বাসের মধ্যে ‘সরকারবিরোধী মন্তব্য’ করার জের ধরে দুই পুরুষ যাত্রীর সঙ্গে এক নারীর তীব্র বিতণ্ডার ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে।
ফেসবুক লাইভে ওই নারীকে বলতে শোনা যায়, সরকারের সমালোচনা তিনি সহ্য করবেন না। যারা এটা করছেন তাদের সবাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হবে। বাসের অনেকে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক বলেও দাবি করেন তিনি।
ভিডিওর একপর্যায়ে বাসের আরও কয়েকজন যাত্রীকে ওই নারীর ওপর ক্ষুব্ধ হতে দেখা যায়।
পরে বাসের যাত্রাবিরতিতে ‘সরকারের সমালোচনাকারী’ হিসেবে অভিযুক্ত বাসযাত্রী আরেকটি ফেসবুক লাইভ করেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, ওই ঘটনার রেশ শেষ পর্যন্ত পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে। পুলিশ বাস থামিয়ে সবার বক্তব্য নিয়েছে এবং ওই নারী ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
সেই রাতে লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকামুখী বাসে প্রকৃতপক্ষ কী ঘটেছিল, তা অনুসন্ধান করেছে নিউজবাংলা। ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিওতে উত্তেজিত যে নারীকে দেখা গেছে, তার পরিচয়ও খোঁজা হয়েছে।
এতে বেরিয়ে এসেছে আলোচিত ওই নারীর নাম ফাতেমা তুজ জোহরা রিপা। বাড়ি লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায়। রিপা রামগঞ্জ মডেল কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক রিপা বেশ কয়েক বছর ধরে ঢাকাতেই থাকেন। গত ২১ জানুয়ারি রাতে রামগঞ্জ থেকে ঢাকা ফেরার সময় ঘটে আলোচিত ওই ঘটনা।
এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হাতে লাঠিসহ রিপার একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সে সময় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের হামলায় ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুরুসহ ২৫ জন আহত হন। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্রীবিষয়ক সম্পাদক রিপা অংশ নেন সেই হামলায়।
এ ছাড়া ২০১৯ সালের এপ্রিলে রামগঞ্জ উপজেলা শিক্ষক সমিতির একটি অনুষ্ঠানে স্থানীয় এমপির সঙ্গে সভামঞ্চে ওঠা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের নেমে যেতে বলা হয়। রিপা নামতে রাজি না হলেও পরে তাকে বাধ্য করা হয়। এরপর ফেসবুক লাইভে এসে কান্নাকাটি করে ভাইরাল হয়েছিলেন রিপা।
বারবার বিভিন্ন ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দেয়া রিপা কথা বলেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে। গত ২১ জানুয়ারি বাসে কী ঘটেছিল সে বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন। রিপার দাবি, পুলিশ আসার পর তিনি ক্ষমা চাননি, উল্টো অভিযুক্ত যাত্রী ভুল স্বীকার করেছেন।
নিউজবাংলা কার্যালয়ে দেয়া সাক্ষাৎকারে বাসে উত্তেজিত হওয়ার কারণ তুলে ধরেন এই তরুণী। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ‘বাস চলার সময় আমার পাশের সিটের যাত্রী ফোনে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে তিনি সরকারকে নিয়ে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। তখন আমার খুব খারাপ লেগেছে, আমি যেহেতু ছাত্রলীগ করি আমার খারাপ লাগবেই।
‘তিনি (পাশের যাত্রী) ফোনটা রাখার পরে আরও বাজে ভাষায় কথা বললেন। শেখ হাসিনা আপাকে নিয়ে আরও নোংরা ভাষায় কথা বলেছেন। তখন আমি আমার রাগটা কন্ট্রোল করতে পারিনি। আমি প্রতিবাদ করেছি, ফোনে লাইভ দিয়েছি।’
রিপা বলেন, ‘সরকারের বদনাম যেখানে হয়, সব সময় আমি প্রতিবাদ করি। আমি নতুন প্রতিবাদ করিনি, আগেও করেছি, এখনও করছি, ভবিষ্যতেও করব। সরকারকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার স্বাধীনতা মানুষের আছে কিন্তু কাউকে নিয়ে খুবই নোংরা ভাষায় কথা কেউ বলতে পারে না। সে জন্যই আমি প্রতিবাদটা করেছি।’
পাশের সারির আসনে বসা যাত্রী ফোনে কথা বলার সময় কীভাবে শুনলেন- এমন প্রশ্নে রিপার জবাব, ‘এটা তো পাবলিক প্লেস, এখানে তো ফোনের কথা শোনা যাবেই, পাশের সিট যেহেতু আমি তো শুনবই।’
ভাইরাল ভিডিওটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে বিদ্রূপাত্মক মন্তব্য করছেন। তবে রিপার দাবি, এতে তার বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়নি।
কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘একটা বিষয় ভাইরাল হলে সেটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হবেই। আর বিরোধী দল তো সেটা নিয়ে সমালোচনা করবেই। জামায়াত-শিবির-বিএনপি এরা তো সমালোচনা করবেই।
‘আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার দেশের অনেক উন্নয়ন করেছে। কখনও কোনো সরকার এত উন্নয়ন করেনি। এত উন্নয়ন ভোগ করে, এত সুবিধা ভোগ করে সরকারের বদনাম করা বা সরকারকে নিয়ে নোংরা ভাষায় মন্তব্য করা ঠিক না।’
ফেসবুক লাইভে বাসের যাত্রীদের জামায়াত-শিবির-বিএনপির সমর্থক আখ্যায়িত করার কারণ জানতে চাইলে রিপা বলেন, ‘আমি সবাইকে জামায়াত-শিবির বলিনি, যারা আমার সঙ্গে বাসের মধ্যে ঝগড়া করেছিল তাদেরকে বলেছি।’
‘আমার পাশের সিটে যে লোকটা নেত্রীর বদনাম করছিল, আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি কেন সরকারের বদনাম করছেন, নোংরা ভাষায় কেন কথা বলছেন? এ সময় তার পিছনের সিটে একজন হুজুর ছিলেন, তিনি লাফিয়ে উঠে আমাকে খারাপ ভাষায় গালমন্দ করছিলেন। আমি তাকে বললাম আমি তো আপনার সঙ্গে কথা বলছি না, যিনি সরকারের বদনাম করেছেন ওনার সঙ্গে কথা বলছি। এতে আপনার সমস্যা কী, কিন্তু উনি খারাপ ভাষায় আমার সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছিলেন পেছন থেকে।’
বাসের আরও কয়েক যাত্রী বিতণ্ডায় যোগ দিয়েছিলেন দাবি করে রিপা বলেন, ‘আরেকটা ছেলে ছিল, সেও আমাকে গালমন্দ করছিল। আমার মনেই হয়েছিল ওনারা বিএনপি। ওনারাও বললেন আমরাও ছাত্রলীগ করতাম একসময়, আমরাও আওয়ামী লীগ করতাম, আসলে কিন্তু ভুল। কোনো ছাত্রলীগ বা আওয়ামী লীগ সমর্থক জননেত্রী শেখ হাসিনার বদনাম করতে পারেন না, নোংরা ভাষায় গালি সাপোর্ট করতে পারেন না।’
ভিডিওতে প্রাণ হারানোর শঙ্কা জানানোর কারণ জানতে চাইলে রিপা বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল তারা তিনজন পুরুষ। তারা পরবর্তীতে একত্রিত হয়ে আমার ওপর হামলা করবেন এবং ওনারা বলেছিলেন যে বাসের লাইটটা বন্ধ করে দেন। তখন আমার খারাপ লেগেছিল। আমি একজন নারী, বাসের ভেতরে এত পুরুষের মধ্যে লাইটটা বন্ধ করে দেয়া কি ঠিক হবে!
‘পরবর্তীতে ওনারা বাসের হেলপারকে বলেছিলেন ওনার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে যান এবং লাইটটা বন্ধ করে দিয়ে যান। এটাও বলেছিলেন এটাকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেন এবং ওনারা আমাকে ধাক্কা দিতেও এসেছিলেন। ওনারা আমার সঙ্গে খুবই নোংরা ভাষায় গালমন্দ করেছিলেন। তখনই আমার মনে হয়েছিল আমার ওপর একটা হামলা হতে পারে।’
নিজের ভূমিকার পক্ষে যুক্তি দিয়ে রিপা বলেন, ‘আপনারা জানেন বিভিন্ন মানুষ বিশেষ করে শিবির-বিএনপি-জামায়াত এরা সরকারের বদনাম করে। তাদের অভ্যাসই হলো বদনাম করা, তাই আমরা প্রতিবাদ করলে এই বদনামগুলো করতে পারবে না। আমি প্রতিবাদ করেছি, কাল আবার আরেকজন প্রতিবাদ করবেন। এভাবে প্রতিবাদ করলে তারা আর বদনাম করতে পারবে না। আমাদের প্রতিবাদ করা উচিত।’
লাইভ শেষ করার পরের ঘটনা জানিয়ে রিপা বলেন, ‘যখন আমি বুঝতে পেরেছিলাম তারা আমার হাত থেকে ফোনটা টেনে নিয়ে যাবে এবং আমাকে আক্রমণ করার সম্ভাবনা আছে, তখন লাইভটা কেটে দিয়েছি। এরপর আমি ট্রিপল নাইনে কল করেছি।
‘লাইভটা দেখার পরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সোহেল রানা শান্ত ভাইও ট্রিপল নাইনে কল করেছেন এবং বিভিন্ন স্থানে পুলিশকে ফোন দিয়েছিলেন আমার নিরাপত্তার স্বার্থে।’
৯৯৯-এ কল করার পর লালমাই হাইওয়ে পুলিশ বাসটি থামায় বলে জানান রিপা।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ রাস্তার পাশে তেলের পাম্পে গাড়িটি দাঁড় করিয়ে ওই যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমাকেও করেছিল। আমি কে বা কোথা থেকে এসেছি- জানতে চেয়েছে। এটা ওনারা জানতে চাইতেই পারেন। যারা ছিল সবাইকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। একপর্যায়ে ওনারা (বাসের কয়েক যাত্রী) ক্ষমা চেয়েছেন।’
রিপা বলেন, ‘পরে পুলিশ বলল, আপনি ভিডিওটা ডিলিট করে দেন। যেহেতু ওনারা ক্ষমা চেয়েছেন, আপনিও ক্ষমা করে দেন। আমি তখন ভাবলাম, ক্ষমা করে দেই, ভুল তো মানুষেরই হয়। ওনারা বলেছেন, পরবর্তীতে এই ভুল হবে না, তারা সরকারের বদনাম করবেন না।’
ভাইরাল হতে এমন লাইভের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে রিপা বলেন, ‘যারা বলছেন, আমি ভাইরাল হওয়ার জন্য এমন ভিডিও করেছি তারা ভুল বলছেন। আমি ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জামায়াত-শিবির-ছাত্রদল ঠেকানোর জন্য লাঠি হাতে নিয়েছিলাম। তখনও ভাইরাল হয়েছি। তবে আমার ভাইরাল হওয়ার কোনো শখ নেই। আমি প্রতিবাদ করি, প্রতিবাদী মেয়ে। আগেও প্রতিবাদ করতাম।’
২০১৯ সালের ঘটনা নিয়ে রিপা বলেন, ‘ডাকসুতে ভিপি নুরুর সঙ্গে ছাত্রদল-শিবিরের কিছু ছেলে ছিল। ওনারা ওখানে ৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার বলে স্লোগান দিচ্ছিল। আসলে ৭৫-এর হাতিয়ার বললে আমাদের কষ্ট হয়, আমাদের খারাপ লাগে। আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি, ছাত্রলীগ করি আমাদের খারাপ লাগবেই।
‘এ সময় দুই পক্ষই স্লোগান দিচ্ছিল। ওনারা আমাদের ওপর প্রথম হামলা করেন। তারাই আগে লাঠি হাতে নিয়েছিলেন, পরে আমিও লাঠি হাতে নিয়েছিলাম। আমি লাঠি হাতে নিয়েছিলাম ছাত্রদলকে ঠেকাব বলে। ওখানে আমি একা মেয়ে ছিলাম, তাই নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে আমি লাঠি হাতে নিয়েছিলাম।’
বাসে ভাইরাল ভিডিওর পাশাপাশি ‘আহত রিপার’ একটি ছবি ছড়িয়েছে ফেসবুকে। সেই ছবি দিয়ে অনেকের দাবি, সেদিন বাসে হামলার শিকার হন রিপা।
তবে রিপা জানান ছবিটি কয়েক মাস আগের। তিনি বলেন, ‘এটা ২০২১ সালের অক্টোবরের ২১ তারিখের ছবি। আমি খাগড়াছড়িতে গিয়েছিলাম। তখন এক ছোট ভাইয়ের মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে যায়। সেই ঘটনার ছবি দিয়ে এখন গুজব ছড়ানো হচ্ছে।’
(লক্ষ্মীপুর থেকে ঢাকামুখী বাসে রিপার সহযাত্রীর পরিচয় ও তার বক্তব্য জানার চেষ্টা করেছে নিউজবাংলা। তবে সোমবার পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। ওই যাত্রীর বক্তব্য পাওয়া গেলে পরবর্তীতে এই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে। পাঠকের কাছে তার পরিচয় ও অবস্থানের তথ্য থাকলে জানানোর অনুরোধ করছে নিউজবাংলা কর্তৃপক্ষ।)
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদের আকস্মিক পদত্যাগ নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
পোস্টে সৈয়দ জামিলের কাজের দক্ষতার প্রশংসা করলেও নাটকীয় পদত্যাগ নিয়ে তিনি ডাহা মিথ্যাচার করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন এ উপদেষ্টা।
নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে শনিবার বেলা একটার দিকে একটি পোস্টে ফারুকী এমন অভিযোগ করেন।
ফারুকী বলেন, ‘সৈয়দ জামিল আহমেদের কাজের একজন গুণমুগ্ধ আমি। সম্ভবত উনার কাজ নিয়ে বাংলাদেশে কোনো পত্রিকায় ছাপা হওয়া সবচেয়ে বিস্তারিত লেখাটা আমি লিখেছিলাম যায় যায় দিনের এন্টারটেইনমেন্ট ম্যাগাজিন মৌচাকে ঢিলের জন্য। এর পরেও বাংলা, ইংরেজি অনেক কাগজে লিখেছি।
‘এখনও আমি তাকে বাংলাদেশের থিয়েটারের সবচেয়ে মেধাবী নির্দেশক মনে করি। কয়দিন আগেও জামিল আহমেদের সামনেই একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছি উনাকে দিয়ে তাদের দেশে একটা থিয়েটার প্রোডাকশন করাতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু ভালো শিল্পী হওয়া আর আমলাতন্ত্রকে কনফিডেন্সে নিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানো দুইটা দুই রকম আর্ট। দ্বিতীয় কাজটা করবার জন্য লাগে ধৈর্য এবং ম্যানেজারিয়াল ক্যাপাসিটি। কলিগদের বুলিং না করে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা দিয়ে অনেক কাজ আদায় করে নেওয়া যায়।
‘পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে যে কম্পোজার লাগে, সেটার সাথে কোনো একটা থিয়েটার দলে নির্দেশনা দেওয়ার টেম্পারামেন্ট এক না। আমার ফিল্ম ইউনিটে আমি যা করতে পারি, একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানে আমি তা করতে পারি না।’
এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি জামিল ভাইয়ের নাটকীয় পদত্যাগ নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলাম না। কারণ তাতে আমাকে এমন কিছু রেফারেন্স টানতে হবে যেটা তার জন্য অস্বস্তিকর হবে। আমি চাচ্ছিলাম না কারণ আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ফর রেকর্ডস আমাকে আসলে এগুলো বলতেই হবে। আজকে আমাদের অনেকগুলা কাজ আছে। এটা শেষ করে সময় পেলে লিখব।’
তিনি বলেন, ‘শুধু এইটুকু আপাতত বলে রাখি উনার বলা অনেকগুলা কথা পুরো সত্য নয়, অনেকগুলা কথা ডাহা মিথ্যা এবং কিছু কথা পরিস্থিতি ডিল না করতে পারাজনিত হতাশা থেকে বের হয়ে আসা বলে মনে হচ্ছে। আমার বিস্তারিত লেখা হয়তো উনাকে বিব্রত করতে পারে। কিন্তু আমাকে আপনি এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন, যেখানে আমাকে বিব্রতকর হলেও সত্য বলতে হবে, জামিল ভাই।’
আরও পড়ুন:নিজ স্বার্থে কোনো সরকার যেন ইন্টারনেট শাটডাউন করতে না পারে, সে জন্য বাংলাদেশে ইলন মাস্কের স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মঙ্গলবার এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে প্রেস সচিব লিখেন, ‘ইলন মাস্কের স্টারলিংককে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো এবং চালু করার মূল কারণ হলো অনলাইন ব্যবসা চিরতরে বন্ধ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে একাধিকবার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভ দমন বা বিরোধীদের বড় কোনো আন্দোলন দমন করার জন্য ইন্টারনেট শাটডাউন স্বৈরশাসক ও স্বৈরাচারীদের একটি প্রিয় হাতিয়ার। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় কয়েক হাজার ফ্রিল্যান্সার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেউ কেউ তাদের চুক্তি এবং চাকরি চিরতরে হারান।
‘বাংলাদেশের বাজারে স্টারলিংকের আগমন মানে ভবিষ্যতের কোনো সরকার ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না। অন্তত বিপিও ফার্ম, কল সেন্টার এবং ফ্রিল্যান্সাররা নেট বন্ধ করার নতুন কোনো প্রচেষ্টায় কখনোই আঘাত পাবে না।’
আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে স্টারলিংক বাংলাদেশে চালু করার জন্য ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন:সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে গুজব ও উসকানিমূলক কনটেন্ট ছড়ানো বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
এসব প্রচেষ্টা বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা কমাতে এবং অর্থনীতিতে এর ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে সংগঠনটি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশি ও বিদেশি নানা উৎস থেকে যাচাইহীন ও উসকানিমূলক কনটেন্ট প্রচার হয়েছে। দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিতে এটি বড় ভূমিকা রেখেছে।
‘এর ফলে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতিও বাধাগ্রস্ত হয়েছে।’
মহিউদ্দিন বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর সংবাদমাধ্যম এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসীসহ কিছু বিদেশি উৎস থেকে পাওয়া তথ্য প্রচারের উদ্দেশ্য ছিল উসকানি দেয়া এবং নাগরিকদের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেয়া।’
দেশের ডিজিটাল ও সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধনে এ সময়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কনটেন্ট প্রচার বন্ধ করে জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন:কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে বাংলাদেশে বন্ধ হওয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বুধবার ফের চালু হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই রাত থেকে দেশে বন্ধ ছিল মোবাইল ইন্টারনেট। তখন থেকে বন্ধ হয়ে যায় ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম।
মেটা ও টিকটকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বুধবার বৈঠক শেষে বিটিআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, বিকেলের মধ্যে চালু হচ্ছে ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউব।
তার ওই বক্তব্যের পর দুপুর থেকেই ফেসবুক চালু হয় দেশে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে দেশে জনপ্রিয় তিন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ফের চালু করা নিয়ে পলক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিছুটা সময়ের জন্য আসলে সাময়িকভাবে আমরা তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনার ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলাম বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে। আমরা সার্বিক বিবেচনা করে, আমাদের ফ্রিল্যান্সার, ই-কমার্স উদ্যোক্তা, আমাদের ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং হয়তো স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এগুলো এখন সাময়িকভাবে বন্ধ আছে, কিন্তু আমাদের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, গবেষক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কিন্তু তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে চায়।
‘সে ক্ষেত্রেও কিন্তু ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব—এই প্ল্যাটফর্ম বেশ প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম। এটা আমরা মনে করি। তো সাময়িকভাবে কিছু বিধিনিষেধ আমরা আরোপ করতে বাধ্য হয়েছিলাম, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমি আপনাদেরকে জানাতে চাচ্ছি যে, আজকে আমরা সেই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং বাংলাদেশে আমাদের সাইবার স্পেসে আমরা ফেসবুক, টিকটক এবং ইউটিউবের কার্যক্রম পরিচালনা করতে আর কোনো বাধা রাখছি না। এটা সম্পূর্ণভাবে সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন আমরা ওপেন করে দিচ্ছি।’
কখন থেকে প্ল্যাটফর্মগুলো চালু করা হবে, তা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এটা আমরা এখনই এই প্রেস কনফারেন্স শেষে আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি বিটিআরসিকে। হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। হয়তো এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। আশা করছি আজকে বিকেলের মধ্যে আমরা সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করে দিতে পারব।’
আরও পড়ুন:কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে বাংলাদেশে বন্ধ হওয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউব বিকেলের মধ্যে চালু হচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মেটা ও টিকটকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিটিআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
দেশে জনপ্রিয় তিন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ফের চালু করা নিয়ে পলক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিছুটা সময়ের জন্য আসলে সাময়িকভাবে আমরা তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনার ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলাম বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে। আমরা সার্বিক বিবেচনা করে, আমাদের ফ্রিল্যান্সার, ই-কমার্স উদ্যোক্তা, আমাদের ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং হয়তো স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এগুলো এখন সাময়িকভাবে বন্ধ আছে, কিন্তু আমাদের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, গবেষক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কিন্তু তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে চায়।
‘সে ক্ষেত্রেও কিন্তু ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব—এই প্ল্যাটফর্ম বেশ প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম। এটা আমরা মনে করি। তো সাময়িকভাবে কিছু বিধিনিষেধ আমরা আরোপ করতে বাধ্য হয়েছিলাম, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমি আপনাদেরকে জানাতে চাচ্ছি যে, আজকে আমরা সেই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং বাংলাদেশে আমাদের সাইবার স্পেসে আমরা ফেসবুক, টিকটক এবং ইউটিউবের কার্যক্রম পরিচালনা করতে আর কোনো বাধা রাখছি না। এটা সম্পূর্ণভাবে সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন আমরা ওপেন করে দিচ্ছি।’
কখন থেকে প্ল্যাটফর্মগুলো চালু করা হবে, তা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমরা এখনই এই প্রেস কনফারেন্স শেষে আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি বিটিআরসিকে। হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। হয়তো এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। আশা করছি আজকে বিকেলের মধ্যে আমরা সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করে দিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি যে, এগুলো বিধিনিষেধ আরোপের ফলে ভিপিএন অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে অনেক ব্যান্ডউইথ ট্রাফিক দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং সেটা একটা নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি। অপর দিকে আর্থিকভাবেও ক্ষতি। সবকিছু মিলিয়ে আমরা একটাই অনুরোধ করব আমাদের গণমাধ্যমের সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে আমাদের দেশের সকল নাগরিকের কাছে যে, আপনারা কোনো মিথ্যা, গুজব, কোনো মিথ্যা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।
‘আপনারা দয়া করে আমাদের যদি কোনো কর্মকাণ্ডে আপনারা ক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, আমাদের কোনো আচরণে বা কথায় যদি আপনারা মনঃক্ষুণ্ন হয়ে থাকেন, আপনারা আপনাদের মত প্রকাশ করবেন, সমালোচনা করবেন। সেই স্বাধীনতা আমাদের আছে বাংলাদেশে, কিন্তু কেউ আপনারা সহিংসতাকে উৎসাহ দেবেন না।’
আরও পড়ুন:সারা দেশে বাসাবাড়িতে আজ বুধবার রাত থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হবে। আর মোবাইল ডাটা ইন্টারনেট আগামী সপ্তাহের রোববার বা সোমবার চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমন তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনের প্রধান সম্মেলন কক্ষে বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী।
ইন্টারনেট সেবা সম্পর্কিত সার্বিক বিষয়াবলী নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে (বুধবার) রাত থেকে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি বাড়ানো হবে। সারা দেশের বাসা-বাড়িতে আজ রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড চালু হবে, যা আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণ করব।’
আগামী রবি বা সোমবার সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হতে পারে জানিয়ে পলক বলেন, ‘আমরা দৈনিক ৭০-৮০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছি। এছাড়া ফেসবুক ও ইউটিউব কোনোভাবেই বাংলাদেশের আইন মানছে না। এমনকি তারা তাদের নিজেদের পলিসিও মানছে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফেসবুক আমেরিকার কোম্পানি। তারা সে দেশের সরকারের আইন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। কিন্তু আমাদের দেশের পলিসি মানে না। আমাদের সাইবার স্পেস ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে হলে দেশের আইন মেনে ফেসবুককে সোশ্যাল মিডিয়া চালাতে হবে। তারা (ফেসবুক) নিজেদের ব্যবসার কথা চিন্তা করে; কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে না।’
প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, ‘সহিংসতার বিষয়ে ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবকে চিঠি দেয়া হবে। তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশীয় উদ্যোক্তারা ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ তৈরি করলে আমরা সহযোগিতা করব।’
‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ’- শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে এমন একটি পোস্ট দেখা যেতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডিতে।
পোস্টগুলোতে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, গত ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে।’
ফেসবুকে ব্যাপকভাবে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
তবে এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি জানায়, তদন্তে দেখা গেছে একের পর এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিখোঁজ হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করে পোস্ট করা হয়েছিল তাদের অনেককে পরে পাওয়া গেছে। আবার অনেককে পাওয়া গেলেও তা আর জানানো হয় না।
আদাবর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি।’
একই বক্তব্য দেন শাহবাগ থানার ওসি নূর আলম।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে এমন কোনো তথ্য ডিএমপির কাছে নেই।’
তিনি জানান, ৪ থেকে ৬ মে পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্নভাবে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৩৩টি জিডি করা হয়েছে। জুন মাসের ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় জিডি করা হয়েছে ৩৬টি। একইভাবে ৪ থেকে ৬ জুলাই ৭২ ঘণ্টায় ৩২টি জিডি করা হয়।
ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে’ এমন তথ্য সঠিক নয়। এছাড়া নিখোঁজ হওয়া শিশুদের পরবর্তীতে সন্ধান পাওয়া গেছে।”
আরও পড়ুন:
মন্তব্য