× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

কিড জোন
Polar bear Kunikjuak
google_news print-icon
আলাস্কার উপকথা

মেরু ভালুক কুনিকজুয়াক

মেরু-ভালুক-কুনিকজুয়াক
কুনিকজুয়াককে গ্রামের শিশুরা খুব ভালোবাসে। শিকারের সময় বাদে সে ওদের সঙ্গে খেলায় মেতে ওঠে। আনন্দে সে যখন বরফের ওপর ডিগবাজি খায়, তখন মনে হয় যেন ঠিক একটা সাদা বরফের বল গড়িয়ে যাচ্ছে।

ইনুইট কথাটির অর্থ অনেক লোক। আটলান্টিক মহাসাগরের তীর ঘেঁষে এই গ্রামটিতে কিন্তু অল্প কয়েকজন লোকেরই বাস ছিল।

এদেরই একজন ছিলেন বৃদ্ধা মহিলা, একটি ভাঙা ঘরে তার বাস। তিনি এত দুর্বল ছিলেন যে নিজের খাবারের জন্য একটি মাছ বা কিছু শিকার করে আনা তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবে সে গ্রামের নিয়ম ছিল যে কেউ যদি ভালো শিকার পায়, তবে সে সেটা অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেবে। তাই বুড়ির রোজই কিছু না কিছু খাবার জুটে যেত।

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে এসে বুড়ি দেখলেন, সামনের বিস্তৃত বরফের প্রান্তরে একটি ছোট্ট ভালুকছানা খেলা করছে।

বুড়ি একটু অবাক হলেন একলা বাচ্চাটাকে দেখে। কারণ এত ছোট বাচ্চা তো মা ছাড়া থাকে না।

তিনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলেন যদি মা-ভালুকটাকে দেখতে পাওয়া যায়। তারপর বুঝতে পারলেন, নিশ্চয় এই বাচ্চাটার মা-টা কারোর হাতে মারা গেছে।

মাথা নেড়ে আক্ষেপ করে বললেন, ‘ইস্, এত ছোট বাচ্চার মাকে কেউ মারে? শরীরে একটু দয়া-মায়া নেই গো ‘

বাচ্চাটার তখন খিদে পেয়েছিল আর তাই সে নানা রকম শব্দ করছিল। বুড়ি এগিয়ে এসে তাকে কোলে তুলে ঘরে নিয়ে এলেন। কিন্তু তারও তো ঘরে খুব একটা খাবার নেই।

খুঁজে দেখলেন, আগের দিন একটু দুধ আর এক টুকরো সীলের চর্বি দিয়েছিল কেউ। তার খানিকটা বাকি রয়ে গেছে। সেটাই এনে ভালুকছানাটার মুখের সামনে ধরলেন। যত্ন করে ধীরে ধীরে সবটাই খাইয়ে দিলেন তাকে।

বুড়ি ভালুকছানাটার নাম রেখেছেন কুনিকজুয়াক। এই নামে সে আজকাল বেশ সাড়া দেয়।

সে এখন একটু বড় হয়েছে, শিকার করতে শিখেছে, সমুদ্র থেকে সীল, স্যামন মাছ- এগুলো শিকার করতে পারে। যা-ই পায়, সবই এনে দেয় বুড়ির কাছে। তাই আজকাল বুড়ির খাওয়ার কষ্ট ঘুচেছে। শুধু তা-ই নয়, প্রথা অনুযায়ী বৃদ্ধাও আজকাল উদ্বৃত্ত খাবারের ভাগ অন্য গ্রামবাসীর কাছে পাঠাতে পারেন। এ জন্য তাকে বেশ গর্বিত লাগে।

কুনিকজুয়াককে গ্রামের শিশুরা খুব ভালোবাসে। শিকারের সময় বাদে সে ওদের সঙ্গে খেলায় মেতে ওঠে। আনন্দে সে যখন বরফের ওপর ডিগবাজি খায়, তখন মনে হয় যেন ঠিক একটা সাদা বরফের বল গড়িয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু আনন্দ বেশি দিন থাকে না। কুনিকজুয়াক যে এত ভালো শিকার করতে পারে, সেই ব্যাপারটা গ্রামের অনেকের কাছেই ভালো লাগছিল না। ঈর্ষায় জর্জর হয়ে তারা কুনিকজুয়াককে মেরে ফেলবার জন্য ফন্দি আঁটল।

এই খবরটা আবার গ্রামের ছোটরা আড়াল থেকে শুনে ফেলল। তারা তো ভালুকছানাটাকে খুব ভালোবাসে, তাই ভয় পেয়ে দৌড়ে গিয়ে সাংঘাতিক খবরটা বুড়িকে জানিয়ে দিল, ‘ঠাম্মি, ঠাম্মি, তুমি কুনিকজুয়াককে বাঁচাও। দাদারা ওকে মেরে ফেলার মতলব করছে।’

বুড়ি তো কেঁদে আকুল। এত হিংসা মানুষের মনে! একটা ছোট ভালুকছানাকেও তারা রেহাই দেবে না!

বৃদ্ধা প্রথমে পাড়ার মানুষজনের কাছে মিনতি করলেন, তার আদরের ছানাটার প্রাণ ভিক্ষা দেয়ার জন্য। তাতে যখন কিছুই হলো না, তখন দৌড়ে ঘরে এসে কুনিকজুয়াককে হাঁফাতে হাঁফাতে বললেন, ‘বাছা তুই এখনই এখান থেকে পালা। নইলে তোকে ওরা মেরে ফেলবে যে।’

বুড়ির চোখ দিয়ে জল পড়তে লাগল। ছোট ছানাটাকে জড়িয়ে ধরে বৃদ্ধা হাউ হাউ করে কাঁদতে লাগলেন। কিন্তু বুড়ি বিপদের কথা ভুললেন না। ভালুকছানাটাকে পেছনের দরজা দিয়ে বের করে দিয়ে বুড়ি বললেন, ‘আর কখনও এখানে ফিরে আসিস না সোনা।’

এই কথা বলতে তার গলা ভেঙে গেল; তিনি আবার কাঁদতে লাগলেন। তার চোখের সামনে কুনিকজুয়াক দৌড়াতে দৌড়াতে বরফের প্রান্তরে মিলিয়ে গেল। তার জন্য গ্রামের ছোট্ট বন্ধুরাও কেঁদে আকুল হলো।

এরপর অনেক দিন কেটে গেছে, ভালুকছানার আর কোনো খোঁজ নেই। বুড়ির অবস্থা আবার আগের মতো হয়েছে। খাবার জোগাড় নেই, কেউ দেখেও না। মনের কষ্টে আর খিদের কষ্টে একদিন বুড়ি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়লেন ছানাটার খোঁজে। কে জানে সে এখন কত বড় হয়ে গেছে।

বাড়ি থেকে অনেক দূরে গিয়ে বরফের প্রান্তরে হাঁটতে হাঁটতে বৃদ্ধা কুনিকজুয়াকের নাম ধরে বারবার ডাকতে লাগলেন। হঠাৎ দেখে দূর থেকে একটা বিশাল সাদা ভালুক দৌড়াতে দৌড়াতে আসছে। ঘন লোমে ঢাকা মোটাসোটা বিশালাকৃতি ধবধবে সাদা একটা ভালুক বুড়ির পায়ের সামনে এসে ঝুপ করে পড়ে লুটোপুটি খেতে লাগল।

এটিই সেই কুনিকজুয়াক; তবে সে এখন আর ছোট্টটি নেই। পূর্ণবয়স্ক এক সাদা মেরু ভল্লুক, ইচ্ছামতেআ ঘুরে বেড়ায়, কারো পরোয়া করে না।

তবে সে যে বুড়িকে ভোলেনি, তার প্রমাণ তো সে দেখিয়েই দিল। বুড়িও তাকে অনেক কেঁদে গায়ে বারবার হাত বুলিয়ে আদর করতে লাগলেন। তারপর তাকে নিজের অবস্থার কথা বলে তার কাছে খাবার চাইল। কুনিকজুয়াক কিছুক্ষণের মধ্যে তাকে অনেক স্যামন মাছ এনে দিল। বুড়ি তাকে নিজ হাতে খাইয়ে দিলেন। বাদবাকি সঙ্গে করে নিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন।

সেই থেকে বুড়ি যত দিন বেঁচে ছিলেন, এই ব্যবস্থাই বহাল ছিল। বুড়ি মাঝে মাঝে তার আদরের ছানার সঙ্গে দেখা করতে যেতেন আর খাবার-দাবার নিয়ে ফিরে আসতেন।

শেষ পর্যন্ত বুড়ি যখন আর পারেন না, তখন কুনিকজুয়াক তাকে রাতের অন্ধকারে খাবার দিয়ে যেত।

লোকে জানত ভালুকটা কে, কিন্তু এত বড় ভালুকের সঙ্গে গায়ের জোরে পেরে উঠবে না বলে ভয়ে চুপ করে যেত। তবে বুড়ি মারা যাবার পর কেউ আর তাকে সে গ্রামে দেখেনি।

আরও পড়ুন:
সবুরে মেওয়া ফলে
আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টির কাহিনি
ভূত চালানো সহজ নয়
কৌটোর ভূত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

কিড জোন
Sisimpurs special initiative in sign language for hearing impaired children

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ইশারা ভাষায় সিসিমপুরের বিশেষ উদ্যোগ

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য ইশারা ভাষায় সিসিমপুরের বিশেষ উদ্যোগ শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য তৈরি হচ্ছে সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব। ছবি: নিউজবাংলা
২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।

শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হলো সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব।

উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় ১৩টি পর্বে শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের উপযোগী করে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজ তথা ইশারা ভাষা যুক্ত করে নতুনভাবে তৈরি করেছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)।

সিসিমপুরের পর্বগুলোকে ইশারা ভাষায় রূপান্তরে সহযোগিতা করেছে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন সোসাইটি অব দ্য ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল)।

২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।

বিশেষ এই উদ্যোগ সম্পর্কে সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘সিসিমপুরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সিসিমপুরের ১০টি গল্পের বই ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি ও শিশুদের মাঝে বিতরণ করেছি। এবার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নিয়ে আসছি ১৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর।

‘ধারাবাহিকভাবে পর্বের সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে আছে আমাদের। আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ইউএসএআইডি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’

মন্তব্য

কিড জোন
One day at the police station

এক দিন থানায়

এক দিন থানায়
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক লোককে থানায় ধরে আনা হলো।

ওসি: আপনাকে আজ রাতে থানায় থাকতে হবে।

ভদ্রলোক: চার্জ কী?

ওসি: কোনো চার্জ দিতে হবে না, ফ্রি।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
নতুন সিইও
সাঁতার
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু

মন্তব্য

কিড জোন
The wisdom of the lawyer

উকিলের বুদ্ধি

উকিলের বুদ্ধি
উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পার, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"

গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে ২৫ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, ‌'৫০০ টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পারো তো জেলে যাও।' সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।

এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তুখোড় বুদ্ধি উকিল এসে বললেন, 'ওই ১০০ টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।'

চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, ‌'আমায় বাঁচিয়ে দিন।'

উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পারো, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"

চাষা বলল, 'আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজি।'

আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি সাত বছর আগে ২৫ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?'

চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, 'ব্যা- '।

উকিল বললেন, 'খবরদার!- বল, নিয়েছিলি কি না।'

চাষা বলল, 'ব্যা- '।

উকিল বললেন, 'হুজুর! আসামির বেয়াদবি দেখুন।'

হাকিম রেগে বললেন, 'ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমই ফাটক দেব।'

চাষা অত্যন্ত ভয় পেয়ে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, 'ব্যা- ব্যা- '।

হাকিম বললেন, 'লোকটা কি পাগল নাকি?'

তখন চাষার উকিল উঠে বললেন, "হুজুর, ও কি আজকের পাগল- ও বহুকালের পাগল, জন্ম-অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকি? আর পাগলের খত লিখলেই বা কী? দেখুন দেখুন, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে করে জেনেশুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেওয়ার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, 'এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে'- পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!"

দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল।

হাকিম খানিক শুনেটুনে বললেন, 'মোকদ্দমা ডিসমিস্।'

মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বললেন, 'আচ্ছা, না হয় তোর ৪০০ টাকা ছেড়েই দিলাম- ওই ১০০ টাকাই দে।'

চাষা বলল, 'ব্যা-!'

মহাজন যতই বলেন, যতই বোঝান, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগেমেগে বলে গেল, 'দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন করে হজম করিস।'

চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, 'যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। ১০০ টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।'

চাষা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, 'ব্যা-।'

উকিল বললেন, 'বাপু হে, ওসব চালাকি খাটবে না- টাকাটি এখন বের করো।'

চাষা বোকার মতো মুখ করে আবার বলল, 'ব্যা-।'

উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, 'হতভাগা গোমুখ্যু পাড়া গেঁয়ে ভূত- তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি, কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হলে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।'

বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হলো না।

আরও পড়ুন:
বড় দিদি
লোভী কুকুর
সিন্ড্রেলা
বাবুর্চির বুদ্ধি
সুখু আর দুখু

মন্তব্য

কিড জোন
Smile and Ismail

স্মাইল ও ইসমাইল

স্মাইল ও ইসমাইল
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক ফটো সাংবাদিক রাস্তায় বাচ্চাদের ছবি তুলছেন। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে বললেন, স্মাইল।

ইসমাইল: জি স্যার?

সাংবাদিক: আরে তুমি দাঁড়াচ্ছ কেন? বসো।

ইসমাইল: ঠিক আছে।

সাংবাদিক: ওকে রেডি, স্মাইল।

ইসমাইল: ডাকলেন কেন স্যার?

সাংবাদিক: আরে বাবা তোমার সমস্যাটা কী? স্মাইল বললেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছ কেন?

ইসমাইল: আমি তো বসেই আছি। আপনি আমার নাম ধরে ডাকেন বলেই দাঁড়িয়ে যাই।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
সাঁতার
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি

মন্তব্য

কিড জোন
father and son

বাবা-মেয়ে

বাবা-মেয়ে
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

মেয়ে: আলুর তরকারিটার স্বাদ কেমন হয়েছে?

বাবা: দারুণ স্বাদ হয়েছে। তুই রান্না করেছিস নাকি?

মেয়ে: না, আলু আমি ছিলেছি।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
পরীক্ষার চাপ
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা

মন্তব্য

ভুলোমনা

ভুলোমনা
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

স্ত্রী: কি ব্যাপার, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?

ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা লাগছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
মাছ কথা বলে না
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা
টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র

মন্তব্য

নতুন চাকরি

নতুন চাকরি
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

এক যুবক নতুন চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন অফিসে এসেই কিচেনে ফোন করে বলল, ‘এখনি আমাকে এককাপ কফি দিয়ে যাও! জলদি!’

অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল, ‘গর্দভ, তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?’

যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল, ‘না! আপনি কে?’

‘আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর’, রাগী গলায় উত্তর এল।

যুবকটি বলল, ‘আর আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন?’

‘না’, ওপার থেকে উত্তর এল।

‘বাবারে! বাঁচা গেছে’, বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।

-

বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

আরও পড়ুন:
দুই গরু
সাদা মুরগি-কালো মুরগি
ব্যবসা
টেলিভিশন এবং সংবাদপত্র
আম চোর

মন্তব্য

p
উপরে