শীতকাল এলেই অনেকে ঠান্ডার সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে শিশুদের সর্দি-কাশির সমস্যায় আক্রান্ত হতে দেখা যায় বেশি। পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। তবে সমস্যা কম মনে হলে তুলসীপাতা দিয়ে বানানো পানীয় ট্রাই করতে পারেন।
আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে তুলসীপাতা দিয়ে পানীয়টি বানানোর প্রক্রিয়া তুলে ধরা হয়েছে। চলুন দেখে নেই।
.
উপাদান ও পরিমাণ
তুলসীপাতা: ১০টি
আদা কুচি: দুই টুকরা
গোটা গোলমরিচ: ৪টি
গুড়: ৩ টেবিল চামচ
জল: ৪ কাপ
.
প্রণালি
প্রথমে একটি পাত্রে চার কাপ পানি ফুটিয়ে নিন। ৪-৫ মিনিট ফোটার পর তাতে দিন আদা কুচি, গোলমরিচ আর তুলসীপাতা। আরও কিছুক্ষণ ফুটতে দিন।
এরপর আগুন থেকে নামিয়ে তাতে গুড় দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। গুড় মিশে গেলে উষ্ণ থাকতে থাকতেই পান করুন। স্বাদ বাড়াতে এলাচ কিংবা দারচিনির গুঁড়াও দিতে পারেন। যোগ করতে পারেন লেবুর রসও।
নিয়মিত এক কাপ করে এই পানীয় খেলে সর্দি-কাশির সমস্যা দূর হবে। বাড়বে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ভাইরাসের পাশাপাশি ব্যাক্টেরিয়া আর ছত্রাকের সংক্রমণ রোধ করতেও কাজ করবে।
আরও পড়ুন:শীত-গ্রীষ্মের মতো বর্ষাকালেও চুলের নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই সময়ে চুলের বিশেষ যত্ন নেয়া প্রয়োজন। এবিপি আনন্দ সাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে বর্ষাকালে চুলের যত্ন নেয়ার জন্য কী কী করতে হবে। চলুন দেখে নেই।
-
১. বর্ষাকালে চুল শুকাতে অনেক বেশি সময় নেয়। চুল শুকানোর অর্থ, মাথার ত্বক যেন সঠিকভাবে শুষ্ক থাকে। বিশেষ করে যদি বৃষ্টিতে চুল ভেজে, তাহলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে বৃষ্টিতে ভেজার পর বাড়িতে এসে ফের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়া দরকার। তারপর তা ভালো করে শুকিয়ে তবে বাঁধতে হবে কিংবা শুতে হবে।
-
২. শ্যাম্পু করার মিনিট পনেরো আগে নারকেল তেল দিয়ে তালুতে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে চুলের ময়েশ্চারাইজার সঠিক থাকে। চুল পড়া রোধ করে এবং চুল কোমল থাকে।
-
৩. চুল সুস্থ রাখার জন্য খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ডিম, বাদাম, দুগ্ধজাত খাবার, শস্যদানা এবং প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি খেতে হবে। এ ছাড়া তালিকায় রাখতে হবে টাটকা ফল, যেমন- বেরি, আঙুর। পালং শাক, মিষ্টি আলু খেতে হবে নিয়মিত।
-
৪. চুল যাতে অহেতুক ছিঁড়ে না যায়, তার জন্য ব্যবহার করতে হবে সঠিক চিরুনি। খুব সরু আলের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে চুল তুলনায় অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মোটা আলের চিরুনি দিয়ে ভালো করে রোজ চুল আঁচড়াতে হবে।
-
৫. খুসকির সমস্যা দূর করতে কিংবা চুল পড়া রোধ করতে সপ্তাহে এক দিন হলুদ ও নিমের পেস্ট তৈরি করে তা ব্যবহার করতে হবে। এতে থাকা উপকারী উপাদান চুলের জন্য দারুণ উপকারী।
-
৬. চুলের ডগা ফেটে যাওয়ার সমস্যা রোধ করতে চুল বেঁধে রাখতে হবে। চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। অহেতুক ক্ষতিকর কেমিক্যাল দেয়া রং ব্যবহার করা বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন:মুখের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য সঠিকভাবে দাঁত মাজা এবং মাড়ির যত্ন নেয়া খুবই জরুরি। মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য বজায় না থাকলে তা থেকে হতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা। দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে একসময় মানুষ লবণ দিয়ে দাঁত মাজত। লবণ দিয়ে দাঁত মাজা খারাপ না ভালো, এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই বিষয়টি। চলুন দেখে নেই।
-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, লবণ দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত স্বাস্থ্যকর থাকে। এমন অনেক অসুখ দাঁতে এবং মাড়িতে হয়, যা লবণ দিয়ে দাঁত মাজার ফলে সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
-
২. অত্যধিক মাত্রায় শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়ার ফলে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে দাঁতে। বিশেষজ্ঞদের মতে, লবণ দিয়ে দাঁত মাজলে তাতে থাকা অ্যাসিডজাতীয় উপাদান, শর্করার মাধ্যমে হওয়া ক্ষতি প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এর জন্য় বিশেষ করে সি সল্ট ব্যবহার করার পরামর্শ তাঁদের।
-
৩. লবণে একাধিক উপকারী উপাদান পাওয়া যায়। লবণ দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে মাড়ির যন্ত্রণা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, দাঁতে ব্যথা, মাড়ি ফুলে যাওয়ার সমস্যা দূরে থাকে।
-
৪. কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে মুখ ধুলে মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য বজায় থাকে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। মুখের দুর্গন্ধের সমস্যাও দূর হয় এর মাধ্যমে।
আরও পড়ুন:বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের ফরমাল পোশাক পরতে হয়। ফরমাল পোশাকের অন্যতম অনুষঙ্গ টাই। টাই পরতে গিয়ে অনেকেই ঝামেলায় পড়েন। উইকিহাউ সাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কীভাবে উইন্ডসর নট পদ্ধতিতে টাই বাঁধবেন। চলুন দেখে নেই।
রক্তদান একটি মহৎ কাজ। এর মাধ্যমে মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচিয়ে যে আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায়, অন্য কোনো কাজে সেটা পাওয়া যায় না। আপনজন হোক বা চেনাশোনার মধ্যে কেউ, অথবা মুমূর্ষু কোনো রোগী, রক্তদান করে তাকে নতুন জীবন দান করার চেয়ে ভালো কাজ আর বা কী হতে পারে! কিন্তু শুধু রক্তদান করলেই তো হবে না, নিজের শরীরের যত্ন নেয়াও সমান জরুরি। এবিপি আনন্দ ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে রক্তদানের আগের প্রস্তুতি এবং রক্তদানের পরের সতর্কতার বিষয়গুলো। চলুন দেখে নিই।
-
রক্তদানের আগে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। পাশাপাশি আয়রনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এতে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় থাকবে।
রক্তদানের আগে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। রক্তদানের ৭২ ঘণ্টা আগে যাতে কোনোভাবে জ্বর-সর্দি না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। হলে রক্ত দেয়া যাবে না।
ধূমপান এমনিতেই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তাই ধূমপান বন্ধ করা উচিত। তারপরও দাতা যদি ধূমপায়ী হয়, তাহলে রক্তদানের আগে অন্তত দুই ঘণ্টা ধূমপান না করা ভালো। মদ্যপানের অভ্যাস থাকলে এক দিন আগে মদ না ছোঁয়াই ভালো।
রক্ত দিতে যাওয়ার সময় ব্যাগে নিজের মেডিক্যাল রেকর্ডও রাখতে হবে। কারণ রোগীর স্বার্থে চিকিৎসকরা প্রয়োজন মনে করলে দাতার সবকিছু খুঁটিয়ে দেখতে চাইতে পারেন।
রক্তদানের পর সঙ্গে সঙ্গে শয্যা ছেড়ে ওঠা যাবে না। অন্তত পাঁচ মিনিট একইভাবে শুয়ে থাকতে হবে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা সুষম খাবার খাওয়া জরুরি।
রক্তদানের পর অবশ্যই খাবার খেতে হবে। পেট খালি রাখা যাবে না। যে হাত থেকে রক্ত নেয়া হয়েছে, অন্তত পাঁচ ঘণ্টা সেই হাতে ভারী জিনিস তোলা যাবে না।
রক্তদানের পর একটানা অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন না। চার ঘণ্টা ধূমপান বন্ধ রাখুন। মদ্যপানও বন্ধ রাখুন ২৪ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন:উকুনের সমস্যা মোটেই বিরল কিছু নয়। খুব সহজেই এই পরজীবী একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যাদের চুল ঘন, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা আরও বেশি।
উকুন তাড়াতে অনেকেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে ওষুধ ব্যবহার করতে চান না। আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কীভাবে ঘরোয়া সমাধানেই উকুন থেকে সহজে মুক্তি পাওয়া যায়। জেনে নিন কী ভাবে।
-
নিম তেল
উকুন থেকে মুক্তি পাওয়ার খুব সহজ রাস্তা এটি। শ্যাম্পুর মধ্যে কয়েক ফোঁটা নিম তেল মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পুর সময়ে তালুতে হাল্কা করে রগড়ে নিন এই মিশ্রণ। গোসলের পরে ঘন চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে নিলেই চলে যাবে উকুন ও তার ডিম।
-
বেকিং সোডা
এক ভাগ বেকিং সোডার সঙ্গে তিন ভাগ কন্ডিশনার মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মিনিট ১৫ মাথায় মাখিয়ে রাখুন। তার পরে ঘন চিরুনি দিয়ে চুল টেনে নিলেই উকুন ও তার ডিম চলে যাবে মাথা থেকে।
-
ভিনিগার
সমপরিমাণ ভিনিগার আর পানি মিশিয়ে মাথায় মাখান। এবার তোয়ালে দিয়ে মাথা আধঘণ্টা ঢেকে রাখুন। এরপর ঘন চিরুনি মাথায় চালিয়ে নিলেই বেরিয়ে আসবে ডিমসহ উকুন।
-
মেয়োনিজ
অনেকেই পাউরুটি বা অন্য খাবারের সঙ্গে মেয়োনিজ খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু উকুন তাড়াতেও এটি কার্যকর। সারা রাত মাথায় মেয়োনিজ মাখিয়ে রেখে দিন। ১২ ঘণ্টার বেশি রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। সবাই মাথায় চিরুনি চালিয়ে নিলেই উকুন থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন:বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। প্রতিদিন একমুঠ বাদাম খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। এবিপি আনন্দের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সেই উপকারের কথা। চলুন দেখে নেই।
-
১. বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা উপকারী উপাদান স্বাস্থ্যের নানা ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। ওজন কমানো থেকে স্মৃতিশক্তি উন্নত করা, প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ থেকে নানা অসুখ প্রতিরোধ সমস্তই করতে পারে বাদাম।
-
২. প্রতিদিন যদি একমুঠ করে বাদাম খাওয়া যায়, তাহলে ডায়াবেটিস রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কম হয়। এতে থাকা উপকারী উপাদান রক্তে শর্করার মাত্রা সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
-
৩. ক্যানসারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকিও কম করতে সাহায্য করে বাদাম। এতে থাকা ফলিক অ্যাসিড ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষ করে কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে বাদামের জুড়ি মেলা ভার।
-
৪. যাদের স্নায়ুর রোগ রয়েছে, তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী বাদাম। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত বাদাম খেলে তাতে থাকা ভিটামিন বি, বি৩ উপাদান মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে।
-
৫. স্মৃতিভ্রংশ বা অ্যালজাইমার্স রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বাদাম। তাই ছোট থেকে বড় সবাইকে প্রতিদিন অন্তত একমুঠ বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা জানাচ্ছেন, স্মৃতিভ্রংশের সমস্যা দূর করে স্মৃতিশক্তি আরও প্রখর করে তোলে।
-
৬. ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগ দূর করতে সাহায্য করে বাদাম।
আরও পড়ুন:ফল ও সবজি কাটার জন্য আমরা চপিং বোর্ড ব্যবহার করি। প্লাস্টিক, ফাইবার ও কাঠের তৈরি চপিং বোর্ড বাজারে পাওয়া যায়। খুবই উপকারী এই জিনিসটি ব্যবহারের পর ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে খাবারে জীবাণুর আক্রমণ হতে পারে। এবিপি আনন্দ ওয়েবসাইটের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কীভাবে চপিং বোর্ড পরিষ্কার করতে হবে। চলুন দেখে নেই।
-
১. চপিং বোর্ড ব্যবহারের পর পরই ধুয়ে ফেলুন। ফল কিংবা শাক-সবজি কাটার পর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললেই হবে। তবে চাইলে সাবান পানি দিয়ে ধুতে পারেন।
-
২. মাছ-মাংস কাটার পর চপিং বোর্ড ফেলে রাখলে তাতে জীবাণুর আক্রমণ হতে পারে। তাই এটা করার পর হাঁড়ি-পাতিল ধোয়ার সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।
-
৩. কাঠের চপিং বোর্ড ভালো করে পরিষ্কার করার পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত দুবার তেল মাখিয়ে রোদে দিন। কাঠের বোর্ডে তেল ব্যবহার করলে জীবাণুর সংক্রমণের আশঙ্কা থাকবে না।
-
৪. চপিং বোর্ড ব্যবহারের পর ধুয়ে অনেকেই ভেজা অবস্থায়ই রেখে দেন। এমন অভ্যাসের ফলে জীবাণুর হামলা বেশি হয়। চপিং বোর্ড ব্যবহার করে ধুয়ে নেয়ার পর পরিষ্কার একটি কাপড় দিয়ে মুছে রাখুন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য