খুব সুন্দর একটি প্রজাপতি উড়ে যাচ্ছে।
কোথায় যাচ্ছে জানো?
ফুলের খোঁজে।
একটি খুঁজে পেলেই ফুল থেকে মধু খেয়ে ক্ষুধা মেটাবে।
প্রজাপতিটার শরীরে কত রঙের খেলা দেখেছ?
লাল, সবুজ, হলুদসহ আরও অনেক রং মেখেছে সে।
তাকে রং মাখার কাজটি করে দিয়েছে আমাদের ছোট্ট বন্ধু সামারা আহাদ।
বন্ধুরা, তোমরাও যদি সামারার মতো সুন্দর করে ছবি আঁকতে পার, তাহলে সেটা পাঠিয়ে দিও আমাদের ঠিকানায়।
তোমার আঁকা ছবি প্রকাশ করবে কিড জোন। ছবির সঙ্গে তোমার একটি ছবি, তোমার নাম, ক্লাস, স্কুলের নাম এবং আব্বু বা আম্মুর ফোন নম্বর দিতে কিন্তু ভুলবে না।
আমাদের ই-মেইলের ঠিকানা [email protected]
আরও পড়ুন:কানাডার মন্ট্রিয়লে তোমাদের এক চাচ্চু থাকেন। তার নাম রাকু ইনোউ।
পাতা আর ফুল দিয়ে তিনি পশুপাখি বানাতে ওস্তাদ। তার বানানো পশুপাখির তালিকায় আছে বক, কাক, হরিণ, তিমি, কাঁকড়াসহ আরও অনেক প্রাণী।
চলো আজ তার বানানো কিছু পশুপাখি দেখি।
সুনীল আকাশ। নীল পরি আকাশে উড়তে উড়তে ভাবল, নীল আকাশে আমাকে ঠিক মানাচ্ছে না। আমি সাদা পরি হব।
নীল পরি মন খারাপ করে রানি মার কাছে গেল। হাত জোর করে বলল, রানি মা, আপনি আমাকে সাদা পরি বানিয়ে দিন।
রানি মা বললেন, আমি পরিদের ইচ্ছা পূরণ করি। তার মানে এই নয়, সব ইচ্ছা পূরণ করব। তোমাকে সঠিক যুক্তি দিতে হবে। কেন তুমি সাদা পরি হতে চাও?
নীল পরি বলল, আমাদের পরি রাজ্যে একটাও সাদা পরি নেই। তা ছাড়া নীল আকাশে আমাকে ঠিক মানাচ্ছে না। সে জন্য আমি সাদা পরি হতে চাই।
রানি মা বললেন, ঠিক আছে। মুহূর্তেই নীল পরি ধবধবে সাদা পরি হয়ে গেল। সাদা পরি হাসতে হাসতে বলল, ধন্যবাদ রানি মা। এই বলে সাদা পরি আকাশে উড়াল দিল।
সাদা পরি আকাশে উড়তে উড়তে ভাবল, এখন নীল আকাশে আমাকে খুব মানাচ্ছে। সাদা মেঘেরা সাদা পরিকে বলল, বাহ! তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে। সাদা পরি হাসল। কিছুক্ষণ পর তার মনে হলো- আমি সাদা পরি। কিন্তু মেঘগুলো সাদা কেন? এই মেঘ, তোমরা সাদা কেন? সাদা মেঘেরা অবাক হয়ে বলল, আশ্চর্য! আমরা তো আগে থেকেই সাদা। সাদা মেঘ বৃষ্টি হয়ে মাটিতে ঝরে পড়ে না। কালো মেঘ ঝরে পড়ে। তাই আমরা সাদা মেঘ। কেন তুমি আমাদের দেখতে পাওনি?
সাদা পরি বলল, আকাশে ওড়ার সময় এতই মগ্ন ছিলাম তোমাদের খেয়ালই করিনি। হঠাৎ পরির হিংসে হলো। সে বলল, না এই আকাশে আমি সাদা থাকব। আর কেউই সাদা থাকবে না।
সাদা পরি রানি মার কাছে ছুটে এলো। কাকুতি-মিনতি করে বলল, রানি মা, আকাশের সব সাদা মেঘগুলো কালো করে দিন।
রানি মা ঝাঁজালো কণ্ঠে বললেন, কেন? সাদা পরি বলল, ক্ষমা করবেন রানি মা। এই পরি রাজ্যে আমিই একমাত্র সাদা পরি। আমি চাই না আমার সঙ্গে আকাশের কারোর তুলনা চলুক।
সাদা পরি আর্তনাদ করতে লাগল। রানি মা দয়া করুন। রানি মা আবেগে আপ্লুত হয়ে বললেন, ঠিক আছে।
কিছুক্ষণের মধ্যেই সাদা মেঘগুলো কালো হয়ে গেল। অন্ধকারে ভরে উঠল আকাশ। পরি রাজ্যে সূর্যের আলো আসা বন্ধ হয়ে গেল। পরি প্রাসাদের সব আলো জ্বালিয়ে দেয়া হলো।
রানি মা চিন্তায় পড়ে গেলেন। কারণ তিনি একবার যে কাজ করেন সে কাজ দ্বিতীয়বার পরিবর্তন করতে পারেন না। সাদা পরির ওমন কথা রাখা তার ঠিক হয়নি। কিন্তু এখন কিছুই করার নেই। তবু রানি মা সবজান্তা পাখিকে জিজ্ঞেস করলেন, হে সবজান্তা পাখি, আকাশের কালো মেঘগুলো সাদা করে দেয়ার কোনো উপায় জানো?
সবজান্তা পাখি বলল, ক্ষমা করবেন রানি মা। আমি একটি উপায় জানি। কিন্তু কোনোভাবেই সেটি প্রকাশ করতে পারব না।
পরি রাজ্যে কান্নাকাটি শুরু হলো। হাহাকার পড়ে গেল। রানি মা প্রচণ্ড রেগে গেলেন এবং সাদা পরিকে পরি রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দিলেন।
সাদা পরি দিগ্বিদিক হারিয়ে পৃথিবীতে নেমে এলো। গাছের নিচে কয়েকজন শিশু বসে আছে। হাতে-পায়ে ধূলিকাঁদা মাখা। ওরা ভাগাভাগি করে রুটি খাচ্ছে। ওদের ঠোঁটে হাসি, চোখে হাসি, মুখে হাসি। সাদা পরি দূর থেকে এসব দেখছিল। সে অবাক হলো! মানুষগুলো এত অভাবী তবু এত সুখী। সাদা পরি এগিয়ে গেল। শিশুরা চমকে উঠল। কে গো তুমি? কই থেইকা আইছ?
সাদা পরি বলল, আমি পরি। আমি এমন একজন পরি ছিলাম যেকোনো কিছুতেই সন্তুষ্ট হতে পারতাম না। পরি রানি আমার সব ইচ্ছা পূরণ করতেন। তার জন্য অনেক বড় ক্ষতি হলো। পরি রানি আমাকে রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দিলেন।
শিশুরা দুঃখ প্রকাশ করে বলল, আহ! পরি কষ্ট পেও না। আমরা ফুল বিক্রি করি। কোনো দিন খাইতে পাই। কোনো দিন পাই না। সাদা পরির চোখ ভিজে উঠল। ওমনি আকাশ থেকে সব কালো মেঘ সরে গেল।
রানি মা সবজান্তা পাখিকে জিজ্ঞেস করলেন, হে সবজান্তা পাখি, কী করে আকাশের কালো মেঘগুলো সাদা হয়ে গেল? সবজান্তা পাখি বলল, সাদা পরি অনুশোচনায় ভুগছে। তার চোখে অনুশোচনার অশ্রু ঝরছে। সবাই হাসি-আনন্দে সাদা পরিকে পরি রাজ্যে ফিরিয়ে নিয়ে এলো।
আরও পড়ুন:রাতের আকাশে তাকালে আমরা লক্ষ লক্ষ নক্ষত্র দেখতে পাই। এই সব নক্ষত্রের চারপাশে ঘুরতে থাকা কোনো গ্রহে প্রাণী থাকলেও থাকতে পারে। যদি থাকে তাহলে সেই গ্রহের পোকাগুলো দেখতে কেমন হবে, বলতে পারবে?
জাপানি শিল্পী হিরোশি সিন্নো এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি কিছু কাল্পনিক পোকামাকড় বানিয়েছেন। তার মতে, ভিনগ্রহের পোকাগুলো এই রকম হলেও হতে পারে। চলো তার বানানো পোকাগুলো দেখে নেই।
একটি অন্ধ ভিখারি রোজ মন্দিরে পূজা করতে যায়। প্রতিদিন ভক্তিভরে পূজা শেষ করে মন্দিরের দরজায় প্রণাম করে সে ফিরে আসে; মন্দিরের পুরোহিত সেটা ভালো করে লক্ষ করে দেখেন।
এভাবে কত বছর কেটে গেছে কেউ জানে না। একদিন পুরোহিত ভিখারিকে ডেকে বললেন, 'দেখ হে! দেবতা তোমার ওপর সন্তুষ্ট হয়েছেন। তুমি কোনো একটা বর চাও। কিন্তু মনে রেখ—একটিমাত্র বর পাবে।'
ভিখারি বেচারা বড় মুশকিলে পড়ল। কী যে চাইবে, কিছুই ঠিক করতে পারে না। একবার ভাবল, দৃষ্টি ফিরে চাইবে; আবার ভাবল টাকাকড়ি চাইবে; আবার ভাবল, আত্মীয়স্বজন ছেলেপিলে দীর্ঘ জীবন চাইবে; কিছুতেই আর ঠিক করতে পারে না। তখন সে বলল, 'আচ্ছা, আমি কাল ভালো করে ভেবে এসে বর চাইব। এখন কিছুই ঠিক করতে পারছি না, কি চাই।'
অনেক ভেবেচিন্তে সে মনে মনে একটা ঠিক করে নিল। তারপর মন্দিরে গিয়ে পুরোহিতকে বলল, 'পুরুত ঠাকুর! আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিচ্ছি— আপনি আমার বড় উপকার করলেন। যে একটি বরের কথা বলেছেন সেটি এখন আমি চাইব—মনে রাখবেন, একটিমাত্র বর আমি চাচ্ছি। আমি এই বর চাই যে, মরবার আগে যেন আমার নাতিকে ছয়তলা বাড়ির মধ্যে বসে সোনার থালায় পায়স খেতে স্বচক্ষে দেখে যেতে পারি।”
এই এক বরে ভিখারি চোখের দৃষ্টি ফিরে পেল, ধনজন পেল, ছেলেপিলে-নাতি-নাতনি পেল, দীর্ঘজীবন পেল।
হোজ্জার জোব্বা কেনা
একদা হোজ্জা জোব্বা কিনতে একটি দোকানে গেল। তো পছন্দ করার পর দোকানদার জোব্বাটা প্যাকেট করে দিল। হোজ্জা জোব্বা নিয়ে চলে আসার সময় ভাবলেন, জোব্বা না নিয়ে বরং একটি আলখাল্লা নিয়ে যাই।
দোকানিকে বললেন, আপনি বরং আমাকে একটি আলখাল্লা দিন।
দোকানি আলখাল্লা দেয়ার পর হোজ্জা তা নিয়ে বের হয়ে আসার সময় দোকানি ডেকে বলল, হোজ্জা সাহেব, আপনি তো আলখাল্লার মূল্য পরিশোধ করেননি।
হোজ্জা উত্তর দিল, আমি তো আলখাল্লার পরিবর্তে জোব্বাটা রেখে গেলাম।
দোকানি বললেন, আপনি জোব্বার জন্যও মূল্য পরিশোধ করেননি।
প্রতি উত্তরে হোজ্জা বললেন, জোব্বা তো আমি নেইনি। যেটা আমি নেইনি, তার জন্য মূল্য পরিশোধ করব কেন?
বিয়ে খাওয়া
পাড়ার এক লোক হোজ্জাকে সুনজরে দেখতেন না। হোজ্জা সবার কাছেই প্রিয় ছিলেন, কিন্তু হাবু সাহেবকে কেউ পছন্দ করতেন না, সেই কারণেই তিনি নাসিরুদ্দিনকে হিংসা করতেন ।
হাবু সাহেবের মেয়ের বিয়ে। পাড়ার সবাইকে নিমন্ত্রণ করেছেন তিনি, কিন্তু হোজ্জাকে করেননি। হোজ্জাও জেদ ধরলেন, যেমন করে হোক বিয়ে খেতে হবে। হোজ্জার বুদ্ধি বের করতে দেরি হলো না।
একটা খামের ওপর লোকটির নাম লিখে তার ভেতরে এক টুকরো সাদা কাগজ ভরে খামখানার মুখ বন্ধ করে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হলেন হোজ্জা। সবাই খেতে বসবে ঠিক সেই সময়েই উপস্থিত হয়ে বাড়ির মালিকের হাতে খামখানা দিয়ে বললেন, বাদশাহ এই চিঠিখানা পাঠিয়েছেন।
হাবু সাহেব খুব খুশি। স্বয়ং বাদশাহ নিশ্চয়ই মেয়ে-জামাইকে আশীর্বাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। মনের আনন্দে তিনি হোজ্জাকে খুব খাতির-যত্ন করে খাওয়ালেন।
বেশ পেট ভরে খাওয়ার পর হোজ্জা লোকটির কাছে বিদায় নিতে গেলে তাঁর চিঠির কথা মনে পড়ল। এতক্ষণ কাজের ব্যস্ততায় খামখানা খোলার সময় হয়নি।
খামখানা খুলে তো তিনি থ! জিজ্ঞেস করলেন, হোজ্জা সাহেব, বাদশাহ তো কিছুই লেখেননি। এর মধ্যে তো রয়েছে শুধু একখানা সাদা কাগজ।
হোজ্জা বললেন, এর জবাব তো আমি দিতে পারব না। আমাকে চিঠিখানা হাতে দিয়ে পৌঁছে দিতে বললেন, আমি পৌঁছে দিয়েছি। আমার কাজ এখানেই শেষ।
স্মৃতিশক্তি বাড়ানো
হোজ্জা একবার স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য এক হেকিমের কাছ থেকে ওষুধ নিয়েছিলেন।
কয়েক মাস পর হোজ্জা সেই হেকিমের কাছে আবার গেলেন ওষুধ আনার জন্য।
হোজ্জাকে দেখে হেকিম বললেন, আচ্ছা, গতবার তোমাকে কী ওষুধ দিয়েছিলাম, একেবারেই মনে করতে পারছি না।
হোজ্জা বললেন, তাহলে ওই ওষুধ এখন থেকে আপনি নিজেই খাবেন।
আরও পড়ুন:ওপরের ছবিতে একটা শামুককে দেখতে পাচ্ছ।
ওর নাম খাদক। সারাক্ষণ ওর ক্ষিধে লাগে আর খেতে থাকে বলেই ওর নামটা এমন।
এই দেখো না, এখনও ওর ক্ষিধে লেগেছে। সামনে একটা কমলা পড়ে আছে। সেটার দিকে তাকিয়ে আছে সে। সমস্যা হচ্ছে কমলার কাছে যাবার পথটা সে খুঁজে পাচ্ছে না। তুমি কি ওকে সাহায্য করতে পারবে?
সময় মাত্র এক মিনিট। চলো তাহলে শুরু করা যাক।
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও কুইজ বানিয়ে আমাদের কাছে পাঠাতে পারো। কুইজের সঙ্গে অবশ্যই তোমার নাম, স্কুলের নাম, কোন ক্লাসে পড় এবং আব্বু বা আম্মুর ফোন নম্বর দেবে।
পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
উত্তর দেখতে নিচের ছবিতে চোখ বুলিয়ে নাও।
কিপ্টে বুড়োর গাছগুলোতে
থোকা থোকা আম ছিল,
নিত্য তাতে ভাগ বসানো
বিচ্ছুগুলোর কাম ছিল।
-
জ্যৈষ্ঠ মাসের দাবদাহে সেই
আমগুলো বেশ পাকছিল,
কিপ্টে বুড়ো সর্বদা তাই-
নজর তাতে রাখছিল।
-
যেই না হঠাৎ কিপ্টে বুড়ো
চেয়ারে বসে ঢুলছিল,
তাই না দেখে বিচ্ছুগুলো
খুশির আওয়াজ তুলছিল।
-
একটা বিচ্ছু চড়ল গাছে
আমগুলো সে পাড়ছিল
বাদ বাকি সব বিচ্ছুগুলোর
আম কুড়ানোর ভার ছিল।
-
ঘুম শেষে যেই কিপ্টে বুড়ো
হঠাৎ জেগে উঠছিল,
তাই দেখে সেই বিচ্ছুগুলো
ভীষণ জোরে ছুটছিল।
-
আম হারিয়ে কিপ্টে বুড়ো
যা-তা বলে বকছিল,
বিচ্ছুগুলো বলে তাদের
আমগুলোতে হক ছিল।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য