ব্ল্যাকহোল! কত্ত কঠিন নাম তাই না? বাংলায় যার অর্থ কৃষ্ণগহ্বর। নামের মতোই রহস্যময় এই ব্ল্যাকহোল। তোমরা কি জানো ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর কাকে বলে? বিজ্ঞানের এই কঠিন কঠিন বিষয় নাও জানতে পারো।
ধরে নাও ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর মহাকাশের একটি বিন্দু। যেটি অনেক ঘন এবং এর আছে গভীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। তা এতটাই শক্তিশালী যে, আলোও সেখান থেকে বের হতে পারে না। মানে ব্ল্যাকহোলের অঞ্চলে প্রবেশ করলে সেখান থেকে কোনো কিছুই আর বের হয়ে আসতে পারে না।
মহাকাশে চার ধরনের ব্ল্যাকহোল রয়েছে। এগুলো হলো স্টেলার, ইন্টারমিডিয়েট, সুপারম্যাসিভ ও মিনিচার ব্ল্যাকহোল।
এখন তোমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ব্ল্যাকহোলের জন্ম হয় কিভাবে? এই প্রশ্নের সবচেয়ে পরিচিত ও সাধারণ উত্তর হলো তারা বা নক্ষত্রের মৃত্যু। মানে তারার মৃত্যুর মাধ্যমে ব্ল্যাকহোলের জন্ম হয়। একটি তারা জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ফুলে ওঠে, ভর হারায়। মৃত তারাগুলো সুপার-ঘন নিউট্রন বা তথাকথিত স্টেলার ব্ল্যাকহোলে পরিণত হয়, যা সূর্যের চেয়ে কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ গুণ বড় হয়।
চূড়ান্ত পর্যায়ে বিশাল তারাগুলো সুপারনোভা বিস্ফোরণের মাধ্যমে ধাক্কা দিয়ে বেরিয়ে যায়। এই ধরনের বিস্ফোরিত তারাটি মহাকাশের বাইরে ও স্টেলার কেন্দ্রের পেছনে চলে যায়। তারাটি জীবিত থাকাকালীন নিউক্লিয়ার ফিউশন বাহ্যিক ধাক্কা তৈরি করে, যা তারার নিজস্ব ভর থেকে মাধ্যাকর্ষণের অভ্যন্তরীণ টানের ভারসাম্য বজায় রাখে। একটি তারার অবশিষ্টাংশ সুপারনোভার সেই মাধ্যাকর্ষণ মোকাবিলার আর কোনো শক্তি থাকে না। তাই তারার কেন্দ্রটি নিজেই ভেঙে পড়তে শুরু করে। আর যদি এর ভর একটি অসীম ছোট বিন্দুতে পতিত হয়, তাহলে ব্ল্যাকহোলের জন্ম হয়। এই নক্ষত্র-ভরের হাজার হাজার ব্ল্যাকহোল আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে।
একটি ব্ল্যাকহোল অন্যটির মতো নয়
আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার সাধারণ তত্ত্ব দ্বারা ভবিষ্যদ্বাণী করা সেই সুপারম্যাসিভ ব্ল্যাকহোলগুলো বিলিয়ন সূর্যের সমান হতে পারে। এই মহাজাগতিক দানবগুলোর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছায়াপথের কেন্দ্রে থাকে। মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে একটি বিশাল ব্ল্যাকহোল আছে, যা আমাদের সূর্যের চেয়ে চার মিলিয়ন গুণেরও বেশি বড়। ওর নাম স্যাজিটারিয়াস এ স্টার।
ব্ল্যাকহোল পরিবারের ক্ষুদ্রতম সদস্যরা এখন পর্যন্ত তাত্ত্বিক। প্রায় ১৩.৭ বিলিয়ন বছর আগে মহাবিস্ফোরণের মাধ্যমে মহাবিশ্ব গঠিত হওয়ার পরপরই অন্ধকারের এই ছোট ঘূর্ণিগুলো আবর্তিত হয়েছিল এবং তারপর দ্রুত বাষ্পীভূত হয়েছিল। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আরও মনে করেন, ইন্টারমিডিয়েট-মাস নামক একশ্রেণির বস্তু মহাবিশ্বে বিদ্যমান। যদিও এর প্রমাণ এখনও পর্যন্ত বিতর্কিত।
তাদের শুরুর আকার যাই হোক না কেন, ব্ল্যাকহোলগুলো সারাজীবন ধরে বাড়তে পারে। আসলে এই ব্ল্যাকহোলগুলো মহাকাশের এমন একটি জায়গা, যেখানে কোনো কিছু ঢুকলে আর কখনোই ফিরে আসবে না। এমনকি এই ব্ল্যাকহোল নামক জায়গা থেকে আলোকরশ্মিও কখনো ফিরে আসবে না। এটা সবকিছুকে নিজের দিকে টানে। এর মধ্যে আছে অত্যন্ত বেশি ভরবিশিষ্ট কিছু বস্তু, যেগুলোর ভরের কারণে অত্যন্ত তীব্র মহাকর্ষীয় শক্তি উৎপন্ন হয়।
অন্ধকারে উঁকি
যেহেতু ব্ল্যাকহোলগুলো সব আলো গিলে ফেলে। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা আকাশের অনেক চকচকে মহাজাগতিক বস্তুর মতো তাদের সরাসরি চিহ্নিত করতে পারেন না। তবে কয়েকটি বিষয় আছে, যা একটি ব্ল্যাকহোলের উপস্থিতি প্রকাশ করে।
যেমন- একটি ব্ল্যাকহোলের তীব্র মাধ্যাকর্ষণ শক্তি আশপাশের যেকোনো বস্তুকে নিজের দিকে টান দেয়। এতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা কাছাকাছি লুকিয়ে থাকা অদৃশ্য এ দৈত্যের উপস্থিতি অনুমান করতে এই অনিয়মিত গতিবিধি ব্যবহার করে। অথবা বস্তুগুলো একটি ব্ল্যাকহোলকে প্রদক্ষিণ করতে পারে। এতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এমন নক্ষত্রগুলোর সন্ধান করতে পারেন, যেগুলো সম্ভাব্য ব্ল্যাকহোল চিহ্নিত করতে কিছুই প্রদক্ষিণ করে না। এভাবেই ২০০০ দশকের শুরুর দিকে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ‘স্যাজিটারিয়াস এ স্টারকে ব্ল্যাকহোল হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক
শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হলো সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব।
উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় ১৩টি পর্বে শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের উপযোগী করে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজ তথা ইশারা ভাষা যুক্ত করে নতুনভাবে তৈরি করেছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)।
সিসিমপুরের পর্বগুলোকে ইশারা ভাষায় রূপান্তরে সহযোগিতা করেছে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন সোসাইটি অব দ্য ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল)।
২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।
বিশেষ এই উদ্যোগ সম্পর্কে সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘সিসিমপুরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সিসিমপুরের ১০টি গল্পের বই ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি ও শিশুদের মাঝে বিতরণ করেছি। এবার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নিয়ে আসছি ১৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর।
‘ধারাবাহিকভাবে পর্বের সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে আছে আমাদের। আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ইউএসএআইডি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’
এক লোককে থানায় ধরে আনা হলো।
ওসি: আপনাকে আজ রাতে থানায় থাকতে হবে।
ভদ্রলোক: চার্জ কী?
ওসি: কোনো চার্জ দিতে হবে না, ফ্রি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে ২৫ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, '৫০০ টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পারো তো জেলে যাও।' সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।
এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তুখোড় বুদ্ধি উকিল এসে বললেন, 'ওই ১০০ টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।'
চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, 'আমায় বাঁচিয়ে দিন।'
উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পারো, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"
চাষা বলল, 'আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজি।'
আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি সাত বছর আগে ২৫ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?'
চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'খবরদার!- বল, নিয়েছিলি কি না।'
চাষা বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'হুজুর! আসামির বেয়াদবি দেখুন।'
হাকিম রেগে বললেন, 'ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমই ফাটক দেব।'
চাষা অত্যন্ত ভয় পেয়ে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, 'ব্যা- ব্যা- '।
হাকিম বললেন, 'লোকটা কি পাগল নাকি?'
তখন চাষার উকিল উঠে বললেন, "হুজুর, ও কি আজকের পাগল- ও বহুকালের পাগল, জন্ম-অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকি? আর পাগলের খত লিখলেই বা কী? দেখুন দেখুন, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে করে জেনেশুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেওয়ার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, 'এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে'- পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!"
দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল।
হাকিম খানিক শুনেটুনে বললেন, 'মোকদ্দমা ডিসমিস্।'
মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বললেন, 'আচ্ছা, না হয় তোর ৪০০ টাকা ছেড়েই দিলাম- ওই ১০০ টাকাই দে।'
চাষা বলল, 'ব্যা-!'
মহাজন যতই বলেন, যতই বোঝান, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগেমেগে বলে গেল, 'দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন করে হজম করিস।'
চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, 'যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। ১০০ টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।'
চাষা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, 'ব্যা-।'
উকিল বললেন, 'বাপু হে, ওসব চালাকি খাটবে না- টাকাটি এখন বের করো।'
চাষা বোকার মতো মুখ করে আবার বলল, 'ব্যা-।'
উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, 'হতভাগা গোমুখ্যু পাড়া গেঁয়ে ভূত- তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি, কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হলে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।'
বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হলো না।
আরও পড়ুন:এক ফটো সাংবাদিক রাস্তায় বাচ্চাদের ছবি তুলছেন। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে বললেন, স্মাইল।
ইসমাইল: জি স্যার?
সাংবাদিক: আরে তুমি দাঁড়াচ্ছ কেন? বসো।
ইসমাইল: ঠিক আছে।
সাংবাদিক: ওকে রেডি, স্মাইল।
ইসমাইল: ডাকলেন কেন স্যার?
সাংবাদিক: আরে বাবা তোমার সমস্যাটা কী? স্মাইল বললেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছ কেন?
ইসমাইল: আমি তো বসেই আছি। আপনি আমার নাম ধরে ডাকেন বলেই দাঁড়িয়ে যাই।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:মেয়ে: আলুর তরকারিটার স্বাদ কেমন হয়েছে?
বাবা: দারুণ স্বাদ হয়েছে। তুই রান্না করেছিস নাকি?
মেয়ে: না, আলু আমি ছিলেছি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
স্ত্রী: কি ব্যাপার, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?
ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা লাগছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
এক যুবক নতুন চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন অফিসে এসেই কিচেনে ফোন করে বলল, ‘এখনি আমাকে এককাপ কফি দিয়ে যাও! জলদি!’
অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল, ‘গর্দভ, তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?’
যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল, ‘না! আপনি কে?’
‘আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর’, রাগী গলায় উত্তর এল।
যুবকটি বলল, ‘আর আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন?’
‘না’, ওপার থেকে উত্তর এল।
‘বাবারে! বাঁচা গেছে’, বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
মন্তব্য