মাঠটা তখনো ঘুমুচ্ছিল। তখন ছিল ভোর। দুটো মানুষ সমান পুরু কুয়াশা চাদর হয়ে ঢেকে রেখেছে মাঠটাকে। সূর্যের দেখা না পেলে ঘুম থেকে ওঠার ইচ্ছে নেই মাঠের। কিন্তু এ কী! দুটো বলদ এসে হাঁকডাক শুরু করে দিল। মাঠের এক কোনায় দাঁড়িয়ে সমানে চেঁচিয়ে যাচ্ছে বলদ দুটো, হাম্বা-আ-আ, হাম্বা-আ-আ-আ...
একবার-দুবার নয়, বেশ কয়েকবার। মনে হচ্ছে কানের কাছে অ্যালার্ম বাজাচ্ছে। সে কী চিৎকার! চেঁচিয়ে মাঠটাকেই বুঝি তুলে নিয়ে যাবে বলদ দুটো। বড্ড বিরক্ত হলো মাঠ। খ্যাঁক খ্যাঁক করে বলল, ‘অ্যাই! হচ্ছেটা কী?’
একটা বলদ আবার কানে দুলও পরেছে। ঘণ্টা দুল। যখন হাঁটে, টুংটাং শব্দ হয়। দুল জোড়ার জন্য বলদটার খুব গর্ব। হাঁটার সময় মাথাটা একটু বেশি দোলায়। তাতে শব্দটা বেশি হয়। অনেক দূর থেকেও শোনা যায়।
মাথা দুলিয়ে দুল পরা বলদ বলল, ‘এখনো কিছু হয়নি। একটু পরেই হবে। চাষ হবে। লাঙল চলবে।’
মাঠ বলল, ‘এই ভোরে?’
বলদ বলল, ‘ভোর কোথায়? সকাল হয়েছে সেই কখন!’
বিরক্ত হয়ে মাঠ বলল, ‘এই শীতের সকালে চাষটাস হবে না বাপু। যাও, গোয়ালঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে থাকো। নয়তো জাবর কাটো। আমাকে একা থাকতে দাও।’
অনেকখানি পথ হেঁটে এসেছে বলদ দুটো। এখন আবার ফিরে যাবে? ধ্যাৎ, আর ভালো লাগে না। কবে যে অবসর পাবে! তখন গোয়ালঘরে বসে বসে কেবল জাবর কাটবে। আর লেজ দিয়ে মাছি তাড়াবে।
অন্য বলদটা এতক্ষণ বাদে মুখ খুলল, ‘শীত সকালে লাঙল চালাতে আমাদেরও ভালো লাগে না। গোয়ালঘর থেকে বেরোতে চাইনি। কিন্তু কী করব, পিঠের ওপর কয়েক ঘা পড়তেই আর না এসে পারিনি।’
মাঠ বলল, ‘বুঝেছি। তোদের মনিবকে গিয়ে বল, আমি এখন ঘুম থেকে উঠতে পারব না। সূর্য উঠুক, তারপর।’
কী আর করা! সূর্য ওঠার অপেক্ষায় বলদ দুটো বসে রইল মাঠের এক কোনায়। কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে আবারও ঘুমিয়ে পড়ল মাঠ।
সূর্য উঠল অনেকক্ষণ পর। অমনি মাঠের গায়ের ওপর থাকা চাদর ধরে টানাটানি শুরু করল দুই বলদ।
আবারও জেগে গেল মাঠ। জানতে চাইল, ‘আবার কী হলো?’
‘ওই তো সূর্য উঠেছে।’
আকাশের দিকে তাকিয়ে মাঠ বলল, ‘কোথায় সূর্য? ওটা তো চাঁদ। রাত হয়ে গেল নাকি?’
ঘণ্টাপরা বলদ বলল, ‘ওটা চাঁদ নয়, সূর্য।’
‘সূর্য তো অমন ফ্যাকাশে হওয়ার কথা নয়। চাঁদের মতো ফ্যাকাশে হয়ে গেছে কেন?’
বলদ বলল, ‘কী জানি বাপু। সূর্যের ব্যপারস্যাপার বুঝি না। শুনেছি সূর্যের অনেক ক্ষমতা। অথচ সামান্য কুয়াশা ঠেলেই উঁকি দিতে পারে না। কী হবে এমন ক্ষমতা থেকে?’
এবার এগিয়ে এলো চাষি। বলল, ‘শীতের দোহাই দিয়ে অনেক ঘুমিয়েছিস। এবার ওঠ।’
চাষির কথা কখনোই ফেলতে পারে না মাঠ। ঝটপট উঠে পড়ল। আর কী অবাক! মাঠটা জেগে উঠতেই কুয়াশার চাদরখানা সরে যেতে লাগল। সরতে লাগল দূর থেকে দূরে। আরও কিছুক্ষণ পর পুরো আকাশ দখল করে ফেলল সূর্য। কুয়াশার চাদরও কোথায় যে হারিয়ে গেল, কেউ তার খোঁজও নিল না। শীতও পালাই পালাই করে ছুটে পালাল। এক ফোঁটা কুয়াশা বা এক ফোঁটা শীত- কিছুই রইল না মাঠের বুকে।
দুই বলদ নিয়ে লাঙল চালাতে লাগল চাষি। লাঙল চালাতে চালাতে মাঠকে বলল চাষি, ‘বুঝেছিস! চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকলে কখনো শীত যায় না। বরং নিয়মমতো কাজ শুরু করলেই শীত পালায়।’
এরপর কুয়াশার চাদর যতই মোটা হোক, ভোর হলে আর চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকে না মাঠ। হাম্বা ডাক শুনলেই উঠে যায়।
আরও পড়ুন:শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নির্মিত হলো সিসিমপুরের বিশেষ কিছু পর্ব।
উদ্যোগের অংশ হিসেবে সিসিমপুরের জনপ্রিয় ১৩টি পর্বে শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের উপযোগী করে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজ তথা ইশারা ভাষা যুক্ত করে নতুনভাবে তৈরি করেছে সিসিমপুরের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিসেমি ওয়ার্কশপ বাংলাদেশ (এসডব্লিউবি)।
সিসিমপুরের পর্বগুলোকে ইশারা ভাষায় রূপান্তরে সহযোগিতা করেছে শ্রবণপ্রতিবন্ধী মানুষের উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন সোসাইটি অব দ্য ডেফ অ্যান্ড সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ইউজার্স (এসডিএসএল)।
২৩ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ ডে। এই দিন থেকে সাইন ল্যাঙ্গুগুয়েজে নির্মিত সিসিমপুরের বিশেষ পর্বগুলো সিসিমপুরের সোশ্যাল ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে ধারাবাহিকভাবে প্রচার শুরু হবে, যা পরবর্তী পর্যায়ে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতেও প্রচার হবে।
বিশেষ এই উদ্যোগ সম্পর্কে সিসিমপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘সিসিমপুরের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রতিটি শিশুর কাছে পৌঁছানো। তারই অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য সিসিমপুরের ১০টি গল্পের বই ব্রেইল পদ্ধতিতে প্রকাশ করেছি ও শিশুদের মাঝে বিতরণ করেছি। এবার শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য নিয়ে আসছি ১৩ পর্বের বিশেষ সিসিমপুর।
‘ধারাবাহিকভাবে পর্বের সংখ্যা বাড়ানোর ইচ্ছে আছে আমাদের। আমাদের টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও অন্যান্য কার্যক্রম বাস্তবায়নে সহায়তা করার জন্য ইউএসএআইডি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।’
এক লোককে থানায় ধরে আনা হলো।
ওসি: আপনাকে আজ রাতে থানায় থাকতে হবে।
ভদ্রলোক: চার্জ কী?
ওসি: কোনো চার্জ দিতে হবে না, ফ্রি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে ২৫ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, '৫০০ টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পারো তো জেলে যাও।' সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।
এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তুখোড় বুদ্ধি উকিল এসে বললেন, 'ওই ১০০ টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।'
চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, 'আমায় বাঁচিয়ে দিন।'
উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পারো, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"
চাষা বলল, 'আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজি।'
আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি সাত বছর আগে ২৫ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?'
চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'খবরদার!- বল, নিয়েছিলি কি না।'
চাষা বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'হুজুর! আসামির বেয়াদবি দেখুন।'
হাকিম রেগে বললেন, 'ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমই ফাটক দেব।'
চাষা অত্যন্ত ভয় পেয়ে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, 'ব্যা- ব্যা- '।
হাকিম বললেন, 'লোকটা কি পাগল নাকি?'
তখন চাষার উকিল উঠে বললেন, "হুজুর, ও কি আজকের পাগল- ও বহুকালের পাগল, জন্ম-অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকি? আর পাগলের খত লিখলেই বা কী? দেখুন দেখুন, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে করে জেনেশুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেওয়ার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, 'এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে'- পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!"
দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল।
হাকিম খানিক শুনেটুনে বললেন, 'মোকদ্দমা ডিসমিস্।'
মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বললেন, 'আচ্ছা, না হয় তোর ৪০০ টাকা ছেড়েই দিলাম- ওই ১০০ টাকাই দে।'
চাষা বলল, 'ব্যা-!'
মহাজন যতই বলেন, যতই বোঝান, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগেমেগে বলে গেল, 'দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন করে হজম করিস।'
চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, 'যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। ১০০ টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।'
চাষা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, 'ব্যা-।'
উকিল বললেন, 'বাপু হে, ওসব চালাকি খাটবে না- টাকাটি এখন বের করো।'
চাষা বোকার মতো মুখ করে আবার বলল, 'ব্যা-।'
উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, 'হতভাগা গোমুখ্যু পাড়া গেঁয়ে ভূত- তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি, কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হলে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।'
বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হলো না।
আরও পড়ুন:এক ফটো সাংবাদিক রাস্তায় বাচ্চাদের ছবি তুলছেন। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে বললেন, স্মাইল।
ইসমাইল: জি স্যার?
সাংবাদিক: আরে তুমি দাঁড়াচ্ছ কেন? বসো।
ইসমাইল: ঠিক আছে।
সাংবাদিক: ওকে রেডি, স্মাইল।
ইসমাইল: ডাকলেন কেন স্যার?
সাংবাদিক: আরে বাবা তোমার সমস্যাটা কী? স্মাইল বললেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছ কেন?
ইসমাইল: আমি তো বসেই আছি। আপনি আমার নাম ধরে ডাকেন বলেই দাঁড়িয়ে যাই।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:মেয়ে: আলুর তরকারিটার স্বাদ কেমন হয়েছে?
বাবা: দারুণ স্বাদ হয়েছে। তুই রান্না করেছিস নাকি?
মেয়ে: না, আলু আমি ছিলেছি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
স্ত্রী: কি ব্যাপার, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?
ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা লাগছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
এক যুবক নতুন চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন অফিসে এসেই কিচেনে ফোন করে বলল, ‘এখনি আমাকে এককাপ কফি দিয়ে যাও! জলদি!’
অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল, ‘গর্দভ, তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?’
যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল, ‘না! আপনি কে?’
‘আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর’, রাগী গলায় উত্তর এল।
যুবকটি বলল, ‘আর আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন?’
‘না’, ওপার থেকে উত্তর এল।
‘বাবারে! বাঁচা গেছে’, বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
মন্তব্য