× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
Some incredible benefits of working at Google
google_news print-icon

গুগলে চাকরি করার কিছু অবিশ্বাস্য সুবিধা

গুগলে-চাকরি-করার-কিছু-অবিশ্বাস্য-সুবিধা
গুগলার্সদের ফিটনেস নিয়েও গুগলের ভাবনার অন্ত নেই। প্রতিটি অফিসের পাশেই রয়েছে ফিটনেস সেন্টার বা জিম। এই জিমগুলোতে উপযুক্ত সময় অনুযায়ী কর্মীরা গিয়ে শরীরচর্চা করতে পারেন। প্রত্যেক কর্মীর মেম্বারশিপ ফি গুগলের পক্ষ থেকে বহন করা হয়।

গুগল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার ব্যাপারে জানে না, পৃথিবীতে এমন মানুষ বিরল। আজকাল তো গুগল ছাড়া কোনো কাজই চলে না। গুগল সার্চ, জিমেইল, গুগল আর্থ, গুগল ম্যাপ, ইউটিউব, গুগল ড্রাইভসহ গুগলের আরও অনেক সেবার সঙ্গে আমরা নির্ভরশীল। গুগল পৃথিবীর প্রায় সব মানুষের জীবন আরও সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করে তুলেছে।

সেই গুগলে কাজ করা কর্মীদের জীবন কেমন বা কতটুকু স্বাছন্দ্যময়?

গুগলে চাকরি করার কিছু অবিশ্বাস্য সুবিধা

পার্ক আপ ডট কমের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কিছু চমৎকার তথ্য। যেখানে দেখা যায় গুগলে কাজ করা কর্মীদের অবিশ্বাস্য সব সুযোগ-সুবিধার কথা। এ নিয়ে আজকের আয়োজন-

বলা হয়, কর্মীদের পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধাদানকারী প্রতিষ্ঠান হলো গুগল। এই ধারণাটিকে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যাবে না। অনেকের মতে, কর্মীদের দৈনন্দিন জীবনকে সবার থেকে আলাদা ও স্বাছন্দ্যময় করে তোলার ব্যাপারটি গুগলের সফলতার পেছনে একটি বিশেষ কৌশল হিসেবেও কাজ করেছে।

গুগলে চাকরি করার কিছু অবিশ্বাস্য সুবিধা

পৃথিবীর অন্যতম বড় ও সফল এই প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো নিয়ম-শৃঙ্খলা, অনন্য কর্মপরিবেশ এবং দারুণ সব সুবিধাদি দিয়ে কর্মীদের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে আরামদায়ক ও ইতিবাচক জায়গা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা।

গুগলে চাকরি করার কিছু অবিশ্বাস্য সুবিধা

গুগলে কাজ করা কর্মীদের একটি পরিচিত ডাকনাম হলো গুগলার্স। টেক জায়ান্ট বলে খ্যাত এই প্রতিষ্ঠানটি সবচেয়ে মেধাবী মানুষগুলোকে নিজেদের কর্মী বানাতে সদা তৎপর। এই মেধাবীদের কাজের উপযোগী করে তুলতে সর্বাধুনিক কর্মপরিবেশ গড়ে তুলেছে গুগল। মনে করা হয়, এতে প্রতিষ্ঠানেরই লাভ। গুগল বিশ্বাস করে, কর্মীদের পরিতৃপ্তির ভেতরেই অনেকাংশে প্রতিষ্ঠানের সফলতা নির্ভর করে।

গুগলে চাকরি করার কিছু অবিশ্বাস্য সুবিধা

প্রথমেই বলা যাক তাদের স্বাস্থ্য-সুবিধার কথা। কাজে যোগ দেয়ার পর প্রথমেই গুগল কর্মীদের ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থা করে। একজন মানুষের যে কোনো শারীরিক সমস্যারই নিশ্চয়তা দেয় এই ইন্স্যুরেন্স। সুবিধাটি শুধু কর্মীরাই নয়, তাদের পরিবারের সব সদস্যের জন্যও প্রযোজ্য। সাধারণ চিকিৎসা খরচের কথা চিন্তা করে যে কোনো পদমর্যাদার কর্মীকে প্রতিবছর আলাদা করে ১ হাজার ডলারও প্রদান করে গুগল। এমনকি সে পার্টটাইম কর্মী হলেও। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক বিপদ এড়াতে গুগলের নিজস্ব মেডিক্যাল স্টাফ তো রয়েছেই।

গুগলে চাকরি করার কিছু অবিশ্বাস্য সুবিধা

কর্মীদের কাজ এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক ব্যাপারে আরও দক্ষ ও কর্মপটু করে তুলতে গুগল নানা রকম শিক্ষা-কার্যক্রমের ব্যবস্থা করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কর্মঘণ্টার ২০ ভাগ সময় গুগলার্সরা নিজেদের আগ্রহের বিষয় বা কাজ নিয়ে নানা রকম গবেষণা ও পড়াশোনার কাজে ব্যয় করতে পারে। লার্নিং ল্যাঙ্গুয়েজ বা কোডিংসহ অন্যান্য পড়াশোনার কাজে যদি কোনো কর্মী কোথাও ভর্তি হয়, তবে সেই কর্মীকে বার্ষিক ১২ হাজার ডলার টিউশন ভাতা দেয়া হয়। বিভিন্ন বিভাগে বিশ্বসেরা ব্যক্তিদের এনে সেমিনারের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে যে কোনো কর্মী সামাজিক কাজ এবং রাজনীতিও করতে পারেন।

গুগলে চাকরি করার কিছু অবিশ্বাস্য সুবিধা

গুগলের আরেকটি অন্যতম সুবিধা হলো- মাতৃত্বকালীন ছুটি। যদি দেখা যায় কোনো কর্মী বা কর্মীর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা, এ ক্ষেত্রে গুগলের পক্ষ থেকে পুরুষকে ৬ সপ্তাহ এবং নারীকে ১৮ সপ্তাহের ছুটি দেয়া হয়। এ সময় তাদের সাধারণ আর্থিক সুযোগ-সুবিধা চলমান থাকে।

গুগলে চাকরি করার কিছু অবিশ্বাস্য সুবিধা

এ ছাড়া অন্যসব ছুটি বা অসুস্থতার কারণে অফিস করতে না পারলেও বেতন অনুযায়ী গুগলার্সরা অর্থ পেতে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হয়- তারা কোন পদে কর্মরত, সাধারণত সপ্তাহে কয় ঘণ্টা কাজ করে এবং কদিন যাবৎ প্রতিষ্ঠানের কর্মী হিসেবে নিয়োজিত আছে সেসব।

গুগলে চাকরি করার কিছু অবিশ্বাস্য সুবিধা

যদি কোনো কর্মী কাজ ছেড়ে চলেও যায়, তখনও সে এককালীন একটা অর্থ পেয়ে থাকে। গুগল কর্মীদের কাজ করার পরিবেশকে এতটাই আরামদায়ক করে দিয়েছে যে কর্মীরা প্রতি সপ্তাহেই নির্দিষ্ট দুটি দিন ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা ঘরে বসে কাজের সুবিধা পেয়ে থাকেন। এমনকি বছরে চার সপ্তাহ যেকোনো জায়গায় থেকে অফিশিয়াল কাজ কর‍তে পারেন।

খাবার-দাবারের ক্ষেত্রেও গুগলের কর্মীরা অন্যান্য জায়গা থেকে অনেক বাড়তি সুবিধা পায় প্রতিষ্ঠানটিতে। এটি গুগলের সবচেয়ে জনপ্রিয় সুবিধাগুলোর মধ্যে অন্যতম। যেমন- প্রতিদিন দুপুরের খাবার খেতে কর্মীদের বাড়তি কোনো খরচ বা ঝামেলা পোহাতে হয় না। সবার জন্য রয়েছে ফ্রি লাঞ্চের ব্যবস্থা।

গুগলে চাকরি করার কিছু অবিশ্বাস্য সুবিধা

গুগলের নিজস্ব রেস্টুরেন্ট, ক্যাফেসহ বিভিন্ন খাবারের বুথ রয়েছে। গুগলার্সরা এসব জায়গা থেকে বিনা মূল্যে খাবার খেতে পারেন। মজার ব্যাপার হলো প্রত্যেক কর্মীর ২০০ মিটারের মধ্যে নানা রকম খাবারের ব্যবস্থা থাকে। যাতে কোনো কর্মীকে ক্ষুধাপেটে কাজ না করতে হয়। আর যদি এসব খাবার পর্যাপ্ত না হয়? সে কথা চিন্তা করে গুগলার্সদের রান্নাও শেখানো হয়ে থাকে। কেউ চাইলে নিজেই যে কোনো খাবার রান্না করে খেতে পারবে।

গুগলার্সদের ফিটনেস নিয়েও গুগলের ভাবনার অন্ত নেই। প্রতিটি অফিসের পাশেই রয়েছে ফিটনেস সেন্টার বা জিম। এই জিমগুলোতে উপযুক্ত সময় অনুযায়ী কর্মীরা গিয়ে শরীরচর্চা করতে পারে। প্রতিটি কর্মীর মেম্বারশিপ ফি গুগলের পক্ষ থেকে বহন করা হয়।

শুধু শারীরিকই নয়, কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও গুগল যথেষ্ট সচেতন। প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের আয়োজন করে থাকে। তাদের জন্য মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার এবং কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়া যেসব কর্মী মানসিক সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য বিভিন্ন মেন্টাল হেলথ বিষয়ক অ্যাপে ফ্রি অ্যাকসেস দেয়া থাকে। তারা চাইলেই এসব অ্যাপ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা গ্রহণ কর‍তে পারেন। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, বর্তমান সময় বিবেচনায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।

গুগলে চাকরি করার কিছু অবিশ্বাস্য সুবিধা

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, গুগল কর্মীদের লন্ড্রি সুবিধা পর্যন্ত দেয়। তারা মনে করে, সারা দিনের পরিশ্রম শেষে কর্মীরা নিশ্চয়ই ক্লান্ত থাকবে। যাতে বাসায় ফিরে আর কাপড় ধোয়ার ঝামেলা না পোহাতে হয়, সেদিকেও তাদের খেয়াল থাকে। এমনকি গুগলার্সদের জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেই চুল কাটার ব্যবস্থাও করা হয়। কারণ প্রতিষ্ঠানটি মনে করে অন্য কোথাও চুল কাটতে যে বাড়তি সময়টি নষ্ট হয় সেটি কর্মীরা উৎপাদনশীল কাজে ব্যয় করতে পারবেন। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো- এসবের জন্য কোনো বাড়তি খরচ গুনতে হয় গুগলার্সদের।

কর্মীরা চাইলেই কাজের ফাঁকে গেম খেলা এবং সিনেমা দেখার মতো বিনোদনমূলক কাজেও নিজেদের সময় কাটাতে পারেন। এসব ব্যবস্থার কারণ হলো গুগলার্সদের মানসিকভাবে প্রফুল্ল রাখা। যাতে তারা কোনোভাবেই ক্লান্তি অনুভব না করে। গুগলের লক্ষ্য হলো প্রতিদিন কর্মীরা যেন হাসিমুখে অফিসে আসতে পারেন এবং সম্পূর্ণ দুশ্চিন্তামুক্তভাবে নিজেদের কাজে মনোযোগ দিতে পারেন।

এসবের জন্যই গুগল বর্তমানে পৃথিবীর বড় বড় টেক জায়ান্টদের পেছনে ফেলে সবচেয়ে উত্তম কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করতে পেরেছে। বড় বড় কোম্পানিগুলো এ বিষয়ে গুগলকে নিজেদের আদর্শ মনে করে।

আরও পড়ুন:
কোভিড টিকা না নিলে চাকরি যেতে পারে গুগল কর্মীদের
ফেসবুক-গুগলের অ্যালগরিদম খতিয়ে দেখবে অস্ট্রেলিয়া
২৪ বছরে গুগল
লাখ লাখ ফোনে বন্ধ হচ্ছে ইউটিউব, জিমেইল, প্লে স্টোর
গুগল ফটোসে আনলিমিটেড স্টোরেজ চাইলে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
TikTok returns to the United States

যুক্তরাষ্ট্রে ফিরল টিকটক

যুক্তরাষ্ট্রে ফিরল টিকটক টিকটকের লোগো। ছবি: ইউএনবি
চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা প্রবেশ শুরু করলে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের সেবাদাতাদের সঙ্গে একটি চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক আবার পুনর্বহাল হচ্ছে। এ ছাড়া টিকটককে কার্যক্রম চালাতে দিলে সেবাদাতাদের কোনো ধরনের সাজার মুখে পড়তে হবে না, এমন আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। টিকটকের পক্ষ থেকে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।'

প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশ্বাসের পর যুক্তরাষ্ট্রে ফের কার্যক্রম শুরু করেছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও হোস্টিং সার্ভিস টিকটক।

স্থানীয় সময় রবিবার থেকেই দেশটিতে টিকটকের কার্যক্রম পুনর্বহাল করা হয়।

এর আগে ট্রাম্প বলেন, স্থানীয় সময় সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপটিতে প্রবেশ পুনর্বহাল করবেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার অভিষেকের আগে একটি শোভাযাত্রায় তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমাদের হাতে কোনো বিকল্প নেই, যে কারণে এটিকে রক্ষা করতে হবে। ১৭ কোটি আমেরিকান অ্যাপটি ব্যবহার করেন।’

এক বার্তায় টিকটকের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের চেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে টিকটিক ফিরেছে।’ এর আগে রবিবার সন্ধ্যাতেও যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোরে টিকটিক ছিল না।

চীনা মালিকানাধীন অ্যাপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা প্রবেশ শুরু করলে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমাদের সেবাদাতাদের সঙ্গে একটি চুক্তি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক আবার পুনর্বহাল হচ্ছে। এ ছাড়া টিকটককে কার্যক্রম চালাতে দিলে সেবাদাতাদের কোনো ধরনের সাজার মুখে পড়তে হবে না, এমন আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প। টিকটকের পক্ষ থেকে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।'

এর আগে চীনা কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক নিষিদ্ধ করার একটি আইন গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় টিকটক ও যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ১৭ কোটি গ্রাহক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েন।

আইন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের মালিকানা বিক্রি না করলে কোম্পানিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার কথা।

গত বছরের এপ্রিলে কংগ্রেসে পাস হওয়া আইনটির বিষয়ে টিকটক, বাইটড্যান্স ও কিছুসংখ্যক ব্যবহারকারী চ্যালেঞ্জ করেন। এরপর শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন বিচারপতি সর্বসম্মতিক্রমে ওই আইন বহাল রাখার আদেশ দেন।

বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন অ্যাপটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ হলো, এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে।

আরও পড়ুন:
ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলার পরিকল্পনা বাইডেনের: প্রতিবেদন
যুক্তরাষ্ট্রে বর্ষবরণ উৎসবে ট্রাক নিয়ে হামলা, নিহত ১৫
চলে গেলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার
হাসপাতালে বিল ক্লিনটন 
নির্বাচনি প্রস্তুতির অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপকে স্বাগত যুক্তরাষ্ট্রের

মন্তব্য

জীবনযাপন
Legal notice to add data and minutes to the next package at the end of the period

মেয়াদ শেষে ডাটা ও মিনিট পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ

মেয়াদ শেষে ডাটা ও মিনিট পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে লিগ্যাল নোটিশ প্রতীকী ছবি
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, গ্রামীণ ফোন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড বরাবর মঙ্গলবার এ নোটিশ পাঠান।

মেয়াদ শেষে অবশিষ্ট ইন্টারনেট ডাটা, মিনিট ও এসএমএস পরবর্তী প্যাকেজে যুক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মিজানুর রহমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, গ্রামীণ ফোন, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, বাংলালিংক লিমিটেড এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড বরাবর মঙ্গলবার এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, নোটিশ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নিলে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে।

আরও পড়ুন:
ফেসবুকে পাঠ্যবই জনপ্রিয় করেছে টেন মিনিট স্কুল: পলক
অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিতে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ডিজিটাল লার্নিং নিয়ে একসঙ্গে টিকটক-টেন মিনিট স্কুল
সিলেটের গ্রাহকদের ফ্রি মিনিট দিল গ্রামীণফোন
ইউনিক আইডির ডাটা এন্ট্রির সময় আবারও বাড়ল

মন্তব্য

জীবনযাপন
50 percent discount on Uber rides at trade fairs

বাণিজ্য মেলায় উবারে যাতায়াতে ৫০ শতাংশ ছাড়

বাণিজ্য মেলায় উবারে যাতায়াতে ৫০ শতাংশ ছাড় প্রতীকী ছবি
উবার এ সমঝোতার আওতায় দর্শনার্থীদের নিরাপদ ও আরামদায়কভাবে মেলা পরিদর্শনে উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রোমো কোড সরবরাহ করবে। এ ছাড়াও এ উদ্যোগকে সফল করতে বিশেষ পার্কিং সুবিধাও দেওয়া হবে।

দেশের শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করেছে।

এ সমঝোতার অংশ হিসেবে উবার ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৫-এর অফিশিয়াল মোবিলিটি পার্টনার হয়েছে। এতে দর্শনার্থীরা মেলায় যাতায়াতে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন।

দ্বিপাক্ষিক চুক্তিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশীরউদ্দিন এবং ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান ও সিইও মো. আনোয়ার হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।

উবার এ সমঝোতার আওতায় দর্শনার্থীদের নিরাপদ ও আরামদায়কভাবে মেলা পরিদর্শনে উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রোমো কোড সরবরাহ করবে। এ ছাড়াও এ উদ্যোগকে সফল করতে বিশেষ পার্কিং সুবিধাও দেওয়া হবে।

ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে উবারের এ উদ্যোগ দর্শনার্থীদের বাণিজ্য মেলায় যাতায়াত আরও সহজ ও আরামদায়ক করবে।

এমওইউর বিষয়ে উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল তার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‌‘উবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সাথে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২৫-এর অংশীদার হতে পেরে সম্মানিত বোধ করছে। আমরা নানান উদ্ভাবনী প্রচেষ্টার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য ও সুবিধাজনক পরিবহন সেবা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

‘উবার দর্শনার্থীদের মেলায় যাতায়াতে একটি মসৃণ ও ঝামেলামুক্ত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে ও তাদের ভ্রমণকে আরও নিরাপদ ও আরামদায়ক করবে।’

দর্শনার্থীরা উবার ব্র্যান্ডেড বুথ বা উবারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে বিশেষ প্রোমো কোড সংগ্রহ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন:
আগামীতে দেশজুড়ে বাণিজ্য মেলা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
বাণিজ্য মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু বুধবার
ভারত থেকে আলু আমদানি ছাড়া উপায় ছিল না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
উবার বাংলাদেশের অষ্টম বার্ষিকীতে দিনব্যাপী ফ্রি হেলথ ক্যাম্প 

মন্তব্য

জীবনযাপন
Special offers on Infinix Hot 50 smartphones on the occasion of New Year

নতুন বছর উপলক্ষে ইনফিনিক্স হট ৫০ স্মার্টফোনে বিশেষ অফার

নতুন বছর উপলক্ষে ইনফিনিক্স হট ৫০ স্মার্টফোনে বিশেষ অফার এক হাজার টাকা ছাড়ে বর্তমানে হট ৫০ স্মার্টফোনটির মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকা। ছবি: ইনফিনিক্স
নতুন সব উদ্ভাবন ও স্টাইল যেন সব শ্রেণির গ্রাহকের কাছে সহজলভ্য হয়, সে জন্য মিড রেঞ্জের স্মার্টফোন ইনফিনিক্স হট ৫০ মডেলে ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। 

নতুন বছরকে সামনে রেখে প্রযুক্তিপ্রেমীদের জন্য বিশেষ অফার দিয়েছে জনপ্রিয় গ্লোবাল টেক ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স।

নতুন সব উদ্ভাবন ও স্টাইল যেন সব শ্রেণির গ্রাহকের কাছে সহজলভ্য হয়, সে জন্য মিড রেঞ্জের স্মার্টফোন ইনফিনিক্স হট ৫০ মডেলে ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এক হাজার টাকা ছাড়ে বর্তমানে হট ৫০ স্মার্টফোনটির মূল্য ধরা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯৯ টাকা। আগে এর দাম ছিল ১৬ হাজার ৯৯৯ টাকা।

ইনফিনিক্স জানায়, শক্তিশালী পারফরম্যান্স এবং সাশ্রয়ী মূল্যের জন্য হট ৫০ স্মার্টফোনটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। একই সঙ্গে মিড-রেঞ্জ স্মার্টফোন বাজারে এটি বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। ইনফিনিক্সের নতুন বছরের অফার গ্রাহকের সেই চাহিদা পূরণ করবে, বিশেষ করে যারা মিড বাজেটের স্মার্টফোনে প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা খুঁজছেন।

প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, উন্নত স্পেসিফিকেশন এবং স্মার্ট ডিজাইনের সমন্বয়ের মাধ্যমে ইনফিনিক্স হট ৫০ নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছে। এতে আছে ৬.৭৮ ইঞ্চির আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে, ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট এবং এফএইচডি প্লাস রেজ্যুলেশন; যা একইসঙ্গে গেমিং, স্ট্রিমিং এবং দৈনন্দিন কাজের জন্য চমৎকার ভিউইং অভিজ্ঞতা প্রদান করে।

হট ৫০ স্মার্টফোনটিতে রয়েছে শক্তিশালী মিডিয়াটেক হেলিও জি ১০০ চিপসেট, যা ৮ জিবি র‌্যাম এবং ১২৮ জিবি ইউএফএস ২.২ স্টোরেজের সাথে মসৃণ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। এতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের প্রাথমিক রিয়ার ক্যামেরা এবং ৮ মেগাপিক্সেলের ফ্রন্ট ক্যামেরা, যা দিয়ে ফটোগ্রাফিপ্রেমী এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সূক্ষ্ম, প্রাণবন্ত ছবি এবং ভিডিও ধারণ করতে পারবেন।

পাঁচ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি এবং ১৮ ওয়াট ফার্স্ট চার্জিং ব্যবস্থা থাকায় ব্যবহারকারীদের চার্জ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে না। স্লিক ব্যাক, সেজ গ্রিন এবং টাইটানিয়াম গ্রে রঙে পাওয়া যাচ্ছে ফোনটি।

বছরের শুরুতে যারা সাশ্রয়ী দামে প্রিমিয়াম বিল্ড, শক্তিশালী পারফরম্যান্সযুক্ত একটি নির্ভরযোগ্য এবং ফিচার-সমৃদ্ধ স্মার্টফোন খুঁজছেন, তাদের জন্য হট ৫০ হতে পারে একটি আদর্শ পছন্দ।

দেশের সব অনুমোদিত রিটেইলার ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ইনফিনিক্স হট ৫০ বিশেষ মূল্যছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ফ্যাশন ও স্থায়িত্বে জেনজিদের পছন্দ ইনফিনিক্স হট ৫০ সিরিজ
সবচেয়ে স্লিম থ্রিডি কার্ভড ডিজাইনের ‘হট ৫০ প্রো প্লাস’ স্মার্টফোন আনল ইনফিনিক্স
এআই∞ প্ল্যাটফর্ম চালু ইনফিনিক্সের 
থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লে নিয়ে বাজারে এলো ইনফিনিক্স নোট ৪০এস
থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের স্মার্টফোন আনছে ইনফিনিক্স

মন্তব্য

জীবনযাপন
Unveiling OnePlus IoT Ecosystem in the country to ensure seamless connectivity

নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিতে দেশে ওয়ানপ্লাস আইওটি ইকোসিস্টেম উন্মোচন

নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিতে দেশে ওয়ানপ্লাস আইওটি ইকোসিস্টেম উন্মোচন তিনটি অত্যাধুনিক ডিভাইস– ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ ও ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩ উন্মোচন করেছে ওয়ানপ্লাস। ছবি: ওয়ানপ্লাস 
এ ডিভাইসগুলো নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ, হাই পারফরম্যান্স, অত্যাধুনিক ডিজাইন ও উন্নত ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও উন্নত করবে।

বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশের বাজারে তাদের ইকোসিস্টেম সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়েছে।

এ ইকোসিস্টেমের অংশ হিসেবে তিনটি অত্যাধুনিক ডিভাইস– ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ ও ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩ উন্মোচন করা হয়েছে।

ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ বাজারে পাওয়া গেলেও কিছুদিনের মধ্যেই বাজারে পাওয়া যাবে ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩।

এটি বাংলাদেশে চালু হওয়া কোনো স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত আইওটি ইকোসিস্টেমগুলোর একটি, যা ব্যবহারকারীদের উদ্ভাবন ও সংযোগের ক্ষেত্রে নতুন অভিজ্ঞতা দেবে।

এ ডিভাইসগুলো নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ, হাই পারফরম্যান্স, অত্যাধুনিক ডিজাইন ও উন্নত ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ ও উন্নত করবে।

ওয়ানপ্লাস প্যাড ২

ওয়ানপ্লাস প্যাড ২ ট্যাবলেট প্রযুক্তিতে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এর স্লিক, পাতলা নিম্বাস গ্রে অল-মেটাল ইউনিবডি ডিজাইন অত্যন্ত স্টাইলিশ ও কার্যকর।

স্ন্যাপড্রাগন ৮ জেন ৩ প্ল্যাটফর্ম চালিত ট্যাবলেটটিতে রয়েছে ১২.১-ইঞ্চি থ্রি-কে ডিসপ্লে ও ছয়টি স্টেরিও স্পিকার, যা একটি চমৎকার সামগ্রিক অভিজ্ঞতা দেবে।

প্রোডাকটিভিটি ও ক্রিয়েটিভিটি বাড়াতে এতে রয়েছে ওপেন ক্যানভাস, যার মধ্যে রয়েছে স্প্লিট স্ক্রিন মাল্টিটাস্কিং সেটআপ। এ ছাড়াও এআই টুলবক্সে রয়েছে মাল্টিটাস্কিংয়ের জন্য এআই স্পিক, নোট লেখার জন্য রেকর্ডিং সামারি এবং কনটেন্ট তৈরির জন্য এআই রাইটার ফিচার।

৯৫১০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৬৭ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ দীর্ঘ সময় ব্যবহারের সুবিধা নিশ্চিত করে। ওয়ানপ্লাস স্মার্ট কিবোর্ড ও স্টাইলো ২-এর মতো সহযোগী ডিভাইসগুলো এর কার্যকারিতা আরও বাড়িয়ে তোলে। প্যাডটির দাম ৫৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। আর আলাদাভাবে এই প্যাডের স্মার্ট কিবোর্ডটির দাম ১০ হাজার ৯৯৯ টাকা।

ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২

টেকসই ও মার্জিত ডিজাইনের স্মার্টওয়াচ ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ ব্ল্যাক স্টিল রঙে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এর মূল্য ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা। উন্নত হেলথ ট্র্যাকিং ফিচারসহ স্মার্টওয়াচটি ব্যবহারকারীদের সুস্থতার লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করে। এসব ফিচার রিয়েল-টাইম হার্টরেট, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ, ঘুমের ধরন এবং স্ট্রেস লেভেল জানিয়ে দেয়। ব্যহারকারীরা এসব ফিচারের সাহায্যে তাদের সুস্বাস্থ্যের বিষয়গুলো দেখভাল করতে পারেন।

স্ন্যাপড্রাগন ডাব্লিউ৫ জেন ১ চালিত ডিভাইসটি স্মার্ট ও উন্নত পারফরম্যান্সের সঙ্গে ৫০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাহায্যে ১০০ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ দেবে। ১.৪৩-ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ ও ২ জিবি র‍্যামের একটি কার্যকরী পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা পাওয়া যায় ডিভাইসটিতে।

গুগলের ওয়্যার ওএস চালিত ডিভাইসটি ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমের অন্যান্য ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগ গঠিয়ে নোটিফিকেশন, মিউজিক কন্ট্রোল এবং জিপিএস নেভিগেশন নিশ্চিত করে।

ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩: নিখুঁত অডিও অভিজ্ঞতা

অডিও অভিজ্ঞতাকে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যেতে দ্রুতই বাজারে আসছে ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩। মিডনাইট ওপাস ও লুনার রেডিয়েন্স রঙে বাজারে পাওয়া যাবে ইয়ারবাডটি। এতে রয়েছে স্প্যাশিয়াল অডিও, রিয়েল-টাইম অ্যাডাপটিভ এএনসি, ৪৩ ঘণ্টা ব্যাটারি লাইফ ও হেড ট্র্যাকিং এর মতো ফিচার।

১১ মিলিমিটার উফার এবং ৬ মিলিমিটার টুইটার এর মাধ্যমে এটি ইমারসিভ সাউন্ড প্রদান করে। গুগল ফাস্ট পেয়ার প্রযুক্তির সাহায্যে এটি নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করে।

সমন্বিত ইকোসিস্টেম: ডিভাইসের মধ্যে সীমাহীন সংযোগ

ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়াচ ২ এবং বাডস প্রো ৩ একসঙ্গে ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সংযুক্ত এবং কার্যকর ডিজিটাল অভিজ্ঞতা তৈরি করে। সিঙ্কড নোটিফিকেশন, ক্রস-ডিভাইস মিডিয়া কন্ট্রোল ও সহজ ফাইল শেয়ারিংয়ের মতো ফিচার ব্যবহারকারীদের প্রোডাকটিভিটি বাড়াবে ও বিনোদনের অভিজ্ঞতা উন্নত করবে।

যেখানে পাওয়া যাচ্ছে

ওয়ানপ্লাস প্যাড ২ ও ওয়াচ ২ ওয়ানপ্লাস ফ্ল্যাগশিপ ও এক্সক্লুসিভ ব্র্যান্ড স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়াও অনলাইনে পিকাবু, দারাজ ও গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার থেকেও পণ্যগুলো অর্ডার করা যাবে। বাডস প্রো ৩-এর বাজারে আসার তারিখ ও মূল্য শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। ওয়ানপ্লাস-এর সব পণ্য এক বছরের অফিশিয়াল ওয়ারেন্টিসহ পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন:
শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ নেতার নতুন ফোনালাপ ভাইরাল
থ্রিডি কার্ভড ডিসপ্লের স্মার্টফোন আনছে ইনফিনিক্স
বাংলাদেশে ওয়ানপ্লাসের প্রথম ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধন
কলড্রপ ইস্যুতে গ্রামীণফোনকে শো-কজ, হতে পারে জরিমানা
এক আইএমইআই নম্বরে দেড় লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেট!

মন্তব্য

জীবনযাপন
Projects worth thousands of crores are taken for personal benefit in the ICT sector

আইসিটি খাতে ব্যক্তিস্বার্থে নেয়া হয় হাজার কোটির প্রকল্প

আইসিটি খাতে ব্যক্তিস্বার্থে নেয়া হয় হাজার কোটির প্রকল্প
শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনকালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নির্মাণ এবং পরবর্তীতে ‘২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্র প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে। নতুনত্বের সুযোগ নিয়ে প্রকল্পের নামে বিপুল অর্থ লোপাট করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পরপরই ডিজিটাল এবং পরে স্মার্ট বাংলাদেশের নামে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে (আইসিটি) একের পর এক প্রকল্প হাতে নেয়। চটকদার নামে এসব প্রকল্প আর কর্মসূচি নেয়া হলেও সুফল মেলেনি আইসিটি খাতে। বরং অর্থনীতির শ্বেতপত্রে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে আইসিটি।

অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকদের মতে, ব্যক্তিস্বার্থে নেয়া হয়েছে হাজার কোটি টাকার তথ্য-প্রযুক্তি প্রকল্প; যেখান থেকে লোপাট হয়েছে রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর শেখ হাসিনা সরকারের ১৬ বছরের দুর্নীতি-অনিয়ম তদন্তে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশের ঘোষণা দেয়। সে অনুযায়ী শ্বেতপত্র প্রণয়নে গঠিত কমিটি গত ১ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়।

প্রতিবেদনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতকে দুর্নীতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর একটি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এ বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাসসকে বলেন, ‘তথ্য-প্রযুক্তি খাত (আইসিটি) বাংলাদেশের জন্য একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ খাত এবং আমাদের জন্য নতুন ক্ষেত্র। নতুনত্বের সুযোগ নিয়ে এবং অভিজ্ঞতার অভাবের কারণে প্রকল্পের নামে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোপাট করা হয়েছে।

‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক বা রাজনৈতিক বিবেচনায় হাতেগোনা কিছুসংখ্যক ব্যক্তি এসব প্রকল্পের কাজ পেয়েছে, যারা প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে অর্থ লোপাট করেছে।’

দেবপ্রিয় বলেন, ‘কেনাকাটার ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে। যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার অধিক মূল্যে কেনা হয়। আর একটি বিষয় হলো অনেক প্রকল্প বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট করার কথা বলে আরও বড় অঙ্কের প্রকল্প করা হয়েছে যেগুলোর প্রয়োজনীয়তা আছে কিনা সেটাও যাচাই-বাছাই করা হয়নি।

‘প্রকল্পে যে ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন বা কাজের কথা বলা হয়েছে তা আদৌ হয়নি। এছাড়া আইটি ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভাতা বিতরণের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে দেশের সুরক্ষা, দক্ষতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আইসিটি খাতে প্রকল্প গ্রহণ করাটা জরুরি। তবে সেটা অব্যশই দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে।’

আইসিটি খাতে দুর্নীতি ও অপচয় রোধে সৎ ও দক্ষ ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়ার পরামর্শ দেন এই অর্থনীতিবিদ। পুনর্বিবেচনা করে অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পগুলো বাদ দেয়ার তাগিদ দেন তিনি।

আইসিটি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫৫টি প্রকল্প নেয়া হয়, যার ব্যয় ধরা হয় প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা। আর ৩৪টি কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় ১৭৩ কোটি টাকা। ব্যয়বহুল প্রকল্প আর কর্মসূচি হাতে নেয়া হলেও সুফল মেলেনি। তার প্রমাণ, আইসিটি ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে ১৭০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১২৯তম।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা আইসিটি খাতের একটি প্রকল্পকে উদাহরণ হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন, যেটিতে ৫২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও খরচ করা হয় ৭৭৪ কোটি টাকা।

দেবপ্রিয় অভিযোগ করেছেন, যাচাই-বাছাই ছাড়াই বড় বড় প্রকল্প পাস করা হয়েছে। সুযোগ করে দেয়া হয়েছে বড় দুর্নীতির।

শ্বেতপত্রের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- গুরুত্বপূর্ণ এই খাতে দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জাতীয় অগ্রগতির স্বার্থে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই ঘটনা যুবসমাজ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের হতাশ করে। কারণ জনগণের করের অর্থ অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় প্রকল্পে অর্থ অপচয় করা হয়। এসব প্রকল্পে স্বচ্ছতার অভাব ছিল এবং অভিযোগ ওঠে যে, এগুলো তৎকালীন শাসন ক্ষমতার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সুবিধা দিতে তৈরি করা হয়েছিল।

শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনকালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নির্মাণ এবং পরবর্তীতে ‘২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে রাষ্ট্র প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছে।

এই বাজেটের বেশিরভাগই পরিকাঠামো প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে, যা নিয়ে এখনও আইসিটি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে যৌক্তিকতার প্রশ্ন উঠছে। উদাহরণ স্বরূপ, বড় শহরের বাইরে অবস্থিত হাই-টেক পার্কগুলো বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

তরুণদের জন্য আইসিটি প্রশিক্ষণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং স্থানীয় অ্যাপ ও গেম উন্নয়ন প্রকল্পে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করা হলেও উদ্ঘাটিত তথ্য থেকে দেখা গেছে- এসব প্রকল্প মূলত সরকারি কর্মকর্তাদের এবং তাদের পছন্দের সরবরাহকারীদেরই উপকৃত করেছে।

শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির পক্ষ থেকে চলমান প্রকল্পগুলো মূল্যায়ন করা হয়, যেখানে অনেক অযৌক্তিক প্রকল্প সংকোচন করার সুপারিশ রয়েছে। কমিটি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হওয়া প্রকল্পগুলোতেও অসঙ্গতি খুঁজে বের করার জন্য আরও গভীরে অনুসন্ধান করবে।

সরকারি প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে প্রশ্নবিদ্ধ উপায়ে কীভাবে যৌক্তিকতা দেখানো হয়েছে তার একটি উদাহরণ হিসেবে শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে- ২০১৩-১৮ সালের আইসিটি ডিভিশনের প্রকল্প ‘লেভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স প্রজেক্ট’। এই প্রকল্পের ব্যয় ৫২১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার মূল বাজেট থেকে ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৭৭৪ কোটিতে পৌঁছেছিল।

শ্বেতপত্র অনুযায়ী, সক্ষমতা বৃদ্ধির এই উদ্যোগ তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে উন্নত করা এবং কর্মসংস্থানের জন্য ৩০ হাজার জনবলকে প্রশিক্ষণ দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত হয়েছিল। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন ডিভিশনের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রকল্পের সফলতায় উচ্চ মাত্রার সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়।

তবে শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়, এই প্রকল্পে খাতের অগ্রগতিতে অবদান রাখা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা উপেক্ষা করা হয়েছে।

অতিরিক্তভাবে মূল্যায়ন প্রতিবেদনের মান ছিল অপর্যাপ্ত। কারণ এটি ৩০ হাজার ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণ দেয়ার মাধ্যমে পুরো আইটি খাতে যে সীমিত প্রভাব পড়েছে, তা সঠিকভাবে আলাদা করে চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রকল্পটির প্রভাব মূল্যায়নে এই বিশ্লেষণমূলক দুর্বলতা বিভিন্ন আইসিটি এবং অন্যান্য প্রকল্প চালিয়ে যাওয়ায় ভূমিকা রেখেছে, যেগুলো বাস্তবিক উপকারিতা প্রদানে অক্ষম।

শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘এটি ভবিষ্যৎ উদ্যোগগুলোকে আইটি খাতের ওপর তাদের প্রকৃত অবদানের পরিষ্কার ধারণার ভিত্তিতে পরিচালিত করার জন্য আরও শক্তিশালী মূল্যায়নের প্রয়োজনীয়তা নির্দেশ করে।’

ডিজিটাল ও স্মার্ট জাতি গঠনের বর্ণনার পরও বাংলাদেশ প্রযুক্তিগত সূচকের অনেক ক্ষেত্রে তুলনীয় দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।

আরও পড়ুন:
হাসিনা-রেহানা-জয়ের ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু
হাসিনার আমলে বছরে গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে
বিগত সরকারে অধিকাংশ প্রকল্প অনুমোদনে রাজনৈতিক প্রভাব ছিল: দেবপ্রিয়
সড়কে ১৪ বছরে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি: টিআইবি
বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে দুর্নীতি তদন্তে অভিযোগ জানানোর আহ্বান

মন্তব্য

জীবনযাপন
Immigrant App Learners Course in Skill Development and Language Learning for Migrants 

অভিবাসীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও ভাষা শিক্ষায় ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে শিখোর কোর্স 

অভিবাসীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও ভাষা শিক্ষায় ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে শিখোর কোর্স  দক্ষতা বৃদ্ধি ও জ্ঞান অর্জনের জন্য এখন থেকে শিখোর প্লাটফর্মে বিশেষ কোর্স করার সুযোগ পাবেন অভিবাসনপ্রত্যাশী ও প্রবাসী কর্মীরা। ছবি: শিখো
আমি প্রবাসীর সিইও নামির আহমেদ নুরি শিখোর সঙ্গে এ অংশীদারত্ব নিয়ে বলেন, ‘শিখোর সঙ্গে এই পথচলা প্রবাসী কর্মীদের দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। আমরা শুধু সুযোগ তৈরি করছি না, বরং একটি সেতু গড়ে তুলছি, যা তাদের পেশাগত এবং ব্যক্তিজীবনে সফল হতে সাহায্য করবে। অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও সহজলভ্য এবং স্বচ্ছ করতে আমি প্রবাসী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ 

বাংলাদেশি অভিবাসীদের অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘আমি প্রবাসী’ এবং দেশের অন্যতম বৃহৎ ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম শিখো একত্রে কাজ শুরু করেছে।

দক্ষতা বৃদ্ধি ও জ্ঞান অর্জনের জন্য এখন থেকে শিখোর প্লাটফর্মে বিশেষ কোর্স করার সুযোগ পাবেন অভিবাসনপ্রত্যাশী ও প্রবাসী কর্মীরা।

এরই ধারাবাহিকতায় আমি প্রবাসী প্ল্যাটফর্মে আরবি ও অন্যান্য ভাষা শিক্ষার কোর্স, বিমানে ভ্রমণের শিষ্টাচার, এয়ারপোর্ট প্রশিক্ষণ এবং প্রবাসীদের জন্য উপযোগী সব গুরুত্বপূর্ণ কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

শিখোর অন্যান্য কোর্স ও প্রশিক্ষণমূলক ভিডিও আমি প্রবাসীর অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে পাবেন ব্যবহারকারীরা।

এ উদ্যোগের ফলে অভিবাসন প্রক্রিয়া আধুনিকায়নের মাধ্যমে খরচ কমানো ও দক্ষ অভিবাসী তৈরির পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল আমি প্রবাসী। ব্যবহারকারীরা যাতে বৈশ্বিক চাকরির বাজারে নিজেদের আরও প্রতিযোগিতামূলক করে গড়ে তুলতে পারেন, সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

এ ছাড়াও আমি প্রবাসী তাদের প্ল্যাটফর্মে নতুন একটি সিভি বিল্ডার ফিচার চালু করেছে, যার মাধ্যমে মাত্র ৫ থেকে ৭ মিনিটেই তৈরি করা যাবে পেশাদার সিভি। ব্যবহারকারীরা ফিচারটি সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।

আমি প্রবাসীর সিইও নামির আহমেদ নুরি শিখোর সঙ্গে এ অংশীদারত্ব নিয়ে বলেন, ‘শিখোর সঙ্গে এই পথচলা প্রবাসী কর্মীদের দক্ষতা ও জ্ঞান অর্জনে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। আমরা শুধু সুযোগ তৈরি করছি না, বরং একটি সেতু গড়ে তুলছি, যা তাদের পেশাগত এবং ব্যক্তিজীবনে সফল হতে সাহায্য করবে।

‘অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও সহজলভ্য এবং স্বচ্ছ করতে আমি প্রবাসী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

আরও পড়ুন:
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৮২ জন
লেবানন থেকে এখন পর্যন্ত ফিরলেন ৫২১ বাংলাদেশি
লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বাংলাদেশি নিহত
লেবাননে প্রবাসীদের নিরাপদে অবস্থান নিতে দূতাবাসের আহ্বান
লিবিয়ায় প্রবাসীকে জিম্মি করে টাকা আদায়, দেশে দুই সহযোগী আটক

মন্তব্য

p
উপরে