× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
10 thousand steps is not necessary for good health
google_news print-icon

সুস্বাস্থ্যের জন্য ‘১০ হাজার স্টেপস’ জরুরি নয়

সুস্বাস্থ্যের-জন্য-১০-হাজার-স্টেপস-জরুরি-নয়
জাপানের টোকিওতে সকালে হেঁটে অফিসে যাচ্ছেন কর্মজীবীরা। ছবি: এএফপি
গবেষণায় দেখা গেছে, যারা দিনে অন্তত সাত হাজার পদক্ষেপ হেঁটেছেন তাদের অল্প বয়সে মৃত্যু ঝুঁকি, যারা সাত হাজার পদক্ষেপ হাঁটেননি তাদের চেয়ে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ কম। আরও দেখা গেছে, মৃত্যুর হার বাড়া-কমার সঙ্গে কত জোরে হাঁটা হয়েছে তার কোনো সম্পর্ক নেই।

শরীরচর্চার অংশ হিসেবে প্রচলিত মত হলো, দিনে ১০ হাজার স্টেপ বা পদক্ষেপ স্বাস্থ্যের জন্য আদর্শ। এমন ভাবনার পেছনে কিছু তথ্য-প্রমাণও আছে।

তবে এক গবেষণায় দেখা গেছে, মৃত্যুঝুঁকি কমাতে হাঁটার গুরুত্ব থাকলেও, দিনে সেটি ১০ হাজার স্টেপ হতে হবে, এমন কোনো বাঁধাধরা নিয়ম নেই। প্রতিদিন সাত হাজার পদক্ষেপই দেহের সুস্থতা নিশ্চিত করতে সক্ষম।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অফ ম্যাসাচুসেটসের শারীরিক কর্মক্ষমতা সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ অ্যামান্ডা পালুচ ও তার দল দেশটির বিভিন্ন শহরে দুই হাজার মধ্যবয়সী নারী-পুরুষের ওপর গবেষণাটি চালান।

গ্রুপের সদস্যদের গড় বয়স ৪৫ বছরের কিছুটা বেশি। প্রতিদিনের হাঁটাচলার নিঁখুত পরিমাপ নিতে তাদের পরানো হয় অ্যাক্সেলেরোমিটার।

২০০৫ সালে গবেষণাটি শুরু হওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মারা গেছেন ৭২ জন।

হাঁটা (বা না হাঁটা) কীভাবে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে সেটি বের করার চেষ্টা করেছেন গবেষকেরা। এতে দেখা গেছে, যারা দিনে অন্তত সাত হাজার পদক্ষেপ হেঁটেছেন তাদের অল্প বয়সে মৃত্যু ঝুঁকি, যারা সাত হাজার পদক্ষেপ হাঁটেননি তাদের চেয়ে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ কম।

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, মৃত্যুর হার বাড়া-কমার সঙ্গে কত জোরে হাঁটা হয়েছে তার কোনো সম্পর্ক নেই।

গবেষকদের মতে, দৈনিক হাঁটাচলার পরিমাণ বৃদ্ধি মৃত্যুহারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা দিতে পারে। তবে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যার পর বাড়তি পদক্ষেপ বিশেষ কোনো সুবিধা দেয় না।

গবেষক দলটি বলছে, প্রতিদিন ১০ হাজার পদক্ষেপের বেশি হাঁটার সঙ্গে মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে দেয়ার কোনো যোগাযোগ নেই।

হেলথডে নিউজকে পালুচ বলেন, ‘প্রতিদিনের পদক্ষেপ একটি সাধারণ ও সহজ পদ্ধতি। আর প্রতিদিন বেশি হাঁটা সুস্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। যারা প্রতিদিন ১০ হাজার পদক্ষেপ হাঁটতে পারেন না তারা সাত হাজার পদক্ষেপ নিতে পারেন।’

তবে গবেষকেরা একই সঙ্গে মনে করছেন সাত হাজার পদক্ষেপ কোনো জাদুকরী সংখ্যা নয়; অবস্থা ভেদে সংখ্যাটি বদলাতে পারে।

বস্টন ইউনিভার্সিটির শারীরিক কর্মক্ষমতা সংক্রান্ত গবেষক নিকোল স্পার্টানোর বলেন, ‘প্রতিদিন হাঁটা কীভাবে স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে সে সম্পর্কে অদূর ভবিষ্যতে আমরা আরও জানতে পারব। এটা সম্ভব হয়েছে আধুনিক অ্যাক্সেলেরোমিটার প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে। এই প্রযুক্তি ২০০৫ সালে ছিল না।’

আরও পড়ুন:
রাজশাহীর সব ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিকের নিবন্ধন মেয়াদোত্তীর্ণ
করোনায় সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মানসিক স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান বিশেষজ্ঞদের

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Hospital attack vandalism interns strike after death of patient

রোগীর মৃত্যুতে হাসপাতালে হামলা ভাঙচুর, ইন্টার্নদের কর্মবিরতি

রোগীর মৃত্যুতে হাসপাতালে হামলা ভাঙচুর, ইন্টার্নদের কর্মবিরতি জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় মারা যাওয়া রোগীর ছেলেকে মঙ্গলবার আটক করে পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
মারা যাওয়া রোগীর ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। মৃত্যুর ৮ ঘণ্টা পর মরদেহ হস্তান্তর করেছে জামালপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জামালপুরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মৃত রোগীর স্বজনদের হামলায় আহত হয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক। এ প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ইন্টার্নরা।

হামলা-ভাঙচুরের এ ঘটনায় মৃত রোগীর ছেলেকে পুলিশ আটক করেছে। আর রোগীর মৃত্যুর ৮ ঘণ্টা পর স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার মধ্যরাতে জামালপুর পৌর এলাকার রশিদপুর গ্রামের গুল মাহমুদকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা। পরে রোগীকে মেডিসিন ওয়ার্ডে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রোগীর মৃত্যুতে হাসপাতালে হামলা ভাঙচুর, ইন্টার্নদের কর্মবিরতি
হাসপাতালে চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা

এ সময় চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে রোগীর স্বজনরা চিকিৎসকের ওপর চড়াও হয়। অন্য ওয়ার্ড থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিসিন ওয়ার্ডে গেলে তাদের ওপরও স্বজনরা হামলা চালায় এবং চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর করে। এতে ইন্টার্ন চিকিৎসক মঞ্জুরুল হাসান জীবন, ডা. ফহমিদুল ইসলাম ফাহাদ ও ডা. তুষার আহমেদ আহত হন।

এদিকে, চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করে

মৃতের স্বজনদের অভিযোগ, মৃত্যুর পর গুল মাহমুদের মরদেহ হাসপাতালে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে তার দুই ছেলে হায়দার ও হাফিজের সঙ্গে হাসপাতালের স্টাফদের বাকবিতন্ডা হয়। এ কারণে মধ্যরাতে মৃত্যু হলেও দুপুর পর্যন্ত মরদেহ আটকে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ডাক্তাররা দাবি তোলেন যে মৃতের ছেলেকে আটক করার পর মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

অপরদিকে হামলাকারীদের আটক, শাস্তি ও ইন্টার্নদের নিরাপত্তার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা।

এ ঘটনায় হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান জামালপুর সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে মৃতের ছেলে হায়দার হাসপাতালে তার বাবার মরদেহ নিতে এলে পুলিশ তাকে আটক করে। আর সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে মৃত্যু হলেও ছেলেকে পুলিশ আটক করার পর মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান বলেন, ‘হাসপাতালে রোগীকে আনার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করলে রোগীর দুই ছেলে হায়দার ও হাফিজ চিকিৎসকদের ওপর হামলা করে এবং চিকিৎসকদের কক্ষ ভাঙচুর করে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছি।

‘ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাদের নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেছে। এতে চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। তবে অন্যান্য চিকিৎসককে দিয়ে সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

তিনি দাবি করেন, ‘নিকটাত্মীয় কেউ না থাকায় রোগীর মৃত্যুর পরপরই মরদেহ হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। স্বজনরা যখন এসেছে তখন তাদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।’

জামালপুর সদর থানার ওসি মুহাম্মদ মহব্বত কবীর বলেন, ‘এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। একজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
রামেক হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে পেটালেন ইন্টার্নরা, ভিডিও ভাইরাল
ওসমানী হাসপাতালে ইন্টার্নদের কর্মবিরতির ডাক
খুলনা মেডিক্যালে শিক্ষার্থী-ব্যবসায়ী সংঘর্ষ, ইন্টার্নদের কর্মবিরতি
খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি স্থগিত

মন্তব্য

জীবনযাপন
Corona has reduced the average life expectancy by one and a half years

করোনায় গড় আয়ু দেড় বছর কমেছে

করোনায় গড় আয়ু দেড় বছর কমেছে কোভিড বিশ্বব্যাপী মানুষের আয়ু কমিয়েছে দেড় বছর। ফাইল ছবি
গবেষক অস্টিন শুমাখার বলেছেন, ২০২০ থেকে ২০২১ সময়কালে ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের বিশ্লেষণে ৮৪ শতাংশে আয়ু হ্রাস পেয়েছে। এই সময়ে ১৫ বছরের বেশি মানুষের মৃত্যুর হার পুরুষদের জন্য ২২ শতাংশ এবং মহিলাদের জন্য ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

কোভিড-১৯ মহামারির প্রথম দুই বছরে বিশ্বব্যাপী মানুষের গড় আয়ু ১ দশমিক ৬ বছর কমেছে।

একটি বড় গবেষণায় মঙ্গলবার এ কথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা বাসস।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশনের (আইএইচএমই) তথ্য অনুসন্ধানকারী গবেষকদের মতে, এক দশক ধরে বিশ্বব্যাপী আয়ুষ্কাল বৃদ্ধির পর এটি এখন উল্টো দিকে ঘুরছে।

আইএইচএমই গবেষক এবং দ্য ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার প্রধান লেখক অস্টিন শুমাখার বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য, কোভিড-১৯ মহামারিটি অর্ধ শতাব্দীতে সংঘাত এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেখা যেকোনো ঘটনার চেয়ে আরও গভীর প্রভাব ফেলেছে।’

তিনি একটি বিবৃতিতে বলেছেন, ২০২০ থেকে ২০২১ সময়কালে ২০৪টি দেশ ও অঞ্চলের বিশ্লেষণে ৮৪ শতাংশে আয়ু হ্রাস পেয়েছে, যা নতুন ভাইরাসগুলোর ‘বিধ্বংসী সম্ভাব্য প্রভাব প্রদর্শন করে।’

এই সময়ে ১৫ বছরের বেশি মানুষের মৃত্যুর হার পুরুষদের জন্য ২২ শতাংশ এবং মহিলাদের জন্য ১৭ শতাংশ বেড়েছে।

গবেষকরা অনুমান করেছেন, মেক্সিকো সিটি, পেরু এবং বলিভিয়ায় আয়ু সবচেয়ে বেশি কমেছে।

কিন্তু আইএইচএমইয়ের ল্যান্ডমার্ক গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ স্টাডির আপডেট করা হিসাবে কিছু ভালো খবর পাওয়া যায়।

২০১৯ সালের তুলনায় ২০২১ সালে পাঁচ বছরের কম বয়সী প্রায় অর্ধ মিলিয়ন কম শিশু মারা গেছে, যা শিশু মৃত্যুহারের দীর্ঘমেয়াদি পতন অব্যাহত রেখেছে।

আইএইচএমই গবেষক এই ‘অবিশ্বাস্য অগ্রগতি’কে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, বিশ্বকে এখন পরবর্তী মহামারি এবং বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্যের বিশাল বৈষম্য মোকাবেলার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। গবেষকরা বলেছেন, ১৯৫০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গড় আয়ু ২৩ বছর বেড়ে ৪৯ থেকে ৭২ বছর হয়েছে।

কোভিড ২০২০ থেকে ২০২১ সময়কালে সরাসরি ভাইরাস থেকে বা পরোক্ষভাবে মহামারী-সম্পর্কিত কারণে অতিরিক্ত ১৫.৯ মিলিয়ন লোকের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত
করোনায় আরও একজনের মৃত্যু
করোনায় একজন মারা গেছেন
২৪ ঘণ্টায় আরও ১৩ জনের করোনা শনাক্ত
২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের করোনা শনাক্ত

মন্তব্য

জীবনযাপন
The issue of keeping doctors on OSD will be resolved soon Health Minister

চিকিৎসকদের ওএসডি করে রাখার বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

চিকিৎসকদের ওএসডি করে রাখার বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন সোমবার রামেক হাসপাতালে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। ছবি: নিউজবাংলা
ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন. ‘যতক্ষণ না আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে পারছি, ততক্ষণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমবে না। তবে আমরা দেশের চিকিৎসাসেবা শতভাগ উন্নত করতে না পারলেও কিছুটা উন্নত করার চেষ্টা করছি।’

দেশে চিকিৎসকদের বড় একটি অংশকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) রাখার বিষয়টি দ্রুত সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

সোমবার সকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই আশ্বাস দেন।

এর আগে রামেক হাসপাতালের সভাকক্ষে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) ভাইস চ্যান্সেলর, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের পরিচালক, অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা এবং স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিময় শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, রাজশাহীসহ সারাদেশে মোট পাঁচটি বার্ন ইউনিট চালু করা হবে। এই ইউনিটগুলো চালু হলে জনগণের বড় ধরনের উপকার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রামেক হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিট ঘুরে দেখেন। হাসপাতালটি অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মন্তব্য করে তিনি সাংবাদিকদের কাছে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সামন্ত লাল বলেন, ‘অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মতো রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও রোগীদেরকে ফ্লোরে থেকে সেবা নিতে হয়। এই সমস্যা একবারে সমাধান করা সম্ভব না।

‘যতক্ষণ না আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে পারছি, ততক্ষণ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমবে না। তবে আমরা দেশের চিকিৎসাসেবা শতভাগ উন্নত করতে না পারলেও কিছুটা উন্নত করার চেষ্টা করছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজশাহীতে একটি জেলা হাসপাতাল আছে, যা খালি পড়ে থাকে। আমরা চেষ্টা করব এটাকে সচল করার। তাহলে হয়তো কিছুটা হলেও এই হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে।’

হাসপাতালগুলোতে জনবলের ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আশা করি খুব তাড়াতাড়ি জনবল সংকটের সমাধান হবে।’

হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও অনেক চিকিৎসককে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ কী?- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘খুব তাড়াতাড়ি এর সমাধান হবে। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।’

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সোমবার নতুন একটি আইসিইউ খোলা হলো। এই হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে মোট ৪ হাজার ৪৭৫ জন রোগী চিকিৎসা নেয়। প্রতিদিন গড়ে অপারেশন করা হয় ১৩৮ জন রোগীর।

রামেক হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দৌরাত্ম্য ও সাংবাদিক প্রবেশে বাধা প্রদানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এরকম যদি কারেও কাছে কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে বলবেন সেটা আমরা দেখব।’

সম্প্রতি হাসপাতালে ইন্টার্ন চিকিৎসকের হাতে রোগীর স্বজন নির্যাতিত হওয়ার প্রসঙ্গ তুললে মন্ত্রী বলেন, ‘ওটার ব্যাপারে আমি জানি না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেটা দেখবেন।’

আরও পড়ুন:
আগামী সংসদেই সুরক্ষা আইন পাস করতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
হাসপাতালে চিকিৎসককে না পেয়ে ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বরখাস্তের নির্দেশ
যেখানেই যাই শুনি হাসপাতালে ডাক্তার থাকেন না
স্বাস্থ্য খাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জেলায় অবৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধে জেলা প্রশাসকদের সহায়তা চান স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

জীবনযাপন
Two more died of dengue

ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু

ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু
ফাইল ছবি
চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ নিয়ে মোট ২০ জনের মৃত্যু হলো। যাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে মার্চ মাসেই।

সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আর হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ১২ জন।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার সকাল থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এ তথ্য জানানো হয়।

মারা যাওয়া দুজনের একজন ঢাকায় ও আরেকজন বরগুনায় ছিলেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ নিয়ে মোট ২০ জনের মৃত্যু হলো। যাদের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে মার্চ মাসেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরে ৫ রোগী ভর্তি হয়েছেন, বাকি ৭ জন ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে।

এ নিয়ে এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৮৪ জনে। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ঢাকায় ৫২০ এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৬৪ জন।

আরও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ মৃত্যু
ব্রাজিলের ডোরাডোস শহরে ডেঙ্গুর গণটিকা শুরু
‘মশার ঘনত্ব নিয়ন্ত্রণ না হলে এবারও ডেঙ্গু নিয়ে শঙ্কা’

মন্তব্য

জীবনযাপন
The number of cancer patients in the country is increasing

‘দেশে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে’

‘দেশে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিনারে অতিথিরা। ছবি: নিউজবাংলা
সেমিনারে বলা হয়, এক বিংশ শতাব্দীতে অসংক্রমক রোগের মধ্যে ক্যানসার অন্যতম। বিশ্বে ক্যানসার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশেও ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘বাংলাদেশের ক্যানসারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে (সেমিনার অন: ক্যানসার সিচুয়েশন অফ বাংলাদেশ)’ শীর্ষক মাসিক সেন্ট্রাল সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল সেমিনার সাব-কমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

এতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলোজি বিভাগের চেয়াম্যান অধ্যাপক ডা. মো. সালাউদ্দিন শাহ ও অনকোলোজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাদিয়া শারমিন একটি করে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

সেমিনারে বলা হয়, এক বিংশ শতাব্দীতে অসংক্রমক রোগের মধ্যে ক্যানসার অন্যতম। বিশ্বে ক্যানসার প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমাদের দেশেও ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যানসার আক্রান্ত রোগীদের কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি এবং রেডিও থেরাপীর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল অনকোলোজি বিভাগের মাধ্যমে গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৪ হাজার রোগী বর্হিবিভাগে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে সাড়ে ৫ হাজার নতুনভাবে শনাক্ত রোগীর চিকিৎসা গ্রহণ করেন। বাকি প্রায় সাড়ে ৮ হাজার রোগী বিভিন্নভাবে এখানকার চিকিৎসা এবং পর্যবেক্ষণের আওতায় রয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডে-কেয়ার সেন্টারে প্রতিদিন ২০ থেকে ২৪ জন ক্যানসার রোগী প্রতিনিয়ত কেমোথেরাপি, ইমিউনোথেরাপি ও টার্গেটেড থেরাপী গ্রহণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তঃবিভাগে সর্ব মোট নারী পুরুষ বিছানা সংখ্যা ৬০টি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, আমাদের কাছে ক্যানসার রোগীর কোনো ডাটা নেই। আমাদের দেশে ক্যানসারের কোনো স্ক্রিনিং করা হয় না। আজকের সেমিনার থেকে আমার একটাই চাওয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনকোলজি বিভাগকে ক্যানসার বিভাগসহ, অকুলার অনকোলজি, আই, ইএনটি, সার্জিক্যাল অনকোলজি, গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজিসহ সব বিভাগে ক্যানসার রোগীদের রেজিস্ট্রি করার দায়িত্ব নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্যানেল অফ এক্সপার্ট হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, অনকোলোজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. নাজির উদ্দিন মোল্লাহ্সহ বিভিন্ন বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সেন্ট্রাল সাব কমিটির চেয়ারম্যান ও মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন হৃদরোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফয়সাল ইবনে কবির। সেমিনারে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন স্তরের শিক্ষক, কনসালটেন্ট, চিকিৎসক ও রেসিডেন্টগণ উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জীবনযাপন
I want to pass the protection law in the next Parliament Health Minister

আগামী সংসদেই সুরক্ষা আইন পাস করতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আগামী সংসদেই সুরক্ষা আইন পাস করতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাইল ছবি
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটি নিয়ে কাজ করছি। দীর্ঘদিন ধরে আমি ঢাকার বাইরে দৌড়াদৌড়ি করছি এটা নিয়ে। রমজান মাসজুড়ে আমি মিটিং করব এবং আগামী সংসদেই যেন এটা পাস করতে পারি সেই চেষ্টা করব।’

আগামী সংসদেই ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা’ আইন পাস করতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি এটি নিয়ে কাজ করছি। দীর্ঘদিন ধরে আমি ঢাকার বাইরে দৌড়াদৌড়ি করছি এটা নিয়ে। রমজান মাসজুড়ে আমি মিটিং করব এবং আগামী সংসদেই যেন এটা পাস করতে পারি সেই চেষ্টা করব।’

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ ডেন্টাল সার্জন্স-বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন স্কুল কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আসন সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে ওই সময় কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি আসন সংখ্যা বাড়িয়ে দিলাম কিন্তু মানসম্মত শিক্ষক বা ট্রেনিং দেয়ার মতো কেউ না থাকলে সেই আসন বাড়ানোর পক্ষে আমি না। যখন দেখব মানসম্মত চিকিৎসক আছেন, পড়াশোনার ভালো পরিবেশ আছে, ভালো মানের ডাক্তার আছে তখনই আমি আসন বাড়াব।’

সতর্ক থাকায় এ বছর বিডিএস ভর্তি পরীক্ষায় দেশের কোনো কেন্দ্রেই কোনো নেতিবাচক কিছু ঘটার সুযোগ তৈরি হয়নি বলে ওই সময় মন্তব্য করেন সামন্ত লাল সেন। বলেন, ‘সারা দেশে বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত সুষ্ঠু ও সুচারুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোথাও কোনো অনিয়মের খবর পাওয়া যায়নি।’

মন্ত্রী জানান, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ৫০ হাজার ৭৯৫ জন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। সরকারি মোট ৫৪৫টি এবং বেসরকারি মোট এক হাজার ৪০৫টি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র ১২টি এবং ভেন্যু ২০টি। দেশে বর্তমানে সরকারি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে একটি; এ ছাড়া আটটি সরকারি ডেন্টাল ইউনিট রয়েছে। অন্যদিকে বেসরকারি পর্যায়ে মোট ২৬টি ডেন্টাল কলেজ রয়েছে।

অবৈধ ক্লিনিক বন্ধের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি সেগুলো যেন বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে অবশ্যই সেগুলো যেন মনিটরিং করে তারপর বন্ধ করা হয়। বাংলাদেশ বিশাল জায়গা, শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় চেষ্টা করলে হবে না। সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান বা ইউনিয়নের নেতারাও হাসপাতালগুলো দেখবেন। যদি কোনো অসঙ্গতি পান তবে আমাদের জানাবেন, আমরা ব্যবস্থা নেব।’

ওই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, বিএমডিসি সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. বায়েজিদ খুরশিদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নেওয়াজ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
হাসপাতালে চিকিৎসককে না পেয়ে ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বরখাস্তের নির্দেশ
যেখানেই যাই শুনি হাসপাতালে ডাক্তার থাকেন না
স্বাস্থ্য খাতে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

জীবনযাপন
Another 45 people have been diagnosed with corona in the country

দেশে আরও ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে আরও ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত ফাইল ছবি
এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯৮ জনে।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে এই সময়ে করোনায় আক্রন্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি।

এ নিয়ে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯৮ জনে। এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯১ জনের।

বৃহষ্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৮৫টি পরীক্ষাগারে ৭২০ টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে ৪০ জন ঢাকা এবং ৫ জন কক্সবাজারের রোগী। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে থেকে সুস্থ হয়েছেন ৩০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৫ হাজার ৭৮৫ জনে। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম কোনো রোগীর মৃত্যুর তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মন্তব্য

p
উপরে