× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
How to take care of curly hair
google_news print-icon

কোঁকড়া চুলের যত্ন নেবেন যেভাবে

কোঁকড়া-চুলের-যত্ন-নেবেন-যেভাবে
কোঁকড়া চুলে সরাসরি ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। এতে চুল ভেঙে বা ছিঁড়ে যায়। চুল আচড়ানোর সময় প্রশস্ত দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি শুধু আঙুল বুলিয়ে চুল ঠিক করে রাখতে পারেন। মনে রাখতে হবে যে ভেজা চুলে কোনোভাবেই ব্রাশ ব্যবহার করা যাবে না।

মানুষভেদে চুল ভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো কোঁকড়া চুল। এই চুল কিছুটা সংবেদনশীল। সঠিক পরিচর্যার অভাবে ঝরে যাওয়া থেকে শুরু করে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কোঁকড়া চুল সুন্দর এবং সুস্থ রাখতে আগেভাগেই সাবধান হওয়া জরুরি। স্কিন ক্রাফট সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কোঁকড়া চুল পরিচর্যার কিছু ঘরোয়া উপায়ের কথা। চলুন জেনে নেয়া যাক-

চুল ধোয়া

চুল স্বাস্থ্যকর রাখার জন্য অত্যাবশ্যকীয় কাজ হলো নিয়মিত চুল ধোয়া অথবা পরিষ্কার করা। ঠিকভাবে চুল না ধুলে তাতে ধুলাবালি, ক্ষতিকারক তেল আর খুশকি লেগে থাকে। ফলে চুল ঝরে যাওয়া ও ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। নিয়মিত চুল না ধোয়ার প্রধান উপসর্গ হলো চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাওয়া। এর ফলে হালকা টান লাগলেও চুল আলগা হয়ে যায়।

শ্যাম্পু নির্বাচন

বাজারে অনেক ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায়। তবে আপনার ত্বকের জন্য কোন শ্যাম্পু কার্যকর, সেটি খুঁজে বের করা জরুরি। ঠিকমতো যাচাই-বাছাই না করে যেকোনো শ্যাম্পু ব্যবহার করতে থাকলে হিতে বিপরীত হবে। শ্যাম্পু নির্বাচনের সময় সবচেয়ে জরুরি হলো শ্যাম্পুটি সালফেট, সিলিকন, অ্যালকোহল বা প্যারাবেনসের মতো উপাদানমুক্ত কি না তা নিশ্চিত করা। এগুলো মাথার ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারের অভ্যাস থাকলে সেটিও ত্যাগ করতে হবে।

শ্যাম্পু করার আগে

বেশির ভাগ সময় দেখা যায় কোঁকড়া চুল খুবই শুষ্ক হয়। তাই শ্যাম্পু করার আগে চুলগুলোকে প্রস্তুত করে নিতে হেয়ার মাস্ক বা কন্ডিশনিং অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলের রুক্ষভাব দূর হয়ে যাবে আর শ্যাম্পুও অধিক কার্যকর হয়ে ওঠবে।

ব্রাশ করবেন না

কোঁকড়া চুলে সরাসরি ব্রাশ ব্যবহার করবেন না। এতে চুল ভেঙে বা ছিঁড়ে যায়। চুল আচড়ানোর সময় প্রশস্ত দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয় যদি শুধু আঙুল বুলিয়ে চুল ঠিক করে রাখতে পারেন। মনে রাখতে হবে যে ভেজা চুলে কোনোভাবেই ব্রাশ ব্যবহার করা যাবে না।

ঠান্ডা পানি

মাথার ত্বকে গরম পানি লাগালে তা চুলে থাকা প্রাকৃতিক তেল কিংবা সিরামের কার্যকারিতা নষ্ট করে ফেলে। এটি চুলের গোড়াও দুর্বল করে দিতে পারে। যার ফলে চুলের স্ট্র্যান্ডগুলো কুঁচকে যাওয়ার পাশাপাশি ভেঙেও যায়। এসব জটিলতা এড়াতে চুলে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করুন।

ঘুমানোর আগে

রাতে ঘুমানোর আগে খোঁপা কিংবা হালকা করে চুলগুলো পনিটেল করে বেঁধে নিন। এটি চুলের সঙ্গে বালিশের ঘর্ষণ প্রতিরোধ করতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া সুতি কিংবা অন্য কাপড়ের পরিবর্তে সিল্কের বালিশের কভার ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলে ড্যামেজ কম হবে।

আরও পড়ুন:
হাসপাতালে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলো জানতে হবে
শেভ করার ক্ষেত্রে যা মনে রাখবেন
শীতের সকালে নাশতায় যা রাখবেন
শীতকালে শিশুর যত্নে যা করবেন
পার্টির আদবকেতা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
What to do before and after a cyclone

ঘূর্ণিঝড়ের আগে-পরে কী করবেন

ঘূর্ণিঝড়ের আগে-পরে কী করবেন উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া। ছবি: অ্যাকুওয়েদার
সতর্কবার্তায় নজর রাখুন। এটি আপনাকে ঘূর্ণিঝড়জনিত জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত রাখবে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঝড়টি রোববার দুপুরের মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্ব এবং মিয়ানমারের উত্তর উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ধরনের ঝড় আসার খবর এবং তার পরবর্তী সময়ে কী কী ব্যবস্থা নেয়া উচিত, তা জানিয়েছে ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)।

সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে করণীয়

  • সতর্কবার্তায় নজর রাখুন। এটি আপনাকে ঘূর্ণিঝড়জনিত জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত রাখবে।
  • তথ্যটি অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিন।
  • গুজব এড়িয়ে চলুন এবং তা ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। এমনটি আতঙ্কজনক পরিস্থিতি এড়াতে সহায়তা করবে।
  • আনুষ্ঠানিক বার্তায় আস্থা রাখুন।
  • আপনার এলাকার জন্য ঘূর্ণিঝড়ের বার্তা দেয়া হলে স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যাবেন, তবে রেডিওর সতর্কবার্তার বিষয়ে সজাগ থাকবেন।
  • পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা সজাগ থাকুন। কারণ ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কবার্তার মানে হলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিপদের শঙ্কা আছে।
  • আপনার এলাকা ঘূর্ণিঝড় সতর্কবার্তার মধ্যে থাকলে সমুদ্র উপকূলের নিম্নাঞ্চল কিংবা উপকূলের কাছে অন্যান্য নিম্নাঞ্চল থেকে দূরে থাকুন।
  • উঁচু স্থান বা সাইক্লোন শেল্টারে যাওয়ার পথ প্লাবিত হওয়ার আগেই নিরাপদে পৌঁছান।
  • দেরি না করে আটকে পড়ার ঝুঁকি এড়ান।
  • আপনার বাড়ি যদি উঁচু স্থানে নিরাপদভাবে নির্মাণ করা হয়, তাহলে সেখানকার নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন, তবে নিরাপদে সরে যেতে বললে দেরি করবেন না।
  • হার্ড বোর্ড দিয়ে কাচের জানালা ঢেকে রাখুন।
  • ঘরের বাইরের দিকের দরজার ক্ষতি এড়াতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন।
  • ঘরে অতিরিক্ত খাবার রাখুন, যেগুলো রান্না ছাড়া খাওয়া যায়। যথাযথ ঢাকনাওয়ালা পাত্রে অতিরিক্ত পানযোগ্য পানি রাখুন।
  • ঘর ছেড়ে দিতে হলে সম্ভাব্য বন্যার ক্ষতি এড়াতে মূল্যবান জিনিসপত্র ওপরের তলা কিংবা উঁচু স্থানে রাখুন।
  • প্রবল বাতাসে উড়ে যেতে পারে, এমন জিনিসপত্র একটি কক্ষে নিরাপদে রাখুন।
  • বিশেষ খাবার দরকার হয়, এমন শিশু ও বৃদ্ধদের সেটি দেয়ার ব্যবস্থা করুন।

ঘূর্ণিঝড়ের সময় করণীয়

বাতাস শান্ত হয়ে গেছে মনে হলেও ঘর থেকে বের হবেন না। বাতাসের গতিবেগ ফের বাড়তে পারে এবং তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় চলে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণার আগে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকুন।

বাড়িঘর ছাড়ার নির্দেশনা পেলে করণীয়

  • আগামী কয়েক দিনের জন্য পরিবারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সঙ্গে নিন। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ, শিশু, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিংবা বৃদ্ধদের জন্য বিশেষ খাবার।
  • আপনার এলাকার জন্য নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হন।
  • সম্পত্তি নিয়ে দুশ্চিন্তা বাদ দিন।
  • আশ্রয়কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
  • ছেড়ে না যেতে বলার আগে আশ্রয়কেন্দ্রেই থাকুন।

ঝড় থেমে যাওয়ার পর করণীয়

  • বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশনা পাওয়ার আগ পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করুন।
  • প্রয়োজনীয় টিকা নিন।
  • ল্যাম্প পোস্ট থেকে ছড়িয়ে পড়া তার এড়িয়ে চলুন।
  • গাড়ি চালাতে হলে তা সতর্কতার সঙ্গে করুন।
  • বাড়িতে গিয়ে আঙিনা থেকে বর্জ্য পদার্থ দ্রুত পরিষ্কার করুন।
  • ঝড়ে ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানান।
আরও পড়ুন:
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘মোখা’
মোখার শঙ্কা: এসএসসি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়নি
মোখার শঙ্কা: মিলছে না ধানকাটা শ্রমিক
ঘূর্ণিঝড় মোখা: বাগেরহাট উপকূলে আতঙ্ক
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’: নিয়ন্ত্রণকক্ষ চালু পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের

মন্তব্য

জীবনযাপন
What to do during an earthquake

ভূমিকম্পের সময় করণীয়

ভূমিকম্পের সময় করণীয় ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে নেয়া যেতে পারে সতর্কতামূলক কিছু ব্যবস্থা। ছবি: সংগৃহীত
ভূমিকম্প হলে সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, তা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস। বাহিনীর পক্ষ থেকে ১২টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিয়ত ভূমিকম্প হয়। এ কম্পন আগে থেকে আঁচ করা যায় না বলে তাৎক্ষণিকভাবে কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকে।

ভূমিকম্প হলে সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, তা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস। বাহিনীর পক্ষ থেকে ১২টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যা তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে।

১. ভূকম্পন অনুভূত হলে শান্ত থাকুন। যদি ভবনের নিচ তলায় থাকেন, তাহলে দ্রুত বাইরে খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসুন।

২. যদি ভবনের ওপর তলায় থাকেন, তাহলে কক্ষের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন।

৩. ভূমিকম্পের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে নিন। অতঃপর টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিন এবং তা এমনভাবে ধরে থাকুন যেন মাথার ওপর থেকে সরে না যায়। এ ছাড়া শক্ত দরজার চৌকাঠের নিচে ও পিলারের পাশে আশ্রয় নিতে পারেন।

৪. উঁচু বাড়ির জানালা, বারান্দা বা ছাদ থেকে লাফ দেবেন না।

৫. ভূমিকম্পের প্রথম ঝাঁকুনির পর ফের ঝাঁকুনি হতে পারে। সুতরাং একবার বাইরে বেরিয়ে এলে নিরাপদ অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত ভবনে প্রবেশ করবেন না।

৬. রান্নাঘরে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বের হয়ে আসুন। সম্ভব হলে বাড়ির বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মেইন সুইচ বন্ধ করুন।

৭. মোবাইল বা ফোন ব্যবহারের সুযোগ থাকলে উদ্ধারকারীদের আপনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।

৮. দুর্ঘটনার সময় লিফট ব্যবহার করবেন না।

৯. যদি কোনো বিধ্বস্ত ভবনে আটকা পড়েন এবং আপনার ডাক উদ্ধারকারীরা শুনতে না পায়, তাহলে বাঁশি বাজিয়ে অথবা হাতুড়ি বা শক্ত কোনো কিছু দিয়ে দেয়ালে বা ফ্লোরে জোরে জোরে আঘাত করে উদ্ধারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করুন।

১০. ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে থাকুন।

১১. গাড়িতে থাকলে ওভারব্রিজ, ফ্লাইওভার, গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরেই থাকুন।

১২. ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়াচড়ার চেষ্টা করবেন না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন এবং উদ্ধারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন:
শক্তিশালী ভূমিকম্পে ইকুয়েডরে ১৩, পেরুতে একজনের মৃত্যু
তুরস্কে ফের ভূমিকম্প, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে ধস
ফের ভূমিকম্পে কাঁপল তুরস্ক
ভূমিকম্প: বাস্তুহারাদের জন্য পৌনে ৩ লাখ বাসাবাড়ি বানাবে তুরস্ক
তুরস্ক সিরিয়ায় ভূমিকম্প: ৫০ হাজার ছাড়াল মৃত্যু

মন্তব্য

জীবনযাপন
What is important to know about gastric ulcer or peptic ulcer?

গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার, যা জানা জরুরি

গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার, যা জানা জরুরি শরীরে কিছু জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে গ্যাস্ট্রিক আলসার। ছবি: গাট কেয়ার
‘আমাদের সমাজে অনেক মানুষ বা অনেক রোগী এখন আমাদের কাছে এ রোগটা নিয়ে আসে; গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার ডিজিজ। এটা আসলে ব্রড হেডিংয়ে বলা হয় পেপটিক আলসার ডিজিজ, কিন্তু গ্যাস্ট্রিক আলসার ডিজিজ নামেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এটা হলো আমাদের পাকস্থলী বা ডিউডেনাম বা খাদ্যনালিতে যখন আলসার হয়, এটাকে বলা হয় গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার।’

জীবনের কোনো এক পর্যায়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভোগেননি, এমন মানুষ কম আছে। আমাদের দেশে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার রয়েছে। এ রোগটির ধরন, লক্ষণ ও চিকিৎসা নিয়ে এক ভিডিওতে বিস্তারিত কথা বলেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হোসাইন মোহাম্মদ শাহেদ। তথ্যগুলো তার ভাষায় উপস্থাপন করা হলো পাঠকদের সামনে।

গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার কী

আমাদের সমাজে অনেক মানুষ বা অনেক রোগী এখন আমাদের কাছে এ রোগটা নিয়ে আসে; গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার ডিজিজ। এটা আসলে ব্রড হেডিংয়ে বলা হয় পেপটিক আলসার ডিজিজ, কিন্তু গ্যাস্ট্রিক আলসার ডিজিজ নামেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। এটা হলো আমাদের পাকস্থলী বা ডিউডেনাম বা খাদ্যনালিতে যখন আলসার হয়, এটাকে বলা হয় গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার।

আমাদের খাদ্যনালির ওপেনিং থেকে পায়খানার রাস্তা পর্যন্ত খাদ্যনালি বা এলিমেন্টারি ট্র্যাক্ট বলা হয়। আর গ্যাস্ট্রিক আলসারটা বা পেপটিক আলসারটা হয় সাধারণত খাদ্যনালি, পাকস্থলী এবং ডিউডেনাম, এই তিনটা অংশে। সাধারণত অতিরিক্ত অ্যাসিড সিক্রেশনের (নিঃসরণ) কারণে ধারণা করা হয় যে, গ্যাস্ট্রিক আলসারটা হয়।

গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসারের ধরন

পেপটিক আলসারকে ব্রড হেডিংয়ে দুইটা ভাগে ভাগ করা হয়। একটা হলো পেপটিক আলসার ডিজিজ, আরেকটা হলো ডিওডেনাল আলসার ডিজিজ। গ্যাস্ট্রিক আলসারটা পাকস্থলীতে হয়। ডিওডেনাল আলসারটা হয় ডিওডেনামে।

গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসারের কারণ

সাধারণত দুইটা ওয়েল নোন (সুপরিচিত) কারণ আছে, যে দুইটা কারণে গ্যাস্ট্রিক আলসার হয়। একটা হলো ব্যাকটেরিয়া, আরেকটা হলো এনএসআইডি বা পেইন কিলার বা ডাইকোফ্লেন, নেপ্রোক্সেন, এ ধরনের পেইন কিলারগুলো দীর্ঘমেয়াদি খেলে, ওভারডোজ খেলে বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী না খেলে তখন গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার হয়ে থাকে। এ দুইটা কারণ ছাড়াও আরও কিছু কারণ আছে, যেগুলো ডাইরেক্ট গ্যাস্ট্রিক আলসার করে না, কিন্তু এগুলোর সাথে গ্যাস্ট্রিক আলসারের অ্যাসোসিয়েশন (সম্পর্ক) রয়েছে। যেমন: ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না করা বা টাইমলি খাওয়া-দাওয়া না করা, অতিরিক্ত টেনশন বা দুশ্চিন্তায় থাকা। এ ছাড়া আরও কিছু ওষুধ আছে, যেমন: অ্যান্টিবায়োটিক ডক্সিক্যাপ, এটাও অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক আলসার করে। টেট্রাসাইক্লিনও করে। অ্যাস্টেরয়েডজাতীয় ওষুধ যেগুলো আছে, এগুলোও অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার করে।

গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসারের উপসর্গ বা লক্ষণ

অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় পেটব্যথা। পেটের উপরিভাগে ব্যথা করে এবং এ ব্যথাটা অনেক সময় বুকের দিকে বা পেটের নিচের দিকে ছড়িয়ে যায়। এর পরে দেখা যায় যে, জ্বালাপোড়া। পেটের উপরিভাগে জ্বালাপোড়া করে। এ জ্বালাপোড়াটা অনেক সময় বুকেও যায়। অনেক সময় পেটের ভেতরের দিকেও ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর পেটে প্রচুর গ্যাস হয়। অনেক সময় গ্যাসটা মুখের দিকে বের হয়। বেলচিং বলা হয়। এর পরে হলো বাথরুম ক্লিয়ার না হওয়া। অনেকের আবার বমি বমি ভাব হয়। অনেকে বমিও করে।

এ কয়েকটা বিষয় সাধারণত গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসারের রোগী আমাদের কাছে প্রেজেন্টেশন করে।

গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার রোগীর টেস্ট বা পরীক্ষা

একটা রোগী যখন আমাদের কাছে গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসারের সিম্পটম নিয়ে আসে, তখন আমরা কী কী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এটা কনফার্ম করি, উনার আসলে আলসার আছে কি না। সাধারণত অ্যান্ডোস্কপির মাধ্যমে সাধারণত আলসারটা ক্লিয়ারকাট বা সম্পূর্ণভাবে ধরা পড়ে, তবে অনেকে দেখা যায় যে, অ্যান্ডোস্কপির নাম শুনলে ভয় পায়; অ্যান্ডোস্কপি করতে। বিশেষ করে ওল্ড এজ যখন হয়, অনেক বয়স বা ছোট বয়স, অল্প বয়স বা ১০/১২ বছর বয়স, এ ধরনের রোগীদের অ্যান্ডোস্কপি করা একটু কষ্টকর। সে ক্ষেত্রে অ্যান্ডোস্কপিটা ঘুম পাড়ায়ে করা যায় অথবা যারা বেশি ভয় পায়, ওদেরকে অ্যান্ডোস্কপি করা কোনোভাবে সম্ভব হয় না, তখন আমরা বেরিয়াম মিল এক্সরে অফ দ্য স্টোমাক করি। এ পরীক্ষাটা করলেও গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসারটা ধরা পড়ে। আলসার কী, এটা দেখা যায় এখানে।

এ ছাড়া যেখানে অ্যান্ডোস্কপির সুযোগ-সুবিধা নাই বা বেরিয়াম মিলেরও সুবিধা নাই, ওখানে একটা রক্তপরীক্ষা করে অনেক সময় আমরা চেষ্টা করি ধরার জন্য। যদি এটা খুব সিগনিফিক্যান্ট না। ব্লাড ফর এইচ পাইলোরি। এই পরীক্ষাটা নন স্পেসিফিক। তাও অনেক সময় আমাদের এটি করতে হয় ব্যাকটেরিয়াটা আছে কি না, সেটা দেখার জন্য। সিম্পটম থাকলে, সাথে যদি ব্যাকটেরিয়া থাকে, আমরা ইনডাইরেক্টলি চিন্তা করি আলসার থাকতে পারে। যদিও এটা নন স্পেসিফিক। খুব বেশি সিগনিফিক্যান্ট না।

এ ছাড়া আমরা গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীদের আরও কিছু টেস্ট করি টু এক্সক্লুড আদার ডিজিজ। যেমন: আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়। তারপরে ব্লাড টেস্ট করা হয়, সিবিসি করা হয় কোনো অ্যানিমিয়া আছে কি না।

গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার রোগীর অনেক সময় ব্লিডিং হতে পারে। যদিও খুব রেয়ার কজ কমপ্লিকেশন হিসেবে পাওয়া যায় সেখানে অ্যানিমিয়া থাকতে পারে। কাজেই অ্যান্ডোস্কপি এবং বেরিয়াম মিল এক্সরে উভয়ই গ্যাস্ট্রিক আলসার ধরার জন্য সবচেয়ে ভালো টেস্ট।

গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পেপটিক আলসার রোগীর চিকিৎসা

গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগীরা যখন আমাদের কাছে আসে, আমরা ওদেরকে কী কী চিকিৎসা দেব? সাধারণত চিকিৎসাটাকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। একটা জেনারেল ট্রিটমেন্ট, আরেকটা স্পেসিফিক ট্রিটমেন্ট। জেনারেল ট্রিটমেন্ট হলো সিম্পটম্যাটিক ট্রিটমেন্ট। পেশেন্টের যে সিম্পটমগুলো থাকে, সে সিম্পটম অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়া হয়। এর মধ্যে প্রথম আমরা বলে থাকি খাওয়া-দাওয়ার নিয়মটা। ভাজাপোড়া, তৈলাক্ত খাবার, শক্ত খাবার। এগুলো একটু কম খাবে। দুধজাতীয় খাবারটা খাবেন না। ঝাল, ভাজাপোড়া একটু কম খাবেন। দুধজাতীয় খাবারটা না খেতে পারলে ভালো। কারণ দুধের মাধ্যমে অনেক সময় গ্যাস বেশি হতে পারে।

এরপরে যাদের সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস আছে, অ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাস আছে, এগুলো পরিহার করতে হবে। জর্দা, সাদা পাতা যারা খান, ওইগুলোও পরিহার করতে হয়। অল্প অল্প করে খেতে হবে। ঘন ঘন খেতে হবে, পেট যাতে খালি না থাকে। পানি বেশি করে খেতে হবে, পেট যাতে কষা না থাকে। পেট কষা থাকলে গ্যাসটা বেশি হয়, বাথরুম ক্লিয়ার রাখার জন্য আমরা ওষুধ দিয়ে থাকি। আর যারা অতিরিক্ত টেনশনে থাকেন, টেনশন পরিহার করতে হবে। ঘুম নিয়মিত হতে হবে। আর নিয়মিত ব্যায়াম করলে অনেক সময় গ্যাস কম হয়। শরীর প্রফুল্ল থাকে। সে ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক সিম্পটমটা অনেক কম মনে হয়। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। এগুলো হচ্ছে সাধারণ চিকিৎসা।

স্পেসিফিক চিকিৎসা আছে। যেহেতু গ্যাস্ট্রিক আলসার বা ডিওডেনাল আলসার একটা ব্যাকটেরিয়া দিয়ে হয়, কাজেই আমরা এখানে অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাপ্লাই করে থাকি। এইচপাইলোরি ইরাডিকেশন বলা হয়। এখানে একটা ট্রিপল থেরাপি দেয়া হয়। তিনটা ওষুধ একসাথে দেওয়া হয়। দুইটা অ্যান্টিবায়োটিক, একটা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ। এটা সাধারণত সাত থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত দেয়া হয়। অনেকের আরও বেশিও লাগে। সাধারণত আমরা ১৪ দিন পর্যন্ত দিই। এরপর আমরা ওমিপ্রাজল, ইসমিপ্রাজল, এই গ্রুপের ওষুধগুলো দুই বেলা করে দেড় মাস থেকে দুই মাস পর্যন্ত দিয়ে থাকি। এ ‍দুই মাসের কোর্স খেলে সাধারণত এইটি টু নাইন্টি পারসেন্ট রোগী ভালো হয়ে যায়। ফাইভ টু টেন পারসেন্ট মানুষকে এগুলো দেয়ার পরও ভালো হয় না। এ ক্ষেত্রে আমাদের ওষুধ আরও কন্টিনিউ করতে হয়।

গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে সৃষ্ট জটিলতাসমূহ

গ্যাস্ট্রিক আলসার যদি ভালোভাবে চিকিৎসা করা না হয় বা এটা যদি অনেক দিন ধরে থাকে, এখান থেকে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়। এক নম্বর জটিলতা হলো গ্যাস্ট্রিক আলসার চিকিৎসা করার পরও আবার হয়। এটাকে বলে রিকারেন্স। সে ক্ষেত্রে এটাকে আবার চিকিৎসা করতে হয়।

দুই নম্বর হচ্ছে অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে ব্লিডিং হয়। এটাকে বলে হেমাটেমেসিস মেলেনা। মুখ দিয়ে রক্ত আসে, আবার পায়খানার রাস্তা দিয়েও রক্ত যায়। এই ধরনের ক্ষেত্রে আমাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে ব্লাড দিতে হয় এবং ব্লিডিং ব্ন্ধ করতে হয়।

এইচপাইলোরির চিকিৎসা, যেটা ট্রিপল থেরাপি, এটা আবার দেয়া হয়। তিন নম্বর হচ্ছে অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক আলসার থেকে ছিদ্র হয়ে যায় ডিওডেনাল বা গ্যাস্ট্রিক আলসার বা পাকস্থলী ছিদ্র হয়। এটাকে বলে পারফোরেশন। সে ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি করে এটার চিকিৎসা করতে হয়। প্রয়োজন অনুসারে এটার অপারেশন করা লাগে। অপারেশন করে ছিদ্র বন্ধ করতে হয়।

অনেক সময় ডিওডেনাল আলসারের ভালভটা যখন ভালোভাবে চিকিৎসা ন হয়, তখন ভালভটা ডিফরম হয়, ওখানে গ্যাস্ট্রিক আউটলেট অবস্ট্রাকশনের মতো হয়। এ ধরনের রোগীরা খাবার খেলে পেটে জমে থাকে। পরবর্তী সময়ে বমি হয়ে যায়। এ ধরনের রোগীর অপারেশন লাগে।

সাধারণত যাদের অনেক দিন ধরে গ্যাস্ট্রিক থাকে, ভালোভাবে চিকিৎসা করে না, তাদের গ্যাস্ট্রিক আউটলেট অবস্ট্রাকশগুলো হয়। এ ছাড়া অল্প কিছু রোগীর ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক আলসার ক্যানসারে টার্ন করে। এই জটিলতাগুলো খুবই খারাপ। ব্লিডিং হওয়া, পাকস্থলী ছিদ্র হয়ে যাওয়া বা পাকস্থলীর মধ্যে গ্যাস্ট্রিক আউটলেট অবস্ট্রাকশন হওয়া, ক্যানসার হওয়া, এগুলো খুবই জটিল সমস্যা। এ জন্য গ্যাস্ট্রিক আলসার যদি কারও সন্দেহ হয়, অবশ্যই আপনারা অ্যান্ডোস্কপি করে, ডায়াগনসিস করে এটার একটা ভালো চিকিৎসা নেবেন।

অ্যান্ডোস্কপি অনেক মানুষই ভয় পায়, কিন্তু ভয়ের কোনো কারণ নাই। এটা সিম্পল একটা টেস্ট। এখানে ভয়ের কোনো কারণ নাই। একটা টিউবের মতো, এর মাথায় লাইট লাগানো থাকে। এ মেশিনটা পেটের মধ্যে ঢুকিয়ে আমরা জাস্ট আলসার আছে কি না দেখি। থাকলে আলসারের খুব ভালো চিকিৎসা আছে, যেগুলো করলে আলসার পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। এ জন্য অ্যান্ডোস্কপিকে ভয় করার কোনো কারণ নাই। এটা ওই রকম সিরিয়াস কোনো পরীক্ষা না। এটা সিম্পল একটা টেস্ট। এ জন্য অনেকে আছে অ্যান্ডোস্কপি বললে ডাক্তারের কাছে আর আসে না; ভয়ে চলে যান। এটা ভয় পেলে চলবে না এবং এটা নিয়ে ভয়েরও কোনো কারণ নাই। কারণ এ সামান্য টেস্টের কারণে রোগ ধরা না পড়লে বরং পরবর্তী পর্যায়ে একটা জটিল আকার ধারণ করে রোগটা।

এ জন্য আমি বলব, অবশ্যই আপনারা সাহস রাখুন, ভয় করবেন না অ্যান্ডোস্কপির জন্য। রোগটা সন্দেহ হলে পরীক্ষা করে ওষুধ খাবেন। ইনশাল্লাহ ভালো হয়ে যাবে। আর যদি ঠিকমতো চিকিৎসা না হয়, পরবর্তীকালে জটিলতাগুলো ভোগ করতে হবে। এ জন্য আমি বলব, আপনারা সবসময় খাওয়া-দাওয়ার নিয়মটা মেনে চলবেন, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাবেন। নিয়মিত ব্যায়াম করবেন, প্রচুর পানি খাবেন। আর নিয়মিত ওষুধ সেবন করবেন প্রয়োজন হলে।

গ্যাস্ট্রিক আলসারের চিকিৎসা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত দেয়া হয়। যেমন: দেড় মাস, দুই মাস। সর্বোচ্চ হয়তো দুই-তিনবার খেতে হয়, কিন্তু নিয়মকানুনগুলো সবসময় মেনে চলতে হবে। আলসারের ওষুধ বেশি দিন না খেলেও চলবে, কিন্তু নিয়মকানুনগুলো সবসময় মেনে চলতে হবে। তাহলে আপনি সুস্থ থাকবেন।

মন্তব্য

জীবনযাপন
When is the advance ticket for the train on the occasion of Eid?

ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের কোন দিনের অগ্রিম টিকিট কবে

ঈদ উপলক্ষে ট্রেনের কোন দিনের অগ্রিম টিকিট কবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের ব্যস্ততা। ফাইল ছবি
ট্রেনে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে চাওয়া মানুষগুলো কোন দিন কত তারিখের টিকিট পাবেন, তা জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

ঈদুল ফিতরের আগে অনলাইনে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিনই অনলাইনে আগাম টিকিট পাবেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা।

ট্রেনে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে চাওয়া মানুষগুলো কোন দিন কত তারিখের টিকিট পাবেন, তা জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

ঈদের আগের টিকিট

বাংলাদেশ রেলওয়ে জানায়, ঈদের আগে ৭ এপ্রিল, শুক্রবার দেয়া হবে ১৭ এপ্রিলের টিকিট। ৮ এপ্রিল, শনিবার ১৮ এপ্রিলের টিকিট পাবেন যাত্রীরা। ৯ এপ্রিল, রোববার দেয়া হবে ১৯ এপ্রিলের টিকিট। ১০ এপ্রিল, সোমবার মিলবে ২০ এপ্রিলের টিকিট। ১১ এপ্রিল, মঙ্গলবার দেয়া হবে ২১ এপ্রিলের টিকিট।

ফিরতি যাত্রার টিকিট

ঈদ পরবর্তী ফিরতি যাত্রার ক্ষেত্রে ১৫ এপ্রিল মিলবে ২৫ এপ্রিলের অগ্রিম টিকিট। ১৬ এপ্রিল আগাম টিকিট দেয়া হবে ২৬ এপ্রিলের। ১৭ এপ্রিলে ২৭ এপ্রিলের টিকিট পাবেন যাত্রীরা। ১৮ এপ্রিল টিকিট দেয়া হবে ২৮ এপ্রিলের। ১৯ এপ্রিলে ২৯ এপ্রিলের এবং ২০ এপ্রিলে দেয়া হবে ৩০ এপ্রিলের টিকিট।

যাত্রীদের প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের বার্তা ও নির্দেশনা

১. গত ২ এপ্রিল থেকে নতুন নিয়মে ১০ দিন আগে অগ্রিম টিকিট কাটার ব্যবস্থা কার্যকর হয়।

২. ১ এপ্রিল থেকে কাউন্টার ও অনলাইনের মাধ্যমে যুগপৎভাবে সব টিকিট সকাল ৮টা থেকে বিক্রি শুরু হয়। অর্থাৎ অনলাইন বা কাউন্টারে আলাদা কোটা তুরে দেয়া হয়েছে।

৩. ১৭ থেকে ৩০ এপ্রিল সূচি ধরে ঈদের অগ্রিম ও ফিরতি যাত্রার টিকিট শুধু অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে।

৪. ঈদের অগ্রিম টিকিট ও ফিরতি যাত্রার টিকিটের ক্ষেত্রে একজন যাত্রী সর্বোচ্চ একবার এবং প্রতি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। একজন নিবন্ধনকৃত যাত্রীর সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কেনার ক্ষেত্রে সহযাত্রীদের এনআইডি/জন্মনিবন্ধন নম্বর ইনপুট দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে।

৫. ঈদে অগ্রিম ও ফিরতি যাত্রার টিকিট বিদ্যমান রিফন্ড রুল অনুযায়ী শুধু অনলাইনের মাধ্যমে রিফান্ড করা যাবে।

৬. রেলওয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারী ও বিশেষ শ্রেণির (প্রতিবন্ধী ও সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীর জন্য) সংরক্ষিত টিকিট স্টেশনে নির্ধারিত কাউন্টার থেকে ইস্যু করা হবে।

৭. ইন্টারনেটে ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে ঈদ অগ্রিম টিকিট বিক্রি সকাল ৮টায় শুরু হবে।

৮. স্পেশাল ট্রেনের টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে ট্রেনে দুর্বৃত্তদের হামলা
নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল দুজনের
মেট্রোরেলের আরও দুই স্টেশন খুলছে ১৫ মার্চ
ট্রেনে নিল ফোনে কথা বলতে থাকা ব্যক্তির প্রাণ
ট্রেনে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স মাঠে

মন্তব্য

জীবনযাপন
Jaundice symptoms and necessary tests to know

জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রয়োজনীয় টেস্ট, যা জানা দরকার

জন্ডিসের লক্ষণ ও প্রয়োজনীয় টেস্ট, যা জানা দরকার জন্ডিস শনাক্তে নানা ধরনের পরীক্ষা করা হয়। ছবি: সংগৃহীত
‘জন্ডিস রোগীরা প্রথমেই যেটা বলে, হালকা জ্বর থাকে, খেতে পারে না, বমি হয়। এটা দিয়েই জন্ডিসটা শুরু হয়। পরবর্তী পর্যায়ে আস্তে আস্তে প্রশ্রাব হলুদ হয়। তারপরে চোখ হলুদ হয়।’

বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে জন্ডিস নতুন কোনো রোগ নয়। এ রোগে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। জন্ডিসের লক্ষণ বা উপসর্গ এবং এ রোগ শনাক্তে প্রয়োজনীয় টেস্ট বা পরীক্ষাগুলো নিযে এক ভিডিওতে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হেপাটোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হোসাইন মোহাম্মদ শাহেদ। তথ্যগুলো তার ভাষায় উপস্থাপন করা হলো পাঠকদের সামনে।

জন্ডিসের লক্ষণ বা উপসর্গ

১. জন্ডিস রোগীরা প্রথমেই যেটা বলে, হালকা জ্বর থাকে, খেতে পারে না, বমি হয়। এটা দিয়েই জন্ডিসটা শুরু হয়। পরবর্তী পর্যায়ে আস্তে আস্তে প্রশ্রাব হলুদ হয়। তারপরে চোখ হলুদ হয়। একসময় দেখা যায় যে, প্যাশেন্টের জ্বরটা কমে যায়, বমিও কমে যায়, কিন্তু খেতে পারে না; গন্ধ লাগে এবং চোখ হলুদ, প্রশ্রাব হলুদ হয়ে যায়।

২. অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, রোগীর চুলকানি হয়। এটা বিশেষ করে যখন জন্ডিসটা অনেক দিন থাকে, তখন শরীর চুলকায়।

সাধারণত একজন মানুষের জন্ডিসের এ উপসর্গগুলো চার থেকে ছয় সপ্তাহ নাগাদ থাকতে পারে। সাধারণত চার সপ্তাহের মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নরমাল জন্ডিসগুলো ভালো হয়ে যায়, কিন্তু যদি দেখা যায় জন্ডিস চার সপ্তাহ পার হয়ে গেছে বা ছয় সপ্তাহ পার হয়ে গেছে, তখন নরমাল জন্ডিস না, অন্য কোনো কারণে জন্ডিস বা খারাপ কোনো কারণে জন্ডিস হয়েছে মনে করা হয়। যেমন: স্টোন, টিউমার বা অন্য খারাপ কোনো কারণে জন্ডিস হয়েছে কি না, তখন আমরা ধারণা করি।

এ জন্য কারও জন্ডিস হওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে ভালো না হলে আপনারা অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করবেন। কারণ যে জন্ডিস চার সপ্তাহ পার হয়ে গেছে, এটা নরমাল জন্ডিস না; এটা সাধারণত সেকেন্ডারি বা খারাপ কোনো কারণে জন্ডিস।

জন্ডিসের টেস্ট বা পরীক্ষা

১. একটা রোগী যখন আমাদের কাছে আসে, তখন আমরা জন্ডিসের কিছু টেস্ট দিই। প্রাথমিকভাবে, মানে জন্ডিস হইছে কি না বা কতদূর এটা, এ জন্য সাধারণত সিরাম বিলিরুবিন টেস্ট করা হয়। এটার মাত্রা সাধারণত ওয়ান পয়েন্ট ওয়ান পর্যন্ত হয়ে থাকে। যখন এর মাত্রা ওয়ান পয়েন্ট ওয়ানের বেশি থাকে, তখন এটাকে আমরা জন্ডিস হিসেবে শনাক্ত করি।

২. বিলিরুবিনের সঙ্গে সাধারণত কিছু এনজাইম বেড়ে যায়। কিছু এনজাইম বেড়ে গেলে ধরা হয় লিভারের কারণে জন্ডিস। অন্যদিকে অ্যালক্যালাইন ফসফেটাস বেড়ে গেলে ধরে নিই কোনো ওষুধের কারণে জন্ডিস হইছে অথবা টিউবের ভেতরে কোনো রোগের কারণে জন্ডিসটা হইছে।

৩. জন্ডিস শনাক্ত করার পরে কী কারণে জন্ডিস হইছে, এটা ধরার জন্য কিছু টেস্ট করি। এর মধ্যে বিভিন্ন রকম হেপাটাইটিস ভাইরাসগুলো করা হয়। হেপাটাইটিস এ ভাইরাস, বি ভাইরাস, সি ভাইরাস, ই ভাইরাস। এগুলো করা হয়। এগুলো করে আমরা কোনো ভাইরাস থেকে জন্ডিস হইছে কি না, সেগুলো শনাক্ত করি।

৩. যদি দেখা যায়, কোনো ভাইরাস নাই, তখন আমরা অন্য কোনো কারণ আছে কি না, দেখি। এর মধ্যে আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়। আলট্রাসনো করে লিভারের মধ্যে কোনো সমস্যা আছে কি না, যেমন: লিভারের টিউবের ভেতরে কোনো টিউমার বা স্টোন এগুলো আছে কি না, শনাক্ত করা হয়।

৪. অনেক সময় দেখা যায় যে, কারও কারও জন্ডিস অনেক দিন ধরে থাকে। একবার হয়, একবার ভালো হয়। এটার জন্য ক্যালোরি ডিপ্রাইভেশন টেস্ট করা হয়।

৫. আবার অনেকের দেখা যায় যে, ঘন ঘন জন্ডিস হয়। তখন আমরা ব্লাড টেস্ট করি, সিবিসি করে দেখি। সাথে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতা থাকে।

৬. সাধারণত রক্তের কারণেই জন্ডিসটা হয়। তখন হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস করা হয়। এটা করে হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া আছে কি না, এটা ধরা হয়। অনেক সময় হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়া বা থ্যালাসেমিয়া, এগুলোর কারণে জন্ডিস থাকে।

৭. অনেক সময় কোনো ওষুধ বা ড্রাগের কারণে জন্ডিস হইছে কি না, এইটা ধরার জন্য গামা-জিটি একটা টেস্ট আছে, এটা করা হয়। এগুলো আমরা রোগীর অবস্থা বুঝে বিভিন্ন সময় যখন যে টেস্টটা লাগে, এটা করি। করে কী কারণে জন্ডিস হইছে, এটা আইডেন্টিফাই করা হয়।

৮. যদি আলট্রাসনোগ্রাম করে দেখা যায় যে, লিভারের টিউবের ভেতরে জন্ডিস, তখন আমরা এমআরসিপি নামে একটা পরীক্ষা করি। এটা করে পাথর বা টিউমার কোন পজিশনে আছে, এটা আইডেন্টিফাই করি।

আরও পড়ুন:
জন্ডিস কী, কেন হয়

মন্তব্য

জীবনযাপন
These healthy drinks can be your companion for healthy skin

হেলদি স্কিনের জন্য স্বাস্থ্যকর এ পানীয়গুলো হতে পারে আপনার সঙ্গী

হেলদি স্কিনের জন্য স্বাস্থ্যকর এ পানীয়গুলো হতে পারে আপনার সঙ্গী
কিছু পানীয় আপনার ত্বকের জন্য জাদুর মতো কাজ করতে পারে। এ ধরনের পানীয় বিভিন্ন সালাদের তুলনায় খাওয়া অনেক সহজ। সেই সঙ্গে দেহের পানিশূন্যতাও রোধ করতে পারে স্বাস্থ্যসম্মত এসব জুস বা স্মুদি।

আমরা অনেকেই স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল ত্বকের স্বপ্ন দেখি। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অনেকে অনেক ধরনের স্কিনকেয়ার রুটিন অনুসরণ করি। এ ছাড়াও আমরা আমাদের খাদ্যের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিই এবং ব্রেকআউট হতে পারে এমন খাবার এড়িয়ে চলি।

ডায়েটে ফল এবং সবজি অন্তর্ভুক্ত করলে আমাদের ত্বকে ফিরে পায় লাবণ্য, আর এটি করার সেরা উপায়গুলির মধ্যে একটি হল স্বাস্থ্যকর পানীয় এবং জুস খাওয়া।

কিছু পানীয় আপনার ত্বকের জন্য জাদুর মতো কাজ করতে পারে। এ ধরনের পানীয় বিভিন্ন সালাদের তুলনায় খাওয়া অনেক সহজ। সেই সঙ্গে দেহের পানিশূন্যতাও রোধ করতে পারে স্বাস্থ্যসম্মত এসব জুস বা স্মুদি।

ভালো ত্বকের জন্য এমন কিছু পানীয়র তালিকা এনডিটিভিকে জানিয়েছেন ডায়েটিশিয়ান মনপ্রীত কালরা। নিচে তা নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য দেয়া হলো।

স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য স্মুদি

এ স্মুদি তৈরি করতে, একটি ব্লেন্ডারে দুধ, পিনাট বাটার, এক চিমটি দারুচিনি পাউডার, ওটস এবং সত্তু পাউডার যোগ করুন। আপনি একটি মসৃণ সামঞ্জস্য না পাওয়া পর্যন্ত মিশ্রিত করুন। উপরে ভেজানো চিয়া বীজ যোগ করুন এবং সন্ধ্যায় উপভোগ করুন।

বাটারমিল্কের সঙ্গে চিয়া সিড

সাধারণ চা বা বাটারমিল্ক তৈরি করতে সহজভাবে দই, পানি, জিরা গুঁড়া এবং বিট লবণ মিশিয়ে নিন। সারারাত ভিজিয়ে রাখা চিয়া বীজ উপরে দিয়ে দিন।

চিয়া সিডে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা প্রদাহ কমাতে এবং ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে পরিচিত।

ডাবের পানি

ডাবের পানি ত্বকের হাইড্রেশন এবং স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করে। এটি আপনাকে উজ্জ্বল ত্বক পেতে সাহায্য করবে। ডাবের পানিতে ভিটামিন এ, সি এবং কে উজ্জ্বল ত্বকে অনেক সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:
ত্বকী হত্যা বিচারহীনতার নজির: রফিউর রাব্বি
মাফিয়াচক্র সবকিছু ধ্বংস করেছে: ত্বকীর বাবা
শীতকালে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ত্বকের যত্ন
ত্বকীসহ সব শিশু হত্যার বিচার চান আইভী
ত্বকীর হত্যাকারী আপনার ঘরে: শামীম ওসমানের প্রতি আইভী

মন্তব্য

জীবনযাপন
How to get the child to practice cleanliness

শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস করাবেন যেভাবে

শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস করাবেন যেভাবে শিশুর মধ্যে পরিচ্ছন্নতার অভ্যাসগুলো গড়ে তুলতে হয়। ছবি: সংগৃহীত
‘টয়লেটে মলত্যাগ বা প্রস্রাবের পর পানি ব্যবহার, টয়লটে পরিষ্কার রাখা, টয়লেটে স্যান্ডেল পায়ে যাওয়া, হাত ধোয়ার মতো বিষয়গুলো শিশুকে শিখিয়ে দিতে হবে।’

শিশুর সুস্থতা নির্ভর করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর। সার্বিক সুস্থতার জন্য সবসময় কিছু ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। এসব স্বাস্থ্যবিধি বা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস শিশুদের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই গড়ে তোলা উচিত। আর এটা করতে হয় অভিভাবকদের। কথায় আছে, পরিবারই শিশুর প্রথম স্কুল।

কীভাবে শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলোয় অভ্যস্ত করে তুলবেন এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গাজী হোসনে আরা।

নিয়মিত গোসল

সুস্থতার জন্য চাই নিয়মিত গোসল। একটু ঠান্ডা পড়লেই অনেকে শিশুকে গোসল করাতে চান না। এটা ঠিক নয়; বরং শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে।

গোসল না করালে শরীরে র‌্যাশ, চুলকানি, ছত্রাকের সংক্রমণসহ নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। ঠান্ডা থাকলে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিন।

গোসলের সময় শিশুর গলার নিচে, ঘাড়, বগল, হাঁটুর ভাঁজ ইত্যাদি জায়গা পরিষ্কার করে দিন।

হাত ধোয়া

শিশুর মধ্যে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। শীত-গরম যাই থাকুক, বাইরে থেকে এসে ও খাওয়ার আগে শিশুকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ায় অভ্যস্ত করুন, তবে হাত ধোয়ারও নিয়ম আছে।

১. দুই হাতের কনুই অবধি ভালোভাবে সাবান লাগিয়ে নিন।

২. দুই হাতের তালু পরস্পর, ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠে, বাম হাতের তালু ডান হাতের পিঠে, এক হাতের আঙুলের পিঠ অন্য হাতের তালুতে, এক হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি অন্য হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে, দুই হাতের তালু পরস্পর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হাত ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।

শিশুকে এই নিয়মে হাত ধোয়া শেখাতে চেষ্টা করুন।

টয়লেটে পানি ব্যবহার

টয়লেটে মলত্যাগ বা প্রস্রাবের পর পানি ব্যবহার, টয়লটে পরিষ্কার রাখা, টয়লেটে স্যান্ডেল পায়ে যাওয়া, হাত ধোয়ার মতো বিষয়গুলো শিশুকে শিখিয়ে দিতে হবে।

টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে। এ বিষয়গুলো শিশু নিজে নিজে শিখে যাবে, এটা আশা করা উচিত হবে না। কারণ দেখা যায়, এগুলো শিশুরা হয়তো জানে, কিন্তু পালন করার অভ্যাসটা অনেক শিশুর মধ্যেই গড়ে ওঠে না।

নখ পরিষ্কার

নখের ময়লা থেকে হতে পারে অনেক রোগ। তাই নখ ছোট ও পরিষ্কার রাখা শিশুকে শেখাতে হবে। সপ্তাহে একবার নখ কাটতে হবে। অনেক শিশুকে দেখা যায় দাঁত দিয়ে নখ কাটতে, যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। খেয়াল রাখবেন যেন এ বদ অভ্যাস শিশুর না হয়।

উৎসাহ দিন

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলো শিশুকে চাপিয়ে না দিয়ে উৎসাহ দিয়ে শেখানোর চেষ্টা করুন। এতে শিশু নিজে থেকেই পরিচ্ছন্ন থাকতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। দাঁত ব্রাশ করলে, হাত ধুলে শিশুর প্রশংসা করুন। এর উপকারিতাগুলো শিশুকে বলুন। শিশু উৎসাহিত হবে।

আরও পড়ুন:
‘বিশ্ব শিশু পুরস্কার’ দৌড়ে নৌকা স্কুলের রেজোয়ান
ঋতু পরিবর্তনে শিশুদের সর্দিজ্বর, প্রতিরোধে কী করবেন
কেন ভিখারিনির কোলে শিশু রেখে চলে গিয়েছিলেন মা
ভিখারিনির কোলে ৬ মাসের শিশু রেখে পালালেন নারী
অহংকার দূর করার তিনটি উপায়

মন্তব্য

p
উপরে