× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

কিড জোন
The wonder garden of Tayyab Akhand
google_news print-icon

তৈয়ব আখন্দের আশ্চর্য বাগান

তৈয়ব-আখন্দের-আশ্চর্য-বাগান
আঁকা: ধ্রুব নীল
সবার আগে গেলেন মিশুদের উঠানে। কুড়িয়ে নিলেন কিছু মেহগনির বীজ। তারপর নিলেন বকফুল, পরশপিপুল, অশ্বগন্ধা, অনন্তমূল, ডুগডুগিসহ ১০ রকমের লতাপাতা। নিজের বাগান থেকে নিলেন আমাজন থেকে উড়ে আসা একটি গাছের শিকড়।

কৃষিবিজ্ঞানের শিক্ষক তৈয়ব আখন্দ। একেবারে মাটির মানুষ। এটেল মাটি না, দোআঁশ মাটিও না। পলি মাটি।

বাড়ির পেছনে এক টুকরা জমি আছে। অবসরে বাগান করেন। বাগানটা ঝোপঝাড়ে ভর্তি।

তৈয়ব আখন্দ আগাছা পরিষ্কার করেন না। ফাঁক-ফোকরে গাছ লাগান। ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন-

- এটাকে বলে পারমাকালচার। আমরা যেভাবে চাষবাস করি সেটা ভালো না। মাটির উর্বরতা নষ্ট করে, প্রকৃতি নষ্ট করে। পারমাকালচার হলো সবাই মিলে শান্তিতে থাকার মতো। প্রকৃতিতে কিছু ঝোপঝাড়, আগাছারও দরকার আছে।

এমনটা বলার একটা কারণও আছে। সেটা তৈয়ব আখন্দ ক্লাসে বলেননি। বললে ছেলেমেয়েরা ভয় পাবে, কিংবা তাকে পাগল মনে করবে।

তৈয়ব আখন্দ তার বাগানের ছোটোখাটো গাছপালার কথা বুঝতে পারেন, তাদের সঙ্গে প্রায়ই টুকটাক কথাবার্তা হয় তার।-

অনেক দিন আগের কথা। বাগানে বাঁধাকপির চারা লাগাবেন বলে মাটি পরিষ্কার করছিলেন তৈয়ব।

জমিতে নেমে একটা ভাঁটফুলের ঝোপ উপড়ে ফেললেন। উহ শব্দ করে উঠল গাছটা।

- কে? ভাঁটফুল নাকি?

- জি স্যার।

- তুই কথা বলছিস কেন?

বলেই ভুল বুঝতে পারলেন তৈয়ব। মিষ্টি কুমড়ার চারা হলে ‘তুই’ করে বলতেন না তিনি। ভাঁটফুল কি একেবারে ফেলনা?

- তুমি এখানে কী করো? আমি সবজির চারা লাগাব।

ভাঁটফুলের চারাটা বলল,

- স্যার, আমার সঙ্গেই লাগান। আমি বাঁধাকপির চারাগুলো দেখে রাখব। আমি আপনার বাগানের কেয়ারটেকার।

- অ্যাঁ!

- স্যার আমাদের জ্ঞান অপরিসীম। আমাদের শিকড় থেকে শিকড়ে তথ্য আদান-প্রদান করতে জানি। আপনার সবজি চারার যাবতীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। মাটিও ঠিকঠাক থাকবে। আপনি হয়তো জানেন না যে আমি কিন্তু চর্মরোগের মহৌষধ।

মনে হবে যেন জীবন বাঁচাতে হড়বড় করে কথাগুলো বলল গাছটা। কিন্তু তৈয়ব জানেন, কথা সত্য।

তৈয়ব আখন্দ আবার গাছটা মাটিতে লাগিয়ে দিলেন। ঝাঁঝরি দিয়ে পানিও দিলেন। এরপর পরিষ্কার শুনলেন, ভাঁটফুল গাছটা ‘আহ’ জাতীয় শব্দ করল।

নিজের মাথা ঠিক আছে কি না সেটা পরীক্ষা করার জন্য সেদিন রাতে তৈয়ব আখন্দ কঠিন দেখে দুটি গসাগুর অঙ্ক করলেন। অঙ্ক মিলেছে। তার মানে মাথাও ঠিক আছে।

-এরপর প্রায়ই বাগানের গাছগাছালির সঙ্গে তৈয়বের কথা হয়। তবে সেটা কাউকে বুঝতে দেন না।

এতে একটা লাভ হয়েছে। গাছের গোড়ায় সার দেওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না তৈয়ব আখন্দকে। অন্য গাছগুলো এদিক-ওদিক থেকে সব ম্যানেজ করে।

তৈয়বের বাগানে দিনে দিনে গাছ-গাছালি বাড়তে থাকে। কোথা থেকে পাখিরাও এসে বীজটিজ ছিটিয়ে দিয়ে যায়।

তৈয়বও বুঝতে পারেন গাছের সঙ্গে বক বক করতে গিয়ে তার মাথায় কিছু একটা ঢুকেছে। ভালো কিছু। সেটা কী?

তৈয়ব যেকোনো গাছের দিকে তাকালেই বুঝতে পারেন কোন গাছের কী গুণ। কোন পাতার সঙ্গে কোন ফুলের রস মেশালে কোন রোগ সারবে, সেটাও জানেন। তার এই কবিরাজি গুণের কথা খুব বেশি লোক জানে না।

কয়েক দিন আগে রায়বাবুর ছেলেটার কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এলো। তৈয়ব তাকে পাঁচ রকমের পাতার একটা রস খাইয়ে দিলেন। রাত পোহাতেই সুস্থ। কারও সামান্য হাত-পা ছিলে গেলে অবশ্য দু-চারটি জার্মানি লতা বেটে লাগালেই ঠিক হয়ে যায়।

এ সবই হয় গোপনে। বেশি লোকজন জানতে পারলে হইচই করবে। হইচই তৈয়বের মোটেও পছন্দ না।

- তৈয়ব, তোমার ওষুধে তো আমার বড় পোলার পায়ের ঘা সাইরা গেছে। তুমি তো বিরাট কবিরাজ।

গ্রামের ক্ষমতাধর মন্টু ব্যাপারীকে দেখে মুষড়ে গেলেন তৈয়ব আখন্দ। কয়েক দিন আগে এসেছিল ছেলের জন্য ওষুধ নিতে। আজ এসেছে তৈয়বের বাগান দখল করার মতলব নিয়ে।

- তোমাকে বললাম পেছনের জমিটা আমার। আমার দাদা তোমার বাবার কাছে এটা বিক্রি করলেও ওই দলিলে ঝামেলা আছে। মামলা মোকদ্দমার ব্যাপার। তোমারে কিছু টাকা দিই, জমি আমার নামে ট্রান্সফার করে দাও।

তৈয়ব ঘটনা আগেই জানত। তার বাগানে একটি রেডিও টাইপের গাছ আছে। সুদূর আমাজন থেকে তার বীজ এনে দিয়েছিল একটি পাখি। সেই গাছের দারুণ ক্ষমতা। ওই গাছটাই তৈয়বকে গত সপ্তাহে বলেছিল-

- স্যার, আলামত সুবিধার নয়। মন্টু ব্যাপারী আপনার জমি দখল করবে।

- করলে করবে। আমি অতি সামান্য মানুষ। ঠেকাতে পারব না।

- এই জমি সে একটি ওষুধ কোম্পানির কাছে বেচবে। ওরা আমাদের সবাইকে কেটেকুটে গবেষণা করবে। তারপর যখন কিছুই বুঝবে না তখন আপনাকে ধরে নিয়ে যাবে।

- আমাকে কেন!

- স্যার, মানুষ দেখে লতাপাতা। ফর্মুলা তো আপনার মাথায়।

-মন্টু ব্যাপারী সেদিন হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে গেলেন। তৈয়ব সারাদিন দুশ্চিন্তা করলেন। বেশি দুশ্চিন্তা হলে তিনি চলে যান বাগানে। তাকে দেখে একটা হাতিশুঁড় গাছ বলল-

- স্যার, মন খারাপের দুই ডোজ ওষুধ বানান। ফুরফুরা লাগব।

- ওষুধে কাজ হইব না।

পাশ থেকে গন্ধভাদালি লতাটা বলল-

- স্যার আপনি বিরাট রসায়ন বিজ্ঞানী। ভাবেন। সমাধান বের হবে।

- ঠিক আছে ভাবি।

ভাবতে ভাবতে তৈয়ব আখন্দ সমাধান পেলেন।

গভীর রাতে বের হলেন তৈয়ব। কিছু গাছগাছালি লাগবে। সব গাছ তার বাগানে নেই।

সবার আগে গেলেন মিশুদের উঠানে। কুড়িয়ে নিলেন কিছু মেহগনির বীজ। তারপর নিলেন বকফুল, পরশপিপুল, অশ্বগন্ধা, অনন্তমূল, ডুগডুগিসহ ১০ রকমের লতাপাতা। নিজের বাগান থেকে নিলেন আমাজন থেকে উড়ে আসা একটি গাছের শিকড়।

সব মিশিয়ে তৈরি করলেন একটা মিক্সচার। স্বাদ অনেকটা আচারের মতো। চেখে দেখলেন। খেতে ভালোই। এখন অপেক্ষার পালা।

-দুদিন পরই এলেন মন্টু ব্যাপারী। তৈয়ব এবার তাকে আপ্যায়ন করলেন। ভাত-ডালের সঙ্গে নিজের বাগানের তাজা সবজির তরকারিও দিলেন। মন্টু খুব খুশি। যাক জমিটা তাহলে তার কবজায় আসছে।

- মন্টু সাহেব আচার নেন। নিজের হাতে বানানো ভেষজ আচার।

- অবশ্যই খাব! তোমার হাতে তো জাদু আছে। দাও দাও।

আচার মুখে দিলেন মন্টু মিয়া।

- আহা! মনটা জুড়ে গেল। আরো দাও।

- আচারের ডোজ, ইয়ে মানে পরিমাণমতো খেতে হবে।

- কী যে বলো! এত স্বাদের জিনিস মেপে খেতে পারব না। আরও দুই চামচ দাও।

- আচ্ছা নেন।

প্রায় পুরো মিক্সচারটা সাবাড় করে দিলেন মন্টু। ঘটনা ঘটতে বেশিক্ষণ লাগল না। ঘণ্টাখানেক পর বললেন-

- কেমন ফুরফুরা লাগতাছে তৈয়ব। কত দিন পর মনে হইল তৃপ্তি কইরা ভাত খাইলাম।

- আপনি কি আমার জমিটা...।

- দুর! কী যে বলো। মানুষ কি সব সময় খারাপ থাকে? আমিও ঠিক করেছি ভালো হয়ে যাব। ভালো মানুষ কেমনে হয় জানো নাকি? আচ্ছা। আমি দেখি চেষ্টা করে।

তৈয়ব বুঝতে পারলেন ওষুধে কাজ হয়েছে। মিক্সচারটা ছিল ভালো মানুষ বানানোর ওষুধ।

পরদিন সকালে হইচই শুনে ঘুম ভাঙল তৈয়বের।

পাড়ার উঠানে বিশাল জমায়েত। মাঝখানে মন্টু ব্যাপারী। তার সামনে কয়েক শ গাছের চারা। মন্টু বলছেন-

- ভাইসব। আমি ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি। ভালো কাজ কীভাবে করতে হয় আমার জানা নাই। তবে গ্রামবাসীর সহযোগিতা...।

ভিড় থেকে কেউ একজন চেঁচিয়ে বলল-

- চারা কি আমাদের দিবেন? দিলে জলদি দেন। এত কথা কন ক্যান। সঙ্গে কিছু টেকা দিবেন? নাকি শুধু চারা?

- জি জনাব। আপনাদের জন্য। নিয়া যান। চারার সঙ্গে নগদ ১০০ টাকাও আছে।

এরপর মন্টু ব্যাপারীকে কথা বলার সুযোগ দিল না কেউ। হুড়মুড় করে সবাই চারা আর টাকা নিয়ে চলে গেল যার যার কাজে।

এগিয়ে গেলেন তৈয়ব।

- মন্টু ভাই, ভালো কাজ করাটা ধৈর্যের ব্যাপার। আড়ালে আবডালে করেন। কেউ টের না পাইলেই ভালো।

এরপর? এরপর একদিন মন্টু ব্যাপারী তৈয়বকে ফিসফিস করে বললেন-

- একটা আশ্চর্য ব্যাপার ঘটছে তৈয়ব! তোমার বাগানের একটা নিশিন্দা গাছ আমারে কয়, মন্টু ভাই শরীর ভালো?

আরও পড়ুন:
ভাগাভাগি
রানির হাসি
জয়ী
রাজকন্যা আর তার এগারো ভাই
ইসিডোরা আর কাঠবিড়ালী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

কিড জোন
Sisimpurs special initiative in sign language for hearing impaired children

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ইশারা ভাষায় সিসিমপুরের বিশেষ উদ্যোগ

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ইশারা ভাষায় সিসিমপুরের বিশেষ উদ্যোগ শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব। ছবি: নিউজবাংলা
২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হলো সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় ১৩টি পর্বে শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের উপযোগী করে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজ তথা ইশারা ভাষা যুক্ত করে নতুনভাবে তৈরি করেছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)।

সিসিমপুরের পর্বগুলোকে ইশারা ভাষায় রূপান্তরে সহযোগিতা করেছে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন সোসাইটি অব দ্য ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল)।

২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।

বিশেষ এই উদ্যোগ সম্পর্কে সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘সিসিমপুরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সিসিমপুরের ১০টি গল্পের বই ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি ও শিশুদের মাঝে বিতরণ করেছি। এবার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নিয়ে আসছি ১৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর।

‘ধারাবাহিকভাবে পর্বের সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে আছে আমাদের। আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ইউএসএআইডি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’

মন্তব্য

কিড জোন
One day at the police station

এক দিন থানায়

এক দিন থানায়
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক লোককে থানায় ধরে আনা হলো।

ওসি: আপনাকে আজ রাতে থানায় থাকতে হবে।

ভদ্রলোক: চার্জ কী?

ওসি: কোনো চার্জ দিতে হবে না, ফ্রি।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
নতুন সিইও
সাঁতার
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু

মন্তব্য

কিড জোন
The wisdom of the lawyer

উকিলের বুদ্ধি

উকিলের বুদ্ধি
উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পার, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"

গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে ২৫ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, ‌'৫০০ টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পারো তো জেলে যাও।' সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।

এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তুখোড় বুদ্ধি উকিল এসে বললেন, 'ওই ১০০ টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।'

চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, ‌'আমায় বাঁচিয়ে দিন।'

উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পারো, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"

চাষা বলল, 'আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজি।'

আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি সাত বছর আগে ২৫ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?'

চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, 'ব্যা- '।

উকিল বললেন, 'খবরদার!- বল, নিয়েছিলি কি না।'

চাষা বলল, 'ব্যা- '।

উকিল বললেন, 'হুজুর! আসামির বেয়াদবি দেখুন।'

হাকিম রেগে বললেন, 'ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমই ফাটক দেব।'

চাষা অত্যন্ত ভয় পেয়ে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, 'ব্যা- ব্যা- '।

হাকিম বললেন, 'লোকটা কি পাগল নাকি?'

তখন চাষার উকিল উঠে বললেন, "হুজুর, ও কি আজকের পাগল- ও বহুকালের পাগল, জন্ম-অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকি? আর পাগলের খত লিখলেই বা কী? দেখুন দেখুন, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে করে জেনেশুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেওয়ার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, 'এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে'- পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!"

দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল।

হাকিম খানিক শুনেটুনে বললেন, 'মোকদ্দমা ডিসমিস্।'

মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বললেন, 'আচ্ছা, না হয় তোর ৪০০ টাকা ছেড়েই দিলাম- ওই ১০০ টাকাই দে।'

চাষা বলল, 'ব্যা-!'

মহাজন যতই বলেন, যতই বোঝান, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগেমেগে বলে গেল, 'দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন করে হজম করিস।'

চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, 'যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। ১০০ টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।'

চাষা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, 'ব্যা-।'

উকিল বললেন, 'বাপু হে, ওসব চালাকি খাটবে না- টাকাটি এখন বের করো।'

চাষা বোকার মতো মুখ করে আবার বলল, 'ব্যা-।'

উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, 'হতভাগা গোমুখ্যু পাড়া গেঁয়ে ভূত- তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি, কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হলে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।'

বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হলো না।

আরও পড়ুন:
বড় দিদি
লোভী কুকুর
সিন্ড্রেলা
বাবুর্চির বুদ্ধি
সুখু আর দুখু

মন্তব্য

কিড জোন
Smile and Ismail

স্মাইল ও ইসমাইল

স্মাইল ও ইসমাইল
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক ফটো সাংবাদিক রাস্তায় বাচ্চাদের ছবি তুলছেন। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে বললেন, স্মাইল।

ইসমাইল: জি স্যার?

সাংবাদিক: আরে তুমি দাঁড়াচ্ছ কেন? বসো।

ইসমাইল: ঠিক আছে।

সাংবাদিক: ওকে রেডি, স্মাইল।

ইসমাইল: ডাকলেন কেন স্যার?

সাংবাদিক: আরে বাবা তোমার সমস্যাটা কী? স্মাইল বললেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছ কেন?

ইসমাইল: আমি তো বসেই আছি। আপনি আমার নাম ধরে ডাকেন বলেই দাঁড়িয়ে যাই।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
সাঁতার
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি

মন্তব্য

কিড জোন
father and son

বাবা-মেয়ে

বাবা-মেয়ে
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

মেয়ে: আলুর তরকারিটার স্বাদ কেমন হয়েছে?

বাবা: দারুণ স্বাদ হয়েছে। তুই রান্না করেছিস নাকি?

মেয়ে: না, আলু আমি ছিলেছি।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা

মন্তব্য

ভুলোমনা

ভুলোমনা
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

স্ত্রী: কি ব্যাপার, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?

ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা লাগছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা
টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র

মন্তব্য

নতুন চাকরি

নতুন চাকরি
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক যুবক নতুন চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন অফিসে এসেই কিচেনে ফোন করে বলল, ‘এখনি আমাকে এককাপ কফি দিয়ে যাও! জলদি!’

অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল, ‘গর্দভ, তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?’

যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল, ‘না! আপনি কে?’

‘আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর’, রাগী গলায় উত্তর এল।

যুবকটি বলল, ‘আর আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন?’

‘না’, ওপার থেকে উত্তর এল।

‘বাবারে! বাঁচা গেছে’, বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা
টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র
আম চোর

মন্তব্য

p
উপরে