“কাহারে জড়াতে চাহে দুটি বাহুলতা,/ কাহারে কাঁদিয়া বলে ‘যেয়ো না, যেয়ো না।’/ কেমনে প্রকাশ করে ব্যাকুল বাসনা,/ কে শুনেছে বাহুর নীরব আকুলতা!”- আলিঙ্গনের তীব্রতা এভাবে জানিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
বাহুর সেই উজাড় করা ব্যাকুলতা প্রকাশের দিন আজ। প্রিয় মানুষকে গভীর উষ্ণতায় বুকে টেনে নিন, কারণ আজ ভালোবাসা সপ্তাহের ষষ্ঠ দিন মানে হাগ ডে বা আলিঙ্গন দিবস। ১২ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় দিনটি।
আলিঙ্গনকে বলা হয় শব্দের চেয়েও শক্তিশালী। এ কারণেই হয়তো রবিঠাকুর বলেছেন, ‘লতায়ে থাকুক বুকে চির-আলিঙ্গন,/ ছিঁড়ো না ছিঁড়ো না দুটি বাহুর বন্ধন।’
স্নেহ, বিশ্বাস, সহমর্মিতা, পুনর্মিলন, আবেগ অথবা গভীর উষ্ণতা নিয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরার নাম আলিঙ্গন। প্রিয় মানুষকে বাহুডোরে বাঁধার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিটি আপনার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেই বার্তা। সে কারণেই সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ভালোবাসা তিনশো মাইল দূরে গিয়ে আলিঙ্গন করে।’
আলিঙ্গন মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান দেয়। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, হতাশার পারদ নেমে যায় তলানিতে। হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতেও আলিঙ্গনের রয়েছে ইতিবাচক প্রভাব। ন্যূনতম ২০ সেকেন্ড ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে আলিঙ্গনরত থাকলে স্বাভাবিক হয়ে আসে হৃৎস্পন্দন।
আলিঙ্গনের রকমফের
টাইট হাগ বা আঁটসাঁট আলিঙ্গন: এটি পূর্ণাঙ্গ ও উষ্ণ আলিঙ্গন। যেখানে প্রিয় মানুষটিকে সম্পূর্ণভাবে আপনার বাহু জড়িয়ে রাখে। দুটি শরীর থাকে খুবই ঘনিষ্ঠ। বিশেষ মুহূর্তে এ ধরনের আলিঙ্গন দেখা যায়। পরিস্থিতিকে যখন মানুষ শব্দ দিয়ে ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হন কিংবা দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রিয়জনের সান্নিধ্য পাওয়া যায় অথবা অশ্রুসজল চোখে বিদায়বেলায় এ ধরনের আলিঙ্গন করে মানুষ।
পোলাইট হাগ বা কেতাবি আলিঙ্গন: সাধারণত সহকর্মীদের মধ্যে এমন আলিঙ্গন দেখা যায়। এ আলিঙ্গনে আড়াআড়িভাবে শরীরের স্পর্শ হয়। শরীরের নিম্নভাগে বজায় থাকে দূরত্ব, যা কাউকে অস্বস্তিতে ফেলবে না বা অপ্রস্তুত করবে না।
বিয়ার হাগ বা ভালোবাসার আলিঙ্গন: এমন আলিঙ্গনের অর্থ হাজার শব্দতেও ব্যাখ্যা করা যায় না। ভালোবাসার বিনিময় হয় এই আলিঙ্গনে। নিরাপত্তার উষ্ণতা নিয়ে যন্ত্রণা ঢাকা, মনের অব্যক্ত কথার প্রকাশ কিংবা বিষণ্ণতা তাড়ানোর বড় দাওয়াই এই আলিঙ্গন।
ব্যাক হাগ বা পেছন থেকে জাপটে ধরা: পেছন থেকে জাপটে ধরার পর যে ঝাঁকুনি শরীরে তৈরি হয়, তা মিলিয়ন শব্দের চেয়েও নাকি শক্তিশালী। তাই এই আলিঙ্গন বরাবরই স্পর্শকাতর এবং প্রেমময়। বিশ্বাসযোগ্য এবং অন্তরঙ্গ সম্পর্কের মাঝে শক্তিশালী শারীরিক সংযোগের পরিচায়ক। ফলে এই আলিঙ্গন একে অন্যের অনুরাগকেও তুলে ধরে।
সেলফ হাগ বা স্ব-আলিঙ্গন: আলিঙ্গন হোক কিংবা মানসিক স্বস্তি হোক, একজন মানুষ তার সঙ্গীকে সব সময় পায় না কিংবা সঙ্গীও জোটে না। এমন পরিস্থিতিতে স্ব-আলিঙ্গন আদর্শ। নিজেকে নিজে জড়িয়ে ধরাও নিজের প্রতি ভালোবাসার এক চমৎকার অনুভূতি!
ইন্টিমেট হাগ বা ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গন: দুটো শরীর যেন এক হয়ে আসে, অনুভব করেন একে অন্যের হৃৎস্পন্দন। শারীরিক ইন্দ্রিয়ের স্পর্শের উষ্ণতা সেখানে গৌণ হয়ে ওঠে, মুখ্য হয়ে ওঠে মনের আলিঙ্গন। প্রেমিক-প্রেমিকারা তাদের বিশেষ মুহূর্তে এমন আলিঙ্গন করেন।
ওয়ান ওয়ে হাগ বা একমুখী আলিঙ্গন: যতটা আপ্লুত হয়ে সঙ্গীকে আপনি বাহুডোরে নিলেন, ততটা তীব্রতা বিপরীত পাশে অনুভব করছেন না, তখন তা একমুখী আলিঙ্গন। বুঝে নিতে হবে, সম্পর্ককে আপনি যতটা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন, আপনার সঙ্গী সেভাবে চাইছেন না।
বাডি হাগ বা বন্ধুত্বের আলিঙ্গন: এই আলিঙ্গন সব সময়ই আস্থা ও বিশ্বাসের মানদণ্ড। বন্ধুর বিপদে পাশে দাঁড়িয়ে কিংবা তার অর্জনে খুশি হয়েই এমন আলিঙ্গন করা হয়।
আরও পড়ুন:৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি সকাল ৬টা ১১ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
ওই সময় তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কয়েক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। ওই সময়ে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।
পরে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন:চলতি বছরের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় এ ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব ড. মুশফিকুর রহমান ও ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসএম শাহাবুদ্দিন।
প্রধান উপদেষ্টার গণমাধ্যম শাখা থেকে এমন তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতীয় পর্যায়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সাত বিশিষ্ট ব্যক্তির হাতে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫’ তুলে দিয়েছেন।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় বেসামরিক এ পুরস্কার প্রদান করেন তিনি।
এবার স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আবদুর রশীদ পুরস্কার বিতরণ পর্বটি সঞ্চালনা করেন। তিনি পুরস্কার বিজয়ীদের সাইটেশন পাঠ করেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৫ তুলে দেবেন।
ওই দিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেওয়া হবে।
তথ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন।
গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
যেসব ব্যক্তি এবার স্বাধীনতা পুরুস্কার পাচ্ছেন তারা হলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
আরও পড়ুন:ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. কামরুজ্জামান রবিবার যে প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন, তাতে বলা হয়, ‘সরকার আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করল। ছুটিকালীন সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
‘তবে জরুরি পরিষেবা, যেমন: বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরসমূহের কার্যক্রম, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।’
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ‘হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতা-বহির্ভূত থাকবে। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মীরা এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে।
‘জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিসসমূহ এই ছুটির আওতা বহির্ভূত থাকবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে। আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবেন।’
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে সবার আগে পরিবার থেকে নারীকে সাহস দিতে হবে। যেকোনো সংকটে নারীর পাশে ঢাল হয়ে থাকতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবার পাশে না থাকলে রাষ্ট্রের পক্ষে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে। পরিবার নারীকে সাহস দিলে রাষ্ট্রও নারীর পাশে থেকে সাহস জোগাতে পারে।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নারীর প্রতিবন্ধকতা কখনও শেষ হয় না। সমাজে একটা গোষ্ঠী আছে, যারা নারীকে ক্ষমতায়িত করতে চায় না। দুর্বল নারীকে যত পছন্দ করে, সবলচিত্তের নারীকে তারা পছন্দ করে না। এটাই বাস্তবতা।’
আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে (৮ মার্চ) সামনে রেখে জাতীয় বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাতকারে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেন।
এবারের নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন’।
উপদেষ্টা বলেন, ‘একজন নারীকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তোলা হলে সে দেশের কাজে ভূমিকা রাখতে পারে। এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্র ও পরিবারের পাশাপাশি সমাজেরও দায় রয়েছে। নারীর চলার পথ পুরুষের পাশাপাশি নির্বিঘ্ন ও নির্ভরতার হতে হবে।’
তিনি বলেন, “নারী এখন যে অবস্থানে রয়েছে, সে অবস্থানে থেকে নারী বলে বিতর্কিত নয়, কাজে সে বিতর্কিত হোক, অদক্ষ বলে বিতর্কিত হোক, শুধু নারী বলেই ভূল, নারী বলেই অদক্ষ, এ কথাটা বলা যাবে না। আমি বলব ‘স্কাই ইজ দ্য লিমিট।
“তাই তার চিন্তার গন্ডিটাকে তার পারিপার্শ্বিকতার নেতিবাচক মনোভাবে আটকে না রেখে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে তাদের পাশে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। অভিভাবককে বুঝতে হবে, ছেলে ও মেয়ে দুজনই পরিবারের সম্পদ। পরিবারের উচিত নারীকে ক্ষমতায়িত করা।”
আরও পড়ুন:চলতি বছর ব্যতিক্রমী কিছু মানুষ ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
এ বছর কারা ও কতজন এ পুরস্কার পাচ্ছেন, তা জানাননি উপদেষ্টা।
সচিবালয়ে রবিবার স্বাধীনতা পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি উল্লিখিত বক্তব্য দেন।
উপদেষ্টা বলেন, কমিটি কিছু নাম সুপারিশ করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য নামের তালিকা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঠানো হবে।
দেশের জন্য অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বছর ব্যতিক্রমী কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ওই সময়ে উপস্থিত আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, এর আগে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে দলগত ও গোষ্ঠীগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো। র্যাবের মতো বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানকেও দেশের সর্বোচ্চ এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
এ বছর ১০ জনের কম ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য