স্কুলে ভর্তি হওয়ার পর পর যে কয়টা জিনিস মুখস্ত করতেই হয় তার মধ্যে সপ্তাহের সাত দিনের নামও আছে, তাই না?
কিন্তু তোমরা কি জানো, দিনগুলো কোথায় থেকে নাম পেল, কে দিলো তাদের এমন চমৎকার সব নাম? না জানলে চলো আজ জেনে নেই।
অনেক অনেক বছর আগের কথা। তখন তো ঘড়ি, ক্যালেন্ডার কিছুই ছিল না।
আমাদের চাঁদমামার চলাফেরা মানে চাঁদের গতিবিধি দেখে দিনক্ষণ ঠিক করত মানুষ। প্রথম দিনের চিকন চাঁদ, এরপর মাঝারি আকারের চাঁদ, কমলালেবুর মতো গোল চাঁদ দেখে দেখে একদল মানুষ ঠিক করল, আরে এটা দিয়ে তো দিন-তারিখ মনে রাখা যায়!
আবার আরেক দেশের লোকরা তাদের দেবতাদের নাম দিয়ে দিন মনে রাখার কথা ভাবল।
তবে শুরুতেই কিন্তু সাত দিনের সপ্তাহ ছিল না। নানারকম হিসাবনিকাশ ছিল।
মিসরীয় সভ্যতা, ব্যাবিলনীয় সভ্যতা, গ্রিক, রোমান ও অ্যাংলো-স্যাক্সন জাতির মানুষরা সপ্তাহের নাম নিয়ে কাজ শুরু করে। প্রথমে নামগুলো ঠিক হয় আকাশে দৃশ্যমান সাতটি উজ্জ্বল জ্যোতিস্কের নামে আর দেবদেবীর নামে।
মিসরে পাঁচ গ্রহ, চাঁদ আর সূর্যের নামে হয় সাত দিনের নাম। রোমানরাও তাদের অনুসরণ করে। কিন্তু তোমরা এখন যে ইংরেজি নামগুলো জানো সেগুলো অ্যাংলো-স্যাক্সনদের থেকেই নেয়া হয়েছে।
নামগুলো নিয়ে জানার ইচ্ছে আর চেপে রাখতে পারছো না, তাই না? এসো, ছোট্ট করে জানিয়ে দেই।
সানডে বা রবিবার- গ্রিক পুরাণে সূর্য হচ্ছে দেবতা, আর স্যাক্সন ভাষায় তাকেই বলে হয় Sunne যা থেকে ইংরেজিতে এসেছে Sun। সান মানে সূর্য। আর বাংলায় রবি মানেও সেই সূয্যিমামাই। এই আমাদের রবিবার।
মানডে বা সোমবার- মানডে আসলে ছিল মুনডে। গ্রিক পুরাণে Seleness চাঁদের দেবী। রোমান ভাষায় চাঁদকে বলা হয় Moon। ব্যস হয়ে গেল মানডে!
টিউসডে বা মঙ্গলবার- গ্রিক পুরাণে Ares নামে এক দেবতা আছেন। রোমান ভাষায় তাকে বলা হয় Mars. Mars মানে কী বলো তো? মঙ্গলগ্রহ।
কিন্তু স্যাক্সনদের ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী তাদের দেবতা হলেন Tiu। সেখান থেকেই ইংরেজি Tuesday মানে মঙ্গলবার।
ওয়েডনেসডে বা বুধবার- রোমান পুরাণ বলে, ব্যবসা-বাণিজ্যের দেবতা হচ্ছেন Mercury। আর এই মার্কারি আমাদের বুধ গ্রহ। তবে স্যাক্সনদের দেবী Woden এর নাম থেকে এসেছে Woden’s Day আর সেখান থেকে Wednesday।
থারসডে বা বৃহস্পতিবার- অ্যাংলো-স্যাক্সনরা বিশ্বাস করে, থর হলেন থান্ডার বা বজ্রপাতের দেবতা। সেখান থেকে তারা নাম দিয়েছে Thor’s day বা Thursday।
আবার গ্রিক ভাষায় এই ‘বজ্রপাতের পিতা’ হচ্ছেন দেবতা জিউস। আর জিউস গ্রহকে আমরা চিনি রোমান পুরাণের ‘জুপিটার’ নামে। এই জুপিটার গ্রহই হচ্ছে আমাদের বৃহস্পতি গ্রহ।
ফ্রাইডে বা শুক্রবার- অ্যাংলো-স্যাক্সনদের কাছে সৌন্দর্যের দেবী হলেন ফ্রিগ, সেখান থেকেই এসেছে ইংরেজি ফ্রাই ডে নাম।
গ্রিক আফ্রোদিতি বা রোমান ভেনাস হচ্ছেন সৌন্দর্য ও প্রেমের দেবী। তার নামেই শুক্র গ্রহের নাম। এই সব মিলিয়েই আমাদের ফ্রাইডে আর শুক্রবার।
স্যাটারডে বা শনিবার- Saturn হলেন রোমান দেবতা। এই স্যাটার্ন থেকেই ইংরেজিতে এসেছে স্যাটারডে। স্যাটার্ন অথবা শনি গ্রহ থেকেই আমরা পেয়েছি শনিবার।
এবার বলো মজা লাগলো কি না? চন্দ্র সূর্য এবং গ্রহের সঙ্গে সাতদিনের নামের এত মিল জেনে আমার তো ভীষণ আনন্দ হয়েছিল।
তোমরা আর কী কী জানতে চাও তা নিউজবাংলাকে জানাতে ভুলো না কিন্তু।
তথ্যনির্দেশিকা:
১। https://roar.media/bangla/main/history/seven-days-name
২। চিলড্রেন্স নলেজ ব্যাংক
এক লোককে থানায় ধরে আনা হলো।
ওসি: আপনাকে আজ রাতে থানায় থাকতে হবে।
ভদ্রলোক: চার্জ কী?
ওসি: কোনো চার্জ দিতে হবে না, ফ্রি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে ২৫ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, '৫০০ টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পারো তো জেলে যাও।' সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।
এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তুখোড় বুদ্ধি উকিল এসে বললেন, 'ওই ১০০ টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।'
চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, 'আমায় বাঁচিয়ে দিন।'
উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পারো, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"
চাষা বলল, 'আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজি।'
আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি সাত বছর আগে ২৫ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?'
চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'খবরদার!- বল, নিয়েছিলি কি না।'
চাষা বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'হুজুর! আসামির বেয়াদবি দেখুন।'
হাকিম রেগে বললেন, 'ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমই ফাটক দেব।'
চাষা অত্যন্ত ভয় পেয়ে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, 'ব্যা- ব্যা- '।
হাকিম বললেন, 'লোকটা কি পাগল নাকি?'
তখন চাষার উকিল উঠে বললেন, "হুজুর, ও কি আজকের পাগল- ও বহুকালের পাগল, জন্ম-অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকি? আর পাগলের খত লিখলেই বা কী? দেখুন দেখুন, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে করে জেনেশুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেওয়ার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, 'এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে'- পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!"
দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল।
হাকিম খানিক শুনেটুনে বললেন, 'মোকদ্দমা ডিসমিস্।'
মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বললেন, 'আচ্ছা, না হয় তোর ৪০০ টাকা ছেড়েই দিলাম- ওই ১০০ টাকাই দে।'
চাষা বলল, 'ব্যা-!'
মহাজন যতই বলেন, যতই বোঝান, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগেমেগে বলে গেল, 'দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন করে হজম করিস।'
চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, 'যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। ১০০ টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।'
চাষা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, 'ব্যা-।'
উকিল বললেন, 'বাপু হে, ওসব চালাকি খাটবে না- টাকাটি এখন বের করো।'
চাষা বোকার মতো মুখ করে আবার বলল, 'ব্যা-।'
উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, 'হতভাগা গোমুখ্যু পাড়া গেঁয়ে ভূত- তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি, কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হলে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।'
বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হলো না।
আরও পড়ুন:এক ফটো সাংবাদিক রাস্তায় বাচ্চাদের ছবি তুলছেন। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে বললেন, স্মাইল।
ইসমাইল: জি স্যার?
সাংবাদিক: আরে তুমি দাঁড়াচ্ছ কেন? বসো।
ইসমাইল: ঠিক আছে।
সাংবাদিক: ওকে রেডি, স্মাইল।
ইসমাইল: ডাকলেন কেন স্যার?
সাংবাদিক: আরে বাবা তোমার সমস্যাটা কী? স্মাইল বললেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছ কেন?
ইসমাইল: আমি তো বসেই আছি। আপনি আমার নাম ধরে ডাকেন বলেই দাঁড়িয়ে যাই।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:মেয়ে: আলুর তরকারিটার স্বাদ কেমন হয়েছে?
বাবা: দারুণ স্বাদ হয়েছে। তুই রান্না করেছিস নাকি?
মেয়ে: না, আলু আমি ছিলেছি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
স্ত্রী: কি ব্যাপার, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?
ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা লাগছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
এক যুবক নতুন চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন অফিসে এসেই কিচেনে ফোন করে বলল, ‘এখনি আমাকে এককাপ কফি দিয়ে যাও! জলদি!’
অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল, ‘গর্দভ, তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?’
যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল, ‘না! আপনি কে?’
‘আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর’, রাগী গলায় উত্তর এল।
যুবকটি বলল, ‘আর আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন?’
‘না’, ওপার থেকে উত্তর এল।
‘বাবারে! বাঁচা গেছে’, বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: nbki[email protected]
আরও পড়ুন:এক অভিনেতা তার ভক্তদের অটোগ্রাফ দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে শেষে এক ব্যক্তির অটোগ্রাফ বুকে গাধার ছবি এঁকে দিলেন।
ভক্ত: স্যার, আমি তো আপনার অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম, ফটোগ্রাফ নয়।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
মন্তব্য