× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Why is Ripa angry with the anti government passengers on the bus?
google_news print-icon

বাসে ‘সরকারবিরোধী’ যাত্রীতে কেন ক্রুদ্ধ রিপা?

রিপা
বাসে এক যাত্রীর বিরুদ্ধে সরকারবিরোধী মন্তব্যের অভিযোগ তুলে ফেসবুক লাইভে আসেন ফাতেমা তুজ জোহরা রিপা। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
ফেসবুকে ভাইরাল বাসযাত্রী নারীর নাম ফাতেমা তুজ জোহরা রিপা। বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায়। রিপা রামগঞ্জ মডেল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক রিপা ২১ জানুয়ারি রাতে রামগঞ্জ থেকে ঢাকা আসছিলেন। এ সময় ঘটে আলোচিত ওই ঘটনা।

বাসের মধ্যে ‘সরকারবিরোধী মন্তব্য’ করার জের ধরে দুই পুরুষ যাত্রীর সঙ্গে এক নারীর তীব্র বিতণ্ডার ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে।

ফেসবুক লাইভে ওই নারীকে বলতে শোনা যায়, সরকারের সমালোচনা তিনি সহ্য করবেন না। যারা এটা করছেন তাদের সবাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হবে। বাসের অনেকে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক বলেও দাবি করেন তিনি।

ভিডিওর একপর্যায়ে বাসের আরও কয়েকজন যাত্রীকে ওই নারীর ওপর ক্ষুব্ধ হতে দেখা যায়।

পরে বাসের যাত্রাবিরতিতে ‘সরকারের সমালোচনাকারী’ হিসেবে অভিযুক্ত বাসযাত্রী আরেকটি ফেসবুক লাইভ করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ওই ঘটনার রেশ শেষ পর্যন্ত পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে। পুলিশ বাস থামিয়ে সবার বক্তব্য নিয়েছে এবং ওই নারী ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।

সেই রাতে লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকামুখী বাসে প্রকৃতপক্ষ কী ঘটেছিল, তা অনুসন্ধান করেছে নিউজবাংলা। ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওতে উত্তেজিত যে নারীকে দেখা গেছে, তার পরিচয়ও খোঁজা হয়েছে।

এতে বেরিয়ে এসেছে আলোচিত ওই নারীর নাম ফাতেমা তুজ জোহরা রিপা। বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায়। রিপা রামগঞ্জ মডেল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

বাসে ‘সরকারবিরোধী’ যাত্রীতে কেন ক্রুদ্ধ রিপা?
আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী ফাতেমা তুজ জোহরা রিপা

উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক রিপা বেশ কয়েক বছর ধরে ঢাকাতেই থাকেন। গত ২১ জানুয়ারি রাতে রামগঞ্জ থেকে ঢাকা ফেরার সময় ঘটে আলোচিত ওই ঘটনা।

এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হাতে লাঠিসহ রিপার একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সে সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের হামলায় ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরুসহ ২৫ জন আহত হন। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক রিপা অংশ নেন সেই হামলায়।

এ ছাড়া ২০১৯ সালের এপ্রিলে রামগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির একটি অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপির সঙ্গে সভামঞ্চে ওঠা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নেমে যেতে বলা হয়। রিপা নামতে রাজি না হলেও পরে তাকে বাধ্য করা হয়। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে কান্নাকাটি করে ভাইরাল হয়েছিলেন রিপা।

বাসে ‘সরকারবিরোধী’ যাত্রীতে কেন ক্রুদ্ধ রিপা?
রামগঞ্জে ২০১৯ সালে একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়ার পর রিপার কান্নার লাইভ ফেসবুকে ভাইরাল হয়

বারবার বিভিন্ন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দেয়া রিপা কথা বলেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে। গত ২১ জানুয়ারি বাসে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। রিপার দাবি, পুলিশ আসার পর তিনি ক্ষমা চাননি, উল্টো অভিযুক্ত যাত্রী ভুল স্বীকার করেছেন।

নিউজবাংলা কার্যালয়ে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাসে উত্তেজিত হওয়ার কারণ তুলে ধরেন এই তরুণী। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাস চলার সময় আমার পাশের সিটের যাত্রী ফোনে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে তিনি সরকারকে নিয়ে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। তখন আমার খুব খারাপ লেগেছে, আমি যেহেতু ছাত্রলীগ করি আমার খারাপ লাগবেই।

‘তিনি (পাশের যাত্রী) ফোনটা রাখার পরে আরও বাজে ভাষায় কথা বললেন। শেখ হাসিনা আপাকে নিয়ে আরও নোংরা ভাষায় কথা বলেছেন। তখন আমি আমার রাগটা কন্ট্রোল করতে পারিনি। আমি প্রতিবাদ করেছি, ফোনে লাইভ দিয়েছি।’

রিপা বলেন, ‘সরকারের বদনাম যেখানে হয়, সব সময় আমি প্রতিবাদ করি। আমি নতুন প্রতিবাদ করিনি, আগেও করেছি, এখনও করছি, ভবিষ্যতেও করব। সরকারকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার স্বাধীনতা মানুষের আছে কিন্তু কাউকে নিয়ে খুবই নোংরা ভাষায় কথা কেউ বলতে পারে না। সে জন্যই আমি প্রতিবাদটা করেছি।’

পাশের সারির আসনে বসা যাত্রী ফোনে কথা বলার সময় কীভাবে শুনলেন- এমন প্রশ্নে রিপার জবাব, ‘এটা তো পাবলিক প্লেস, এখানে তো ফোনের কথা শোনা যাবেই, পাশের সিট যেহেতু আমি তো শুনবই।’

বাসে ‘সরকারবিরোধী’ যাত্রীতে কেন ক্রুদ্ধ রিপা?
বাসে ফেসবুক লাইভে উত্তেজিত রিপা

ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করছেন। তবে রিপার দাবি, এতে তার বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি।

কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় ভাইরাল হলে সেটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হবেই। আর বিরোধী দল তো সেটা নিয়ে সমালোচনা করবেই। জামায়াত-শিবির-বিএনপি এরা তো সমালোচনা করবেই।

‘আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অনেক উন্নয়ন করেছে। কখনও কোনো সরকার এত উন্নয়ন করেনি। এত উন্নয়ন ভোগ করে, এত সুবিধা ভোগ করে সরকারের বদনাম করা বা সরকারকে নিয়ে নোংরা ভাষায় মন্তব্য করা ঠিক না।’

ফেসবুক লাইভে বাসের যাত্রীদের জামায়াত-শিবির-বিএনপির সমর্থক আখ্যায়িত করার কারণ জানতে চাইলে রিপা বলেন, ‘আমি সবাইকে জামায়াত-শিবির বলিনি, যারা আমার সঙ্গে বাসের মধ্যে ঝগড়া করেছিল তাদেরকে বলেছি।’

‘আমার পাশের সিটে যে লোকটা নেত্রীর বদনাম করছিল, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কেন সরকারের বদনাম করছেন, নোংরা ভাষায় কেন কথা বলছেন? এ সময় তার পিছনের সিটে একজন হুজুর ছিলেন, তিনি লাফিয়ে উঠে আমাকে খারাপ ভাষায় গালমন্দ করছিলেন। আমি তাকে বললাম আমি তো আপনার সঙ্গে কথা বলছি না, যিনি সরকারের বদনাম করেছেন ওনার সঙ্গে কথা বলছি। এতে আপনার সমস্যা কী, কিন্তু উনি খারাপ ভাষায় আমার সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছিলেন পেছন থেকে।’

বাসে ‘সরকারবিরোধী’ যাত্রীতে কেন ক্রুদ্ধ রিপা?
নিউজবাংলা কার্যালয়ে ফাতেমা তুজ জোহরা রিপা

বাসের আরও কয়েক যাত্রী বিতণ্ডায় যোগ দিয়েছিলেন দাবি করে রিপা বলেন, ‘আরেকটা ছেলে ছিল, সেও আমাকে গালমন্দ করছিল। আমার মনেই হয়েছিল ওনারা বিএনপি। ওনারাও বললেন আমরাও ছাত্রলীগ করতাম একসময়, আমরাও আওয়ামী লীগ করতাম, আসলে কিন্তু ভুল। কোনো ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ সমর্থক জননেত্রী শেখ হাসিনার বদনাম করতে পারেন না, নোংরা ভাষায় গালি সাপোর্ট করতে পারেন না।’

ভিডিওতে প্রাণ হারানোর শঙ্কা জানানোর কারণ জানতে চাইলে রিপা বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল তারা তিনজন পুরুষ। তারা পরবর্তীতে একত্রিত হয়ে আমার ওপর হামলা করবেন এবং ওনারা বলেছিলেন যে বাসের লাইটটা বন্ধ করে দেন। তখন আমার খারাপ লেগেছিল। আমি একজন নারী, বাসের ভেতরে এত পুরুষের মধ্যে লাইটটা বন্ধ করে দেয়া কি ঠিক হবে!

‘পরবর্তীতে ওনারা বাসের হেলপারকে বলেছিলেন ওনার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে যান এবং লাইটটা বন্ধ করে দিয়ে যান। এটাও বলেছিলেন এটাকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেন এবং ওনারা আমাকে ধাক্কা দিতেও এসেছিলেন। ওনারা আমার সঙ্গে খুবই নোংরা ভাষায় গালমন্দ করেছিলেন। তখনই আমার মনে হয়েছিল আমার ওপর একটা হামলা হতে পারে।’

নিজের ভূমিকার পক্ষে যুক্তি দিয়ে রিপা বলেন, ‘আপনারা জানেন বিভিন্ন মানুষ বিশেষ করে শিবির-বিএনপি-জামায়াত এরা সরকারের বদনাম করে। তাদের অভ্যাসই হলো বদনাম করা, তাই আমরা প্রতিবাদ করলে এই বদনামগুলো করতে পারবে না। আমি প্রতিবাদ করেছি, কাল আবার আরেকজন প্রতিবাদ করবেন। এভাবে প্রতিবাদ করলে তারা আর বদনাম করতে পারবে না। আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত।’

লাইভ শেষ করার পরের ঘটনা জানিয়ে রিপা বলেন, ‘যখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম তারা আমার হাত থেকে ফোনটা টেনে নিয়ে যাবে এবং আমাকে আক্রমণ করার সম্ভাবনা আছে, তখন লাইভটা কেটে দিয়েছি। এরপর আমি ট্রিপল নাইনে কল করেছি।

‘লাইভটা দেখার পরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সোহেল রানা শান্ত ভাইও ট্রিপল নাইনে কল করেছেন এবং বিভিন্ন স্থানে পুলিশকে ফোন দিয়েছিলেন আমার নিরাপত্তার স্বার্থে।’

বাসে ‘সরকারবিরোধী’ যাত্রীতে কেন ক্রুদ্ধ রিপা?

৯৯৯-এ কল করার পর লালমাই হাইওয়ে পুলিশ বাসটি থামায় বলে জানান রিপা।

তিনি বলেন, ‘পুলিশ রাস্তার পাশে তেলের পাম্পে গাড়িটি দাঁড় করিয়ে ওই যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমাকেও করেছিল। আমি কে বা কোথা থেকে এসেছি- জানতে চেয়েছে। এটা ওনারা জানতে চাইতেই পারেন। যারা ছিল সবাইকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। একপর্যায়ে ওনারা (বাসের কয়েক যাত্রী) ক্ষমা চেয়েছেন।’

রিপা বলেন, ‘পরে পুলিশ বলল, আপনি ভিডিওটা ডিলিট করে দেন। যেহেতু ওনারা ক্ষমা চেয়েছেন, আপনিও ক্ষমা করে দেন। আমি তখন ভাবলাম, ক্ষমা করে দেই, ভুল তো মানুষেরই হয়। ওনারা বলেছেন, পরবর্তীতে এই ভুল হবে না, তারা সরকারের বদনাম করবেন না।’

বাসে ‘সরকারবিরোধী’ যাত্রীতে কেন ক্রুদ্ধ রিপা?
বাসের যাত্রাবিরতির সময় ফেসবুকে পাল্টা লাইভ করেন রিপার পাশের যাত্রী

ভাইরাল হতে এমন লাইভের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে রিপা বলেন, ‘যারা বলছেন, আমি ভাইরাল হওয়ার জন্য এমন ভিডিও করেছি তারা ভুল বলছেন। আমি ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত-শিবির-ছাত্রদল ঠেকানোর জন্য লাঠি হাতে নিয়েছিলাম। তখনও ভাইরাল হয়েছি। তবে আমার ভাইরাল হওয়ার কোনো শখ নেই। আমি প্রতিবাদ করি, প্রতিবাদী মেয়ে। আগেও প্রতিবাদ করতাম।’

২০১৯ সালের ঘটনা নিয়ে রিপা বলেন, ‘ডাকসুতে ভিপি নুরুর সঙ্গে ছাত্রদল-শিবিরের কিছু ছেলে ছিল। ওনারা ওখানে ৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার বলে স্লোগান দিচ্ছিল। আসলে ৭৫-এর হাতিয়ার বললে আমাদের কষ্ট হয়, আমাদের খারাপ লাগে। আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি, ছাত্রলীগ করি আমাদের খারাপ লাগবেই।

‘এ সময় দুই পক্ষই স্লোগান দিচ্ছিল। ওনারা আমাদের ওপর প্রথম হামলা করেন। তারাই আগে লাঠি হাতে নিয়েছিলেন, পরে আমিও লাঠি হাতে নিয়েছিলাম। আমি লাঠি হাতে নিয়েছিলাম ছাত্রদলকে ঠেকাব বলে। ওখানে আমি একা মেয়ে ছিলাম, তাই নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে আমি লাঠি হাতে নিয়েছিলাম।’

বাসে ‘সরকারবিরোধী’ যাত্রীতে কেন ক্রুদ্ধ রিপা?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লাঠি হাতে রিপার ছবি ভাইরাল হয় ২০১৯ সালে

বাসে ভাইরাল ভিডিওর পাশাপাশি ‘আহত রিপার’ একটি ছবি ছড়িয়েছে ফেসবুকে। সেই ছবি দিয়ে অনেকের দাবি, সেদিন বাসে হামলার শিকার হন রিপা।

তবে রিপা জানান ছবিটি কয়েক মাস আগের। তিনি বলেন, ‘এটা ২০২১ সালের অক্টোবরের ২১ তারিখের ছবি। আমি খাগড়াছড়িতে গিয়েছিলাম। তখন এক ছোট ভাইয়ের মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে যায়। সেই ঘটনার ছবি দিয়ে এখন গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’

(লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকামুখী বাসে রিপার সহযাত্রীর পরিচয় ও তার বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা। তবে সোমবার পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। ওই যাত্রীর বক্তব্য পাওয়া গেলে পরবর্তীতে এই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে। পাঠকের কাছে তার পরিচয় ও অবস্থানের তথ্য থাকলে জানানোর অনুরোধ করছে নিউজবাংলা কর্তৃপক্ষ।)

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Facebook launched in the country after two weeks

দুই সপ্তাহ পর দেশে ফেসবুক চালু

দুই সপ্তাহ পর দেশে ফেসবুক চালু
ফেসবুকের লোগো। ফাইল ছবি
মেটা ও টিকটকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বুধবার বৈঠক শেষে বিটিআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, বিকেলের মধ্যে চালু হচ্ছে ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউব। তার ওই বক্তব্যের পর দুপুর থেকেই ফেসবুক চালু হয় দেশে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে বাংলাদেশে বন্ধ হওয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বুধবার ফের চালু হয়েছে।

গত ১৭ জুলাই রাত থেকে দেশে বন্ধ ছিল মোবাইল ইন্টারনেট। তখন থেকে বন্ধ হয়ে যায় ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম।

মেটা ও টিকটকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বুধবার বৈঠক শেষে বিটিআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, বিকেলের মধ্যে চালু হচ্ছে ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউব।

তার ওই বক্তব্যের পর দুপুর থেকেই ফেসবুক চালু হয় দেশে।

এর আগে সংবাদ সম্মেলনে দেশে জনপ্রিয় তিন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ফের চালু করা নিয়ে পলক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিছুটা সময়ের জন্য আসলে সাময়িকভাবে আমরা তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনার ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলাম বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে। আমরা সার্বিক বিবেচনা করে, আমাদের ফ্রিল্যান্সার, ই-কমার্স উদ্যোক্তা, আমাদের ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং হয়তো স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এগুলো এখন সাময়িকভাবে বন্ধ আছে, কিন্তু আমাদের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, গবেষক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কিন্তু তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে চায়।

‘সে ক্ষেত্রেও কিন্তু ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব—এই প্ল্যাটফর্ম বেশ প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম। এটা আমরা মনে করি। তো সাময়িকভাবে কিছু বিধিনিষেধ আমরা আরোপ করতে বাধ্য হয়েছিলাম, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমি আপনাদেরকে জানাতে চাচ্ছি যে, আজকে আমরা সেই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং বাংলাদেশে আমাদের সাইবার স্পেসে আমরা ফেসবুক, টিকটক এবং ইউটিউবের কার্যক্রম পরিচালনা করতে আর কোনো বাধা রাখছি না। এটা সম্পূর্ণভাবে সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন আমরা ওপেন করে দিচ্ছি।’

কখন থেকে প্ল্যাটফর্মগুলো চালু করা হবে, তা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এটা আমরা এখনই এই প্রেস কনফারেন্স শেষে আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি বিটিআরসিকে। হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। হয়তো এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। আশা করছি আজকে বিকেলের মধ্যে আমরা সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করে দিতে পারব।’

আরও পড়ুন:
মোবাইল ইন্টারনেট চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত কাল
ফেসবুক-টিকটক বাদে অন্য ক্যাশ সার্ভার চালুর নির্দেশ
সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট রবি-সোমবার, ব্রডব্যান্ড রাতেই: পলক
ইন্টারনেট নিয়ে প্রশ্নের জবাবে যা বললেন পলক
‘শিশু নিখোঁজের খবর গুজব’

মন্তব্য

জীবনযাপন
Facebook TikTok YouTube launched by afternoon Blink

ফেসবুক টিকটক ইউটিউব চালু বিকেলের মধ্যে

ফেসবুক টিকটক ইউটিউব চালু বিকেলের মধ্যে ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবের লোগো। কোলাজ: নিউজবাংলা
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান, আজ বিকেলের মধ্যেই দেশে ফের ‍উন্মুক্ত হচ্ছে ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউব।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে বাংলাদেশে বন্ধ হওয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউব বিকেলের মধ্যে চালু হচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মেটা ও টিকটকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিটিআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

দেশে জনপ্রিয় তিন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ফের চালু করা নিয়ে পলক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিছুটা সময়ের জন্য আসলে সাময়িকভাবে আমরা তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনার ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলাম বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে। আমরা সার্বিক বিবেচনা করে, আমাদের ফ্রিল্যান্সার, ই-কমার্স উদ্যোক্তা, আমাদের ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং হয়তো স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এগুলো এখন সাময়িকভাবে বন্ধ আছে, কিন্তু আমাদের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, গবেষক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কিন্তু তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে চায়।

‘সে ক্ষেত্রেও কিন্তু ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব—এই প্ল্যাটফর্ম বেশ প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম। এটা আমরা মনে করি। তো সাময়িকভাবে কিছু বিধিনিষেধ আমরা আরোপ করতে বাধ্য হয়েছিলাম, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমি আপনাদেরকে জানাতে চাচ্ছি যে, আজকে আমরা সেই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং বাংলাদেশে আমাদের সাইবার স্পেসে আমরা ফেসবুক, টিকটক এবং ইউটিউবের কার্যক্রম পরিচালনা করতে আর কোনো বাধা রাখছি না। এটা সম্পূর্ণভাবে সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন আমরা ওপেন করে দিচ্ছি।’

কখন থেকে প্ল্যাটফর্মগুলো চালু করা হবে, তা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমরা এখনই এই প্রেস কনফারেন্স শেষে আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি বিটিআরসিকে। হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। হয়তো এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। আশা করছি আজকে বিকেলের মধ্যে আমরা সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করে দিতে পারব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি যে, এগুলো বিধিনিষেধ আরোপের ফলে ভিপিএন অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে অনেক ব্যান্ডউইথ ট্রাফিক দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং সেটা একটা নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি। অপর দিকে আর্থিকভাবেও ক্ষতি। সবকিছু মিলিয়ে আমরা একটাই অনুরোধ করব আমাদের গণমাধ্যমের সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে আমাদের দেশের সকল নাগরিকের কাছে যে, আপনারা কোনো মিথ্যা, গুজব, কোনো মিথ্যা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।

‘আপনারা দয়া করে আমাদের যদি কোনো কর্মকাণ্ডে আপনারা ক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, আমাদের কোনো আচরণে বা কথায় যদি আপনারা মনঃক্ষুণ্ন হয়ে থাকেন, আপনারা আপনাদের মত প্রকাশ করবেন, সমালোচনা করবেন। সেই স্বাধীনতা আমাদের আছে বাংলাদেশে, কিন্তু কেউ আপনারা সহিংসতাকে উৎসাহ দেবেন না।’

আরও পড়ুন:
মন্ত্রী-এমপিদের ফেসবুক পেজ-ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ
ফেসবুক স্টোরিতে ‘হা হা’ রি-অ্যাক্ট, তরুণ ছুরিকাহত
ফেসবুকের ভিডিও ফিরিয়ে দিল ৩০ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া বোনকে
টিকটকের ভিডিও বানাতে গিয়ে তিস্তায় নিখোঁজ কিশোরের মৃত্যু
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ‘বন্ধ হচ্ছে’

মন্তব্য

জীবনযাপন
Nationwide Mobile Internet Sunday Monday Broadband Night Blink

সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট রবি-সোমবার, ব্রডব্যান্ড রাতেই: পলক

সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট রবি-সোমবার, ব্রডব্যান্ড রাতেই: পলক সাংবাদিকদের মুখোমুখি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ফাইল ছবি
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দৈনিক ৭০-৮০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছি। এ ছাড়া ফেসবুক ও ইউটিউব কোনোভাবেই বাংলাদেশের আইন মানছে না। এমনকি তারা তাদের নিজেদের পলিসিও মানছে না।’

সারা দেশে বাসাবাড়িতে আজ বুধবার রাত থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হবে। আর মোবাইল ডাটা ইন্টারনেট আগামী সপ্তাহের রোববার বা সোমবার চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমন তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনের প্রধান সম্মেলন কক্ষে বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী।

ইন্টারনেট সেবা সম্পর্কিত সার্বিক বিষয়াবলী নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে (বুধবার) রাত থেকে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি বাড়ানো হবে। সারা দেশের বাসা-বাড়িতে আজ রাত থেকে‌ পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড চালু হবে, যা আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণ করব।’

আগামী রবি বা সোমবার সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হতে পারে জানিয়ে পলক বলেন, ‘আমরা দৈনিক ৭০-৮০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছি। এছাড়া ফেসবুক ও ইউটিউব কোনোভাবেই বাংলাদেশের আইন মানছে না। এমনকি তারা তাদের নিজেদের পলিসিও মানছে না।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফেসবুক আমেরিকার কোম্পানি। তারা সে দেশের সরকারের আইন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। কিন্তু আমাদের দেশের পলিসি মানে না। আমাদের সাইবার স্পেস ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে হলে দেশের আইন মেনে ফেসবুককে সোশ্যাল মিডিয়া চালাতে হবে। তারা (ফেসবুক) নিজেদের ব্যবসার কথা চিন্তা করে; কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে না।’

প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, ‘সহিংসতার বিষয়ে ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবকে চিঠি দেয়া হবে। তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশীয় উদ্যোক্তারা ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ তৈরি করলে আমরা সহযোগিতা করব।’

মন্তব্য

জীবনযাপন
Rumors of missing children

‘শিশু নিখোঁজের খবর গুজব’

‘শিশু নিখোঁজের খবর গুজব’
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে’ এমন তথ্য সঠিক নয়। এছাড়া নিখোঁজ হওয়া শিশুদের পরবর্তীতে সন্ধান পাওয়া গেছে।”

‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ’- শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে এমন একটি পোস্ট দেখা যেতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডিতে।

পোস্টগুলোতে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, গত ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে।’

ফেসবুকে ব্যাপকভাবে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

তবে এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি জানায়, তদন্তে দেখা গেছে একের পর এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিখোঁজ হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করে পোস্ট করা হয়েছিল তাদের অনেককে পরে পাওয়া গেছে। আবার অনেককে পাওয়া গেলেও তা আর জানানো হয় না।

আদাবর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি।’

একই বক্তব্য দেন শাহবাগ থানার ওসি নূর আলম।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে এমন কোনো তথ্য ডিএমপির কাছে নেই।’

তিনি জানান, ৪ থেকে ৬ মে পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্নভাবে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৩৩টি জিডি করা হয়েছে। জুন মাসের ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় জিডি করা হয়েছে ৩৬টি। একইভাবে ৪ থেকে ৬ জুলাই ৭২ ঘণ্টায় ৩২টি জিডি করা হয়।

ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে’ এমন তথ্য সঠিক নয়। এছাড়া নিখোঁজ হওয়া শিশুদের পরবর্তীতে সন্ধান পাওয়া গেছে।”

আরও পড়ুন:
যে কারণে ফেসবুকে সমস্যা, উত্তর দিল ডিএমপি
ফেসবুক ঠিক হয়েছে
হঠাৎ লগআউট হচ্ছে ফেসবুক
সোশ্যাল মিডিয়ায় ৫০০ কোটি মানুষ, বেশি ব্যবহার ফেসবুকের
গুজব রটনাকারীদের দায়ী করতে কাঠামো বিবেচনাধীন: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

মন্তব্য

জীবনযাপন
The death of a missing teenager in Teesta while making a Tiktok video

টিকটকের ভিডিও বানাতে গিয়ে তিস্তায় নিখোঁজ কিশোরের মৃত্যু

টিকটকের ভিডিও বানাতে গিয়ে তিস্তায় নিখোঁজ কিশোরের মৃত্যু কুড়িগ্রামের রাজারহাটে শনিবার তিস্তা নদী থেকে সোহাগ নামের কিশোরের মরদেহ উদ্ধার অভিযানের সময় তীরে উৎসুক লোকজনের ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
রাজারহাট থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান টিকটকের ভিডিও বানাতে গিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তিস্তা নদী থেকে সোহাগ নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

টিকটকের ভিডিও বানাতে গিয়ে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের তিস্তা নদীতে ডুবে সোহাগ (১২) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।

ঈদুল ফিতরের তৃতীয় দিন শনিবার বিকেলে তিস্তা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে রংপুর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

প্রাণ হারানো সোহাগ রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের খিতাব গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশের ভাষ্য, সোহাগ তার ফুফাতো বোনকে নিয়ে টিকটক বানাতে নদীতে গোসল করতে নামে। ওই সময় তার সঙ্গে আরও দুই বন্ধু ছিল। টিকটকের ভিডিও ধারণের সময় সোহাগ পানিতে গোসল করছিল। অন্যরা গোসল করে তীরে ওঠে।

দুই বন্ধু নদীর পাড়ে গিয়ে সোহাগকে খুঁজে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দুই ঘণ্টা পর তিস্তা নদী থেকে সোহাগের মরদেহ উদ্ধার করে।

রাজারহাট থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান টিকটকের ভিডিও বানাতে গিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তিস্তা নদী থেকে সোহাগ নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আরও পড়ুন:
পানিতে ডুবে তিন জেলায় পাঁচ শিশুর মৃত্যু, নিখোঁজ ১
ইটবোঝাই ট্রাক্টর থেকে পড়ে যাওয়া স্কুলছাত্রের মৃত্যু
টেকনাফে পিটুনিতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু
নওগাঁয় অতিরিক্ত মদ পানে তিন বন্ধুর মৃত্যু: চিকিৎসক
পুলিশ হেফাজতে সাবেক যুবদল নেতার মৃত্যু, ওষুধ খেতে না দেয়ার অভিযোগ পরিবারের

মন্তব্য

জীবনযাপন
There is no news tab on Facebook

ফেসবুকে নিউজ ট্যাব থাকছে না

ফেসবুকে নিউজ ট্যাব থাকছে না ফাইল ছবি
সংবাদ ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতে কম গুরুত্ব দেয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফেসবুকে খবর প্রচার বন্ধ করবে মেটা।

সংবাদ ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তুকে ভবিষ্যতে কম গুরুত্ব দেয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এপ্রিলের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য ফেসবুকে খবর প্রচার বন্ধ করবে মেটা। গত বছর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিতে ফিচারটি বন্ধ করে দেয়া হয়।

ফেসবুকে ২০১৯ সালে চালু হওয়া নিউজ ট্যাবটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের পাশাপাশি ছোট ও স্থানীয় প্রকাশনার শিরোনামগুলোও ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহার করেছে।

মেটা বলছে, ব্যবহারকারীরা সংবাদ নিবন্ধের লিংক দেখতে সক্ষম হবেন। সংবাদ সংস্থাগুলো তাদের লেখা ও ওয়েবসাইট লিঙ্ক পোস্ট ও প্রচার করতে পারবে, যেমন অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা ফেসবুকে করতে পারে।

ভুল তথ্য কীভাবে ছড়ানো হয় এবং এটি রাজনৈতিক মেরুকরণে অবদান রাখে কি না, তা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে সমালোচনার পর মেটা তার প্ল্যাটফর্মগুলোতে সংবাদ ও রাজনৈতিক উপাদান কমানোর চেষ্টার পর এই পরিবর্তন আসছে।

মেটার মুখপাত্র ড্যানি লিভার বলেছেন, ‘এই পরিবর্তন গ্রাহকের ফলো করা অ্যাকাউন্টের পোস্টে প্রভাব ফেলবে না। এটি সিস্টেমের সুপারিশগুলোকে প্রভাবিত করবে এবং ব্যবহারকারীরা যদি আরও চায়, তবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

‘ঘোষণাটি এমন সময় আসছে, যখন ব্যবহারকারীরা বছরের পর বছর আমাদের কাছে জানতে চেয়েছিল যে, আমরা কীভাবে রাজনৈতিক বিষয়বস্তুগুলো পরিচালনা করি তার উপর ভিত্তি করে।’

মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিউজ ট্যাবে এই পরিবর্তন তাদের ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক এবং ভুল তথ্যের পর্যালোচনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না। তবে ভুল তথ্য প্রতিষ্ঠানটির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়েই গেছে। বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং অন্যান্য প্রতিযোগিতা চলছে।

কর্নেল ব্রুকস স্কুল অফ পাবলিক পলিসির টেক পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও প্রযুক্তি বিষয়ক নীতি গবেষক সারাহ ক্রেপস বলেছেন, ‘ফেসবুক নিজেকে রাজনৈতিক প্লাটফর্ম হিসেবে মনে করে না, এটি চালান প্রযুক্তিবিদরা। তারপর হঠাৎ তারা এ বিষয়ে মূল্যায়ন শুরু করে এবং নিজেদের রাজনীতিতে নিমজ্জিত দেখতে পান। ফলে তারা নিজেরাই শিরোনাম হয়ে ওঠেন।’

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, এই বছর অনেকগুলো বড় নির্বাচন আসছে। ফলে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, ফেসবুক রাজনীতি থেকে আরও এক ধাপ দূরে সরে যাচ্ছে। অসাবধানতাবশত নিজেরাই যাতে রাজনৈতিক শিরোনাম হয়, তার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত।’

পয়েন্টারের মিডিয়া বিশ্লেষক রিক অ্যাডমন্ডস বলেন, ‘নিউজ ট্যাবের বিলুপ্তি সংবাদ সংস্থাগুলোর জন্য আশ্চর্যজনক নয়। বেশ কয়েক বছর ধরে তাদের ওয়েবসাইটগুলোতে ফেসবুক ট্র্যাফিক হ্রাস পাচ্ছে। ফলে সংস্থাগুলোকে দর্শকদের আকৃষ্ট করার অনুসন্ধান ও নিউজলেটারের মতো অন্যান্য উপায়গুলোতে মনোনিবেশ করতে উৎসাহিত করছে।’

অ্যাডমন্ডস বলেন, ‘আমি বলব আপনি যদি খেয়াল করতেন, তাহলে আপনি দেখতে পেতেন যে, এটি আসছে। তবে এটি সংবাদ ব্যবসার জন্য আরও একটি দুঃসংবাদ।’

মেটা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারীরা তাদের ফেসবুক ফিডে যা দেখেন, তার চেয়ে তিন শতাংশেরও কম সংবাদ তৈরি হয়। অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক সংবাদ ব্যবহারকারীর সংখ্যা গত বছর ৮০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে।

তবে ২০২৩ সালের পিউ রিসার্চ স্টাডি অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের অর্ধেক অন্তত মাঝে মাঝে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে খবর পান। ফেসবুকের মতো একটি প্ল্যাটফর্ম অন্যান্য মাধ্যমকে সেখানে ছাড়িয়ে গেছে।

পিউ জানিয়েছে, প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকের মধ্যে তিনজন বলেছেন যে, তারা নিয়মিত ফেসবুক থেকে খবর পান এবং ১৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক বলেছেন যে, তারা নিয়মিত ইনস্টাগ্রাম থেকে খবর পান। এ দুই মাধ্যমেরই মালিকানা মেটার।

ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা সম্প্রতি ব্যবহারকারীদের অনুসরণ করেন না, এমন অ্যাকাউন্টগুলোতে পোস্ট করা রাজনৈতিক বিষয়বস্তুর ‘সক্রিয়ভাবে’ সুপারিশ করা বন্ধ করার জন্য অ্যাপটির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। কারণ, ফিল্টার বন্ধ করার অপশন সবসময় ইউজার সেটিংসে থাকলেও মেটা যে এই পরিবর্তন করেছে তা অনেকেই জানতেন না।

আরও পড়ুন:
প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের

মন্তব্য

জীবনযাপন
Facebooks secret surveillance on competitors

প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের

প্রতিযোগীদের ওপর গোপন নজরদারি ফেসবুকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। ছবি: টেকক্রাঞ্চ
২০১৬ সালের জুনে মার্ক একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই। তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ।

ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গের নেতৃত্বাধীন মেটার প্ল্যাটফর্মগুলো স্ন্যাপচ্যাট, ইউটিউব এবং অ্যামাজন ব্যবহারকারীদের তথ্য গোপনে নজরদারি করছে বলে অভিযোগ করে নতুন তথ্য প্রকাশ করেছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চের বরাত দিয়ে বুধবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেসবুক ২০১৬ সালে ‘ঘোস্টবাস্টারস’ নামে একটি গোপন প্রজেক্ট চালু করেছিল যাতে স্ন্যাপচ্যাট ও এর সার্ভার ব্যবহারকারীদের মধ্যে নেটওয়ার্ক ট্রাফিক এনক্রিপ্ট এবং ডিক্রিপ্ট করা যায়।

স্ন্যাপচ্যাটের ভূতের (ঘোস্ট) মতো লোগোর সঙ্গে মিল রেখে ফেসবুক এটির নাম দিয়েছে ‘প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারস’।

আদালতের নথি অনুসারে, ঘোস্টবাস্টারস প্রজেক্টটি স্ন্যাপচ্যাটের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা অর্জন ও ব্যবহারকারীর আচরণ বোঝার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

নথিতে প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা করা সে সময়ের অভ্যন্তরীণ ফেসবুক ইমেইলগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০১৬ সালের জুনে মার্ক এমন একটি ইমেইলে বলেন, স্ন্যাপচ্যাট তাদের সিস্টেম এনক্রিপট (যে পদ্ধতির মাধ্যমে তথ্য গোপন কোডে রূপান্তরিত হয় যা তথ্যের প্রকৃত অর্থ লুকিয়ে রাখে) করার কারণে অ্যাপটির অভ্যন্তরীণ কোনো তথ্য ফেসবুকের কাছে নেই।

তাই তাদের সম্পর্কে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেতে একটি নতুন উপায় বের করা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন মার্ক। এর জন্য একটি কাস্টম সফটওয়্যার তৈরির কথা জানান তিনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে ফেসবুকের প্রকৌশলীরা ঘোস্টবাস্টারস তৈরি করেন। পরে অ্যামাজন এবং ইউটিউবকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রকল্পটি প্রসারিত করা হয়ে।

ক্যালিফোর্নিয়ার আদালতের তথ্য অনুসারে, ফেসবুকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভদের একটি দল এবং প্রায় ৪১ জন আইনজীবী প্রজেক্ট ঘোস্টবাস্টারে কাজ করেছেন, তবে ফেসবুকের কিছু কর্মী এ প্রকল্পের বিপক্ষে ছিলেন। তারা এটি নিয়ে তাদের উদ্বেগও প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন:
ফলোয়ার হারিয়ে রিক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা
নতুন ভিআর হেডসেট বাজারে আনল ‘মেটা’
ফেসবুকে নিজের অ্যাকাউন্ট মুছে ‘শান্তিতে আছে’ মেটার চ্যাটবট
বইতে এলো দেশের ব্যান্ড সংগীতের ইতিহাস
পদ ছাড়ছেন মেটার সিওও স্যান্ডবার্গ

মন্তব্য

p
উপরে