× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
The risk of pneumonia is increasing due to air pollution
google_news print-icon

বায়ুদূষণে বাড়ছে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি

বায়ুদূষণে-বাড়ছে-নিউমোনিয়ার-ঝুঁকি
দেশে ফুসফুস সংক্রমণজনিত রোগ নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে পরিবেশ দূষণে। ফাইল ছবি
ইউনিসেফ শঙ্কা প্রকাশ করে বলছে, নিউমোনিয়ার বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দশকজুড়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সী ১ লাখের বেশি শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে।

তিন দিন জ্বরে ভোগা সাড়ে তিন বছর বয়সী সাইফুল হোসাইনকে ভর্তি করা হয় চাঁদপুর সদর হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকরা জানান, শিশুটি আক্রান্ত নিউমোনিয়ায়। এরপর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে নিউমোনিয়ার ভালো চিকিৎসা না থাকায় চিকিৎসকরা সাইফুলকে দ্রুত ঢাকা শিশু হাসপাতালে নিতে বলেন।

৬ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তির পরপরই চিকিৎসক সাইফুলকে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) নেয়ার সুপারিশ করেন। সেই সময় হাসপাতালের শিশু আইসিইউ ফাঁকা ছিল না।

আইসিইউ পেতে হাসপাতালেই তিন ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। শেষ মুহূর্তে আইসিইউ পাওয়া গেলেও বাঁচানো যায়নি সাইফুলকে।

দেড় বছরের শিশু আমীর হামজাকে এক সপ্তাহের জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা নিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। শ্বাসকষ্ট তীব্র হওয়ায় চিকিৎসকরা হামজাকে ঢাকা শিশু হাসপাতাল নেয়ার সুপারিশ করেন।

১ নভেম্বর হামজাকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে অক্সিজেনের ব্যবস্থা হওয়ায় ১০ দিনের চিকিৎসায় হামজার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে।

দেশে সাইফুল ও হামজার মতো নিউমোনিয়া আক্রান্ত অর্ধেকের বেশি শিশুর মৃত্যু হয় চিকিৎসা ছাড়াই। জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোয় নিউমোনিয়া রোগীর চিকিৎসায় ভালো ব্যবস্থাপনা ও প্রশিক্ষিত কর্মী না থাকায় রাজধানীমুখী হচ্ছে রোগী ও স্বজনরা।

ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ভিড় বাড়ছে প্রতিনিয়ত। চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজধানীর চিকিৎসকদের।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ফুসফুস সংক্রমণজনিত রোগ নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ছে পরিবেশ দূষণের কারণে, যার পেছনে দায়ী মূলত বায়ুদূষণ। এ ছাড়া অপর্যাপ্ত ভেন্টিলেশন, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা, নিরাপদ পানির সংকট, অপুষ্টিও দায়ী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে নিউমোনিয়া চিকিৎসার ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিসহ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগটির চিকিৎসাব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু পরিবেশ দূষণ ও অব্যবস্থাপনার ফলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর মাধ্যমে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।

বায়ুদূষণে বাড়ছে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, দেশে বিভিন্ন রোগে পাঁচ বছরের কম বয়সী যত শিশুর মৃত্যু হচ্ছে, তার ২৮ শতাংশ নিউমোনিয়ায়। প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সী ৮০ হাজার শিশু নিউমোনিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে, যার মধ্যে মারা যাচ্ছে ৫০ হাজার।

শিশুর সেবা নিশ্চিত করতে দেশের একটি মাত্র বিশেষায়িত স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ঢাকা শিশু হাসপাতাল। এ হাসপাতালে ১০ দিনে যে পরিমাণ রোগী ভর্তি হয়েছে, তার ২০ শতাংশই চিকিৎসাব্যবস্থা শুরুর আগেই মারা গেছে।

বিশ্বে প্রতিবছর ১০ লাখ শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। বাংলাদেশ হেলথ ফ্যাসিলিটি সার্ভে বলছে, দেশে এ রোগে প্রতিদিন ৬৭ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে, যার ৫২ শতাংশই চিকিৎসার বাইরে থেকে যাচ্ছে।

সঠিক সময় চিকিৎসাকেন্দ্রে না আসায় ৪৫ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। সচেতনতার অভাবে বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হচ্ছে ৩ শতাংশ শিশুর।

এ জরিপেই বলা হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী, দেশে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ৯৫ শতাংশ হাসপাতালে নিউমোনিয়া চিকিৎসার সুব্যবস্থাপনা নেই। এ কারণে ফুসফুস সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে ৪২ শতাংশকে চিকিৎসার জন্য আশপাশের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেয়া হয়। অন্য কোনো চিকিৎসাসেবা না থাকায় ৩৪ শতাংশ শিশুকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেয়া হয়।

এই জরিপে আরও উঠে এসেছে, বিভিন্ন রোগে বাংলাদেশে যত শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, এর ১৮ শতাংশই নিউমোনিয়ার কারণে। এ ছাড়া বর্তমানে ১ হাজারে ৩৫ জনের মৃত্যু হচ্ছে নিউমোনিয়ায়।

২০২৫ সালের এই মৃত্যুর হার হাজারে ৩ জনে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার, তবে দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের।

তারা বলছেন, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়া মাত্র হাসপাতালে আনলে এই মৃত্যুর হার অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। এই মৃত্যুহার কমিয়ে আনতে শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ পান করানো প্রয়োজন। পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। পরিবেশ দূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

জন হপকিনস ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণার বরাত দিয়ে শিশুদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ একটি আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, নিউমোনিয়ার বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে আগামী দশকজুড়ে বাংলাদেশে প্রতিবছর পাঁচ বছরের কম বয়সী ১ লাখের বেশি শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যেতে পারে।

তবে মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে ৪৮ হাজার শিশুর মৃত্যু এড়ানো সম্ভব।

বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এস কে শাহিনুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বায়ুদূষণ নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার প্রধান কারণগুলোর একটি। বায়ুদূষণে শরীরে, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের ফুসফুসে ভাইরাস, ব্যাকেটেরিয়া, ফাঙ্গাস প্রভৃতি ইনফেকশন হয়ে থাকে। এ ছাড়া বাসস্থান বা ঘরে অপর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ঘাটতিতেও নিউমোনিয়া হয়। বিশেষ করে ঘনবসতি বা বস্তি এলাকার ঘরগুলোতে লোকে গাদাগাদি করে বসবাস করায় সেখানে ভেন্টিলেশন সুবিধা কম থাকে।

‘এতে শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যায় হাঁচি-কাশির মাধ্যমে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। মানুষের দৈনন্দিন জীবনে হাতের ব্যবহার বেশি হওয়ার মাধ্যমে রোগ-জীবাণুর সংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠেনি। এটিও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, নিউমোনিয়ায় মৃত্যুর এক-তৃতীয়াংশ দূষিত বায়ুর কারণে হয়ে থাকে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণের ফলে নিউমোনিয়ায় মৃত্যুহার বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে বায়ুদূষণ মোকাবিলায় সচেতনতা জরুরি।

এ চিকিৎসক আরও বলেন, ‘বায়ুদূষণ, শিল্প ও ইঞ্জিনচালিত গাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ার মাধ্যমে বয়স্ক এবং প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শ্বাস-প্রশ্বাসের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেশি। খুব অল্পবয়সী এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

‘এ ছাড়া যেসব বাড়িতে রান্না, কক্ষের উষ্ণতা এবং আলোর জন্য নিয়মিত দূষণকারী জ্বালানি এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, সেসব বাড়িতে থাকা শিশুরা বেশি পরিমাণে বায়ুদূষণের শিকার হচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, বায়ুদূষণজনিত মৃত্যুর ৯০ শতাংশই ৪০টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।’

এ বিষয়ে ঢাকা শিশু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ও বাংলাদেশ শিশু চিকিৎসক সমিতির (বিপিএ) অধ্যাপক মনজুর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার মধ্যে নিউমোনিয়ার টিকা কার্যক্রম কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়েছে। এই টিকা কার্যক্রমে গতি আনতে হবে। শিশুর পুষ্টির উন্নতি ঘটাতে কাজ করতে হবে। এই পদক্ষেপগুলো নিউমোনিয়ায় শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও বায়ুদূষণের কারণে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা। বায়ুদূষণের কারণে ফুসফুসের অক্সিজেন ধারণক্ষমতা অনেক কমে যায়। এ সময় নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে মৃত্যুহার অনেক বেড়ে যায়।’

আরও পড়ুন:
নিউমোনিয়া: এক সপ্তাহে রোগী সহস্রাধিক শিশু
বাগেরহাটে এক মাসে হাসপাতালে ১০ হাজার শিশু
শীতের বিদায়বেলায় শিশুদের নিউমোনিয়ার প্রকোপ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Another 42 people have corona virus

আরও ৪২ জনের করোনা শনাক্ত

আরও ৪২ জনের করোনা শনাক্ত ফাইল ছবি
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৬ হাজার ৫৫৫ জনে।

দেশে আরও ৪২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার এই হিসাব দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

এতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ ঘণ্টায় কারও মৃত্যু হয়নি। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৯ জনে। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৩ জনের।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ সময়ে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ১১ শতাংশ। মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩৭ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৬ হাজার ৫৫৫ জনে।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Chamek hospital held hostage by syndicate and brokers 39

সিন্ডিকেট ও দালাল চক্রে জিম্মি চমেক হাসপাতাল, আটক ৩৯

সিন্ডিকেট ও দালাল চক্রে জিম্মি চমেক হাসপাতাল, আটক ৩৯ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (উপরে); বুধবার র‍্যাবের অভিযানে আটক দালাল চক্রের কয়েক সদস্য। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বুধবার অভিযান চালিয়ে ৩৯ দালালকে আটক করে র‍্যাব। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড এবং ২৪ জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) রোগী ও তাদের স্বজনরা সিন্ডিকেট ও দালাল চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। দালাল ছাড়া এখানে কোনো কাজ হয় না। কেউ এই চক্রের বিরুদ্ধে কথা বললে বা তাদের কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে মারধরসহ নানামুখী হেনস্তার শিকার হতে হয়।

দোর্দণ্ড প্রতাপে রাজত্ব করে বেড়ানো এই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে অবশেষে মাঠে নেমেছে র‍্যাব। এই এলিট ফোর্সের একটি টিম বুধবার চমেক হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ৩৯ দালালকে আটক করেছে। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটক দালালদের জেল-জরিমানা দেন।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত দালালরা জানিয়েছে যে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একাধিক সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র রয়েছে। তারা সারাদিন এই হাসপাতালে ঘুরে বেড়ায়।

পেশাদার দালাল চক্র

চমেক হাসপাতাল এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালকদের নিয়ে দালাল চক্র সার্বক্ষণিক তৈরি করে থাকে। দালালরা প্রথমেই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো নয় উল্লেখ করে আগত রোগী ও স্বজনদের দোটানায় ফেলে দেয়। এভাবে তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসার প্রতি রোগীদের আস্থার সংকট তৈরি করে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এছাড়াও চিকিৎসকরা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলে সেগুলো দ্রুত করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এবং কমিশন পাওয়ার আশায় বিভিন্ন কৌশলে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়।

শয্যা ও ওয়ার্ড সিন্ডিকেট

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এই অঞ্চলের রোগীদের অন্যতম ভরসার চিকিৎসা কেন্দ্র। এখানে বিভাগের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে রোগী আসে। কিন্তু হাসপাতালে পা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পদে পদে বাধার সম্মুখীন হয় রোগী ও সঙ্গে আসা স্বজনরা।

হাসপাতালের ভেতরে তো বটেই, বাইরেও ওঁৎ পেতে থাকা দালাল চক্র তাদেরকে ঘিরে ধরে। প্রথমেই জরুরি মুহূর্তে রোগী বহনের ট্রলি থেকে শুরু করে শয্যা বা ওয়ার্ড পাইয়ে দেয়ার কথা বলে দালালরা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। এরপর শুরু হয় চিকিৎসা সেবা নিয়ে ভয় দেখানো। সরকারি হাসপাতালে বেড পাওয়া যাবে না, আইসিইউ মিলবে, চিকিৎসকের সার্বক্ষণিক তদারকির অভাব, নার্সের দেখা পাওয়া যায় না- এমন নানা কথার ফাঁদে ফেলে চেষ্টা চলে রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে নেয়ার।

দুরারোগ্য রোগের ভীতি সঞ্চার

চিকিৎসাসেবা নিতে হাসপাতালে রোগী আসামাত্রই নানা দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার নমুনা রয়েছে এমনটা উল্লেখ করে ভয় দেখানো শুরু করে সিন্ডিকেট ও দালাল চক্রের সদস্যরা। ক্যান্সার বা টিউমার বা অন্য কোনো বড় ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার কথা বলে তারা রোগীকে বেসরকারি কোনো ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায় এবং সেখানে ভর্তি করায়।

এর ফলে রোগীরা সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা ও স্বল্প মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়। একইসঙ্গে অধিক অর্থ ব্যয় করে রোগী ও তার স্বজনরা সর্বস্বান্ত হয়ে বাড়ি ফেরে। দালালদের ফাঁদে পড়ে মানহীন হাসপাতালে যাওয়ায় অনেক সময় সুচিকিৎসার অভাবে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট

চমেক হাসপাতালে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও তা খুবই অপ্রতুলত- এমন গুজব ছড়িয়ে সিন্ডিকেট দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়ে ব্যক্তিমালিকানাধীন অ্যাম্বুলেন্স অধিক টাকায় ভাড়া দেয়। চিকিৎসাধীন কোনো রোগী এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করার ক্ষেত্রেও এই অ্যাম্বলেন্সি সিন্ডিকেটের খপ্পর থেকে রেহাই পায় না। এমনকি কোনো রোগী মারা গেলে হাসপাতাল থেকে মরদেহ বহনেও সিন্ডিকেট করে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই দালাল চক্রের বিরুদ্ধে।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা সিন্ডিকেট

হাসপাতালের চিকিৎসক রোগীর রোগ নির্ণয়ের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলে সেগুলো দ্রুত করিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে এবং কমিশন পাওয়ার আশায় বিভিন্ন কৌশলে দালালরা তাদের চুক্তিভিত্তিক বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যায়।

কমিশন বাণিজ্য

রোগী হাসপাতালে আসার পর ভর্তি থেকে শুরু করে রোগী বহনের জন্য ট্রলি, শয্যা বা ওয়ার্ড পাইয়ে দেয়া, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে সিরিয়ালে পেছন থেকে সামনে নেয়া, স্বল্প মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেয়া, তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা, স্বল্প মূল্যে উন্নতমানের ওষুধ কেনাসহ সব ক্ষেত্রে রোগীদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কমিশন বাণিজ্য করে আসছে চমেক হাসপাতালে সক্রিয় সিন্ডিকেট।

পথ্যবাণিজ্য সিন্ডিকেট

সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে রোগীদের বিনামূল্যে সরকার থেকে সরবরাহ করা ওষুধ নেয়া থেকে ভুল বুঝিয়ে স্বল্প মূল্যে উন্নতমানের ওষুধ কেনার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের কমিশনপ্রাপ্ত নির্দিষ্ট ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ফার্মেসির দোকানি ওষুধের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক দামে ওষুধ গছিয়ে দেয়।

৩৯ দালাল আটক, সাজা

এদিকে চমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বুধবার অভিযান চালিয়ে ৩৯ দালালকে আটক করে র‍্যাব।

র‌্যাব-৭ এর সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সাদা পোশাকে র‌্যাবের টিম হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে অভিযান চালায়। অভিযানে সন্দেহভাজন ৩৯ জনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে ১৪ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড এবং ২৪ জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।’

মাহবুব আলম বলেন, ‘চমেক হাসপাতালে বেড ও ওয়ার্ড সিন্ডিকেট, মেডিসিন সিন্ডিকেট এবং অ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট সক্রিয়। তারা রোগীদের বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করে। মূলত কমিশন বাণিজ্যের লক্ষ্যে রোগীদের প্রলুব্ধ করে তারা।

‘অভিযানের বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কাউকে পাওয়া যায়নি।’

আরও পড়ুন:
ঢামেক হাসপাতালে ৬৫ দালাল আটক, ৫৮ জনকে সাজা
চমেক হাসপাতালে চালু হলো ৫০ শয্যার আইসিইউ ওয়ার্ড
ঢামেক থেকে রোগী ভাগানোর ৫ দালাল চক্রে যারা, যেভাবে
চমেক হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা বন্ধের ঘোষণা স্থগিত

মন্তব্য

জীবনযাপন
There were more dengue cases in 2023 than total cases in 23 years

২৩ বছরে মোট রোগীর চেয়ে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল

২৩ বছরে মোট রোগীর চেয়ে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল  ফাইল ছবি
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন 'এর বাইরে তো আরও রোগী ছিলই। এতেই বোঝা যায়, ডেঙ্গু রোগী নিয়ে আমাদের এবার আগে থেকেই সতর্ক না হয়ে কোন উপায় নেই। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হলে আমাদেরকে এক দিকে যেমন মশা মারতে হবে, আবার অন্যদিকে প্রাদুর্ভাব কমাতে আমাদেরকে আগে থেকেই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল বলেছেন ‘সমন্বয় সভার পরিসংখ্যানগত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বিগত ২৩ বছরে যত ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে গত ২০২৩ সালে এক বছরেই তার থেকে বেশি রোগী আক্রান্ত হয়েছে। অর্থাৎ গত ২৩ বছরে দেশে মোট ডেঙ্গু রোগী ছিল প্রায় আড়াই লক্ষ। কিন্তু গত ২০২৩ সালে মাত্র এক বছরেই রোগী আক্রান্ত হয় প্রায় ৩ লাখ। এই সংখ্যা শুধু হাসপাতালে ভর্তিকৃতদের।’

মঙ্গলবার দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এর বাইরে তো আরও রোগী ছিলই। এতেই বোঝা যায়, ডেঙ্গু রোগী নিয়ে আমাদের এবার আগে থেকেই সতর্ক না হয়ে কোন উপায় নেই। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হলে আমাদেরকে এক দিকে যেমন মশা মারতে হবে, আবার অন্যদিকে প্রাদুর্ভাব কমাতে আমাদেরকে আগে থেকেই সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। সবার আগে আমাদের নিজ নিজ এলাকার কমিউনিটি সম্পৃক্ততা ও সচেতনতা বাড়াতে হবে। মশা মারার জন্য ওষুধ যেমন মান সম্পন্ন কিনতে হবে তেমনি আমাদেরকে ভালো ট্রিটমেন্ট ব্যাবস্থাও রাখতে হবে। তবে, ডেঙ্গু প্রতিরোধে আজ থেকে যেভাবে উদ্যোগ নেওয়া শুরু হলো, এটিকে চলমান রেখে সব সেক্টরকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।’

২৩ বছরে মোট রোগীর চেয়ে ২০২৩ সালে ডেঙ্গু রোগী বেশি ছিল

মন্ত্রীর সভাপতিত্বে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব হ্রাসকরণ ও চিকিৎসাসেবা সুসমন্বিত করণ বিষয়ক একটি বিশেষ সভা করা হয়। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জনাব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর আবদুল্লাহ, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বিএসএমএমইউ ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদসহ মন্ত্রণালয়ের ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্যবৃন্দ।

সভার শুরুতে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব ও নানাবিধ সমস্যা তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) অধ্যাপক মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করতে আমাদেরকে এক হয়ে মাঠে নেমে কাজ করতে হবে। কোন ভেদাভেদ যেন আমাদের মধ্যে না হয়। করোনা যেভাবে আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবিলা করেছি, ডেঙ্গুও আমরা এক হয়ে সমন্বিতভাবে প্রতিরোধ করবো। একই সঙ্গে এ বছর ওষুধ কিনতে আরো বেশি সতর্কতা অবলম্বন করে পরীক্ষা ও যাচাই-বাছাই করে আমাদেরকে ওষুধ কেনার উদ্যোগ নিতে হবে।’

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘করোনার মত ডেঙ্গু প্রতিরোধে এবছর আমরা আগেভাগেই এই সমন্বয় সভার আয়োজন করেছি। আশা করছি, এ বছর সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধে এক যোগে কাজ করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুহার অনেক কমিয়ে আনতে সক্ষম হব।’

সভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উপস্থিত মিডিয়া কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

আরও পড়ুন:
স্বাস্থ্য খাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জেলায় অবৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী
অনিয়ম করে আর হাসপাতাল খোলা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
কোনো তদবিরেই অবৈধ ক্লিনিক চালু রাখা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যসেবা বিকেন্দ্রীকরণ নিয়ে কাজ শুরু করেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

জীবনযাপন
Hospital attack vandalism interns strike after death of patient

রোগীর মৃত্যুতে হাসপাতালে হামলা ভাঙচুর, ইন্টার্নদের কর্মবিরতি

রোগীর মৃত্যুতে হাসপাতালে হামলা ভাঙচুর, ইন্টার্নদের কর্মবিরতি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মারা যাওয়া রোগীর ছেলেকে মঙ্গলবার আটক করে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
মারা যাওয়া রোগীর ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত্যুর ৮ ঘণ্টা পর মরদেহ হস্তান্তর করেছে জামালপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জামালপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মৃত রোগীর স্বজনদের হামলায় আহত হয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক। এ প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্নরা।

হামলা-ভাঙচুরের এ ঘটনায় মৃত রোগীর ছেলেকে পুলিশ আটক করেছে। আর রোগীর মৃত্যুর ৮ ঘণ্টা পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে জামালপুর পৌর এলাকার রশিদপুর গ্রামের গুল মাহমুদকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। পরে রোগীকে মেডিসিন ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রোগীর মৃত্যুতে হাসপাতালে হামলা ভাঙচুর, ইন্টার্নদের কর্মবিরতি
হাসপাতালে চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা

এ সময় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয়। অন্য ওয়ার্ড থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিসিন ওয়ার্ডে গেলে তাদের ওপরও স্বজনরা হামলা চালায় এবং চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর করে। এতে ইন্টার্ন চিকিৎসক মঞ্জুরুল হাসান জীবন, ডা. ফহমিদুল ইসলাম ফাহাদ ও ডা. তুষার আহমেদ আহত হন।

এদিকে, চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করে

মৃতের স্বজনদের অভিযোগ, মৃত্যুর পর গুল মাহমুদের মরদেহ হাসপাতালে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার দুই ছেলে হায়দার ও হাফিজের সঙ্গে হাসপাতালের স্টাফদের বাকবিতন্ডা হয়। এ কারণে মধ্যরাতে মৃত্যু হলেও দুপুর পর্যন্ত মরদেহ আটকে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডাক্তাররা দাবি তোলেন যে মৃতের ছেলেকে আটক করার পর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

অপরদিকে হামলাকারীদের আটক, শাস্তি ও ইন্টার্নদের নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান জামালপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে মৃতের ছেলে হায়দার হাসপাতালে তার বাবার মরদেহ নিতে এলে পুলিশ তাকে আটক করে। আর সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মৃত্যু হলেও ছেলেকে পুলিশ আটক করার পর মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, ‘হাসপাতালে রোগীকে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলে রোগীর দুই ছেলে হায়দার ও হাফিজ চিকিৎসকদের ওপর হামলা করে এবং চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর করে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছি।

‘ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে। এতে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে অন্যান্য চিকিৎসককে দিয়ে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি দাবি করেন, ‘নিকটাত্মীয় কেউ না থাকায় রোগীর মৃত্যুর পরপরই মরদেহ হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। স্বজনরা যখন এসেছে তখন তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’

জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। একজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
রামেক হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে পেটালেন ইন্টার্নরা, ভিডিও ভাইরাল
ওসমানী হাসপাতালে ইন্টার্নদের কর্মবিরতির ডাক
খুলনা মেডিক্যালে শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ, ইন্টার্নদের কর্মবিরতি
খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

মন্তব্য

জীবনযাপন
Corona has reduced the average life expectancy by one and a half years

করোনায় গড় আয়ু দেড় বছর কমেছে

করোনায় গড় আয়ু দেড় বছর কমেছে কোভিড বিশ্বব্যাপী মানুষের আয়ু কমিয়েছে দেড় বছর। ফাইল ছবি
গবেষক অস্টিন শুমাখার বলেছেন, ২০২০ থেকে ২০২১ সময়কালে ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের বিশ্লেষণে ৮৪ শতাংশে আয়ু হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ে ১৫ বছরের বেশি মানুষের মৃত্যুর হার পুরুষদের জন্য ২২ শতাংশ এবং মহিলাদের জন্য ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম দুই বছরে বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু ১ দশমিক ৬ বছর কমেছে।

একটি বড় গবেষণায় মঙ্গলবার এ কথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বাসস।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) তথ্য অনুসন্ধানকারী গবেষকদের মতে, এক দশক ধরে বিশ্বব্যাপী আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির পর এটি এখন উল্টো দিকে ঘুরছে।

আইএইচএমই গবেষক এবং দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার প্রধান লেখক অস্টিন শুমাখার বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, কোভিড-১৯ মহামারিটি অর্ধ শতাব্দীতে সংঘাত এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেখা যেকোনো ঘটনার চেয়ে আরও গভীর প্রভাব ফেলেছে।’

তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২০ থেকে ২০২১ সময়কালে ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের বিশ্লেষণে ৮৪ শতাংশে আয়ু হ্রাস পেয়েছে, যা নতুন ভাইরাসগুলোর ‘বিধ্বংসী সম্ভাব্য প্রভাব প্রদর্শন করে।’

এই সময়ে ১৫ বছরের বেশি মানুষের মৃত্যুর হার পুরুষদের জন্য ২২ শতাংশ এবং মহিলাদের জন্য ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

গবেষকরা অনুমান করেছেন, মেক্সিকো সিটি, পেরু এবং বলিভিয়ায় আয়ু সবচেয়ে বেশি কমেছে।

কিন্তু আইএইচএমইয়ের ল্যান্ডমার্ক গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডির আপডেট করা হিসাবে কিছু ভালো খবর পাওয়া যায়।

২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় অর্ধ মিলিয়ন কম শিশু মারা গেছে, যা শিশু মৃত্যুহারের দীর্ঘমেয়াদি পতন অব্যাহত রেখেছে।

আইএইচএমই গবেষক এই ‘অবিশ্বাস্য অগ্রগতি’কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, বিশ্বকে এখন পরবর্তী মহামারি এবং বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যের বিশাল বৈষম্য মোকাবেলার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। গবেষকরা বলেছেন, ১৯৫০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গড় আয়ু ২৩ বছর বেড়ে ৪৯ থেকে ৭২ বছর হয়েছে।

কোভিড ২০২০ থেকে ২০২১ সময়কালে সরাসরি ভাইরাস থেকে বা পরোক্ষভাবে মহামারী-সম্পর্কিত কারণে অতিরিক্ত ১৫.৯ মিলিয়ন লোকের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
করোনায় একজন মারা গেছেন
২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের করোনা শনাক্ত
২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের করোনা শনাক্ত

মন্তব্য

জীবনযাপন
The issue of keeping doctors on OSD will be resolved soon Health Minister

চিকিৎসকদের ওএসডি করে রাখার বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

চিকিৎসকদের ওএসডি করে রাখার বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন সোমবার রামেক হাসপাতালে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: নিউজবাংলা
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন. ‘যতক্ষণ না আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে পারছি, ততক্ষণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমবে না। তবে আমরা দেশের চিকিৎসাসেবা শতভাগ উন্নত করতে না পারলেও কিছুটা উন্নত করার চেষ্টা করছি।’

দেশে চিকিৎসকদের বড় একটি অংশকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) রাখার বিষয়টি দ্রুত সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই আশ্বাস দেন।

এর আগে রামেক হাসপাতালের সভাকক্ষে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) ভাইস চ্যান্সেলর, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক, অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা এবং স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, রাজশাহীসহ সারাদেশে মোট পাঁচটি বার্ন ইউনিট চালু করা হবে। এই ইউনিটগুলো চালু হলে জনগণের বড় ধরনের উপকার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রামেক হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিট ঘুরে দেখেন। হাসপাতালটি অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মন্তব্য করে তিনি সাংবাদিকদের কাছে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সামন্ত লাল বলেন, ‘অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মতো রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও রোগীদেরকে ফ্লোরে থেকে সেবা নিতে হয়। এই সমস্যা একবারে সমাধান করা সম্ভব না।

‘যতক্ষণ না আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে পারছি, ততক্ষণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমবে না। তবে আমরা দেশের চিকিৎসাসেবা শতভাগ উন্নত করতে না পারলেও কিছুটা উন্নত করার চেষ্টা করছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহীতে একটি জেলা হাসপাতাল আছে, যা খালি পড়ে থাকে। আমরা চেষ্টা করব এটাকে সচল করার। তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও এই হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে।’

হাসপাতালগুলোতে জনবলের ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আশা করি খুব তাড়াতাড়ি জনবল সংকটের সমাধান হবে।’

হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও অনেক চিকিৎসককে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ কী?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খুব তাড়াতাড়ি এর সমাধান হবে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।’

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার নতুন একটি আইসিইউ খোলা হলো। এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে মোট ৪ হাজার ৪৭৫ জন রোগী চিকিৎসা নেয়। প্রতিদিন গড়ে অপারেশন করা হয় ১৩৮ জন রোগীর।

রামেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দৌরাত্ম্য ও সাংবাদিক প্রবেশে বাধা প্রদানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এরকম যদি কারেও কাছে কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে বলবেন সেটা আমরা দেখব।’

সম্প্রতি হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাতে রোগীর স্বজন নির্যাতিত হওয়ার প্রসঙ্গ তুললে মন্ত্রী বলেন, ‘ওটার ব্যাপারে আমি জানি না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেটা দেখবেন।’

আরও পড়ুন:
আগামী সংসদেই সুরক্ষা আইন পাস করতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাসপাতালে চিকিৎসককে না পেয়ে ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বরখাস্তের নির্দেশ
যেখানেই যাই শুনি হাসপাতালে ডাক্তার থাকেন না
স্বাস্থ্য খাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জেলায় অবৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

জীবনযাপন
Two more died of dengue

ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু

ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু
ফাইল ছবি
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ নিয়ে মোট ২০ জনের মৃত্যু হলো। যাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে মার্চ মাসেই।

সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১২ জন।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এ তথ্য জানানো হয়।

মারা যাওয়া দুজনের একজন ঢাকায় ও আরেকজন বরগুনায় ছিলেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ নিয়ে মোট ২০ জনের মৃত্যু হলো। যাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে মার্চ মাসেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরে ৫ রোগী ভর্তি হয়েছেন, বাকি ৭ জন ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে।

এ নিয়ে এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৮৪ জনে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকায় ৫২০ এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৬৪ জন।

আরও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ মৃত্যু
ব্রাজিলের ডোরাডোস শহরে ডেঙ্গুর গণটিকা শুরু
‘মশার ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ না হলে এবারও ডেঙ্গু নিয়ে শঙ্কা’

মন্তব্য

p
উপরে