শীতকাল চলে এসেছে। বছরের সবচেয়ে সংবেদনশীল এ সময়টিতে সবকিছুর দিকেই একটু বাড়তি খেয়াল রাখতে হয়। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত খাবার হলো- সকালে যা খাওয়া হয় সেটি। কারণ এ সময়টিতে গ্রহণ করা খাবারই সারা দিন একজন মানুষের চলার প্রাথমিক শক্তি জোগায়। অনেকেই না বুঝে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন। তবে শীতকালে সকালের নাশতায় কোন কোন খাবার আপনার স্বাস্থ্য রক্ষায় ভূমিকা রাখবে, সে বিষয়ে ইট দিস, নট দ্যাট সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে কিছু তথ্য উঠে এসেছে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
শাকসবজি
শীতকাল হলো নানা রকম শাকসবজির জন্য সবচেয়ে আদর্শ সময়। এই ঋতুতে যেসব শাকসবজি পাওয়া যায় এর প্রায় সবই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কোনো বিশেষ স্বাস্থ্যগত সমস্যা না থাকলে চেষ্টা করুন প্রতিদিনের সকালের নাশতায় শাকসবজি রাখতে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উত্তম হলো- মিক্সড ভেজিটেবল। কারণ এতে প্রায় সব ধরনের ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার থাকে যা বিভিন্ন রোগের সঙ্গে লড়াই করে।
কম মসলাদার খাবার
শুধু শীতকাল নয়, অন্য সময়েও অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ অতিরিক্ত মসলা নানা রকম পেটের সমস্যাসহ অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতার কারণ। বেশির ভাগ সময় মানুষ ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হয় অতিরিক্ত মসলাদার খাবার খেয়ে। শীতকালটা যেহেতু একটু বেশিই সংবেদনশীল, তাই এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
ঠাণ্ডাজাতীয় খাবার
শীতকাল এলেই অনেকে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যায় ভুগতে শুরু করেন। এর একটি কারণ হতে পারে নিয়মিত ঠাণ্ডা খাবার খাওয়া। শীতকালীন সকালের আবহাওয়া যেহেতু বেশি শীতল হয়, তাই এ সময়ের খাবারে ঠাণ্ডা এড়িয়ে চলা জরুরি। যেকোনো খাবার গরম করে বা টাটকা রেঁধে খাওয়াই ভালো।
ঔষধি উপাদান
শীতের সময় সকালের খাবারে বিভিন্ন ঔষধি উপাদান রাখা জরুরি। কেননা এই ঋতুতে অনেকের শরীরের রোগ-প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। যা ঔষধি উপাদান ঠিক রাখতে সহায়তা করে। এ ধরনের উপাদানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মধু, তুলসীপাতা, গোলমরিচ, রসুন ইত্যাদি।
চা
শীতের সকালে শরীর উষ্ণ রাখতে চা অত্যন্ত কার্যকরী একটি পানীয়। তবে সাধারণ চায়ের পরিবর্তে- গ্রিন টি, তুলসী অথবা আদা চায়ের উপকারিতা বেশি। এতে ক্লান্তি দূর হওয়ার পাশাপাশি শরীরও সতেজ থাকে।
লাল আটার রুটি
লাল আটা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর একটি উপাদান। এই আটায় বানানো রুটিতে রয়েছে ভিটামিন বি এবং ফাইবার। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং ভিটামিন বি শরীর উষ্ণ রাখে।
ডিম
ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। সেদ্ধ অথবা পোচ যেকোনোভাবেই ডিম খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী। ডিমে প্রোটিন ছাড়াও ভিটামিন ই, ক্যালসিয়াম এবং ওমেগা-৩ রয়েছে।
স্যুপ
স্যুপ নানা রকম পুষ্টিকর উপাদানে তৈরি করা হয়। যা শরীরের শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ঠাণ্ডা দূর করতেও কাজ করে।
আরও পড়ুন:সন্ধ্যায় চা-কফি পান করতে করতে চিন্তা করলেন, আজ রাতে দেরি না করে আগেই ঘুমিয়ে পড়বেন। সেই চিন্তা থেকে রাত ১১টার মধ্যেই বিছানা করে শুয়েও পড়লেন। এর পর হাতে মোবাইলটা নিয়ে ভাবলেন ১০ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে নেই। এরপর কখন রাত দুইটা বেজে গেল খেয়ালই নেই।
রাত দুইটা-তিনটার সময় ঘুমিয়ে পরের দিন সকাল সকাল উঠে ঠিকই কাজে ছুটতে হচ্ছে অনেককেই। এতে করে ঘুম পরিপূর্ণ হচ্ছে না; সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব থেকে যাচ্ছে। থাকছে না কাজে মনোযোগ; বিরক্ত লাগছে সবকিছু।
এর পর দেখা যায়, ক্লান্তিভাব নিয়ে বাসায় ফিরে বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় ঘুম দিচ্ছেন অনেকেই। ঘুম থেকে উঠে আবার সেই চা-কফির অভ্যাস। আবারও ঘুমাতে দেরি হয়ে গেল আজ।
ঘুম না আসার এ ‘অনিদ্রা চক্রে’ আটকে আছি আমরা অনেকেই, যা দিন দিন ক্ষতি করছে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে।
সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
কীভাবে এ অনিদ্রা চক্র থেকে বের হওয়া যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. সাফিকা আফরোজ।
তিনি লিখেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই মন খারাপ থাকা, কাজকর্মে অনীহা ও মনোযোগ না থাকার অন্যতম কারণ হলো অনিদ্রা।’
অনিদ্রা কাটানোর কিছু সহজ উপায়
এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো রাত জেগে না করে দিনের বেলা করার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে ভালো ঘুমের সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন:নারীর সাজগোজের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে গয়না। যেকোনো পোশাকের সঙ্গে নারীদের চাই মানানসই গয়না, তবে পছন্দের গয়নাটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য এবং এর সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিতে হবে সঠিক যত্ন।
গয়নার যত্ন সম্পর্কে অনেকেরই তেমন একটা ধারণা নেই। একেক ধরনের গয়নার যত্ন একেক রকম। যদি সঠিকভাবে গয়নার যত্ন নেয়া যায়, তবে পুরানো গয়নাতেও ফিরিয়ে আনা যায় চমক।
ইউএনবি বাংলার এক প্রতিবেদনের দীর্ঘদিন গয়নার চাকচিক্য ধরে রাখার কয়েকটি টিপস তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
১. গয়নার ওপরে সরাসরি পারফিউম স্প্রে করবেন না।
২. রূপার গয়না সুন্দর রাখতে প্রথমে গয়নাটি ভালোভাবে মুছে তার ওপর ট্যালকম পাউডার লাগান। এরপর শুকনো সুতি কাপড় দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। সঠিকভাবে যত্ন নিলে আপনার রূপার গয়নাও ভালো থাকবে দীর্ঘদিন।
৩. মুক্তার গয়না ব্যবহার শেষে নরম, ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে, তবে খুব বেশি ময়লা হলে পানিতে সামান্য সাবান মিশিয়ে নিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। মুক্তার গয়না সবসময় মখমলের কাপড়ে মুড়িয়ে রাখবেন। গরমের সময় মুক্তার গয়না না পরাই ভালো, কারণ ঘাম লাগলে মুক্তার দ্যুতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৪. কুন্দন বা হীরার গয়না নরম তুলা লাগানো প্লাস্টিকের বাক্সে রাখবেন, যাতে তা ভাঙার কোনো সম্ভাবনা না থাকে।
৫. পান্না খুবই নরম ও ঠুনকো পাথর, পান্নার গয়না সবসময় বসে পরিধান করবেন, যেন হাত থেকে পড়লেও তা ভেঙে না যায়।
৬. সব গয়না এক সাথে রাখবেন না, তা আলাদা বাক্সে রাখুন বা একই বাক্সের বিভিন্ন প্রকোষ্ঠে রাখুন। কারণ একই বাক্সে রাখলে তা জড়িয়ে গিয়ে ছিঁড়ে যেতে পারে বা ঘষা লেগে চমক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৭. হীরার গয়না ছাড়া আর কোনো গয়নায় পানি বা সাবান লাগাবেন না।
আরও পড়ুন:সাজ সামগ্রীর মধ্যে মেয়েদের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ও জনপ্রিয় প্রসাধনী হচ্ছে লিপস্টিক। ঠোঁট রাঙাতে এই প্রসাধনীর জুড়ি মেলা ভার। লিপস্টিক কেনার সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই রংকেই গুরুত্ব দেয়া হয়, তবে লিপস্টিকের টেক্সচার কেমন সেটা দেখাও খুব জরুরি।
ইউএনবি বাংলার এক প্রতিবেদনের কার কোন টেক্সচারের লিপস্টিক সবচেয়ে বেশি মানাবে তা তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
ক্রিমি লিপস্টিক
যাদের ঠোঁট ছোট ও পাতলা তারা এই ধরনের লিপস্টিক লাগাতে পারেন। ক্রিম থাকায় এই লিপস্টিকে ঠোঁট অনেক ভরাট দেখায়। এই লিপস্টিক ঠোঁটের শুষ্কভাবও কাটিয়ে দেয়। যেকোনো সাজে যেকোনো সময়ই মানাবে এই ক্রিমি লিপস্টিক।
স্যাটিন ফিনিশ বা শিয়ার লিপস্টিক
এই লিপস্টিকে আবার অয়েল কনটেন্ট অনেক বেশি। তাই ঝলমলে গ্লসি লুক পাওয়ার জন্য এই লিপস্টিক ব্যবহার করা যেতেই পারে, তবে এই লিপস্টিক যা রং দেখায় ঠোঁটে কিন্তু তার থেকে অনেক বেশি গাঢ় হয়ে যায়। এই লিপস্টিকও ঠোঁটের শুষ্কভাব কাটিয়ে দেয়, তবে এই লিপস্টিক দিনের বেলায় এড়িয়ে যাওয়ায় ভাল।
ম্যাট লিপস্টিক
এই লিপস্টিক যার ঠোঁট যেমন তেমন টেক্সচারই দেখায়, তবে যাদের ঠোঁট খুব শুষ্ক তাদের এই লিপস্টিক এড়িয়ে চলায় ভাল। ম্যাট লিপস্টিক লাগালে ওপরে লিপবামও লাগাতে পারেন, তবে এই লিপস্টিকের স্থায়িত্ব অনেক বেশি তাই সারাদিনের অনুষ্ঠানে এই লিপস্টিক খুবই ভাল।
ট্রান্সফাররেজিস্ট্যান্ট লিপস্টিক
অনেকে অফিস বা ক্লাসের উদ্দেশে সকালে বের হয়ে রাতে বাসায় ফেরেন। আর এই লিপস্টিক তাদের জন্য একেবারে আদর্শ। এই লিপস্টিক সকাল থেকে রাত পর্যন্ত একইরকম থাকে, এমনকি জলেও উঠে না। এই লিপস্টিক তোলার জন্য সলিউশন পাওয়া যায়। তেল কিংবা ময়েশ্চারাইজার দিয়েও তুলতে পারেন এই লিপস্টিক। এই লিপস্টিকে ময়েশ্চারাইজার কনটেন্টও স্বাভাবিক থাকে, ফলে ঠোঁটও শুষ্ক হয় না।
ফ্রস্টেড লিপস্টিক
এই লিপস্টিক খুব হালকা হয়। এই লিপস্টিক স্পার্কেল করে, তবে এই লিপস্টিক ঠোঁটও শুষ্ক করে না। দিনের যেকোনো সময়ই ব্যবহার করতে পারেন এই লিপস্টিক।
আরও পড়ুন:বর্তমানে বহু মানুষই ঘরের কোণে কোণে সুগন্ধি ব্যবহার করেন। আপনিও কি তাদেরই দলে? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে কোনো সমস্যা নেই, তবে সারা বছর একই রকম সুগন্ধি ব্যবহারের অভ্যাস থাকলে তা বদলের সময় এসেছে। এ ছাড়াও ঘরে সুগন্ধি ব্যবহারের আগে আপনার জানা প্রয়োজন কী করবেন আর কোন কাজ ভুলেও করবেন না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে ঘরে সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা উচিত এবং যে ভুলগুলো একদমই করা উচিত নয় তা তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
ঘরে সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যা করবেন
১. বাড়ির প্রত্যেক ঘরে একই ধরনের সুগন্ধীর ব্যবহার কখনও হতে পারে না। তারও কিছু বৈপরীত্যের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রান্নাঘরে যেহেতু চড়া মশলার গন্ধ অনেক সময় আপনাকে বিব্রত করে তাই সেখানে লেবুর গন্ধওয়ালা সুগন্ধি ব্যবহার করাই ভাল। আবার টয়লেটের ক্ষেত্রে সুগন্ধি ফুলের মতো হলে মন্দ হয় না, তবে আপনার শোবার ঘরের ক্ষেত্রে সুগন্ধি যাতে একেবারে হালকা হয়, সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।
২. আমরা কোন জায়গায় যাচ্ছি, তার উপর নির্ভর করেই পোশাক বাচাই করি। ঠিক তেমনই অনুষ্ঠানের ধরন অনুযায়ী বাড়ির সুগন্ধিতেও বদল আনুন। দেখবেন মেজাজটাই হয়ে যাবে একেবারে অন্যরকম।
৩. এসেনশিয়াল অয়েল আপনার ঘরে সুগন্ধির কাজ করতেই পারে, তবে গন্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করতে এসেনশিয়াল অয়েলের মাধ্যমে তৈরি মোমবাতি ব্যবহার করতে পারেন।
৪. একেবারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফুলকে সুগন্ধি হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন, তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন তা যেন বিশেষ উজ্জ্বল না হয়।
ঘরে সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যা করবেন না
১. ঘরে সুগন্ধের জন্য অনেকেই মোমবাতি ব্যবহার করেন, তবে এই ধরনের মোমবাতি অনেক ক্ষেত্রেই ধুলাবালি শুষে নিয়ে দুর্গন্ধও ছড়ায়। সেক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন হিতে বিপরীত প্রতিক্রিয়া যেন না হয়।
২. এসেনশিয়াল অয়েল ঘরকে সুগন্ধে ভরে দেয়ার জন্য অবশ্যই ভাল পদ্ধতি। কিন্তু দীর্ঘদিন একটানা ব্যবহারের ফলে তা আপনার কাছে হয়ে উঠতে পারে একঘেয়ে।
৩. ঘরকে সুগন্ধে ভরিয়ে তুলতে গিয়ে আপনার শারীরিক কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না, সেদিকে খেয়াল রাখুন। এমন জায়গায় সুগন্ধি রাখুন যাতে আপনার চোখের কাছাকাছি না হয় তা লক্ষ্য রাখুন।
আরও পড়ুন:অনেকেই ঘর সাজাতে ইনডোর প্ল্যান্ট ব্যবহার করেন। অনেকেই মনে করেন ইনডোর প্ল্যান্ট মানেই অল্প দেখভাল করলেই হয়ে যায়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমনি গাছের তুলনায় ইনডোর প্ল্যান্টের যত্ন করতে হয় বেশি। তাই ঘরে থাকা গাছের যত্ন নিতে পাঁচটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখুন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে ইনডোর প্ল্যান্ট বাঁচাতে যে পাঁচটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
১) ঘরে আছে বলে নিয়মিত পানি দিবেন না, তা কিন্তু নয়। রোজ অল্প অল্প করে পানি দিন, তবে নজর রাখবেন পাত্রে যেন পানি জমে না থাকে।
২) অল্প আলোয় কখনই গাছ রাখবেন না। আবার বেশি আলোতেও নয়। গাছ এমন জায়গায় রাখুন, যাতে হালকা আলো সবসময় পায় গাছটি।
৩) কখনই এসির নিচে গাছ রাখবেন না। চেষ্টা করুন গাছ রাখার জায়গাটা এসির থেকে দূরে রাখার। এতে গাছ ঠিকঠাক বাড়বে।
৪) পানিতে কাপড় ভিজিয়ে মাঝে মধ্যে পরিষ্কার করুন গাছের পাতা। কিংবা কাঁচা দুধ তুলাতে ভিজিয়ে গাছের পাতা মুছে দিন। এ উপায়ে তরতাজা থাকবে গাছ।
৫) লক্ষ্য রাখুন গাছের টবে যেন পোকামাকড় না আসে। কাঁচা দুধের মধ্যে কিছুটা হলুদ মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিয়ে দিন এতে, পোকামাকড় হবে না।
আরও পড়ুন:গুড়ের কদর শীতকালে বাড়লেও সারা বছর বাঙালির রান্নাঘরে গুড়ের আনাগোনা চলতেই থাকে। অনেকে চিনি খান না। বিকল্প হিসাবে একটু-আধটু গুড় খেয়ে থাকেন, তবে শীতকালে গুড় সংরক্ষণ করার আলাদা করে কোনো প্রয়োজন পড়ে না। ঠান্ডা আবহাওয়ায় গুড় নষ্ট হয় না। কিন্তু গরম পড়লে গুড় নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা, তবে কিছু উপায় জানা থাকলে সারা বছরই গুড় ভালো রাখতে পারেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে সারা বছর গুড় ভালো রাখার তিনটি উপায় তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
১) বাজার থেকে গুড় কিনে আনার পর তা ফ্রিজে ঢুকিয়ে রাখেন অনেকেই। দীর্ঘ দিন ফ্রিজে গুড় রেখে দিলে অনেক সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ফ্রিজে রাখলেও মাঝেমাঝে গুড়ের কৌটো বের করে রোদে দিন। এতে গুড় অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকবে। গুড়ে ফাঙ্গাস ধরার ভয়ও থাকবে না।
২) রোদে দেয়ার পাশাপাশি, কিছুদিন পরপর গুড় জ্বাল দিয়ে নিতেও পারেন। একটি পাত্রে গুড় ঢেলে নিয়ে গ্যাসে অল্প আঁচে বসিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নামিয়ে নিন। ঠান্ডা হলে কৌটোয় ভরে আবার ডিপ ফ্রিজে তুলে রাখুন।
৩) ঝোলা গুড় ছাড়াও অনেকের বাড়িতে পাটালিও মজুত করে রাখেন। রাতে দুধ-রুটির সঙ্গে এক টুকরো পাটালি মেখে খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। বেশি দিন রাখলে বর্ষার আবহাওয়ায় পাটালিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পাটালিতে যদি ফাঙ্গাস ধরে যায়, তা হলে ওই অংশটুকু ফেলে দিয়ে গুড়ের বাকি অংশটুকু ধুয়ে শুকিয়ে নিন। কিছুক্ষণ বাতাসে রেখে তুলে দিন। মাঝেমাঝে বের করে বাতাসে রেখে দিতে পারেন। দীর্ঘ দিন ভালো থাকবে আপনার সাধের পাটালি।
'অতিকায় হস্তী লোপ পাইয়াছে, কিন্তু তেলাপোকা টিকিয়া আছে'। বহুল প্রচলিত উক্তিটির সেই তেলাপোকার উপদ্রবে আমরা কম-বেশি সবাই অতিষ্ঠ।
কিন্তু তাই বলে পতঙ্গটির ক্ষতি করতে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের জীবনও হুমকির মুখে ফেলছেন কি না তাও ভাবতে হবে।
ত্যক্ত-বিরক্ত হয়ে এক দিনের মধ্যেই ঘরের তেলাপোকার বংশ ধ্বংস করতে অতি মাত্রায় রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করবেন না।
কারণ, বাজারে তেলাপোকা নিধনের যেসব স্প্রে ও পাউডারজাতীয় রাসায়নিক পাওয়া যায়, সেসব মূলত প্রাণনাশের জন্য তৈরি। ওই বিষে তেলাপোকা যেমন মরবে, তেমন সংস্পর্শে এলে আপনার প্রাণও যেতে পারে।
লাইভ স্পেস সাময়িকীর প্রতিবেদনে তেলাপোকা নিধনের কিছু ঘরোয়া উপায় উঠে এসেছে। সেসবে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক-
তেজপাতা
তেলাপোকা তাড়ানোর সবচেয়ে সাশ্রয়ী উপায় হিসেবে বিবেচিত তেজপাতা। তেজপাতার তীব্র ও ঝাঁঝালো ঘ্রাণ তেলাপোকা সহ্য করতে পারে না। তেলাপোকার উপদ্রব বেড়ে গেলে, কিছু তেজপাতা গুঁড়া করে ঘরের কোনাসহ বিভিন্ন জায়গায় ছিটিয়ে দিন। সপ্তাহে দুই-একবার এটি করলে তেলাপোকা উধাও হয়ে যাবে।
চিনি ও বেকিং সোডা
বেকিং সোডা তেলাপোকার বিষ হিসেবে কাজ করে। একটি পাত্রে সমপরিমাণ চিনি ও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঘরের প্রতিটি কোনায় ছিটিয়ে দিন। চিনির গন্ধে তেলাপোকা আকৃষ্ট হবে। ফলে চিনি খেতে এসে বেকিং সোডা খেয়ে সব তেলাপোকা মারা যাবে। সপ্তাহে দুই দিন করে অন্তত তিন সপ্তাহ এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে তেলাপোকা নিধন হয়ে যাবে।
অ্যালুমিনিয়াম ও শসা
কিছু শসার খোসা নিন। খোসাগুলো একটি অ্যালুমিনিয়ামের ক্যানে ঢুকিয়ে যেদিক থেকে তেলাপোকা আসতে পারে, সেসব স্থানে রেখে দিন। শসার খোসা অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়া করে যে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে, তাতে তেলাপোকা মরে যায়।
সাবানপানি
ঘরের যেসব স্থানে তেলাপোকার উপদ্রব বেশি, সেখানে কিছু মিষ্টিজাতীয় খাবার রাখুন। খাবারের টানে আকৃষ্ট হয়ে যখন তেলাপোকা জমবে, তার ওপর সাবানপানি দিয়ে দিন। এতে তেলাপোকাগুলো মরে যাবে।
বোরিক পাউডার
বোরিক পাউডার এক ধরনের অ্যাসিডিক উপাদানে তৈরি। এই উপাদান পোকামাকড় ও পতঙ্গ নিধনে সহায়ক। তাই তেলাপোকা নিধনেও এটি কার্যকর। ১ চামচ বোরিক পাউডারের সঙ্গে ২ চামচ আটা বা ময়দা মিশিয়ে মিশ্রণটি ঘরের চারপাশে ছিটিয়ে দিন। আটা-ময়দার ঘ্রাণে আকৃষ্ট হয়ে তেলাপোকা আসবে এবং বোরিক পাউডার খেয়ে মারা পড়বে।
মসলার স্প্রে
একটি বোতলে পানির সঙ্গে রসুন, পেঁয়াজের পেস্ট এবং গোলমরিচের গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি ঘরের কোনায় এবং চিপা জায়গাগুলোতে স্প্রে করে দিন। এতে তেলাপোকা আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য