× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
How to get rid of body odor
google_news print-icon

শারীরিক দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাবেন যেভাবে

শারীরিক-দুর্গন্ধ-থেকে-মুক্তি-পাবেন-যেভাবে
দুর্গন্ধ কমাতে আপনার খাবার থেকে মসলাদার ও কড়া স্বাদের খাবার বাদ দিয়ে দেখতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কড়া ঘ্রাণের খাবার খাচ্ছেন, তাদের শরীর থেকে বেশি দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।

আমাদের সবার শরীর কমবেশি ঘামে। এক জাতীয় ব্যাকটেরিয়া ঘামে উপস্থিত প্রোটিন কণাগুলোকে ভেঙে অ্যাসিডে পরিণত করে। যখন এই প্রক্রিয়া চলে, তখনই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। মানুষভেদে দুর্গন্ধের পরিমাণটা বদলাতে থাকে।

তাই ঘামের দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের ঘেমে যাবার পরিমাণ কমাতে হবে, নয়তো ব্যাকটেরিয়াকে তাড়াতে হবে। সে জন্য এই পদ্ধত্তিগুলো ট্রাই করে দেখতে পারেন।

প্রতিদিন গোসল

প্রতিদিন কমপক্ষে একবার গোসল করতে হবে। গোসলের সময় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান অথবা বেনজোয়েল পার-অক্সাইড ক্লিনজার ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে মুক্তি পাবেন। সাবান দিয়ে পুরো শরীরকে ফেনায়িত করতে হবে, বিশেষ করে দুর্গন্ধপ্রবণ স্থান।

আপনি যদি উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে বাস করেন, তাহলে প্রতিদিন দুইবার গোসল করতে পারলে ভালো। ভেজা কাপড় দিয়ে বগল, কুঁচকি ও ত্বকের ভাঁজ মুছে নিলেও দুর্গন্ধ কমবে।

সঠিক প্রোডাক্টের ব্যবহার

ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করলে বগলের পরিবেশ ব্যাকটেরিয়ার জন্য প্রতিকূল হতে পারে। এই প্রোডাক্ট বগলের দুর্গন্ধকে সুবাস দিয়ে ঢেকে দেয়। অন্যদিকে অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট ঘাম নিঃসরণ কমাতে ঘাম গ্রন্থিকে ব্লক করে। আপনার শরীর থেকে বেশি ঘাম ঝরলে এমন প্রোডাক্ট কিনুন যার লেবেলে অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট ও ডিওডোরেন্ট উভয় রয়েছে। তেমন ঘাম বের না হলে শুধু ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।

সুতি পোশাক পরুন

শরীরের দুর্গন্ধ কমাতে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরুন। পলিয়েস্টার, নাইলন ও রেয়নের তুলনায় সুতির পোশাক ভালো। সুতির প্রাকৃতিক তন্তু বাতাস চলাচলের সুযোগ দেয়, যার ফলে ঘাম উবে যায়।

খাবারে পরিবর্তন আনুন

দুর্গন্ধ কমাতে আপনার খাবার থেকে মসলাদার ও কড়া স্বাদের খাবার বাদ দিয়ে দেখতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কড়া গন্ধের খাবার খাচ্ছেন তাদের শরীর থেকে বেশি দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এমনকি অ্যালকোহলও ঘামের গন্ধকে প্রভাবিত করতে পারে। যদি দেখেন খাবার পরিবর্তনের পর শারীরিক দুর্গন্ধ কমে গেছে, তাহলে খাবারগুলো পুরোপুরি বাদ দেবার কথা ভাবতে পারেন।

লোম পরিষ্কার করুন

শরীরের যেসব স্থানে লোম বেশি সেখানে অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থিও বেশি, যেমন- বগল ও জননাঙ্গ। লোমগুলো ঘাম ধরে রাখে ও ব্যাকটেরিয়া বসবাসের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। তাই নিয়মিত লোম কেটে ফেললে শারীরিক দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

আরও পড়ুন:
আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা
দাঁতের হলুদভাব তাড়ানোর উপায়
জাম্বুরার উপকারিতা
চুল ঝরার কারণগুলো জেনে নিন
শ্যাম্পু করবেন যেভাবে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
Why are there so many oral cancer patients?

মুখের ক্যান্সার রোগী এত বেশি কেন?

অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী
মুখের ক্যান্সার রোগী এত বেশি কেন?

একজন বিখ্যাত ক্যান্সার বিশেষজ্ঞের উক্তি- ‘ক্যান্সারে যত লোকের মৃত্যু হয়, চিকিৎসায় দেরি হওয়ার জন্য মারা যায় সম সংখ্যক লোক’। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে বিশ্বব্যাপী অসংখ্য লোক দেরী করে ডাক্তারের কাছে আসেন, যার ফলে ইতোমধ্যে ক্যন্সার মারাত্মক রূপ ধারণ করে। গবেষণায় দেখা যায়, এর কারণ হলো, জনসাধারণের মধ্যে রয়েছে ‘ক্যান্সার ভীতি,’ এমন ধারণা যে ক্যান্সার দুরারোগ্য ব্যাধি, এর নিরাময় নেই। অথচ প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে অধিকাংশ ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য। ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে দেহে যে সকল প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায়, এ সম্বন্ধে অনেকে অবহিত নন। এলডাস হাক্সলির একটি উক্তি উল্লেখ্য, ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে অজ্ঞতাই দায়ী, আমাদের অজ্ঞতার কারণ হলো আমরা জানতে চাই না।’ ক্যান্সারকে মোকাবিলা করার প্রথম শর্ত হলো রোগ সম্বন্ধে জানা, এর প্রাথমিক লক্ষণ গুলোকে সনাক্ত করা এবং অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া। কোনো ক্রমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেন বিলম্বিত না হয়, কারণ এতে রোগ অগ্রসর হতে থাকে এবং পরবর্তীতে দেহের বিভিন্ন স্থানে ক্যান্সার কোষের উপনিবেশ গড়ে ওঠে। এই দুরারোগ্য পর্যায়ে রোগী যখন চিকিৎসকের কাছে আসেন তখন করার বিশেষ কিছু থাকে না।
বাংলাদেশে মুখগহ্বর এ ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি। নতুন রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে দিন দিন। খাদ্যনালি কিংবা মুখগহ্বরের কোনো অংশে ক্যান্সার হলে একপর্যায়ে রোগীর জন্য খাবারদাবার গ্রহণের স্বাভাবিক নিয়ম কষ্টকর হয়ে পড়ে। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য খাবার তো খেতেই হবে সেই সাথে ক্যান্সার সংক্রান্ত অন্যান্য জটিলতা তো আছেই।
মুখগহ্বর এর ক্যান্সারের সঙ্গে একজন মানুষের প্রতিদিনের জীবনধারা বিশেষভাবে সম্পর্কিত। যেসব অভ্যাসের কারণে মুখগহ্বরের সরাসরি ক্ষতি হয়, সেগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়া আবশ্যক। যেমন তামাক মুখগহ্বর ও খাদ্যনালির শত্রু, সেটা যেভাবেই তা গ্রহণ করা হক না কেন। তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের কারণে মুখগহ্বর ও খাদ্যনালির কোষে ক্ষত সৃষ্টি হতে থাকে। এই ক্ষত থেকেই এক সময় ক্যান্সার হয়।
সিগারেট, ই-সিগারেট, পান, সাদাপাতা, সুপারি, চুন, জর্দা, গুল, খইনি-সবই মুখগহ্বর ও খাদ্যনালির ক্যানসারের জন্য দায়ী। আমাদের দেশের বহু মানুষ এসব তামাকের কোনো না কোনোটি গ্রহণ করেন। বর্তমান সময়ে তরুণদের মধ্যে ধূমপানের হার অনেক বেড়েছে। আমাদের দেশের যত মানুষ মুখগহ্বর ও খাদ্যনালির ক্যানসারে আক্রান্ত, তাদের ৮০-৯০ শতাংশেরই তামাক বা তামাকজাত পণ্য সেবনের কারন রয়েছে। সেইসাথে অ্যালকোহল ও অনেকে পানের সাথে জর্দ্দা ব্যবহার করেন, এ ধরনের নেশাও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

যারা পানের সঙ্গে জর্দ্দা খান এবং নিয়মিত অনেকবার পান খান তাদের মুখের ঘা বেশি হয় এবং লক্ষ্য করা গেছে অনেকেই তামাক পাতাকে হাতের মধ্যে নিয়ে চুনের সঙ্গে মিশিয়ে গালের মধ্যবর্তী স্থানে রাখেন, তাতে দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে ওই স্থানে ঘা হতে পারে। শুধু ঘা নয় পরবর্তীতে এই ঘা ক্যান্সারেও রূপ নিতে পারে। শুধু বাংলাদেশেই নয় দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে যেখানে তামাক পাতা নেশার মতো ব্যবহৃত হয় সে সমস্ত অঞ্চলেও মুখের ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা অন্যান্য দেশের চাইতে বেশি। অর্থাৎ যারা জর্দ্দা খান বা তামাক পাতা খান তাদের রিস্ক-ফ্যাক্টর বা ঝুঁকি হতে পারে ৬০ ভাগ এবং যারা ধূমপান করেন এবং সেই সাথে তামাক পাতা ও পানের সঙ্গে ব্যবহার করেন তাদের ঝুঁকি শতকরা ৮০ ভাগ।

গত বিশ বছরে বাংলাদেশে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ গুন বেড়েছে। পুরুষ-মহিলা-শিশু নির্বিশেষে সবারই ক্যান্সার হয়। মুখগহ্বরের ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব পুরুষদের ক্ষেত্রে ২২%-২৩% এবং মেয়েদের মধ্যে ১৬%-১৭%। বর্তমান পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় দুই লক্ষ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় এবং প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার মৃত্যুবরণ করে। সারা পৃথিবীতে বর্তমানে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা প্রায় দুকোটির কাছাকাছি।
ক্যান্সার এমন এক ব্যাধি, যার বৈশিষ্ট্য হলো অস্বাভাবিক কোষের নিয়ন্ত্রণহীন বৃদ্ধিও বিস্তার। স্বাভাবিক অবস্থায় দেহ কোষগুলোর ক্ষেত্রে সুশৃঙ্খল পুনঃজন্ম ঘটে এবং এদের বৃদ্ধি হয়।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে মুখগহ্বরের ক্যান্সার বাংলাদেশে এবং প্রতিবেশী দেশগুলোতে বেশি হয়।
সূচনায় চিহ্নিত হলে নিরাময়ের সম্ভাবনা খুবই উজ্জল। ডেন্টাল সার্জনরা মুখ গহ্বরের রুটিন পরীক্ষার সময় অনেক ক্ষেত্রে একে শনাক্ত করেন। মুখ গহ্বরের ক্যান্সারের মধ্যে জিহ্বায় হয় ২০%, ঠোঁটে ১৫% এবং লালাগ্রন্থি ১০%। ২৫% শতাংশ হলো গলদেশের ক্যান্সার। এছাড়া মাড়ি, তালু, টনসিল, চোয়ালেও এই ক্যান্সার হয়। যারা ধূমপান করেন, তাদেরই মুখে ক্যান্সার বেশি হয়। বিভিন্ন গবেষনায় বলা হয়েছে সিগার ও পাইপ খেলেও মুখের ক্যান্সার হয় খুব বেশি।
যদি লক্ষ্য করা যায় যে, মুখ গহ্বরের একটি ক্ষত বা ঘা যা শুকাচ্ছে না, এবং সহজেই এ থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, গিলতে অসুবিধা হচ্ছে, সব সময় গলায় কোনো কিছুর উপস্থিতি অনুভুত হচ্ছে, তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ প্রয়োজন। এরকম লক্ষণ হওয়া মানেই ক্যান্সার নয়- শুধু প্রয়োজন হলো একজন ডাক্তার দেখিয়ে নিশ্চিত হওয়া। এ ব্যাপারে ডেন্টাল সার্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে যেমন মুখ গহ্বর এর রুটিন পরীক্ষার সময় অথবা অন্য সময় যখন দাঁত বা মুখ গহ্বরের চিকিৎসা করছেন তখন তাদের দায়িত্ব হবে মুখ গহ্বরের কোষকলায় কোনো অস্বাভাবিক পরিবর্তন হচ্ছে কিনা তা লক্ষ্য করা। সুতরাং কেউ যদি নিয়মিত ডেন্টাল সার্জন দিয়ে বছরে অন্তত একবার মুখের চেক আপ করান, তাহলে এরকম কিছু ঘটে থাকলেও চিকিৎসক সূচনাকালেই একে শনাক্ত করতে পারেন।
গবেষণায় যত রকমের ক্যান্সার দেখা গেছে তার শতকরা ত্রিশ ভাগ ক্ষেত্রের কারণ হলো তামাক। ফুসফুসের ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর শতকরা নব্বই ভাগের জন্যই দায়ী তামাক। তামাক শুধু ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ নয় মুখের ভিতরের বিভিন্ন রকম ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
এ ছাড়া যারা মুখগহ্বরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে যত্নশীল নন কিংবা যাদের দাঁতের অংশ অত্যধিক ধারালো, তাদের মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা খাবার খেলেও হতে পারে মুখের ক্যান্সার। যাদের ডায়াবেটিস আছে এবং তা নিয়ন্ত্রণে থাকে না, তাদের এই মুখের ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা অন্যদের চাইতে বেশি।

মুখের ভেতরের ক্যান্সার প্রতিরোধে তামাক সেবক অর্থাৎ সিগারেট, বিড়ি, হুক্কা, দোক্তা, কিমা, খৈনী, গুল, নাস্যি গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
ক্যান্সার মানেই মৃত্যু কথাটি কোন এক সময় হয়ত সত্য ছিল, কিন্তু আজ আর তা নয়। বর্তমানে অর্ধেক ক্যান্সারকে আমরা প্রতিরোধ করতে পারি। বাদবাকী অর্ধেকের বেশি ভাগটাই আমরা সূচনায় ধরে ফেলে সঠিক চিকিৎসা করতে পারি।
প্রতিকার
সাধারণভাবে মুখগহ্বর ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য অস্ত্রোপচার ও রেডিওথেরাপিই মূল চিকিৎসা। কোনো কোনো রোগীর কেমোথেরাপিরও প্রয়োজন হতে পারে। নির্ধারিত থেরাপিরও সুযোগ রয়েছে। যাঁরা নিয়মিত তামাক বা তামাকজাত পণ্য গ্রহণ করেন, তাদের কোনো উপসর্গ না থাকলেও চিকিৎসকের পরামর্শ মাফিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো উচিত। কারণ, প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়লে চিকিৎসা পদ্ধতি সহজ হয়। যেমন এসব ক্ষেত্রে বায়াপসি বা মাংস পরীক্ষা করা জরুরি। তাহলে সুর্নিদিষ্টভাবে তার রোগ র্নিনয় বা ক্যান্সার কোন পর্যায়ে রয়েছে তা জানা যায়।

প্রতিরোধ
মুখগহ্বর এর ক্যান্সার প্রতিরোধে করনীয়-

• ধূমপান, তামাক ও তামাকজাত কোনো পণ্য সেবন বন্ধ করা ।
• মুখগহ্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা। প্রতিদিন দুবেলা দাঁত ব্রাশ এবং খাওয়ার পর ভালোভাবে কুলকুচি করা প্রয়োজন।
• দাঁতের কোন অংশ ধারালো থাকলে চিকিৎসা করা।
• ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ।
• প্রচুর ফলমূল ও শাকসবজি গ্রহণ এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ।
• শারীরবৃত্তীয় কারণে মহিলাদের আয়রনের ঘাটতি বেশি হয়। তাদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ নিশ্চিত করা আবশ্যক।
• ফাস্টফুড বা প্রোসেস ফুড বাদ দেওয়া প্রয়োজন।
• অতিরিক্ত অ্যাসিডিটি থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করা।
• অতিরিক্ত ঝাল কিংবা অতিরিক্ত গরম খাবার ও পানীয় বর্জন করা।
• সব ধরনের মাদক ও অ্যালকোহল বর্জন করা।

সবচেয়ে বড় কথা , যদি আমরা তামাক, ধূমপান, জর্দ্দা ইত্যাদি বর্জন করতে পারি, তাহলে মুখের ক্যান্সার, গলার ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সারসহ অনেক ক্যান্সার রোগকেই প্রতিরোধ করতে পারব।

লেখক: একুশে পদকপ্রাপ্ত শব্দসৈনিক।

মন্তব্য

জীবনযাপন
One cup of coffee is priced at Tk 5000

এক কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা

এক কাপ কফির দাম ৮৩ হাজার টাকা

কফি সকলের কাছে পানীয় নয়! কারও কারও কাছে এটি আবেগ, সম্পর্ক আর ভালোবাসার প্রতীক। এমনকি প্রতি বছর ১ অক্টোবর পালিত হয় আন্তর্জাতিক কফি দিবস। বিশ্বজুড়ে কফির যাত্রা, কফি চাষি ও উৎপাদকদের অবদানকে স্মরণ করতেই এ দিবসের আয়োজন করা হয়।

অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে। চা বা কফি খেলে স্নায়ু উদ্দীপ্ত হয়। তবে সেই কফির খাওয়ার জন্যে যদি আপনাকে দাম গুনতে হয় ৮৩ হাজার টাকা! তবে কি কফিপ্রেমীরা কফি খাবেন নাকি বাদ দেবেন খাওয়া-এমনই এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে দুবাইয়ের একটি বিলাসবহুল কফিশপ।

যেই কফিশপে পরিবেশন করেছে বিশ্বের সবচেয়ে দামী এক কাপ কফি। এর দাম ২ হাজার ৫০০ দিরহাম বা ৮২ হজার ৭৮৭ টাকা। এই কাপ কফির মাধ্যমেই তারা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম লিখিয়েছে। এটিই এখন বিশ্বের সবচেয়ে দামী কফির কাপ। গত বৃহস্পতিবার টেলিগ্রাফীর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জানা যায়, রোস্টার্স নামের এই আমিরাতি কফিশপটির মোট ১৫টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে চারটি আছে দুবাইয়ে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ের ডাউনটাউন বুলেভার্ডে অবস্থিত তাদের প্রধান শাখায় গিনেস রেকর্ডটি হয়। সেদিন একজন ভাগ্যবান অতিথিকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা এক কাপ কফি পরিবেশন করেন রোস্টার্সের দক্ষ কর্মীরা।

কফিটি তৈরি করা হয় বিখ্যাত ভি৬০ পোর-ওভার পদ্ধতিতে। আর পরিবেশন করা হয় জাপানের ঐতিহ্যবাহী এডো কিরিকো ক্রিস্টাল গ্লাসে। যা হাতে তৈরি ও দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যে খোদাই করা ছিল। কফির সঙ্গে পরিবেশন করা হয় তিরামিসু ও সেই একই কফি বিন মিশ্রিত চকলেট আইসক্রিমের একটি স্কুপ।

এই অসাধারণ কফির মূল আকর্ষণ ছিল পানামার হাসিয়েন্ডা লা এসমেরালদা ফার্মের বিরল গেইশা জাতের কফি বিন। এই বিনগুলো বিশ্বের অন্যতম মূল্যবান। কারণ এগুলো ফুলেল, ফলের মতো ও সাইট্রাস ঘ্রাণের জন্য বিখ্যাত। গত আগস্টে অনুষ্ঠিত বেস্ট অব পানামা ২০২৫ নিলামে রোস্টার্স পুরো ২০ কিলোগ্রাম ওয়াশড গেইশা কফি লটটি কিনে নেয় ৬ লাখ ৪ হাজার মার্কিন ডলারে। তখন এটি বিশ্বের কফি শিল্পে সাড়া ফেলে দেয়।

রেকর্ড গড়া দিনের বিশেষ আয়োজনটি ছিল যেন এক শিল্পসম্ভার। কফি প্রস্তুত করা হয় অতিথির টেবিলের পাশে, নির্দিষ্ট তাপমাত্রা-নিয়ন্ত্রিত কেটলি ও কাঁচের ড্রিপার ব্যবহার করে। প্রতিটি ধাপের বিবরণ অতিথিকে জানানো হয় তথ্যসমৃদ্ধ কার্ডে। যাতে গেইশা বিনের উৎস, প্রক্রিয়াকরণ ও সুবাস সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা ছিল।

যে অতিথি এই কফির স্বাদ গ্রহণের সৌভাগ্য অর্জন করেন, তার নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে রোস্টার্স কর্তৃপক্ষ এই ইভেন্টটিকে তাদের ব্র্যান্ড প্রচারের অংশ হিসেবে ব্যবহার করেছে।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কনস্টান্টিন হারবুজ বলেন, এই রেকর্ড আমাদের দলের নিষ্ঠা ও কারিগরি দক্ষতার স্বীকৃতি। এটি প্রমাণ করে, দুবাই এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা কফি অভিজ্ঞতার কেন্দ্র হয়ে উঠছে।

বিশ্লেষকদের মতে, বিলাসবহুল কফি সংস্কৃতিতে দ্রুত উত্থান ঘটাচ্ছে দুবাই। এখানে কফি আর শুধু পানীয় নয়- এটি এখন রুচি, সংস্কৃতি ও অভিজাত অভিজ্ঞতার প্রতীক। আর সেই ধারায় রোস্টার্সের এই রেকর্ড কফি এখন পুরো বিশ্বের কফিপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Today is the day to praise the wife all day

আজ সারাদিন স্ত্রীকে প্রশংসা করার দিন

আজ সারাদিন স্ত্রীকে প্রশংসা করার দিন

'সংসার সুখের হয় রমণীর গুণে'—এ প্রবাদ প্রচলিত থাকলেও, জেনে রাখুন সংসারে সুখ ও শান্তি বজায় রাখতে স্বামী স্ত্রী দুজনের ভূমিকাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। কেবল স্বামী সবসময় প্রশংসা ও সম্মান পাবে তা নয়, স্ত্রীকেও প্রশংসা করতে হবে, যথাযথ সম্মান দিতে হবে। সময়ের অভাবে এবং নানান ব্যস্ততায় স্ত্রীকে যারা প্রশংসা করেন না, তারা আজ মনভরে স্ত্রীর প্রশংসা করুন। কারণ আজ স্ত্রীকে প্রশংসা করার দিন। ভেবে দেখুন, বিষয়টি কিন্তু মন্দ নয়। এ বিশেষ দিনটিকে হেলা না করে কাজে লাগান।

প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় রোববার সারা বিশ্বে ‘ওয়াইফ অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ পালিত হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম দিবসটি উদযাপিত হয় ২০০৬ সালে। তারপর থেকে এটি অনেক দেশে পালিত হয়ে আসছে। জানা যায় যে, স্ত্রীর প্রশংসা দিবসটি মূলত স্ত্রীদের সম্মান জানানোর জন্যই উদযাপন করা হয়।

প্রশংসা আসে স্ত্রীর প্রতি সম্মানবোধ থেকে। সম্পর্ককে মজবুত করে তুলতে সঙ্গীকে সম্মান করার বিকল্প নেই। অনেকেই আছেন যারা মনে মনে কৃতজ্ঞ থাকলেও মুখে ফুটে বলতে পারেন না। তারা আজকের দিনটি বেছে নিতে পারেন। প্রশংসাসূচক বাক্য বলার মাধ্যমে সহজেই বোঝাতে পারবেন স্ত্রীর প্রতি আপনার ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা।

দিবসটি উদযাপনের জন্য, স্ত্রীর ভালো গুণগুলো উল্লেখ করে তার প্রশংসা করতে পারেন। স্ত্রীকে চকোলেট ও ফুল উপহার দিতে পারেন। তার প্রিয় কোনো জায়গায় ঘুরতে যেতে পারেন। যেতে পারেন লাঞ্চ কিংবা ডিনার ডেটে। যদি বাজেট থাকে, তাহলে এ বিশেষ দিনে স্ত্রীকে উপহার দিন শাড়ি কিংবা আংটি।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Domestic care to get shiny skin before worship

পূজার আগে ঝলমলে ত্বক পেতে ঘরোয়া যত্ন

পূজার আগে ঝলমলে ত্বক পেতে ঘরোয়া যত্ন

দুর্গাপূজার আর কয়েকদিন বাকি। উৎসবের আগে অনেকেই চান ত্বক হোক ঝলমলে ও সতেজ। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে পার্লারে যাওয়ার সময় না পেলে চিন্তার কিছু নেই। ঘরোয়া পরিচর্যা, সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং পর্যাপ্ত বিশ্রামেই পাওয়া যাবে উজ্জ্বল ত্বক।

ত্বকের যত্নে করণীয়

ক্লিনজিং-টোনিং-ময়শ্চারাইজিং: প্রতিদিন দু’বার মাইল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর টোনার ব্যবহার করলে পোরস ছোট হয় ও ত্বক ফ্রেশ লাগে। সবশেষে নিজের ত্বকের ধরন অনুযায়ী হালকা ময়শ্চারাইজার লাগান।

স্ক্রাব: সপ্তাহে অন্তত দু’বার স্ক্রাব ব্যবহার করুন। ঘরোয়া উপায় হিসেবে চিনি–মধুর মিশ্রণ বা ওটস–দইয়ের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এতে মৃত কোষ দূর হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হয়।

ফেসপ্যাক: বেসন, দুধ ও হলুদের প্যাক ত্বককে ফর্সা ও দাগমুক্ত করে। মূলতানি মাটি তেল শোষে নিয়ে মুখকে সতেজ রাখে। সপ্তাহে অন্তত দুইবার ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন।

হাইড্রেশন: প্রতিদিন কমপক্ষে ৮–১০ গ্লাস পানি পান করুন। ডাবের পানি, লেবু পানি বা গ্রিন টি শরীর থেকে টক্সিন বের করে ত্বক ঝলমলে রাখে।

ঘুম: প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমালে চোখের নিচের কালো দাগ ও ক্লান্তি দূর হয়। রাত জাগা এড়িয়ে চলুন।

খাবার: জাঙ্ক ফুড, ভাজাপোড়া কমিয়ে ফল, শাকসবজি, বাদাম ও দুধজাতীয় খাবার খান। ভিটামিন সি ও ই সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করে, বার্ধক্য প্রতিরোধ করে।

সানস্ক্রিন: বাইরে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি ত্বকের রং নষ্ট করে ও অকাল বার্ধক্য ডেকে আনে।

ঠোঁট ও হাত-পায়ের যত্ন: ঠোঁটে প্রতিদিন লিপবাম ব্যবহার করুন। রাতে নারকেল তেল বা মধু লাগাতে পারেন। নিয়মিত ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করলে হাত-পাও হবে কোমল ও সুন্দর।

মন্তব্য

জীবনযাপন
What do you do if you cut the snake? What things are urgent to avoid?

সাপে কাটলে কি করবেন? কোন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা অতীব জরুরি?

সাপে কাটলে কি করবেন? কোন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা অতীব জরুরি?

বৃষ্টি মৌসুমগুলোতে ভারী বর্ষণের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে দেখা দেয় বন্যা। আর বন্যা মানেই নানা ধরণের কীট-পতঙ্গের পাশাপাশি শুরু হয় সাপের উপদ্রব। এমনকি এই চিত্র কেবল গ্রামেরই নয়, শহরাঞ্চলগুলোরও একই অবস্থা। এছাড়া যারা বর্ষার সময় বনে বা পাহাড়ে ঘুরতে যান তাদেরও প্রায় সময় সাপের কবলে পড়তে হয়। তাছাড়া বিগত বছরগুলোতে দেশ জুড়ে সাপে কাটার ঘটনা আশঙ্কাজনক মাত্রায় রয়েছে। সব থেকে উদ্বেগের ব্যাপার হলো- সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে অনেকেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হন। তাই চলুন, সাপে কামড়ালে কি করণীয় এবং কোন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলতে হবে তা জেনে নেওয়া যাক।

সাপে কাটলে কি করা উচিত

সাপে কাটা ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। হাসপাতালে যাওয়ার পথে আক্রান্ত ব্যক্তির প্রাণরক্ষার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো নেওয়া উচিত:

- সাপে কামড়ানো ব্যক্তি প্রায় ক্ষেত্রে অতিরিক্ত আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেক ক্ষেত্রে এই মানসিক অবস্থা প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই আক্রান্ত ব্যক্তির ভয় দূর করে তাকে আশ্বস্ত করতে হবে এবং সাহস দিতে হবে। বিশেষত নির্বিষ সাপের দংশনে মৃত্যু হয় না। আর বাংলাদেশের অধিকাংশ সাপেরই বিষ নেই। বিষধর সাপের সংখ্যা খুবই কম। তাছাড়া এগুলো অধিকাংশ সময় শিকারের শরীরে পর্যাপ্ত বিষ ঢুকিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়।

- ব্যক্তির আক্রান্ত অঙ্গকে অবশ্যই স্থির করে রাখতে হবে। খুব বেশি নড়াচড়া করা যাবে না। হাঁটাচলা বা অধিক ঝাঁকুনির সম্মুখীন না করে স্থির ভাবে আধশোয়া অবস্থায় রাখা উত্তম।

- ক্ষতস্থানে একটু চাপ প্রয়োগ করে ব্যান্ডেজ বেধে দিতে হবে। এই প্রাথমিক চিকিৎসাটি প্রেসার ইমোবিলাইজেশন নামে পরিচিত। ব্যান্ডেজের বদলে গামছা, ওড়না বা এ জাতীয় কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে।

- রোগী শ্বাস না নিলে অবিলম্বে তার মুখে শ্বাস দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

- আক্রান্ত স্থান জীবাণুমুক্ত করার জন্য সাবান দিয়ে ধুয়ে ভেজা কাপড় দিয়ে হাল্কা ভাবে মুছে নিতে হবে।
পড়নে অলঙ্কার বা ঘড়ি কিংবা তাগা, তাবিজ থাকলে তা খুলে ফেলতে হবে। নতুনবা এগুলো রক্তপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা চিকিৎসা প্রক্রিয়ার জন্য ক্ষতিকর।

সাপে কামড়ালে যে ভুলগুলো করা উচিত নয়

- সাপে কাটা ব্যক্তিকে ওঝার কাছে নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করা ঠিক নয়।

- আক্রান্ত অঙ্গে কোনও ধরণের ভেষজ ওষুধ, উদ্ভিদের বীজ, লালা, গোবর, কাদা, বা পাথর লাগানো যাবে না।

- অনেকেই মনে করে থাকেন যে, আক্রান্ত স্থানে মুখ দিয়ে টেনে বিষ বের করলে রোগী ভালো হয়ে যায়। কিন্তু সাপের বিষ আসলে লসিকা ও রক্তের মাধ্যমে ছড়ায়, যা এই পদ্ধতিতে বের করা অসম্ভব। এছাড়া আক্রান্ত স্থানে যিনি মুখ দিচ্ছেন, তার জন্যও বিষয়টি ক্ষতিকর।

- কামড়ানোর স্থানে অনেকে শক্ত বাঁধন বা গিট দিয়ে বাঁধেন। কিন্তু এমনটি একদমি উচিত নয়। বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে কামড়ানোর স্থান থেকে কিছুটা ওপরের দিকে শক্ত করে বাঁধা হয়। মূলত এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। এতে বরং উল্টো রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। ফলে সঠিক রক্ত প্রবাহের অভাবে টিস্যুতে পচন বা নেক্রোসিস-এর উপক্রম হতে পারে।

- দংশনের স্থানে ছুরি বা ব্লেড দিয়ে আঁচড় দেওয়া যাবে না। বিষ বের করার জন্য অনেকে এমনটি করেন। কিন্তু এর জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞের সরণাপন্ন হওয়া উচিত।

- ব্যথা দূর করতে মোটেই অ্যাস্পিরিন জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যাবে না।

- কোনও ধরণের রাসায়নিক পদার্থ লাগানো বা তা দিয়ে আক্রান্ত স্থানে সেঁক দেওয়া ঠিক নয়।

- অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তির খাবার বা ঢোক গিলতে কিংবা কথা বলতে সমস্যা হয়। পাশাপাশি নাসিক কণ্ঠস্বর, বমি, বা অতিরিক্ত লালা নিঃসরণের মত ঘটনা ঘটে। এগুলোর প্রতিকার হিসেবে তাকে কিছু খাইয়ে বমি করানোর চেষ্টা করা হয়। এই কাজটি একদমি অনুচিত।

শেষাংশ

সাপে কাটা ব্যক্তিকে বাঁচাতে তাৎক্ষণিকভাবে এই করণীয়গুলো যথেষ্ট কার্যকর। সাপের বিষ বের করার বা দংশনের ব্যথা উপশমে বিভিন্ন ভুল ধারণাগুলো সমাজে প্রচলিত রয়েছে। এগুলো পরিহার করে ব্যক্তিকে যত দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আবশ্যক। প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে আক্রান্ত অঙ্গ নাড়াচাড়া না করা এবং অতিরিক্ত চাপ প্রশমনের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সেই সাথে দংশিত স্থান জীবাণুমুক্ত করা একটি উৎকৃষ্ট উপায়। সর্বপরি, চিকিৎসা সংক্রান্ত এই প্রাথমিক জ্ঞান যে কোনও জরুরি পরিস্থিতি সামলে নেওয়ার আত্মবিঃশ্বাস যোগায়।

মন্তব্য

আরব আমিরাতে ‘মাটির টানে রঙের বৈশাখ’  

আরব আমিরাতে ‘মাটির টানে রঙের বৈশাখ’  

সফলভাবে সম্পন্ন হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা অর্জনের সাথে সাথে প্রবাসীদের সমৃদ্ধি-প্রবৃদ্ধি, কনটেন্ট ক্রিয়েটরস, ব্যবসায়ী এবং মিডিয়া প্রফেশনালসদের এর সমন্বয়ে এক জমকালো আয়োজন। প্রথমবারের মতো সবচেয়ে বড় সোস্যাল কমিউনিটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে আত্মপ্রকাশ করা বাংলানেক্সট এর বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উপলক্ষে আয়োজনটি ছিল ‘মাটির টানে রঙের বৈশাখ’।

পহেলা বৈশাখ সন্ধ্যায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইতে ‘সেভেন সিস’ পাঁচ তারকা হোটেলে এক অনাড়ম্বর আয়োজনে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আরাব খান, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মো. আলী আকবর আশা, প্রতিষ্ঠাতা কার্যনির্বাহী সদস্যগণ, আগত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে ৫০০ ও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশির অংশগ্রহণ করেন।

ইভেন্টে বৈশাখী খাবার, আন্তর্জাতিক বুফে, লোকনৃত্য ও সংগীত, সম্মাননা প্রদান, সরাসরি আলাপচারিতা, মিডিয়া সংযোগসহ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিলো এক উৎসবমুখর পরিবেশে অনবদ্য পারফরম্যান্স এবং পরে উপস্থিত গণ্যমান্য সকলের সাথে আলাপ-আলোচনা করেন। কমিউনিটির পক্ষে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণ ও গণ্যমান্য সকলের উপস্থিতিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটিতে সভাপতি আরব খান, সহ-সভাপতি শেখ রায়হান আব্দুল্লাহ, সহ-সভাপতি বাঁধন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মো. আলী একবার আশা, সহ- সাধারণ সম্পাদক মামুন ইসলাম, কোষাদক্ষ রাসেল রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল আকন্দ, সি. সহ-সভাপতি ও প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফুজ্জামান, নারী বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা আফরিন ঐশী, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শুভ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল ইসলাম শাওন।

মন্তব্য

যুক্তরাজ্যের জাদুঘরে মানুষের চামড়ায় বাঁধানো বইয়ের সন্ধান

যুক্তরাজ্যের জাদুঘরে মানুষের চামড়ায় বাঁধানো বইয়ের সন্ধান

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে কুখ্যাত খুনিদের একজনের চামড়ায় বাঁধানো একটি বইয়ের সন্ধান মিলেছে একটি জাদুঘরের কার্যালয়ে। ১৮২৭ সালে ইংল্যান্ডে সাফোকের পোলস্টিডে রেড বার্ন গুদামঘরে প্রেমিকা মারিয়া মার্টেনকে খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন উইলিয়াম কর্ডার নামের এক ব্যক্তি। তার চামড়া দিয়েই বইটি বাঁধানো বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সাফোকের ময়সেস হল মিউজিয়ামে এই বই একইরকম অন্য আরেকটি বইয়ের সঙ্গে প্রদর্শন করা হবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

হেরিটেজ কর্মকতা ড্যান ক্লার্ক বলেছেন, এই বইগুলোর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক মূল্য আছে। তাছাড়া, মানুষের চামড়ায় বাঁধানো প্রথম বইটি জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রেখে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান।

‘হরিবল হিস্টোরিজ’ রচনা সমগ্রের লেখক টেরি ডেয়ারি অবশ্য এই প্রত্নবস্তুগুলো বীভৎস বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, এমন দুটো বই-ই তিনি পুড়িয়ে ফেলতে চান।

সাফোকের পোলস্টিডে ১৮২৭ সালের ওই খুনের ঘটনা জর্জিয়ান ব্রিটেনকে স্তম্ভিত করে দিয়েছিল। তখন থেকেই ঘটনাটি বহু সিনেমা, বই, নাটক এবং লোকগীতির বিষয়বস্তু হয়ে আছে।

সবচেয়ে বেশি চাউর হয়েছে কর্ডারের সঙ্গে মার্টেনের প্রেমকাহিনীর সংস্করণ। এই কাহিনীতে বলা আছে, কর্ডার রেড বার্ন -এ দেখা করার জন্য আসতে বলেছিলেন প্রেমিকা মার্টেনকে।

সেখান থেকে পালিয়ে একটি শহরে গিয়ে তারা বিয়ে করবেন বলেও জানিয়েছিলেন কর্ডার। কিন্তু সেই রেড বার্নেই মার্টনকে গুলি করে খুন করেন কর্ডার এবং খড়ের গাদায় পুঁতে দেন লাশ।

১৮২৮ সালের ১১ আগস্ট কর্ডার ধরা পড়েন এবং প্রকাশ্যেই তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তার মৃতদেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় এবং চামড়া দিয়ে বাঁধাই করা হয় বই। সেই বইয়ে লিপিবদ্ধ ছিল কর্ডারের বিচারের কাহিনি।

১৯৩৩ সালে বইটি জাদুঘরে প্রদর্শন করা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়করা ক্যাটালগ দেখতে গিয়ে বুঝতে পারেন সেখানে আরেকটি বই রয়েছে যেটি এত দিন চোখে পড়েনি।

সেই বইটি জাদুঘরে দান করেছিল একটি পরিবার, যাদের সঙ্গে কর্ডারের দেহ কাটাছেঁড়া করার সার্জনের ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল। বইটি জাদুঘরের গুদামে ছিল না, বরং ছিল কার্যালয়ের বইয়ের শেলফে অন্যান্য বইয়ের সঙ্গে।

কিন্তু বইটি বাঁধাই করা ছিল অনেক বেশি সনাতনী উপাদান দিয়ে। হেরিটেজ কর্মকর্তা ক্লার্ক বলেন, জাদুঘরে হারানো বই আমরা খুঁজে পেয়েছি। যেটি দশকের পর দশক ধরে দেখা হয়নি।

কর্ডারের চামড়ায় বাঁধানো প্রথম বইয়েরর সঙ্গে দ্বিতীয়টির কিছুটা পার্থক্য আছে। প্রথম বইয়ের চামড়ার মলাট অনেকটাই পূর্ণাঙ্গ। আর দ্বিতীয় বইয়ের কেবল বাঁধাইয়ের জায়গা এবং কোনাগুলোতে চামড়া লাগানো আছে।

মানুষের চামড়া দিয়ে বই বাঁধাই করা ‘এনথ্রোপোডার্মিক বিবলিওপেজি’ নামে পরিচিত। ‘হরিবল হিস্টোরিজ’-এর লেখক টেরি ডেয়ারির মতে, একজন মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারার চেয়েও জঘন্য কাজ হচ্ছে মৃত্যুর পর তার দেহ ছিন্নভিন্ন করা। চামড়া দিয়ে বই বাধাঁনো আরও বাড়াবাড়ি।

তবে হেরিটেজ কর্মকর্তা ক্লার্ক বলছেন, ‘দেশজুড়ে প্রতিটি জাদুঘরেই আমরা মানুষের দেহাবশেষ দেখতে পাই।’

সূত্র: বিডিনিউজ

মন্তব্য

p
উপরে