× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

কিড জোন
Apanjan Fire Service in a disaster
google_news print-icon

দুর্যোগ দুর্ঘটনায় আপনজন ফায়ার সার্ভিস

দুর্যোগ-দুর্ঘটনায়-আপনজন-ফায়ার-সার্ভিস
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা।
কোথাও আগুন লেগে গেলে নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিসে ফোন করতে হয়। এ সময় তারা আগুন লাগার স্থানের ঠিকানা জেনে নেন। ওদিকে অগ্নিনির্বাপণ-কর্মীদের একটি দল সব সময় আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখে যেন খবর পেলেই দ্রুততম সময়ে দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে পারে।

কোথাও আগুন লাগলে সেটা নেভানোর জন্য লাল রঙের গাড়িতে সাইরেন বাজিয়ে যারা আসেন, তারা ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স বিভাগের কর্মী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এরা আগুন নেভান, আহতদের উদ্ধার করেন। সেই কাজ করতে গিয়ে তাদের অনেকে আহত হন, অনেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

শুধু আগুন নেভানোর ক্ষেত্রেই নয়, এরা ভূমিকম্প, সুনামি, ভূমিধস এমনকি সড়ক দুর্ঘটনাতেও উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এদের বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। কোথাও ফায়ার ডিপার্টমেন্ট, কোথাও ফায়ার ব্রিগেড আবার কোথাও বা দমকল বাহিনী। তবে নাম যা-ই হোক, তাদের সবার কাজ কিন্তু মোটামুটি একই রকম।

দুর্যোগ দুর্ঘটনায় আপনজন ফায়ার সার্ভিস
তুরাগ নদীতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের উদ্ধার তৎপরতা।

তোমরা হয়তো সবাই জানো, ঠিক এ রকমই একটি সংস্থা আছে আমাদের দেশে। পুরো নাম বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স। এটি বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৮২ সালে এটি কার্যক্রম আরম্ভ করে। এদের মূল মন্ত্র হলো গতি, সেবা ও ত্যাগ। মানে দ্রুতগতিতে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে আর্ত মানুষের সেবা প্রদান করা এবং সেটি করতে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতেও পিছপা না হওয়া।

প্রথম সাড়া প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে এ বিভাগের কর্মীরা আগুন নেভান। আগুন প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে এরা জনসাধারণকে প্রশিক্ষণও দেন। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্তদের উদ্ধার, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান, মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে প্রেরণ করে থাকেন।

প্রথম ফায়ার সার্ভিস

প্রাচীন রোমে প্রথম ফায়ার সার্ভিস গঠনের প্রমাণ পাওয়া যায়। খ্রিষ্টপূর্ব ২৪ সালে রোমের শাসক মার্কাস ইগনাটিউস রুফুস তার কৃতদাসদের সমন্বয়ে একটি বাহিনী গঠন করেন, যাদের কাজ ছিল আগুন নেভানো।

দুর্যোগ দুর্ঘটনায় আপনজন ফায়ার সার্ভিস
১৯০৫ সালের আমেরিকান ফায়ার ডিপার্টমেন্টের একটি ইঞ্জিন।

বালতিতে করে পানি নিয়ে এরা আগুন নেভানোর কাজ করত। প্রথমে এরা পাশাপাশি লাইন ধরে দাঁড়িয়ে যেত। লাইনের প্রথম ব্যক্তি পানিপূর্ণ বালতি পাশের জনকে দিত। সে আবার দিত তার পাশের জনকে। এভাবে বালতিটি পৌঁছে যেত দুর্ঘটনাস্থলে। তারপর সেই পানি আগুনে ছুড়ে দেয়া হতো। এই দলের সদস্যরা ঘুরে ঘুরে দেখতেন কেউ ‘আগুন প্রতিরোধী নিয়ম’ লঙ্ঘন করছে কি না। তেমন কাউকে পাওয়া গেলে পরবর্তীতে সময়ে শাস্তি দেয়া হতো। আর একটা বিষয়, আগুন নেভানোর জন্য এরা কোনো পারিশ্রমিক নিতেন না। তাদের সেবাটা ছিল একদম ফ্রি।

দুর্যোগ দুর্ঘটনায় আপনজন ফায়ার সার্ভিস
১৯২১ সালে তোলা এই ছবিতে আমেরিকান ফায়ার ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের দেখা যাচ্ছে।

উপমহাদেশে ফায়ার সার্ভিস

তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার অবিভক্ত ভারতে ১৯৩৯ সালে ফায়ার সার্ভিস নামে একটি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করে। সে সময় আঞ্চলিক পর্যায়ে কলকাতা শহরের জন্য কলকাতা ফায়ার সার্ভিস এবং বাংলার জন্য (কলকাতা বাদে) বেঙ্গল ফায়ার সার্ভিস সৃষ্টি করে। ১৯৪৭ সালে এ অঞ্চলের ফায়ার সার্ভিসকে পূর্ব পাকিস্তান ফায়ার সার্ভিস নামে অভিহিত করা হয়। ১৯৮২ সালে তৎকালীন ফায়ার সার্ভিস পরিদপ্তর, সিভিল ডিফেন্স পরিদপ্তর এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্ধার পরিদপ্তর- এই তিনটি পরিদপ্তরের সমন্বয়ে বর্তমান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরটি গঠিত হয়।

যেভাবে কাজ করে

কোথাও আগুন লেগে গেলে নিকটস্থ ফায়ার সার্ভিসে ফোন করতে হয়। এ সময় তারা আগুন লাগার স্থানের ঠিকানা জেনে নেয়। ওদিকে অগ্নিনির্বাপণ-কর্মীদের একটি দল সব সময় আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখে যেন খবর পেলেই দ্রুততম সময়ে দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যেতে পারে।

এই লক্ষ্যে আগে থেকেই ট্যাংকারে পানি ভরা থাকে। অগ্নিনির্বাপণ-কর্মীরা সেই ট্যাংকার নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেন। এ সময় তাদের গাড়িতে সাইরেন বাজে যেন রাস্তার অন্য গাড়ি একপাশে সরে গিয়ে তাদের আগে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারে।

দুর্যোগ দুর্ঘটনায় আপনজন ফায়ার সার্ভিস

ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা পানি ছিটানো শুরু করেন। পানিবাহী গাড়ির পাশাপাশি তাদের সঙ্গে স্বয়ংক্রিয় মই থাকে যার সাহায্যে তারা বহুতল ভবনে পানি ছিটাতে পারেন এবং সেখান থেকে আটকেপড়াদের উদ্ধার করতে পারেন।

আগুন নেভানোর পর তারা আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করেন। ভবিষ্যতে যেন আর আগুন না লাগে, সেই পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তাও তারা দিয়ে আসেন।

তোমার আশপাশে কোথাও যদি আগুন লাগে তাহলে দেরি না করে ০২-৯৫৫৫৫৫৫ এই নাম্বারে ফোন করবে। এটা ঢাকা অঞ্চলের ফায়ার সার্ভিস বিভাগের নাম্বার। তবে যারা ঢাকার বাইরে থাকো, তাদের আশপাশেও কিন্তু আছে ফায়ার স্টেশন। সেখানকার ফোন নাম্বারগুলো সংগ্রহ করে মুখস্থ করে নিতে ভুলো না কিন্তু।

আরও পড়ুন:
আ.লীগ কার্যালয়ের দেয়ালে আটকা পড়েছিলেন তিনি
ফায়ার সার্ভিসে দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ দিল কে?
৬৫ মিটার উচ্চতায় আগুন নেভাতে কেনা হচ্ছে ১১ লেডার
চট্টগ্রামে কারখানায় আগুন: ফায়ার সার্ভিস কর্মীর মৃত্যু
আগামী অর্থবছরের মধ্যে আরও ১০৯ ফায়ার স্টেশন

মন্তব্য

আরও পড়ুন

কিড জোন
Sisimpurs special initiative in sign language for hearing impaired children

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ইশারা ভাষায় সিসিমপুরের বিশেষ উদ্যোগ

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ইশারা ভাষায় সিসিমপুরের বিশেষ উদ্যোগ শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব। ছবি: নিউজবাংলা
২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হলো সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় ১৩টি পর্বে শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের উপযোগী করে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজ তথা ইশারা ভাষা যুক্ত করে নতুনভাবে তৈরি করেছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)।

সিসিমপুরের পর্বগুলোকে ইশারা ভাষায় রূপান্তরে সহযোগিতা করেছে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন সোসাইটি অব দ্য ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল)।

২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।

বিশেষ এই উদ্যোগ সম্পর্কে সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘সিসিমপুরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সিসিমপুরের ১০টি গল্পের বই ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি ও শিশুদের মাঝে বিতরণ করেছি। এবার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নিয়ে আসছি ১৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর।

‘ধারাবাহিকভাবে পর্বের সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে আছে আমাদের। আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ইউএসএআইডি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’

মন্তব্য

কিড জোন
One day at the police station

এক দিন থানায়

এক দিন থানায়
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক লোককে থানায় ধরে আনা হলো।

ওসি: আপনাকে আজ রাতে থানায় থাকতে হবে।

ভদ্রলোক: চার্জ কী?

ওসি: কোনো চার্জ দিতে হবে না, ফ্রি।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
নতুন সিইও
সাঁতার
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু

মন্তব্য

কিড জোন
The wisdom of the lawyer

উকিলের বুদ্ধি

উকিলের বুদ্ধি
উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পার, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"

গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে ২৫ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, ‌'৫০০ টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পারো তো জেলে যাও।' সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।

এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তুখোড় বুদ্ধি উকিল এসে বললেন, 'ওই ১০০ টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।'

চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, ‌'আমায় বাঁচিয়ে দিন।'

উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পারো, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"

চাষা বলল, 'আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজি।'

আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি সাত বছর আগে ২৫ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?'

চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, 'ব্যা- '।

উকিল বললেন, 'খবরদার!- বল, নিয়েছিলি কি না।'

চাষা বলল, 'ব্যা- '।

উকিল বললেন, 'হুজুর! আসামির বেয়াদবি দেখুন।'

হাকিম রেগে বললেন, 'ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমই ফাটক দেব।'

চাষা অত্যন্ত ভয় পেয়ে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, 'ব্যা- ব্যা- '।

হাকিম বললেন, 'লোকটা কি পাগল নাকি?'

তখন চাষার উকিল উঠে বললেন, "হুজুর, ও কি আজকের পাগল- ও বহুকালের পাগল, জন্ম-অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকি? আর পাগলের খত লিখলেই বা কী? দেখুন দেখুন, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে করে জেনেশুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেওয়ার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, 'এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে'- পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!"

দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল।

হাকিম খানিক শুনেটুনে বললেন, 'মোকদ্দমা ডিসমিস্।'

মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বললেন, 'আচ্ছা, না হয় তোর ৪০০ টাকা ছেড়েই দিলাম- ওই ১০০ টাকাই দে।'

চাষা বলল, 'ব্যা-!'

মহাজন যতই বলেন, যতই বোঝান, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগেমেগে বলে গেল, 'দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন করে হজম করিস।'

চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, 'যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। ১০০ টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।'

চাষা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, 'ব্যা-।'

উকিল বললেন, 'বাপু হে, ওসব চালাকি খাটবে না- টাকাটি এখন বের করো।'

চাষা বোকার মতো মুখ করে আবার বলল, 'ব্যা-।'

উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, 'হতভাগা গোমুখ্যু পাড়া গেঁয়ে ভূত- তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি, কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হলে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।'

বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হলো না।

আরও পড়ুন:
বড় দিদি
লোভী কুকুর
সিন্ড্রেলা
বাবুর্চির বুদ্ধি
সুখু আর দুখু

মন্তব্য

কিড জোন
Smile and Ismail

স্মাইল ও ইসমাইল

স্মাইল ও ইসমাইল
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক ফটো সাংবাদিক রাস্তায় বাচ্চাদের ছবি তুলছেন। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে বললেন, স্মাইল।

ইসমাইল: জি স্যার?

সাংবাদিক: আরে তুমি দাঁড়াচ্ছ কেন? বসো।

ইসমাইল: ঠিক আছে।

সাংবাদিক: ওকে রেডি, স্মাইল।

ইসমাইল: ডাকলেন কেন স্যার?

সাংবাদিক: আরে বাবা তোমার সমস্যাটা কী? স্মাইল বললেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছ কেন?

ইসমাইল: আমি তো বসেই আছি। আপনি আমার নাম ধরে ডাকেন বলেই দাঁড়িয়ে যাই।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
সাঁতার
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি

মন্তব্য

কিড জোন
father and son

বাবা-মেয়ে

বাবা-মেয়ে
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

মেয়ে: আলুর তরকারিটার স্বাদ কেমন হয়েছে?

বাবা: দারুণ স্বাদ হয়েছে। তুই রান্না করেছিস নাকি?

মেয়ে: না, আলু আমি ছিলেছি।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা

মন্তব্য

ভুলোমনা

ভুলোমনা
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

স্ত্রী: কি ব্যাপার, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?

ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা লাগছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা
টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র

মন্তব্য

নতুন চাকরি

নতুন চাকরি
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক যুবক নতুন চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন অফিসে এসেই কিচেনে ফোন করে বলল, ‘এখনি আমাকে এককাপ কফি দিয়ে যাও! জলদি!’

অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল, ‘গর্দভ, তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?’

যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল, ‘না! আপনি কে?’

‘আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর’, রাগী গলায় উত্তর এল।

যুবকটি বলল, ‘আর আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন?’

‘না’, ওপার থেকে উত্তর এল।

‘বাবারে! বাঁচা গেছে’, বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা
টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র
আম চোর

মন্তব্য

p
উপরে