যেকোনো তথ্য তাৎক্ষণিক পেতে এখন প্রায় সবার ভরসা অনলাইন। ফেসবুক, টুইটার আসার পর জীবন আরও বেশি অনলাইনকেন্দ্রিক।
দিনে আমরা যতটুকু পড়ি, তার সবটাই প্রায় কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে। ফলে ছাপানো বইয়ের কদর এখন অস্তগামী, ছাপা পত্রপত্রিকাও করছে হাঁসফাঁস।
অনলাইনে পড়ার এই যে প্রবণতা তা কি বইয়ের মতো ছাপ ফেলছে আমাদের মগজে? ডিজিটাল মাধ্যম শেখার জন্য সত্যিই কি কাগজে ছাপা অক্ষরের চেয়ে ভালো?
গবেষণা কিন্তু এমনটা বলছে না। দেখা গেছে, কেউ যখন অনলাইনে বা স্ক্রিন থেকে কিছু পড়েন, তারা কী পড়েছেন সেটা ভালোভাবে বুঝতে পারেন না। এর থেকেও বাজে বিষয়টি হলো, ডিজিটাল মাধ্যমের পাঠকরা বুঝতেই পারেন না যে, তারা পঠিত বিষয়টি ঠিকঠাক বুঝতে পারেননি!
বই থেকে পড়া ও স্ক্রিনে পড়ার (ডিজিটাল রিডিং) তুলনা করে ৫৪টি গবেষণা করেছে স্পেন ও ইসরায়েলের গবেষক দল। ২০১৮ সালে তারা ১ লাখ ৭১ হাজারের বেশি পাঠকের ওপর গবেষণা চালায়।
এতে দেখা গেছে, মানুষ ডিজিটাল টেক্সটের চেয়ে যখন ছাপানো বই পড়েছে, তখন সামগ্রিকভাবে তাদের বোঝার ক্ষমতা বেশি ছিল। গবেষণা ফলাফলটি প্রকাশিত হয়েছে এডুকেশনাল রিসার্চ রিভিউয়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ম্যারিল্যান্ডের মনোবিদ প্যাট্রিসিয়া আলেক্সান্ডার মানুষের শিখন পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করেন। আলেক্সান্ডারের মতে, শিক্ষার্থীরা অনেক সময় ভাবেন, স্ক্রিন থেকে পড়লে সহজে শিখতে পারবেন। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা গেছে, তারা বইয়ের তুলনায় স্ক্রিন থেকে কম শিখছেন।
কারণ কী?
স্ক্রিন বা বই থেকে পড়ার প্রভাব সাধারণভাবে এক মনে হলেও আসলে বিষয়টি মোটেই তেমন নয়। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার নিউরোসায়েন্টিস্ট ম্যারিয়ান উলফ কাজ করেন মস্তিষ্কের কর্মকাণ্ড নিয়ে। তিনি বলেন, ‘পড়ার বিষয়টি মানুষের সহজাত বৈশিষ্ট্য নয়। আমরা মূলত আশপাশের মানুষের কথা শুনে কথা বলা শিখি। বিষয়টি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঘটে। কিন্তু পড়তে শেখার জন্য অনেক চেষ্টা করতে হয়।’
উলফ তার গবেষণায় দেখেছেন, মানবমস্তিষ্কে পড়ার জন্য আলাদা কোনো কোষ নেই। এ জন্য পড়ার জন্য মস্তিষ্ক অন্য কাজে ব্যবহৃত স্নায়ু নেটওয়ার্ক থেকে কোষ ধার করে। যেমন, মস্তিষ্কের যে অংশটি অন্যের চেহারা চেনা ও মনে রাখার কাজ করে, সেটা ধার করা হয় পড়ার সময় অক্ষর চেনার কাজে।
এটি অনেকটা নির্দিষ্ট কাজের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করার মতো বিষয়। যেমন হ্যাঙ্গার দিয়ে আলমারিতে কোট ঝোলানো হয়, আবার সেটি দিয়ে ফ্রিজের নিচে চলে যাওয়া টেনিস বল বের করাও সম্ভব। পড়ার সময়ই আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক এই কাজটিই করে।
গবেষণা বলছে, মস্তিষ্কের এই নমনীতার কারণে আমরা অনেক নতুন জিনিস করতে ও শিখতে পারি। তবে ভিন্ন ধরনের মাধ্যমে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে এই নমনীয়তা সমস্যা হয়ে দাঁড়াতে পারে। স্ক্রিন থেকে পড়ার সময় আমাদের মগজ বই পড়ার চেয়ে ভিন্ন ধরনের কোষের সংযোগ তৈরি করে। ফলে স্ক্রিনে পড়ার কাজটি হলেও তথ্যগুলো মাথায় গেঁথে যায় ভাসা ভাসা ভাবে।
বিষয়টি অবশ্য শুধু ডিভাইসের ওপর নির্ভরশীল নয়। আপনি যা পড়বেন সে সম্পর্কে কী অনুমান করছেন, তার ওপরও পড়ার গভীরতার বিষয়টি নির্ভর করে। ওয়াশিংটন ডিসির আমেরিকান ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী নেওমি ব্যারন এ বিষয়টিকে বলছেন ‘মাইন্ডসেট’।
তিনি বলেন, ‘যে বিষয়টি পড়তে যাচ্ছি, সেটা কতটা সহজ বা কঠিন বলে আগেই আমরা ভেবে নিই তার ওপর নির্ভর করে মাইন্ডসেট। যদি মনে করি এটা সহজ হবে, তাহলে হয়তো খুব বেশি চেষ্টা করা লাগবে না।’
স্ক্রিনে আমরা যা পড়ি, তার অধিকাংশই টেক্সট মেসেজ ও সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট। এগুলো সহজেই বোঝা যায়।
আলেক্সান্ডার বলেন, ‘এ কারণে মানুষ যখন স্ক্রিনে কিছু পড়েন, তারা সেটা দ্রুত পড়েন। তাদের চোখ বই পড়ার চেয়ে দ্রুতগতিতে স্ক্রিনের পৃষ্ঠাগুলোকে স্ক্যান করে।’
তবে দ্রুত পড়ার সময় সবকিছুর ঠিকঠাক ধারণা আমরা না-ও পেতে পারি। তিনি বলেন, ‘স্ক্রিনে পড়ার সময় দ্রুতগতিতে স্কিমিং (ভাসা ভাসা ভাবে পড়া) একটা অভ্যাসে পরিণত হয়। টিকটকের কোনো পোস্ট দেখার সময় মগজের যে অংশটা স্কিমিংয়ে ব্যবহৃত হয়, সেটি তখন সক্রিয় করে দেয় আপনার মস্তিষ্ক। তবে এই একই প্রক্রিয়া কোনো ক্ল্যাসিক বইয়ের ভাব বুঝতে সহায়ক নয়।’
ডিজিটাল পৃষ্ঠা মানেই গোলকধাঁধা
স্ক্রিনে পড়ার সময় দ্রুতগতি ছাড়াও স্ক্রলিংয়ের সমস্যাও আছে। ছাপা কোনো পৃষ্ঠা পড়ার সময় বা পুরো একটি বই পড়ার সময় আপনি জানেন যে, আপনি কোথায় আছেন। শুধু একটা পৃষ্ঠার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নয়, পুরো বইয়ের অসংখ্য পৃষ্ঠার মধ্যে নির্দিষ্ট ঘটনাটিও মনে রাখতে পারেন।
যেমন আপনি মনে রাখতে পারেন গল্পে একটি কুকুর মারা যাওয়ার কথা লেখা আছে বাম পৃষ্ঠার ওপরের দিকে। কিন্তু যখন ডিজিটাল স্ক্রিনে আপনার সামনে থাকে বিরাট একটি পৃষ্ঠা, এটি স্ক্রল করার সময় কোথায় কী আছে মনে রাখা কঠিন।
গবেষণায় দেখা গেছে, আমরা যখন কিছু শিখি তখন মনে মনে সেটির একটি মানচিত্র তৈরি করে ফেলি। কোনো বইয়ের পৃষ্ঠার এ ধরনের মানচিত্রের কোন অংশে কী তথ্য আছে, সেটি মনে রাখতে আমাদের সুবিধা হয়।
পাশাপাশি একটি স্থির পৃষ্ঠা পড়তে যতটুকু মানসিক পরিশ্রম হয়, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রম যায় একটি পৃষ্ঠাকে স্ক্রল করতে। আমাদের চোখ তখন নির্দিষ্ট কিছুর ওপর ফোকাস করে না। স্ক্রল করার সময় শব্দগুলোর ওপর নজর রাখতে চোখকে ওপর-নিচ করতে হয়।
ইউনিভার্সিটি অফ সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার নিউরোসায়েন্টিস্ট ম্যারি হেলেন ইমোরদিনো-ওয়াং কাজ করেন কীভাবে আমরা পড়ি সেটা নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘কোনো পৃষ্ঠা যখন স্ক্রল করছেন, তখন আপনার মস্তিষ্ককেও এর সঙ্গে ছুটতে হয়। তখন কী পড়ছেন, সেটা বুঝতে আপনার মস্তিষ্ক খুব বেশি রিসোর্স পায় না। বিশেষ করে আপনি যা পড়ছেন, সেটা যদি দীর্ঘ ও জটিল হয়।
‘স্ক্রল ডাউন করার সময় আপনার দৃষ্টিসীমায় শব্দগুলোকে রাখার জন্য মস্তিষ্ককে চেষ্টা করে যেতে হয়। যে কারণে আপনার পক্ষে একই সঙ্গে শব্দগুলো যে ধারণা দিচ্ছে তা বোঝা কঠিন হয়ে যেতে পারে।’
আলেক্সান্ডার দেখেছেন যে যা পড়ছেন তার দৈর্ঘ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনুচ্ছেদ ছোট থাকলে মানুষ বই বা স্ক্রিনে পড়ার পর সমান মাত্রায় বুঝতে বা শিখতে পারে। তবে অনুচ্ছেদগুলো ৫০০ শব্দের বেশি হয়ে গেলে স্ক্রিনের চেয়ে ছাপা বই থেকে বেশি শিখতে পারে।
যা পড়ছেন সেটার ধরনও (genre) গুরুত্বপূর্ণ। ধরন বলতে কী জাতীয় বই বা আর্টিকল পড়ছেন সেটা। গবেষণায় অংশ নেয়া অধিকাংশ মানুষ বলেছেন, তারা যখন ছাপার অক্ষরে নন-ফিকশন পড়েন, সেটা বুঝতে সুবিধা হয়। ফিকশনের তারা কতটুকু অনুধাবন করতে পারেন, সেটি অবশ্য গবেষণায় পরিষ্কার নয়।
ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির জেনি কন কাজ করেন শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে। ডিজিটাল রিডিং নিয়ে তার লেখা বই ‘স্কিম, ডাইভ, সারফেইস’ প্রকাশিত হয় গত জুনে।
তার মতে, স্ক্রিনের শব্দগুলো মূল সমস্যা নয়, বরং অন্যান্য যা কিছু পড়ার ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটায় সেটি সমস্যাজনক। কয়েক মিনিট পরপর কোনো কিছুর বাধা এলে পড়ায় মনোযোগ দেয়া কঠিন। ই-মেইল, মেসেজ, পপ-আপ অ্যাড বা টিকটকের আপডেটগুলোকে বাধা হিসেবে দেখছেন জেনি।
কোনো লেখার সঙ্গে যুক্ত থাকা লিংক বা বক্সও শেখার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এদের উদ্দেশ্য পড়ায় সহায়তা করা হলেও কিছু ক্ষেত্রে এগুলো মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেয়।
পুরোটাই খারাপ নয়
ল্যাপটপ বা ট্যাব বন্ধ করে হাতে বই তুলে নিলেই যে স্কুলে ভালো করা যাবে, বিষয়টি এত সহজও নয়। স্ক্রিনে পড়ার পেছনে অনেক ভালো যুক্তিও আছে।
মহামারি আমাদের শিখিয়েছে, অনেক সময় আমাদের হাতে আর কোনো বিকল্প থাকে না। লাইব্রেরি, বইয়ের দোকান বন্ধ থাকলে বা সেখানে যাওয়া অনিরাপদ হলে ত্রাতা হয়ে উঠতে পারে ডিজিটাল বই।
খরচেরও একটি বিষয় আছে। ছাপা বইয়ের চেয়ে ডিজিটাল বইয়ের দাম সাধারণত কম। আর ডিজিটাল বইয়ের পরিবেশবান্ধব দিকটিতেও তাকানো দরকার। ডিজিটাল বইয়ের জন্য গাছ কাটতে হয় না।
ডিজিটাল বই পড়ার অন্যান্য সুবিধাও আছে। অন-স্ক্রিনে লেখার আকার, ব্যাকগ্রাউন্ডের রং ও টাইপফেইস বদলে নেয়া যায়। যারা চোখে ভালো দেখেন না, তাদের জন্য এটি বিরাট এক সুবিধা। যাদের প্রতিবন্ধকতা আছে তাদের ক্ষেত্রেও সহায়ক ডিজিটাল বই।
যাদের ডিসলেক্সিয়া আছে তাদের জন্য ‘ওপেন ডিসলেক্সিক’ নামের একটি টাইপফেইসে লেখা বই পড়া সুবিধাজনক। কম্পিউটার, ট্যাবলেট বা কিন্ডলের মতো ডিজিটাল রিডিং ডিভাইসে এ সুবিধা পাওয়া যায়। অনেক ই-রিডার অ্যাপ ট্যাবলেটেও ব্যবহার করা যায়।
অনলাইনে এডিটররা হাইপারলিংক বসাতে পারেন। এটি একজন পাঠককে কোনো নির্দিষ্ট বিষয় বুঝতে, এমনকি নতুন ও বিভ্রান্তিকর শব্দের সংজ্ঞা শিখতে বা মূল বিষয়ের আরও গভীরে যেতে সাহায্য করে।
কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের নিউ ক্যানান শহরের স্কুলের লাইব্রেরিয়ান মিশেল লুটালা ডিজিটাল কন্টেন্টের সর্বোচ্চ ব্যবহারে সাহায্য করেন। লুটালা ডিজিটাল রিডিং নিয়ে চিন্তিত নন। তার মতে, স্ক্রিনে পড়ার অনেক উপায় আছে।
তিনি বলেন, ‘স্কুলে পড়ানো হয় এমন অনেক ই-টেক্সটবুকে এমন সব টুল থাকে, যা পড়াশোনাকে অনেক সহজ করে তোলে। অনেক ই-বুকে অনুচ্ছেদ হাইলাইট করার ব্যবস্থা আছে, যা কম্পিউটার জোরে পড়ে শোনাবে। কয়েকটি টুল আছে যা আপনি যে অনুচ্ছেদটি পড়ছেন সেটির নোট রেখে দেয় এবং ই-বুকটি ফিরিয়ে দেয়ার পরও নোটটি আপনার জন্য রেখে দেয়। অধিকাংশ বইয়ে পপআপ সংযুক্ত থাকে। কোনোটিতে মানচিত্র, গুরুত্বপূর্ণ শব্দ ও কুইজ যোগ করা থাকে।
লুটালার মতে, এসব টুল ডিজিটাল রিডিংকে অনেক কাজের করে তুলেছে।
ডিজিটাল রিডিংকে আরও কার্যকর করা সম্ভব
বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত, ডিজিটাল রিডিং থেকে পিছিয়ে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এ থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা নেয়ার উপায় খোঁজা উচিত।
এর একটি কার্যকর পদ্ধতি হতে পারে- যে অংশটুকু সাবধানে পড়তে হবে সেটি প্রিন্ট করিয়ে নেয়া।
আমেরিকান ইউনিভার্সিটির ব্যারনের মতে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে ধীরেসুস্থে পড়া। এটি মানসিকতা বা মাইন্ডসেটের বিষয়। গুরুত্বপূর্ণ কিছু পড়ার ক্ষেত্রে ধীরে ও মনোযোগ দিয়ে পড়া উচিত।
তিনি বলেন, “ডিজিটালি পড়ার সময়েও মনোযোগ দেয়া সম্ভব, কিন্তু সে জন্য আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। নিজেকে বলতে হবে, ‘আমি শুধু পড়ার জন্য আধা ঘণ্টা সময় ব্যয় করব। কোনো মেসেজ বা ইনস্টাগ্রাম আপডেট চেক করব না।’ পড়ার সময় ফোন বা ট্যাবের নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখা যেতে পারে। পড়া শেষে সেটা আবার চালু করলেন।”
ব্যারনের মতে, বই পড়াটি খেলাধুলা বা বাদ্যযন্ত্র বাজানোর মতো। তিনি বলেন, ‘একজন পিয়ানিস্ট বা অ্যাথলিট দৌড়ানোর আগে বা কনসার্টের আগে নিজেদের প্রস্তুত করে নেন। পড়ার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার। কোনো কিছু পড়ায় মনোযোগ দিতে চাইলে আপনাকে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। কী পড়তে যাচ্ছেন এবং সেটা থেকে কী পেতে চান সে কথা ভাবুন।’
ব্যারনের পরামর্শ, কী পড়ছেন সেটা কাজে লাগানোর জন্য পৃষ্ঠার শব্দগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করুন। এর অন্যতম কৌশল হচ্ছে নোট নেয়া। আপনি যা পড়েছেন তার সারসংক্ষেপ লিখতে পারেন। মূল শব্দগুলোর তালিকা তৈরি করতে পারেন। যা পড়ছেন তার সঙ্গে যুক্ত থাকার সবচেয়ে দরকারী উপায়ের একটি হল প্রশ্ন করা। লেখকের সঙ্গে তর্ক করুন। যদি কিছু অর্থপূর্ণ না হয়, আপনার প্রশ্ন লিখুন। যদি একমত না হন, তবে কেনো সেটা লিখুন। আপনার দৃষ্টিভঙ্গির জন্য যুক্তি তৈরি করুন।
ছাপানো বই পড়লেও কাগজে নোট নিতে পারেন। বইটি আপনার নিজের হলে সরাসরি পৃষ্ঠায় লিখতে পারেন। যখন আপনার ফোন বা ট্যাবলেটে পড়ছেন, তখনও এমনটি করতে পারেন। পড়ার সময় কাছে কাগজের প্যাড রাখুন।
লুটালা বলেন, ‘অনেক অ্যাপ আপনাকে একটি ডিজিটাল ডকুমেন্টে সরাসরি ভার্চুয়াল নোট তৈরির অনুমতি দেয়। কিছু আপনাকে ভার্চুয়াল স্টিকি নোট যোগ করার অনুমতি দেয়। কোনো কোনো অ্যাপে আপনি মার্জিনে লিখতে পারেন ও ভার্চুয়ালি পৃষ্ঠার কোনা ভাঁজ করে রাখতে পারেন।’
স্ক্রিনে পড়ে কী পাচ্ছেন, সেটা নির্ভর করে আপনি কতটুকু মনে রাখার চেষ্টা করছেন তার ওপর।
আলেকজান্ডারের মতে, ছাপার বই বা ডিজিটাল স্ক্রিনের দুটি আলাদা জায়গা আছে। মনে রাখতে হবে, ভালোভাবে শিখতে তাদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের ধরনটি ভিন্ন হতে পারে।
আরও পড়ুন:কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর উপর ঘরে বসে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান রয়েল বেঙ্গল এআই। প্রতিষ্ঠানটি শুধু মাত্র উচ্চ মাধ্যামিক বা কলেজ শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ দিচ্ছে। কোডিং না জানলেও শুধু মাত্র এআইয়ের উপর আগ্রহী এমন কর্মীই খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানটি ৩ জনকে শিক্ষার্থীকে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ দেবে। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করত, পাশাপাশি মাসে ১০০ ডলার সম্মানি।
কোডিং জানার প্রয়োজন নেই, কোনও পূর্ববর্তী চাকরির অভিজ্ঞতাও দরকার নেই। সাবলীল ইংরেজির প্রয়োজন নেই শুধু মাত্র এআই সম্পর্কে কৌতূহলী এবং শিখতে, গবেষণা করতে এবং ধারণা সংগঠিত করতে আগ্রহী এমন প্রার্থীকেই খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।
ঘরে বসেই এআইয়ের উপর অভিজ্ঞ মানুষদের সাথে কাজ পাশাপাশি থাকবে সার্টিফিকেট, এআইয়ের উপর বাস্তব-বিশ্বের অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ।
আবেদনের শেষ তারিখ ৪ জুলাই ২০২৫। আবেদন করতে https://shorturl.at/2o8Uc লিংকে প্রবেশ করুণ।
ঢাকা, ১৯ জুন, ২০২৫ – শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো তাদের ডিউরেবিলিটি পাওয়ারহাউজ স্মার্টফোনকে আরও বেশি সাশ্রয়ী করে তুলেছে। অসাধারণ দৃঢ়তা ও পারফরম্যান্সের জন্য সুপরিচিত ডিভাইস অপো এ৩এক্স (৪ জিবি + ৬৪ জিবি) এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ১২,৯৯০ টাকায়; আগে এর দাম ছিল ১৩,৯৯০ টাকা। নতুন অফারের আকর্ষণীয় এই স্মার্টফোনটি বাংলাদেশের সকল অনুমোদিত অপো স্টোর থেকে কেনা যাবে।
স্মার্টফোন থেকে যারা অনেক বেশি প্রত্যাশা করেন, তাদের কথা বিবেচনা করেই এ অপো এ৩এক্স স্মার্টফোনটির ডিজাইন করা হয়েছে। এতে রয়েছে মিলিটারি-গ্রেড শক রেজিজট্যান্স, যা ১.২ মিটার পর্যন্ত উচ্চতা থেকে পতন বা যেকোনো দিক থেকে আসা আঘাতের পরও ফোনটিকে আগের মতোই সচল রাখতে সক্ষম। পাশাপাশি, এর সাথে যুক্ত হওয়া মাল্টিপল লিকুইড রেজিজট্যান্স ও স্প্ল্যাশ টাচ প্রযুক্তির কারণে হাত ভেজা থাকলেও ফোনটি সক্রিয় থাকবে। অনাকাঙ্ক্ষিত আবহাওয়া বা হঠাৎ ছিটে আসা পানির ক্ষেত্রে এটি একদম নিখুঁতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম।
একইসাথে, ডিভাইসটিতে অনবদ্য পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে ৫,১০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট সুপারভুক ফ্ল্যাশ চার্জ সুবিধা ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে, এটি মাত্র ৩০ মিনিটে ৫০ শতাংশ চার্জ এবং মাত্র ৭৪ মিনিটে সম্পূর্ণ চার্জ হতে সক্ষম। ফোনটির ইন্টেলিজেন্ট স্মার্ট চার্জিং ফিচার আপনার প্রতিদিনের ব্যবহারের অভ্যাস থেকে শিখতে সক্ষম, যা ব্যাটারির লাইফকে দীর্ঘায়িত করে। উল্লেখযোগ্য কোনোরকম ঝক্কি ছাড়াই এই স্মার্টফোনটি অন্তত ৪ বছর নিশ্চিন্তে ব্যবহার করা যাবে।
অপো এ৩এক্স ডিভাইসে শক্তিশালী কাঠামোর পাশাপাশি, মসৃণ ও আধুনিক ডিজাইন ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়াও, এর ডিসপ্লেতে রয়েছে ১,০০০ নিটস, যা প্রখর সূর্যের আলোতেও ফোন দেখার সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।
এ বিষয়ে অপো বাংলাদেশ অথরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড্যামন ইয়াং বলেন, “অপোতে আমরা আমাদের গ্রাহকদের সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। অপো এ৩এক্স-এর মাধ্যমে আমরা এমন একটি স্মার্টফোন নিয়ে এসেছি যা প্রতিদিনের ফোন চালানোর চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে যাবতীয় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। আর আকর্ষণীয় ও নতুন এই মূল্যের পাশাপাশি, বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা অপোর টেকসই প্রযুক্তিও ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন।”
এখন মাত্র ১২,৯৯০ টাকার অবিশ্বাস্য মূল্যে সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে অপো এ৩এক্স (৪ জিবি + ৬৪ জিবি)। আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে অপো বাংলাদেশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ https://www.facebook.com/OPPOBangladesh অথবা ওয়েবসাইট www.oppo.com/bd ভিজিট করুন।
পণ্য চোরাচালানকারী এক ভারতীয় নাগরিক অভ্যুত্থানে আহত হয়েছে দাবি করে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর প্রচারণা শনাক্ত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।
বাংলাদেশে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে কাজ করা ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ফ্যাক্টওয়াচ একটি স্বাধীন ফ্যাক্ট-চেকিং সত্তা, যা লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত এবং সেন্টার ফর ক্রিটিকাল অ্যান্ড কোয়ালিটেটিভ স্টাডিজ (সিকিউএস) দ্বারা পরিচালিত।
ফ্যাক্টওয়াচ জানিয়েছে, ‘সম্প্রতি হুইলচেয়ারে বসা এক ব্যক্তির কাছে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন পণ্য জব্দ করার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দাবি করা হয়, তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে আহত একজন বাংলাদেশি, যিনি বিদেশ থেকে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পথে মাদকসহ ধরা পড়েছেন।
কিন্তু ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই ব্যক্তি জুলাই অভ্যুত্থানে আহত কেউ নন। নজরুল হক নামের ওই ব্যক্তি একজন ভারতীয় নাগরিক। তিনি ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ রোগীর ছদ্মবেশে কলকাতা থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। কৌশলে মাদক ও কসমেটিকস আনতে গিয়ে ধরা পড়ার সময়ই ভিডিওটি ধারণ করা হয়।
ফ্যাক্টওয়াচ অনুসন্ধান টিম জানিয়েছে, পরবর্তী অনুসন্ধানে গণমাধ্যমে একাধিক প্রতিবেদন পাওয়া যায়, যেখানে সংযুক্ত ছবিগুলোর সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওর মিল পাওয়া গেছে।
জানা যায়, গত ১৭ মার্চ রাতে ইন্ডিগোর একটি ফ্লাইটে ভারতের কলকাতা থেকে ঢাকায় আসেন নজরুল হক। তিনি সিসিইউ ইউনিটের রোগী সেজে হুইলচেয়ারে করে বিমানবন্দর ত্যাগের সময় কাস্টমসের অভিযানে ধরা পড়েন। তার দেহ তল্লাশি করে কৌশলে লুকানো ২০ কেজি কসমেটিকস, ৪ লিটার মদ, ৩টি মোবাইল ফোন ও ৭ পিস কাপড় জব্দ করা হয়। কাস্টমস হাউস ঢাকার প্রিভেন্টিভ দল এ অভিযান পরিচালনা করে। পরে মুচলেকা নিয়ে নজরুলকে ছেড়ে দেওয়া হলেও তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ফ্যাক্টওয়াচ আরো জানায়, ‘ওই ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে উদ্ধার করা পণ্য নিয়ে ভিন্নভাবে প্রচার চালানো হচ্ছে। দাবি করা হচ্ছে, তিনি জুলাই অভ্যুত্থানে আহত একজন বাংলাদেশি। তবে এসব পোস্টকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।’
একটি মহল দেশ-বিদেশ থেকে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গুজব, ভুল তথ্য ও অপতথ্য ছড়াচ্ছে-এমন প্রমাণও পেয়েছে ফ্যাক্টওয়াচ। শুধু এপ্রিল মাসেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ২৯৬টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে বাংলাদেশকে জড়িয়ে ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বাড়ছে বলেও উল্লেখ করেছে ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধান টিম।
স্মার্টফোন পছন্দ করার আগে বেশিরভাগ ব্যবহারকারীরা নিরবচ্ছিন্ন ব্যাটারি পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা চান। ফোন কেনার আগে ব্যাটারির সক্ষমতা কতটা সেটা যাচাই করেন ক্রেতারা। দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি লাইফ দিতে পারে এমন ফোন থাকে অধিকাংশ ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে। এমন ক্রেতাদের জন্য ব্যাটারি মনস্টার খ্যাত নতুন একটি স্মার্টফোন এনেছে তরুণদের পছন্দের অন্যতম প্রযুক্তি ব্র্যান্ড রিয়েলমি। চলুন জেনে নেয়া যাক, কী থাকছে শক্তিশালী ব্যাটারির এই স্মার্টফোনে।
ব্যাটারি সক্ষমতা: ব্যবহারকারীকে নিরবচ্ছিন্ন সেবার নিশ্চয়তা দিতে রিয়েলমি সি৭১-এ রয়েছে সুবিশাল ৬,৩০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সুবিধা। মাত্র ১ ঘণ্টার চার্জেই ব্যবহারকারীরা দুই দিনের জন্য ফোনটি নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে পারবেন, যা এখনকার ব্যস্ত জীবনযাপনের সাথে মানিয়ে যাবে।
আধুনিক ও স্টাইলিশ ডিজাইন: তরুণ ব্যবহারকারীদের পছন্দের সঙ্গে মানানসই হয় এমন নান্দনিক ও প্রাণবন্তভাবে ডিজাইন করা হয়েছে রিয়েলমি সি৭১। এর ‘লাইট পালস’নোটিফিকেশন ফিচারটি বিশেষ করে, মিটিং বা গুরুত্বপূর্ণ আলাপ চলাকালে কল বা মেসেজ আসার সময় নিঃশব্দে চোখে পড়বে। ফোনটির ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট ডিসপ্লের ক্ষেত্রে আরামদায়ক ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অনুভূতি নিশ্চিত করে। এই দামের অন্যান্য ফোনের ক্ষেত্রে এই রিফ্রেশ রেট সাধারণত দেখা যায় না; ফলে রিয়েলমি’র এই ফোনটি গেম খেলা, সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা বা ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
এআই-সক্ষমতা: রিয়েলমি সি৭১-এ এআই-সক্ষম একাধিক ফিচার রয়েছে, যা দৈনন্দিন কাজগুলো আরও সহজ ও সাবলীল করে। এর মধ্যে রয়েছে এআই নয়েজ রিডাকশন কল ২.০, যা কলের ব্যাকগ্রাউন্ডের নয়েজ কমায়। এআই ক্লিয়ার ফেস যা ক্যামেরা পারফরম্যান্সকে আরও সমৃদ্ধ করে। এআই ইমেজ ম্যাটিং, যা সহজেই ব্যাকগ্রাউন্ড এডিট করতে সহায়তা করে। এআই ইরেজার, যা ছবি থেকে অপ্রয়োজনীয় বিষয় অপসারণ করে। এছাড়াও, গুগল জেমিনি ও সার্কেল-টু-সার্চ ব্যবহারকারীদের জন্য এআই সার্চের সুবিধা নিশ্চিত করে। এসব ফিচার একত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারে নতুন মাত্রা যোগ করে।
ক্যামেরা: ফোনটিতে রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেলের একটি এআই ক্যামেরা, যা ব্যবহারকারীদের নিখুঁত ও ঝকঝকে ছবি তুলতে সহায়তা করে। এই ডিভাইসে প্রাইমারি ক্যামেরার সাথে রয়েছে- একটি ফ্লিকার লেন্স, যেটি পারিপার্শ্বিক আলো থেকে ফ্লিকার ফ্রিকোয়েন্সি নির্ণয় করে এবং ছবি তোলার সময় ফ্লিকার নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া- রিয়ার প্যানেলে আছে ‘পালস লাইট’ অর্থ্যাৎ আলোর ভিন্ন একটি প্যানেল, যার মাধ্যমে ভাইব্রেশন কিংবা শব্দ ছাড়াই এক ধরনের নোটিফিকেশন পাবেন গ্রাহকরা। পাশাপাশি, স্মৃতিময় মুহূর্ত ধারণ করার জন্য রয়েছে ৫ মেগাপিক্সেল সেলফি ক্যামেরা।
সাশ্রয়ী মূল্য: রিয়েলমি সি৭১ দুটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে। ৪ জিবি র্যা ম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের মূল্য মাত্র ১৪,৯৯৯ টাকা এবং ৬ জিবি র্যা ম ও ১২৮ জিবি স্টোরেজের মূল্য মাত্র ১৫,৯৯৯ টাকা। স্মুথ মাল্টিটাস্কিং ও অনবদ্য পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে এতে ডায়নামিক মেমরি এক্সপানশন ব্যবহার করা হয়েছে, যা ২ টেরাবাইট পর্যন্ত বৃদ্ধি করে নেয়া সম্ভব।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) ধানের আরও তিনটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে একটি লবণাক্ততা সহনশীল, একটি উচ্চফলনশীল বোরো এবং অন্যটি ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী। এ নিয়ে ব্রি আটটি উচ্চফলনশীল বা হাইব্রিড জাতসহ মোট ১২১টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে।
নতুন উদ্ভাবিত তিনটি জাত হলো; লবণাক্ততা সহনশীল ব্রি-১১২, উচ্চফলনশীল বোরো ব্রি-১১৩ ও ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ব্রি-১১৪। গত বুধবার জাতীয় বীজ বোর্ডের (এনএসবি) ১১৪তম সভায় নতুন এ তিনটি জাত অনুমোদন করা হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে বোর্ড সভায় ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ জানায়, নতুন উদ্ভাবিত জাতগুলোর মধ্যে ব্রি ধান-১১২ লবণাক্ততা সহনশীল ও মাঝারি জীবনকালীন রোপা আমনের জাত। এ জাতের ডিগপাতা প্রচলিত ব্রি ধান-৭৩-এর চেয়ে খাড়া। ব্রি ধান-১১২ লবণাক্ততার মাত্রাভেদে হেক্টর প্রতি ৪ দশমিক ১৪ থেকে ৬ দশমিক ১২ টন ফলন দিতে সক্ষম। এ জাতের জীবনকাল ১২০ থেকে ১২৫ দিন এবং গাছের উচ্চতা ১০৩ থেকে ১০৫ সেন্টিমিটার। গাছের কাণ্ড মজবুত। এ কারণে ঢলে পড়ে না। এ জাতের ধানের চাল মাঝারি চিকন ও সাদা। ভাত ঝরঝরে। এটি লবণাক্ততা সহ্য করতে পারে। দানা মাঝারি চিকন ও শিষ থেকে ধান সহজে ঝরে পড়ে না। জীবনকাল তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় উপকূলীয় লবণাক্ত অঞ্চলে ফসল কর্তনের পর মধ্যম উঁচু থেকে উঁচু জমিতে সূর্যমুখী ও লবণ সহনশীল সরিষা আবাদের সুযোগ তৈরি হবে।
ব্রি ধান-১১৩ জাতটি বোরো মৌসুমের জনপ্রিয় জাত ব্রি-২৯-এর বিকল্প হিসেবে ছাড়করণ করা হয়েছে। এটি মাঝারি চিকন দানার উচ্চফলনশীল জাত। এ জাতের ডিগপাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা এবং ধান পাকলেও সবুজ থাকে। গাছ শক্ত ও মজবুত বিধায় সহজে হেলে পড়ে না। জাতটির গড় জীবনকাল ১৪৩ দিন। চালের আকার-আকৃতি মাঝারি চিকন ও রং সাদা। দেখতে অনেকটা নাজিরশাইলের মতো। এ ধানের চালে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৮ শতাংশ এবং ভাত ঝরঝরে। এ ছাড়া প্রোটিনের পরিমাণ ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। প্রস্তাবিত জাতের ফলন পরীক্ষায় দেখা গেছে, জাতটি ব্রি ধান-৮৮-এর চেয়ে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি ফলন দিয়েছে। এ জাতের গড় ফলন হেক্টরে ৮ দশমিক ১৫ টন। উপযুক্ত পরিবেশে সঠিক ব্যবস্থাপনা করলে জাতটি হেক্টরে ১০ দশমিক ১ টন পর্যন্ত ফলন দিতে সক্ষম।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, নতুন ব্রি ধান-১১৪ বোরো মৌসুমের দীর্ঘ জীবনকালীন ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাত। এ জাতের ডিগপাতা খাড়া, প্রশস্ত ও লম্বা। গাছ মজবুত এবং হেলে পড়ে না। পাতার রং গাঢ় সবুজ। এর গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৭ দশমিক ৭৬ টন। দানা মাঝারি মোটা এবং সোনালি বর্ণের। ভাত ঝরঝরে হয়। জাতটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাসম্পন্ন। ফলে এ জাতের ধান চাষে কৃষককে ব্লাস্ট রোগ নিয়ে বাড়তি চিন্তা করতে হবে না, উৎপাদন খরচ সাশ্রয় হবে।
ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, জাতগুলো অনুমোদন লাভ করায় এখন আমরা এসব ধানের বীজ বাজারজাত করতে পারব। কৃষকেরা এ জাতের ধান চাষ করে লাভবান হবেন। তাদের উৎপাদনও বাড়বে। উপকূলীয় অঞ্চলে পানিতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকায় অনেক সময় ধান চাষ করা যেত না। এখন আমাদের ব্রি ধান-১১২ সেসব এলাকায় সহজে চাষ করা যাবে। এ ছাড়া অন্য জাতগুলো আমাদের ধান উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমরা আশাবাদী।
সূত্র: বাসস
বর্তমানে যেকোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে আইটি অবকাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, আইটি ডিভাইসের যথাযথ যত্ন না নেওয়া গেলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই এগুলো কর্মক্ষমতা হারায়; ফলে, ডেটা হারানোর ঝুঁকি বাড়ে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। আর তাই প্রতিষ্ঠানের নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে সার্ভার, স্টোরেজ ও নেটওয়ার্কের যথাযথ যত্ন নিয়ে সার্ভিসিং২৪ বেশকিছু সহজ ও কার্যকর টিপস শেয়ার করছে। চলুন আজ তা জেনে নিই –
নিয়মিত হেলথ চেক ও ডেটা সেন্টারের যথাযথ পরিবেশ
প্রতিষ্ঠানের সার্ভার, স্টোরেজ ও নেটওয়ার্ক ডিভাইসগুলো প্রতি মাসে অন্তত একবার পরীক্ষা করে দেখুন। এটি বড় ধরনের ডেটা লস এড়াতে সহায়তা করবে। ধুলো-ময়লা ও অতিরিক্ত গরম আইটি ডিভাইসের পারফরম্যান্সের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই, ডেটা সেন্টার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা ও এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
ডেটা ব্যাকআপ নিন ও রিকভারি টেস্ট করুন
শুধু ডেটা ব্যাকআপ নিলেই হবে না; একইসাথে, এগুলো থেকে ডেটা রিকভারি করা সম্ভব হচ্ছে কিনা, তাও পরীক্ষা করা জরুরি। অনেক সময় ব্যাকআপ ডেটা করাপ্টেড থাকতে পারে বা রিকভারি প্রক্রিয়া সঠিকভাবে কাজ না-ও করতে পারে। নিয়মিত রিকভারি টেস্ট এ ঝুঁকি কমিয়ে আনে।
সিকিউরিটি প্যাচ ও সফটওয়্যার আপডেট করুন
অপারেটিং সিস্টেম, হাইপারভাইজর, ডেটাবেজ ও অন্যান্য সফটওয়্যারের সিকিউরিটি প্যাচ ও আপডেট সময়মতো ইনস্টল করা জরুরি। আপডেট না করলে সিস্টেমের দুর্বলতাগুলো হ্যাকারদের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যেতে পারে; এক্ষেত্রে সবসময় সতর্ক থাকা ও সফটওয়্যার নিয়মিত আপডেট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স ও মাল্টি-ভেন্ডর অ্যাকসেস মনিটর করুন
ধীরগতির নেটওয়ার্ক পুরো প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করে। তাই নেটওয়ার্কের কর্মক্ষমতা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী তা টিউনিং করা জরুরি। এছাড়া, আইটি সিস্টেমে একাধিক ভেন্ডর বা ইউজার কাজ করলে, তাদের সীমিত ও নিয়ন্ত্রিত অ্যাকসেস নিশ্চিত করা জরুরি। এতে তথ্যের গোপনীয়তা ও সিস্টেমের নিরাপত্তা বজায় থাকে। অ্যাকসেস রুলস ও মনিটরিং ব্যবস্থাও সবসময় আপডেট রাখা জরুরি।
ফেইলওভার ক্লাস্টার, আরটিও-আরপিও মেইনটেইন করুন
ফেইলওভার ক্লাস্টার ব্যবস্থায় একটি সার্ভার বা হার্ডডিস্ক ব্যর্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে অন্য একটি সিস্টেম বা ডিস্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে। ফলে, আইটি সিস্টেম সবসময় সচল থাকে এবং ডাউনটাইমে ব্যাকআপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়। পাশাপাশি, সিস্টেমে সমস্যা হলে তা কতক্ষণের মধ্যে রিকভার হবে তা জানতে ‘রিকভারি টাইম অবজেকটিভ’ (আরটিও) ও সর্বশেষ কোন পর্যায় পর্যন্ত ডেটা রিস্টোর করা যাবে, তা নিশ্চিতে ‘রিকভারি পয়েন্ট অবজেকটিভ’ (আরপিও) মেইনটেইন করতে হবে। এতে করে ডেটা রিকভারি দ্রুত ও নির্ভরযোগ্য করা সম্ভব।
এ বিষয়ে সার্ভিসিং২৪-এর সিইও নাসির ফিরোজ বলেন, “স্থিতিশীল ও সুরক্ষিত আইটি অবকাঠামো আধুনিক ব্যবসার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেবল ডিভাইস স্থাপন করলেই হবে না, এগুলো নিয়মিত মেইনটেনেন্স করতে হবে। আর তা হলেই প্রতিষ্ঠানের নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্স নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর র্যাডার ইউনিট বগুড়ায় বুধবার (১৮-৬-২০২৫) নব স্থাপিত জিএম ৪০৩এম আকাশ প্রতিরক্ষা র্যাডার এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মানিত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন, বিবিপি, ওএসপি, জিইউপি, এনএসডব্লিউসি, পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আকাশ প্রতিরক্ষা র্যাডার এর উদ্বোধন করেন।
বিমান বাহিনীকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার জন্য নতুন নতুন স্থাপনা ও যুদ্ধোপকরণ সংযোজন চলমান রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় আকাশ প্রতিরক্ষা র্যাডারটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিমান বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হলো। ‘বাংলার আকাশ রাখিব মুক্ত’ এই অঙ্গীকারে আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। নতুন অন্তর্ভুক্ত র্যাডারটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও, অত্যাধুনিক এ র্যাডারটি বিমান বাহিনীর প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে।
এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণসহ অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য