অনেক দিন আগের কথা। চীন দেশে ছিল এক রাজা। রাজার হাতিশালে হাতি, ঘোড়াশালে ঘোড়া, রাজ্যজুড়ে সুখ আর শান্তি। রাজার প্রজা প্রতিপত্তি সব ছিল। ছিল না শুধু মনে সুখ। রাজার খালি থেকে থেকে বড় একা লাগত। আসলে সেই দেশের রাজার সব ছিল, ছিল না শুধু রানি। তাই এই মনের অসুখ।
একদিন রাজা ঠিক করলেন, তাঁর সৈন্য-সামন্তদের নিয়ে যাবেন রানির সন্ধানে। যেমনটি ভাবা তেমনটি কাজ। রাজা তাঁর সবচেয়ে তেজী ঘোড়াটা আর তাঁর সাতজন সবচেয়ে বিশ্বাসী আর বলিষ্ঠ সৈন্যদের নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন রানির সন্ধানে, দেশ থেকে দেশান্তরে। নানান দেশে যান। কত দেশের কত সুন্দরী রাজকন্যা। তাদের নানান গুণ। কিন্তু রাজার মন ভরে না। কোথাই সেই মেয়ে, যে রাজার মনে এনে দেবে দুই দণ্ডের শান্তি, সেই সুখ।
একদিন রাজা তাঁর সৈন্য-সামন্তদের নিয়ে এসে পৌঁছলেন এক হ্রদের তীরে। সন্ধ্যা নেমে আসছিল, তাই তিনি ঠিক করলেন রাতটা এখানেই থেকে যাবেন। সৈন্যদের ডেকে তিনি আদেশ দিলেন হ্রদের ধারে তাঁবু খাটাতে।
রাত্রে খাবার আয়োজন চলছে, এমন সময় রাজার কানে এলো এক অদ্ভুত সুন্দর সুর। রাজা সেই সুরের খোঁজে হ্রদের কাছে এসে দেখলেন একটি মেয়ে হ্রদের মধ্যে ছোটো এক নৌকা নিয়ে বিহার করছে । চাঁদের আলোয় সেই মেয়ের অপূর্ব মায়াবী মুখখানি দেখে রাজার খুব পছন্দ হলো। যেন এই মেয়েকেই তিনি খুঁজে চলেছিলেন এত দিন।
এই মেয়েটিই গাইছে সেই অদ্ভুত মিষ্টি গান। রাজা তাঁর সৈন্য-সামন্তদের ডেকে বললেন, মেয়েটিকে ডেকে আনতে।
নৌকাটি তীরে এসে পৌঁছল। রাজা মেয়েটিকে হাত ধরে নিয়ে এলেন পাড়ে। নিমন্ত্রণ জানালেন তাঁর সঙ্গে নৈশভোজের। মেয়েটি সেই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে রাজার সঙ্গে তাঁর তাঁবুতে এসে বসল। রাজা নানান কথার মাঝে তাকে তাঁর ভালোলাগার কথা বললেন। বললেন তাকে রানি করে দেশে নিয়ে যেতে চান।
মেয়েটি শুনে জিজ্ঞেস করল, তিনি তো তাকে আজই প্রথম দেখলেন, তাকে ঠিক মতো চেনেনও না, তবে কেন তাকেই রানি করতে চান?
শুনে রাজা মেয়েটি কে সব খুলে বললেন। এও বললেন, তিনি বহু দিন ধরে তারই মতো কাউকে খুঁজে চলেছিলেন দেশ-বিদেশে। রাজা তাকে আশ্বস্ত করলেন, তিনি তাঁর সবটুকু ভালোবাসা দিয়ে তাকে ভরিয়ে রাখবেন। তার সব সুখের খেয়াল রাখবেন।
সেই শুনে মেয়েটি তাঁর প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে তাঁকে বিয়ে করতে রাজি হলো।
রাজার আনন্দ আর ধরে না। পরদিন ভোরবেলা তিনি তাঁর সৈন্য-সামন্তদের নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন তাঁর রাজধানীর পথে। কিন্তু এত কথার মাঝে রাজা তো ভুলেই গেছেন মেয়েটির নাম জিজ্ঞেস করতে। রাজা জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার নাম কি?’
মেয়েটি জানালো তার নাম জীনা। সে নানান দেশ ঘুরে এখানে এসেছে। কিন্তু এর বেশি সে আর কোনো কোথাই বলল না।
রাজা লক্ষ্য করলেন জীনা চুপচাপ। তেমন কোনো কোথাই বলছে না। রাজা তাঁকে তার বিষণ্নতার কথা জিজ্ঞেস করতেই সে বলল, ‘চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক হয়ে যাবে।’
রাজা ফিরে এলেন দেশে। বিয়ে করলেন। দেশজুড়ে তিন দিন ধরে চলল আনন্দের উৎসব। সবাই ভীষণ খুশি নতুন রানিকে পেয়ে। নানা রঙে নানা খুশিতে ভরে উঠল রাজার মন। কিন্তু হায়, রানির মুখে হাসির দেখা নাই। রানি তাঁর সব কর্তব্য সব দায়িত্ব নিপুণ হাতে নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। রানিকে পেয়ে রাজ্যের সব প্রজা ভীষণ খুশি। কিন্তু রানির মুখে এক অদ্ভুত বিষণ্নতা। রানিকে বহুবার জিজ্ঞেস করেছেন, তাঁর কি এই প্রাসাদে কোনো অসুবিধা বা মনে কোনো দুঃখ আছে কি না। রানি তাঁর কোনো উত্তরই দেন না। চুপ থাকেন।
রাজা তাঁর রানির মুখে হাসি ফোটানোর জন্যে কত কিছু করলেন, কত ভেলকিবাজি কত মশকরা দেখালেন, কিন্তু রানির মুখে হাসি নেই। রাজার কোনো পন্থাই কাজে দিল না রানির মুখে হাসি ফোটাতে।
একদিন রাজার মাথায় এক অভিনব বুদ্ধি এলো রানির মুখে হাসি আনার। তিনি তাঁর বিশ্বস্ত উপদেষ্টাকে ডেকে বললেন, সন্ধেবেলা তিনি যখন তাঁর নিজের কক্ষে থাকবেন রানির সঙ্গে, তখন সে যেন এসে বলে বিদেশি সৈন্যরা এসে দরজায় উপস্থিত, তাঁর প্রাসাদ দখল হতে চলেছে।
সেই দিন নৈশভোজের পর উপদেষ্টা দৌড়াতে দৌড়াতে এসে বলল, ‘মহারাজ, বিদেশি সৈন্যরা এসে প্রাসাদের দরজায় প্রাসাদ দখল করতে এসেছে, তাড়াতাড়ি চলুন।’
এই শুনে রাজা তাড়াহুড়ো করে পালঙ্ক থেকে নামতে গিয়ে দোয়াত উল্টে সব কালি চোখেমুখে লেগে গেল। তাই দেখে রানি হাসিতে ফেটে পড়লেন। রাজা রানির এই হাসি দেখে আনন্দে লাফালাফি করতে লাগলেন। অবশেষে তাঁর পন্থা কাজে দিয়েছে। তিনি রানিকে সব খুলে বললেন যে তিনি তাঁর মুখে হাসি ফোটানোর জন্যে এই কীর্তি করেছেন। সেই কথা শুনে রানি দ্বিগুণ হাসিতে ফেটে পড়লেন।
আরও পড়ুন:হোজ্জার জোব্বা কেনা
একদা হোজ্জা জোব্বা কিনতে একটি দোকানে গেল। তো পছন্দ করার পর দোকানদার জোব্বাটা প্যাকেট করে দিল। হোজ্জা জোব্বা নিয়ে চলে আসার সময় ভাবলেন, জোব্বা না নিয়ে বরং একটি আলখাল্লা নিয়ে যাই।
দোকানিকে বললেন, আপনি বরং আমাকে একটি আলখাল্লা দিন।
দোকানি আলখাল্লা দেয়ার পর হোজ্জা তা নিয়ে বের হয়ে আসার সময় দোকানি ডেকে বলল, হোজ্জা সাহেব, আপনি তো আলখাল্লার মূল্য পরিশোধ করেননি।
হোজ্জা উত্তর দিল, আমি তো আলখাল্লার পরিবর্তে জোব্বাটা রেখে গেলাম।
দোকানি বললেন, আপনি জোব্বার জন্যও মূল্য পরিশোধ করেননি।
প্রতি উত্তরে হোজ্জা বললেন, জোব্বা তো আমি নেইনি। যেটা আমি নেইনি, তার জন্য মূল্য পরিশোধ করব কেন?
বিয়ে খাওয়া
পাড়ার এক লোক হোজ্জাকে সুনজরে দেখতেন না। হোজ্জা সবার কাছেই প্রিয় ছিলেন, কিন্তু হাবু সাহেবকে কেউ পছন্দ করতেন না, সেই কারণেই তিনি নাসিরুদ্দিনকে হিংসা করতেন ।
হাবু সাহেবের মেয়ের বিয়ে। পাড়ার সবাইকে নিমন্ত্রণ করেছেন তিনি, কিন্তু হোজ্জাকে করেননি। হোজ্জাও জেদ ধরলেন, যেমন করে হোক বিয়ে খেতে হবে। হোজ্জার বুদ্ধি বের করতে দেরি হলো না।
একটা খামের ওপর লোকটির নাম লিখে তার ভেতরে এক টুকরো সাদা কাগজ ভরে খামখানার মুখ বন্ধ করে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলেন হোজ্জা। সবাই খেতে বসবে ঠিক সেই সময়েই উপস্থিত হয়ে বাড়ির মালিকের হাতে খামখানা দিয়ে বললেন, বাদশাহ এই চিঠিখানা পাঠিয়েছেন।
হাবু সাহেব খুব খুশি। স্বয়ং বাদশাহ নিশ্চয়ই মেয়ে-জামাইকে আশীর্বাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। মনের আনন্দে তিনি হোজ্জাকে খুব খাতির-যত্ন করে খাওয়ালেন।
বেশ পেট ভরে খাওয়ার পর হোজ্জা লোকটির কাছে বিদায় নিতে গেলে তাঁর চিঠির কথা মনে পড়ল। এতক্ষণ কাজের ব্যস্ততায় খামখানা খোলার সময় হয়নি।
খামখানা খুলে তো তিনি থ! জিজ্ঞেস করলেন, হোজ্জা সাহেব, বাদশাহ তো কিছুই লেখেননি। এর মধ্যে তো রয়েছে শুধু একখানা সাদা কাগজ।
হোজ্জা বললেন, এর জবাব তো আমি দিতে পারব না। আমাকে চিঠিখানা হাতে দিয়ে পৌঁছে দিতে বললেন, আমি পৌঁছে দিয়েছি। আমার কাজ এখানেই শেষ।
স্মৃতিশক্তি বাড়ানো
হোজ্জা একবার স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এক হেকিমের কাছ থেকে ওষুধ নিয়েছিলেন।
কয়েক মাস পর হোজ্জা সেই হেকিমের কাছে আবার গেলেন ওষুধ আনার জন্য।
হোজ্জাকে দেখে হেকিম বললেন, আচ্ছা, গতবার তোমাকে কী ওষুধ দিয়েছিলাম, একেবারেই মনে করতে পারছি না।
হোজ্জা বললেন, তাহলে ওই ওষুধ এখন থেকে আপনি নিজেই খাবেন।
আরও পড়ুন:ওপরের ছবিতে একটা শামুককে দেখতে পাচ্ছ।
ওর নাম খাদক। সারাক্ষণ ওর ক্ষিধে লাগে আর খেতে থাকে বলেই ওর নামটা এমন।
এই দেখো না, এখনও ওর ক্ষিধে লেগেছে। সামনে একটা কমলা পড়ে আছে। সেটার দিকে তাকিয়ে আছে সে। সমস্যা হচ্ছে কমলার কাছে যাবার পথটা সে খুঁজে পাচ্ছে না। তুমি কি ওকে সাহায্য করতে পারবে?
সময় মাত্র এক মিনিট। চলো তাহলে শুরু করা যাক।
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও কুইজ বানিয়ে আমাদের কাছে পাঠাতে পারো। কুইজের সঙ্গে অবশ্যই তোমার নাম, স্কুলের নাম, কোন ক্লাসে পড় এবং আব্বু বা আম্মুর ফোন নম্বর দেবে।
পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
উত্তর দেখতে নিচের ছবিতে চোখ বুলিয়ে নাও।
কিপ্টে বুড়োর গাছগুলোতে
থোকা থোকা আম ছিল,
নিত্য তাতে ভাগ বসানো
বিচ্ছুগুলোর কাম ছিল।
-
জ্যৈষ্ঠ মাসের দাবদাহে সেই
আমগুলো বেশ পাকছিল,
কিপ্টে বুড়ো সর্বদা তাই-
নজর তাতে রাখছিল।
-
যেই না হঠাৎ কিপ্টে বুড়ো
চেয়ারে বসে ঢুলছিল,
তাই না দেখে বিচ্ছুগুলো
খুশির আওয়াজ তুলছিল।
-
একটা বিচ্ছু চড়ল গাছে
আমগুলো সে পাড়ছিল
বাদ বাকি সব বিচ্ছুগুলোর
আম কুড়ানোর ভার ছিল।
-
ঘুম শেষে যেই কিপ্টে বুড়ো
হঠাৎ জেগে উঠছিল,
তাই দেখে সেই বিচ্ছুগুলো
ভীষণ জোরে ছুটছিল।
-
আম হারিয়ে কিপ্টে বুড়ো
যা-তা বলে বকছিল,
বিচ্ছুগুলো বলে তাদের
আমগুলোতে হক ছিল।
আরও পড়ুন:এক গায়ে ছিল এক জন্ম-কুঁড়ে নাপিত। সে ছিল অকর্মার ধাড়ী। কোনো কাজে তার মন বসত না। তার কাজ ছিল একটাই। নিজের পুরোনো আয়নাখানা আর দু-চারখানা দাতপড়া কাঁকই (চিরুনি) দিয়ে নিত্যক্ষণ নিজের মুখসৌন্দর্য ও চুলের বাহার দেখে পরম সন্তোষ লাভ করা। বাড়িতে তার একমাত্র বুড়া বিধবা মা। তারা গরিব মানুষ, সংসার চলে না। পৈতৃক পেশায় মন লাগালে সংসারের দুঃখ দূর হয়। কিন্তু ছেলে কাজকর্মের ধারেকাছেও নেই। মা হতাশ হয়, দুঃখ করে। অন্য ভালো ছেলেদের নজির দেখায়। কিন্তু কে শোনে কার কথা!
ছেলে তার স্বভাব থেকে একচুলও নড়ে না। অনেক ভেবেচিন্তে মা ছেলের বিয়ে দেয়। আশা, এতে ছেলের সংসারে মন ফিরবে। কিন্তু কিসের কি! বউ-সংসার নাপিতের মন পায় না। সে ব্যস্ত থাকে তার পুরোনো অভ্যাস নিয়ে। তাতেই তার দুনিয়ার আনন্দ, নিদারুণ পুলক। খেউরি করার (চুল কাটার) যন্ত্রপাতিতে জং ধরে। একটা জমিতে ধান হয়েছে সেগুলো সে কেটে ঘরে তুলবে তাতেও তার প্রবল অনিচ্ছা। তো নাপিতের মা অবশেষে ত্যক্তবিরক্ত হয়ে ছেলেকে ঝাঁটাপেটা করে একদিন বাড়ি থেকে বের করে দিলেন।
এই বার নাপিতের মনে লাগে। সে ঘর ছেড়ে বেরোয়। একটা কিছু করে অনেক টাকাকড়ি ধনরত্ন কামাতে না পারলে সে আর বাড়িমুখো হবে না।
বাড়ি থেকে বেরিয়ে নাপিত গ্রামগঞ্জ-লোকালয় ছাড়িয়ে, নদী, পাহাড়-পর্বত ডিঙ্গিয়ে এক গহিন অরণ্যের কাছে এসে পড়ে। সেখান থেকে শোনে দুদ্দাড় শব্দ। কৌতূহলবশত সাহস করে ঢুকে পড়ে বনে! দেখে এক দৈত্য উদ্দাম নাচে মত্ত।
দৈত্যরা কাউকে পেলে ঘাড় মটকে দিতে পারে, তাই ভয় হয় প্রথমে নাপিতের। পরে সে ভাবে, আমার তো হারাবার কিছু নেই। এমনিতেও না খেয়ে মৃত্যু আর অমনিতে দৈত্যের ঘাড় মটকানিতে মৃত্যু। পরেরটাতেই কষ্ট কম। তাই একটু খেলিয়ে দেখার জন্য সেও নাচতে থাকে।
কিন্তু পরে সাহস করে দৈত্যকে জিগায় : এত যে নাচ! পুলকটা (আনন্দটা) কিসের?
দৈত্য বনজঙ্গল কাপিয়ে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। তোমার এই প্রশ্ন শোনার জন্যই তো নাচ থামিয়ে কাজ শুরু করিনি। দুনিয়ার বুদ্ধ, বুঝতে পারনি কেন নাচি? তোমাকে খাব, সেই আনন্দেই নাচছি। তা তুমি উল্লুক নাচ্ছ কেন?
নাপিত : সে বড়ই এক মহৎ কারণে গো, দৈত্যমশাই! আমার কত দিনের স্বপ্ন আর পরিশ্রমের অবসান ঘটতে যাচ্ছে—নাচব না?
দৈত্য : হেয়ালি রাখ! আমার পেটে যাওয়ার আগে তোর নাচের রহস্য ভেদ কর!
নাপিত : আমাদের রাজকুমার গুরুতর অসুস্থ। রাজবদ্যিরা নিদান নির্দেশ করেছেন এক শ একটা দৈত্যের কলজের রক্ত জোগাড় করে আনতে পারলেই তার রোগমুক্তির ওষুধ তৈরি করা যায়। রাজকর্মচারীরা ঢোল সোহরত করে ঘোষণা দিয়েছে—'যে এক শ একটা দৈত্য ধরে দিতে পারবে, তাকে অর্ধেক রাজত্ব আর রাজকন্যা দেয়া হবে।' কত পাহাড়-পর্বত, বনজঙ্গল আর পোড়োবাড়িতে হানা দিয়ে এক শ দৈত্যকে বাক্সবন্দি করতে পেরেছি। তোমাকে কবজায় পেয়ে এক শ এক শিকার পূর্ণ হলো। তুমি এখন আমার পকেটে বন্দি।
এই কথা বলে পকেট থেকে পুরোনো আয়নাটা বের করে দৈত্যের মুখের সামনে ধরে। দৈত্য দেখে হায় হায়—এ যে তারই মুখ!
ভয় পেয়ে দৈত্য বলে : আমাকে মুক্ত করে দাও ভাই। তোমাদের রাজা তোমাকে দেবে অর্ধেক রাজত্ব আর রাজকন্যা। আমি তোমাকে দেব সাতরাজার ধন। তা দিয়ে তুমি পেতে পার সাত রাজকন্যা।
নাপিত বলে : তুমি এত ধন কোথায় পাবে? আর পেলেই আমি তা কেমন করে বাড়িতে নিয়ে যাব?
দৈত্য : সে কোনো চিন্তার ব্যাপারই না। আমাদের অনেক শক্তি। তোমার পেছনের বটগাছের নিচেই আছে সব সম্পদ। আর তা তোমার বাড়িতে পৌঁছে দেবার দায়িত্বও আমার।
দৈত্য মাটি উথালপাতাল করে সাত ঘড়া ভরতি হিরাজহরত আর সোনাদানা বের করে নাপিতকে সুদ্ধ পৌঁছে দেয় তার বাড়িতে। নাপিত মহাখুশি! তবে সে দৈত্যকে সহজে ছাড়ে না। বলে : আমার ক্ষেতের ধান কেটে তা বাড়িতে এনে দাও।
দৈত্য নিরুপায় হয়ে তাই করে। দৈত্যকে ধান কাটতে দেখে অন্য এক দৈত্য বলে, এ কী করছ? তুমি কি দৈত্যকুলের কুলাঙ্গার নাকি? এক ফেরেববাজের পাল্লায় পড়ে দৈত্যকুলের সম্মান খোয়াবে?
দৈত্য বলে : ভাইরে মহাবিটকেলের পাল্লায় পড়েছি। সহজে এর হাত থেকে পরিত্রাণের উপায় দেখি না।
আগন্তুক দৈত্য বলে : কী যে ছাইভস্ম বল! মানুষ আর দৈত্য কি এক হলো? মানুষ দৈত্যকে কামলা খাটাচ্ছে এ কথা কেউ শুনেছে কখনও। তাও আবার লোকটা সামান্য এক নাপিত। তুমি ওই পাজিটার বাড়িখানা আমাকে দেখিয়ে দাও, আমি ওকে আচ্ছা করে শায়েস্তা করি।
নতুন দৈত্যেব কথা শুনে দৈত্য আশ্বস্ত হতে পারে না। তার ডর (ভয়) লাগে। তাই দূর থেকে নব্য জেল্লাদার আর উৎসবমুখর নাপিতবাড়ি দেখিয়ে দিয়ে এসে দৈত্য ধান কাটতে থাকে।
নাপিতবাড়িতে ভোজের আয়োজন হচ্ছে। তাতে এক বিপত্তিও ঘটেছে। মাছ রান্না করে থরে থরে সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। ভাঙা জানালা দিয়ে এক হুলো (বিড়াল) এসে মাছের তরকারির একটা অংশ নিয়ে ভো দৌড়ে পালিয়েছে। নাপিতবউ তাই ধারালো বঁটি নিয়ে ভাঙা জানালার পাশে ঘাপটি মেরে দাঁড়িয়ে আছে। ছোচা বিড়াল আবার আসবে। তখন ওর দফারফা করতে হবে। এর মধ্যে বেড়াল আসেনি। চুপিসারে এসেছে নতুন দৈত্য। আর ভাঙা জানালা গলিয়ে জটাচুল ভর্তি মাথাটা ঢুকিয়েছে ঘরে। ওদিকে ওত পেতে থাকা নাপিতবউ বঁটি দিয়ে বসিয়েছে এক কোপ। আর তাতে দৈত্যের নাক কেটে থেকে গেছে নাপিতের ঘরে। আর্তচিৎকার দিয়ে যন্ত্রণায় কোঁকাতে কোঁকাতে দৈত্য পগার পাড়। কোন লজ্জায় আর মুখ দেখাবে দৈত্যকে।
দৈত্য সব দেখে আরও ভয় পায়। সব ধান ঘরে তুলে দিয়েও দৈত্যভাবে নাপিত যদি তাকে না ছাড়ে! সে হাত জোড় করে মুক্তি চায়।
নাপিত এবার আয়নার উল্টা পিঠ দেখিয়ে বলেঃ এই দেখ, তোমার ছবি আর আটক নাই। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তোমার মুক্তি ঘটেছে। এবার যাও।
দৈত্য নাপিতকে সালাম জানিয়ে বিদায় হয়।
আরও পড়ুন:আমরা সবাই উট চিনি, তাই না?
মরুভূমির দেশে থাকে। একটানা কয়েক দিন পানি পান না করলেও ওদের কিছু হয় না।
ছবিতে সে রকমই দুটি উট দেখতে পাচ্ছ।
মরুভূমির মধ্য দিয়ে চলছে। আকাশে উঠেছে তপ্ত সূর্য।
পেছনে একটা খেজুরগাছও আছে।
এই চমৎকার ছবিটার মধ্যে একটা ভুল আছে। তোমরা কি সেই ভুলটা খুঁজে বের করতে পারবে?
সময় মাত্র এক মিনিট। চলো তাহলে শুরু করা যাক।
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও কুইজ বানিয়ে আমাদের কাছে পাঠাতে পারো। কুইজের সঙ্গে অবশ্যই তোমার নাম, স্কুলের নাম, কোন ক্লাসে পড় এবং আব্বু বা আম্মুর ফোন নম্বর দেবে।
পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
উত্তর দেখতে নিচের ছবিতে চোখ বুলিয়ে নাও।
তোমরা কি লেমুর চেনো?
অনেকটা বানরের মতো দেখতে এই প্রানীটা বাস করে আফ্রিকার মাদাগাস্কারে।
ওরা দেখতে খুব সুন্দর।
ওপরের ছবিতে একটা লেমুরকে দেখতে পাচ্ছো। লেমুরটা তার ছানাকে পিঠে তুলে নিয়েছে।
পাশেই আছে অনেকগুলো ছায়া। এরমধ্যে একটা ছায়া পাশের লেমুরটার।
তোমরা কি সেই ছায়াটা খুঁজে বের করতে পারবে?
আমার মনে হয় পারবে।
চলো তাহলে, শুরু করা যাক।
_
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও কুইজ বানিয়ে আমাদের কাছে পাঠাতে পারো। কুইজের সঙ্গে অবশ্যই তোমার নাম, স্কুলের নাম, কোন ক্লাসে পড় এবং আব্বু বা আম্মুর ফোন নম্বর দেবে।
পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
উত্তর দেখতে নিচের ছবিতে চোখ বুলিয়ে নাও।
কৃষিবিজ্ঞানের শিক্ষক তৈয়ব আখন্দ। একেবারে মাটির মানুষ। এটেল মাটি না, দোআঁশ মাটিও না। পলি মাটি।
বাড়ির পেছনে এক টুকরা জমি আছে। অবসরে বাগান করেন। বাগানটা ঝোপঝাড়ে ভর্তি।
তৈয়ব আখন্দ আগাছা পরিষ্কার করেন না। ফাঁক-ফোকরে গাছ লাগান। ছাত্র-ছাত্রীদের বলেন-
- এটাকে বলে পারমাকালচার। আমরা যেভাবে চাষবাস করি সেটা ভালো না। মাটির উর্বরতা নষ্ট করে, প্রকৃতি নষ্ট করে। পারমাকালচার হলো সবাই মিলে শান্তিতে থাকার মতো। প্রকৃতিতে কিছু ঝোপঝাড়, আগাছারও দরকার আছে।
এমনটা বলার একটা কারণও আছে। সেটা তৈয়ব আখন্দ ক্লাসে বলেননি। বললে ছেলেমেয়েরা ভয় পাবে, কিংবা তাকে পাগল মনে করবে।
তৈয়ব আখন্দ তার বাগানের ছোটোখাটো গাছপালার কথা বুঝতে পারেন, তাদের সঙ্গে প্রায়ই টুকটাক কথাবার্তা হয় তার।-
অনেক দিন আগের কথা। বাগানে বাঁধাকপির চারা লাগাবেন বলে মাটি পরিষ্কার করছিলেন তৈয়ব।
জমিতে নেমে একটা ভাঁটফুলের ঝোপ উপড়ে ফেললেন। উহ শব্দ করে উঠল গাছটা।
- কে? ভাঁটফুল নাকি?
- জি স্যার।
- তুই কথা বলছিস কেন?
বলেই ভুল বুঝতে পারলেন তৈয়ব। মিষ্টি কুমড়ার চারা হলে ‘তুই’ করে বলতেন না তিনি। ভাঁটফুল কি একেবারে ফেলনা?
- তুমি এখানে কী করো? আমি সবজির চারা লাগাব।
ভাঁটফুলের চারাটা বলল,
- স্যার, আমার সঙ্গেই লাগান। আমি বাঁধাকপির চারাগুলো দেখে রাখব। আমি আপনার বাগানের কেয়ারটেকার।
- অ্যাঁ!
- স্যার আমাদের জ্ঞান অপরিসীম। আমাদের শিকড় থেকে শিকড়ে তথ্য আদান-প্রদান করতে জানি। আপনার সবজি চারার যাবতীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হবে। মাটিও ঠিকঠাক থাকবে। আপনি হয়তো জানেন না যে আমি কিন্তু চর্মরোগের মহৌষধ।
মনে হবে যেন জীবন বাঁচাতে হড়বড় করে কথাগুলো বলল গাছটা। কিন্তু তৈয়ব জানেন, কথা সত্য।
তৈয়ব আখন্দ আবার গাছটা মাটিতে লাগিয়ে দিলেন। ঝাঁঝরি দিয়ে পানিও দিলেন। এরপর পরিষ্কার শুনলেন, ভাঁটফুল গাছটা ‘আহ’ জাতীয় শব্দ করল।
নিজের মাথা ঠিক আছে কি না সেটা পরীক্ষা করার জন্য সেদিন রাতে তৈয়ব আখন্দ কঠিন দেখে দুটি গসাগুর অঙ্ক করলেন। অঙ্ক মিলেছে। তার মানে মাথাও ঠিক আছে।
-এরপর প্রায়ই বাগানের গাছগাছালির সঙ্গে তৈয়বের কথা হয়। তবে সেটা কাউকে বুঝতে দেন না।
এতে একটা লাভ হয়েছে। গাছের গোড়ায় সার দেওয়া নিয়ে চিন্তা করতে হয় না তৈয়ব আখন্দকে। অন্য গাছগুলো এদিক-ওদিক থেকে সব ম্যানেজ করে।
তৈয়বের বাগানে দিনে দিনে গাছ-গাছালি বাড়তে থাকে। কোথা থেকে পাখিরাও এসে বীজটিজ ছিটিয়ে দিয়ে যায়।
তৈয়বও বুঝতে পারেন গাছের সঙ্গে বক বক করতে গিয়ে তার মাথায় কিছু একটা ঢুকেছে। ভালো কিছু। সেটা কী?
তৈয়ব যেকোনো গাছের দিকে তাকালেই বুঝতে পারেন কোন গাছের কী গুণ। কোন পাতার সঙ্গে কোন ফুলের রস মেশালে কোন রোগ সারবে, সেটাও জানেন। তার এই কবিরাজি গুণের কথা খুব বেশি লোক জানে না।
কয়েক দিন আগে রায়বাবুর ছেলেটার কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এলো। তৈয়ব তাকে পাঁচ রকমের পাতার একটা রস খাইয়ে দিলেন। রাত পোহাতেই সুস্থ। কারও সামান্য হাত-পা ছিলে গেলে অবশ্য দু-চারটি জার্মানি লতা বেটে লাগালেই ঠিক হয়ে যায়।
এ সবই হয় গোপনে। বেশি লোকজন জানতে পারলে হইচই করবে। হইচই তৈয়বের মোটেও পছন্দ না।
- তৈয়ব, তোমার ওষুধে তো আমার বড় পোলার পায়ের ঘা সাইরা গেছে। তুমি তো বিরাট কবিরাজ।
গ্রামের ক্ষমতাধর মন্টু ব্যাপারীকে দেখে মুষড়ে গেলেন তৈয়ব আখন্দ। কয়েক দিন আগে এসেছিল ছেলের জন্য ওষুধ নিতে। আজ এসেছে তৈয়বের বাগান দখল করার মতলব নিয়ে।
- তোমাকে বললাম পেছনের জমিটা আমার। আমার দাদা তোমার বাবার কাছে এটা বিক্রি করলেও ওই দলিলে ঝামেলা আছে। মামলা মোকদ্দমার ব্যাপার। তোমারে কিছু টাকা দিই, জমি আমার নামে ট্রান্সফার করে দাও।
তৈয়ব ঘটনা আগেই জানত। তার বাগানে একটি রেডিও টাইপের গাছ আছে। সুদূর আমাজন থেকে তার বীজ এনে দিয়েছিল একটি পাখি। সেই গাছের দারুণ ক্ষমতা। ওই গাছটাই তৈয়বকে গত সপ্তাহে বলেছিল-
- স্যার, আলামত সুবিধার নয়। মন্টু ব্যাপারী আপনার জমি দখল করবে।
- করলে করবে। আমি অতি সামান্য মানুষ। ঠেকাতে পারব না।
- এই জমি সে একটি ওষুধ কোম্পানির কাছে বেচবে। ওরা আমাদের সবাইকে কেটেকুটে গবেষণা করবে। তারপর যখন কিছুই বুঝবে না তখন আপনাকে ধরে নিয়ে যাবে।
- আমাকে কেন!
- স্যার, মানুষ দেখে লতাপাতা। ফর্মুলা তো আপনার মাথায়।
-মন্টু ব্যাপারী সেদিন হুমকি-ধমকি দিয়ে চলে গেলেন। তৈয়ব সারাদিন দুশ্চিন্তা করলেন। বেশি দুশ্চিন্তা হলে তিনি চলে যান বাগানে। তাকে দেখে একটা হাতিশুঁড় গাছ বলল-
- স্যার, মন খারাপের দুই ডোজ ওষুধ বানান। ফুরফুরা লাগব।
- ওষুধে কাজ হইব না।
পাশ থেকে গন্ধভাদালি লতাটা বলল-
- স্যার আপনি বিরাট রসায়ন বিজ্ঞানী। ভাবেন। সমাধান বের হবে।
- ঠিক আছে ভাবি।
ভাবতে ভাবতে তৈয়ব আখন্দ সমাধান পেলেন।
গভীর রাতে বের হলেন তৈয়ব। কিছু গাছগাছালি লাগবে। সব গাছ তার বাগানে নেই।
সবার আগে গেলেন মিশুদের উঠানে। কুড়িয়ে নিলেন কিছু মেহগনির বীজ। তারপর নিলেন বকফুল, পরশপিপুল, অশ্বগন্ধা, অনন্তমূল, ডুগডুগিসহ ১০ রকমের লতাপাতা। নিজের বাগান থেকে নিলেন আমাজন থেকে উড়ে আসা একটি গাছের শিকড়।
সব মিশিয়ে তৈরি করলেন একটা মিক্সচার। স্বাদ অনেকটা আচারের মতো। চেখে দেখলেন। খেতে ভালোই। এখন অপেক্ষার পালা।
-দুদিন পরই এলেন মন্টু ব্যাপারী। তৈয়ব এবার তাকে আপ্যায়ন করলেন। ভাত-ডালের সঙ্গে নিজের বাগানের তাজা সবজির তরকারিও দিলেন। মন্টু খুব খুশি। যাক জমিটা তাহলে তার কবজায় আসছে।
- মন্টু সাহেব আচার নেন। নিজের হাতে বানানো ভেষজ আচার।
- অবশ্যই খাব! তোমার হাতে তো জাদু আছে। দাও দাও।
আচার মুখে দিলেন মন্টু মিয়া।
- আহা! মনটা জুড়ে গেল। আরো দাও।
- আচারের ডোজ, ইয়ে মানে পরিমাণমতো খেতে হবে।
- কী যে বলো! এত স্বাদের জিনিস মেপে খেতে পারব না। আরও দুই চামচ দাও।
- আচ্ছা নেন।
প্রায় পুরো মিক্সচারটা সাবাড় করে দিলেন মন্টু। ঘটনা ঘটতে বেশিক্ষণ লাগল না। ঘণ্টাখানেক পর বললেন-
- কেমন ফুরফুরা লাগতাছে তৈয়ব। কত দিন পর মনে হইল তৃপ্তি কইরা ভাত খাইলাম।
- আপনি কি আমার জমিটা...।
- দুর! কী যে বলো। মানুষ কি সব সময় খারাপ থাকে? আমিও ঠিক করেছি ভালো হয়ে যাব। ভালো মানুষ কেমনে হয় জানো নাকি? আচ্ছা। আমি দেখি চেষ্টা করে।
তৈয়ব বুঝতে পারলেন ওষুধে কাজ হয়েছে। মিক্সচারটা ছিল ভালো মানুষ বানানোর ওষুধ।
পরদিন সকালে হইচই শুনে ঘুম ভাঙল তৈয়বের।
পাড়ার উঠানে বিশাল জমায়েত। মাঝখানে মন্টু ব্যাপারী। তার সামনে কয়েক শ গাছের চারা। মন্টু বলছেন-
- ভাইসব। আমি ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টায় আছি। ভালো কাজ কীভাবে করতে হয় আমার জানা নাই। তবে গ্রামবাসীর সহযোগিতা...।
ভিড় থেকে কেউ একজন চেঁচিয়ে বলল-
- চারা কি আমাদের দিবেন? দিলে জলদি দেন। এত কথা কন ক্যান। সঙ্গে কিছু টেকা দিবেন? নাকি শুধু চারা?
- জি জনাব। আপনাদের জন্য। নিয়া যান। চারার সঙ্গে নগদ ১০০ টাকাও আছে।
এরপর মন্টু ব্যাপারীকে কথা বলার সুযোগ দিল না কেউ। হুড়মুড় করে সবাই চারা আর টাকা নিয়ে চলে গেল যার যার কাজে।
এগিয়ে গেলেন তৈয়ব।
- মন্টু ভাই, ভালো কাজ করাটা ধৈর্যের ব্যাপার। আড়ালে আবডালে করেন। কেউ টের না পাইলেই ভালো।
এরপর? এরপর একদিন মন্টু ব্যাপারী তৈয়বকে ফিসফিস করে বললেন-
- একটা আশ্চর্য ব্যাপার ঘটছে তৈয়ব! তোমার বাগানের একটা নিশিন্দা গাছ আমারে কয়, মন্টু ভাই শরীর ভালো?
আরও পড়ুন:
মন্তব্য