যতই ফোন কিংবা ই-বুক রিডার আসুক না কেন, বইয়ের আবেদন এখনও আগের মতোই আছে। সে কারণে মানুষ এখনও বই কেনেন; পড়েন।
আমরা আলমারিতে সে বই তুলে রাখি। শুধু তুলে রাখলেই বইয়ের যত্ন শেষ হয়ে যায় না। বই নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে হলে দরকার আরও নিবিড় যত্ন। ঠিক কীভাবে যত্ন করলে বইপত্র বেশি দিন ভালো থাকবে, তা জেনে নিন।
পরিষ্কার হাতে বই ধরুন
খেতে খেতে বই পড়ার অভ্যাস অনেকের। এ সময় যদি বইয়ের পাতায় খাবার লেগে যায় তাহলে সেই দাগ কখনও মুছে যাবে না। এই সামান্য দাগেই পোকামাকড়, পিঁপড়ের উপদ্রব হতে পারে। তাই পরিষ্কার হাতে বইয়ের পাতা উল্টান।
প্রোটেকটিভ কভার ব্যবহার করুন
বইয়ে ব্যবহারের জন্য প্রোটেকটিভ কভার পাওয়া যায়। হার্ড কভার বই বেশি দিন ভালো রাখতে চাইলে তেমন কিছু লাগিয়ে রাখতে পারেন। তাতে ধুলা-ময়লা ভেতরে ঢুকতে পারবে না।
ধুলা ঝাড়ুন
দুই-এক মাস পর পর বইয়ের ওপরে জমা ধুলা পরিষ্কার করুন। বইয়ের সঙ্গে বইয়ের র্যাকও ঝেড়ে নিন। অনেকে বর্ষার পর একবার বইয়ের গায়ে রোদ লাগিয়ে নেন। তাতে বইয়ের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তবে খোলামেলা পরিবেশে বই থাকলে সূর্যের আলো না লাগালেও চলে।
বুকমার্ক ব্যবহার করুন
বইয়ের পাতা কখনও ভাঁজ করে রাখবেন না। যে পাতাটি পড়ছিলেন সেখানে ফিরে যাওয়ার জন্য সমান্তরাল বুকমার্ক ব্যবহার করুন। বই পড়তে পড়তে উল্টো করে রেখে দেয়া বা মাঝে কলম অথবা পেনসিল গুঁজে রাখাটাও খারাপ। এতে পাতা আর স্পাইন দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
আঠা ব্যবহার নিষেধ
বইয়ের ছেঁড়া পাতা জোড়া দেবার জন্য আঠা ব্যবহার না করাই ভালো। অনেকে বলেন যে, সিলভারফিশ পোকা বই বাঁধাইয়ের সময় ব্যবহার করা আঠা খেয়ে বাঁচে। অতিরিক্ত আঠার গন্ধ তার বাহিনী টেনে আনবে। তাই বই সারাইয়ের জন্য স্বচ্ছ টেপ ব্যবহার করুন।
স্পাইনের মাঝখানে ধরুন
র্যাক থেকে বই বের করার সময় স্পাইনের মাঝখানটা ধরে বের করুন, ওপর দিক থেকে টানলে স্পাইন ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
নিমপাতা, কর্পূর
বইয়ের র্যাক অথবা আলমারিতে নিমপাতা অথবা কর্পূর রেখে দিলে পোকামাকড়ের উপদ্রব এড়ানো সম্ভব। তাতে বই কেটে ফেলার ঝুঁকি কমে যাবে।
আরও পড়ুন:‘হে মহাভাগ ব্রহ্মপুত্র, হে লোহিত্য, আমার পাপ হরণ করো’ মন্ত্র পাঠ করে ফুল, বেলপাতা, ধান, দূর্বা, হরীতকী, ডাব, আম্রপল্লব দিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থীরা পাপমুক্তির বাসনায় লাঙ্গলবন্দে স্নানোৎসবে অংশ নিচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহাতীর্থ অষ্টমী স্নানোৎসব। দুদিনব্যাপী এ উৎসবে নদের ১৮টি ঘাটে ১০ লাখের বেশি পুণ্যার্থীর আগমন ঘটেছে বলে জানিয়েছে উৎসব উদযাপন পরিষদ। এবার বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত ,নেপাল ও ভুটান থেকে পুণ্যার্থীরা স্নানোৎসবে যোগ দিয়েছেন।
শুক্ল তিথি অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত ৯টা ১৭ মিনিটে শুরু হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মহা অষ্টমীর স্নানোৎসব। দু’দিনব্যাপী এই উৎসব ঘিরে লাখো পুণ্যার্থীর পদচারণে মুখরিত হয়ে উঠেছে লাঙ্গলবন্দের সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা।
ভারতের কলকাতা থেকে আগত পুণ্যার্থী জ্যাতি রানী বলেন, ‘তীর্থযাত্রীরা লাঙ্গলবন্দে আসেন পাপ মোচনের জন্য। একই বাসনা নিয়ে বহুদূর থেকে এখানে ছুটে এসেছি। আয়োজনের সব কিছুই সুন্দর। তবে যানজট আর বৃষ্টিতে ভোগান্তি হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জের লাল মোহন চন্দ বলেন, ‘যানজট পার করে হলেও পরিবারের সবাই আসতে পেরেছি। তবে বৃষ্টিতে পরিবার নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। এখানে স্নান করার ইচ্ছে ছিলো বহু বছরের। জীবনে যত পাপ আছে তা থেকে মুক্তি পেতে প্রার্থনা জানিয়েছি মহাভাগ ব্রহ্মপুত্রের কাছে।’
নারায়ণগঞ্জের পালপাড়া থেকে আগত প্রাপ্তি সাহা বলেন, ‘পুরো পরিবার নিয়ে স্নান করেছি রাজ ঘাটে। প্রার্থনা করেছি- ভালো থাকুক সবাই। মঙ্গল হোক দেশ ও জাতির।’
মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা পূবালী রায় বলেন, ‘একে হলো বৃষ্টি, তার ওপর সড়কে যানজট। তাই ট্রলার পথই আমরা বেছে নিয়েছি। আমাদের গ্রামসহ আশপাশের ৫০টির বেশি নৌযান এসেছে লাঙ্গলবন্দে। প্রতি বছরই আমরা এখানে আসি। তবে গেল কয়েক বছর করোনা মহামারির কারণে বড় পরিসরে উৎসব হয়নি। এবার অনেক মানুষ এসেছে। তাই ট্রলার ঘাটে ভিড়তেও সময় লেগেছে। তবুও ভালো লাগছে স্নান সম্পন্ন করতে পেরে।’
সীতাকুণ্ড থেকে আগত পুরোহিত কৃষ্ণ কুমার সাহা জানান, হিন্দু ধর্মের শাস্ত্রীয় পুরানমতে, হিন্দু দেবতা পরশুরাম হিমালয়ের মানস সরোবরে গোসল করে পাপমুক্ত হন। লাঙ্গল দিয়ে চষে হিমালয় থেকে এ পানিকে বহ্মপুত্র নদরূপে নামিয়ে আনেন সমভূমিতে। পৌরাণিক এ কাহিনীকে স্মরণ করে প্রতি বছর চৈত্র মাসে মহাতীর্থ অষ্টমীতে লাঙ্গলবন্দের ব্রহ্মপুত্র নদে তীর্থযাত্রীরা পুণ্য লাভের আশায় জড়ো হন।
দু’দিনব্যাপী স্নান উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে সব ধরনের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান লাঙ্গলবন্দ স্নান উদযাপন পরিষদের নির্বাহী সদস্য শিখন চন্দ সরকার। তিনি বলেন, ‘এ বছর দশ লাখের বেশি পুণ্যার্থীর আগমন ঘটেছে লাঙ্গলবন্দে। সব রকম আয়োজন সফল হওয়ায় খুশি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।’
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়৷ পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সমন্বয়ে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তীর্থস্থানের তিন কিলোমিটার এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। কোনো ধরনেন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই এবার শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হচ্ছে উৎসব। তবে পুণ্যার্থী বেশি হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট লেগে যায়। মহাসড়কের যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ কাজ করছে।
আরও পড়ুন:শিশুর সুস্থতা নির্ভর করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ওপর। সার্বিক সুস্থতার জন্য সবসময় কিছু ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। এসব স্বাস্থ্যবিধি বা ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভ্যাস শিশুদের মধ্যে ছোটবেলা থেকেই গড়ে তোলা উচিত। আর এটা করতে হয় অভিভাবকদের। কথায় আছে, পরিবারই শিশুর প্রথম স্কুল।
কীভাবে শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলোয় অভ্যস্ত করে তুলবেন এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক গাজী হোসনে আরা।
নিয়মিত গোসল
সুস্থতার জন্য চাই নিয়মিত গোসল। একটু ঠান্ডা পড়লেই অনেকে শিশুকে গোসল করাতে চান না। এটা ঠিক নয়; বরং শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রতিদিন গোসল করাতে হবে।
গোসল না করালে শরীরে র্যাশ, চুলকানি, ছত্রাকের সংক্রমণসহ নানা ধরনের চর্মরোগ দেখা দিতে পারে। ঠান্ডা থাকলে কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করিয়ে দিন।
গোসলের সময় শিশুর গলার নিচে, ঘাড়, বগল, হাঁটুর ভাঁজ ইত্যাদি জায়গা পরিষ্কার করে দিন।
হাত ধোয়া
শিশুর মধ্যে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। শীত-গরম যাই থাকুক, বাইরে থেকে এসে ও খাওয়ার আগে শিশুকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ায় অভ্যস্ত করুন, তবে হাত ধোয়ারও নিয়ম আছে।
১. দুই হাতের কনুই অবধি ভালোভাবে সাবান লাগিয়ে নিন।
২. দুই হাতের তালু পরস্পর, ডান হাতের তালু বাম হাতের পিঠে, বাম হাতের তালু ডান হাতের পিঠে, এক হাতের আঙুলের পিঠ অন্য হাতের তালুতে, এক হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি অন্য হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে, দুই হাতের তালু পরস্পর ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে হাত ঘষে পরিষ্কার করতে হবে।
শিশুকে এই নিয়মে হাত ধোয়া শেখাতে চেষ্টা করুন।
টয়লেটে পানি ব্যবহার
টয়লেটে মলত্যাগ বা প্রস্রাবের পর পানি ব্যবহার, টয়লটে পরিষ্কার রাখা, টয়লেটে স্যান্ডেল পায়ে যাওয়া, হাত ধোয়ার মতো বিষয়গুলো শিশুকে শিখিয়ে দিতে হবে।
টয়লেট ব্যবহারের পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস করাতে হবে। এ বিষয়গুলো শিশু নিজে নিজে শিখে যাবে, এটা আশা করা উচিত হবে না। কারণ দেখা যায়, এগুলো শিশুরা হয়তো জানে, কিন্তু পালন করার অভ্যাসটা অনেক শিশুর মধ্যেই গড়ে ওঠে না।
নখ পরিষ্কার
নখের ময়লা থেকে হতে পারে অনেক রোগ। তাই নখ ছোট ও পরিষ্কার রাখা শিশুকে শেখাতে হবে। সপ্তাহে একবার নখ কাটতে হবে। অনেক শিশুকে দেখা যায় দাঁত দিয়ে নখ কাটতে, যা অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর। খেয়াল রাখবেন যেন এ বদ অভ্যাস শিশুর না হয়।
উৎসাহ দিন
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়গুলো শিশুকে চাপিয়ে না দিয়ে উৎসাহ দিয়ে শেখানোর চেষ্টা করুন। এতে শিশু নিজে থেকেই পরিচ্ছন্ন থাকতে অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। দাঁত ব্রাশ করলে, হাত ধুলে শিশুর প্রশংসা করুন। এর উপকারিতাগুলো শিশুকে বলুন। শিশু উৎসাহিত হবে।
আরও পড়ুন:দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন স্ট্রবেরির মজাদার স্মুদি। শেফ স্নেহা শিন্ডের স্ট্রবেরি স্মুদির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ৮টি স্ট্রবেরি
২. ১/২ কাপ দুধ
৩. ১/২ কাপ দই
৪. ৩ টেবিল চামচ চিনি
৫. ২ চা চামচ ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট
৬. পরিমাণমতো বরফ কুচি
প্রস্তুত প্রণালি
কেটে রাখা স্ট্রবেরি, দুধ, দই, চিনি, ভ্যানিলা এক্সট্রাক্ট ও পরিমাণমতো বরফ কুচি একটি ব্লেন্ডারে দিয়ে মসৃণ না হওয়া পর্যন্ত ব্লেন্ড করুন। তারপর গ্লাসে স্মুদি ঢেলে মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:হজে যেতে নিবন্ধনের জন্য পঞ্চম দফায় সময় বাড়িয়েছে সরকার। আগামী ৩০ মে পর্যন্ত হজযাত্রার জন্য নিবন্ধন করা যাবে।
সোমবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এর আগে সৌদি সরকার হজের খরচ কমানোয় সরকারি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা করে কমিয়ে ২৭ মার্চ পর্যন্ত হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় বাড়িয়ছিল সরকার।
এই সময়ের মধ্যেও হজের কোটা পূরণ না হওয়ায় হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় পঞ্চম দফায় বাড়ানো হলো।
সৌদি আরবের সঙ্গে হজ চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন।
সোমবার রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সরকারিভাবে ৯ হাজার ৮৯২ জন এবং বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজে যেতে এক লাখ ৭ হাজার ৪৮২ জন নিবন্ধিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন:অজুকে বলা হয় নামাজের চাবি। নানা কারণে ভাঙতে পারে অজু। সে কারণগুলো কী, তা এক উত্তরে জানিয়েছে ইসলামি প্রশ্নোত্তরভিত্তিক ওয়েবসাইট ইসলামকিউএ ডটইনফো।
উত্তরে বলা হয়, ‘যদি কেউ পবিত্র অবস্থায় থাকে তাহলে পোশাক পরিবর্তন করা অজু ভঙ্গের কারণ নয় যতক্ষণ না অজু ভঙ্গের কোনো কারণ ঘটে। এ ক্ষেত্রে নর-নারীর বিধান সমান। আল্লাহই সর্বজ্ঞ।’
ইসলামকিউএ অজু ভঙ্গের পাঁচটি কারণ জানায়।
১. দুই রাস্তা দিয়ে কোনো কিছু বের হওয়া (যেমন: পেশাব, পায়খানা, বায়ু ইত্যাদি), কিন্তু নারীর সামনের রাস্তা দিয়ে বায়ু বের হলে অজু ভাঙ্গবে না।
২. নির্দিষ্ট নিগর্মন পথ ছাড়া অন্য কোনোভাবে পায়খানা বা পেশাব বের হওয়া।
৩. বিবেক-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলা। সেটা সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে হোক, যেটা হচ্ছে পাগলামি কিংবা বিশেষ কারণের পরিপ্রেক্ষিতে (যেমন: ঘুম, বেহুঁশ হয়ে যাওয়া, মাতাল হওয়া ইত্যাদি) নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিবেক-বুদ্ধি বিকল হয়ে যাওয়া।
৪. পুরুষাঙ্গ ছোঁয়া। দলিল হচ্ছে বুসরা বিনতে সাফওয়ান (রা.)-এর হাদিস। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করেছে, তার উচিত অজু করা।’ [সুনানে আবু দাউদ, তাহারাত অধ্যায়/১৫৪), আলবানি সহিহ সুনানে আবু দাউদ গ্রন্থে (১৬৬) বলেছেন: সহিহ]
৫. উটের গোশত খাওয়া। দলিল হচ্ছে জাবের বিন সামুরা (রা.) এর হাদিস: “এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করল, ‘আমরা কি উটের গোশত খাওয়ার কারণে ওজু করব?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।”’[সহিহ মুসলিম, হায়েজ অধ্যায়/৫৩৯)]
ইসলামকিউএর উত্তরে বলা হয়, ‘এখানে উল্লেখ্য, কোনো নারীর শরীরের ছোঁয়া লাগলেই অজু ভেঙ্গে যাবে না; সেটা উত্তেজনাসহ হোক কিংবা উত্তেজনা ছাড়া হোক; যতক্ষণ পর্যন্ত না এ ছোঁয়ার কারণে কোনো কিছু বের না হয়।”
দিনভর রোজা রেখে ইফতারে চাই এমন কিছু যা প্রশান্তি আনবে দেহ ও মনে। তাই ইফতারে রাখতে পারেন দই শসার মজাদার সালাদ। এনডিটিভি ফুডের দই শসার মজাদার সালাদ রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।
উপকরণ
১. ১ কাপ স্লাইস করা শসা
২. ১/২ কাপ দই
৩. ১/২ চা চামচ কাঁচা মরিচ কুচি
৪. ১/২ চা চামচ ধনেপাতা কুচি
৫. স্বাদমতো গোলাপী লবণ
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে দই ভালো করে ফেটিয়ে নিন । তারপর একটি বাটিতে ফেটিয়ে রাখা দই, স্লাইস করা শসা, কাঁচা মরিচ, ধনেপাতা কুচি ও স্বাদমতো গোলাপী লবণ দিয়ে ভালোমতো মিক্সড করুন। তারপর মনমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন:সিয়াম সাধনার মাস রমজানে ভোররাতে সেহরি খেয়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকেন মুসলিমরা। এ সময়ে পানি ছাড়া প্রায় পুরো দিন কাটানো চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। পানি আমাদের শরীরের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমরা সবাই জানি। তাই সেহরি এবং ইফতারের সময় সঠিক পরিমাণে তরল পানীয় গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে আমাদের শরীরে পানির সুষ্ঠু পরিমাণ বজায় থাকে।
এ রমজানে চাঙা থাকতে নিচের ৫টি পানীয় আপনার সেহরি এবং ইফতারের তালিকায় থাকতে পারে।
ডাবের পানি
রমজান মাসে হাইড্রেটেড থাকার একটি সতেজ এবং প্রাকৃতিক উপায় হচ্ছে ডাবের পানি। এটি প্রয়োজনীয় ইলেক্ট্রোলাইটস, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে পরিপূর্ণ যা আপনাকে আপনার শরীরের তরলের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করবে।
রুহ আফজা শরবত
রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি পান করা হয় রুহ আফজা শরবত। এটি একটি রিফ্রেশিং এবং সুগন্ধযুক্ত পানীয় যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ খাবার এবং পানি ছাড়াই তৃষ্ণা মেটাতে সাহায্য করবে। এটি পানি বা দুধের সঙ্গে মিশ্রিত করতে পারেন। এ ছাড়া আরও নান্দনিকভাবে আনন্দদায়ক করতে তরমুজের ছোট টুকরা এবং তাজা পুদিনা পাতা দিয়ে সাজাতে পারেন রুহ আফজার শরবত।
ভেষজ উপাদানের পানীয়
পানিতে একটি সাধারণ টুইস্ট দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে সুস্বাদু করে তুলতে স্পিয়ারমিন্ট, পেপারমিন্ট এবং লেমনগ্রাসের মতো ভেষজগুলির তুলনা হয়না। এতে রয়েছে শীতল উপাদান যা পানিতে মিশ্রিত করলে স্বাস্থ্যকর পানীয় তৈরি হবে।
আপনাকে যা করতে হবে তা হলো, একটি পাত্রে পানি নিয়ে পুদিনা পাতা এবং লেবুর রস যোগ করা। এর সঙ্গে আপনার পছন্দের ফলের টুকরাও যোগ করতে পারেন। ভালোভাবে মিশিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিন, সঙ্গে সামান্য গোলমরিচ, হালকা লবণ ও বরফ কুঁচি দিয়ে পরিবেশন করুন। ইফতারে এটি দিবে দারুণ সতেজতা।
দুধ ও খেজুরের স্মুদি
দুধ এবং খেজুর স্মুদি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি পানীয় যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। খেজুর চটজলদি এবং সহজলভ্য হওয়ায় অনেকেই খেজুর খেয়ে রোজা ভাঙেন। ঘরে বসেই খেজুর থেকে পুষ্টিকর পানীয় তৈরি করতে পারেন।
শুধু খেজুর গুঁড়ো করে দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। খেজুর দুধের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিশে গেলেই আপনার শক্তি বৃদ্ধিকারী পানীয় প্রস্তুত হয়ে যাবে।
ফলের জুস
এ রমজানে ফলের রস তৃষ্ণা নিবারণের জন্য একটি অসাধারণ পানীয় হতে পারে। তাজা ফলের রস প্রাকৃতিক উপাদানের পুষ্টিতে ভরপুর। এগুলো সুস্বাদু এবং প্রস্তুত করা সহজ।
আপনার পছন্দমতো যেকোনো ফলের জুস তৈরি করতে পারেন। তরমুজ, কমলা, পেঁপে, আঙ্গুর, লেবু, আনারসের মতো পানিযুক্ত উপাদানের ফল খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। সুস্বাদু মিশ্র ফলের জুসও তৈরি করতে পারেন একসঙ্গে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য