আজ তোমাদের জন্য থাকছে পান্ডা কুইজ।
পান্ডা মজার একটা প্রাণী।
আজ পর্যন্ত কেউ পান্ডার রঙিন ছবি তুলতে পারেনি।
কেন পারেনি জানো?
পারেনি কারণ, পান্ডা নিজেই একটা সাদা-কালো প্রাণী।
এর গায়ে সাদা আর কালো।
যে সাদা-কালো, তার রঙিন ছবি তোলা সম্ভব?
তো এবার কুইজ শুরু করা যাক।
উপরের ছবিতে অনেকগুলো ডালমেশিয়ান কুকুর বসে আছে।
ওদের মধ্যে লুকিয়ে আছে পান্ডা মহাশয়।
তোমাদের কাজ হচ্ছে এই পান্ডাকে খুঁজে বের করা।
তো দেরি না করে সার্চ শুরু করে দাও।
নিচের ছবিতে পান্ডাকে চিহ্নিত করে দেয়া হলো।
যারা উপরের ছবিতে পান্ডাকে খুঁজে পাবে না, তারা এটা দেখে নিতে পারো।
কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ মো. আতিকুর রহমান নামের এক হাজতিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।
রোববার ভোরে কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতালে আনেন।
হাজতিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা কারারক্ষী মো. শাকিল আহমেদ বলেন, ‘৪২ বছর বয়সী আতিকুর রহমান কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতি ছিলেন। তার বাবার নাম সামাদ মোল্লা। এর বাইরে আমারা কিছু বলতে পারব না। কারাগার থেকে তার কাগজপত্র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পৌঁছে যাবে।’
সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এমন বার্তা দিয়েছে।
পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
দিনভর আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে জানানো হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে জানানো হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সাধারণত গরমও বাড়ে।
ঢাকায় বাতাসের গতি ও দিক নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, দক্ষিণ/দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।
ঢাকায় রোববার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে সূর্য অস্ত যাবে জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, সোমবার ঢাকায় সূর্যোদয় ৫টা ১২ মিনিটে।
পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা নিয়ে বলা হয়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন:কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় মাইক্রোবাসে ট্রাকের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার শহীদনগর এম এ জলিল হাইস্কুলের দক্ষিণ পাশে রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুইজন হলেন কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দির ভবানীপুর গ্রামের ৬৫ বছর বয়সী দুলাল বেপারী ও ৬৪ বছর বয়সী আবদুস সাত্তার।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর জানান, রোববার সকালে মহাসড়কের দাউদকান্দির শহীদনগর এলাকায় মাইক্রোবাসটিকে পেছন দিক থেকে একটি ট্রাক ধাক্কা দেয়। এ সময় মাইক্রোবাসসহ ট্রাকটি সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় অপর একজনকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সামান্য আহত দুজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বাতাসের নিম্ন মানের দিক থেকে আইকিউএয়ারের তালিকায় নিয়মিত ওপরে থাকা ঢাকা ফের শীর্ষস্থান দখল করেছে।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র্যাঙ্কিংয়ে রোববার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বাতাসের নিম্ন মানে ১০০টি শহরের মধ্যে প্রথম অবস্থানে ছিল ঢাকা।
একই সময়ে বায়ুর নিম্ন মানের দিক থেকে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের রাজধানী শহর দিল্লি ও কুয়েতের রাজধানী কুয়েত সিটি।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ২৬ দশমিক ৫ গুণ বেশি। একই সময়ে দিল্লির বাতাসে পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল ডব্লিউএইচওর আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৪ গুণ বেশি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৯১। এর মানে হলো সে সময়টাতে অস্বাস্থ্যকর বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।
একই সময়ে দিল্লির বাতাসের স্কোর ছিল ১৬২। এর অর্থ হলো ওই সময়ে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয় দিল্লিবাসীকেও।
আরও পড়ুন:বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম ও পেশিশক্তির ব্যবহার অত্যন্ত কঠোরভাবে দমন করা হবে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কোনো কর্মী অসদাচরণ করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন প্রার্থী।
বরিশাল জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শনিবার রাতে সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়ম, মাস্তানি, পেশিশক্তির ব্যবহার আমরা অত্যন্ত কঠোরভাবে দমন করব। কোনো প্রার্থীর কর্মী যদি অসদাচারণ করেন, তাহলে সেই প্রার্থী কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাবেন।
‘যদি কেউ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করেন কিংবা নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে যদি কেউ অপকর্মে লিপ্ত হন, তিনি যদি চিহ্নিত হন, তাহলে তার বিরুদ্ধে এবং যার পক্ষে সেটা করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধেও নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে আইনগতভাবে।’
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম নিয়ে এক মেয়র পদপ্রার্থীর প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘এখন ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন করার কোনো অবকাশ নেই। কারণ আমরা তফসিল ঘোষণা করেছি। তফসিল ঘোষণার সময় আপনারা যদি ইভিএমে নির্বাচন করবেন না, এই বলে নির্বাচন বর্জন করতেন, তাহলে একটি কথা ছিল, কিন্তু নির্বাচন আর কয়েক দিন পরে।
‘এখন যদি আপনারা বলেন, তাহলেও ইভিএম বাদ দিয়ে ব্যালট সংযুক্ত করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। যদি আপনারা মনে করেন আমরা খুব অসাধু দুর্নীতিপরায়ণ, ইভিএম দিয়ে আমরা কারচুপি করব, তাহলে মনে হয় কথাটা ঠিক না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ইভিএম সম্পূর্ণ আইসোলেটেড। এটা পৃথিবীর আর কোথাও হয়নি যে, আপনাকে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে ব্যালট ওপেন করতে হবে। আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট যদি ম্যাচ না করে, তাহলে ডিজিটাল ব্যালট ওপেন হবে না। আর ম্যাচ করলে অটোমেটিক্যালি আপনার ডিজিটাল ব্যালটটি ওপেন হয়ে যাবে।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের সামর্থ্য নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের সদিচ্ছা, আন্তরিকতা নিয়ে আপনাদের মধ্যে কোনো দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকা উচিত নয়।’
আরও পড়ুন:বেইজিংয়ের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের (বিআরআই) আওতায় এই অঞ্চলে সংযোগ স্থাপনে অবদান রাখার বিষয়টি আলোচনা করেছে বাংলাদেশ ও চীন।
শনিবার ঢাকায় দ্বাদশ ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) মিলিত হয়ে দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এ আলোচনা করেন।
বিআরআইয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগে অবদান রাখতেও আগ্রহ দেখিয়েছে দুপক্ষ। এ সময় অনলাইনে জুয়া ও মাদক পাচারের মতো উদীয়মান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষমতা তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে চীন। এ ছাড়া রোহিঙ্গা সংকটসহ বহুপক্ষীয় আঞ্চলিক বিষয়েও আলোচনা হয়।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন ও চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। বৈঠকের পর কোনো পক্ষই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেনি।
পরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায়। এতে বলা হয়, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতায় সন্তোষ প্রকাশ করে নিয়মিত কর্মকর্তা পর্যায়ের আলোচনা এবং বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে চীনা ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েইডং ১০ বছর পর বাংলাদেশ সফর করছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের নেতৃত্বে এ দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অর্জন হয়েছে বলে মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। দুই দেশের প্রতিনিধিদল পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি বহুপক্ষীয় ফোরামে সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। ‘এক চীননীতি’তে অব্যাহত সমর্থনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি তাদের কৃতজ্ঞতা পুনর্ব্যক্ত করেছে চীন। সাম্প্রতিকালে দুই দেশের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক সফর বিনিময়ের দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও গভীর করেছে বলে উল্লেখ করে দেশটির প্রতিনিধিদল।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকটসহ অন্যান্য বহুপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। বাংলাদেশ থেকে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ, টেকসই এবং স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে সহায়তা পুনর্ব্যক্ত করেছে চীন।
রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পাশাপাশি সমগ্র অঞ্চলের জন্য উপকারী হবে বলে মনে করেন চীনের ভাইস মিনিস্টার। তিনি পাইলট প্রজেক্টের প্রথম ব্যাচের প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মিয়ানমারে গিয়ে পরিস্থিতি দেখে আসা এবং বাংলাদেশে এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগের প্রশংসা করেছে চীনের প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় চীনের টিকা সহায়তার জন্য বাংলাদেশ আবারও ধন্যবাদ জানায়। দুই পক্ষ বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে। এ সময় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল এবং পদ্মা সেতু রেল সংযোগের মতো মেগা প্রকল্পের আসন্ন উদ্বোধনকে স্বাগত জানায় চীন। বৈঠকে বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে কয়েকটি অতিরিক্ত প্রকল্প প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ ছাড়া গত বছর ১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়া ৯৮ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা ব্যবহার করে চীনে রপ্তানি বাড়ানোর বিষয়ে বেইজিংয়ের সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন ফল বিশেষ করে আম, কাঁঠাল, পেয়ারা এবং হিমায়িত খাবার আমদানিতে আগ্রহ প্রকাশ করে চীন। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীনের সঙ্গে বিদ্যমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা কমাতে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধার আওতায় শাকসবজি, ওষুধ, কাঁচা চামড়া, ফুটওয়্যার, পোশাক ইত্যাদি রপ্তানি আইটেম অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানানো হয়।
চীনের ভাইস মিনিস্টার চট্টগ্রামে চীনা বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে তার দেশের কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার আশ্বাস দেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা-গুয়াংজু সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালুর জন্য চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সময়মতো আলোচনার পরামর্শ দেন। বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা-সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে দুই পক্ষ নিয়মিত কনস্যুলার পরামর্শ চালু করতে সম্মত হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি এবং বায়োটেকনোলজিতে উদ্ভাবনের বিষয়ে চীনের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে দুই পক্ষ চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের পৃষ্ঠপোষকতায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক সংযোগ বাড়াতে আগ্রহ প্রকাশ করে। উভয়পক্ষ বিদ্যমান প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে নিয়মিত স্টাফ পর্যায়ের আলোচনা ও বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়। ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আবহাওয়া স্যাটেলাইটের তথ্য শেয়ার করার জন্য বাংলাদেশ চীনকে ধন্যবাদ জানায়।
আরও পড়ুন:যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ পাচারের সময় এক পাচারকারীকে আটক করেছে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি)।
শনিবার দুপুরে বেনাপোলের খলশী সীমান্ত থেকে ২ কেজি ৮২৯ গ্রাম ওজনের ১৭টি স্বর্ণের বারসহ মিকাইল হোসেন নামের ওই পাচারকারী আটক হন।
৩০ বছর বয়সী মিকাইল হোসেন বেনাপোল পোর্ট থানার বারোপোতা গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে।
বিজিবির ৪৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিল এ তথ্য জানান। জব্দকৃত স্বর্ণের মূল্য ২ কোটি ৮২ লাখ ৯০ হাজার টাকা বলে জানান তিনি।
লে. কর্নেল জামিল বলেন, ‘সীমান্তের খলশী বাজার এলাকা দিয়ে স্বর্ণ পাচার হয়ে ভারতে যাচ্ছে জানতে পেরে ৪৯ ও ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বিশেষ দুটি টহল দল সীমান্তের খলশী বাজার এলাকায় অভিযান চালায়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে এ সময় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পাচারকারী। তবে বিজিবি সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করে।
‘পরে ক্যাম্পে নিয়ে তার শরীর তল্লাশি করে কোমরে বাধা অবস্থায় ১৭টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিজিবি।’
আটক মিকাইলকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জব্দকৃত স্বর্ণ কাস্টমসের ট্রেজারি শাখায় জমা দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য