অনেক অনেক আগের কথা। এক দেশে বাস করত এক স্বর্ণকার। লোকটা ছিল বেশ ধার্মিক ও সৎ।
প্রতিদিন সূর্য ওঠার আগে সে তার দোকানে চলে যেত। তার দোকানটা ছিল রাজপ্রাসাদের সামনে। দোকান খোলার আগে স্বর্ণকার আকাশের দিকে তাকিয়ে বলত, ‘হে মহাজ্ঞানী, রিজিকদাতা! হে ক্ষমাকারী! তুমি তো অসীম ক্ষমতার অধিকারী! সমুদ্রের তলায়ও যদি কিছু পড়ে তুমি তাকে ফিরিয়ে দেয়ার শক্তি রাখো!’
রাজপ্রাসাদ যেহেতু কাছেই ছিল, সেহেতু স্বর্ণকারের কথায় প্রতিদিন রাজার ঘুম ভেঙে যেত। তাতে সে বেশ বিরক্ত হতো।
একদিন ঘুম ভাঙতেই রাজা রেগেমেগে চিৎকার করে বলল, ‘কে প্রতিদিন ভোরে আমার আরামের ঘুম নষ্ট করে দেয়?’
পাশে দাঁড়ানো চাকর বলল, ‘হুজুর এটা স্বর্ণকারের কাজ। সে প্রতিদিন এসব বলে দোকান খোলে।’
রাজার মেজাজ গেল বিগড়ে। সে স্বর্ণকারকে ‘উচিত শিক্ষা’ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিল। কিন্তু বিনা কারণে তো কাউকে সাজা দেয়া যায় না। তাই সে এক ফন্দি বের করল।
সেদিন বিকেলে রাজা গেল স্বর্ণকারের দোকানে। একটা মূল্যবান হীরার আংটি দিয়ে বলল, ‘এটার দাম কয়েক হাজার স্বর্ণমুদ্রা। তুমি রঙিন কাচ দিয়ে হুবহু এটার মতো আরেকটি আংটি বানাবে। আমি সব সময় নকল আংটিটা পরব। তবে বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে আসল হীরার আংটিটা পরব। তাতে আসল আংটিটা হারানোর চান্স কমে যাবে।’
স্বর্ণকার আংটিটা নিল এবং ছোট্ট একটা বাক্সে ঢুকিয়ে তাকের ওপর রেখে দিল।
এ সময় রাজা বলল, ‘এক গ্লাস পানি দাও তো!’
স্বর্ণকার পানি আনতে যেতেই রাজা তাকের ওপর থেকে আংটিটা নিয়ে লুকিয়ে ফেলল।
কিছুক্ষণ পর স্বর্ণকার পানি নিয়ে ফিরে এলো। রাজা স্বর্ণকারকে বলল, ‘তিন দিন সময় দেয়া হলো। এর মধ্যে কাজ শেষ করবে। চতুর্থ দিন সকালে আসল-নকল আংটি দুটো একসাথে তোমার কাছ থেকে বুঝে নেব। তবে সাবধান। আংটি হারালে কিন্তু তোমার গর্দান যাবে।’
স্বর্ণকারের দোকান থেকে বেরিয়ে রাজা গেল সমুদ্রের দিকে। সেখানে গিয়ে আসল আংটিটা ছুড়ে ফেলে প্রাসাদে ফিরে এলো।
স্বর্ণকার রাতে স্ত্রীকে পুরো ঘটনা খুলে বলল। স্ত্রী কী যেন চিন্তা করে বলল, ‘এক্ষুনি দোকানে ফিরে যাও! এভাবে রাজার আংটি তাকের ওপরে রেখে আসা ঠিক না। আংটি হারালে তোমার গর্দান যাবে। তাই এক মুহূর্তের জন্যও আংটি থেকে আলাদা হবে না।’
স্বর্ণকার ফিরে গেল দোকানে। তাকের ওপর থেকে ছোট্ট বাক্সটা নামিয়ে আনল। সেটা খুলে তার চোখ ছানাবড়া। খালি, কিছুই নেই ভেতরে।
স্বর্ণকার সারা দিন আংটি খুঁজল কিন্তু পেল না। এভাবে তিন দিন চলে গেল।
ওদিকে দুষ্টু রাজা এই কয় দিন স্বর্ণকারের প্রার্থনা শোনেনি, তাই তার ঘুমেরও ডিস্টার্ব হয়নি। রাজা মনে মনে ভাবল, তার প্ল্যান কাজে লেগেছে। স্বর্ণকার আর সকাল সকাল আমার ঘুম ভাঙায় না।
কিন্তু চতুর্থ দিন ভোরে আগের মতোই রাজার ঘুম ভাঙল স্বর্ণকারের প্রার্থনায়।
রাজা তখনই রেগেমেগে স্বর্ণকারের দোকানে গেল। তার পেছন পেছন তলোয়ার হাতে এক সেপাইও এল। রাজা স্বর্ণকারকে বলল, ‘তিন দিন শেষ হয়ে গেছে। আংটি দুটো দাও। নইলে তোমার গর্দান যাবে।’
স্বর্ণকার পকেট থেকে দুটো বাক্স বের করে রাজার হাতে তুলে দিল।
রাজা অবাক। বললেন, ‘এটা অসম্ভব! কী করে এই আংটি পেলে তুমি? আমি নিজে এটা সমুদ্রে ফেলে দিয়েছিলাম।’
স্বর্ণকার বলল, ‘আংটির চিন্তায় আমার খাওয়াদাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই বউ আমার জন্য একটা বড় মাছ কিনে আনল। সেই মাছের পেটে পাওয়া গেল আপনার আংটি। আমি তো দেখেই চিনেছি। তাড়াতাড়ি আংটিটা নিয়ে কাজ শুরু করে দিলাম। ব্যস! আপনি যে রকম চেয়েছিলেন সে রকম আংটি বানিয়ে ফেললাম। কাজ শেষ হওয়ার পর আমি আবার সেই প্রার্থনাটি করলাম যেটা আপনি প্রতিদিন শোনেন।’
আরও পড়ুন:শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হলো সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব।
উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় ১৩টি পর্বে শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের উপযোগী করে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজ তথা ইশারা ভাষা যুক্ত করে নতুনভাবে তৈরি করেছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)।
সিসিমপুরের পর্বগুলোকে ইশারা ভাষায় রূপান্তরে সহযোগিতা করেছে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন সোসাইটি অব দ্য ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল)।
২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।
বিশেষ এই উদ্যোগ সম্পর্কে সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘সিসিমপুরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সিসিমপুরের ১০টি গল্পের বই ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি ও শিশুদের মাঝে বিতরণ করেছি। এবার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নিয়ে আসছি ১৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর।
‘ধারাবাহিকভাবে পর্বের সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে আছে আমাদের। আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ইউএসএআইডি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’
এক লোককে থানায় ধরে আনা হলো।
ওসি: আপনাকে আজ রাতে থানায় থাকতে হবে।
ভদ্রলোক: চার্জ কী?
ওসি: কোনো চার্জ দিতে হবে না, ফ্রি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে ২৫ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, '৫০০ টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পারো তো জেলে যাও।' সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।
এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তুখোড় বুদ্ধি উকিল এসে বললেন, 'ওই ১০০ টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।'
চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, 'আমায় বাঁচিয়ে দিন।'
উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পারো, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"
চাষা বলল, 'আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজি।'
আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি সাত বছর আগে ২৫ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?'
চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'খবরদার!- বল, নিয়েছিলি কি না।'
চাষা বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'হুজুর! আসামির বেয়াদবি দেখুন।'
হাকিম রেগে বললেন, 'ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমই ফাটক দেব।'
চাষা অত্যন্ত ভয় পেয়ে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, 'ব্যা- ব্যা- '।
হাকিম বললেন, 'লোকটা কি পাগল নাকি?'
তখন চাষার উকিল উঠে বললেন, "হুজুর, ও কি আজকের পাগল- ও বহুকালের পাগল, জন্ম-অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকি? আর পাগলের খত লিখলেই বা কী? দেখুন দেখুন, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে করে জেনেশুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেওয়ার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, 'এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে'- পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!"
দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল।
হাকিম খানিক শুনেটুনে বললেন, 'মোকদ্দমা ডিসমিস্।'
মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বললেন, 'আচ্ছা, না হয় তোর ৪০০ টাকা ছেড়েই দিলাম- ওই ১০০ টাকাই দে।'
চাষা বলল, 'ব্যা-!'
মহাজন যতই বলেন, যতই বোঝান, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগেমেগে বলে গেল, 'দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন করে হজম করিস।'
চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, 'যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। ১০০ টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।'
চাষা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, 'ব্যা-।'
উকিল বললেন, 'বাপু হে, ওসব চালাকি খাটবে না- টাকাটি এখন বের করো।'
চাষা বোকার মতো মুখ করে আবার বলল, 'ব্যা-।'
উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, 'হতভাগা গোমুখ্যু পাড়া গেঁয়ে ভূত- তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি, কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হলে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।'
বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হলো না।
আরও পড়ুন:এক ফটো সাংবাদিক রাস্তায় বাচ্চাদের ছবি তুলছেন। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে বললেন, স্মাইল।
ইসমাইল: জি স্যার?
সাংবাদিক: আরে তুমি দাঁড়াচ্ছ কেন? বসো।
ইসমাইল: ঠিক আছে।
সাংবাদিক: ওকে রেডি, স্মাইল।
ইসমাইল: ডাকলেন কেন স্যার?
সাংবাদিক: আরে বাবা তোমার সমস্যাটা কী? স্মাইল বললেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছ কেন?
ইসমাইল: আমি তো বসেই আছি। আপনি আমার নাম ধরে ডাকেন বলেই দাঁড়িয়ে যাই।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:মেয়ে: আলুর তরকারিটার স্বাদ কেমন হয়েছে?
বাবা: দারুণ স্বাদ হয়েছে। তুই রান্না করেছিস নাকি?
মেয়ে: না, আলু আমি ছিলেছি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
স্ত্রী: কি ব্যাপার, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?
ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা লাগছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
এক যুবক নতুন চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন অফিসে এসেই কিচেনে ফোন করে বলল, ‘এখনি আমাকে এককাপ কফি দিয়ে যাও! জলদি!’
অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল, ‘গর্দভ, তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?’
যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল, ‘না! আপনি কে?’
‘আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর’, রাগী গলায় উত্তর এল।
যুবকটি বলল, ‘আর আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন?’
‘না’, ওপার থেকে উত্তর এল।
‘বাবারে! বাঁচা গেছে’, বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
মন্তব্য