× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

জীবনযাপন
How to get rid of body odor
google_news print-icon

শারীরিক দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাবেন যেভাবে

শারীরিক-দুর্গন্ধ-থেকে-মুক্তি-পাবেন-যেভাবে
দুর্গন্ধ কমাতে আপনার খাবার থেকে মসলাদার ও কড়া স্বাদের খাবার বাদ দিয়ে দেখতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কড়া ঘ্রাণের খাবার খাচ্ছেন, তাদের শরীর থেকে বেশি দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।

আমাদের সবার শরীর কমবেশি ঘামে। এক জাতীয় ব্যাকটেরিয়া ঘামে উপস্থিত প্রোটিন কণাগুলোকে ভেঙে অ্যাসিডে পরিণত করে। যখন এই প্রক্রিয়া চলে, তখনই দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। মানুষভেদে দুর্গন্ধের পরিমাণটা বদলাতে থাকে।

তাই ঘামের দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে হলে আমাদের ঘেমে যাবার পরিমাণ কমাতে হবে, নয়তো ব্যাকটেরিয়াকে তাড়াতে হবে। সে জন্য এই পদ্ধত্তিগুলো ট্রাই করে দেখতে পারেন।

প্রতিদিন গোসল

প্রতিদিন কমপক্ষে একবার গোসল করতে হবে। গোসলের সময় অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান অথবা বেনজোয়েল পার-অক্সাইড ক্লিনজার ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে মুক্তি পাবেন। সাবান দিয়ে পুরো শরীরকে ফেনায়িত করতে হবে, বিশেষ করে দুর্গন্ধপ্রবণ স্থান।

আপনি যদি উষ্ণ ও আর্দ্র পরিবেশে বাস করেন, তাহলে প্রতিদিন দুইবার গোসল করতে পারলে ভালো। ভেজা কাপড় দিয়ে বগল, কুঁচকি ও ত্বকের ভাঁজ মুছে নিলেও দুর্গন্ধ কমবে।

সঠিক প্রোডাক্টের ব্যবহার

ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করলে বগলের পরিবেশ ব্যাকটেরিয়ার জন্য প্রতিকূল হতে পারে। এই প্রোডাক্ট বগলের দুর্গন্ধকে সুবাস দিয়ে ঢেকে দেয়। অন্যদিকে অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট ঘাম নিঃসরণ কমাতে ঘাম গ্রন্থিকে ব্লক করে। আপনার শরীর থেকে বেশি ঘাম ঝরলে এমন প্রোডাক্ট কিনুন যার লেবেলে অ্যান্টিপারস্পিরেন্ট ও ডিওডোরেন্ট উভয় রয়েছে। তেমন ঘাম বের না হলে শুধু ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন।

সুতি পোশাক পরুন

শরীরের দুর্গন্ধ কমাতে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরুন। পলিয়েস্টার, নাইলন ও রেয়নের তুলনায় সুতির পোশাক ভালো। সুতির প্রাকৃতিক তন্তু বাতাস চলাচলের সুযোগ দেয়, যার ফলে ঘাম উবে যায়।

খাবারে পরিবর্তন আনুন

দুর্গন্ধ কমাতে আপনার খাবার থেকে মসলাদার ও কড়া স্বাদের খাবার বাদ দিয়ে দেখতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কড়া গন্ধের খাবার খাচ্ছেন তাদের শরীর থেকে বেশি দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এমনকি অ্যালকোহলও ঘামের গন্ধকে প্রভাবিত করতে পারে। যদি দেখেন খাবার পরিবর্তনের পর শারীরিক দুর্গন্ধ কমে গেছে, তাহলে খাবারগুলো পুরোপুরি বাদ দেবার কথা ভাবতে পারেন।

লোম পরিষ্কার করুন

শরীরের যেসব স্থানে লোম বেশি সেখানে অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থিও বেশি, যেমন- বগল ও জননাঙ্গ। লোমগুলো ঘাম ধরে রাখে ও ব্যাকটেরিয়া বসবাসের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। তাই নিয়মিত লোম কেটে ফেললে শারীরিক দুর্গন্ধ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

আরও পড়ুন:
আনারসের উপকারিতা ও অপকারিতা
দাঁতের হলুদভাব তাড়ানোর উপায়
জাম্বুরার উপকারিতা
চুল ঝরার কারণগুলো জেনে নিন
শ্যাম্পু করবেন যেভাবে

মন্তব্য

আরও পড়ুন

জীবনযাপন
How to enjoy vegetarian vegetable khichuri on rainy days

যেভাবে বৃষ্টির দিনে উপভোগ করবেন নিরামিষ সবজি খিচুড়ি

যেভাবে বৃষ্টির দিনে উপভোগ করবেন নিরামিষ সবজি খিচুড়ি নিরামিষ সবজি খিচুড়ি। ছবি: সংগৃহীত
শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবার জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার হতে পারে নিরামিষ সবজি খিচুড়ি।

বৃষ্টিতে খিচুড়ি পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুব কমই আছেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবার জন্য একটি পুষ্টিকর খাবার হতে পারে নিরামিষ সবজি খিচুড়ি।

কীভাবে পরিবারের সবার সঙ্গে বৃষ্টির সময় নিরামিষ সবজি খিচুড়ি উপভোগ করবেন তা জানিয়েছেন রন্ধনশিল্পী নাজমা আক্তার।

উপকরণ

পোলাও চালের সঙ্গে দুই কাপ মুগ ডাল, এক কাপ আলু কিউব, হাফ কাপ গাজর কিউব, হাফ কাপ ফুলকপি কিউব, হাফ কাপ হলুদ গুড়া, এক চা চামচ লবণ। এক টেবিল চামচ আদা বাটা, এক চা চামচ আস্ত জিরা, এক চা চামচ দারচিনি, দুটি এলাচ, ৪টি লবঙ্গ, ৩/৪টা গোটা শুকনো মরিচ, ৩টি তেজপাতা, তেল পরিমাণ মতো, হাফ কাপ ঘি, ৩ টেবিল চামচ ভাজা জিরা গুড়া, এক চা চামচ কাঁচা মরিচ, সামান্য চিনি, গরম পানি।

প্রস্তুত প্রণালি

হাঁড়িতে তেল ও দুই টেবিল চামচ ঘি গরম করে তাতে গোটা গরম মসলা, গোটা জিরে, শুকনো মরিচ, তেজপাতা ফোরন দিয়ে কেটে রাখা সবজি দিয়ে নেড়ে আদা বাটা, হলুদ গুড়া, লবণ, সামান্য চিনি দিয়ে নেড়ে একটু ভেজে আগে থেকে ধুয়ে রাখা পানি ঝড়ানো চাল-ডাল দিয়ে একটু ভেজে নিতে হবে। ভাজা হয়ে গেলে গরম পানি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। পানি শুকিয়ে এলে হালকা পানি থাকতে বাকি ঘি ছড়িয়ে তারপর ভাজা জিরা গুড়া, আস্ত কাঁচা মরিচ কয়েকটা দিয়ে ১০ মিনিট দমে রাখতে হবে। তাহলেই হয়ে যাবে দারুণ মজার নিরামিষ সবজি খিচুড়ি। কেউ চাইলে মটরশুঁটি দিতে পারেন।’

আরও পড়ুন:
বৃষ্টিকে উপভোগ্য করতে ইলিশ খিচুড়ি
যেভাবে বৃষ্টির দিনে উপভোগ করবেন নিরামিষ সবজি খিচুড়ি
ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির দিনে ইলিশ খিচুড়ি
দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড়, ঢাকায় খিচুড়ির টান

মন্তব্য

জীবনযাপন
What to eat between work in the office

অফিসে কাজের ফাঁকে কী খাবেন

অফিসে কাজের ফাঁকে কী খাবেন মিষ্টি আলুর চাট। ছবি: সংগৃহীত
মিষ্টি আলু দিয়ে তৈরি এ রেসিপিগুলো স্বাস্থ্যসম্মত ও মুখরোচক যা খুব সহজে, কম খরচ ও সময়ে তৈরি করতে পারবেন।

অফিসে কাজে ফাঁকে হালকা ক্ষুধায় অনেকেই ভরসা করেন ভাঁজা-পোড়া বা ফাস্টফুড আইটেমের ওপর। তবে এসব খাবারে অতিরিক্ত অর্থব্যয়ের পাশাপাশি আছে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি। এজন্য অফিসের নাস্তা হিসেবে বিকল্প খাবারের খুঁজছেন অনেকেই।

তাদের জন্য মিষ্টি আলুর মৌসুমে ভারতীয় বাংলা সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার অনলাইন সংষ্করণের এক প্রতিবেদনে সহজে তৈরি করা যায় এমন তিনটি রেসিপির কথা বলেছে। এ খাবারগুলো যেমন হালকা ক্ষুধা মেটাবে, তেমনি স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মুখরোচক স্বাদও দেবে।

মিষ্টি আলুর প্যাটি: আলু ঝিরিঝিরি করে কেটে নিয়ে সঙ্গে পেঁয়াজ, বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, ধনেপাতা, সামান্য কর্নফ্লাওয়ার, অল্প জল, লবণ, গোলমরিচ ও চিলিফ্লেক্স মিশিয়ে মেখে নিন। এ বার সামান্য মিশ্রণ হাতে তুলে ছোট চ্যাপ্টা প্যাটির আকারে গড়ে নিন। তারপর সামান্য তেলে ঢাকা দিয়ে অল্প আঁচে ভেজে নিন। টমেটো সসের সঙ্গে অফিসে নিয়ে যেতে পারেন এ প্যাটি।

মিষ্টি আলুর চাট: মুখরোচক স্ন্যাকস বলতে প্রথমেই মাথায় আসে চাটের কথা। মিষ্টি আলু সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে নিন। সামান্য তেলে লালচে করে ভেজে নিন আলুর টুকরোগুলি। এ বার আলুর মধ্যে লেবুর রস, চাট মশলা, ভাজা জিরে গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ধনেপাতা কুচি ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার তাতে স্বাদ মতো লবন, কাঁচা মরিচ কুচি ও ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে নিলেই চাট তৈরি।

মিষ্টি আলুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই: মিষ্টি আলুর খোসা ছাড়িয়ে ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের আকারে কেটে নিন। ভাল করে ধুয়ে নিন, যাতে আলুর মধ্যে থাকা স্টার্চ যতটা সম্ভব বেরিয়ে যায়। একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি নিয়ে তার মধ্যে আলুর টুকরো অন্তত আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এ বার জল থেকে আলু তুলে ন্যাপকিন দিয়ে চেপে চেপে সমস্ত জল শুকিয়ে নিন। আলুতে লবণ ও অল্প তেল মাখিয়ে এয়ার ফ্রায়ারে ভেজে নিন। ভাজার পরিবর্তে ১৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে আলু বেক করেও নিতে পারেন। ভাজা আলুতে পেরিপেরি মশলা মিশিয়ে টিফিন ক্যারিয়ারে ভরে অফিসে নিতে পারেন।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Winter fashion for girls

শীতের ফ্যাশন, যে দিকগুলোতে নজর দেবে নারী

শীতের ফ্যাশন, যে দিকগুলোতে নজর দেবে নারী তরুণীরা এখন বেশি জ্যাকেট পছন্দ করে থাকেন। মডেল: নিক্কি
শীতকালে যথাসম্ভব পা ঢাকা জুতা পরুন। এতে করে পা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন এবং পায়ে ঠাণ্ডাও লাগবে না। মেয়েরা কেডস, পার্টি স্যু, অফিসে নর্মাল স্যু বা পোশাক বুঝে বুট বা উঁচু হিলের সু পরতে পারেন।

এসে গেছে শীত। চারদিকে শীতের আমেজ ছড়িয়ে যাচ্ছে জোর কদমে। এখনো পর্যন্ত কনকনে ঠান্ডা না লাগলেও গরম পোশাক পরার মতো শীতল বাতাস লেগে যাচ্ছে শরীরে। যারা স্টাইলিশ পোশাক পরতে চান, তাদের জন্য এ সময় থেকে শুরু করে পুরো শীত জুড়েই উপযোগী সময়। চমত্কার সব স্টাইলিশ পোশাক হতে পারে আপনার এ সময়ের সঙ্গী। শুধু পোশাক নয় এসময় পোশাকের সাথে মিল রেখে বদল করতে পারেন অন্যান্য সাজসজ্জাও।

শীতকালে চাদর, জ্যাকেট, সোয়েটার বা যত ধরনের ভারী পোশাক সবই পরা যায়। সব ধরনের পোশাক পরা গেলেও মেয়েরা শীতে মেরুন অথবা কালো রঙের পোশাক পরতে পারেন। তরুণীরা এখন বেশি জ্যাকেট পছন্দ করে থাকেন। এর মধ্যে রয়েছে ডেনিম, ফ্লানেল, কর্ড, উল, মোটা ক্যানভাসের কাপড়, প্যারাসুটের কাপড় এবং চামড়ার তৈরি জ্যাকেট। ভারী কাপড়ের লম্বা পোশাকও আরামদায়ক শীতে। ভেলভেটের কোটি জড়িয়ে নিলে শীত এবং ফ্যাশন দুইদিকই বজায় থাকবে। অন্যদিকে পার্টি কিংবা দাওয়াতে গেলে ভেলভেটের ফুলহাতা বা হাতাকাটা হলে ওপরে আড়াআড়ি কিংবা লম্বা করে নরম বা পশমি চাদর জড়িয়ে নিতে পারেন।

শীতের ফ্যাশন, যে দিকগুলোতে নজর দেবে নারী
ভারী কাপড়ের লম্বা পোশাকও আরামদায়ক শীতে, সঙ্গে পরতে পারেন বুট। মডেল: নিক্কি

আঁটসাঁট জিনস থেকে শুরু করে ঢোলা জিনস, সবই চলছে মেয়েদের হাল ফ্যাশনে। ব্যাগি, স্ট্রেট কাট, বুটকাট লেগ, ফ্লেয়ার জিনস হাল ফ্যাশনে পছন্দ করছেন প্রায় সব বয়সী নারীরা। মোটা কাপড়ের থ্রি পিসের সঙ্গে পরতে পারেন জেগিংস। এর সঙ্গে গায়ে জড়িয়ে নেওয়া যায় পাতলা চাদর।

শীতে অফিসে ফর্মাল ভাবে বেনী, পনিটেইল বা চুল হালকা ফুলিয়ে বাধা যেতে পারে। পার্টি হলে চুল খোলা রাখতে পারেন বা হালকা ফুলিয়ে স্টাইল করতে পারেন। বিয়ের অনুষ্ঠান হলে মানানসই খোপা করতে পারেন।

শীতকালে যথাসম্ভব পা ঢাকা জুতা পরুন। এতে করে পা ফাটার সমস্যা থেকে মুক্ত থাকবেন এবং পায়ে ঠাণ্ডাও লাগবে না। মেয়েরা কেডস, পার্টি স্যু, অফিসে নর্মাল স্যু বা পোশাক বুঝে বুট বা উঁচু হিলের সু পরতে পারেন।

আরও পড়ুন:
শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন
শীতকালে ত্বক প্রাণবন্ত রাখবেন যেভাবে

মন্তব্য

জীবনযাপন
Dublar Chars Ras Utsav is over

শেষ হলো দুবলার চরের রাস উৎসব

শেষ হলো দুবলার চরের রাস উৎসব সুন্দরবনের দুবলার চরে রাস উৎসবে সোমবার সকালে পুণ্যস্নান করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। ছবি: নিউজবাংলা
বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা সদর থেকে সুন্দরবনের দুবলার চরের দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিলোমিটার। জলপথে এই দূরত্ব পাড়ি দিয়ে এবারের রাস উৎসবে ২৫ হাজারের বেশি সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেন।

বঙ্গোপসাগরের নোনা জলে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে সুন্দরবনের দুবলার চরের রাস উৎসব। সোমবার সকালে স্নান ও পূজা-অর্চনার পরই এবারের মিলন মেলায় সমাপ্তি টানা হয়। এর আগে শনিবার শুরু হয় রাস পূজা।

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা সদর থেকে সুন্দরবনের দুবলার চরের দূরত্ব প্রায় ৮৫ কিলোমিটার। জলপথে এই দূরত্ব পাড়ি দিয়ে এবারের রাস উৎসবে ২৫ হাজারের বেশি সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করেন।

রাস পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ বসু সন্তু এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘খুবই শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব শেষ হয়েছে। পুণ্যার্থীরা নির্বিঘ্নে পূজা-অর্চনা ও পুণ্যস্নান করেছেন। তবে ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের দাবি অনুযায়ী পূজার পাশাপাশি আগের মতো কবিগান, শাস্ত্রীয় গান ও ধর্মীয় আলোচনার ব্যবস্থা থাকলে আরও ভাল হতো।’

রাস পূজায় অংশ নেয়া অর্ণব তালুকদার বলেন, ‘প্রথমবার রাসে এসেছি। খুবই ভাল লেগেছে। তবে একটু কবিগান ও শাস্ত্রীয় গানের ব্যবস্থা থাকলে আয়োজন পূর্ণাঙ্গ হতো।’

খুলনার রূপসা এলাকার কাকলী দেবনাথ বলেন, ‘লঞ্চে যাত্রা ও থাকায় কিছুটা কষ্ট হলেও সার্বিক ব্যবস্থা ছিল খুব ভাল। আমাদের খুব ভাল লেগেছে। আবারও এই আয়োজনে আসার ইচ্ছে আছে।’

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মো. নূরুল করিম বলেন, ‘রাস পূজা উপলক্ষে বন বিভাগের টহল জোরদার করা হয়েছিল। সবকিছু সঠিকভাবেই হয়েছে। কোনোরকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’

প্রসঙ্গত, দুবলার চরের রাস উৎসব নিয়ে নানা মত প্রচলিত আছে। জানা গেছে, ঠাকুর হরিচাঁদের অনুসারী হরি ভজন নামে এক হিন্দু সাধু মেলার শুরু করেছিলেন ১৯২৩ সালে। এই সাধু চব্বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সুন্দরবনে গাছের ফল-মূল খেয়ে জীবন ধারণ করেন।

আবার কারও কারও মতে, শারদীয় দুর্গোৎসবের পর পূর্ণিমার রাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে রাস নৃত্যে মেতেছিলেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অবতার শ্রীকৃষ্ণ। এটিকে স্মরণ করেই দুবলায় আয়োজিত হয়ে আসছে রাস উৎসব।

অনেকে এটাও মনে করেন, শ্রীকৃষ্ণ কোনো এক পূর্ণিমা তিথিতে পাপ মোচন ও পুণ্যলাভে গঙ্গাস্নানের স্বপ্নাদেশ পান। তার স্বপ্নাদেশকে সম্মান জানাতে প্রতিবছর দুবলার চরে বসে রাসমেলা।

মন্তব্য

জীবনযাপন
Winter skin care for boys

শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন

শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্ন প্রতীকী ছবি
অনেকে শীতে কম পানি পান করে থাকেন। মনে রাখতে হবে ত্বকের যত্নে পানির কোনো বিকল্প নেই। শীতের সময় বরং আরও বেশি পানি পান করতে হবে।

শীতের সময়ে ত্বকের দরকার একটু আলাদা যত্ন। বেশিরভাগ সময়ে ছেলেরা তাদের ত্বকের ব্যাপারে উদাসীন হয়। যার ফলে অল্প বয়সেই চেহারায় বেশি বয়সের ছাপ পড়ে। সাধারণত হঠাৎ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় ত্বকের সহনশীলতা বদলে যায়। ফলে দেখা দেয় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। তবে শীতে ছেলেদের ত্বকের যত্নে প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ জানিয়েছে বার্তা সংস্থা ইউএনবি।

১. শেভ করার ফলে এমনিতেই চামড়ায় আলাদা একটি চাপ পড়ে। আর শীতের সময় শেভ করলে ছেলেদের ত্বক বেশ খসখসে হয়ে যায়। তাই উন্নত মানের শেভিং ক্রিম ব্যবহার করতে হবে।

২. শেভ করার পর অবশ্যই মুখে আফটার শেভ ব্যবহার করতে হবে। এতে করে ত্বককে রুক্ষতার হাত থেকে রক্ষা করা যাবে।

৩. যাদের ত্বক তৈলাক্ত তাদের ওয়েল ফ্রি ফেইস ওয়াশ ও সাবান ব্যবহার করতে হবে। কারণ অতিরিক্ত তেলের কারণে চেহারায় ধুলো ময়লা বেশি জমতে পারে।

৪. রোদে চলাচলের ক্ষেত্রে সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে।

৫. গোসলের ক্ষেত্রে গরম পানি ব্যাবহারের প্রয়োজন হলে কুসুম গরম পানিতে গোসল সেরে ফেলতে পারেন।

৬. গোসলের পর গায়ে লোশন মাখতে হবে। এতে ত্বকের মসৃণতা সারাদিনের জন্য বজায় থাকবে।

৭. দিনের মধ্যে কয়েক বার মুখ ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে চেহারায় অতিরিক্ত ময়লা জমতে পারবে না।

৮. মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বকের কোমলতা ঠিক থাকবে।

৯. অনেকে শীতে কম পানি পান করে থাকেন। মনে রাখতে হবে ত্বকের যত্নে পানির কোনো বিকল্প নেই। শীতের সময় বরং আরও বেশি পানি পান করতে হবে।

১০. শীতকালে বেশি করে শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে ত্বকের সতেজতা বজায় থাকবে।

১১. ফল বরাবরই ত্বকের জন্য অনেক উপকারি। তাই প্রতিদিন একটি করে হলেও মৌসুমি ফল খেতে হবে।

আরও পড়ুন:
গরমে ত্বকের যত্ন
ত্বকীর হত্যাকারীরা শীতলক্ষ্যাকে লাশের নদী বানাচ্ছে: আনু মুহাম্মদ
ব্ল্যাকহেডস দূর করার উপায়
‘হঠাৎ এমন কুয়াশা মাঘের শীতকে মনে করিয়ে দেয়’
গাইবান্ধার ৫ শতাধিক পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ

মন্তব্য

জীবনযাপন
You can easily make delicious winter steamed puli pitha

খুব সহজেই বানাতে পারেন মজাদার ভাপা পুলি পিঠা

খুব সহজেই বানাতে পারেন মজাদার ভাপা পুলি পিঠা মজাদার ভাপা পুলি পিঠা। ছবি: সংগৃহীত
নারকেল গুঁড় ও তিল এক সঙ্গে জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করে নিন। পুর ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার চুলায় পরিমাণমতো পানি ও লবণ দিন। ফুটে উঠলে ২ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে চালের গুঁড়া ও ময়দা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন অল্প আঁচে। সেদ্ধ হলে নামিয়ে ভালো করে মথে নিন। এবার কাই থেকে লুচির মতো বেলে ভেতর পুর দিয়ে কোনাগুলো ভালো করে চেপে মুড়ে দিন। চাইলে সুন্দর নকশাও করে দিতে পারেন। এবার হাঁড়িতে পানি দিয়ে ফুটে উঠলে বাঁশের চালনি বসিয়ে দিন। এই চালনিতে পিঠা দিয়ে ঢেকে ভাপ দিয়ে নিন। স্টিমারেও স্টিম দিতে পারেন। স্টিম করতে পারেন রাইস কুকারেও। পিঠা সেদ্ধ হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।

পিঠা বাঙালির জীবন ও সংস্কৃতির একটি অংশ। বেশিরভাগ পিঠাই মৌসুমী। বিশেষ করে শীতের মৌসুমেই ঘরে ঘরে পিঠা তৈরি করা হয়। ইউএনবির শীতের মজাদার ভাপা পুলি পিঠা তৈরির রেসিপি তুলে ধরা হলো নিউজবাংলার পাঠকদের জন্য।

উপকরণ

১. চালের গুঁড়া আধা কেজি

২. ময়দা ৩ টেবিল চামচ পানি পরিমাণমতো

৩. লবণ সামান্য

৪. নারকেল কোড়ানো দেড় কাপ

৫. খেঁজুরের গুঁড় বা চিনি দেড় কাপ

৬. সাদা তিল ভেজে গুঁড়া করা আধা কাপ

৭. ঘি ২ টেবিল চামচ

প্রস্তুত প্রণালি

নারকেল গুঁড় ও তিল এক সঙ্গে জ্বাল দিয়ে পুর তৈরি করে নিন। পুর ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার চুলায় পরিমাণমতো পানি ও লবণ দিন। ফুটে উঠলে ২ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে চালের গুঁড়া ও ময়দা দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন অল্প আঁচে। সেদ্ধ হলে নামিয়ে ভালো করে মথে নিন। এবার কাই থেকে লুচির মতো বেলে ভেতর পুর দিয়ে কোনাগুলো ভালো করে চেপে মুড়ে দিন। চাইলে সুন্দর নকশাও করে দিতে পারেন। এবার হাঁড়িতে পানি দিয়ে ফুটে উঠলে বাঁশের চালনি বসিয়ে দিন। এই চালনিতে পিঠা দিয়ে ঢেকে ভাপ দিয়ে নিন। স্টিমারেও স্টিম দিতে পারেন। স্টিম করতে পারেন রাইস কুকারেও। পিঠা সেদ্ধ হয়ে গেলে গরম গরম পরিবেশন করুন।

আরও পড়ুন:
সুইজারল্যান্ডে বাঙালির পিঠা উৎসব
ভাপা পিঠার দাম ৫ হাজার টাকা
টোপায় ভাগ্য ফিরল আফরোজার
বারোমাসি পিঠার দোকানে বাজিমাত সুলতানের
তালের রাজ্যে পিঠার উৎসব

মন্তব্য

জীবনযাপন
Biswa Ijtema begins on February 2

বিশ্ব ইজতেমা শুরু ২ ফেব্রুয়ারি

বিশ্ব ইজতেমা শুরু ২ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের একাংশ। ফাইল ছবি
টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হবে ২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি। আর ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

পবিত্র হজের পর বিশ্ব মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় জমায়েত বিশ্ব ইজতেমা আয়োজনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে তাবলিগ জামাতের এই বার্ষিক আয়োজন গত কয়েক বছরের মতো এবারও দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হবে।

ইজতেমার প্রথম পর্ব ২০২৪ সালের ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রথম পর্বের ইজতেমায় আলমী শুরাপন্থী মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা অংশ নেবেন। তিন দিনব্যাপী প্রথম পর্বটি ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে।

আর ৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এই পর্ব। দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন ভারতের মাওলানা সাদের অনুসারীরা।

রাজধানী ঢাকা থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশাল ময়দানে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ১৯৬৭ সাল থেকে। ২০১১ সাল থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ইজতেমায় ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’ ইবিট লিও
ইজতেমার দ্বিতীয় দিনে চলছে জিকির ও বয়ান
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে মৃত্যু ৫ মুসল্লির
ইজতেমায় দেশের বৃহত্তম জুমার জামাতে লাখো মুসল্লি
ইজতেমায় জুমার নামাজ: টঙ্গীতে মুসল্লিদের ঢল

মন্তব্য

p
উপরে