বইমেলায় হাজির হয়েছে ‘বাংলাদেশের হাসির গল্প’ বইটি। হাসির গল্প লিখে হাত পাকিয়েছেন, তেমন ৫৫ জন লেখকের গল্প আছে এতে।
সবার মতো তোমাদেরও নিশ্চয়ই ইচ্ছে করে হাসির গল্পের বই পড়তে?
কিন্তু হাসির গল্প তো এত সহজলভ্য নয়।
খুঁজে বের করার জিনিস।
অনেক খুঁজে-টুজে হয়তো পড়তে শুরু করলে; কখনো লেখকের নাম ধরে, কখনো বইয়ের নাম ধরে।
খুঁজতে গিয়ে বোঝা যায়, যত খোঁজা হয় তত পাওয়া যায় না, যত পাওয়া যায়, তত হাসি পায় না।
কী ভাবছ?
কেউ যদি বেছে বেছে সেরা লেখকদের সেরা হাসির গল্পগুলো গুছিয়ে রাখত, তো আয়েশ করে পড়ে বেশি বেশি হাসতে পারতে, তাই তো?
তেমনই ভাবনা থেকে বইমেলায় হাজির হয়েছে ‘বাংলাদেশের হাসির গল্প’ বইটি।
হাসির গল্প লিখে হাত পাকিয়েছেন, তেমন ৫৫ জন লেখকের গল্প আছে এতে।
আশা করি তোমাদের ভালো লাগবে।
বইটি সম্পাদনা করেছেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। প্রচ্ছদ এঁকেছেন মামুন হোসাইন। প্রকাশ করেছে বিদ্যানন্দ প্রকাশনী। দাম ৪৫০ টাকা।
দৈনিক ইত্তেফাক-এর শিশু-কিশোরদের বিভাগ ‘কচিকাঁচার আসর’-এর পরিচালক হিসেবে রোকনুজ্জামান খান আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন।
প্রখ্যাত সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিশু-সংগঠক, কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার প্রতিষ্ঠাতা রোকনুজ্জামান খান দাদাভাইয়ের ৯৬তম জন্মদিন উদযাপন হলো শনিবার গাজীপুরে।
সদর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর অগ্নিবীণা কচি-কাঁচার মেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা, আবৃত্তি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সকালে কচি-কাঁচা একাডেমির রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় দাদাভাইয়ের কর্ম ও জীবন নিয়ে আলোচনা করেন সাথীভাই মো. এনামুল হক ও কর্মীবোন নাজমা খাতুন এবং মাকসুদা খাতুন লিপি।
প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও জান্নাতুল ফেরদৌসী ময়নার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে দাদাভাইয়ের লেখা কবিতা ও ছড়া আবৃত্তি করেন সাথীভাই মো. রাজিবুল আলম, নাদিমুল হক এবং কর্মীবোন তাহমিনা বেগম ও ফরিদা ইয়াসমিন জেসমিন।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া করা হয়। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ।
দেশের বহুল প্রচারিত দৈনিক ইত্তেফাক-এর শিশু-কিশোরদের বিভাগ ‘কচিকাঁচার আসর’-এর পরিচালক হিসেবে রোকনুজ্জামান খান আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৬ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘কচিকাঁচার মেলা’ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ৭৪ বছর বয়সে তার জীবনাবসান হয়।
ছবি দুটো একই রকম মনে হলেও এরা আসলে এক নয়। ভালো করে দেখো, দুটোর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে।
গভীর বন।
ভালুক আর তার ছানা গাছের নিচে দাঁড়িয়ে গল্প করছে।
মাথার উপরেই আছে ভিমরুলের চাক।
যেকোনো সময় হতে পারে আক্রমণ।
দূরে পাহাড়।
পাহাড়ের উপর দিয়ে উড়ে চলেছে মেঘ।
খুব সুন্দর দৃশ্য, তাই না?
তবে তোমার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, ‘একই রকম দুটো ছবি দেয়া হলো কেন?’
বলছি।
ছবি দুটো একই রকম মনে হলেও এরা আসলে এক নয়।
ভালো করে দেখো, দুটোর মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে।
পার্থক্যের সংখ্যা মোট ১০টি।
এবার দেখব তুমি কয়টি পার্থক্য খুঁজে বের করতে পারো।
নিচের ছবিতে উত্তর চিহ্নিত করে দেয়া আছে।
তোমার খোঁজা শেষ হলে উত্তরগুলো মিলিয়ে নিও।
তিনি তরমুজ কেটে দারুণ দারুণ সব জিনিস বানান। তার মধ্যে আছে কচ্ছপ, পাখি, মানুষ, ভূত আরও কত কিছু।
তরমুজ খেতে দারুণ মজা, তাই না?
শুধু কি খেতে মজা?
তরমুজ কিন্তু নানা কাজের কাজি।
চাইলেই এটাকে কেটে ভাস্কর্য বানানো যায়।
ইতালিয়ান চাচ্চু ভ্যালেরিয়ানো ফাটিকার কথাই ধরো।
তিনি তরমুজ কেটে দারুণ দারুণ সব জিনিস বানান।
তার মধ্যে আছে কচ্ছপ, পাখি, মানুষ, ভূত আরও কত কিছু।
ছোট্ট একটা ছুরি আর একটা তরমুজ হলেই আর কিছু লাগে না তার।
কাজে লেগে পড়েন।
একবার তিনি বানিয়েছিলেন ড্রাগন।
কীভাবে সেটা কারেছিলেন, একবার দেখে নাও।
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও ছবি এঁকে আমাদের কাছে পাঠাতে পারো। লিখতে পারো ছড়া, গল্প কিংবা কৌতুক। লেখার সঙ্গে অবশ্যই তোমার নাম, স্কুলের নাম, কোন ক্লাসে পড়ো এবং আব্বু বা আম্মুর ফোন নম্বর দেবে। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
ঘাস খাওয়া
লংঅনের ওপর দিয়ে বিশাল এক ছক্কা মেরে ব্যাটসম্যান বোলারকে বলল, ‘বাউন্ডারির বাইরে অনেক কচি ঘাস আছে। যাও, গিয়ে ঘাস খাওগে। বোলিং করে তোমার কাজ নেই।’
ছক্কা খেয়েছে তো কী হয়েছে। বোলার কী আর ছেড়ে কথা কইবে? সে উল্টো ব্যাটসম্যানকে পিচ দেখিয়ে বলল, ‘তুমি তো দেখছি নিজের ভাগের ঘাসটুকু আগেই খেয়ে ফেলেছ’
ইশ! আর একটু!
খেলা শেষ করে বিল্টু ঘরে ফিরছিল। পথে সঞ্জুর সঙ্গে দেখা হয়ে গেল। সঞ্জু বিল্টুকে জিজ্ঞেস করল, ‘ক্রিকেট খেলে আসছিস নাকি?’
সঞ্জু: আর বলিস না! আজকে তো একটা সেঞ্চুরিই মেরে দিচ্ছিলাম! একটুর জন্য...!
বিল্টু: সেঞ্চুরির আগেই আউট হয়ে গেলি বুঝি?
সঞ্জু: আরে, বিপক্ষ দল কী ভয়ানক একটা বোলার নিয়ে এসেছিল! একদম মাশরাফির মতো বোলিং করে। বোলারটা আমাকে সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৯৯ রান দূরে থাকতেই আউট করে দিল। নইলে আজকে নির্ঘাত সেঞ্চুরিটা পেয়ে যেতাম!
ক্রিকেট জোকস দুটি পাঠিয়েছে শারমিন মুমু। সে মিরপুরের হাজি আলী হোসেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে।
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও ছবি এঁকে আমাদের কাছে পাঠাতে পারো। লিখতে পারো ছড়া, গল্প কিংবা কৌতুক। লেখার সঙ্গে অবশ্যই তোমার নাম, স্কুলের নাম, কোন ক্লাসে পড়ো এবং আব্বু বা আম্মুর ফোন নম্বর দেবে।
পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
বেচারা রাজকন্যা! মাঠে খেলতে গিয়েছিল। খেলতে খেলতে কখন যে দূরে চলে এসেছে, সে নিজেই জানে না।
বেচারা রাজকন্যা!
মাঠে খেলতে গিয়েছিল।
খেলতে খেলতে কখন যে দূরে চলে এসেছে সে নিজেই জানে না।
খেলা শেষে যখন ফিরতে যাবে, তখন খেয়াল করল, পথ খুঁজে পাচ্ছে না।
এখন উপায়?
উপায় একটা আছে।
তোমরা ওকে পথ দেখাতে পারো।
তাহলে দেরি না করে, রাজকন্যাকে রাজপ্রাসাদে যাবার পথ দেখাও।
নিচের ছবিতে উত্তর দেখানো হয়েছে।
যারা ওকে পথ দেখাতে পারবে না, তারা সেটা দেখে হেল্প নিতে পারো।
তবে, দেখার আগে অবশ্যই চেষ্টা করবে।
কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে কভু আশীবিষে দংশেনি যারে?
চিরসুখীজন ভ্রমে কি কখন
ব্যথিতবেদন বুঝিতে পারে?
কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে
কভু আশীবিষে দংশেনি যারে?
যতদিন ভবে, না হবে না হবে,
তোমার অবস্থা আমার সম।
ঈষৎ হাসিবে, শুনে না শুনিবে
বুঝে না বুঝিবে, যাতনা মম।
ছড়াকার রমজান মাহমুদ ‘ডিম আগে না মুরগি আগে’ নিয়ে ছড়ার বই লিখে ফেলেছেন। এই বইতে যতগুলো ছড়া আছে সবগুলো হাসির।
তোমরা কি জানো, ডিম আগে এসেছে নাকি মুরগি?
এটা নিয়ে গবেষণা করতে করতে কত বিজ্ঞানী চুল সাদা করে ফেলেছেন তার হিসাব নেই।
তবুও তারা আবিষ্কার করতে পারনেনি কোনটা আগে।
এর ফাঁকে তোমাদের প্রিয় ছড়াকার রমজান মাহমুদ ‘ডিম আগে না মুরগি আগে’ নিয়ে ছড়ার বই লিখে ফেলেছেন।
এই বইতে যতগুলো ছড়া আছে সবগুলো হাসির।
মানে এই ছড়াগুলো পড়লে তোমার হাসি পাবে।
তোমরা কি হাসতে চাও?
যদি চাও, তাহলে সংগ্রহ করতে পারো বইটি।
মোট ৩৮টি ছড়া আছে এখানে।
বইটির প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন গোলাম কিবরিয়া।
প্রকাশ করেছে কারুবাক।
মন্তব্য