× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
The love of two young women is not family in marriage
google_news print-icon

দুই তরুণীর প্রেম, বিয়েতে পরিবারের ‘না’

দুই-তরুণীর-প্রেম-বিয়েতে-পরিবারের-না
প্রতীকী ছবি।
ঢাকায় খেলতে গিয়ে দুজনের পরিচয়। একপর্যায়ে সেটা গড়ায় প্রেমে। প্রেমের টানে সিলেটের তরুণীটি চলে যান গাইবান্ধার তরুণীর বাড়িতে। পরিবারকে দিয়ে ফেলেন বিয়ের প্রস্তাব।

দুজনের দেখা হয়েছে। প্রেম হয়েছে। বিয়ে করতে চান। তবে পরিবার বাধা দেয়ায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন তারা।

দুই পরিবারের রাজি না হওয়ার কারণ- প্রেমে পড়া এ দুজন সমলিঙ্গের মানুষ। তারা দুজন দুই ভিন্ন জেলার নারী ফুটবল দলের সদস্য। একজনের বাড়ি সিলেটে, আরেকজনের গাইবান্ধায়।

ঢাকায় খেলতে গিয়ে দুজনের পরিচয়। একপর্যায়ে সেটা গড়ায় প্রেমে।

প্রেমের টানে সিলেটের তরুণীটি চলে যান গাইবান্ধার তরুণীর বাড়িতে। পরিবারকে দিয়ে ফেলেন বিয়ের প্রস্তাব। এতে ‘আকাশ ভেঙে পড়ে’ পরিবারের বাকি সদস্যদের মাথায়।

অভিমানে এক তরুণী ছুরি দিয়ে হাত কেটে ও অপরজন গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহননের চেষ্টা করেন। দুজনকেই গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে এক তরুণীকে সিলেটে ফিরিয়ে নিয়ে যায় তার পরিবার।

গাইবান্ধা সদর উপজেলার একটি গ্রামে গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই তরুণীর আত্মহত্যা-চেষ্টার ঘটনা ঘটে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে খেলার সুবাদে ঢাকায় দেখা হয় এ দুই তরুণীর। তাদের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়। কিছু দিন পর সিলেটের তরুণী খেলতে যান গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে। সে সময় সদর এলাকায় অপর তরুণীর বাড়িতে ওঠেন তিনি। এভাবে পরস্পরের প্রতি ভালো লাগা তীব্র হতে থাকে। তারা নিয়মিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করতেন।

কয়েক দিন আগে হঠাৎ গাইবান্ধার তরুণীটি মোবাইল ফোনে কথা বলা বন্ধ করে দিলে অস্থির হয়ে সিলেটের তরুণীটি পরিবারের কাউকে না জানিয়ে চলে যান গাইবান্ধায়। এরপর তারা পরিবারকে জানান বিয়ের সিদ্ধান্ত। পরিবার বাধা দিলে দুই তরুণী চেষ্টা চালান আত্মহত্যার।

খবর পেয়ে সিলেট থেকে গাইবান্ধায় চলে আসে অপর তরুণীর পরিবার। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সিলেটের তরুণীটিকে হাসপাতাল থেকে তার নিজের বাসায় ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে পরিবার। তবে নাছোড়বান্দা ওই তরুণী কিছুতেই যেতে রাজি না হওয়ায় শরীরে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করা হয়। তাতেও কাজ না হলে ধস্তাধস্তি করে তাকে গাইবান্ধা বাস টার্মিনাল পর্যন্ত নেয়া হয়। একপর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তরুণী।

এই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন বাস টার্মিনালে থাকা এক ব্যক্তি। সেই ভিডিওতে তরুণীকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ওকে ভালোবাসি। ওকে ছাড়া বাঁচব না। আমি বাড়ি যাব না।’

এদিকে হাসপাতালে দুই তরুণীর চিকিৎসা চলার সময় এক ব্যক্তি তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেই কথোপকথনের ভিডিও ছড়িয়েছে ফেসবুকে।

গাইবান্ধা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর হাসপাতালে দুই তরুণীকে দেখতে যাই। সেখানে তাদের এ থেকে সরে আসতে পরামর্শ দিই। কিন্তু তারা কোনো কথাই শুনতে চায়নি।’

গাইবান্ধার তরুণীটির বিষয়ে কামাল হোসেন বলেন, ‘সে ফুটবল খেলে। শুনেছি সে জেলা নারী দলে খেলে। মাঝে মাঝে সে অন্য জেলাতেও খেলতে যায়।’

তবে ওই তরুণী জেলার নারী ফুটবল দলের সদস্য নন বলে জানিয়েছেন কোচ সুরুজ হক লিটন। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘তাকে আমি চিনতে পারছি না। সে জেলা দলের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলেছে কি না, আমার জানা নেই। তবে স্কুল পর্যায়ে হয়তোবা খেলতেও পারে।’

বিশ্বে এখন পর্যন্ত ৩১টি দেশে সমলিঙ্গের বিয়ে স্বীকৃতি পেলেও বাংলাদেশের আইনে এর কোনো বৈধতা নেই।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে বিয়ের ক্ষেত্রে যেসব আইন আছে তার কোনোটিতেই সমলিঙ্গের বিয়ের বৈধতা নেই। ধর্মীয়ভাবেও এ ধরনের বিয়ে স্বীকৃত নয়।’

প্রতিবেশী দেশ ভারতের উচ্চ আদালত সমকামীদের একসঙ্গে থাকার বৈধতা দিলেও তাদের বিয়ের অধিকার আইনি স্বীকৃতি পায়নি।

ভারতীয় দণ্ডবিধির এ-সংক্রান্ত ৩৭৭ ধারাটি বছর তিনেক আগে বাতিল করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে চলতি বছরের শুরুতে আদালতে দেয়া এক হলফনামায় বলা হয়, সমকামীরা একসঙ্গে থাকার অধিকার পেলেও ভারতীয় সংস্কৃতিতে সমকামীদের বিয়ের কোনো সুযোগ নেই। সরকারের এই হলফনামা দেয়ার পর বিয়ের বিষয়টি নিয়ে আইনি প্রশ্নের চূড়ান্ত মীমাংসা এখনও হয়নি

বাংলাদেশের দণ্ডবিধিতে ৩৭৭ ধারায় ‘অস্বাভাবিক অপরাধসমূহর’ ব্যাখ্যা ও শাস্তির মাত্রা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, ‘যদি কোনো ব্যক্তি, ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো পুরুষ, নারী বা পশুর সঙ্গে প্রাকৃতিক নিয়মের বিরুদ্ধে যৌন-সহবাস করে, তাহলে সে ব্যক্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বা যেকোনো বর্ণনার কারাদণ্ডে- যার মেয়াদ ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে- দণ্ডিত হবে এবং এতদ্ব্যতীত অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হবে।’

আরও পড়ুন:
নারী খেলোয়াড়রা বিশ্বজুড়ে বেতন বৈষম্যের শিকার
মেম্বার প্রার্থী ট্রান্সজেন্ডার আলামিন
সদস্য পদে মনোনয়ন জমা ট্রান্সজেন্ডার সাথীর
ইউপি মেম্বার হতে লড়ছেন ট্রান্সজেন্ডার সবুজা
জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধে একযোগে কাজের আহ্বান

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
First black president at Harvard University

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট

হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির নতুন প্রেসিডেন্ট ক্লদিন গে। ছবি: হার্ভার্ড
১৬৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ক্লদিনকে। তিনি ১৯৯৮ সালে সরকার বিষয়ে হার্ভার্ড থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি।

প্রথমবারের মতো কৃষ্ণাঙ্গ কোনো ব্যক্তিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি।

স্থানীয় সময় শুক্রবার ক্লদিন গেকে নিয়োগ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। বিশ্ববিদ্যালয়টিকে নেতৃত্ব দেয়া দ্বিতীয় নারী ক্লদিন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাসাচুসেটসের গভর্নর ও হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েট মাউরা হ্যালি শুক্রবার বিকেলে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্লদিনের নিয়োগের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট গে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনার দায়িত্বপ্রাপ্তি সত্যিই ঐতিহাসিক। আপনার প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও সমর্থন।’

প্রেসিডেন্ট পদে ব্যাপক অনুসন্ধানের পর হার্ভার্ডের প্রধান নিয়ন্ত্রক বোর্ড হার্ভার্ড করপোরেশন ক্লদিন গেকে নিয়োগ দেয়।

১৬৪০ সালে প্রতিষ্ঠিত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ক্লদিনকে। তিনি ১৯৯৮ সালে সরকার বিষয়ে হার্ভার্ড থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি।

এর আগে কলা ও বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ক্লদিন। তিনি রাজনৈতিক আচরণের ওপর শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ।

২০১৭ সালে ‘ইনইকোয়ালিটি ইন আমেরিকা ইনিশিয়েটিভ’ নামের উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন ছিলেন তিনি। এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য নিয়ে গবেষণা।

আরও পড়ুন:
কৃষ্ণাঙ্গ ওয়াকারের গায়ে ‘৪৬টি গুলি অথবা ক্ষতচিহ্ন’
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী গভর্নর

মন্তব্য

জীবনযাপন
Prime Minister Sheikh Hasinas leadership has been praised at IMO
মেরিটাইম শিল্পে নারীর ক্ষমতায়ন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আইএমও-তে প্রশংসিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব আইএমও-তে প্রশংসিত লন্ডনে ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনে ‘এমপাওয়ারিং উইমেন ইন মেরিটাইম অ্যান্ড ওশান ডিপ্লোম্যাসি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে নেভিগেশন অফিসার, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার এমনকি ক্যাপ্টেনের মতো সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদসহ বিভিন্ন ভূমিকার জন্য বার্ষিক ১০০ জনেরও বেশি মহিলা নাবিক নিয়োগ করা হয়। এই রূপান্তরমূলক প্রচেষ্টাগুলো পুরুষ-প্রধান সামুদ্রিক শিল্পে লিঙ্গ বৈচিত্র্যের প্রচারে প্রভাব ফেলেছে।’

লন্ডনে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্যানেল আলোচনার বক্তারা মেরিন একাডেমিতে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করাসহ মেরিটাইম শিল্পে নারীদের উৎসাহিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।

লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনে (আইএমও) ‘এমপাওয়ারিং উইমেন ইন মেরিটাইম অ্যান্ড ওশান ডিপ্লোম্যাসি’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সূত্র: ইউএনবি

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি আইএমও-তে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এবং উইমেন ইন ডিপ্লোম্যাসি নেটওয়ার্ক (ডব্লিউডিএন), লন্ডনের সভাপতির দায়িত্বে নিয়োজিত।

বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, আইএমও-তে নিয়োজিত স্থায়ী প্রতিনিধি, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞসহ ১০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি এতে অংশ নেন।

বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্পে নারীদের কম উপস্থিতির কথা তুলে ধরে হাইকমিশনার তাসনিম বলেন, বিশ্বব্যাপী ১ দশমিক ২ মিলিয়ন সনদপ্রাপ্ত নাবিকের মধ্যে নারী মাত্র ১ দশমিক ২৮ শতাংশ। অন্যদিকে ক্রুজ শিল্পে শ্রমশক্তির মাত্র ২ শতাংশ নারী।

হাইকমিশনার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেরিন ইন্ডাস্ট্রিতে নারী ক্যাডেট নিয়োগের দূরদর্শী সিদ্ধান্তের জন্য গর্ব বোধ করি। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে নেভিগেশন অফিসার, মেরিন ইঞ্জিনিয়ার এমনকি ক্যাপ্টেনের মতো সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট পদসহ বিভিন্ন ভূমিকার জন্য বার্ষিক ১০০ জনেরও বেশি মহিলা নাবিক নিয়োগ করা হয়।

‘এই রূপান্তরমূলক প্রচেষ্টাগুলো ঐতিহ্যগতভাবে পুরুষ-প্রধান সামুদ্রিক শিল্পে লিঙ্গ বৈচিত্র্যের প্রচারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।’

দূত নারী-পুরুষ সমতা বাড়াতে ও সামুদ্রিক খাতে নারীদের কণ্ঠ জোরদার করতে বিআইএমসিওসহ আইএমও সচিবালয়, আইএমও-এর সহযোগী সদস্য, উইমেনস ইন্টারন্যাশনাল শিপিং অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউআইএসটিএ) ইন্টারন্যাশনাল, উইমেন ইন মেরিটাইম অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউআইএমএএস) এবং নেতৃস্থানীয় শিপিং শিল্প সমিতিগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করার জন্য ডাব্লিউডিএন-এর দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী নারী নাবিকসহ নাবিকদের অবদানের ওপর বাংলাদেশ হাইকমিশনের তৈরি একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়, যা অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করে ও প্রশংসিত হয়।

উচ্চ পর্যায়ের এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড এক্সটারনাল রিলেশনস ডিভিশনের ডিরেক্টর ডোরোটা লস্ট সিমিনস্কা, যুক্তরাজ্যে মালদ্বীপের হাইকমিশনার ড. ফারাহ ফয়জল, জর্জিয়ার আইএমও-এর রাষ্ট্রদূত ও জনসংযোগ সোফি কাস্ত্রাভা, অ্যান্টিগুয়া ও বারমুডার হাইকমিশন কারেন-মাই হিল ওবিই, স্টেট ডিপার্টমেন্ট ফর শিপিং অ্যান্ড মেরিটাইম কেনিয়ার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি রাষ্ট্রদূত ন্যান্সি ডব্লিউ কারিগিথু, আইএমওর মার্শাল আইল্যান্ডের টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ও কার্গোস অ্যান্ড কন্টেইনার ক্যারেজ অন আইএমও সাব-কমিটির চেয়ার মেরিয়ান অ্যাডামস, আইএমওতে আর্জেন্টিনার জনসংযোগ এবং ইউএস জারেড ব্যাংকসের জনসংযোগ ফার্নান্দা মিলিশে, সৌদি আরবের এপিআর হায়াত আল ইয়াবিস এবং এডিটর অব ম্যাগাজিন লন্ডনের সম্পাদক এলিজাবেথ স্টুয়ার্ট।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Female Dog Handler in Police

পুলিশে নারী ডগ হ্যান্ডলার

পুলিশে নারী ডগ হ্যান্ডলার এপিবিএনে যুক্ত হয়েছেন নারী ডগ হ্যান্ডলার। ছবি: নিউজবাংলা
সাতজন নারী পুলিশ সদস্য বেসিক কেনাইন হ্যান্ডলার ট্রেনিং কোর্সে অংশ নিয়ে নতুন যুগের সূচনা করেছেন।

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটলিয়নে (এপিবিএন) দেশে প্রথমবারের মতো নারী পুলিশ সদস্যদের ডগ হ্যান্ডলার হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।

সাতজন নারী পুলিশ সদস্য বেসিক কেনাইন হ্যান্ডলার ট্রেনিং কোর্সে অংশ নিয়ে নতুন এ যুগের সূচনা করেছেন।

নারীদের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন যুক্তরাজ্য ও নিউজিল্যান্ডের পেশাদার ডগ স্কোয়াড প্রশিক্ষক টনি ব্রাইসন ও মেলিন ব্রডউইক।

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও এয়ারপোর্ট এপিবিএনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি নারী পুলিশ সদস্যরা সফলতার সঙ্গে শেষ করেছেন।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদের হাতে বৃহস্পতিবার সকালে সমাপনী সনদ তুলে দেন এয়ারপোর্ট এপিবিএন অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি তোফায়েল আহম্মদ, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম ও ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মোহাম্মদ জিয়াউল বলেন, ‘২০১৭ সালে দুইটি ল্যাবরেডর, দুইটি জার্মান শেফার্ড ও চারটি বেলজিয়ান ম্যালিনয়েস জাতের কুকুর এবং ১৬ জন হ্যান্ডলার নিয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের কেনাইন ইউনিট যাত্রা শুরু করে। শুধু বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষায় ডেডিকেটেড এই ডগ স্কোয়াড বিমানবন্দরে আসা যাত্রী, সহযাত্রী এবং তাদের ব্যাগেজ স্ক্রিনিংয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়াও ক্যানোপি নিরাপত্তা, পার্কিং এরিয়া এবং যানবাহনে বিস্ফোরক পদার্থের উপস্থিতি সার্চ, ব্যাগেজ বেল্ট এলাকার নিরাপত্তা রক্ষা এবং ভিভিআইপি নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।’

এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডগ স্কোয়াডে ২০২৫ সালের মধ্যে কুকুরের সংখ্যা ৬৬টি করার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান জিয়াউল হক।

তিনি বলেন, ‘তৃতীয় টার্মিনালের সম্ভাব্য বিশাল অপারেশনের কথা মাথায় রেখে এই পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে ব্রিটেন এবং নেদারল্যান্ডস থেকে আরও অন্তত ১৫টি ডগ এই স্কোয়াডে যুক্ত হবে। বর্তমানে ভগগুলো এক্সপ্লোসিভ সার্চের জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হলেও অচিরেই নারকোটিকস ডগ, ট্রাকিং ডগ, কারেন্সি শিফিং ডগও এই বহরে যুক্ত হবে। এ সকল ট্রেনিংয়ে কারিগরি ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নকে সহায়তা করবে ঢাকার ইউএস অ্যাম্বাসি।’

পরিপূর্ণ ডগ স্কোয়াড বিমানবন্দরে নাশকতা, মাদক চোরাচালান, স্বর্ণ চোরাচালন, মুদ্রা পাচার রোধে অসামান্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে জানান অনুষ্ঠানে উপস্থিত আলোচকরা।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Cowcart procession on Womens Day

নারী দিবসে গরুর গাড়ির শোভাযাত্রা

নারী দিবসে গরুর গাড়ির শোভাযাত্রা আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বুধবার যশোরে বের হয় শোভাযাত্রা। ছবি: নিউজবাংলা
গরুর গাড়ির পেছনে পেছনে নারীরা নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানারসহ অধিকার সংবলিত বিভিন্ন প্যানা নিয়ে অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কালেক্টরেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসে যশোরে ব্যতিক্রমী গরুর গাড়ির শোভাযাত্রা বের হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা সদরের কালেক্টরেট চত্বরে শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।

জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা অধিদপ্তর আয়োজিত শোভাযাত্রায় অংশ নেন বিভিন্ন নারী সংগঠনের সদস্যরা। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কালেক্টরেট চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

গরুর গাড়ির পেছনে পেছনে নারীরা নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানারসহ অধিকার সংবলিত বিভিন্ন প্যানা নিয়ে অংশ নেন। পরে কালেক্টরেট সম্মেলনের অমিত্রাক্ষর সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন:
নারীর যথাযথ কাজের সুযোগ আজও হয়নি
ট্রান্সজেন্ডার নারীদের নিয়ে নারী দিবসের আয়োজন
নারী নিরাপত্তা ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সম্মান জানাল আইইউবি
নারী দিবসে বিনামূল্যে মেডিক্যাল ক্যাম্প
মেয়েদের ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার বানিয়ে সংবর্ধনা পেলেন গ্রামপুলিশ মা

মন্তব্য

জীবনযাপন
Sabina has won the battle of life by leaving the odds behind

প্রতিকূলতা পেছনে ফেলে জীবনযুদ্ধে জয়ী সাবিনা 

 প্রতিকূলতা পেছনে ফেলে জীবনযুদ্ধে জয়ী সাবিনা  সাবিনা ইয়াসমিন। কোলাজ: নিউজবাংলা
নওগাঁ সদর উপজেলার ইউএনও মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, ‘সাবিনা ইয়াসমিন জীবনের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে বর্তমানে অদম্য একজন নারী হিসেবে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন এই সমাজে। তিনি নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রতিকূলতাকে জয় করে স্বাবলম্বী নারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।’

নওগাঁর সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নের আবাদপুর পূর্বপাড়া গ্রামের সাবিনা ইয়াসমিন তার জীবনের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে বর্তমানে তিনি একজন সফল নারী। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালন ও বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করে তিনি তার ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। সন্তানদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলাই এখন তার স্বপ্ন।

ইতোমধ্যে সাবিনা ইয়াসমিন ২০২২ সালে ‘জয়িতা অন্বেষণ বাংলাদেশ কার্যক্রমের আওতায়’ উপজেলা পর্যায়ে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরিতে পেয়েছেন জয়ীতা সবংর্ধনা।

১২ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর নিঃস্ব হয়ে পড়েছিলেন দুই সন্তানের মা ৩৫ বছর বয়সী সাবিনা ইয়াসমিন। ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে শুরু হয় তার টিকে থাকার সংগ্রাম। হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালন ও বিভিন্ন সবজি চাষ শুরু করেন তিনি। আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে তার জীবনযুদ্ধের চাকা। তিনি এখন স্বাবলম্বী। তার সাফল্য দেখে স্থানীয়রাও খুশি।

সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘আমার স্বামী যখন মারা যায় তখন আমার ছেলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ত আর মেয়ের বয়স ছিল পাঁচ মাস। স্বামীর চিকিৎসা বাবদ রেখে যাওয়া প্রায় ১০ লাখ টাকা ঋণ। স্বামীর মৃত্যুর পর খুব অভাব-অনটন ছিল সংসারে। কীভাবে সংসার চালাবো এবং ছেলে-মেয়েদের মানুষ করবো এই নিয়ে খুব চিন্তা হত। কি করবো, না করবো কিছু ভেবে পাচ্ছিলাম না। সেই সময় পাশে এসে কেউ দাঁড়ায়নি। বরং অনেকে বলত এত কম বয়সে স্বামীর মৃত্যুর হয়েছে, হয়তো কোথাও চলে যাবো।

‘এত টাকা ঋণ ছিল যে, কেউ নতুন করে আর টাকা ধার দিতে চাইতো না। পরবর্তী সময়ে মন থেকে সব হতাশা ঝেড়ে ফেলে, ছেলে-মেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে, জীবনের চরম সত্যটাকে মেনে নিয়ে স্বামীর রেখে যাওয়া একটি সোনার চেইন বিক্রি করে দুটি গরু পালন শুরু করি। তিন মাস পর দুটি গরু থেকে প্রায় ১৬ হাজার টাকা লাভ হয়। পরে আরও তিনটি গরু পালনের পাশাপাশি হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন রকম সবজির চাষ শুরু করি । হাঁস-মুরগির ডিম ও সবজি বিক্রি করে সংসার চলতো। এভাবেই আস্তে আস্তে সংসারে কিছুটা আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে।’

সাবিনা ইয়াসমিন আরও বলেন, ‘প্রথমে স্বামীর চিকিৎসা বাবদ বাইরে থেকে ঋণ নেয়া দুই লাখ টাকা পরিশোধ করি। এরপর আস্তে আস্তে আমার স্বামীর তিন বিঘা জমি চিকিৎসার জন্য বন্ধক রাখা হয়েছিল, সেসব জমি ফেরত নিয়েছি। বর্তমানে আরও ৪ বিঘা জমি নিজে বন্ধক নিয়েছি। সংসার চালানো থেকে শুরু করে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনাসহ সব খরচ বাবদ বছরে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় হয়। বলতে গেলে আমি একা একাই স্বাবলম্বী হয়েছি। এখন এলাকার মানুষও সহযোগিতা করে।’

জীবনযুদ্ধে জয়ী এই নারী বলেন, ‘আমার আশা-ভরসা ও নিঃসঙ্গ জীবনে দুই ছেলে-মেয়েই ছিল সব। নিজের সুখকে বিসর্জন দিয়ে সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়তে এবং কারও কাছে যেন হাত পাততে না হয়, সেজন্য পরিশ্রম করে এখন এ পর্যায়ে এসেছি। বর্তমানে ছেলে নওগাঁ সরকারি কলেজে ও মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা শেষ করে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভালো কোনো সরকারি চাকরি করবে এমনটাই প্রত্যাশা।’

স্থানীয় বাসিন্দা সহিদা বেগম বলেন, ‘স্বামীর মৃত্যুর পর অনেক কষ্ট করেছেন সাবিনা। অনেক কষ্ট করে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি চাষ করতেন। এসব করেই স্বামীর বন্ধক রাখা জমি ফেরত নিয়েছেন। আবার অন্যের জমিও বন্ধক নিয়েছেন। এখন স্বাবলম্বী হয়ে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ভালোভাবে চলছে তার সংসার।’

স্থানীয় আরেক বাসিন্দা মতিউর রহমান বলেন, ‘আমার চাচা মারা যাওয়ার পর চাচি দুইটা ছেলে-মেয়েকে নিয়ে অনেক কষ্ট করেছে। এরপর তিনি তার পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে এই জায়গায় এসেছেন।’

নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, ‘সাবিনা ইয়াসমিন জীবনের সব প্রতিবন্ধকতা দূর করে বর্তমানে অদম্য একজন নারী হিসেবে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন এই সমাজে। তিনি নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে প্রতিকূলতাকে জয় করে স্বাবলম্বী নারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে সাবিনা ইয়াসমিনকে ‘অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী’ ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে জয়ীতা সবংর্ধনাও দেয়া হয়েছে। তার যদি কোনোরকম সাহায্য সহযোগিতা প্রয়োজন হয় আমাদেরকে জানালে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ-বৈষম্য দূর করার তাগিদ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার সিক্সে বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
সংসারে সবচেয়ে কঠিন কাজ নারীরাই করেন: দীপু মনি
নারীত্ব গোপন করে পুরুষের দুর্বিষহ জীবন জেনেছিলেন যে নোরাহ

মন্তব্য

জীবনযাপন
Digital technology and innovation will eliminate gender discrimination

‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’

‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শহীদ মিনারে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট। ফাইল ছবি
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষে বুধবার দুপুর আড়াইটায় এক শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হবে।

‘ডিজিটাল প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন, জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও বুধবার উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা আলাদা বাণী দিয়েছেন। এ বাণীতে তারা বিশ্বের সব নারীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ উপলক্ষে বুধবার দুপুর আড়াইটায় এক শোভাযাত্রার আয়োজন করেছে। শোভাযাত্রাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে এসে শেষ হবে।

মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে বুধবার সরকারি ছুটি থাকায় এ বছর নির্ধারিত সেমিনারটি পরবর্তীতে অনুষ্ঠিত হবে। খবর বাসস।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার জানানো হয়, বাংলাদেশে নারী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত সংগঠনগুলোর জাতীয় মোর্চা সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে শোভাযাত্রা, সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এটি অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘ডিজিটাল বিশ্ব হোক সবার নারীর: অধিকার সুরক্ষায় ও সহিংসতা মোকাবিলায় চাই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন বৈষম্যহীন সৃজনশীল প্রযুক্তি।’

দিবসটি উপলক্ষে বিনা মূল্যে নারীদের ‘স্তন ও জরায়ুমুখের ক্যান্সার’ পরীক্ষা ও সচেতনতামূলক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে হেলথ এ্যান্ড হোপ হাসপাতাল। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পান্থপথে হেলথ এ্যান্ড হোপ হাসপাতালে এটি অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় প্রেসক্লাব আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজন করছে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠান। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এটি অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সকাল ১০টায় শোভাযাত্রা, নারী দিবসের বার্ষিক সংকলন ‘কন্ঠস্বর’ এর মোড়ক উন্মোচন এবং বেলা ১১টায় আলোচনা সভা।

এসোসিয়েশন অফ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার সাংবাদিক ফোরাম আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আয়োজন করেছে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে “প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনীতে সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ি, নারী-পুরুষের সমতা, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখি” শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও রয়েছে নানা আয়োজন। নাট্য সংগঠন স্বপ্নদল হেলেন কেলার সম্মাননা ও বিশেষ নাটক মঞ্চায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে মঞ্চায়িত হবে হেলেন কেলারের জীবন-কর্ম-স্বপ্ন-সংগ্রাম ও দর্শনভিত্তিক বিশেষ নাটক ‘ হেলেন কেলার’। প্রদর্শনীর আগে নিবেদিতপ্রাণ নাট্যজন জয়িতা মহলানবীশকে স্বপ্নদলের ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস সম্মাননা ২০২৩’ প্রদান করা হবে।

২০১২ সাল থেকে প্রতিবছর আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘স্বপ্নদল’ নারী নাট্যকর্মীদের এ সম্মাননা দিয়ে আসছে। স্বপ্নদলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার সিক্সে বাংলাদেশ
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের
সংসারে সবচেয়ে কঠিন কাজ নারীরাই করেন: দীপু মনি
নারীত্ব গোপন করে পুরুষের দুর্বিষহ জীবন জেনেছিলেন যে নোরাহ
নারী যুব বিশ্বকাপের দল ঘোষণা

মন্তব্য

জীবনযাপন
Despite the law womens protection is not being ensured

আইন থাকা সত্ত্বেও নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত সম্ভব হচ্ছে না

আইন থাকা সত্ত্বেও নারীর সুরক্ষা নিশ্চিত সম্ভব হচ্ছে না নারীদের অধিকার ও প্রাসঙ্গিক আইন শিরোনামে গোলটেবিল বৈঠক। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাইমা হক বলেন, ‘পারিবারিক আদালতের বিচারকদের কাউন্সেলিং প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন রয়েছে। কোনো দম্পতি যখন তালাকের আবেদন করেন, তখন তাদের সন্তান থাকলে তাকে কার জিম্মায় দেয়া উচিত, সামাজিক ও মানসিক পরিস্থিতি কী এগুলো বোঝার জন্য বিচারকদের এ ধরনের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। একইসঙ্গে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’

পর্যাপ্ত আইন থাকা সত্ত্বেও দেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। শুধু আইনের ওপর নির্ভর করাই নয়, নারীদের তাদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন করাটাও জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ফাউন্ডেশন ফর ল এ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফ্ল্যাড) ও বাংলা ট্রিবিউনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। নারীদের অধিকার ও প্রাসঙ্গিক আইন (স্বাধীনতাত্তোর ৫১ বছরের মূল্যায়ন) শিরোনামে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. নাইমা হক বলেন, ‘পারিবারিক আদালতের বিচারকদের কাউন্সেলিং প্রশিক্ষণ দেয়া প্রয়োজন রয়েছে। কোনো দম্পতি যখন তালাকের আবেদন করেন, তখন তাদের সন্তান থাকলে তাকে কার জিম্মায় দেয়া উচিত, সামাজিক ও মানসিক পরিস্থিতি কী এগুলো বোঝার জন্য বিচারকদের এ ধরনের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। একইসঙ্গে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেতনতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’

অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেলা জজ ড. মো. শাহজাহান বলেন, ‘বিচারের ক্ষেত্রে বিলম্বের কারণে নারীরা বেশি ভুক্তভোগী হন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নারী অধিকারের বিষয়ে সচেতন হতে হলে শিক্ষার বিষয়ে জোর দিতে হবে। তবে সেটি যে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা হতে হবে তা কিন্তু না। এছাড়াও এক্সেস টু জাস্টিস নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি আর্থিক সক্ষমতা থাকলে বিচারিক সিস্টেমে আমরা প্রবেশ করতে পারবো। তবে সবকিছুর মূলে আমাদের সচেতন হতে হবে। পত্র-পত্রিকা পড়ার অভ্যাস করতে হবে।’

সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমরা অনেক আইন পেয়েছি। মানবপাচার, পারিবারিক সহিংসতা নিরোধসহ প্রভৃতি বিষয়ে অনেক আইন এসেছে। আইনের আওতায় এসেও আমাদের নারী অধিকারের বিষয়ে যতটুকু অর্জন হওয়ার কথা ছিল তা কিন্তু আমরা পাইনি। দেখতে পাচ্ছি সচেতনতার অভাবে অনেকাংশে আমাদের নারীদের অর্জনের জায়গাটিও দিন দিন কর্তন করা হচ্ছে।

‘যৌন হয়রানি রোধে একটি গাইডলাইন ছিল যা আইনে রূপান্তর করা হয়নি। এভাবে অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে আমাদের কাজ করার রয়েছে। তাহলেই হয়তো আমরা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব করতে পারবো।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ বলেন, ‘আইন রয়েছে ঠিক। কিন্তু আমরা আমাদের বাবা-ভাই-ছেলেদের থেকেই উপযুক্ত সম্মান পাই না। তাই নারীর প্রতি বৈষম্য হয়তো পুরোপুরি দূর করতে পারবো না। কিন্তু কমিয়ে আনতে পারবো। এজন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তাই আসুন ঘর থেকেই এই সচেতনতা বৃদ্ধির কাজ শুরু করি।’

বাংলা ট্রিবিউনের বিশেষ প্রতিবেদক উদিসা ইসলাম বলেন, ‘মাঠপর্যায়ে কাজ করার সময় আমরা নির্যাতিত নারীদের দেখতে পাই। আইন আছে বাস্তবায়ন নেই, এ কথাটা সবসময় শুনতে পাই। আমার মনে হয়, এসব বিষয়ে আমাদের করণীয়, সম্ভবপর কাজগুলো কী সে বিষয়ে একসঙ্গে বসে সব ঠিক করা। সেক্ষেত্রে ফ্ল্যাডের সঙ্গে গণমাধ্যমের যুক্ত হওয়ার বিষয়টি সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছি।’

ফ্লাডের পরিচালক ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল আলমের সঞ্চালনা ও ফ্লাডের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজের সভাপতিত্বে এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মলয় সাহা। এ সময় অনুষ্ঠানে মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ার হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়
‘ওয়াও ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশ’-এর উদ্বোধন শুক্রবার
রিভলবারের বাট দিয়ে নারীর মাথা ফাটালেন বিচারকের দেহরক্ষী
কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ-বৈষম্য দূর করার তাগিদ
শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার সিক্সে বাংলাদেশ

মন্তব্য

p
উপরে