আসছে শীত, কিছু প্রাণী নিচ্ছে ঘুমের প্রস্তুতি। এক ঘুমে কাটিয়ে দেবে শীতকাল। ঘুমকাতুরে এমন কিছু মজার প্রাণীর গল্প শুনি, চলো
সকালে একটু বেশি ঘুমালেই বড়দের যতো বিপত্তি! যারা ঘুমকাতুরে আর যারা একটু ঘুমালেই বড়োদের বকার মুখে পড়ো, তাদের বলি, শীতকাল ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেওয়া এসব প্রাণীর গল্প বড়দের শুনিয়ে দিতে পারো।
ঘুমকাতুরেরা যে লম্বা ঘুম দেয়, এই ঘুমের একটা নামও দিয়েছেন প্রাণীবিজ্ঞানীরা: হাইবারনেশন। তাদের ভাষায় এইচআইটি বা ‘হাইবারনেশন ইনডিউসমেন্ট ট্রিগার’ শীতঘুম নিয়ে আসে। শীতের শুরুতে যখন দিন ছোট হতে থাকে, তাপমাত্রা কমতে শুরু করে, তখন এসব প্রাণীর শরীরে এইচআইটি জেগে ওঠে। ফলে তারা ঘুমিয়ে পড়ে।
বলবে, এই কুম্ভকর্ণ কারা গো? বলছি শোনো, তার আগে তাদের খাবারের কথা একটু বলে নিই। এই ঘুমকাতুরেদের কেউ কেউ শীত আসি আসি করলেই মাটির গর্তে বা গাছের খোড়লে খাবার জমানো শুরু করে। তারপর যখন শীত এসে পড়ে, তখন তারা মাঝেমধ্যে শীতঘুম থেকে অল্প সময়ের জন্য জেগে ওঠে এবং জমানো খাবার খেয়ে ফের টুক করে ঘুমিয়ে পড়ে।
কেউবা আবার এতোই আলসে যে তারা খাবার জমানোর ঝামেলা পছন্দ করে না। তাই বলে শীতকালটা না খেয়ে ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেয়? মোটেও নয়। তারা শীত আসার আগ থেকেই বেশি বেশি খেতে শুরু করে। পারলে সারাদিনই খায়! এই এত্তো এত্তো খাবার তাদের শরীরে চর্বি আকারে জমতে থাকে। একেকটা তখন মোটাসোটা হয়ে যায়।
তাদের শরীরে দু ধরনের চর্বি হয়ে থেকে যায় খাবারগুলো। স্বাভাবিক সাদা আর বিশেষ ধরনের বাদামি রঙের চর্বি। বাদামি রঙের চর্বি তাদের মগজ, হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কাছে পাতলা প্রলেপের আকারে থাকে। শীত শেষে এই চর্বি শরীরের ওই অঙ্গগুলোতে দ্রুত উষ্ণতা ছড়িয়ে প্রাণীটিকে জেগে উঠতে সাহায্য করে। জেগে ওঠে কী করে তারা? সেই গল্প আরেকদিন। আজ শুধুই ঘুমের গল্প।
তো, শীতঘুমের সময় এসব প্রাণীর শরীরের তাপমাত্রা, শ্বাস-প্রশ্বাস ও হৃৎপিণ্ডের গতি অস্বাভাবিক রকম কমে যায়। উডচোবা নামে যুক্তরাষ্ট্রে কাঠবেড়ালির মতো এক ধরনের প্রাণী আছে, যারা মাটিতে গভীর গর্ত করে বাস করে। তাদের হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন মিনিটে ৮০ থেকে ৪-এ নেমে আসে। আর শরীরের তাপমাত্রা ৯৮ থেকে নেমে আসে ৩৮ ডিগ্রি ফারেনহাইটে।
তাপমাত্রা যদি এর চেয়ে বেশি নেমে আসে, তবেই তারা ঘুম থেকে জেগে ওঠে। আবার কিছু কিছু প্রাণী প্রতি সপ্তাহেই জেগে ওঠে প্রাকৃতিক কাজ সারে। খাবার পেলে কিছু খায়, না পেলেও মন খারাপ করে না। ফের খালি পেটেই ঘুমিয়ে পড়ে। শরীরে জমানো চর্বি তো আছেই!
তবে শীতে আশ্চর্য ঘুম দেয় ভালুক। তারা এক ঘুমে শীত পার করে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিজলি অথবা কালো ভালুকের হৃৎপিণ্ডের গতি প্রতি মিনিটে ৪০-৫০ থেকে ৪-১২ তে নেমে আসে।
তবে তাদের শরীরের তাপমাত্রা তেমন একটা কমে না। আশ্চর্যের বিষয় ঘুমে থাকায় পুরো শীতকাল ভালুক কিছুই খায় না। পানও করে না। এমনকি প্রাকৃতিক কাজ করার প্রয়োজনও হয় না তাদের! ভালুকের এই শীতঘুম ছয় মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
এ ছাড়া বাদুড়, সাপ, ব্যাঙ, লাফানো ইঁদুর, ছোট বাদামি বাদুড়, চিপমাংক, মাটিতে বাস করা কাঠবেড়ালি এবং কানাডার পাহাড়ি অঞ্চলে বাস করা পাখি পুরো শীতকালটা ঘুমিয়ে কাটায়।
এক লোককে থানায় ধরে আনা হলো।
ওসি: আপনাকে আজ রাতে থানায় থাকতে হবে।
ভদ্রলোক: চার্জ কী?
ওসি: কোনো চার্জ দিতে হবে না, ফ্রি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে ২৫ টাকা নিয়েছিল, সুদে-আসলে তা এখন ৫০০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে ১০০ টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, '৫০০ টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পারো তো জেলে যাও।' সুতরাং চাষার আর রক্ষা নাই।
এমন সময় শামলা মাথায় চশমা চোখে তুখোড় বুদ্ধি উকিল এসে বললেন, 'ওই ১০০ টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।'
চাষা তার হাতে ধরল, পায়ে ধরল, বলল, 'আমায় বাঁচিয়ে দিন।'
উকিল বললেন, "তবে শোন, আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু হে কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না- খালি পাঁঠার মতো 'ব্যা- ' করবে। তা যদি করতে পারো, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।"
চাষা বলল, 'আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমই রাজি।'
আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, 'তুমি সাত বছর আগে ২৫ টাকা কর্জ নিয়েছিলে?'
চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'খবরদার!- বল, নিয়েছিলি কি না।'
চাষা বলল, 'ব্যা- '।
উকিল বললেন, 'হুজুর! আসামির বেয়াদবি দেখুন।'
হাকিম রেগে বললেন, 'ফের যদি অমনি করিস, তোকে আমই ফাটক দেব।'
চাষা অত্যন্ত ভয় পেয়ে কাঁদ কাঁদ হয়ে বলল, 'ব্যা- ব্যা- '।
হাকিম বললেন, 'লোকটা কি পাগল নাকি?'
তখন চাষার উকিল উঠে বললেন, "হুজুর, ও কি আজকের পাগল- ও বহুকালের পাগল, জন্ম-অবধি পাগল। ওর কি কোনো বুদ্ধি আছে, না কাণ্ডজ্ঞান আছে? ও আবার কর্জ নেবে কি! ও কি কখনও খত লিখতে পারে নাকি? আর পাগলের খত লিখলেই বা কী? দেখুন দেখুন, এই হতভাগা মহাজনটার কাণ্ড দেখুন তো! ইচ্ছে করে জেনেশুনে পাগলটাকে ঠকিয়ে নেওয়ার মতলব করেছে। আরে, ওর কি মাথার ঠিক আছে? এরা বলেছে, 'এইখানে একটা আঙ্গুলের টিপ দে'- পাগল কি জানে, সে অমনি টিপ দিয়েছে। এই তো ব্যাপার!"
দুই উকিলে ঝগড়া বেধে গেল।
হাকিম খানিক শুনেটুনে বললেন, 'মোকদ্দমা ডিসমিস্।'
মহাজনের তো চক্ষুস্থির। সে আদালতের বাইরে এসে চাষাকে বললেন, 'আচ্ছা, না হয় তোর ৪০০ টাকা ছেড়েই দিলাম- ওই ১০০ টাকাই দে।'
চাষা বলল, 'ব্যা-!'
মহাজন যতই বলেন, যতই বোঝান, চাষা তার পাঁঠার বুলি কিছুতেই ছাড়ে না। মহাজন রেগেমেগে বলে গেল, 'দেখে নেব, আমার টাকা তুই কেমন করে হজম করিস।'
চাষা তার পোঁটলা নিয়ে গ্রামে ফিরতে চলেছে, এমন সময় তার উকিল এসে ধরল, 'যাচ্ছ কোথায় বাপু? আমার পাওনাটা আগে চুকিয়ে যাও। ১০০ টাকায় রফা হয়েছিল, এখন মোকদ্দমা তো জিতিয়ে দিলাম।'
চাষা অবাক হয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল, 'ব্যা-।'
উকিল বললেন, 'বাপু হে, ওসব চালাকি খাটবে না- টাকাটি এখন বের করো।'
চাষা বোকার মতো মুখ করে আবার বলল, 'ব্যা-।'
উকিল তাকে নরম গরম অনেক কথাই শোনাল, কিন্তু চাষার মুখে কেবলই ঐ এক জবাব! তখন উকিল বলল, 'হতভাগা গোমুখ্যু পাড়া গেঁয়ে ভূত- তোর পেটে অ্যাতো শয়তানি, কে জানে! আগে যদি জানতাম তা হলে পোঁটলাসুদ্ধ টাকাগুলো আটকে রাখতাম।'
বুদ্ধিমান উকিলের আর দক্ষিণা পাওয়া হলো না।
আরও পড়ুন:এক ফটো সাংবাদিক রাস্তায় বাচ্চাদের ছবি তুলছেন। সবাইকে একসঙ্গে বসিয়ে বললেন, স্মাইল।
ইসমাইল: জি স্যার?
সাংবাদিক: আরে তুমি দাঁড়াচ্ছ কেন? বসো।
ইসমাইল: ঠিক আছে।
সাংবাদিক: ওকে রেডি, স্মাইল।
ইসমাইল: ডাকলেন কেন স্যার?
সাংবাদিক: আরে বাবা তোমার সমস্যাটা কী? স্মাইল বললেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছ কেন?
ইসমাইল: আমি তো বসেই আছি। আপনি আমার নাম ধরে ডাকেন বলেই দাঁড়িয়ে যাই।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:মেয়ে: আলুর তরকারিটার স্বাদ কেমন হয়েছে?
বাবা: দারুণ স্বাদ হয়েছে। তুই রান্না করেছিস নাকি?
মেয়ে: না, আলু আমি ছিলেছি।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:
স্ত্রী: কি ব্যাপার, আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কী দেখছ?
ভুলোমনা স্বামী: এই ভদ্রলোককে খুব চেনা চেনা লাগছে, কিন্তু কোথায় দেখেছি ঠিক মনে করতে পারছিনা।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
এক যুবক নতুন চাকরি পেয়েছে। প্রথম দিন অফিসে এসেই কিচেনে ফোন করে বলল, ‘এখনি আমাকে এককাপ কফি দিয়ে যাও! জলদি!’
অন্যদিক থেকে আওয়াজ এল, ‘গর্দভ, তুমি কার সাথে কথা বলছ জান?’
যুবকটি থতমত এবং ভীত হয়ে বলল, ‘না! আপনি কে?’
‘আমি এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর’, রাগী গলায় উত্তর এল।
যুবকটি বলল, ‘আর আপনি জানেন কার সঙ্গে কথা বলছেন?’
‘না’, ওপার থেকে উত্তর এল।
‘বাবারে! বাঁচা গেছে’, বলে যুবকটি ফোন রেখে দিল।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
আরও পড়ুন:এক অভিনেতা তার ভক্তদের অটোগ্রাফ দিতে দিতে বিরক্ত হয়ে শেষে এক ব্যক্তির অটোগ্রাফ বুকে গাধার ছবি এঁকে দিলেন।
ভক্ত: স্যার, আমি তো আপনার অটোগ্রাফ চেয়েছিলাম, ফটোগ্রাফ নয়।
-
বন্ধুরা, চাইলে তোমরাও আমাদের কাছে জোকস লিখে পাঠাতে পারো। পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
মন্তব্য