সুনীল আকাশ। নীল পরি আকাশে উড়তে উড়তে ভাবল, নীল আকাশে আমাকে ঠিক মানাচ্ছে না। আমি সাদা পরি হব।
নীল পরি মন খারাপ করে রানি মার কাছে গেল। হাত জোর করে বলল, রানি মা, আপনি আমাকে সাদা পরি বানিয়ে দিন।
রানি মা বললেন, আমি পরিদের ইচ্ছা পূরণ করি। তার মানে এই নয়, সব ইচ্ছা পূরণ করব। তোমাকে সঠিক যুক্তি দিতে হবে। কেন তুমি সাদা পরি হতে চাও?
নীল পরি বলল, আমাদের পরি রাজ্যে একটাও সাদা পরি নেই। তা ছাড়া নীল আকাশে আমাকে ঠিক মানাচ্ছে না। সে জন্য আমি সাদা পরি হতে চাই।
রানি মা বললেন, ঠিক আছে। মুহূর্তেই নীল পরি ধবধবে সাদা পরি হয়ে গেল। সাদা পরি হাসতে হাসতে বলল, ধন্যবাদ রানি মা। এই বলে সাদা পরি আকাশে উড়াল দিল।
সাদা পরি আকাশে উড়তে উড়তে ভাবল, এখন নীল আকাশে আমাকে খুব মানাচ্ছে। সাদা মেঘেরা সাদা পরিকে বলল, বাহ! তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। সাদা পরি হাসল। কিছুক্ষণ পর তার মনে হলো- আমি সাদা পরি। কিন্তু মেঘগুলো সাদা কেন? এই মেঘ, তোমরা সাদা কেন? সাদা মেঘেরা অবাক হয়ে বলল, আশ্চর্য! আমরা তো আগে থেকেই সাদা। সাদা মেঘ বৃষ্টি হয়ে মাটিতে ঝরে পড়ে না। কালো মেঘ ঝরে পড়ে। তাই আমরা সাদা মেঘ। কেন তুমি আমাদের দেখতে পাওনি?
সাদা পরি বলল, আকাশে ওড়ার সময় এতই মগ্ন ছিলাম তোমাদের খেয়ালই করিনি। হঠাৎ পরির হিংসে হলো। সে বলল, না এই আকাশে আমি সাদা থাকব। আর কেউই সাদা থাকবে না।
সাদা পরি রানি মার কাছে ছুটে এলো। কাকুতি-মিনতি করে বলল, রানি মা, আকাশের সব সাদা মেঘগুলো কালো করে দিন।
রানি মা ঝাঁজালো কণ্ঠে বললেন, কেন? সাদা পরি বলল, ক্ষমা করবেন রানি মা। এই পরি রাজ্যে আমিই একমাত্র সাদা পরি। আমি চাই না আমার সঙ্গে আকাশের কারোর তুলনা চলুক।
সাদা পরি আর্তনাদ করতে লাগল। রানি মা দয়া করুন। রানি মা আবেগে আপ্লুত হয়ে বললেন, ঠিক আছে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সাদা মেঘগুলো কালো হয়ে গেল। অন্ধকারে ভরে উঠল আকাশ। পরি রাজ্যে সূর্যের আলো আসা বন্ধ হয়ে গেল। পরি প্রাসাদের সব আলো জ্বালিয়ে দেয়া হলো।
রানি মা চিন্তায় পড়ে গেলেন। কারণ তিনি একবার যে কাজ করেন সে কাজ দ্বিতীয়বার পরিবর্তন করতে পারেন না। সাদা পরির ওমন কথা রাখা তার ঠিক হয়নি। কিন্তু এখন কিছুই করার নেই। তবু রানি মা সবজান্তা পাখিকে জিজ্ঞেস করলেন, হে সবজান্তা পাখি, আকাশের কালো মেঘগুলো সাদা করে দেয়ার কোনো উপায় জানো?
সবজান্তা পাখি বলল, ক্ষমা করবেন রানি মা। আমি একটি উপায় জানি। কিন্তু কোনোভাবেই সেটি প্রকাশ করতে পারব না।
পরি রাজ্যে কান্নাকাটি শুরু হলো। হাহাকার পড়ে গেল। রানি মা প্রচণ্ড রেগে গেলেন এবং সাদা পরিকে পরি রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দিলেন।
সাদা পরি দিগ্বিদিক হারিয়ে পৃথিবীতে নেমে এলো। গাছের নিচে কয়েকজন শিশু বসে আছে। হাতে-পায়ে ধূলিকাঁদা মাখা। ওরা ভাগাভাগি করে রুটি খাচ্ছে। ওদের ঠোঁটে হাসি, চোখে হাসি, মুখে হাসি। সাদা পরি দূর থেকে এসব দেখছিল। সে অবাক হলো! মানুষগুলো এত অভাবী তবু এত সুখী। সাদা পরি এগিয়ে গেল। শিশুরা চমকে উঠল। কে গো তুমি? কই থেইকা আইছ?
সাদা পরি বলল, আমি পরি। আমি এমন একজন পরি ছিলাম যেকোনো কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারতাম না। পরি রানি আমার সব ইচ্ছা পূরণ করতেন। তার জন্য অনেক বড় ক্ষতি হলো। পরি রানি আমাকে রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দিলেন।
শিশুরা দুঃখ প্রকাশ করে বলল, আহ! পরি কষ্ট পেও না। আমরা ফুল বিক্রি করি। কোনো দিন খাইতে পাই। কোনো দিন পাই না। সাদা পরির চোখ ভিজে উঠল। ওমনি আকাশ থেকে সব কালো মেঘ সরে গেল।
রানি মা সবজান্তা পাখিকে জিজ্ঞেস করলেন, হে সবজান্তা পাখি, কী করে আকাশের কালো মেঘগুলো সাদা হয়ে গেল? সবজান্তা পাখি বলল, সাদা পরি অনুশোচনায় ভুগছে। তার চোখে অনুশোচনার অশ্রু ঝরছে। সবাই হাসি-আনন্দে সাদা পরিকে পরি রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে এলো।
আরও পড়ুন:গভীর বনের ধারে গাছগাছালি আর ঝোপঝাড়ে ঘেরা একটি পুকুর। সেই পুকুরে বাস করে এক কচ্ছপ, আর বড় একটি গাছের গোড়ার গর্তে এক শেয়াল। দুজনের মধ্যে ভারি বন্ধুত্ব।
এক দিনের কথা। তারা সুখ-দুঃখের গল্প করছিল। সেই মুহূর্তে আচমকা সেখানে লাফিয়ে পড়ল এক গেছো বাঘ। ক্ষিপ্রগতির ধূর্ত শেয়াল বাউলি মেরে সটকে পড়ল। কিন্তু চাকা লাগানো গোল চাকতির মতো কচ্ছপ তো গড়াতে গড়াতে পুকুরের দিকে যেতেই তার ওপর হামলে পড়ে গেছো বাঘ। পা দিয়ে তাকে চেপে ধরে ঘাড় মটকাতে গিয়ে দেখে ভারি বজ্জাত আর কৌশলী তার শিকার। ঘাড় নেই, গলা আছে—তবে সুরুত করে তাকে শরীরের ভেতর লুকিয়ে ফেলে।
কী করে কচ্ছপটাকে খাবে, বাঘ তার কোনো কায়দা করতে পারে না। কচ্ছপের পিঠের আবরণ এত শক্ত যে তাতে দাঁত ফোটে না। নখ বসে না। কোনো রকমে জুত করতে না পেরে বাঘ এদিক-ওদিক তাকায়। উপায় খোঁজে। শেয়াল তখন আপন ডেরার নিরাপদ আশ্রয় থেকে মুখ বার করে একটু ফেচকি হাসে।
তারপর বলে, ‘মামা, তুমি এক নচ্ছার জীবকে ধরেছ। এ জিনিস খেতে ভালো, একেবারে মুরগির মাংসের স্বাদ পাবে। তবে কিনা ওই খোসা নরম করার কায়দাটা না জানলে শত চেষ্টা করেও জিহ্বার সুখ পাবে না।’
বাঘ বলে: ভাগ্নে, জলদি বলনা ছাই, এই জিনিস খাওয়ার কায়দাটি কী? আমার আর তর সইছে না।
শেয়াল: ওই জিনিসের খোসা নরম করার একটাই উপায়। ওকে পানিতে ফেলে দাও। খানিকক্ষণ ভিজলে খোসা নরম হয়ে ভেসে উঠবে। তখন টেনে এনে মজাসে খাও।
বোকা বাঘ তাই করে। কচ্ছপ দ্রুত জলে মিলিয়ে যায়।
শেয়াল বলে: মামা, বসে বসে অপেক্ষা করো। তোমার খাবার তৈরি হয়ে ভেসে উঠবে।।
শেয়াল বন্ধুকে বাঁচাতে পেরে খুব খুশি।
গিন্নিকে বলে: বউ, একটু সরষের তেল দে। নাকে দিয়ে ঘুমাই। বিকেলে ঘুম থেকে উঠে বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা দেব আর বোকা বাঘের পিণ্ডি চটকাব।
আরও পড়ুন:খোকা বাবুর রুমটা খুবই এলোমেলো। নানা জিনিসপত্র এখানে-সেখানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। এখন সে জুতা পরে বাইরে খেলতে যাবে, কিন্তু একটি জুতা পাওয়া যাচ্ছে না। জুতাটা ঘরেই আছে, কিন্তু চোখে পড়ছে না। তুমি কি খোকাবাবুকে জুতাটা খুঁজে দিতে পারবে?
আমার মনে হয় পারবে।
তাহলে শুরু করে দাও।
সময় মাত্র এক মিনিট।
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও কুইজ বানিয়ে আমাদের কাছে পাঠাতে পারো। কুইজের সঙ্গে অবশ্যই তোমার নাম, স্কুলের নাম, কোন ক্লাসে পড় এবং আব্বু বা আম্মুর ফোন নম্বর দেবে।
পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
উত্তর দেখে নাও নিচের ছবিতে।
ভারতের উত্তর প্রদেশে ১৫২৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন বীরবল। মূল নাম মহেশ দাস হলেও বীরবল নামেই তিনি পরিচিত। মোগল সম্রাট আকবরের দরবারে অন্যতম সভাসদ ছিলেন। চতুরতার জন্যই বীরবল মূলত সবার কাছে সুপরিচিত। ১৫৫৬-১৫৬২ সালের দিকে কবি ও গায়ক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে পরবর্তী সময়ে সম্রাটের অত্যন্ত কাছের মানুষে পরিণত হন এবং নানা সেনা অভিযানে অংশ নেন। মজার মজার কাণ্ড ঘটানোর জন্য তিনি বিখ্যাত। চলো তার কয়েকটি ঘটনা শুনি।
-
কাকের সংখ্যা
একদিন আকবর ও বীরবল বসে গল্প করছিলেন। হঠাৎ আকবর প্রশ্ন করলেন, ‘দিল্লি শহরে কত কাক আছে বলতে পার বীরবল?’ অদ্ভুত প্রশ্নটি শুনে বীরবল বললেন, ‘জাঁহাপনা, বর্তমান শহরে ৯ লাখ ৯ হাজার ৯৯৯টি কাক আছে। আপনার যদি সন্দেহ হয় তাহলে নিজে অথবা অন্য লোক দিয়ে গুনে দেখতে পারেন। যদি দেখেন, এই সংখ্যা থেকে কিছু কম কাক আছে তাহলে বুঝবেন দিল্লির আশপাশে বন্ধুদের সঙ্গে তারা বেড়াতে গেছে। আবার যদি দেখেন ওই সংখ্যা থেকে বেশি কাক আছে, তাহলে বুঝবেন তাদের বন্ধুরা বা আত্মীয়রা অন্য এলাকা থেকে বেড়াতে এসেছে!’
বীরবলের উত্তর শুনে আকবর নির্বাক হয়ে রইলেন। তিনি আর বীরবলকে কাকের সংখ্যা সম্পর্কে কোনো উচ্চবাচ্যই করলেন না।
-
সীমাহীন রাজ্য
সম্রাট আকবর একবার কোনো কারণে তার তিন মন্ত্রীর ওপর ভায়ানক ক্ষেপে গেলেন। আদেশ করলেন, ‘তোমরা অবিলম্বে আমার রাজ্য ছেড়ে চলে যাবে। যদি আর কোনো দিন তোমাদের দেখি, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে।’ মন্ত্রীত্রয় অনেক কাকুতি-মিনতি করল শাস্তি মওকুফের জন্য। কিন্তু সম্রাট অনড়।
ভীষণ বিপদে পড়ল তিন মন্ত্রী। পরিবার-পরিজন রেখে কোথায় যাবে? তাদের দুরবস্থা দেখে বীরবল বললেন, ‘আপাতত আপনাদের কোনো উপায় নেই। তবে আপনারা আমার কথা শুনলে শেষতক রেহাই পেতে পারেন।’
তারা সানন্দে রাজি হয়ে গেল। বীরবল তাদের কিছুদিনের জন্য দিল্লীর আশপাশে লুকিয়ে থাকতে বললেন। আর কয়েক মাস পর তার সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিলেন।
প্রায় বছরখানেক পর একরাতে মন্ত্রী তিনজন লুকিয়ে বীরবলের কাছে এলো। বীরবল কিছু বুদ্ধি শিখিয়ে তাদের বিদায় করলেন।
পরদিন সম্রাট আর বীরবল বাগানে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। এমন সময় সম্রাট দেখলেন, একটি গাছের ডালে তিনজন লোক হাত শূন্যে মেলে বসে আছে। এগিয়ে গিয়ে দেখলেন এরা আর কেউ নয়, নির্বাসিত সেই তিন মন্ত্রী। তিনি ক্রুদ্ধ হয়ে তাদের নিচে নেমে আসার নির্দেশ দিলেন এবং বললেন, ‘তোমাদের এত বড় সাহস, আমার আদেশ অমান্য করেছ! এ মুহূর্তে তোমাদের প্রাণদণ্ড দেয়া হবে।’
মন্ত্রী তিনজন হাঁটু গেড়ে সম্রাটের সামনে বসে পড়ে বলল, ‘জাঁহাপনা, আমরা আপনার আদেশ অমান্য করিনি। আপনি নির্দেশ দেয়ার পরপরই আমরা বেরিয়ে পড়ি। উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম সব দিকেই গিয়েছি। অনেক শহর বন্দর পার হয়েছি। তবু আপনার রাজ্যসীমা অতিক্রম করতে পারিনি। আমাদের মনে হয়েছে মহামান্য সম্রাটের রাজ্য সীমাহীন। তাই ঠিক করেছি আকাশে উড়াল দেব। গাছে উঠে শূন্যে হাত বাড়িয়ে আমরা সে চেষ্টাই করছিলাম।’
সম্রাট বুঝতে পারলেন এটা আসলে বীরবলের বুদ্ধি। তিনি মন্ত্রী তিনজনকে ক্ষমা করে দিলেন। আর বীরবলকে করলেন পুরস্কৃত।
প্রায় ৯,০০০ বছর আগে প্রাচ্যের কৃষকরা সর্বপ্রথম বন্য বিড়ালকে পোষ মানাতে সক্ষম হন। তারই কয়েক শ বছর পর মিসর ছাড়িয়ে সমুদ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে বিড়াল ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে শুধু অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ ব্যতীত সর্বত্রই বিড়াল দেখা যায়। চলো, আজ বিড়াল সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই।
-
১. মানুষের শরীরে ২০৬টি হাড় আছে। বিড়ালের শরীরে কয়টি হাড় আছে জানো? ২৩০ থেকে ২৫০টি। যে বিড়ালের লেজ যত বড়, তার শরীরে হাড়ও তত বেশি।
২. বিড়ালের দাঁত ৩০টি। তবে বিড়াল ছানার দাঁত একটু কম, ২৬টি।
৩. বিড়াল ঘণ্টায় ৪৮ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে।
৪. বিড়াল যেকোনো জিনিসের ঘ্রাণ নেয় তার মুখ দিয়ে। তারা যখন কোনো কিছু শোঁকে, তখন তাদের মুখ কিছুটা খুলে যায়, নাক কিছুটা কুঁচকে যায় এবং ওপরের ঠোঁট পিছিয়ে আসে। এই পদ্ধতিটিকে বলা হয় 'ফ্লেমেন' রেসপন্স।
৫. বিড়াল দিনে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা ঘুমায়। বিড়াল কিন্তু ঘুমের মধ্যে আমাদের মতো স্বপ্নও দেখে।
৬. সবচেয়ে লম্বা বিড়ালটির দৈর্ঘ ছিল সাড়ে ৪৮ ইঞ্চি। ওর নাম ছিল মাইমেন্স স্টুয়ার্ট গিলিগান। ২০১৩ সালে সে মারা যায়।
৭. ১৯৬৩ সালের ১৮ অক্টোবর ফেলিসেট নামের একটি বিড়ালকে মহাকাশে পাঠানো হয়েছিল।
৮. প্রাচীন মিসরে কারও পোষা বিড়াল মারা গেলে পরিবারের সদস্যরা ভ্রু কামিয়ে ফেলত।
৯. একমাত্র বিড়ালই সমুদ্রের লবণাক্ত পানি খেতে পারে। তারা লবণ ফিল্টার করে শুধু পানিটা খেয়ে নেয়।
১০. বিড়াল কখনওই মিষ্টি জিনিসের স্বাদ গ্রহণ করতে পারে না। কারণ তাদের টেস্ট রিসেপ্টারে মিউটেশন করার ফলে মিষ্টি খেলে তারা বুঝতে পারে না।
১১. বিড়াল অন্ধকারেও দেখতে পারে। মানুষ যে আলোতে দেখতে পায়, তার ৬ ভাগের ১ ভাগ আলোতেও বিড়ালের দেখতে অসুবিধা হয় না। তাই বিড়াল রাতের বেলা সহজেই হাঁটাচলা করতে পারে।
আরও পড়ুন:সুন্দর একটি বন। বনের পাতাগুলো বেশির ভাগই হলুদ । তবে সবুজ পাতাও আছে। এই পাতার ফাঁকে খেলা করছে একঝাঁক কাঠবিড়ালি আর পাখি।
তোমাদের কাজ হলো, এখানে কতগুলো কাঠবিড়ালি আছে তা খুঁজে বের করা।
খুব সহজ কাজ, তাই না?
তাহলে দেরি না করে শুরু করে দাও।
সময় মাত্র এক মিনিট।
কয়টি কাঠবিড়ালি পেলে, এই ঠিকানায় মেইল করে জানিয়ে দিও।
ই-মেইল: [email protected]
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও কুইজ বানিয়ে আমাদের কাছে পাঠাতে পারো। কুইজের সঙ্গে অবশ্যই তোমার নাম, স্কুলের নাম, কোন ক্লাসে পড় এবং আব্বু বা আম্মুর ফোন নম্বর দেবে।
পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:তোমরা কী প্রজাপতি দেখেছ?
রঙিন ডানায় ভেসে ওরা ফুলে ফুলে উড়ে বেড়ায়। দেখতে খুব সুন্দর লাগে।
আজ আমরা টয়লেট পেপার রোল দিয়ে সেই প্রজাপতি বানাব। কাজটা খুব সহজ। চলো তাহলে শুরু করে দেই।
-
যা যা লাগবে
টয়লেট পেপার রোল
রঙিন কাগজ
রঙিন বোতাম
বোতল ক্লিনার
গুগল চোখ
কালো মার্কার পেন
কাঁচি ও আঠা
-
১. প্রথমে টয়লেট পেপার রোলটাকে রঙিন কাগজ দিয়ে মুড়ে ফেলি। চাইলে রঙিন মার্কার পেন দিয়ে এঁকেও কাজটা করা যায়।
-
২. রঙিন কাগজে প্রজাপতির ডানা এঁকে ফেলি। প্রতিটি রোলের জন্য দুটি করে ডানা লাগবে।
-
৩. ডানাগুলোকে কাঁচি দিয়ে কেটে নেই।
-
৪. প্রতিটি ডানায় রঙিন বোতাম লাগিয়ে নেই। বোতাম লাগানোর জন্য আঠা ব্যবহার করতে হবে।
-
৫. বোতল পরিষ্কার করার ব্রাশ থেকে কিছু অংশ ভেঙে নেই, যেন সেটা দিয়ে প্রজাপতির অ্যান্টেনা বানানো যায়।
-
৬. অ্যান্টেনাটিকে রোলের ভেতরের দিকে লাগিয়ে নেই। রোলের ওপরের দিকে গুগল চোখ আঠা দিয়ে লাগিয়ে একটু নিচে মুখ আঁকি।
-
৭. এবার রোলের পেছনে প্রজাপতির ডানা লাগিয়ে দেই। সে জন্য আঠা ব্যবহার করতে হবে। ব্যস, হয়ে গেল আমাদের রঙিন প্রজাপতি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও এটা-সেটা বানিয়ে আমাদের কাছে পাঠাতে পারো। সঙ্গে অবশ্যই তোমার নাম, স্কুলের নাম, কোন ক্লাসে পড় এবং আব্বু বা আম্মুর ফোন নম্বর দেবে।
পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:এক শিক্ষক তার সাত বছরের ছাত্র কাযিমকে জিজ্ঞেস করলেন, 'আমি যদি তোমাকে একটি আপেল, আরও একটি এবং আরও একটি আপেল দিই, তাহলে তোমার কাছে মোট কতটি আপেল হবে?'
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কাযিম আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উত্তর দিল, 'চারটি!'
কাযিমের উত্তর শুনে শিক্ষক হতাশ হলেন। মনে মনে ভাবলেন, 'কাযিম বোধহয় আমার কথা ঠিকমতো বুঝতে পারেনি।'
তিনি আবার বললেন, 'কাযিম…মনোযোগ দিয়ে শোনো। যদি তোমাকে একটি আপেল, আরও একটি আপেল এবং আরও একটি আপেল দিই, তাহলে তোমার কাছে মোট কতটি আপেল হবে?'
একই প্রশ্ন করায় কাযিম একটু বিরক্ত হলো। সে আবার আঙুলে গুনে বলল, 'চারটি।'
শিক্ষক আবার হতাশ হলেন। তার মনে পড়ল, কাযিম স্ট্রবেরি পছন্দ করে। তিনি এবার স্ট্রবেরি দিয়ে প্রশ্নটা করার সিদ্ধান্ত নিলেন, 'আমি যদি তোমাকে একটি স্ট্রবেরি, আরও একটি স্ট্রবেরি এবং আরও একটি স্ট্রবেরি দিই, তাহলে তোমার কাছে মোট কতটি স্ট্রবেরি হবে?'
আবার আঙুলে গুনতে শুরু করল কাযিম। শেষে বলল, 'তিনটি?'
এবার শিক্ষক খুশি হলেন। তার মুখে জয়ের হাসি দেখা দিল। এবার তিনি আপেল দিয়ে আবার সেই অঙ্কটি করতে বললেন, 'এখন আমি যদি তোমাকে একটি আপেল, আরও একটি আপেল এবং আরও একটি আপেল দিই, তাহলে তোমার কাছে মোট কতটি আপেল হবে?'
কাযিম ঝটপট উত্তর দিল, 'চারটি!'
শিক্ষক আবার বিস্মিত এবং হতাশ হয়ে পড়লেন। বিরক্ত কণ্ঠে জানতে চাইলেন, 'কীভাবে কাযিম?'
কাযিম বলল, 'আপনি তিনটি আপেল দিলেন আর আমার ব্যাগে আগে থেকেই একটি আপেল আছে। সব মিলিয়ে আমার কাছে চারটি আপেল হবে।'
আরও পড়ুন:
মন্তব্য