মেরু ভালুককে তোমরা তো চেনোই। ধবধবে সাদা শরীর। বরফের দেশে বাস করে। মাছ শিকার করে খায়।
বরফের দেশের আরেক বাসিন্দা পেঙ্গুইন। ওদের কিন্তু কোট পরা ভদ্রলোকও বলে।
ছবিতে একটি মেরু ভালুক আর কয়েকটি পেঙ্গুইন দেখতে পাচ্ছ।
দারুণ দৃশ্য, তাই না?-
এই সুন্দর দৃশ্যে একটি বিরাট ভুল আছে। একটু খেয়াল করলে তোমরা সেই ভুলটা ধরতে পারবে। চেষ্টা করে দেখ তো, ধরতে পারো কি না।
সময় কিন্তু মাত্র ১ মিনিট।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও কুইজ বানিয়ে আমাদের কাছে পাঠাতে পারো। কুইজের সঙ্গে অবশ্যই তোমার নাম, স্কুলের নাম, কোন ক্লাসে পড় এবং আব্বু বা আম্মুর ফোন নম্বর দেবে।
পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
উত্তর দেখতে নিচের ছবিতে চোখ বুলিয়ে নাও।
মেরু ভালুক উত্তর মেরুতে আর পেঙ্গুইন দক্ষিণ মেরুতে বাস করে। প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের একসঙ্গে হবার উপায় নেই।
আরও পড়ুন:ভালুক নিয়ে কিছু বলতে বললে তোমরা নিশ্চয়ই বলবে, ভালুক বড়, পশমযুক্ত স্তন্যপায়ী প্রাণী। তাদের বড় মাথার খুলি এবং শক্ত চোয়াল রয়েছে। আরও বলবে, বিশ্বের অনেক জায়গায় বিভিন্ন ধরনের ভালুক পাওয়া যায়। কিন্তু তোমরা কি জানো একটি ভালুক কীভাবে দিন কাটায় বা কীভাবে ভালুকের জীবন কাটে? চলো দেখে নিই।
-
ভালুক সর্বভুক
সর্বভুক প্রাণীরা মাংস এবং উদ্ভিদ উভয়ই খায়। ভালুকও তাই। কিন্তু তোমরা কি জানতে, একটি বাদামি ভালুক দিনে ৪০ কেজি পর্যন্ত খাবার খেতে পারে! একবার ভেবে দেখো তো এই পরিমাণ খাবার খেতে তাকে কত সময় চিবাতে হয়?
-
বাচ্চার যত্ন নেয়
ভালুক বাচ্চাকে খুব যত্নে লালন-পালন করে। তবে ভালুকের বাচ্চা কিন্তু খুব অলস হয়। ওরা এতটাই অলস যে মায়ের পিঠে চড়ে ঘুরে বেড়ায়।
-
সাঁতার কাটতে পারে
তোমাদের নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে, এত বড় প্রাণী আবার কীভাবে সাঁতার কাটবে? হ্যাঁ, অবাক করার মতো বিষয় হলেও এটা সত্যি যে ভালুক সাঁতার কাটতে পারে। তবে সব ভালুক নয়, মেরু ভালুক ভালো সাঁতারু। মাছ শিকার করতে মেরু ভালুক পানিতে ডুব দেয়। একটি মেরু ভালুকের সামনের পাঞ্জায় বা থাবায় জালের মতো থাকে, যা তাকে সাঁতার কাটতে সাহায্য করে।
হাইবারনেট বা শীতযাপন
এর মানে কিছু ভালুক শীতের বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটায়। কিন্তু তার আগে বাড়িটিকে খাবারে পূর্ণ করে রাখে। আর ভালুকের শীতকালীন বাড়িকে ‘ডেন’ বলা হয়।
-
এগুলো কি জানতে?
ভালুকের চারটি পাঞ্জা বা থাবা থাকে। প্রতিটি থাবায় পাঁচটি ধারালো নখ রয়েছে। ভালুক গর্ত খুঁড়তে, মাছ ধরতে, শিকার করতে বা উঁচু কোথাও উঠতে তাদের পাঞ্জা ব্যবহার করে।
আরও পড়ুন:এক দুষ্টু ছেলে গেল আয়ুর্বেদ ডাক্তারকে জব্দ করতে…
রোগী: আমার সমস্যা হলো ঘুমালে চোখে দেখি না। কী করা যায়?
ডাক্তার: আপনি পাকা লাল মরিচের গুঁড়া পানি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে চোখে লাগান। তাহলে ঘুমালেও চোখে দেখতে পারবেন।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
শিক্ষক: বলতো মাছ কেন কথা বলতে পারে না?
ছাত্র: আপনাকে যদি পানিতে চুবিয়ে রাখা হয় তাহলে আপনি কি কথা বলতে পারবেন স্যার?
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অনেক অনেক আগের কথা। বহুদূরে ছিল একটা স্বপ্নপুরী। যেখানে পরিরা এসে মানুষের সঙ্গে গল্প করত। পাখিরা, মাছেরা কথা বলত। যেখানে ছিল বৃষ্টি গাছ। যে গাছের নিচে দাঁড়ালেই বৃষ্টি ঝরত আর সঙ্গে মিষ্টি সুবাস ছড়াত। সেখানে ছিল একটা সুখ নদী। যে নদীর পাশে বসে দুঃখের কথা কইলে, নদী তার দুঃখ দূর করে দিত।
সেই নদীর পাশেই ছিল একটা ছোট্ট গ্রাম। সেই গ্রামে থাকত সিন্ড্রেলা নামের এক ছোট্ট মেয়ে। সবাই ওকে খুব আদর করত। নিজের ঘরে ডেকে খাওয়াত। সে যে ভারি লক্ষ্মী মেয়ে।
সারা দিন ঘুরত। প্রজাপতিদের সঙ্গে নাচত। বনের পাখির সঙ্গে গাইত। কি মধুর তার কণ্ঠ। তার গান শুনে বনের সব গাছের পাতা নাচত। জলের মাছ ডাঙায় উঠে সে গান শুনত।
সন্ধ্যাবেলায় আকাশের পরিরা এসে গল্প করত তার সঙ্গে। আর নিয়ে আসত কত্ত আজব আজব উপহার। সেসব পেয়ে খিলখিলিয়ে হাসত সিন্ড্রেলা।
একদিন সুখ নদীর পাশে বসে একমনে কাঁদতে লাগল সিন্ড্রেলা। গাল বেয়ে টুপ করে এক ফোঁটা জল পড়ল সুখ নদীতে। সুখ নদী বলে উঠল, 'ওমা এ কি গো সিন্ড্রেলা, তোমার চোখে জল! কী দুঃখ তোমার? বলো আমায়। সব দূর করে দিব আমি।'
কাঁদতে কাঁদতে সিন্ড্রেলা বলল, 'আমার মা বড্ড অসুস্থ গো সুখ নদী। কেউ কইতে পারে না কী হয়েছে তার। ও পাড়ার দিদিমা বলেছে, মা নাকি বেশি দিন আর বাঁচবে না। মা না থাকলে আমার কী কোনো সুখ থাকবে বলো?'
সিন্ড্রেলার কান্না দেখে পুরো নদীর জল কেঁপে উঠল। মাছেরা সুখ নদীকে মিনতি করে বলল, 'ও গো সুখ নদী, তুমি তো সবাইকে সুখী কর। সিন্ড্রেলার মাকে তুমি ভালো করে দাও। নাইলে আমরা আর কোনো মানুষের জালে ধরা দেব না।'
বনের গাছেরা মাটিকে বলল, 'মাটি তুমি আমাদের সবাইকে বাঁচিয়ে রেখেছ। সিন্ড্রেলার মাকে তুমি বাঁচিয়ে দাও। নাইলে আমরা আর কোনো ফুল ফল দিব না।'
রাতে আলোচনা সভায় বসল সুখ নদী, বনের মাটি, বাতাস আর আকাশের পরিরা। সবাই এটা-সেটা অনেক ভেবে খুঁজে পেল সিন্ড্রেলার মাকে বাঁচানোর উপায়।
সিন্ড্রেলাকে ডেকে বলল, 'তোমার মাকে বাঁচানোর একটা উপায় আমরা পেয়েছি। কিন্তু কাজটা কঠিন।'
সিন্ড্রেলা কেঁদে কেঁদে বলল, 'বল কী সেই উপায়। মাকে বাঁচাতে আমি সব করতে পারব।'
'বেশ, তবে কাল ভোরে সূর্য মামা যখন পুব আকাশে উঁকি দিবে তখন একটা ফানুসে করে তোমায় উড়িয়ে দিবে। সে ফানুস যেখানে গিয়ে পড়বে, সেখানেই মিলবে তোমার মাকে বাঁচানোর উপায়'- বলল নদী।
ভোরবেলায় একটা বড় ফানুসে বসিয়ে সিন্ড্রেলাকে আকাশে উড়িয়ে দিলো সবাই। কাঁদল আকাশের পরি, গ্রামের মানুষ, নদী, গাছ, মাছ সবাই।
উড়তে উড়তে বহুদূর চলে গেল ফানুস। গিয়ে পড়ল অচেনা এক রাজ্যে। সেখানে ঘাসগুলো ফ্যাকাসে। গাছে নেই কোনো পাতা। নদীতে নেই জল।
হাঁটতে হাঁটতে এক বিরাট রাজ প্রাসাদের সামনে এসে দাঁড়াল সিন্ড্রেলা। অন্দরমহলে ঢুকে দেখল রাজা বসে কাঁদছে। তার কাছে গিয়ে বলল, 'আপনি কাঁদছেন কেন?'
রাজা মাথা তুলে দেখল লাল পেড়ে ঘিয়ে রঙের শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে আছে এক মেয়ে। বলল, 'কে তুমি মা? কোথায় থেকে এসেছ? আমার এই রাজ্যে যে সন্যাসীর অভিশাপ পড়েছে। তাই কোনো গাছে ফল নেই, নদীতে জল নেই। না খেতে পেরে আমার সব প্রজারা মরে যাচ্ছে। আমার একমাত্র নয়নের মণি রাজপুত্র সমরও পানির অভাবে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।'
'আমি পারব আপনার রাজ্যকে বাঁচাতে' – বলল সিন্ড্রেলা।
'কী বললে মা তুমি! তুমি পারবে? কী করে? কথা দিচ্ছি যদি তুমি সত্যি আমার রাজ্য, আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারো, যা চাও তাই পাবে'- বলল রাজা।
সিন্ড্রেলা বাইরে বেরিয়ে এলো। এসে গান গাওয়া শুরু করল। তার গান শুনে ঘাসগুলো সতেজ হয়ে গেল। গাছগুলো পাতায় পাতায় ভরে উঠল। নদী জলে ভরে গেল। সঙ্গে কত মাছ। জল খেয়ে বাঁচল রাজপুত্র সমরের প্রাণ।
সমরের সঙ্গে গল্প করতে করতে দুঃখের কথা বলল সিন্ড্রেলা। সমর বলল, 'আমি জানি কী করে তোমার মাকে বাঁচাবে।'
সিন্ড্রেলা বলল, 'কী করে? বলো আমায় সে উপায়।'
সমর বলল, 'এ রাজ্যের পূর্ব কোণে আছে এক বৃষ্টিগাছ। সে গাছের নিচে দাঁড়ালেই বৃষ্টি হয়। সেই বৃষ্টির জল যদি খাওয়াতে পারো তোমার মাকে, বাঁচবে তিনি।'
তারপর দুজন মিলে চলে গেল সে বৃষ্টিগাছের কাছে। শিশি ভরে নিলো সেই বৃষ্টির জল। তারপর রাজকুমার তার ঘোড়ায় চাপিয়ে সিন্ড্রেলাকে নিয়ে গেল তার মায়ের কাছে। বৃষ্টির জল খেয়ে সুস্থ হয়ে গেল সিন্ড্রেলার মা।
কয়েক বছর পর খবর পাঠিয়ে সিন্ড্রেলাকে রাজ পুত্রবধূ করে নিল রাজকুমার সমর।
আরও পড়ুন:ছাত্র: স্যার, আমার একটা প্রশ্ন আছে।
শিক্ষক: বলো।
ছাত্র: একজন শিক্ষক যদি সব সাবজেক্ট পড়াতে না পারে, তাহলে একজন ছাত্র কিভাবে সব সাবজেক্ট একাই পড়তে পারবে?
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
ছবিতে একটি ইঁদুর দেখতে পাচ্ছ?
ওর নাম জেরি। সারা সকাল সে কিছু খায়নি। তাই অনেক ক্ষিধে পেয়েছে ওর।
দূরে এক টুকরা পনির দেখা যাচ্ছে। সেখান থেকে দারুণ ঘ্রাণও আসছে। কিন্তু সে বুঝতে পারছে না কোন রাস্তা দিয়ে পনিরটার কাছে যাবে।
তোমরা কী জেরিকে সাহায্য করতে চাও?
যদি চাও, তাহলে এক্ষুনি ওকে পথ দেখিয়ে দাও। সময় মাত্র এক মিনিট।-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও কুইজ বানিয়ে আমাদের কাছে পাঠাতে পারো। কুইজের সঙ্গে অবশ্যই তোমার নাম, স্কুলের নাম, কোন ক্লাসে পড় এবং আব্বু বা আম্মুর ফোন নম্বর দেবে।
পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:স্কুলে পরিদর্শক এসেছেন। ছাত্রদের মেধা যাচাই করতে ক্লাসে ঢুকে তিনি প্রশ্ন করলেন-
পরিদর্শক: আচ্ছা বলো তো, টুইন টাওয়ার কে ভেঙেছিল?
ছাত্ররা: আমরা ভাঙিনি স্যার।
পাশে দাঁড়ানো শিক্ষক: স্যার, যে-ই ভেঙে থাকুক, ফাজিলের দল স্বীকার করবে না।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
মন্তব্য