তেলাপোকা বিরক্তিকর হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিকর একটি পতঙ্গ। এরা সব সময় ময়লা-আবর্জনায় থাকে। পাশাপাশি ক্ষতিকর রোগজীবাণু বহন করে। খাবারের খোঁজে ঘরে থাকা খাবার-দাবারসহ তৈজসপত্রের ওপর হেঁটে বেড়ায়। এদের উপদ্রবে অনেকেই অতিষ্ঠ। বাজারে তেলাপোকা নিধনের জন্য নানা রকম স্প্রে ও পাউডারজাতীয় রাসায়নিক পাওয়া যায়। তবে লাইভ স্পেস সাময়িকীর এক প্রতিবেদনে তেলাপোকা নিধনের কিছু ঘরোয়া উপায় উঠে এসেছে। চলুন জেনে নেয়া যাক-
চিনি ও বেকিং সোডা
বেকিং সোডা তেলাপোকার বিষ হিসেবে কাজ করে। একটি পাত্রে সমপরিমাণ চিনি ও বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ঘরের প্রতিটি কোনায় ছিটিয়ে দিন। চিনির গন্ধে তেলাপোকা আকৃষ্ট হবে। ফলে চিনি খেতে এসে বেকিং সোডা খেয়ে সব তেলাপোকা মারা যাবে। সপ্তাহে দুই দিন করে অন্তত তিন সপ্তাহ এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে তেলাপোকা নিধন হয়ে যাবে।
তেজপাতা
তেলাপোকা তাড়ানোর সবচেয়ে সাশ্রয়ী উপায় হিসেবে বিবেচিত তেজপাতা। তেজপাতার তীব্র ও ঝাঁঝালো ঘ্রাণ তেলাপোকা সহ্য করতে পারে না। তেলাপোকার উপদ্রব বেড়ে গেলে, কিছু তেজপাতা গুঁড়া করে ঘরের কোনাসহ বিভিন্ন জায়গায় ছিটিয়ে দিন। সপ্তাহে দুই-একবার এটি করলে তেলাপোকা উধাও হয়ে যাবে।
অ্যালুমিনিয়াম ও শসা
কিছু শসার খোসা নিন। খোসাগুলো একটি অ্যালুমিনিয়ামের ক্যানে ঢুকিয়ে যেদিক থেকে তেলাপোকা আসতে পারে, সেসব স্থানে রেখে দিন। শসার খোসা অ্যালুমিনিয়ামের সঙ্গে বিক্রিয়া করে যে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে, তাতে তেলাপোকা মরে যায়।
সাবানপানি
ঘরের যেসব স্থানে তেলাপোকার উপদ্রব বেশি, সেখানে কিছু মিষ্টিজাতীয় খাবার রাখুন। খাবারের টানে আকৃষ্ট হয়ে যখন তেলাপোকা জমবে, তার ওপর সাবানপানি দিয়ে দিন। এতে তেলাপোকাগুলো মরে যাবে।
মসলার স্প্রে
একটি বোতলে পানির সঙ্গে রসুন, পেঁয়াজের পেস্ট এবং গোলমরিচের গুঁড়া মেশান। মিশ্রণটি ঘরের কোনায় এবং চিপা জায়গাগুলোতে স্প্রে করে দিন। এতে তেলাপোকা আসা বন্ধ হয়ে যাবে।
বোরিক পাউডার
বোরিক পাউডার এক ধরনের অ্যাসিডিক উপাদানে তৈরি। এই উপাদান পোকামাকড় ও পতঙ্গ নিধনে সহায়ক। তাই তেলাপোকা নিধনেও এটি কার্যকর। ১ চামচ বোরিক পাউডারের সঙ্গে ২ চামচ আটা বা ময়দা মিশিয়ে মিশ্রণটি ঘরের চারপাশে ছিটিয়ে দিন। আটা-ময়দার ঘ্রাণে আকৃষ্ট হয়ে তেলাপোকা আসবে এবং বোরিক পাউডার খেয়ে মারা পড়বে।
আরও পড়ুন:অফিসে কাজে ফাঁকে হালকা ক্ষুধায় অনেকেই ভরসা করেন ভাঁজা-পোড়া বা ফাস্টফুড আইটেমের ওপর। তবে এসব খাবারে অতিরিক্ত অর্থব্যয়ের পাশাপাশি আছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। এজন্য অফিসের নাস্তা হিসেবে বিকল্প খাবারের খুঁজছেন অনেকেই।
তাদের জন্য মিষ্টি আলুর মৌসুমে ভারতীয় বাংলা সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংষ্করণের এক প্রতিবেদনে সহজে তৈরি করা যায় এমন তিনটি রেসিপির কথা বলেছে। এ খাবারগুলো যেমন হালকা ক্ষুধা মেটাবে, তেমনি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মুখরোচক স্বাদও দেবে।
মিষ্টি আলুর প্যাটি: আলু ঝিরিঝিরি করে কেটে নিয়ে সঙ্গে পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, ধনেপাতা, সামান্য কর্নফ্লাওয়ার, অল্প জল, লবণ, গোলমরিচ ও চিলিফ্লেক্স মিশিয়ে মেখে নিন। এ বার সামান্য মিশ্রণ হাতে তুলে ছোট চ্যাপ্টা প্যাটির আকারে গড়ে নিন। তারপর সামান্য তেলে ঢাকা দিয়ে অল্প আঁচে ভেজে নিন। টমেটো সসের সঙ্গে অফিসে নিয়ে যেতে পারেন এ প্যাটি।
মিষ্টি আলুর চাট: মুখরোচক স্ন্যাকস বলতে প্রথমেই মাথায় আসে চাটের কথা। মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। সামান্য তেলে লালচে করে ভেজে নিন আলুর টুকরোগুলি। এ বার আলুর মধ্যে লেবুর রস, চাট মশলা, ভাজা জিরে গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনেপাতা কুচি ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার তাতে স্বাদ মতো লবন, কাঁচা মরিচ কুচি ও ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে নিলেই চাট তৈরি।
মিষ্টি আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই: মিষ্টি আলুর খোসা ছাড়িয়ে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের আকারে কেটে নিন। ভাল করে ধুয়ে নিন, যাতে আলুর মধ্যে থাকা স্টার্চ যতটা সম্ভব বেরিয়ে যায়। একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি নিয়ে তার মধ্যে আলুর টুকরো অন্তত আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এ বার জল থেকে আলু তুলে ন্যাপকিন দিয়ে চেপে চেপে সমস্ত জল শুকিয়ে নিন। আলুতে লবণ ও অল্প তেল মাখিয়ে এয়ার ফ্রায়ারে ভেজে নিন। ভাজার পরিবর্তে ১৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে আলু বেক করেও নিতে পারেন। ভাজা আলুতে পেরিপেরি মশলা মিশিয়ে টিফিন ক্যারিয়ারে ভরে অফিসে নিতে পারেন।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিয়ত ভূমিকম্প হয়। এ কম্পন আগে থেকে আঁচ করা যায় না বলে তাৎক্ষণিকভাবে কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকে।
ভূমিকম্প হলে সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, তা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস। বাহিনীর পক্ষ থেকে ১২টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যা তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে।
১. ভূকম্পন অনুভূত হলে শান্ত থাকুন। যদি ভবনের নিচ তলায় থাকেন, তাহলে দ্রুত বাইরে খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসুন।
২. যদি ভবনের ওপর তলায় থাকেন, তাহলে কক্ষের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন।
৩. ভূমিকম্পের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে নিন। অতঃপর টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিন এবং তা এমনভাবে ধরে থাকুন যেন মাথার ওপর থেকে সরে না যায়। এ ছাড়া শক্ত দরজার চৌকাঠের নিচে ও পিলারের পাশে আশ্রয় নিতে পারেন।
৪. উঁচু বাড়ির জানালা, বারান্দা বা ছাদ থেকে লাফ দেবেন না।
৫. ভূমিকম্পের প্রথম ঝাঁকুনির পর ফের ঝাঁকুনি হতে পারে। সুতরাং একবার বাইরে বেরিয়ে এলে নিরাপদ অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত ভবনে প্রবেশ করবেন না।
৬. রান্নাঘরে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বের হয়ে আসুন। সম্ভব হলে বাড়ির বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মেইন সুইচ বন্ধ করুন।
৭. মোবাইল বা ফোন ব্যবহারের সুযোগ থাকলে উদ্ধারকারীদের আপনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।
৮. দুর্ঘটনার সময় লিফট ব্যবহার করবেন না।
৯. যদি কোনো বিধ্বস্ত ভবনে আটকা পড়েন এবং আপনার ডাক উদ্ধারকারীরা শুনতে না পায়, তাহলে বাঁশি বাজিয়ে অথবা হাতুড়ি বা শক্ত কোনো কিছু দিয়ে দেয়ালে বা ফ্লোরে জোরে জোরে আঘাত করে উদ্ধারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করুন।
১০. ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে থাকুন।
১১. গাড়িতে থাকলে ওভারব্রিজ, ফ্লাইওভার, গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরেই থাকুন।
১২. ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়াচড়ার চেষ্টা করবেন না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন এবং উদ্ধারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন:আমাদের জীবন এখন অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, নোটবুক, ইত্যাদিতেই কাটে দিনের বেশিরভাগ সময়। এ স্মার্ট ডিভাইসগুলো নির্ভর করে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহের ওপর। দরকার হয় নির্দিষ্ট চার্জার আর ক্যাবলের।
কিন্তু এতো ক্যাবলের ঝামেলা এড়াতে এখন আছে সর্বজনীন সমাধান। ইউএসবি-পিডি চার্জার দিয়ে চার্জ হবে টাইপ-সি পোর্টযুক্ত সব ডিভাইস। মাঝারি বাজেটে এ প্রযুক্তি নিয়ে সম্প্রতি বাজারে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজের স্মার্টফোন।
ইউএসবি পাওয়ার ডেলিভারি বা পিডি প্রোটোকল সাধারণত ঠিক ততটুকু শক্তি সরবরাহ করে, যতটুকু প্রয়োজন। ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা যেকোনো ডিভাইসের জন্যই চার্জারটি এ কাজ করতে সক্ষম।
টাইপ-সি যুক্ত কোনো ডিভাইসে পিডি প্রযুক্তি থাকলে, সেটি যেকোনো চার্জার থেকে চার্জ নিতে পারবে। আবার, কোনো চার্জারে যদি এই প্রযুক্তি থাকে, তবে সেটি ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত যেকোনো ডিভাইস চার্জ করতে পারবে। বাজারে বর্তমানে পিডি ৩.০ ভার্সনের চার্জারই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
এর মাধ্যমে ল্যাপটপ, প্যাড, স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ইয়ারবাড, ট্যাবলেট, অ্যাকশন ক্যামেরা এবং ইউএসবি-সি পোর্টসম্পন্ন অন্যান্য প্রায় সব ডিভাইস চার্জ করা যায়। মাঝারি বাজেটের স্মার্টফোন সিরিজ ইনফিনিক্স নোট ৩০ এবং এর চার্জার উভয়তেই এই চার্জিং প্রোটোকল আছে। এছাড়াও স্যামসাং, গুগল, অ্যাপল ও সনির ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতেও এই প্রযুক্তি আছে।
ইনফিনিক্সের নোট ৩০ এবং নোট ৩০ প্রো যথাক্রমে ৪৫ ও ৬৮ ওয়াটে চার্জ নিতে পারে। পিডি প্রটোকল দিয়ে এখন পর্যন্ত ২৪০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি সরবরাহ করা যায়। নোট ৩০ সিরিজের পিডি-৩.০ সমর্থিত ৪৫ ওয়াট ও ৬৮ ওয়াট অ্যাডাপ্টারগুলো
ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত ল্যাপটপকেও চার্জ করতে পারে। যেমন ইনফিনিক্সের ল্যাপটপগুলো ৪৫ ওয়াটে চার্জ নেয়। একইভাবে, এইচপি, লেনোভো, আসুস এবং অন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাম্প্রতিক ল্যাপটপকেও এই অ্যাডাপ্টারগুলো দিয়ে চার্জ করা যাবে।
পিডি ৩.০ প্রোটোকল অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ দিচ্ছে অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জিংয়ের অভিজ্ঞতা।
বাংলাদেশের বাজারে নোট ৩০ প্রো স্মার্টফোনের দাম ২৭,৯৯৯ টাকা। এর সঙ্গে ক্রেতারা বিনামূল্যে পাচ্ছেন ২,০০০ টাকা সমমূল্যের একটি ওয়্যারলেস চার্জার। নোট ৩০ ফোনের ৮ জিবি+১২৮ জিবি এবং ৮ জিবি+২৫৬ জিবি’র দুটি ভার্সনের দাম যথাক্রমে ১৮,৯৯৯ এবং ২৩,৯৯৯ টাকা। তবে, নভেম্বর মাস জুড়ে চলমান ইনফিনিক্সের উইন্টার ক্যাশব্যাক অফারে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।
শীতের সময়ে ত্বকের দরকার একটু আলাদা যত্ন। বেশিরভাগ সময়ে ছেলেরা তাদের ত্বকের ব্যাপারে উদাসীন হয়। যার ফলে অল্প বয়সেই চেহারায় বেশি বয়সের ছাপ পড়ে। সাধারণত হঠাৎ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় ত্বকের সহনশীলতা বদলে যায়। ফলে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। তবে শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্নে প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।
১. শেভ করার ফলে এমনিতেই চামড়ায় আলাদা একটি চাপ পড়ে। আর শীতের সময় শেভ করলে ছেলেদের ত্বক বেশ খসখসে হয়ে যায়। তাই উন্নত মানের শেভিং ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
২. শেভ করার পর অবশ্যই মুখে আফটার শেভ ব্যবহার করতে হবে। এতে করে ত্বককে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।
৩. যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ওয়েল ফ্রি ফেইস ওয়াশ ও সাবান ব্যবহার করতে হবে। কারণ অতিরিক্ত তেলের কারণে চেহারায় ধুলো ময়লা বেশি জমতে পারে।
৪. রোদে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. গোসলের ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যাবহারের প্রয়োজন হলে কুসুম গরম পানিতে গোসল সেরে ফেলতে পারেন।
৬. গোসলের পর গায়ে লোশন মাখতে হবে। এতে ত্বকের মসৃণতা সারাদিনের জন্য বজায় থাকবে।
৭. দিনের মধ্যে কয়েক বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে চেহারায় অতিরিক্ত ময়লা জমতে পারবে না।
৮. মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকের কোমলতা ঠিক থাকবে।
৯. অনেকে শীতে কম পানি পান করে থাকেন। মনে রাখতে হবে ত্বকের যত্নে পানির কোনো বিকল্প নেই। শীতের সময় বরং আরও বেশি পানি পান করতে হবে।
১০. শীতকালে বেশি করে শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে ত্বকের সতেজতা বজায় থাকবে।
১১. ফল বরাবরই ত্বকের জন্য অনেক উপকারি। তাই প্রতিদিন একটি করে হলেও মৌসুমি ফল খেতে হবে।
আরও পড়ুন:সকাল সকাল তাড়াহুড়া করে কাজের জন্য বের হচ্ছেন, নাস্তাটা খাওয়া হচ্ছে না। আবার অনেকে দেরি করে ঘুম থেকে উঠে সকাল আর দুপুরের খাবার একসঙ্গে সেরে ফেলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রেকফাস্ট দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার।
এভাবে বিভিন্ন ‘অজুহাতে’ সময় মতো সকালে নাস্তা না করার ফলে শরীরে কী কী ক্ষতি হচ্ছে তা জানিয়েছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ জেনিফার বিনতে হক।
১. স্মৃতিশক্তি ও একাগ্রতা নষ্ট হয়
২. শরীরকে ক্লান্ত ও মনকে অবসাদগ্রস্ত করে তোলে
৩. দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়
৪. মেটাবলিজমকে মন্থর (ধীর) করে দেয়
৫. ডায়াবেটিস, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়
এ ছাড়া সকালের নাস্তা এড়িয়ে গেলে শরীর পুষ্টিগুণ থেকেও বঞ্চিত হয়।
আরও পড়ুন:পুরো বছরের মধ্যে শীতকাল অনেকটাই ভিন্ন। আবহাওয়াজনিত কারণে এ সময় ত্বক স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। চেহারা দেখায় শুষ্ক ও অনুজ্জ্বল। কেউ কেউ অভিযোগ করেন শীতে তাদের ত্বকে কিছুটা কালো ছোঁপ পড়ে যায়। তাই শীতকালে ত্বকের বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন।
শীতকালে অল্প কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে এবং তারুণ্য বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
১. সঠিকভাবে আপনার ত্বক পরিষ্কার করুন ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
নারী-পুরুষ প্রত্যেকের জন্যই স্কিনকে পরিষ্কার করা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তবে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়, তাই সবার আগে দরকার একটি ভালো মানের ক্লিনজার ব্যবহার করা। এরপর শীতকালে উজ্জ্বল ত্বক পেতে ময়েশ্চারাইজিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখে। শীতকালে আমাদের ত্বক শুকিয়ে যায়, কারণ বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। এই পরিস্থিতিতে আপনার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে এবং বাড়তি ক্ষতি এড়াতে হাইড্রেটিং ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
২. একটি ভারী ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করুন
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ত্বকের যত্নের পরিবর্তন বাধ্যতামূলক, কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আর্দ্রতার মাত্রা পরিবর্তিত হয়। কারণ আমরা যে বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি এবং ত্বক শ্বাস নিচ্ছে; তার আর্দ্রতা পরিবর্তিত হয়। তাই গ্রীষ্মের ঋতুটিতে আমরা হালকা জেলভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু শীতকালে এমন একটি ময়েশ্চারাইজার বাছাই করা উচিত; যাতে ভিটামিন ই ও হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলো থাকে। এ ছাড়া নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, বাটারমিল্ক ও শসার মতো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে পারেন।
৩. একটি ভাল এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন কোনোভাবোই বাদ দেয়া যাবে না
কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে শীতকালে সূর্য দৃশ্যমান নাও হতে পারে, তা সত্ত্বেও নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। কারণ আপনার ত্বক শীতেও সূর্যের রশ্মিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যা ত্বকে পিগমেন্টেশন, সানস্পট ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সানস্ক্রিন ব্যবহার, আপনার মেকআপকে সৌন্দর্যের সঙ্গে সানস্ক্রিন সুরক্ষা দেবে।
৪. ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে এক্সফোলিয়েট মূল চাবিকাঠি
এক্সফোলিয়েশন হল আপনার ত্বকের বাইরের স্তর থেকে মৃত ত্বকের কোষ অপসারণের প্রক্রিয়া। এক্সফোলিয়েশন ময়লার স্তর অপসারণ করে আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত পণ্যগুলো ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে দেয়। যদি সঠিকভাবে এটি না করা হয়, তবে এটি উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। আপনি যদি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে চান, তবে অবশ্যই একটি নিরাপদ পদ্ধতি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যাতে এটি আপনার ত্বকের ক্ষতি না করে এবং লালভাব বা ব্রণ কমাতে পারে।
৫. ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে বডি বাটারের প্রয়োজনীয়তা
আপনার ত্বক যদি সুপার ড্রাই হয়, আর একটু পর পরই ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে হয়; তাহলে আপনার জন্য বেস্ট সল্যুশন হচ্ছে বডি বাটার। কেননা বডি বাটার স্কিনে প্রোটেক্টিভ লেয়ার হিসেবে কাজ করবে, যেটা দিনভর আপনার স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড, ডিউয়ি আর সফট রাখতে সাহায্য করে। এটা শুধু ত্বকের উপরিভাগই না, ত্বকের ডিপ লেয়ারে পৌঁছেও কাজ করে। এক কথায়, দীর্ঘ সময় ধরে ময়েশ্চার লক রাখে।
আরও পড়ুন:সন্ধ্যায় চা-কফি পান করতে করতে চিন্তা করলেন, আজ রাতে দেরি না করে আগেই ঘুমিয়ে পড়বেন। সেই চিন্তা থেকে রাত ১১টার মধ্যেই বিছানা করে শুয়েও পড়লেন। এর পর হাতে মোবাইলটা নিয়ে ভাবলেন ১০ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে নেই। এরপর কখন রাত দুইটা বেজে গেল খেয়ালই নেই।
রাত দুইটা-তিনটার সময় ঘুমিয়ে পরের দিন সকাল সকাল উঠে ঠিকই কাজে ছুটতে হচ্ছে অনেককেই। এতে করে ঘুম পরিপূর্ণ হচ্ছে না; সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব থেকে যাচ্ছে। থাকছে না কাজে মনোযোগ; বিরক্ত লাগছে সবকিছু।
এর পর দেখা যায়, ক্লান্তিভাব নিয়ে বাসায় ফিরে বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় ঘুম দিচ্ছেন অনেকেই। ঘুম থেকে উঠে আবার সেই চা-কফির অভ্যাস। আবারও ঘুমাতে দেরি হয়ে গেল আজ।
ঘুম না আসার এ ‘অনিদ্রা চক্রে’ আটকে আছি আমরা অনেকেই, যা দিন দিন ক্ষতি করছে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে।
সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
কীভাবে এ অনিদ্রা চক্র থেকে বের হওয়া যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. সাফিকা আফরোজ।
তিনি লিখেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই মন খারাপ থাকা, কাজকর্মে অনীহা ও মনোযোগ না থাকার অন্যতম কারণ হলো অনিদ্রা।’
অনিদ্রা কাটানোর কিছু সহজ উপায়
এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো রাত জেগে না করে দিনের বেলা করার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে ভালো ঘুমের সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য