সাহায্য চাইতে বয়স্কদের অনেকেই সংকোচে ভোগেন। মনে হয়, এতে করে যেন নিজের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়ে যাবে। অথবা মনে হতে পারে, কোনো কাজে সাহায্য চাওয়ার অর্থ কাজটি আপনি করতে পারছেন না।
বড়দের মতো শিশুরাও ভোগে এমন মানসিক দ্বন্দ্ব ও ভয়ে। নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুরা স্কুলে ঠিক এ কারণেই প্রয়োজনের সময়ে সাহায্য চায় না।
কিছুদিন আগে পর্যন্ত মনোবিজ্ঞানীরা মনে করতেন, অন্তত ৯ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত শিশুরা তাদের মর্যাদা নিয়ে খুব একটা সচেতন নয়। কাছের বন্ধুরা তাদের নিয়ে কী ভাবছে সে বিষয়ে খুব একটা পরোয়া নেই অল্প বয়সী শিশুদের। তবে নতুন গবেষণা বদলে দিয়েছে এই ধারণা।
দেখা গেছে, পাঁচ বছর বয়সী শিশুও তার বিষয়ে অন্যের চিন্তাভাবনাকে খুব গভীরভাবে গুরুত্ব দেয়। আর এ কারণে নিজেকে অন্যের চোখে বুদ্ধিমান প্রমাণের জন্য শিশুরা ছল-চাতুরির আশ্রয়ও নিয়ে থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ডেভেলপমেন্ট সাইকোলজি বিভাগের পিএইচডির ছাত্রী কেয়লা গুড ও ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগোর মনোবিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক অ্যালেক্স শ গবেষণাটি করেছেন। এ বিষয়ে তারা একটি প্রতিবেদন লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী সায়েন্টিফিক আমেরিকান-এ। নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটি অবলম্বনে লিখেছেন রুবাইদ ইফতেখার।
গবেষণায় দেখা গেছে, সাত বছর বয়সী শিশুরাও অন্যদের কাছে সাহায্য চাওয়ার সঙ্গে নিজেদের ‘অক্ষমতার’ অনুভূতিকে বিবেচনায় নিতে শুরু করে।
গবেষকেরা বলছেন, নিজের মর্যাদা সম্পর্কে শিশুদের উদ্বেগ তাদের শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিটি শিশুই ক্লাসরুমে পড়াশোনায় সংগ্রাম করে। এ পরিস্থিতিতে সহপাঠীদের টিপ্পনীর ভয়ে তারা সাহায্য চাইতে ভয় পেলে শেখার ক্ষতি হতে পারে।
প্রতিবেদনে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে শিক্ষকদের আরও যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যাতে করে শিশুদের সাহায্য চাওয়ার বিষয়টি সহজ করা যায়।
শিশুরা নিজেদের মর্যাদা সম্পর্কে কীভাবে চিন্তা করে তা জানতে গবেষকরা ডেভেলপমেন্টাল সাইকোলজির একটি পুরোনো কৌশল প্রয়োগ করেছেন। তারা বলছেন, চারপাশের জগৎ সম্পর্কে শিশুদের যুক্তি বেশ পরিশীলিত হতে পারে, তবে মনের ভেতর কী ঘটছে সেটা তারা সব সময় ব্যাখ্যা করতে পারে না। গবেষণায় কেয়লা ও শ কিছু সাধারণ গল্প তৈরি করে সেগুলো নিয়ে শিশুদের ভাবনা জানতে কিছু প্রশ্ন করেছেন।
তারা চার থেকে ৯ বছর বয়সী ৫৭৬ শিশুকে গল্পের দুই শিশু চরিত্রের আচরণ অনুমান করতে বলেন। ওই দুই চরিত্রের একটি সত্যিকার অর্থেই বুদ্ধিমান হওয়ার চেষ্টা করছিল, আর আরেকটি চাচ্ছিল অন্যদের কাছে নিজেকে বুদ্ধিমান প্রমাণ করতে।
গবেষকরা শিশুদের বলেন, ক্লাসে একটি পরীক্ষায় ওই দুই শিশু চরিত্রই খারাপ করেছে। এ ক্ষেত্রে গল্পের দুই শিশুর মধ্যে কে আগে ক্লাসরুমে শিক্ষকের কাছে সাহায্য চাইবে?
দেখা গেছে, চার বছর বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে উভয় চরিত্রকেই সমানভাবে বেছে নেয়ার উত্তর এসেছে। এর মানে তারা ‘বুদ্ধিমান হওয়ার চেষ্টা’ বা ‘বুদ্ধিমান দেখানোর চেষ্টা’র মধ্যে কোনোটিকেই এগিয়ে-পিছিয়ে রাখেনি।
তবে সাত বা আট বছর বয়সী শিশুদের ধারণা, গল্পের যে শিশুটি নিজেকে অন্যদের সামনে বুদ্ধিমান দেখাতে চাইছে তার সাহায্য চাওয়ার সম্ভাবনা কম। এর ভিত্তিতে গবেষকেরা বলছেন, সাত বা আট বছর বয়সে পৌঁছানো শিশুরা ‘মর্যাদাবোধকে’ গুরুত্ব দিতে শিখেছে।
প্রশ্নের জবাব দেয়ার সময় এ বয়সী শিশুরা চিন্তা করছিল, সহপাঠীদের সামনে গল্পের শিশুর আচরণ কেমন হওয়া উচিত! গবেষণায় অংশ নেয়া এই শিশুদের ধারণা ছিল, গল্পের যে শিশুটি নিজেকে বুদ্ধিমান দেখাতে চাইছে সে সাহায্য হয়তো চাইবে, তবে সেটা ঘটবে সবার আড়ালে (হতে পারে এটা কম্পিউটারের মাধ্যমে)।
গবেষকেরা অন্যান্য পরিস্থিতি তুলে ধরেও শিশুদের প্রশ্ন করেছেন। তারা দেখেছেন, শিশুরা ‘ব্যর্থতা স্বীকার করা’ বা ‘সফলতাকে কম করে দেখানোর’ মতো আরও কয়েকটি আচরণ চিহ্নিত করতে সক্ষম। আর এসব আচরণ সহপাঠীদের সামনে ‘কম বুদ্ধিমান’ হিসেবে তুলে ধরতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করে। এ জন্য আচরণগুলো সম্পর্কে তারা বিশেষ সচেতনতা বজায় রাখে।
কেয়লা ও শয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, মর্যাদা নষ্ট হবে ভেবে যেসব শিশু সমস্যায় ভোগে, তারা সাহায্য চাওয়া এড়িয়ে যেতে পারে। এর ফলে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে মারাত্মক বাধা তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।
এ ধরনের পরিস্থিতিতে কীভাবে শিশুদের সাহায্য করা সম্ভব- তাও অনুসন্ধান করেছেন গবেষকেরা। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত পদ্ধতির কিছু দুর্বলতা পাওয়া গেছে।
অনেকেই শিশুদের সাহায্য চাওয়ার শিক্ষামূলক দিকটির ওপর জোর দেন। তবে দুই গবেষক বলছেন, এর ফলেও শিশুরা নিজেদের ‘অযোগ্য’ ভাবতে পারে। এর পরিবর্তে শিশুদের মর্যাদাবোধ অক্ষুণ্ন রেখে সমাধানের তাগিদ দেয়া হয়েছে গবেষণায়।
এতে বলা হয়েছে, সাহায্য চাওয়ার ‘সামাজিক ঝুঁকি’ কমানো উচিত বড়দের। যেমন, সহপাঠীরা যখন গ্রুপের কাজ সামলাতে ব্যস্ত, তখন শিক্ষকরা একান্তে কথোপকথনের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে নিজেকে সহজলভ্য করে তুলতে পারেন। শিক্ষকদের এমন পদক্ষেপ নেয়া উচিত, যাতে করে অন্যের সামনে প্রশ্ন করাকে স্বাভাবিক, ইতিবাচক আচরণ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ভাবতে পারে।
এ ছাড়া শিক্ষকরা এমন কার্যক্রম তৈরি করতে পারেন যেখানে প্রতিটি শিক্ষার্থী একটি ভিন্ন বিষয়ে ‘বিশেষজ্ঞ’ হয়ে ওঠে। সে ক্ষেত্রে শিশুদের সবগুলো বিষয় আয়ত্ত করতে একে অপরের কাছে অবশ্যই সাহায্য চাইতে হবে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, শিশুদের সাবলীল করতে পরিবারেরও বড় ভূমিকা রয়েছে। শিশুর একটি প্রশ্ন নিয়ে পুরো পরিবার একসঙ্গে আলোচনাকে উৎসাহ দেয়া প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে দেখানো যেতে পারে, সাহায্য চাওয়া কেবল সাহায্যপ্রার্থীকেই নয় বরং একই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হওয়া অন্যদেরও উপকার করে। প্রাপ্তবয়স্করা সহায়তা চাওয়ার জন্য বাচ্চাদের প্রশংসাও করতে পারেন।
ভয় কাটাতে হবে শিশুদের
প্রশ্ন করতে শিশুদের ভয় পাওয়া নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে রাজধানীর সানিডেল স্কুলের কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট নাজিয়া হোসেনের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘জন্মের পর থেকে বাচ্চাদের ভেতরে এ ধরনের ভয়গুলো কাজ করে। জন্মের পরে আট থেকে নয় মাস পর্যন্ত শিশুদের স্ট্রেঞ্জার ফোবিয়া কাজ করে, যেখানে তারা অপরিচিত কোনো চেহারা দেখলেই ভয় পায় ও পছন্দ করে না। ১০ মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত তাদের মধ্যে কাজ করে সেপারেশন অ্যাংক্সাইটি। এ সময়ে তারা যার কাছে বড় হয়েছে, মা-বাবা বা বিশেষ করে যাদের সঙ্গে অ্যাটাচমেন্টটা বেশি; তাদেরকে ছেড়ে দিতে হবে এ ভয়টা কাজ করে। এ জিনিসগুলো সঠিকভাবে সামাল দেয়া না গেলে ও সঠিকভাবে চিহ্নিত করা না হলে ভয়টি থেকে যায়।’
তিনি বলেন, “সামাজিকভাবে বাচ্চাদের ভয়টা তৈরি হয়, যখন তারা কোনো কিছু জানতে চেয়ে বা কিছু জিজ্ঞেস করে সেটার বিপরীতে ধমক শোনে। অথবা তাদের বলা হয় যে ‘এখন বাইরে যাওয়া যাবে না, বাইরে গেলে ভয়ের কিছু আছে বা মারবে।’ সেটা শুনে ওরা চুপ করে যায় এবং নিজে থেকে খাপ খাইয়ে নেয়। এরপর যখন আপনি ওদের বাইরে নিয়ে যেতে চান বা কারও সঙ্গে মিশতে বলেন তখন তারা আর স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে না।”
শিশুদের সাবলীল করার পরামর্শ দিয়ে নাজিয়া হোসেন বলেন, ‘কোনো কিছুতে যদি শিশুরা ভয় পায়, সেটা তাদের সামনে তুলে ধরা ঠিক না। যেমন, ভয়ের গল্প করা, ঝগড়াঝাঁটি করা। বিশেষ করে বাচ্চাদের সামনে মা-বাবার সম্পর্কটা ঠিক রাখতে হবে। এটা বড় ব্যাপার।
“বাচ্চাদের বিভিন্ন সময়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে সবার সঙ্গে মেশার ব্যাপারটা বোঝাতে হবে। যেমন কাউকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে, ‘উনি তোমার এই হয়’, ‘ওনার সঙ্গে আমার এ সম্পর্ক’, ‘সালাম দাও’ বা ‘তুমি তার সঙ্গে কথা বলো’ এমনটা বলা যেতে পারে। এটা বলে চলে যাওয়া যাবে না। তাদের সঙ্গে থাকতে হবে, যাতে শিশুরা বোঝে- আমি এ মানুষটার সঙ্গে নিরাপদ কারণ আমার মা-বাবা নিরাপদ।”
স্কুলের পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর্যন্ত শিশুরা থাকে। স্কুলে শিক্ষকরাই বাচ্চাদের বাবা-মা। শিক্ষকদের শুরুতে সেটাই জিজ্ঞেস করা উচিত যেটা শিশুরা পারে। যেমন, একটা ছড়া যেটা ওই শিশু পারে সেটাই জিজ্ঞেস করা উচিত। আর তখন শিক্ষক যদি সঙ্গে থাকেন বা একসঙ্গে আবৃত্তি করেন, তাহলে পরে শিশুটির মধ্যে না পারার ভয়টা আর কাজ করবে না।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর র্যাডার ইউনিট বগুড়ায় বুধবার (১৮-৬-২০২৫) নব স্থাপিত জিএম ৪০৩এম আকাশ প্রতিরক্ষা র্যাডার এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মানিত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা র্যাডার এর উদ্বোধন করেন।
বিমান বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য নতুন নতুন স্থাপনা ও যুদ্ধোপকরণ সংযোজন চলমান রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আকাশ প্রতিরক্ষা র্যাডারটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলো। ‘বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত’ এই অঙ্গীকারে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। নতুন অন্তর্ভুক্ত র্যাডারটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও, অত্যাধুনিক এ র্যাডারটি বিমান বাহিনীর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর ঈদুল আজহায় তরুণ নির্মাতা, পরিবার ও ভ্লগারদের জন্য দারুণ সুযোগ নিয়ে এসেছে বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো। ঐতিহ্যবাহী গরুর হাটের প্রাণবন্ত ও উষ্ণ পরিবেশকে আরও বেশি উৎসবমুখর করে তুলতে নিয়ে আসা হয়েছে ‘অপো হাটে কী?’ ক্যাম্পেইন।
৩০ মে থেকে আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সাথে কাছাকাছি যেকোনো গরুর হাটে গিয়ে বিশেষ মুহূর্তগুলোকে ক্যামেরায় ধারণ করার অনুরোধ জানিয়েছে অপো। হোক সেটা নিখুঁত গরু খোঁজা, দরকষাকষি, হাস্যরসাত্মক কোনো ঘটনা বা পছন্দের গরু বা ছাগলের সাথে মজার কোনো মুহূর্ত! যেখানে প্রতিটি মুহূর্তই গুরুত্বপূর্ণ।
প্রয়োজনে অংশ নিতে আপনার নিকটস্থ ‘হাটে’ যান। ঈদুল আজহা উপলক্ষে নিয়ে আসা স্পেশাল ইফেক্ট ব্যবহার করতে, টিকটকের ফিল্টার অপশন থেকে ‘অপো হাটে কী’ সার্চ করে অপোর এক্সক্লুসিভ ঈদ এআর ফিল্টার ব্যবহার করুন। হাটে আপনার অভিজ্ঞতা ছবি, রিল বা স্টোরি আকারে ধারণ করুন। আপনার পছন্দের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে #HaateKi ব্যবহার করুন এবং @OPPOBangladesh ট্যাগ করে পোস্ট দিন।
আপনার ঈদের আনন্দ উদযাপনকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলতে সবচেয়ে সৃজনশীল, আবেগঘন ও বিনোদনপূর্ণ এন্ট্রিটি জিতে নিবে অপোর আকর্ষণীয় স্মার্টফোন।
এটি কেবল কনটেন্ট তৈরির ব্যাপার নয়; একইসাথে, ঐতিহ্যকে আধুনিকতার সাথে যুক্ত করার একটি প্রচেষ্টা। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে আসা অপোর এই ক্যাম্পেইনে সবাই তাদের সংস্কৃতি, গল্প ও উৎসবকে নতুনভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে।
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, “ঈদুল আজহার প্রকৃত অনুভূতি তুলে ধরতেই ‘অপো হাট ডায়েরিজ’ নিয়ে আসা হয়েছে, যেন আনন্দ, ঐতিহ্য ও স্মরণীয় মুহূর্তগুলো মানুষ তাদের প্রিয়জনের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারে। এ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে আমরা তরুণদের সৃজনশীল অভিজ্ঞতাকে বিকশিত করতে চাই, যেখানে সংস্কৃতি আর প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটবে। স্মৃতিময় মুহূর্ত ও একসাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার সুযোগ নিয়ে এসেছে এ উৎসব।”
তাই, এবারের ঈদুল আজহায় আনন্দ উদযাপনকে আরও বেশি রঙিন করে তুলুন অপো’র সাথে। ক্যামেরা হাতে সৃজনশীলতাকে বিকশিত করুন, আর ঐতিহ্যকে রাখুন প্রাণবন্ত; কারণ, অপো’র সাথে প্রতিটি মুহূর্তই যেন হয়ে ওঠে অনন্য সৃষ্টি!
ডিজিটাল যুগে পণ্য কিংবা সেবা খাতে দেশের অন্যতম বৃহৎ থার্ড পার্টি মেইনটেন্যান্স প্রতিষ্ঠান ‘সার্ভিসিং২৪’ নিয়ে এসেছে সর্বাধুনিক ও সমন্বিত আইটি অবকাঠামো সমাধান—‘ইনফ্রাস্ট্যাক’ ও ‘এইচসিআই’। আরে এতে খরচ কমবে প্ইরায় ৭০ শতাংশ। ইনফ্রাস্ট্যাক হচ্ছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ও স্ট্যাক এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যেটির মাধ্যমে সম্পূর্ণ ও সমন্বিত অবকাঠামোগত আইটি সেবা প্রদান করা হবে। আর ‘এইচসিআই’ এর অর্থ হাইপার কনভারজড ইনফ্রাস্টাকচার এটি স্টোরেজ ও নেটওয়ার্কিং এর সমন্বয়ে সফ্টওয়্যার-ভিত্তিক ডিস্ট্রিবিউটেড ও কম্পিউট ফ্রেমওয়ার্ক।
সার্ভিসিং২৪ বলছে, এই ইনফ্রাস্ট্যাক এইচসিআই সল্যুশনে গ্রাহকরা মোট ৪টি মডেলে ‘সার্ভিসিং২৪’-এর এর কাছ থেকে সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এগুলো হচ্ছে- সার্ভার রেন্টাল সার্ভিস, হার্ডওয়্যার রেন্টাল সাপোর্ট, ম্যানেজড আইটি সার্ভিস এবং বান্ডেল রেন্টাল সার্ভিস।
গ্রাহকদের জন্য আরো সুখবর হলো- পুরো সল্যুশনটি সম্পূর্ণ ওপেন সোর্স হওয়ায় কোনো ধরনের অতিরিক্ত লাইসেন্সিং খরচ প্রয়োজন হবে না। পাশাপাশি মাসিক ভাড়া-ভিত্তিক সেবার ফলে বড় অংকের প্রাথমিক বিনিয়োগও লাগবে না। এই সাশ্রয়ী প্রাইভেট ক্লাউড সল্যুশনটি বিশেষভাবে উপযোগী ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠান, স্টার্টআপ, মূলধন সীমাবদ্ধ সরকারি সংস্থা, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান, বড় শহরের ডেটা সেন্টার এবং পরিবেশবান্ধব আইটি প্রকল্পগুলোর জন্য।
এ বিষয়ে সার্ভিসিং২৪ এর সিইও নাসির ফিরোজ বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং গ্রাহকদের জন্য সাশ্রয়ী, টেকসই ও আধুনিক আইটি সল্যুশন নিশ্চিত করা। ইনফ্রাস্ট্যাক এইচসিআই এর মাধ্যমে তা সম্ভব। এটি গ্রাহকদের সর্বোচ্চ ৭০% পর্যন্ত খরচ সাশ্রয় করবে।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হবার পর হতে ‘সার্ভিসিং২৪’ বাংলাদেশের আইটি সাপোর্ট সার্ভিস ল্যান্ডস্কেপের অন্যতম শীর্ষ উদ্ভাবক-এ পরিণত হয়েছে। প্রযুক্তিখাতে বেড়ে চলা চাহিদা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি নিজেকে থার্ড-পার্টি মেইনটেন্যান্স(টিপিএম), ম্যানেজড আইটি সার্ভিসেস, এন্টারপ্রাইজ আইটি সাপোর্ট ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। কোম্পানিটি হার্ডওয়্যারের লাইফ বর্ধিত করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ কার্বন ইমিশন কমিয়ে আনার পাশাপাশি টেকসই ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
‘সার্ভিসিং২৪’-এর প্রধান প্রধান সেবাগুলো হচ্ছে, থার্ড-পার্টি মেইনটেন্যান্স(টিপিএম), এন্টারপ্রাইজ সার্ভার অ্যান্ড স্টোরেজ সাপোর্ট, ম্যানেজড আইটি সার্ভিসেস, আইটি ইনফ্রাস্ট্র্যাকচার মনিটরিং, এএমসি অ্যান্ড স্পেয়ার পার্টস লাইফসাইকেল ম্যানেজমেন্ট, ক্লাউড সল্যুশন্স অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি, আইটিএসএম সফ্টওয়্যার অ্যান্ড মোবাইল প্ল্যাটফর্ম ইত্যাদি। প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক, ফার্মাসিউটিক্যালস, অটোমোবাইলস, এফএমসিজি, হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং অন্যান্য কোম্পানিকে আইটি সেবা দিয়ে থাকে।
স্মার্টফোন এখন আর শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং কাজ, বিনোদন ও স্বাস্থ্যসহ দৈনন্দিন জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহৃত একটি অপরিহার্য প্রযুক্তি। এসব কাজে নিরবিচ্ছিন্ন ব্যবহার নিশ্চিতে স্মার্টফোনের ব্যাটারি পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী ডিভাইস যেন অতিরিক্ত গরম না হয়, হ্যাং না করে এবং দীর্ঘক্ষণ কার্যকর থাকে—এই সবকিছু মাথায় রেখেই বাজারে এসেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক স্মার্ট ব্যাটারি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।
স্মার্ট ব্যাটারি: আধুনিক চাহিদার সমাধান
আগে ভালো ব্যাটারি মানে ছিল উচ্চ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ক্ষমতা। কিন্তু এখন ব্যাটারি মূল্যায়নে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক বিবেচনায় নেওয়া হয়। অ্যাডাপটিভ পাওয়ার এলোকেশন, ইউজার বিহেভিয়ার অ্যানালাইসিস এবং তাপ নিয়ন্ত্রণ—এই আধুনিক প্রযুক্তিগুলো ব্যাটারির পারফরম্যান্সকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। যারা বাইরে দীর্ঘ সময় থাকেন, ভিডিও কল, সোশ্যাল মিডিয়া বা নেভিগেশনের মতো ব্যাটারি-নির্ভর কাজে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এসব প্রযুক্তি কার্যকর সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে।
এআই: শক্তির নতুন চালিকাশক্তি
বর্তমান বাজারের বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) প্রযুক্তি সংযোজন করা হয়েছে। এটি অ্যাপ প্রিডিকশন, ব্যাকগ্রাউন্ড টাস্ক সীমিতকরণ এবং স্ক্রিন-অফ অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় শক্তি খরচ কমিয়ে দেয়। ব্যবহারকারীরা চাইলে নির্দিষ্ট অ্যাপকে অগ্রাধিকার দিতে পারেন কিংবা ব্যাটারি কমে গেলে ‘আল্ট্রা পাওয়ার সেভিং মোড’ চালু করতে পারেন। ফলে ব্যাটারি ব্যাকআপ যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি ডিভাইস ব্যবহারে ব্যবহারকারীর নিয়ন্ত্রণও বাড়ে।
চার্জিং প্রযুক্তিতে বিপ্লব
শুধু ব্যাটারি ব্যবস্থাপনাই নয়, স্মার্ট চার্জিং প্রযুক্তিতেও এসেছে দারুণ অগ্রগতি। এর উল্লেখযোগ্য উদাহরণ ইনফিনিক্সের নতুন নোট ৫০ সিরিজ। এই সিরিজের প্রতিটি মডেলে রয়েছে ৫২০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, যার চার্জিং ক্ষমতা ৪৫ ওয়াট থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০০ ওয়াট পর্যন্ত। সেই সঙ্গে রয়েছে ম্যাগচার্জ প্রযুক্তি-ভিত্তিক ৫০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা।
চার্জিং প্রযুক্তিতেও ব্যবহৃত হয়েছে এআই, যা চার্জিং স্পিড ও ব্যাটারির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, ফলে ব্যাটারির দীর্ঘস্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন মাত্রা
নোট ৫০ সিরিজে যুক্ত হয়েছে ইনফিনিক্সের নিজস্ব এআই♾️ প্রযুক্তি, যা ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণ করে ডিভাইস পারফরম্যান্স ও অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ডিপ সিক এআই, ওয়ান-ট্যাপ এআই ক্যামেরা এবং এআই নয়েস মিউট।
এছাড়া রয়েছে বায়ো-এক্টিভ হ্যালো লাইট নোটিফিকেশন—যা কাজের বিঘ্ন না ঘটিয়ে প্রয়োজনীয় বার্তা পৌঁছে দেয়।
সব মিলিয়ে ইনফিনিক্স নোট ৫০ সিরিজ শক্তিশালী ব্যাটারি, কার্যকর চার্জিং প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমন্বয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন এক অভিজ্ঞতা উপহার দিচ্ছে, যা ব্যবহারকারীর আধুনিক চাহিদা পূরণে সক্ষম।
অ্যাস্টন মার্টিন ফরমুলা ওয়ান টিমের সাথে আজ যুগান্তকারী তিন বছর মেয়াদী কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঘোষণা দিলো রিয়েলমি। আর এই সহযোগিতার মাইলফলক হিসেবে জিটি ৭ ড্রিম এডিশনের আকর্ষণীয় কো-ব্র্যান্ডেড সংস্করণ নিয়ে এসেছে ব্র্যান্ডটি।
এ বিষয়ে রিয়েলমি’র সিইও স্কাই লি বলেন, “অ্যাস্টন মার্টিন আরামকোর মতো কিংবদন্তি রেসিং টিমের সঙ্গে সহযোগিতা, আমাদের জন্য উদ্ভাবনের সীমানা অতিক্রম করে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেবল আমাদের নিখুঁত পণ্যগুলোই টিকে থাকার মতো সক্ষমতা অর্জন করে। আমরা আমাদের নতুন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীদের কাছে অসাধারণ ডিজাইন ও প্রিমিয়াম কারিগরি দক্ষতা নিয়ে যেতে চাই।”
এ বিষয়ে অ্যাস্টন মার্টিন আরামকো ফর্মুলা ওয়ান টিমের হেড অব লাইসেন্সিং অ্যান্ড মার্চেন্ডাইজ ম্যাট চ্যাপম্যান বলেন, “আমাদের প্রথম কো-ব্র্যান্ডেড ফোন উন্মোচনের পাশাপাশি, রিয়েলমিকে টিমে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা উচ্ছ্বসিত। জিটি ৭ ড্রিম এডিশনে উচ্চ সক্ষমতা ও উদ্ভাবনী ডিজাইনের সমন্বয় রয়েছে; আগামীর মডেলগুলোতে একযোগে কাজ করার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে রয়েছি।”
বৈশ্বিকভাবে দ্রুতবর্ধনশীল স্মার্টফোন ব্র্যান্ড হিসেবে রিয়েলমি, বিশ্বজুড়ে তরুণ ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে প্রযুক্তিগত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্ভুল প্রকৌশল, অসাধারণ কর্মদক্ষতা ও অনন্য ডিজাইনের জন্য বিখ্যাত অ্যাস্টন মার্টিন ফর্মুলা ওয়ানের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে রিয়েলমি আগামী প্রজন্মের জন্য অনবদ্য প্রযুক্তি অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করছে।
এই সহযোগিতার মাধ্যমে রিয়েলমি জিটি ৭ ড্রিম এডিশনের মতো একটি অসাধারণ কো-ব্র্যান্ডেড সিরিজ উন্মোচন করা হয়েছে। এই স্মার্টফোনটি কেবল রিয়েলমি’র জিটি সিরিজের ফ্ল্যাগশিপ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতাই নয়; একইসাথে, এতে আইকনিক দুই পাখার ডিজাইন ও অ্যাস্টন মার্টিনের বিশেষ গ্রিন কালার রয়েছে। এ সহযোগিতার অংশ হিসেবে, দু’পক্ষ প্রতিবছর দুইটি মডেল একযোগে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করছে, যা এই অংশীদারিত্বকে আরও বেশি আকর্ষণীয় ও প্রত্যাশিত করে তুলেছে।
রিয়েলমি জিটি ৭ সিরিজের বৈশ্বিক উন্মোচন অনুষ্ঠান আজ ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যেখানে জিটি ৭ সিরিজ ও ড্রিম এডিশন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত সব তথ্য উন্মোচিত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তরুণদের প্রিয় প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাংলাদেশে তাদের বিশেষ ঈদ ক্যাম্পেইন ঘোষণা করেছে। ব্যবহারকারীদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়াতে প্রস্তুত ব্র্যান্ডটি। সীমিত সময়ের এ ক্যাম্পেইনটি কেবল বড় কিছু জেতার সুযোগই দিচ্ছে না, বরং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্যই নিশ্চিত করছে আকর্ষণীয় উপহার।
লটারির মাধ্যমে সৌভাগ্যবান বিজয়ীদের জন্য ৪টি গ্র্যান্ড প্রাইজ নিয়ে এসেছে রিয়েলমি। এতে প্রথম পুরস্কার বিজয়ী পাবেন ১,০০,০০০ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী পাবেন ৬০,০০০ টাকা। তৃতীয় পুরস্কারে রয়েছে নির্দিষ্ট রিয়েলমি পণ্যের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় বাই ওয়ান গেট ওয়ান (বোগো) অফার এবং চতুর্থ পুরস্কার হিসেবে থাকছে রিয়েলমি টি২০০ লাইট এয়রবাডস।
এসব পুরস্কার ছাড়াও আরও কিছু নিশ্চিত উপহার নিয়ে এসেছে রিয়েলমি; যেন লটারি যারা জিতবেন না তারাও এ উদযাপনে অংশ নিতে পারেন। ক্রেতাদের মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত করতে রিয়েলমি সি৭৫ বা রিয়েলমি সি৭৫এক্স কেনার ক্ষেত্রে ২ বছরের বাড়তি ওয়ারেন্টি পাওয়া যাবে।
রিয়েলমি ১২ স্মার্টফোনের ক্ষেত্রে ক্রেতারা পাবেন ২,০০০ টাকার ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক; ফলে, ২৭,৯৯৯ টাকার এই ডিভাইসটি পাওয়া যাবে মাত্র ২৫,৯৯৯ টাকায়।
রিয়েলমি ১৪ সিরিজ কেনার ক্ষেত্রে রিয়েলমি ব্র্যান্ডের আকর্ষণীয় টি-শার্ট পাবেন ক্রেতারা। পাশাপাশি, ক্যাম্পেইনে অংশ নেয়া সকল ক্রেতা বাংলালিংকের অংশীদারিত্বে বিশেষ অফার উপভোগ করার সুযোগ পাবেন।
কেবল সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিশ্চিত করাই নয়, একইসাথে, ব্যবহারকারীদের জন্য আকর্ষণীয় পুরস্কার ও সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিয়ে আসার ক্ষেত্রে রিয়েলমি’র ধারাবাহিক প্রচেষ্টার বহিঃপ্রকাশ এই ঈদ ক্যাম্পেইন। উৎসবের এ সময়ে প্রত্যেক ক্রেতাই যেন নিজেকে বিজয়ী মনে করেন, তা নিশ্চিত করতেই দুর্দান্ত সব পুরস্কার ও নিশ্চিত উপহার নিয়ে এসেছে ব্র্যান্ডটি।
ক্যাম্পেইন ও এতে কীভাবে অংশ নিবেন, তা আরও বিস্তারিত জানতে রিয়েলমি বাংলাদেশের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ ও ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।
তরুণদের পছন্দের টেক ব্র্যান্ড রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে তাদের সর্বশেষ স্মার্টফোন রিয়েলমি সি৭১ নিয়ে এসেছে। নিরবচ্ছিন্ন ব্যাটারি পারফরম্যান্স চাইছেন এমন ব্যবহারকারীদের জন্য এই ডিভাইসটি ডিজাইন করা হয়েছে। রিয়েলমি’র নতুন এই ফোনে দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ, এআই-সক্ষম ফিচার ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লেসহ আধুনিক ও স্টাইলিশ ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে।
রিয়েলমি সি৭১-এ রয়েছে সুবিশাল ৬,৩০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা, যা সারাদিন নিরবচ্ছিন্ন সক্ষমতা প্রদান করে। মাত্র ১ ঘণ্টার চার্জেই ব্যবহারকারীরা দুই দিনের জন্য ফোনটি নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে পারবেন, যা এখনকার ব্যস্ত জীবনযাপনের সাথে মানিয়ে যাবে। একইসাথে, এই ব্যাটারি ও চার্জিং দীর্ঘস্থায়ী ও কার্যকর সক্ষমতা নিশ্চিত করে ব্যবহারকারীকে নিশ্চিন্ত রাখতে সহায়তা করে।
রিয়েলমি সি৭১-এর নান্দনিক ও প্রাণবন্ত ডিজাইন তরুণ ব্যবহারকারীদের পছন্দের সঙ্গে মানানসই। এর ‘লাইট পালস’ নোটিফিকেশন ফিচারটি বিশেষ করে, মিটিং বা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ চলাকালে কল বা মেসেজ আসার সময় নিঃশব্দে চোখে পড়বে। ফোনটির ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট ডিসপ্লের ক্ষেত্রে আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অনুভূতি নিশ্চিত করে। এই দামের অন্যান্য ফোনের ক্ষেত্রে এই রিফ্রেশ রেট সাধারণত দেখা যায় না; ফলে রিয়েলমি’র এই ফোনটি গেম খেলা, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা বা ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
রিয়েলমি সি৭১-এ এআই-সক্ষম একাধিক ফিচার রয়েছে, যা দৈনন্দিন কাজগুলো আরও সহজ ও সাবলীল করে। এর মধ্যে রয়েছে এআই নয়েজ রিডাকশন কল ২.০, যা কলের ব্যাকগ্রাউন্ডের নয়েজ কমায়। এআই ক্লিয়ার ফেস যা ক্যামেরা পারফরম্যান্সকে আরও সমৃদ্ধ করে। এআই ইমেজ ম্যাটিং, যা সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট করতে সহায়তা করে। এআই ইরেজার, যা ছবি থেকে অপ্রয়োজনীয় বিষয় অপসারণ করে। এছাড়াও, গুগল জেমিনি ও সার্কেল-টু-সার্চ ব্যবহারকারীদের জন্য এআই সার্চের সুবিধা নিশ্চিত করে। এসব ফিচার একত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন মাত্রা যোগ করে।
ফোনটিতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি এআই ক্যামেরা, যা ব্যবহারকারীদের নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তুলতে সহায়তা করে। এই ডিভাইসে প্রাইমারি ক্যামেরার সাথে রয়েছে- একটি ফ্লিকার লেন্স, যেটি পারিপার্শ্বিক আলো থেকে ফ্লিকার ফ্রিকোয়েন্সি নির্ণয় করে এবং ছবি তোলার সময় ফ্লিকার নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া- রিয়ার প্যানেলে আছে ‘পালস লাইট’ অর্থ্যাৎ আলোর ভিন্ন একটি প্যানেল, যার মাধ্যমে ভাইব্রেশন কিংবা শব্দ ছাড়াই এক ধরনের নোটিফিকেশন পাবেন গ্রাহকরা।
পাশাপাশি, স্মৃতিময় মুহূর্ত ধারণ করার জন্য রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা। অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ভিত্তিক রিয়েলমি’র ইউজার ইন্টারফেস ব্যবহারকারীদের জন্য অনবদ্য অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। এছাড়া, এর আইপি৬৪ রেটিংয়ের ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিজট্যান্স ও সনিকওয়েভ ওয়াটার ইজেকশন প্রযুক্তি ফোনটিকে যেকোনো পরিবেশের জন্য সহনীয় ও টেকসই করে তোলে।
রিয়েলমি সি৭১ দুটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে। ৪ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের মূল্য মাত্র ১৪,৯৯৯ টাকা এবং ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের মূল্য মাত্র ১৫,৯৯৯ টাকা। স্মুথ মাল্টিটাস্কিং ও অনবদ্য পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে এতে ডায়নামিক মেমরি এক্সপানশন ব্যবহার করা হয়েছে, যা ২ টেরাবাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি করে নেয়া সম্ভব।
মন্তব্য