× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

কিড জোন
Queen of the clouds and Tulus grandmother
google_news print-icon

মেঘের রানী ও টুলুর নানি

মেঘের-রানী-ও-টুলুর-নানি
গর্জে উঠলেন রানী, ‘অ্যাই কে আছিস?’ রানীর গর্জনেই ঘুম ভেঙে গেল সব মেঘের। ছুটে এলো সেনাপতি মেঘ, ‘হুকুম করুন রানীমা!’ রানী বললেন, ‘ধরে নিয়ে আয় তাকে!’ অবাক হলো সেনাপতি মেঘ। জানতে চাইল, ‘কাকে!’ জানতে চাইলেন, ‘বুঝতে পারছ না কাকে? সুড়সুড়ি পাচ্ছ নাকে?’

মেঘের রানী তখন ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ রানীর নাকে সুড়সুড়ি। আর তাতেই...

মেঘের রানীর ঘুম গেছে ছুটে।

অমন মজার ঘুম কে নিল লুটে?

ঘুম ভাঙতেই রানী ডাকলেন, ‘অ্যাই কে আছিস?’

কেউ এলো না। এমনকি কেউ সাড়াও দিল না। এতবড় সাহস! কী, কেউ নেই?

আশপাশে তাকালেন রানী। ওই তো সবাই-ই আছে। তবে ঘুমে। শীতকালে সব মেঘেরা ঘুমিয়ে থাকে। রানীও তো ঘুমুচ্ছিলেন। কিন্তু তার ঘুম ভাঙাল কে?

আবারও সেই সুড়সুড়ি। রানীর নাকে সুড়সুড়ি! কে দেয়?

কে দেয় আবার! সুবাস। কিসের সুবাস? রানী বুঝতে পারলেন না।

এবার গর্জে উঠলেন রানী, ‘অ্যাই কে আছিস?’

রানীর গর্জনেই ঘুম ভেঙে গেল সব মেঘের। ছুটে এলো সেনাপতি মেঘ, ‘হুকুম করুন রানীমা!’

রানী বললেন, ‘ধরে নিয়ে আয় তাকে!’

অবাক হলো সেনাপতি মেঘ। জানতে চাইল, ‘কাকে!’

জানতে চাইলেন, ‘বুঝতে পারছ না কাকে? সুড়সুড়ি পাচ্ছ নাকে?’

সুড়সুড়ির আশায় নাক টানল সেনাপতি মেঘ। বলল, ‘না তো রানীমা! নাকে কোনো সুড়সুড়িই পাচ্ছি না।’

‘সত্যিই পাচ্ছ না?’

হঠাৎ খুশি হয়ে উঠল সেনাপতি, ‘জি রানীমা। পাচ্ছি। এই...’

পুরো কথাও শেষ করতে পারল না সেনাপতি মেঘ। তার আগেই, হ্যাঁ-চ-চো!

সেনাপতি মেঘের এই এক অভ্যাস। ঘুম ভাঙলেই হাঁচি দেয়। তা-ও একটি দুটি নয়। অনেক হাঁচি।

এবারও হাঁচি দিয়েই যাচ্ছে সেনাপতি মেঘ।

বড় বিরক্ত হলেন রানী। বললেন, ‘এসব কী! তোমার রুমাল কোথায়? হাঁচির সময় মুখে রুমাল দিতে হয়, জানো না?’

যেমন হঠাৎ শুরু হয়েছিল, তেমনি হঠাৎ থেমে গেল হাঁচি। হাঁচি থামতেই বলল, ‘জানি তো রানীমা। এই যে দিচ্ছি।’

বলেই খাপ থেকে রুমাল বের করে নাক চেপে ধরল সেনাপতি মেঘ। কিন্তু এ কী! এ তো রুমাল নয়! এ যে তরবারি। খাপে তো তরবারিই থাকার কথা। আর সেই তরবারিকে কি না রুমাল ভেবে নাক চেপে ধরল!

সেনাপতি মেঘের কাণ্ড দেখে খিল খিল করে হেসে উঠলেন রানী। রানীর হাসিতে সব মেঘও হেসে উঠল।

রানী বললেন, ‘থাক। আর রুমাল খুঁজতে হবে না। বরং সুবাসটা কিসের খোঁজ নাও। যাও!’

তবু দাঁড়িয়ে রইল সেনাপতি মেঘ। রানীমা বিরক্ত হলেন আবারও। বললেন, ‘কী বলেছি শুনতে পাওনি?’

সত্যিই শুনতে পায়নি সেনাপতি মেঘ। কিভাবে শুনবে? রানীর সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েছে সেনাপতি মেঘ।

গর্জে উঠলেন রানীমা। ঠিক যেন মেঘের গর্জন। আর সে গর্জনে ছুটে গেল সেনাপতির ঘুম। তবে তার চোখ দুটি তখনও ঢুলু ঢুলু। অসময়ে ঘুম ভাঙলে তো চোখ ঢুলু ঢুলু করবেই। ঢুলু ঢুলু চোখে রানীর হুকুমের অপেক্ষা করছে সেনাপতি মেঘ।

নির্দেশ দিলেন রানীমা, ‘সুবাসটাকে খুঁজে বের করে নিয়ে এসো!’

এবার ঢুলতে ঢুলতে গুহা থেকে বেরিয়ে এলো সেনাপতি মেঘ। সঙ্গে তার অনেক সাঙ্গোপাঙ্গ। সাঙ্গোপাঙ্গরাও তখন ঢুলছিল। ঢুলতে ঢুলতেই এদিক গেল, ওদিক গেল। তারপর ঢুলতে ঢুলতে আবার গুহায় ফিরে এলো সবাই।

সেনাপতিকে ফিরতে দেখেই জানতে চাইলেন রানীমা, ‘সুবাসটাকে এনেছ?’

‘না, রানী মা। অনেক খুঁজেছি। কিন্তু কোথাও পাইনি।’

‘তাহলে উপায়?’

জবাব নেই। থাকবে কী করে? আবার ঘুমিয়ে পড়ল সেনাপতি মেঘ।

নাহ। এদের দিয়ে কিচ্ছু হবে না। এবার নিজেই মেঘের গুহা থেকে বেরিয়ে এলেন রানী। চড়ে বসলেন মেঘের পালকিতে। আর অমনি ডানা মেলে হাওয়ায় ভাসতে লাগল পালকিটা। সুবাসের খোঁজে বেরিয়ে পড়লেন মেঘের রানী।

গুহা থেকে বেশ কিছুদূর গিয়েই পালকি থামালেন রানী।

উত্তরমুখো হয়ে লম্বা এক দম নিলেন। নেই।

এবার দক্ষিণমুখো হয়ে নিলেন আরেকটা দম। তা-ও নেই।

তারপর পূর্বে। নেই।

পশ্চিমেও নেই।

তাহলে সুবাসটা আসছে কোত্থেকে? আকাশ থেকে নয় তো!

এবার নাকটাকে আকাশের দিকে তুলে ধরলেন রানী। জোরে এক দম নিলেন। কিন্তু না। এবারও কোনো সুবাস পেল না রানীর নাক। তাহলে ওটা কোথায়?

এবার নাকটা নিচের দিকে নামিয়ে ছোট্ট একটা দম নিতেই...

আরে! সেই সুবাস!

সুবাসের খোঁজ পেয়ে গেলেন রানী। আর সুবাসের খোঁজ পেতেই ঘটল উল্টো একটা ব্যাপার। সুবাসটাই এবার টানতে লাগল রানীকে। আর সেই সুবাসের টানে নামতে নামতে রানীকে নিয়ে অনেকখানি নিচে নেমে এলো পালকি। আরে! এটা তো টুলুদের বাড়ি। বর্ষাকালে এই বাড়ির ওপর দিয়ে কত ছোটাছুটি করেছেন! তাই দেখেই চিনতে পেরেছেন। সুবাসটা তবে টুলুদের বাড়ি থেকেই আসছে। কিন্তু কিসের সুবাস?

পিঠার সুবাস। বাড়ির উঠানে বসে শীতের পিঠা বানাচ্ছিলেন টুলুর নানি। সেই পিঠা থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে সুবাস। আর সেই সুবাসের টানে মেঘের গুহা থেকে ছুটে এলেন মেঘের রানী। এই পিঠা তো খেতেই হবে। আর পিঠা খেতে হলে নামতে হবে টুলুদের বাড়ির উঠানে। এবার বাড়ির উঠানের দিকে নামতে লাগলেন রানী। আর নামতে নামতে হঠাৎ...

হঠাৎ থেমে গেলেন মেঘের রানী। আর তো নিচে নামতে পারবেন না। কেন?

কারণ আরো নিচে নামলেই আর মেঘ থাকবেন না। হয়ে যাবেন বৃষ্টি। কে না জানে, মেঘেরা মাটিতে নামলেই তো বৃষ্টি হয়ে যায়!

মন খারাপ হয়ে গেল মেঘের রানীর। আর মন খারাপ করে টুলুদের বাড়ির ওপরেই ঘোরাঘুরি করতে লাগলেন। তারপর একসময় আবার ফিরে গেলেন মেঘের গুহায়।

শীতকালে মাঝে মাঝে আকাশে মেঘ জমে। ওগুলোই কিন্তু শীতের পিঠার সুবাসের টানে ঘুরে বেড়ানো মেঘ।

আরও পড়ুন:
ঈশপের গল্প
গোপাল ভাঁড়ের মজার ঘটনা
আসল চোর
চড়াই আর কাকের কথা
একদিনে ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’র দর্শক সত্তর হাজার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

কিড জোন
Sisimpurs special initiative in sign language for hearing impaired children

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ইশারা ভাষায় সিসিমপুরের বিশেষ উদ্যোগ

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ইশারা ভাষায় সিসিমপুরের বিশেষ উদ্যোগ শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব। ছবি: নিউজবাংলা
২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হলো সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় ১৩টি পর্বে শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের উপযোগী করে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজ তথা ইশারা ভাষা যুক্ত করে নতুনভাবে তৈরি করেছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)।

সিসিমপুরের পর্বগুলোকে ইশারা ভাষায় রূপান্তরে সহযোগিতা করেছে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন সোসাইটি অব দ্য ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল)।

২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।

বিশেষ এই উদ্যোগ সম্পর্কে সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘সিসিমপুরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সিসিমপুরের ১০টি গল্পের বই ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি ও শিশুদের মাঝে বিতরণ করেছি। এবার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নিয়ে আসছি ১৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর।

‘ধারাবাহিকভাবে পর্বের সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে আছে আমাদের। আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ইউএসএআইডি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’

মন্তব্য

কিড জোন
One day at the police station

এক দিন থানায়

এক দিন থানায়
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক লোককে থানায় ধরে আনা হলো।

ওসি: আপনাকে আজ রাতে থানায় থাকতে হবে।

ভদ্রলোক: চার্জ কী?

ওসি: কোনো চার্জ দিতে হবে না, ফ্রি।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
নতুন সিইও
সাঁতার
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু

মন্তব্য

কিড জোন
The wisdom of the lawyer

উকিলের বুদ্ধি

উকিলের বুদ্ধি
উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পার, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"

গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে ২৫ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, ‌'৫০০ টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পারো তো জেলে যাও।' সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।

এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তুখোড় বুদ্ধি উকিল এসে বললেন, 'ওই ১০০ টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।'

চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, ‌'আমায় বাঁচিয়ে দিন।'

উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পারো, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"

চাষা বলল, 'আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজি।'

আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি সাত বছর আগে ২৫ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?'

চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, 'ব্যা- '।

উকিল বললেন, 'খবরদার!- বল, নিয়েছিলি কি না।'

চাষা বলল, 'ব্যা- '।

উকিল বললেন, 'হুজুর! আসামির বেয়াদবি দেখুন।'

হাকিম রেগে বললেন, 'ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমই ফাটক দেব।'

চাষা অত্যন্ত ভয় পেয়ে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, 'ব্যা- ব্যা- '।

হাকিম বললেন, 'লোকটা কি পাগল নাকি?'

তখন চাষার উকিল উঠে বললেন, "হুজুর, ও কি আজকের পাগল- ও বহুকালের পাগল, জন্ম-অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকি? আর পাগলের খত লিখলেই বা কী? দেখুন দেখুন, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে করে জেনেশুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেওয়ার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, 'এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে'- পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!"

দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল।

হাকিম খানিক শুনেটুনে বললেন, 'মোকদ্দমা ডিসমিস্।'

মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বললেন, 'আচ্ছা, না হয় তোর ৪০০ টাকা ছেড়েই দিলাম- ওই ১০০ টাকাই দে।'

চাষা বলল, 'ব্যা-!'

মহাজন যতই বলেন, যতই বোঝান, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগেমেগে বলে গেল, 'দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন করে হজম করিস।'

চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, 'যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। ১০০ টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।'

চাষা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, 'ব্যা-।'

উকিল বললেন, 'বাপু হে, ওসব চালাকি খাটবে না- টাকাটি এখন বের করো।'

চাষা বোকার মতো মুখ করে আবার বলল, 'ব্যা-।'

উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, 'হতভাগা গোমুখ্যু পাড়া গেঁয়ে ভূত- তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি, কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হলে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।'

বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হলো না।

আরও পড়ুন:
বড় দিদি
লোভী কুকুর
সিন্ড্রেলা
বাবুর্চির বুদ্ধি
সুখু আর দুখু

মন্তব্য

কিড জোন
Smile and Ismail

স্মাইল ও ইসমাইল

স্মাইল ও ইসমাইল
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক ফটো সাংবাদিক রাস্তায় বাচ্চাদের ছবি তুলছেন। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে বললেন, স্মাইল।

ইসমাইল: জি স্যার?

সাংবাদিক: আরে তুমি দাঁড়াচ্ছ কেন? বসো।

ইসমাইল: ঠিক আছে।

সাংবাদিক: ওকে রেডি, স্মাইল।

ইসমাইল: ডাকলেন কেন স্যার?

সাংবাদিক: আরে বাবা তোমার সমস্যাটা কী? স্মাইল বললেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছ কেন?

ইসমাইল: আমি তো বসেই আছি। আপনি আমার নাম ধরে ডাকেন বলেই দাঁড়িয়ে যাই।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
সাঁতার
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি

মন্তব্য

কিড জোন
father and son

বাবা-মেয়ে

বাবা-মেয়ে
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

মেয়ে: আলুর তরকারিটার স্বাদ কেমন হয়েছে?

বাবা: দারুণ স্বাদ হয়েছে। তুই রান্না করেছিস নাকি?

মেয়ে: না, আলু আমি ছিলেছি।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা

মন্তব্য

ভুলোমনা

ভুলোমনা
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

স্ত্রী: কি ব্যাপার, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?

ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা লাগছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা
টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র

মন্তব্য

নতুন চাকরি

নতুন চাকরি
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক যুবক নতুন চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন অফিসে এসেই কিচেনে ফোন করে বলল, ‘এখনি আমাকে এককাপ কফি দিয়ে যাও! জলদি!’

অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল, ‘গর্দভ, তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?’

যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল, ‘না! আপনি কে?’

‘আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর’, রাগী গলায় উত্তর এল।

যুবকটি বলল, ‘আর আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন?’

‘না’, ওপার থেকে উত্তর এল।

‘বাবারে! বাঁচা গেছে’, বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা
টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র
আম চোর

মন্তব্য

p
উপরে