হাসতে হাসতে যারা হচ্ছে কেবল সারা রামগরুড়ের লাগছে ব্যথা বুঝছে না কি তারা? কান পেতে তাই শোনে।
রামগরুড়ের ছানা হাসতে তাদের মানা,
হাসির কথা শুনলে বলে,
‘‘হাস্ব না-না না-না’’।
সদাই মরে ত্রাসে- ঐ বুঝি কেউ হাসে!
এক চোখে তাই মিট্মিটিয়ে
তাকায় আশে পাশে।
ঘুম নাহি তার চোখে আপনি ব’কে ব’কে
আপনারে কয়, ‘‘হাসিস্ যদি
মারব কিন্তু তোকে!’’
যায় না বনের কাছে, কিম্বা গাছে গাছে,
হাসিয়ে ফেলে পাছে!
সোয়াস্তি নেই মনে- মেঘের কোণে কোণে
হাসির বাষ্প উঠছে ফেঁপে
কান পেতে তাই শোনে।
ঝোপের ধারে ধারে রাতের অন্ধকারে
জোনাক্ জ্বলে আলোর তালে
হাসির ঠারে ঠারে।
হাসতে হাসতে যারা হচ্ছে কেবল সারা
রামগরুড়ের লাগছে ব্যথা
বুঝছে না কি তারা?
রামগরুড়ের বাসা ধমক দিয়ে ঠাসা,
হাসির হাওয়া বন্ধ সেথায়
নিষেধ সেথায় হাসা।
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই/ এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মাগো আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে লেবুর তলে থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না একলা জেগে রই-
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?
সেদিন হতে কেন মা আর দিদিরে না ডাকো;-
দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
খাবার খেতে আসি যখন, দিদি বলে ডাকি তখন,
ওঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো?
আমি ডাকি তুমি কেন চুপটি করে থাকো?
বল মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল-বিয়ে হবে!
দিদির মতো ফাঁকি দিয়ে, আমিও যদি লুকাই গিয়ে
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন করে রবে,
আমিও নাই-দিদিও নাই- কেমন মজা হবে।
ভুঁইচাপাতে ভরে গেছে শিউলি গাছের তল,
মাড়াস্ নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল।
ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে বুলবুলিটি লুকিয়ে থাকে,
উড়িয়ে তুমি দিও না মা, ছিঁড়তে গিয়ে ফল,-
দিদি এসে শুনবে যখন, বলবি কি মা বল!
বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই-
এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
লেবুর ধারে পুকুর পাড়ে ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতে জেগে রই
রাত্রি হলো মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
মাস্ক ছাড়া যারা রাস্তায় চলে, তারা এই করোনা গাড়ি দেখলে ভয় পাবে। ভাববে করোনা আসছে। ফলে সতর্ক হবে।
দুষ্ট করোনাভাইরাস আমাদের জ্বালিয়ে মারছে। স্কুলে যাওয়া যাচ্ছে না। বন্ধুদের সঙ্গে দেখাও হচ্ছে না।
তবে অনেকেই তোমাদের মতো সতর্কতা না মেনে বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাচ্ছে। তারা নিজেও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে, অন্যদেরকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
এসব অসতর্ক মানুষকে সতর্ক করতে ভারতের হায়দরাবাদের সুধাকর ইয়াদভ চাচ্চু করোনা গাড়ি বানিয়েছেন।
গাড়িটি দেখতে করোনাভাইরাসের মতো। গায়ের রং সবুজ। সারা গায়ে কাঁটার মতো অংশ আছে।
ছয় চাকার গাড়িটি ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে বন বন করে ঘুরতেও পারে।
সুধাকর চাচ্চু বলেছেন, ‘মাস্ক ছাড়া যারা রাস্তায় চলে, তারা এই করোনা গাড়ি দেখলে ভয় পাবে। ভাববে করোনা আসছে। ফলে সতর্ক হবে।’
রাস্তায় চলার অনুমতি পেলেই সুধাকর চাচ্চু তার ভয় দেখানোর কাজ শুরু করবেন।
কার্টুনটি এঁকেছেন কাওছার মাহমুদ
দিনের বেলায় চোখ দুটো ন’য় রাখতে পারে খুলে/ কিন্তু রাতে না ঘুমালে চোখ তো যাবে ফুলে
দাদুর গাছে আম পেকেছে—রাখছে চোখে চোখে,
আমবাগানে দুষ্ট ছেলে কেউ না যেন ঢোকে।
দিনের বেলায় চোখ দুটো ন’য় রাখতে পারে খুলে,
কিন্তু রাতে না ঘুমালে চোখ তো যাবে ফুলে।
তাই তো দাদু দুচোখ বুজে ঘুমিয়ে থাকে রাতে,
রোজ সকালেই দুয়েকটা আম কম পড়ে যায় তাতে।
একরাতে তাই ঘুমোল না, থাকল দাদু জেগে—
দেখব আমি কোন ব্যাটা রোজ আম নিয়ে যায় ভেগে?
গভীর রাতে মড়মড়ামড় আওয়াজ গেলো শোনা,
তার মানে কী?—চোর এসেছে—চোরের আনাগোনা।
লুকোয় দাদু গাছের পাশে, হাতে নিয়ে ছড়ি,
পালিয়ে যাবে?—অত সোজা! এই যে আছে দড়ি।
সরাসরাসর হচ্ছে আওয়াজ গাছের পাতায় পাতায়,
হঠাৎ করে দড়াম করে চোর পড়ে তার মাথায়।
লুটিয়ে পড়ে দুজন দুদিক—ডাকে যে যার মাকে!
আতঙ্কিত দুইজনই—কে সান্ত্বনা দেয় কাকে?
ঘাড় ভেঙে আর কোমর ভেঙে উঠল দুদিক দুজন,
দেখল দাদু চোর মহাশয় তারই নাতি সুজন।
বাঘ রাতের বেলা মানুষের চেয়ে ছয় গুণ বেশি দেখতে পারে।
চোখ দিয়ে আমরা মানুষসহ সব পশুপাখি দেখে থাকি। তবে সবার চোখ কিন্তু এক রকম নয়। আজ তোমাদের জন্য থাকছে চোখ নিয়ে মজার কিছু তথ্য।
এক ধরনের গিরগিটি শিকারি প্রাণীকে তাড়ানোর জন্য চোখ দিয়ে রক্ত ছুড়ে দেয়।
উটের চোখের পাপড়ি তিনটি। মরুভূমির ধূলি ঝড় থেকে বাঁচতে এগুলো ওদের সাহায্য করে।
ছাগলের চোখের মণি আয়তকার।
কেঁচোর কোনো চোখ নেই।
স্ক্যালপ নামের একধরনের ঝিনুকের ১০০-এর বেশি চোখ থাকে। এগুলো ওদের খোলের প্রান্তে থাকে।
চার চোখা মাছ একই সঙ্গে পানির উপরে ও নিচে দেখতে পারে।
ডলফিন এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায়।
ক্যামেলিয়ন গিরগিটি একই সময়ে দুই চোখ দিয়ে দুই দিকে তাকাতে পারে।
উটপাখির চোখ এর মস্তিষ্কের চেয়ে বড়।
বাঘ রাতের বেলা মানুষের চেয়ে ছয় গুণ বেশি দেখতে পারে।
ঝড়ের দিনে মামার দেশে/আম কুড়াতে সুখ
আয় ছেলেরা আয় মেয়েরা,
ফুল তুলিতে যাই
ফুলের মালা গলায় দিয়ে
মামার বাড়ি যাই।
মামার বাড়ি পদ্মপুকুর
গলায় গলায় জল,
এপার হতে ওপার গিয়ে
নাচে ঢেউয়ের দল।
দিনে সেথায় ঘুমিয়ে থাকে
লাল শালুকের ফুল,
রাতের বেলা চাঁদের সনে
হেসে না পায় কূল।
আম-কাঁঠালের বনের ধারে
মামা-বাড়ির ঘর,
আকাশ হতে জোছনা-কুসুম
ঝরে মাথার ‘পর।
রাতের বেলা জোনাক জ্বলে
বাঁশ-বাগানের ছায়,
শিমুল গাছের শাখায় বসে
ভোরের পাখি গায়।
ঝড়ের দিনে মামার দেশে
আম কুড়াতে সুখ
পাকা জামের শাখায় উঠি
রঙিন করি মুখ।
কাঁদি-ভরা খেজুর গাছে
পাকা খেজুর দোলে
ছেলে-মেয়ে, আয় ছুটে যাই
মামার দেশে চলে।
মাসায়োশি মাতসুমোতো ভাইয়া তার বেলুন অ্যানিম্যালের সঙ্গে
একটা প্রতিকৃতি বানাতে তার দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগে। তবে একটু জটিলগুলো বানাতে ছয় ঘণ্টাও লেগে যায়।
মাসায়োশি মাতসুমোতো থাকেন জাপানে।
এই ভাইয়াটা তোমাদের মতো বেলুন দিয়ে খেলতে ভালোবাসেন।
তার খেলাটা একটু অন্যরকম।
তিনি বেলুন দিয়ে এটা সেটা বানান।
তার বানানো পশুপাখি, ফুল, লতাপাতাগুলো দেখতে এত সুন্দর যে তোমার চোখ না ধাঁধিয়ে পারবেই না।
মাসায়োশি ভাইয়া সাত বছর বয়স থেকে এসব বানিয়ে আসছেন।
ছোটবেলায় তার পশুপাখি ভালো লাগত।
তখন থেকেই ভাবতেন কিভাবে এদের প্রতিকৃতি বানানো যায়।
হাতের কাছে বেলুন পেয়ে একদিন চেষ্টা করলেন।
দেখলেন, খুব সহজেই পশুপাখি বানাতে পারছেন।
একটা প্রতিকৃতি বানাতে তার দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগে।
তবে একটু জটিলগুলো বানাতে ছয় ঘণ্টাও লেগে যায়।
মাসায়োশি ভাইয়ার বানানো আরও প্রতিকৃতি দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করো।
মন্তব্য