব্যবস্থা নাই। তাই লোকসম্মুখে বসে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।
‘আমরা মায়েরা যেকোনো পরিস্থিতিতে বাচ্চাকে দুধ পান করাব। তাই বলে কি ফিডিংয়ের উন্নত ব্যবস্থা হবে না? সরকারের বিষয়টি নিয়ে কাজ করা উচিত।’
শুধু পরিবহন স্পটই নয়, জেলার ক্লিনিকগুলোতেও ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার নেই।
শহরের বাসিন্দা হেলাল উদ্দীন বিশাল জানান, তার ছোট বাচ্চা আছে। বাইরে গেলে তার স্ত্রী সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়াতে বিব্রত বোধ করেন। কারণ কোথাও কোনো আড়াল পান না।
হেলাল বলেন, ‘অনেক শিশু ডাক্তারের চেম্বারে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার নেই। শহরে ও শহরের বাইরের এলাকাসহ অনেক শিশু চিকিৎসক বসেন। তাদের কাছে অনেক রোগীও আসেন। কিন্তু সে চেম্বারগুলোতে বুকের দুধ পান করাতে গিয়ে বিব্রত হন মায়েরা।
‘রাস্তাঘাটে চলন্ত রিকশা ও ইজিবাইকেও শিশুদের ওড়না দিয়ে ঢেকে দুধ পান করাতে দেখেছি। সে ক্ষেত্রে পাবলিক ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারও হতে পারে।’
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম চয়ন বলেন, ‘হাসপাতালে প্রতিদিন নরমাল ও সিজার ডেলিভারি হচ্ছে। শিশু ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ৮০-১০০ জন শিশু ভর্তি থাকছে। এখানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার রয়েছে। কিন্তু ক্লিনিকগুলোতে তাদের সেবার মানের কথা চিন্তা করে উদ্যোগ নিতে পারেন ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার বানানোর। এটা নিঃসন্দেহে একটা সভ্য সুবিধা নবজাতক ও মায়েদের জন্য।’
কাপড়ে ঢেকে দুধ খাওয়াতে গেলে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে শিশুর? এর জবাবে ডা. রাকিবুল বলেন, ‘সন্তানকে বুকের দুধ পান করানোর সময় অবশ্যই মায়ের নজর সন্তানের ওপর রাখতে হবে। নাহলে দুধ গলায় আটকে গেলে বা বাচ্চাকে দেখতে না পেলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
‘শাড়ির আঁচল কিংবা ওড়না দিয়ে ঢেকে দুধ পান করানো ঝুঁকিপূর্ণ। যেসব স্থানে জনসমাগম রয়েছে, সেসব স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন খুবই জরুরি।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. শামসুজ্জোহা জানান, জনসমাগমস্থলে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপনের বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনা করবেন অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে।
একই আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমানও।
তিনি বলেন, ‘রেলস্টেশনের একটি নিজস্ব অথরিটি আছে। ব্রেস্ট ফিডিং কর্নারের বিষয়ে আমি তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। এ ছাড়া প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে যেখানে পাবলিক সার্ভিস দেয়া হয়, সবখানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার করার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা করব।’
স্কুলের সহপাঠীদের বিক্ষোভের মুখে নোয়াখালীর চাটখিলে ১৩ বছরের এক কিশোরীর বিয়ে পণ্ড করে দিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার দুপুরে উপজেলার ৪ নম্বর বদলকোট ইউনিয়নের মধ্য বদলকোট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম মুসা।
ইউএনও জানান, বদলকোট ইউনিয়নের দারুল ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর বিয়ে বন্ধের দাবিতে লাল পতাকা হাতে বিক্ষোভ করে তার বাড়িতে গিয়ে হাজির হয় সহপাঠীরা। পরে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিষয়টি প্রশাসনকে জানালে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এ সময় কম বয়সে বিয়ে দেয়ার চেষ্টার অভিযোগে কনের বাবাকে ২ হাজার ও বরপক্ষকে ৮ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগে বিয়ে দেয়া হবে না মর্মে মুচলেকা দেয় তার পরিবার।
বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে অবহিত করা ও এ ধরনের বিয়ে বন্ধ করার জন্য উপজেলায় একটি কমিটি রয়েছে বলেও জানান ইউএনও।
চীনে একটি রেস্তোরাঁয় একদল নারীর ওপর নৃশংস হামলার ঘটনায় একজন উপপুলিশ পরিচালককে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তাংশান শহরের ওই হামলায় একদল পুরুষ চারজন নারীকে মারধর করেন। ভাইরাল ভিডিওটি চীনে জেন্ডারকেন্দ্রিক সহিংসতা ইস্যুতে তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলা পুলিশের উপপরিচালক এবং অন্য কর্মকর্তারা ঘটনার দিন অকারণে সময়ক্ষেপণ করেছেন।
প্রাদেশিক জননিরাপত্তা বিভাগের ওই প্রতিবেদনে এটা স্পষ্ট করা হয়নি যে পুলিশের উপপরিচালক লি-কে চাকরিচ্যুত নাকি বরখাস্ত করা হয়েছে।
ঘটনাটি ১০ জুন রাতে উত্তর হুবেই প্রদেশের লুবেই জেলার তাংশান শহরের একটি রেস্তোরাঁয় ঘটে।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, বারবিকিউ রেস্তোরাঁয় একজন এগিয়ে যাচ্ছেন এক নারীর দিকে। একসময় ওই নারীর পিঠে হাত রাখেন ওই ব্যক্তি। নারীটি তাকে তখন ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। পুরুষটি উঠেই ওই নারীকে মারধর শুরু করেন। তার আগে আরেকজন ওই নারীকে টেনে বাইরে নিয়ে যান। সেখানে মেঝেতে ফেলে তাকে মারধর করতে থাকেন।
ভিডিওতে দলটিকে তাদের সঙ্গে খাবারে অংশ নেয়াদের ওপরও হামলা চালাতে দেখা যায়। এ সময় অন্য এক নারী তাদের থামাতে গেলে তাকে ধাক্কা মারা হয়।
আহত দুই নারীকেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সামান্য আঘাত। তবে বাস্তবে দেখা গেছে, তাদের কথা সত্যি না। আঘাত বেশ গুরুতর। ভিডিওতে আরও দুই নারীর রক্তাক্ত চেহারা দেখা গেছে।
গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় ৩টা ৯ মিনিটে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাদের ডাকা হয়েছিল ২টা ৪১ মিনিটে। অর্থাৎ খবর পাওয়ার আধঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এই সময়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের একজন অবৈধ জুয়া, অপহরণসহ নানা অপরাধে যুক্ত থাকতে পারেন। তারা কোনো অপরাধচক্রের সঙ্গে জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অবশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুলিশকে ধুয়ে দিচ্ছেন অনেকে। ঘটনাটি তীব্র ক্ষোভ আর বিতর্কের জন্ম দিয়েছে নেট দুনিয়ায়।
চীনের জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম ওয়েইবোতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয়গুলোর একটি এখন এটি। সেখানে বলা হচ্ছে, নারীর প্রতি সহিংসতা এখনও সাধারণ বিষয়!
অনেকেই হামলাকারীদের কঠিন বিচারের দাবি জানাচ্ছেন। অনেকে আবার বলছেন, এই দলের সঙ্গে স্থানীয় পুলিশের সম্পর্ক ভালো ছিল।
পুলিশ অবশ্য এসব মানতে নারাজ। হুবেই প্রাদেশিক জননিরাপত্তা বিভাগ বলছে, দেরিতে পুলিশ পাঠানো এবং শৃঙ্খলার গুরুতর লঙ্ঘনের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ঘটনায় মোট পাঁচজন তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টিকে অতিরঞ্জিত করে তুলে ধরা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:কাস্টিং কাউচ মডেলিং দুনিয়ায় নতুন কিছু নয়। কাজের বিনিময়ে কিংবা কাজের লোভ দেখিয়ে অভিনেত্রী-মডেলদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন কিংবা যৌন হেনস্তাকে বলা হয়ে থাকে কাস্টিং কাউচ। বিষয়টি নিয়ে কয়েক বছর আগে ‘হ্যাশট্যাগ মিটু’ আন্দোলনের ঝড় উঠেছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোয়।
এবার মডেলিংয়ের অন্ধকার জগৎ নিয়ে আস্ত একটা তথ্যচিত্র নির্মাণ হয়েছে। স্কাউটিং ফর গার্লস: ফ্যাশনস ডার্কেস্ট সিক্রেট নামে এই তথ্যচিত্রে চারজন নারী নিজেদের সঙ্গে ঘটা যৌন নির্যাতনের কথা শেয়ার করেন। জানান, মডেল হিসেবে কাজ করার সময় তাদের ওপর এ নির্যাতন হয়।
এমন একজনের নাম ক্যারে সাটন। তিনি বলেন, '১৭ বছর বয়সে আমাকে ফ্যাশন জগতের প্রভাবশালী এক পুরুষ ধর্ষণ করেছিলেন।
‘জেরাল্ড মেরি বিয়ে করেছিলেন সুপারমডেল লিন্ডা ইভাঞ্জেলিস্তাকে। তবে যখন তার স্ত্রী শহরের বাইরে থাকতেন, তখন ওই ফরাসি এজেন্ট আমাকে ধর্ষণ করতেন। ১৯৮৬ সালে তো টানা কয়েক সপ্তাহ নির্যাতন চলে।’
জেরাল্ড-ইভাঞ্জেলিস্তার বিয়েবিচ্ছেদ হয় ১৯৯৩ সালে। এর ঠিক ২৭ বছর পর ২০২০ সালে ইভাঞ্জেলিস্তা তার সাবেক সঙ্গী মেরির অভিযুক্তদের সাহসিকতার প্রশংসা করে একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘তাদের কথা শুনে এবং নিজের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমি বিশ্বাস করি তারা সত্যিই বলেছে।’
সাটন যৌন হয়রানির শিকার হওয়া ১১ নারীর মধ্যে একজন যারা প্যারিস প্রসিকিউটরের কাছে সাক্ষী দিয়েছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, এলিট মডেলিং এজেন্সির সাবেক ইউরোপীয় প্রধান জেরাল্ড তাদের যৌন হেনস্তা করেছেন।
ফরাসি আইনে, যৌন নির্যাতনের ২০ বছরের মধ্যে এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ৩০ বছরের মধ্যে অভিযোগ করতে হয়।
সাটন বিশ্বাস করেন, দুই দশকে আরও বেশ কয়েকজন জেরাল্ডের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের কখনও পরিবর্তন হয় না। আমার এগিয়ে আসার কারণ, আমার কন্যাসন্তান আছে। আমি চাই না, সে আমার মতো ট্রমার শিকার হোক।
‘এখনও ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি অনিয়ন্ত্রিত এবং আপত্তিজনক। যে কারণে বেশির ভাগ নাবালিকা এবং অল্পবয়সীদের সঙ্গে যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটে।’
মডেলিংশিল্পের অপব্যবহার
স্কাউটিং ফর গার্লস: ফ্যাশনস ডার্কেস্ট সিক্রেট নামে একটি নতুন তথ্যচিত্রে মডেল হিসেবে কাজ করার সময় সাটন এবং আরও তিনজন নারী যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দেন।
তিনি জানান, তিনি জানান, তাকে ফটোগ্রাফারদের বাড়িতে কাস্টিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তাকে শরীর দেখাতে বলা হয়।
‘এটি তাদের কাছে খুব স্বাভাবিক বিষয় ছিল। এমনকি আমাদের গভীর রাতে তাদের কাছে যেতে হতো।’
এজেন্টদের মাধ্যমে বিক্রি
জিল ডড নামে একজন মডেল বলেন, ‘১৯৮০ সালে প্যারিসে একটি নাইট আউটের পর জেরাল্ড আমাকে ধর্ষণ করেছিলেন। আমার বয়স তখন ছিল ২০।’
পরে জিল আদনান খাশোগির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। আদনান প্রয়াত সৌদি অস্ত্র ব্যবসায়ী, যিনি একসময় বিশ্বের ধনী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন। ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে আদনানের সঙ্গে জিলের পরিচয় করিয়ে দেয় মডেল এজেন্সি প্যারিস প্ল্যানিং।
‘আমরা অল্পবয়সী ছিলাম। এজেন্টদের কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার জন্য আমাদের বিক্রি করে দেয়া হতো।’
আন্তর্জাতিক নারী সাঁতার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না ট্রান্সজেন্ডার। এ প্রশ্নে হওয়া ভোটের পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাঁতারের বিশ্ব পরিচালন সংস্থা- ফিনা। তারা বলেছে, যেসব নারী পুরুষালি আচরণের যেকোনো শারীরিক অভিজ্ঞতা অনুভব করেছেন, তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।
হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে ১৫২টি দেশের ফেডারেশন ভোটে অংশ নেয়। ৭১ শতাংশ ভোট পড়ে ট্রান্সজেন্ডারদের বাদ দেয়ার পক্ষে।
ফিনা বৈজ্ঞানিক প্যানেলের একটি প্রতিবেদন বলছে, ট্রান্স নারীরা ওষুধের মাধ্যমে তাদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমানোর পরও সিসজেন্ডার নারী সাঁতারুদের তুলনায় উল্লেখযোগ্য সুবিধা পেয়ে থাকে।
ফিনার নতুন ৩৪ পৃষ্ঠার নীতিতে বলা হয়েছে, পুরুষ থেকে নারীতে রূপান্তর ক্রীড়াবিদরা কেবল তখনই নারী বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে, যখন তারা এটা প্রমাণ করতে পারবে যে ট্যানার স্টেজ-টুর বাইরে পুরুষ বয়ঃসন্ধির কোনো কিছু অনুভব করেনি।
নতুন নীতি সম্পর্কে ফিনার প্রেসিডেন্ট হুসেন আল-মুসাল্লাম বলেন, ‘ক্রীড়াবিদদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অধিকার রক্ষা করতে হবে। আমাদের ইভেন্টগুলোতে, বিশেষ করে ফিনা প্রতিযোগিতায় নারী বিভাগে প্রতিযোগিতামূলক ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে।’
এই জটিলতায় যারা পড়বেন তাদের আশাহত হওয়ার কারণ নেই। ফিনার নতুন নীতিতে বলা হয়েছে, কিছু ইভেন্টে ট্রান্স নারীদের জন্য একটি ‘উন্মুক্ত’ বিভাগ খোলা হবে।
ফিনার সভাপতি মুসাল্লাম বলেন, ‘আমরা সব সময় ক্রীড়াবিদকে স্বাগত জানাই। একটি উন্মুক্ত বিভাগ তৈরির অর্থ হলো, প্রত্যেকেরই অভিজাত স্তরে প্রতিযোগিতা করার সুযোগ রয়েছে। এটি আগে করা হয়নি। তাই ফিনাকে পথ দেখাতে হবে।’
এর আগে ২০২০ সালে বিশ্ব রাগবি প্রতিযোগিতায় এমন সিদ্ধান্ত এসেছিল। তবে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা দিয়ে বাছাই করাকে অনেকেই করেছেন প্রশ্নবিদ্ধ। আরও অনেক প্রতিযোগিতায় এই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে যেতে হয় ট্রান্স নারীদের।
যুক্তরাষ্ট্রে লিয়া টমাস এক ট্রান্স নারী সাঁতারু, যিনি কলেজভিত্তিক একটি সাঁতার প্রতিযোগিতায় (পুরুষ বিভাগে) গেল মার্চে শিরোপা জেতেন। বিষয়টি তখন বেশ আলোচিত হয়। অনেকেই দাবি তুলেছিলেন, এ ধরনের সাফল্য অবশ্যই উদযাপন করা উচিত। ফিনার নতুন সিদ্ধান্তে প্যারিস অলিম্পিকে থমাস আর নারী বিভাগে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
সাবেক ব্রিটিশ সাঁতারু শ্যারন ডেভিস অবশ্য এই খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমি আপনাকে বলতে পারব না যে আমি আমার খেলাধুলার জন্য কতটা গর্বিত। ফিনা এবং ফিনা প্রেসিডেন্ট বিজ্ঞানের ভিত্তিতে এমন করছেন। সাঁতার সব সময় সবাইকে স্বাগত জানাবে, তবে ন্যায্যতা হলো খেলার ভিত্তি।’
I can’t tell you how proud I am of my sport @fina & @fina_president for doing the science, asking the athletes/coaches and standing up for fair sport for females. Swimming will always welcome everyone no matter how you identify but fairness is the cornerstone of sport https://t.co/1IaMkIFOkX
— Sharron Davies MBE (@sharrond62) June 19, 2022
আরেক সাবেক ব্রিটিশ সাঁতারু ক্যারেন পিকারিং বলেন, ‘উপস্থাপনা, আলোচনা এবং ভোটের জন্য ফিনা কংগ্রেসে ছিলাম। যেকোনো ক্রীড়াবিদ যারা এখন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না তাদের জন্য সহানুভূতি জানাতে পারি। নারীদের বিভাগে প্রতিযোগিতামূলক ন্যায্যতা অবশ্যই রক্ষা করা উচিত।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য