ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য চাই শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধক্ষমতা। একজন মানুষ কতটুকু স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন যাপন করবে তা নির্ভর করে উন্নত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ওপর। বেশির ভাগ মানুষই এই ব্যাপারটিতে উদাসীন। সহজ কিছু নিয়ম মানলে যে কেউ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটিয়ে নিজেকে আরও সুস্থ এবং কর্মক্ষম করে তুলতে পারে।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর উপায়
স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খেতে হবে। কারণ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার হচ্ছে শরীরকে রোগপ্রতিরোধী করে তোলার সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। এ ধরনের খাবারের মধ্যে আছে- রঙিন শাকসবজি, ফলমূল এবং শস্যজাতীয় খাবার। তাছাড়া ভিটামিন বি৬, সি এবং ই-জাতীয় খাবারও অন্যতম।
নিজেকে মানসিকভাবে চাপমুক্ত রাখতে হবে। কারেন্ট অপিনিয়ন ইন সাইকোলজিতে প্রকাশিত একটি রিভিউতে বলা হয়, দীর্ঘ সময়ের মানসিক চাপ রক্তে কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কোনোভাবেই ঘুমের অনিয়ম করা যাবে না।
নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। ব্যায়াম শরীরের কোষগুলো সচল রাখে। যদি সম্ভব হয় দৌড়াতে হবে।
অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করা যাবে না। ধূমপান ত্যাগ করতে হবে।
সূত্রঃ এভরিডে হেলথ
আরও পড়ুন:যান্ত্রিক জীবন থেকে কিছুটা সময় দূরে থাকার আকাঙ্ক্ষা মনে মনে সবাই পোষণ করে। বাংলাদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করতে তাইতো দুই-একদিনের ছুটি পেলেই মানুষ ছুটে যায় ঘুরতে।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ও সরকারি টানা ছুটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে এবার সিলেটের মৌলভীবাজার।
জেলার কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার টিলাঘেরা সবুজ চা বাগান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, হামহাম জলপ্রপাত, মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, ডবলছড়া খাসিয়া পুঞ্জিসহ বিভিন্ন পর্যটন স্পটগুলোতে যেন পা ফেলার জায়গা নেই।
অন্যদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিমকে সকাল থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় টহল দিতে দেখা যায়।
ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কমলগঞ্জের সকল পর্যটন এরিয়ায় পুলিশের একটি টিম নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখছি। নিরবিঘ্নে পর্যটকরা যেন ঘুড়তে পারেন সে জন্য আমরা তাদের নিরাপত্তার জন্য পর্যবেক্ষণ করছি।’
জীব বৈচিত্র্যে ভরপুর বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, পদ্মকন্যা নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, ঝর্ণাধারা হামহাম জলপ্রপাত, ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী ধলই চা বাগানে অবস্থিত মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বাহক বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী হামিদুর রহমান স্মৃতিসৌধ, বন্যপ্রাণির অভয়ারণ্য রাজকান্দি বন, শমসেরনগর বিমানবন্দর, প্রাচীন ঐতিহ্যের বাহক লক্ষ্মীনারায়ণ দিঘী, ২০০ বছরের প্রাচীন ছয়চিরী দিঘী, শমসেরনগর বাঘীছড়া লেক, আলিনগর পদ্মলেক, মাগুরছড়া পরিত্যক্ত গ্যাসফিল্ড, ডবলছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, অপরূপ শোভামণ্ডিত উঁচু নিচু পাহাড়বেস্টিত সারিবদ্ধ পদ্মছড়া চা বাগান, শিল্পকলা সমৃদ্ধ মনিপুরী, প্রকৃতির পূজারী খাসিয়া, গারো, সাঁওতাল, মুসলিম মনিপুরী, টিপরা ও গারোসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জীবন ধারা ও সংস্কৃতিসহ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ জনপদ পর্যটকদের মন ও দৃষ্টি কেড়ে নেয়।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ও সরকারি টানা তিন দিনের ছুটিতে এসব আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছিল। বৃহস্পতিবার থেকে মাধবপুর লেক ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দেখা মেলে দূর-দূরান্ত থেকে আগত পর্যটনপ্রেমী ভ্রমণ পিয়াসুদের। এদের মধ্যে সপরিবারে ও দম্পতিদের ঘুরতে আসা পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। এ সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার লোকজনের উপস্থিতি ছিল অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। জীব বৈচিত্র্যের অপরূপ সমাহার ঘুড়ে দেখতে পর্যটকরা ছুটে এসেছেন এখানে।
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, মাধবপুর লেক ও লাউয়াছড়া ঘুরতে যাওয়া সিলেট মহিলা কলেজের ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকা বললে, ‘এখানে এসে খুবই ভালো লাগছে। আব্বু-আম্মুর সঙ্গে ঘুরতে এসেছি। বানরের লাফালাফি দেখেছি। তা ছাড়া হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ যাদুঘড় ও লেকের পানি সব মিলিয়ে অসাধারণ লাগছে। মন চাচ্ছে না ফিরে যেতে। যেকোন ছুটি পেলে আবার আসবো।’
লাউয়াছড়া টিকেট কালেক্টর শাহিন আহমদ জানান, শুক্রবার পর্যটকের উপচেপড়া ভির ছিল। সামাল দিতে তাদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। এমন আগে কখনও হয়নি। শুক্রবার মোট পর্যটক এসেছেন ১ হাজার ৩২৩ জন। প্রাপ্তবয়স্ক ১ হাজার ১১২জন, ছাত্র ১৯০ জন ও বিদেশী ২১ জন। মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ৭১ হাজার ৮০০ টাকা।
লাউয়াছড়া ইকো টুরিস্ট গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক আহাদ মিয়া বলেন, ‘ছুটিতে লাউয়াছড়াসহ সব পর্যটনকেন্দ্রে প্রচুর পর্যটকের আগমন হয়। তবে এখন পর্যটকদের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। শনিবার পর্যন্ত পর্যটক আরও বাড়বে বলে আশা করছি।’
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সময়ের তুলনায় পর্যটকের সমাগম অধিক ঘটেছে। তবে লাউয়াছড়ায় পর্যটকদের উপস্থিতি সব সময়েই বেশি হয়ে থাকে যা আমাদের জন্যে অত্যন্ত আনন্দের।’
শ্রীমঙ্গলের ওয়াটারলিলি রিসোর্টে এমডি ওয়ালিদ আহসান নাহিদ বলেন, ‘গত কয়েকদিন থেকে আমার হোটেলে কোনো রুম খালি নেই। মানুষ আমাদের শ্রীমঙ্গলে ঘুরতে আসছেন এটা আমাদের জন্য আনন্দের। তবে তাদের রুম দিতে পারতেছি না এতে একটু খারাপই লাগছে।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের ইনচার্জ প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ‘পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আমরা সবসময় নিয়োজিত আছি। পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারেন সেজন্য আমরা কাজ করছি।’
আরও পড়ুন:কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে ভালোবেসে ঘর বেঁধেছিলেন গুলতেকিন খান। তবে দীর্ঘ ৩০ বছর পর বিচ্ছেদ হয় তাদের। পরিবারের সদস্য, স্বজন, শাশুড়িসহ সবার সঙ্গে দীর্ঘ সময় কেটেছে গুলতেকিনের। এক পর্যায়ে এসে অবশ্য তিনিও বেঁধেছেন নতুন ঘর। সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মারা গেছেন সে স্বামীও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মাঝেমধ্যেই পুরোনো দিনের স্মৃতিময় ঘটনা তুলে আনেন গুলতেকিন। এবার সাবেক শাশুড়ি ও প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের মা প্রয়াত আয়েশা আহমেদের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে যেন হয়ে পড়লেন স্মৃতিকাতর।
গুলতেকিনের পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বসে আছেন আয়েশা আহমেদ। দাঁড়িয়ে তাকে জড়িয়ে পেছনে দাঁড়িয়েছেন গুলতেকিন। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘আপনি সব সময়ই আছেন আমার খুব কাছেই, উপলব্ধি করি প্রতি নিয়তই…।’
হুমায়ূন আহমেদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও কার্টুনিস্ট আহসান হাবীবের মা রত্নগর্ভা আয়েশা ফয়েজ মারা যান ২০১৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর।
১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের তরুণ শিক্ষক হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কিশোরী গুলতেকিনের বিয়ে হয়। তাদের এক ছেলে ও তিন মেয়ে। গুলতেকিনের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদের দুই বছর পর ২০০৫ সালে হুমায়ূন আহমেদ বিয়ে করেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে।
অনেকদিন একা থাকার পর ৫৬ বছর বয়সে কবি আফতাব আহমদের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন গুলতেকিন। শাওনকে বিয়ে করার সময় হুমায়ূন আহমেদের বয়সও ছিল ৫৬। গত বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে মারা যান গুলতেকিনের স্বামী কবি আফতাব আফতাব আহমদ।
ছুটির দিনে স্বাভাবিকভাবেই কর্মজীবীদের ঘুম ভাঙতে একটু দেরি হয়। অফিসে যাওয়ার তাড়া নেই, নেই তেমন কোনো জরুরি কাজও। অন্য দিনের মতো মোবাইল ফোন বা ঘড়িতে বেজে ওঠে না অ্যালার্ম।
এই ঘুমে একটু স্বস্তি পেলেও বিষয়টি কিন্তু মোটেই শরীরের জন্য উপকারী নয়। এমন অনিয়ন্ত্রিত ঘুমে হতে পারে হৃদরোগসহ নানা জটিলতা।
ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনার গবেষণায় উঠে এসেছে বিপদবার্তা। অন্য দিনের তুলনায় ছুটির দিনে প্রতি ঘণ্টা অতিরিক্ত ঘুমে হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ে ১১ শতাংশ।
গবেষকরা বলছেন, শুধু হৃদরোগই নয়, এই অনিয়মিত ঘুমে বাড়ে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনাও। খারাপ হয় মেজাজ। ছুটির দিনে অতিরিক্ত ঘুমের কারণে স্মৃতির সমস্যা, মনঃসংযোগের অভাব, অবসাদ, হাইপারটেনশনের মতো সমস্যাগুলোও বাড়তে থাকে।
গবেষকদের মত, বেশি ঘুমে লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি। শরীর নিষ্ক্রিয় করে দেয়। এটা ধূমপান ও মদ্যপানের মতোই ক্ষতিকর।
ইউনিভার্সিটি অফ সিডনির সিডনি স্কুল অফ পাবলিক হেলথের গবেষকরা আরও মারাত্মক বিপদবার্তা দিয়েছেন। তাদের মতে, চরম অলসতা ও ঘুমানোর সঙ্গে আয়ু কমে আসার বিষয়টি জড়িত।
যারা নড়াচড়া না করে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন এবং বেশি ঘুমান, তাদের শারীরিক অবস্থা অন্যদের থেকে বেশি খারাপ থাকে। তাই সুস্থ থাকতে ঘুমেরও রুটিন দরকার। ছুটির দিন এলেই যে বেশি ঘুমাতে হবে, সেটি মোটেও ঠিক নয়।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার কান্দিলা গ্রামের প্রয়াত মাহবুবুর রহমান খানের ছোট ছেলে সোহান খান। শখের বসে ১৭ বছর আগে তিনি পাখি পালন শুরু করেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্লগিংও শুরু করেছেন। এর মধ্য দিয়ে পাখির লালনপালন নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন এ যুবক। তার কনটেন্ট দেখে অনেকে পাখি পালনে উৎসাহ পাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
সোহান ফেসবুকে পেজ খুলেছেন তার খামার ‘বার্ড’স ভ্যালি’র নামে। সেই পেজ থেকে ব্লগিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে পাখি পালনের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন।
বার্ড’স ভ্যালির মালিক সোহান খান জানান, ২০০৬ সালে শখের বসে বাবার হাত ধরে পাখি পালন শুরু করেন তিনি। তারপর ধীরে ধীরে ২০১৮ সালে বার্ড’স ভ্যালি নামের খামার করে বড় পরিসরে পাখি পালন শুরু করা হয়। তার এই দীর্ঘ ১৪ বছরের অভিজ্ঞতা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া এবং পাখি পালনে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ২০২০ সাল থেকে তিনি ব্লগিং শুরু করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
তিনি জানান, বর্তমানে তার বার্ডস ভ্যালি খামারে ১০০ জোড়ার ওপর পাখি রয়েছে। এর মধ্যে ককাটেল, কনুর, লরি, লাভ বার্ড, গ্রিন ফিঞ্চ, ইয়েলো ফিঞ্চ, ব্লু ফিঞ্চ, ভায়োলেট ফিঞ্চ, হোয়াইট ফিঞ্চ উল্লেখযোগ্য।
তিনি আরও জানান, ১৭ বছর ধরে পাখি লালন-পালন করে আসছেন তিনি। ২০১৮ সাল থেকে পাখি পালন শুরু করেন বাণিজ্যিকভাবে। প্রায় ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে তার আয় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়াও প্রতিদিন তিনি পাখির লালন-পালনের ভিডিও ব্লগিংয়ের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরেন, যা দেখে পাখি পালনে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
বার্ড’স ভ্যালির মালিক সোহান খান বলেন, “‘বার্ড’স ভ্যালি’ ব্লগিংয়ের মাধ্যমে মূলত উপকৃত হচ্ছে নতুন নতুন পাখিপালকরা। ব্লগের ভিডিও দেখে কীভাবে পাখির যত্ন করতে হয়, লালন পালন করতে হয়, কীভাবে পাখির প্রজনন করাতে হয়, কীভাবে অসুস্থ পাখির প্রাথমিক চিকিৎসা ও পরিচর্যা করতে হয় ইত্যাদি শিখতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, “‘বার্ড’স ভ্যালি’র ভিডিও ব্লগিং দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক নতুন পাখিপালক তৈরি হচ্ছে। ইদানীং পাখিপ্রেমী মানুষদের কাছে ‘বার্ডস ভ্যালি’ একটি সুপরিচিত নাম হয়েছে। খুবই ভালো লাগছে আমার পরিচিতি পেয়ে।”
সোহানের বড় বোন শিমু খান বলেন, ‘২০১৮ সালে এইচএসসি পরীক্ষার পর বেকার বসে ছিল সোহান। তখন পড়ালেখার পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে নিজেদের বাসায় একটি পাখির খামার করে দিই। প্রাথমিক অবস্থায় কিছু পাখি কিনে দেয়া হয়। তারপর ধীরে ধীরে সেটাকে বড় করে আজকে ওর অবস্থান ভালো। দেখে ভালো লাগে আজকে সে সফল এবং ব্লগিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে পাখি পালনে উদ্বুদ্ধ করছে।’
এ বিষয়ে সোহানের মা বলেন পারভীন সুলতানা বলেন, ‘ওর বাবার হাত ধরে শখের বসে পাখি পালা শুরু ওর। তারপর সেখান থেকে ২০১৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করে। ওর বড় বোন টাকা দেয়। আর আমি সেই টাকা দিয়ে বাড়ির সামনে দুই শতাংশ জায়গার ওপর একটি খামার তৈরি করে দিই।
‘এখন অনেক পাখি রয়েছে। ওর একটা পেজও আছে। সেখানে পাখিদের নিয়ে ব্লগিং করে। সেই ব্লগ দেখে অনেকেই পাখি পালনে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আমি আশা করি বেকার যারা রয়েছে তারা পাখি পালন করে নিজেদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবে।’
আরও পড়ুন:পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ বৃহস্পতিবার, ১২ রবিউল আউয়াল। প্রায় দেড় হাজার বছর আগে ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের এই দিনে মানব জাতির জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর শুভ আবির্ভাব ঘটে।
হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখ মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) নামে পরিচিত। ৫৭০ খ্রীষ্টাব্দের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
মহানবী হযরত মুহম্মদ (সা.)-এর জন্মের আগে গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। ওই সময় আরবের মানুষ মহান আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা। এই যুগকে বলা হতো ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’-এর যুগ।
তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করতো। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে দুনিয়ায় প্রেরণ করেন।
মহানবী (সা.) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেমে অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। ২৫ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত লাভ বা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য লাভ করেন।
পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না।’
এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এই দিনের (পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী) গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যাপক। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পালন করে থাকে।
এদিকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানব কল্যাণে ব্রতী হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর জীবনের ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল।
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে।
মুসলিমদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি এবার পড়েছে বৃহস্পতিবার। এরপর শুক্র ও শনিবার দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে পাওয়া যাচ্ছে তিন দিনের লম্বা ছুটি বা লং উইকেন্ড।
লং এ উইকেন্ডে চট্টগ্রামে নিজের বাড়িতে বেড়াতে যেতে চান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাব্বির, কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে টিকিট কাটতে গিয়ে তিনি দেখলেন, বাস-ট্রেন কোনো যানবাহনেরই টিকিট মিলছে না।
সাব্বিরের মতো এমন ঝামেলা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে আপনি বেছে নিতে পারেন সুবিধাজনক ও নিরাপদ উবার ইন্টারসিটি। একটি বাটনের মাধ্যমেই আপনি পাচ্ছেন কম খরচে শহরের বাইরে যাওয়ার নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম। এই সার্ভিসে আপনি উবারের গাড়ি ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত নিজের সঙ্গে রাখার সুযোগ পাবেন।
ঢাকা মহানগর থেকে পিক-আপ করার পর দেশের আট বিভাগের প্রতিটিতেই এ সেবা পাওয়া যাবে। আপনি যদি চারজন পর্যন্ত সদস্যের একটি দল নিয়ে ভ্রমণ করতে চান, তাহলে বেছে নিতে পারেন উবার ইন্টারসিটি। আবার আটজন পর্যন্ত সদস্যের বড় দল নিয়ে যাতায়াতের জন্য উবার ইন্টারসিটি এক্সএল হতে পারে আপনার জন্য যথার্থ। তা ছাড়া নিরাপত্তাকে উবার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
ট্রিপগুলো জিপিএস দিয়ে ট্র্যাক করা হয়। তাই নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো সমস্যায় দ্রুত সাড়া দেয়া সম্ভব হয়। এ ছাড়া আছে একটি সেফটি টুলকিট এবং ২৪x৭ হেল্পলাইন। তাই প্রচলিত যানবাহনের তুলনায় উবার ব্যবহার করা নিরাপদ।
নিজের মনের মতো করে ছুটি কাটাতে নিরাপদ ও ঝামেলাবিহীন যাতায়াতের সুযোগ প্রয়োজন। সেই প্রয়োজন মেটাতে পাশে থাকবে উবার।
উবার ইন্টারসিটি যেভাবে কাজ করে
আসন্ন ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলে নেয়া হয়নি তামিম ইকবালকে। এ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষদের মাঝে। শুধু তাই নয়, চলচ্চিত্র তারকা ওমর সানি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে তিনি এই প্রতিবাদ জানান।
ওমর সানি লিখেছেন, ‘আপনারা যারা নির্বাচক, আপনাদের খেলা আমি দেখেছি। স্টেডিয়ামে বসে বলুন আর টিভির পর্দায় বলুন, ভীষণ পুরুষত্ব ফুটে উঠতো। আজকে এমন কী হলো, কাপুরুষের মতো ঘোষণা করতে হবে তামিম ইকবাল বাংলাদেশ দলেই নেই!’
এই অভিনেতা আরও লেখেন, ‘মানলাম একজন সুপারস্টারের কথায় এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আপনাদের জায়গায় যদি আমার মতো রাষ্ট্রের প্রজা থাকতো তাহলে বলতাম- আমি পদত্যাগ করলাম। সরি, একজন খেলোয়ার তামিম ইকবাল।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে শেষেই বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হবে- তা আগেই জানিয়েছিল বিসিবি। তাই খেলা শেষ হতেই মঙ্গলবার বিসিবির অফিশিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব পেজে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করা হয়।
গুঞ্জন সত্যি করে শেষ পর্যন্ত ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশের ওপেনিংয়ের দায়িত্ব সামলানো অভিজ্ঞ ব্যাটার তামিমকে ছাড়াই বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়। এর কারণ দেখানো হয়েছে তিনি আনফিট। তবে বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়ে ওয়ানডে দলে ফেরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য