কোনো এক দেশের নবাব খেতে বসেছেন। বকের মাংস দিয়ে ভাত খাবেন। রান্না বেশ ভালো হয়েছে।
প্রথমে তিনি একখানা রান খেলেন। দারুণ স্বাদ। তখন আরও একখানা রান পাতে তুলে দিতে বললেন।
কিন্তু রান্না করার সময় মাংসের চমৎকার ঘ্রাণে বাবুর্চি লোভ সামলাতে না পেরে একখানা রান খেয়ে ফেলেছেন।
তাই ভয়ে, আতঙ্কে কাঁপতে কাঁপতে বাবুর্চি বললেন: হুজুর, ওটা তো বক পাখি ছিল। বক পাখির একখানা পা থাকে। তাই একখানা পা-ই রান্না করেছি।
নবাব সাহেব বাবুর্চির কথা শুনে রেগে লাল হয়ে গেলেন। বললেন: ছোঁচা, তুই কোন সাহসে একখানা রান খেয়ে ফেলে এখন মিথ্যা কথা বলছিস?
বাবুর্চি: না হুজুর, আমি এক তিলও মিথ্যে বলিনি। বক বড়ো হলে তার একখানা পা-ই থাকে। আমার সঙ্গে বিলের ধারে চলুন, দেখবেন, বক সব এক পায়ে দাঁড়িয়ে।
নবাব, একটু মুচকি হেসে খাওয়া শেষ করলেন। তারপর, পাইক বরকন্দাজসহ বাবুর্চিকে নিয়ে বিলের দিকে চললেন। বিলের ধারে যেতেই বাবুর্চি চিৎকার দিয়ে বলল: হুজুর, ওই দেখুন, ডানদিকে ঝোপের ছায়ায় একটা একপেয়ে বক।
নবাব হাসলেন। তবে কোনো শব্দ করলেন না। তারপর জোরে দুই-তিনবার হাততালি দিলেন। ঘাসের ঝোপের ছায়ায় আরামে ঝিমুতে থাকা বকটি হাততালির শব্দে ভয় পেয়ে উড়াল দিল। আর তখনই তার দুই খানা পা বেরিয়ে পড়ল।
নবাব এবার অট্টহাসি দিয়ে বললেন: কি হে বাবুর্চি, বকের তো দেখি দুই খানাই পা!
বাবুর্চি: হুজুর, আপনি হাততালি দেয়াতেই দুই খানা পা বেরুল! ইস! সেদিন খাবার সময় কেন যে হাততালি দিলেন না, হুজুর! দিলেই দুই খানা রান পাওয়া যেত।
নবাব বেশ মজা পাচ্ছিলেন। পরিস্থিতিটা তিনি উপভোগও করছিলেন। তাই হাসতে হাসতে বললেন: আমি কি জানতাম যে, হাততালি দিলেই দুই খানা রান পাব? জানলে কি আর হাততালি না দিতাম। কিন্তু বাবুর্চি, আমি না হয় বোকার মতো হাততালি দেইনি, তুমি তো দিতে পারতে। তাহলে তো আমি দুই খানা রানই খেতে পারতাম!
বাবুর্চি: হুজুর, আমার কি অতটুকু বুদ্ধিও নেই! হাততালি দিলে পাতের বকটা উড়ে যেত না। তবু তো হুজুরকে একখানা রান খাওয়াতে পেরেছি। উড়ে গেলে তো তাও খাওয়াতে পারতাম না। আমার জন্য সে যে বড়ো কষ্টের ব্যাপার হতো! আর আপনাকে মাংস ছাড়া খানা আমি কোন মুখে খাওয়াতাম?
আরও পড়ুন:স্কুলে পরিদর্শক এসেছেন। ছাত্রদের মেধা যাচাই করতে ক্লাসে ঢুকে তিনি প্রশ্ন করলেন-
পরিদর্শক: আচ্ছা বলো তো, টুইন টাওয়ার কে ভেঙেছিল?
ছাত্ররা: আমরা ভাঙিনি স্যার।
পাশে দাঁড়ানো শিক্ষক: স্যার, যে-ই ভেঙে থাকুক, ফাজিলের দল স্বীকার করবে না।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
আমাদের পরিচিত পশুপাখিগুলো যদি হঠাৎ করে আকারে অনেক বড় হয়ে যায়, তাহলে কেমন হবে?
নিশ্চয়ই ব্যাপারটা খুব অদ্ভুত হবে, তাই না।
ফটোশপ অ্যাপস ব্যবহার করে একদল শিল্পী এ কাজটাই করেছেন। বড় করে ফেলেছেন হাঁস, বিড়াল, জিরাফসহ আরও অনেক পশুপাখিকে। চলো তাদের ছবিগুলো দেখে নিই।
শিক্ষক: মনে করো সাগরের মাঝখানে একটা লেবুগাছ। তুমি কীভাবে সেই গাছ থেকে লেবু পেড়ে আনবে?
বনি: পাখি হয়ে উড়ে যাব স্যার! তারপর লেবু পেড়ে আনব।
শিক্ষক: কী উল্টোপাল্টা বলছিস! মানুষ কখনো পাখি হয় নাকি?
বনি: উল্টোপাল্টা কথা তো আপনিই শুরু করলেন স্যার। আগে বলুন, সাগরের মাঝখানে লেবুগাছ হয় নাকি?
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:১. সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহের নাম মঙ্গল গ্রহ। ইংরেজিতে এর নাম মার্স। রোমান যুদ্ধের দেবীর নাম অনুসারে এই নাম রাখা হয়েছে।
২. মঙ্গল গ্রহকে লাল গ্রহও বলা হয়। কারণ এটা দেখতে লাল। মঙ্গলের মাটিতে আয়রন অক্সাইড নামের পদার্থ থাকার কারণে এটাকে লাল দেখায়।
৩. আকারের দিক থেকে মঙ্গল সৌরজগতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম গ্রহ। সবচেয়ে ক্ষুদ্র গ্রহের নাম বুধ। মঙ্গলের ব্যাস প্রায় ৬ হাজার ৭৯১ কিলোমিটার। এটা আকারে পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক।
৪. মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়া বেশ ঠান্ডা। বিষুব রেখায় তাপমাত্র ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড উঠলেও মেরু অঞ্চলে তাপমাত্রা থাকে সাধারণত মাইনাস ১৪০ ডিগ্রি।
৫. সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পর্বত আছে মঙ্গলে। এর অলিম্পাস মন্স পর্বতটি আমাদের এভারেস্ট পর্বতের চেয়ে তিন গুণ উঁচু।
৬. মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর চেয়ে তিন গুণ কম। তাই পৃথিবীতে লাফ দিয়ে তুমি যতটুকু উঁচুতে উঠতে পারো, মঙ্গলে তার চেয়ে তিনগুণ বেশি উচ্চতায় উঠতে পারবে।
৭. পৃথিবীর চাঁদ একটি, কিন্তু মঙ্গল গ্রহের চাঁদ দুটি। ওদের নাম ফোবোস ও ডিমোস।
৮. মঙ্গল গ্রহে ২৪ ঘণ্টা ৩৭ মিনিটে এক দিন হয়। এক বছর হতে পৃথিবীর ৬৮৭ দিন সময় লাগে।
৯. মঙ্গল গ্রহের বাতাস পৃথিবীর চেয়ে হালকা। ওখানকার বাতাসে অক্সিজেন নেই বললেই চলে। তার বদলে আছে কার্বন ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ও আর্গন। পৃথিবীর মতো মঙ্গল গ্রহেও ঋতু পরিবর্তন হয়।
আরও পড়ুন:ছেলে: জানো বাবা, গতকাল না আমি রাত ২টা পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি।
বাবা: মিথ্যা কথা বলছ কেন? গতকাল রাত ১২টা থেকে তো লোডশেডিং ছিল।
ছেলে: ওহ, তাই না কি! আসলে আমি পড়াশোনায় এতই মনোযোগী ছিলাম যে টেরই পাইনি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
বাবা: সব কিছুতে তর্ক করিস না। আমি কি তোর থেকে কম জানি?
ছেলে: বাবারা কি সব কিছুই ছেলের থেকে বেশি জানেন?
বাবা: অবশ্যই।
ছেলে: বলো তো, মাধ্যাকর্ষণ কে আবিষ্কার করছিল?
বাবা: নিউটন।
ছেলে: তাহলে নিউটনের বাবা ওটা আবিষ্কার করতে পারেননি কেন?
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:রেলগাড়ি কই যাবে?
থামো দেখি ফের।
থামব না থামব না
কাজ আছে ঢের।
-
কই যাবে রেলগাড়ি
দূরে কতদূর?
যাব আজ ঢাকা হতে
ওই রংপুর।
-
লোকজন ঢের আছে
সময় তো নাই
যাই তবে আজ। পরে
কথা হবে ভাই।
-
যাও তবে রেলগাড়ি
সাবধানে যেও,
পরে যদি আসো তুমি
আমাকেও নিয়ো।
-
ছড়াটি পাঠিয়েছে ফকিরপাড়া, দিনাজপুর থেকে আমাদের বন্ধু শাকিব হুসাইন।
বন্ধুরা, তোমরাও ছবি ছড়া লিখতে পারো, তবে পাঠিয়ে দাও আমাদের কাছে। ঠিকানা: [email protected]
মন্তব্য