বছর ঘুরে চলে এসেছে শীতকাল। অন্যান্য ঋতুর চেয়ে এই সময়টি বেশি সংবেদনশীল। তাই সুস্থতার বিষয়ে অধিক মনোযোগী হতে হয়। কেননা এ সময় নানা রকম অসুখ-বিসুখ লেগেই থাকে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ঠাণ্ডাজনিত অসুখ। তাই শীতকালে সুস্থ থাকতে চাইলে নিজেকে উষ্ণ রাখা ছাড়া উপায় নেই। লাইফস্টাইলবিষয়ক সাময়িকী দ্য স্প্রাস ডটকম জানাচ্ছে শীতকালে উষ্ণ থাকার কিছু সহজ উপায়। চলুন দেখে নিই।
শীতের কাপড়
শীতকাল মানেই কুয়াশা আর ঠাণ্ডা। এ অবস্থায় লেপ বা কম্বল ছেড়ে বের হতেই মন চায় না। তাই বলে কাজ তো থেমে থাকে না। বাইরে বের হতেই হয়। তাই সব সময় বের হওয়ার আগে শীতকে সহজেই কাবু করা যায় এমন পোশাক পরুন। দরকার হলে একাধিক শীতের কাপড় পরতে পারেন। শীতের ক্ষেত্রে কান এবং গলা বেশি নাজুক থাকে। তাই চেষ্টা করুন কানটুপি বা মাফলারে যেন এ দুটি অঙ্গ ঢেকে রাখা যায়। অবশ্যই মোজা পরতে ভুলবেন না।
রান্নাবান্না
একবার রান্না করে বারবার খাওয়ার চেয়ে প্রতিবারের খাবার প্রতিবার রান্না করে নেয়াই ভালো। বিশেষ করে রান্নাঘর যদি ঘরের ভেতর হয় তবে তো কথাই নেই। রান্নার জন্য যখনই চুলা জ্বালাবেন, তখন তার তাপ পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়বে। এতে আপনার পাশাপাশি উষ্ণ থাকবে ঘরও।
ব্যায়াম
যেটুকু অবসর সময় পাবেন লেপ-কম্বলের নিচে কাটিয়ে দেবেন না। সুস্থ থাকতে ব্যায়াম করুন। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকর হলো যোগব্যায়াম। তবে হাঁটা, দৌড়ানো বা সাইকেল চালানোর ফলেও আপনার শরীর থাকবে উষ্ণ। ব্যায়াম অসুখ-বিসুখ দূরে রাখার মহৌষধ।
স্যুপ খান
শীতকালে বাহ্যিক উষ্ণতা এবং ভেতরের উষ্ণতা উভয়ই দরকার। আর সে জন্য খেতে পারেন গরম-গরম স্যুপ। এ ছাড়া স্যুপ বানাতে যেটুকু সময় রান্নাঘরে থাকতে হয় তাও আপনার উষ্ণতা নিশ্চিত করবে।
চা-কফি
চা বা কফি স্যুপের মতোই কাজ করে। এই পানীয়গুলোতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে, যা মস্তিষ্ক উত্তেজিত রাখে। এটি হয় মূলত স্নায়ুর উত্তেজনা কারণে। চা বা কফি পান শরীর উষ্ণ রাখার অন্যতম কার্যকরী উপায়।
গোসল
শীতকাল এলেই অনেকে গোসলে ভয় পান। অনেকে আবার গরম পানিতে গোসল করেন। এটি ঠিক নয়। গরম পানিতে নিয়মিত গোসল শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। এ সময় সতেজ থাকতে দরকার ঠাণ্ডা পানির গোসল। তবে ঠাণ্ডার অ্যালার্জি থাকলে হালকা গরম পানিতে করতে পারেন।
যা খাবেন
শীতকালে বেশি বেশি আঁশজাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। আঁশ শরীরের তাপমাত্রা বাড়াতে কাজ করে। এর পাশাপাশি খেতে পারেন ঘি। ঘি শরীর গরম রাখার পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে। এ ছাড়া বাদাম, কিশমিশ, ডিম ও তৈলাক্ত মাছ শীতকালে খাবার হিসেবে আদর্শ। এ সময় বিভিন্ন সবজি পাওয়া যায়। সেগুলো নিয়মিত খাবার টেবিলে রাখার চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন:বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিনিয়ত ভূমিকম্প হয়। এ কম্পন আগে থেকে আঁচ করা যায় না বলে তাৎক্ষণিকভাবে কী করবেন, তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকে।
ভূমিকম্প হলে সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে, তা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস। বাহিনীর পক্ষ থেকে ১২টি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যা তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের সামনে।
১. ভূকম্পন অনুভূত হলে শান্ত থাকুন। যদি ভবনের নিচ তলায় থাকেন, তাহলে দ্রুত বাইরে খোলা জায়গায় বেরিয়ে আসুন।
২. যদি ভবনের ওপর তলায় থাকেন, তাহলে কক্ষের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিন।
৩. ভূমিকম্পের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে নিন। অতঃপর টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিন এবং তা এমনভাবে ধরে থাকুন যেন মাথার ওপর থেকে সরে না যায়। এ ছাড়া শক্ত দরজার চৌকাঠের নিচে ও পিলারের পাশে আশ্রয় নিতে পারেন।
৪. উঁচু বাড়ির জানালা, বারান্দা বা ছাদ থেকে লাফ দেবেন না।
৫. ভূমিকম্পের প্রথম ঝাঁকুনির পর ফের ঝাঁকুনি হতে পারে। সুতরাং একবার বাইরে বেরিয়ে এলে নিরাপদ অবস্থা ফিরে না আসা পর্যন্ত ভবনে প্রবেশ করবেন না।
৬. রান্নাঘরে থাকলে যত দ্রুত সম্ভব বের হয়ে আসুন। সম্ভব হলে বাড়ির বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মেইন সুইচ বন্ধ করুন।
৭. মোবাইল বা ফোন ব্যবহারের সুযোগ থাকলে উদ্ধারকারীদের আপনার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।
৮. দুর্ঘটনার সময় লিফট ব্যবহার করবেন না।
৯. যদি কোনো বিধ্বস্ত ভবনে আটকা পড়েন এবং আপনার ডাক উদ্ধারকারীরা শুনতে না পায়, তাহলে বাঁশি বাজিয়ে অথবা হাতুড়ি বা শক্ত কোনো কিছু দিয়ে দেয়ালে বা ফ্লোরে জোরে জোরে আঘাত করে উদ্ধারকারীদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করুন।
১০. ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে থাকুন।
১১. গাড়িতে থাকলে ওভারব্রিজ, ফ্লাইওভার, গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরেই থাকুন।
১২. ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়াচড়ার চেষ্টা করবেন না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন এবং উদ্ধারকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করুন।
আরও পড়ুন:আমাদের জীবন এখন অনেকটাই প্রযুক্তিনির্ভর। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, নোটবুক, ইত্যাদিতেই কাটে দিনের বেশিরভাগ সময়। এ স্মার্ট ডিভাইসগুলো নির্ভর করে নিরবচ্ছিন্ন শক্তি সরবরাহের ওপর। দরকার হয় নির্দিষ্ট চার্জার আর ক্যাবলের।
কিন্তু এতো ক্যাবলের ঝামেলা এড়াতে এখন আছে সর্বজনীন সমাধান। ইউএসবি-পিডি চার্জার দিয়ে চার্জ হবে টাইপ-সি পোর্টযুক্ত সব ডিভাইস। মাঝারি বাজেটে এ প্রযুক্তি নিয়ে সম্প্রতি বাজারে এসেছে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজের স্মার্টফোন।
ইউএসবি পাওয়ার ডেলিভারি বা পিডি প্রোটোকল সাধারণত ঠিক ততটুকু শক্তি সরবরাহ করে, যতটুকু প্রয়োজন। ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা যেকোনো ডিভাইসের জন্যই চার্জারটি এ কাজ করতে সক্ষম।
টাইপ-সি যুক্ত কোনো ডিভাইসে পিডি প্রযুক্তি থাকলে, সেটি যেকোনো চার্জার থেকে চার্জ নিতে পারবে। আবার, কোনো চার্জারে যদি এই প্রযুক্তি থাকে, তবে সেটি ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত যেকোনো ডিভাইস চার্জ করতে পারবে। বাজারে বর্তমানে পিডি ৩.০ ভার্সনের চার্জারই বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
এর মাধ্যমে ল্যাপটপ, প্যাড, স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ইয়ারবাড, ট্যাবলেট, অ্যাকশন ক্যামেরা এবং ইউএসবি-সি পোর্টসম্পন্ন অন্যান্য প্রায় সব ডিভাইস চার্জ করা যায়। মাঝারি বাজেটের স্মার্টফোন সিরিজ ইনফিনিক্স নোট ৩০ এবং এর চার্জার উভয়তেই এই চার্জিং প্রোটোকল আছে। এছাড়াও স্যামসাং, গুগল, অ্যাপল ও সনির ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলোতেও এই প্রযুক্তি আছে।
ইনফিনিক্সের নোট ৩০ এবং নোট ৩০ প্রো যথাক্রমে ৪৫ ও ৬৮ ওয়াটে চার্জ নিতে পারে। পিডি প্রটোকল দিয়ে এখন পর্যন্ত ২৪০ ওয়াট পর্যন্ত শক্তি সরবরাহ করা যায়। নোট ৩০ সিরিজের পিডি-৩.০ সমর্থিত ৪৫ ওয়াট ও ৬৮ ওয়াট অ্যাডাপ্টারগুলো
ইউএসবি-সি পোর্টযুক্ত ল্যাপটপকেও চার্জ করতে পারে। যেমন ইনফিনিক্সের ল্যাপটপগুলো ৪৫ ওয়াটে চার্জ নেয়। একইভাবে, এইচপি, লেনোভো, আসুস এবং অন্য বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সাম্প্রতিক ল্যাপটপকেও এই অ্যাডাপ্টারগুলো দিয়ে চার্জ করা যাবে।
পিডি ৩.০ প্রোটোকল অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজ দিচ্ছে অল-রাউন্ড ফাস্ট-চার্জিংয়ের অভিজ্ঞতা।
বাংলাদেশের বাজারে নোট ৩০ প্রো স্মার্টফোনের দাম ২৭,৯৯৯ টাকা। এর সঙ্গে ক্রেতারা বিনামূল্যে পাচ্ছেন ২,০০০ টাকা সমমূল্যের একটি ওয়্যারলেস চার্জার। নোট ৩০ ফোনের ৮ জিবি+১২৮ জিবি এবং ৮ জিবি+২৫৬ জিবি’র দুটি ভার্সনের দাম যথাক্রমে ১৮,৯৯৯ এবং ২৩,৯৯৯ টাকা। তবে, নভেম্বর মাস জুড়ে চলমান ইনফিনিক্সের উইন্টার ক্যাশব্যাক অফারে ক্রেতারা পাচ্ছেন ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।
শীতের সময়ে ত্বকের দরকার একটু আলাদা যত্ন। বেশিরভাগ সময়ে ছেলেরা তাদের ত্বকের ব্যাপারে উদাসীন হয়। যার ফলে অল্প বয়সেই চেহারায় বেশি বয়সের ছাপ পড়ে। সাধারণত হঠাৎ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় ত্বকের সহনশীলতা বদলে যায়। ফলে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। তবে শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্নে প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।
১. শেভ করার ফলে এমনিতেই চামড়ায় আলাদা একটি চাপ পড়ে। আর শীতের সময় শেভ করলে ছেলেদের ত্বক বেশ খসখসে হয়ে যায়। তাই উন্নত মানের শেভিং ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।
২. শেভ করার পর অবশ্যই মুখে আফটার শেভ ব্যবহার করতে হবে। এতে করে ত্বককে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।
৩. যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ওয়েল ফ্রি ফেইস ওয়াশ ও সাবান ব্যবহার করতে হবে। কারণ অতিরিক্ত তেলের কারণে চেহারায় ধুলো ময়লা বেশি জমতে পারে।
৪. রোদে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫. গোসলের ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যাবহারের প্রয়োজন হলে কুসুম গরম পানিতে গোসল সেরে ফেলতে পারেন।
৬. গোসলের পর গায়ে লোশন মাখতে হবে। এতে ত্বকের মসৃণতা সারাদিনের জন্য বজায় থাকবে।
৭. দিনের মধ্যে কয়েক বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে চেহারায় অতিরিক্ত ময়লা জমতে পারবে না।
৮. মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকের কোমলতা ঠিক থাকবে।
৯. অনেকে শীতে কম পানি পান করে থাকেন। মনে রাখতে হবে ত্বকের যত্নে পানির কোনো বিকল্প নেই। শীতের সময় বরং আরও বেশি পানি পান করতে হবে।
১০. শীতকালে বেশি করে শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে ত্বকের সতেজতা বজায় থাকবে।
১১. ফল বরাবরই ত্বকের জন্য অনেক উপকারি। তাই প্রতিদিন একটি করে হলেও মৌসুমি ফল খেতে হবে।
আরও পড়ুন:সকাল সকাল তাড়াহুড়া করে কাজের জন্য বের হচ্ছেন, নাস্তাটা খাওয়া হচ্ছে না। আবার অনেকে দেরি করে ঘুম থেকে উঠে সকাল আর দুপুরের খাবার একসঙ্গে সেরে ফেলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রেকফাস্ট দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার।
এভাবে বিভিন্ন ‘অজুহাতে’ সময় মতো সকালে নাস্তা না করার ফলে শরীরে কী কী ক্ষতি হচ্ছে তা জানিয়েছেন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ জেনিফার বিনতে হক।
১. স্মৃতিশক্তি ও একাগ্রতা নষ্ট হয়
২. শরীরকে ক্লান্ত ও মনকে অবসাদগ্রস্ত করে তোলে
৩. দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়
৪. মেটাবলিজমকে মন্থর (ধীর) করে দেয়
৫. ডায়াবেটিস, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়
এ ছাড়া সকালের নাস্তা এড়িয়ে গেলে শরীর পুষ্টিগুণ থেকেও বঞ্চিত হয়।
আরও পড়ুন:পুরো বছরের মধ্যে শীতকাল অনেকটাই ভিন্ন। আবহাওয়াজনিত কারণে এ সময় ত্বক স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। চেহারা দেখায় শুষ্ক ও অনুজ্জ্বল। কেউ কেউ অভিযোগ করেন শীতে তাদের ত্বকে কিছুটা কালো ছোঁপ পড়ে যায়। তাই শীতকালে ত্বকের বাড়তি যত্ন নেয়া প্রয়োজন।
শীতকালে অল্প কয়েকটি নিয়ম মেনে চললেই ত্বক উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে এবং তারুণ্য বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
১. সঠিকভাবে আপনার ত্বক পরিষ্কার করুন ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
নারী-পুরুষ প্রত্যেকের জন্যই স্কিনকে পরিষ্কার করা নিঃসন্দেহে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ, তবে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে ত্বক অত্যধিক শুষ্ক হয়ে যায়, তাই সবার আগে দরকার একটি ভালো মানের ক্লিনজার ব্যবহার করা। এরপর শীতকালে উজ্জ্বল ত্বক পেতে ময়েশ্চারাইজিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ময়েশ্চারাইজার আপনার ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এটি ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ধরে রাখে। শীতকালে আমাদের ত্বক শুকিয়ে যায়, কারণ বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। এই পরিস্থিতিতে আপনার ত্বককে ময়শ্চারাইজ করতে এবং বাড়তি ক্ষতি এড়াতে হাইড্রেটিং ক্লিনজার ব্যবহার করুন।
২. একটি ভারী ময়েশ্চারাইজার নির্বাচন করুন
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে ত্বকের যত্নের পরিবর্তন বাধ্যতামূলক, কারণ আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আর্দ্রতার মাত্রা পরিবর্তিত হয়। কারণ আমরা যে বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি এবং ত্বক শ্বাস নিচ্ছে; তার আর্দ্রতা পরিবর্তিত হয়। তাই গ্রীষ্মের ঋতুটিতে আমরা হালকা জেলভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকি, কিন্তু শীতকালে এমন একটি ময়েশ্চারাইজার বাছাই করা উচিত; যাতে ভিটামিন ই ও হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো উপাদানগুলো থাকে। এ ছাড়া নারকেল তেল, ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল, বাটারমিল্ক ও শসার মতো প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার বেছে নিতে পারেন।
৩. একটি ভাল এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন কোনোভাবোই বাদ দেয়া যাবে না
কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে শীতকালে সূর্য দৃশ্যমান নাও হতে পারে, তা সত্ত্বেও নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। কারণ আপনার ত্বক শীতেও সূর্যের রশ্মিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। যা ত্বকে পিগমেন্টেশন, সানস্পট ও অন্যান্য ত্বকের সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই অল্প পরিমাণে ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সানস্ক্রিন ব্যবহার, আপনার মেকআপকে সৌন্দর্যের সঙ্গে সানস্ক্রিন সুরক্ষা দেবে।
৪. ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে এক্সফোলিয়েট মূল চাবিকাঠি
এক্সফোলিয়েশন হল আপনার ত্বকের বাইরের স্তর থেকে মৃত ত্বকের কোষ অপসারণের প্রক্রিয়া। এক্সফোলিয়েশন ময়লার স্তর অপসারণ করে আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত পণ্যগুলো ত্বকের গভীরে প্রবেশ করতে দেয়। যদি সঠিকভাবে এটি না করা হয়, তবে এটি উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। আপনি যদি ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে চান, তবে অবশ্যই একটি নিরাপদ পদ্ধতি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ। যাতে এটি আপনার ত্বকের ক্ষতি না করে এবং লালভাব বা ব্রণ কমাতে পারে।
৫. ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখতে বডি বাটারের প্রয়োজনীয়তা
আপনার ত্বক যদি সুপার ড্রাই হয়, আর একটু পর পরই ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে হয়; তাহলে আপনার জন্য বেস্ট সল্যুশন হচ্ছে বডি বাটার। কেননা বডি বাটার স্কিনে প্রোটেক্টিভ লেয়ার হিসেবে কাজ করবে, যেটা দিনভর আপনার স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড, ডিউয়ি আর সফট রাখতে সাহায্য করে। এটা শুধু ত্বকের উপরিভাগই না, ত্বকের ডিপ লেয়ারে পৌঁছেও কাজ করে। এক কথায়, দীর্ঘ সময় ধরে ময়েশ্চার লক রাখে।
আরও পড়ুন:সন্ধ্যায় চা-কফি পান করতে করতে চিন্তা করলেন, আজ রাতে দেরি না করে আগেই ঘুমিয়ে পড়বেন। সেই চিন্তা থেকে রাত ১১টার মধ্যেই বিছানা করে শুয়েও পড়লেন। এর পর হাতে মোবাইলটা নিয়ে ভাবলেন ১০ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করে নেই। এরপর কখন রাত দুইটা বেজে গেল খেয়ালই নেই।
রাত দুইটা-তিনটার সময় ঘুমিয়ে পরের দিন সকাল সকাল উঠে ঠিকই কাজে ছুটতে হচ্ছে অনেককেই। এতে করে ঘুম পরিপূর্ণ হচ্ছে না; সারা দিন ঘুম ঘুম ভাব থেকে যাচ্ছে। থাকছে না কাজে মনোযোগ; বিরক্ত লাগছে সবকিছু।
এর পর দেখা যায়, ক্লান্তিভাব নিয়ে বাসায় ফিরে বিকেলে কিংবা সন্ধ্যায় ঘুম দিচ্ছেন অনেকেই। ঘুম থেকে উঠে আবার সেই চা-কফির অভ্যাস। আবারও ঘুমাতে দেরি হয়ে গেল আজ।
ঘুম না আসার এ ‘অনিদ্রা চক্রে’ আটকে আছি আমরা অনেকেই, যা দিন দিন ক্ষতি করছে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে।
সুস্থ থাকতে হলে পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন।
কীভাবে এ অনিদ্রা চক্র থেকে বের হওয়া যায়, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ড. সাফিকা আফরোজ।
তিনি লিখেন, ‘অনেক ক্ষেত্রেই মন খারাপ থাকা, কাজকর্মে অনীহা ও মনোযোগ না থাকার অন্যতম কারণ হলো অনিদ্রা।’
অনিদ্রা কাটানোর কিছু সহজ উপায়
এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো রাত জেগে না করে দিনের বেলা করার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে ভালো ঘুমের সুযোগ তৈরি হবে।
আরও পড়ুন:নারীর সাজগোজের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে গয়না। যেকোনো পোশাকের সঙ্গে নারীদের চাই মানানসই গয়না, তবে পছন্দের গয়নাটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের জন্য এবং এর সৌন্দর্য ধরে রাখতে নিতে হবে সঠিক যত্ন।
গয়নার যত্ন সম্পর্কে অনেকেরই তেমন একটা ধারণা নেই। একেক ধরনের গয়নার যত্ন একেক রকম। যদি সঠিকভাবে গয়নার যত্ন নেয়া যায়, তবে পুরানো গয়নাতেও ফিরিয়ে আনা যায় চমক।
ইউএনবি বাংলার এক প্রতিবেদনের দীর্ঘদিন গয়নার চাকচিক্য ধরে রাখার কয়েকটি টিপস তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
১. গয়নার ওপরে সরাসরি পারফিউম স্প্রে করবেন না।
২. রূপার গয়না সুন্দর রাখতে প্রথমে গয়নাটি ভালোভাবে মুছে তার ওপর ট্যালকম পাউডার লাগান। এরপর শুকনো সুতি কাপড় দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করে নিন। সঠিকভাবে যত্ন নিলে আপনার রূপার গয়নাও ভালো থাকবে দীর্ঘদিন।
৩. মুক্তার গয়না ব্যবহার শেষে নরম, ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলতে হবে, তবে খুব বেশি ময়লা হলে পানিতে সামান্য সাবান মিশিয়ে নিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। মুক্তার গয়না সবসময় মখমলের কাপড়ে মুড়িয়ে রাখবেন। গরমের সময় মুক্তার গয়না না পরাই ভালো, কারণ ঘাম লাগলে মুক্তার দ্যুতি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৪. কুন্দন বা হীরার গয়না নরম তুলা লাগানো প্লাস্টিকের বাক্সে রাখবেন, যাতে তা ভাঙার কোনো সম্ভাবনা না থাকে।
৫. পান্না খুবই নরম ও ঠুনকো পাথর, পান্নার গয়না সবসময় বসে পরিধান করবেন, যেন হাত থেকে পড়লেও তা ভেঙে না যায়।
৬. সব গয়না এক সাথে রাখবেন না, তা আলাদা বাক্সে রাখুন বা একই বাক্সের বিভিন্ন প্রকোষ্ঠে রাখুন। কারণ একই বাক্সে রাখলে তা জড়িয়ে গিয়ে ছিঁড়ে যেতে পারে বা ঘষা লেগে চমক নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৭. হীরার গয়না ছাড়া আর কোনো গয়নায় পানি বা সাবান লাগাবেন না।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য