বাপ মরে গিয়েছে। দুই ভাই আলাদা হবে। বড় ভাই ছোট ভাইকে বলল, “দেখ, আমাদের একটিমাত্র গাই (গাভি) আছে, কেটে তো আর দুই ভাগ করা যাবে না। তুই ছোট ভাই। তোকেই গাইয়ের বড় ভাগটা দিই। তুই তাহলে গাইয়ের মুখের দিকটা নে। আর আমি গাইয়ের লেজের দিকটা নিই।”
ছোট ভাই ভারি খুশি! বড় ভাই যে তাকে ভালো ভাগটা দিয়েছে, সে জন্য সে বড় ভাইয়ের প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ। সে সারা দিন এখান হতে ওখান হতে ঘাস কেটে এনে গাইটাকে খাওয়ায়। আর ওদিকে বড় ভাই রোজ সকালে হাঁড়িভরে দুধ দোয়ায়।
সেই দুধ দিয়ে ছানা বানায়, ছানা দিয়ে রসগোল্লা বানায়, সন্দেশ বানায় আরও কত কি বানায়!
বড় ভাই ভারি খুশি, “বেশ আমার ছোট ভাই। এমনিই তো চাই। এবার বুঝতে পারলাম, বাপের সম্পত্তি তুমি ঠিকই রক্ষা করতে পারবে। তোমার ভাগে যখন গাইয়ের মুখের দিকটা পড়েছে, তখন নিশ্চয়ই তোমাকে ভালোমতো তাকে খাওয়াতে হবে।”
বড় ভাইয়ের তারিফ শুনে ছোট ভাই আরও বেশি করে গরুকে ঘাস দেয়। বড় ভাই আরও বেশি করে গরুর দুধ দোয়ায়; আর ছোট ভাইকে আরও বেশি করে তারিফ করে।
একজন চালাক লোক একদিন ছোট ভাইকে বলল, “আরে বোকা! তুই গরুর মুখের দিকটা নিয়ে দিনরাত গরুকে ঘাস খাইয়ে মরছিস, আর ওদিকে তোর বড় ভাই মজা করে দুধ দুইয়ে নিচ্ছে।”
ছোট ভাইয়ের তখন টনক নড়ল, “তাই তো! কিন্তু এখন তো কিছুই করার উপায় নাই। আমি যে আগেই গরুর মাথার দিকটা নিয়ে ফেলেছি। ঘাস আমাকে খাওয়াতেই হবে।”
চালাক লোকটি তখন ছোট ভাইকে কানে কানে একটি বুদ্ধি দিয়ে গেল।
পরদিন সকাল। যেই বড় ভাই গাইয়ের দুধ দোয়াতে এসেছে, অমনি ছোট ভাই গাইটির সামনের অংশে একটি লাঠি নিয়ে খোঁচা মারতে শুরু করল। এতে গাই গরুটি এদিক-ওদিক নড়ে উঠছিল। গাই দোয়ানো অসম্ভব। বড় ভাই তখন বলে, “আরে করিস কী? করিস কী?”
ছোট ভাই উত্তর দেয়, “রোজ আমি গরুকে ঘাস খাওয়াই। দুধ দুইয়া নিয়ে যাও তুমি। আমাকে একফোঁটা দুধও দাও না। গরুর মাথার দিকটা যখন আমার, তার ওপরে আমি মুগুরই মারি, আর কুড়ালই মারি, খোঁচা মারি তুমি কোনো কথা বলতে পারবে না।”
বড় ভাই বুঝল, কোনো চালাক লোক ছোট ভাইকে বুদ্ধি দিয়েছে। সে তখন ছোট ভাইকে বলল, “আর তুই গাইর মাথায় মুগুর মারিস না। এখন হতে গরুর দুধের অর্ধেক তোকে দেব।”
ছোট ভাই বলল, “শুধু অর্ধেক দুধ দিলেই চলিবে না, তোমাকে আজ হতে গরুর জন্য অর্ধেক ঘাসও কাটতে হবে। নইলে এই মারলাম আমি গরুর মাথায় মুগুরের ঘা!”
“আরে রাখ রাখ।” বড় ভাই মুলাম (নরম) হয়ে বলে, “আজ থেকে অর্ধেক ঘাসও আমি কাটব!”
বাড়িতে ছিল একটা খেজুরগাছ। শীতকাল, খেজুরগাছ কেটে রস বের করতে হবে। বড় ভাই ছোট ভাইকে বলে, “আমাদের একটামাত্র খেজুরগাছ। কেটে তো ভাগ করা যায় না। সেবার গরুর মাথার দিকটা নিয়ে তুই ঠকেছিলি। এবার বল খেজুরগাছের কোন দিকটা নিবি? গোড়ার দিকটাই বুঝি তোর পছন্দ হবে।”
ছোট ভাই কিছু না ভেবেই উত্তর করে, “আমি খেজুরগাছের গোড়ার দিকটাই নেব।”
বড় ভাই খুশি হয়ে বলে, “আচ্ছা তোর কথাই থাক। তুই ছোট ভাই, ভালো ভাগটা চাইলি, আমি বড় ভাই হয়ে তো না করতে পারি না!”
ছোট ভাই নিল খেজুরগাছের গোড়ার দিকটা। সে গাছের গোড়ায় রোজ পানি ঢালে। তাতে গাছ আরও তাজা হয়।
বড় ভাই গাছের আগায় হাঁড়ি বসিয়ে মনের আনন্দে রস পেড়ে আনে। শীতকালে খেজুরের রস খেতে কি মজা! রস দিয়ে গুড় তৈরি হয় গুড় দিয়ে মজার মজার পিঠা তৈরি হয়।
এইভাবে কিছুদিন যায়। বড় ভাই খেজুরের রস খেয়ে মোটা হয়ে উঠেছে। আর ছোট ভাই খেজুরগাছের গোড়ায় পানি ঢালতে ঢালতে মাজায় ব্যথা করে ফেলেছে।
এমন সময় সেই চালাক লোকটি আবার এসে দেখল ছোট ভাই কেমন ঠকেছে। সে তখন ছোট ভাইকে সবকিছু বুঝিয়ে বলল।
ছোট ভাই বলল, “তাই তো, এবারও আমি ঠকেছি। কিন্তু খেজুরগাছের গোড়ার দিকের ভাগ তো আমি নিজেই চেয়ে নিয়েছি। এর তো আর কোনো প্রতিকার হবে না।”
“দূর বোকা কোথাকার! বুদ্ধি থাকলে প্রতিকার হবে না কেন?” এই বলে চালাক লোকটি ছোট ভাইর কানে কানে আর একটি বুদ্ধি দিয়ে গেল।
পরদিন সন্ধ্যাবেলা, যেই বড় ভাই খেজুরগাছে উঠে সেখানে হাঁড়ি পাততে গাছের আগায় ছাল খানিকটা কাটতেছে, অমনি ছোট ভাই একখানা কুড়াল নিয়ে খেজুরগাছের গোড়া কাটতে লাগল, খপ-খপ-খপ।
বড় ভাই গাছের ওপর থেকে শব্দ শুনে বলল, “আরে করিস কী? করিস কী?”
ছোট ভাই গাছের গোড়ায় কুড়াল মারতে মারতে উত্তর করল, “তুমি গাছের মাথা নিয়েছ। রোজ গাছের মাথা থেকে রস পেড়ে খাও। আমাকে একটুও দাও না। আমার যখন গাছের গোড়াটা, সেখানে আমি কুড়াল মারি আর যাই করি তুমি কিছু বলতে পার না।” এই বলে ছোট ভাই আবার গাছের গোড়ায় কুড়ালের কোপ দিতে আরম্ভ করল, খপ-খপ-খপ।
“আরে থা-থা-থাম্”, বড় ভাই বলে, “আজ থেকে খেজুরের রসও অর্ধেক তোকে দেব।”
দুই ভাই বেশ আছে, গরুর দুধ আর খেজুরের রস দুজনে সমান সমান ভাগ করে লয়।
তাদের বাড়িতে ছিল একখানা মাত্র কাঁথা! বড় ভাই ছোট ভাইকে বলে, “দেখ কাঁথাখানাকে তো ছিঁড়ে দুই টুকরা করা যায় না। তুই কাঁথাখানি দিনের ভাগে তোর কাছে রাখ। আমাকে রাত হলে দিস।”
ছোট ভাই খুব খুশি। বড় ভাই দিনের বেলার জন্য কাঁথাখানা তাকে দিয়েছে! কিন্তু দিনের বেলা গরম। তখন কাঁথা গায়ে দেয়া যায় না। সে কাঁথাখানাকে সারা দিন এ ভাঁজ করে ও ভাঁজ করে দেখে। রাত হলে বড় ভাই কাঁথাখানা নিয়ে যায়। ছোটভাই সারারাত শীতে ঠিরঠির করে কাঁপে। বড় ভাই দিব্যি আরামে কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমায়।
সেই চালাক লোকটি আবার এসে ছোট ভাইর অবস্থা দেখল। দেখে তার কানে কানে আর একটি বুদ্ধি দিয়ে গেল।
পরদিন সন্ধ্যাবেলা ছোট ভাই কাঁথাখানা পানির মধ্যে ভিজিয়ে রাখল। বড় ভাই যখন শোয়ার সময় ছোট ভাইয়ের কাছে কাঁথা চাইল, সে তাকে ভেজা কাঁথাটি এনে দিল।
বড় ভাই খুব রাগ করে বলল, “আরে করেছিস কী? কাঁথাখানা ভিজিয়ে রেখেছিস?”
ছোট ভাই উত্তর করল, “কাঁথাখানা যখন দিনের ভাগে আমার, তখন সেটা দিয়ে আমি দিনের ভাগে যা ইচ্ছা করতে পারি! তোমার তাতে কোনো কথা বলার সুযোগ নাই।”
বড় ভাই তখন বলল, “কাল থেকে রাতে আমরা দুই ভাই-ই একসঙ্গে কাঁথা ব্যবহার করব।”
আরও পড়ুন:শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হলো সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব।
উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় ১৩টি পর্বে শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের উপযোগী করে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজ তথা ইশারা ভাষা যুক্ত করে নতুনভাবে তৈরি করেছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)।
সিসিমপুরের পর্বগুলোকে ইশারা ভাষায় রূপান্তরে সহযোগিতা করেছে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন সোসাইটি অব দ্য ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল)।
২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।
বিশেষ এই উদ্যোগ সম্পর্কে সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘সিসিমপুরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সিসিমপুরের ১০টি গল্পের বই ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি ও শিশুদের মাঝে বিতরণ করেছি। এবার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নিয়ে আসছি ১৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর।
‘ধারাবাহিকভাবে পর্বের সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে আছে আমাদের। আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ইউএসএআইডি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’
এক লোককে থানায় ধরে আনা হলো।
ওসি: আপনাকে আজ রাতে থানায় থাকতে হবে।
ভদ্রলোক: চার্জ কী?
ওসি: কোনো চার্জ দিতে হবে না, ফ্রি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে ২৫ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, '৫০০ টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পারো তো জেলে যাও।' সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।
এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তুখোড় বুদ্ধি উকিল এসে বললেন, 'ওই ১০০ টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।'
চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, 'আমায় বাঁচিয়ে দিন।'
উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পারো, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"
চাষা বলল, 'আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজি।'
আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি সাত বছর আগে ২৫ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?'
চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'খবরদার!- বল, নিয়েছিলি কি না।'
চাষা বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'হুজুর! আসামির বেয়াদবি দেখুন।'
হাকিম রেগে বললেন, 'ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমই ফাটক দেব।'
চাষা অত্যন্ত ভয় পেয়ে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, 'ব্যা- ব্যা- '।
হাকিম বললেন, 'লোকটা কি পাগল নাকি?'
তখন চাষার উকিল উঠে বললেন, "হুজুর, ও কি আজকের পাগল- ও বহুকালের পাগল, জন্ম-অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকি? আর পাগলের খত লিখলেই বা কী? দেখুন দেখুন, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে করে জেনেশুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেওয়ার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, 'এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে'- পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!"
দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল।
হাকিম খানিক শুনেটুনে বললেন, 'মোকদ্দমা ডিসমিস্।'
মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বললেন, 'আচ্ছা, না হয় তোর ৪০০ টাকা ছেড়েই দিলাম- ওই ১০০ টাকাই দে।'
চাষা বলল, 'ব্যা-!'
মহাজন যতই বলেন, যতই বোঝান, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগেমেগে বলে গেল, 'দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন করে হজম করিস।'
চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, 'যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। ১০০ টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।'
চাষা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, 'ব্যা-।'
উকিল বললেন, 'বাপু হে, ওসব চালাকি খাটবে না- টাকাটি এখন বের করো।'
চাষা বোকার মতো মুখ করে আবার বলল, 'ব্যা-।'
উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, 'হতভাগা গোমুখ্যু পাড়া গেঁয়ে ভূত- তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি, কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হলে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।'
বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হলো না।
আরও পড়ুন:এক ফটো সাংবাদিক রাস্তায় বাচ্চাদের ছবি তুলছেন। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে বললেন, স্মাইল।
ইসমাইল: জি স্যার?
সাংবাদিক: আরে তুমি দাঁড়াচ্ছ কেন? বসো।
ইসমাইল: ঠিক আছে।
সাংবাদিক: ওকে রেডি, স্মাইল।
ইসমাইল: ডাকলেন কেন স্যার?
সাংবাদিক: আরে বাবা তোমার সমস্যাটা কী? স্মাইল বললেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছ কেন?
ইসমাইল: আমি তো বসেই আছি। আপনি আমার নাম ধরে ডাকেন বলেই দাঁড়িয়ে যাই।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:মেয়ে: আলুর তরকারিটার স্বাদ কেমন হয়েছে?
বাবা: দারুণ স্বাদ হয়েছে। তুই রান্না করেছিস নাকি?
মেয়ে: না, আলু আমি ছিলেছি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
স্ত্রী: কি ব্যাপার, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?
ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা লাগছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
এক যুবক নতুন চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন অফিসে এসেই কিচেনে ফোন করে বলল, ‘এখনি আমাকে এককাপ কফি দিয়ে যাও! জলদি!’
অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল, ‘গর্দভ, তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?’
যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল, ‘না! আপনি কে?’
‘আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর’, রাগী গলায় উত্তর এল।
যুবকটি বলল, ‘আর আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন?’
‘না’, ওপার থেকে উত্তর এল।
‘বাবারে! বাঁচা গেছে’, বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
মন্তব্য