× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অনুসন্ধান
NewsBangla Podcast Episode 1 Murder of Dr Sabira surrounded by mystery for 6 months
google_news print-icon

যে রহস্যের কিনারা নেই

যে-রহস্যের-কিনারা-নেই-
৩১ মে ২০২১। সকালবেলা আচমকা বদলে যায় গোটা ভবনের দৃশ্য। তিন তলার ফ্ল্যাটে নিজ কক্ষের দরজা ভেঙে ডা. সাবিরার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কক্ষের বিছানার ওপর উপুড় হয়ে পড়ে ছিল রক্তাক্ত মরদেহ। গলা ও পিঠে ছুরির আঘাত। সেই হত্যার ৮ মাসে কোথায় আছেন তদন্তকারীরা?

ঢাকার কলাবাগান।

ফার্স্ট লেনের ৫০/১ নম্বর বাড়ি। পাঁচ তলা এই ভবনের প্রতিটি তলায় দুটি করে ফ্ল্যাট। তিন তলায় সিঁড়ির বাম পাশের ফ্ল্যাটে মাস পাঁচেক হলো ভাড়া থাকেন কাজী সাবিরা রহমান লিপি।

২০২১ সালের শুরুতে ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেন গ্রিন লাইফ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট চিকিৎসক সাবিরা। ৪৭ বছর বয়সী ডা. সাবিরার স্বামী-সন্তান থাকেন অন্য বাসায়।

বাসা ভাড়া নেয়ার মাসখানেক পর বাসার একটি কক্ষ সাবলেট দেন তিনি। প্রথম সাবলেট নেয়া তরুণী ছিলেন এক মাস। এরপর মাস চারেক আগে ওঠেন কানিজ সুবর্ণা নামের আরেক তরুণী।

৩১ মে ২০২১। সকালবেলা আচমকা বদলে যায় গোটা ভবনের দৃশ্য। তিন তলার ফ্ল্যাটে নিজ কক্ষের দরজা ভেঙে ডা. সাবিরার নিথর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কক্ষের বিছানার ওপর উপুড় হয়ে পড়ে ছিল রক্তাক্ত মরদেহ। গলা ও পিঠে ছুরির আঘাত।

সারা ঘরে তখন আগুনের ধোঁয়া। মরদেহের সালোয়ার-কামিজ পুড়ে গেছে, বিছানার চাদরও পুড়েছে অনেকটা। তবে দরজা ভেঙে পুলিশ যখন ভেতরে ঢোকে, ততক্ষণে আগুন নিভে গেছে, কেবল ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন চারদিক।

যে রহস্যের কিনারা নেই
কলাবাগান ফার্স্ট লেনের এই বাড়িতে থাকতেন ডা. সাবিরা। ছবি: নিউজবাংলা

সাবিরার পাশের কক্ষে সাবলেট থাকা তরুণী সুবর্ণার ভাষ্য, সেদিন ভোর ৬টার দিকে তিনি ধানমন্ডি লেকে হাঁটতে বের হন। এ সময় সবকিছু ছিল স্বাভাবিক। সাবিরার কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় তিনি স্বাভাবিকভাবে অন্য দিনের মতোই সকালে বেরিয়ে যান। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে এটাই ছিল সুবর্ণার ভোরের রুটিন।

সুবর্ণা ফ্ল্যাটের প্রধান দরজা বন্ধ করে বেরিয়ে যান। বাড়ি ছাড়ার সময় প্রধান ফটক খুলে দেন দারোয়ান রমজান। এর তিন ঘণ্টা পর সকাল ৯টার দিকে বাসায় ফেরেন সুবর্ণা। নিজের কাছে থাকা চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটে ঢুকেই দেখতে পান ধোঁয়া। সাবিরার কক্ষের বন্ধ দরজার নিচ দিয়ে আসা ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে ড্রয়িংরুমেও।

যে রহস্যের কিনারা নেই
ডান দিকের কক্ষে থাকতেন ডা. সাবিরা, বাম পাশে থাকতেন সুবর্ণা। ছবি: নিউজবাংলা

তখন সকাল প্রায় সাড়ে ৯টা। হতভম্ব সুবর্ণা ফোন করে ডেকে আনেন দারোয়ান রমজানকে। ছুটে আসেন ভবনটি তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা সামিয়া রহমানসহ আশপাশের অনেকে।

এই ভবনের মালিক মাহবুবুল ইসলাম একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, থাকেন মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়ায়। আর ভবন দেখভালের দায়িত্বে থাকা সামিয়া থাকেন পাশের আরেকটি ভবনে।

ডা. সাবিরার কক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে সকাল ১০টার দিকে খবর দেয়া হয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে। তারা এসে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে সাবিরার নিথর দেহ।

কীভাবে এই মৃত্যু? ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে কী ঘটেছিল ওই কক্ষে? খুনি কীভাবে ঢুকল, কীভাবেইবা বেরিয়ে গেল সবার অগোচরে? হত্যার মোটিভ কী? সাবিরার গলায় ও পিঠে ছুরির আঘাত থাকলেও সেই ছুরিটি কোথায়?

ঘটনার প্রায় আট মাস পরেও এসব প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। তদন্তকারী কর্তৃপক্ষ বদল হয়েছে তিনবার, কিন্তু রহস্যের জাল ছিন্ন হয়নি এখনও।

ঘটনার দুদিন পর অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন ডা. সাবিরার মামাতো ভাই রেজাউল হাসান মজুমদার জুয়েল। মামলা নম্বর ১/৯৪। এর পরেই প্রথম তদন্ত শুরু করে কলাবাগান থানা পুলিশ। পাশাপাশি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশও নামে তদন্তে।

তবে রহস্যের জট না খোলায় মামলাটি এরপর চলে যায় পিবিআইয়ের কাছে।

ডা. সাবিরা হত্যা রহস্য উদ্ঘাটনে কেন এই দীর্ঘসূত্রতা, তা অনুসন্ধান করেছে নিউজবাংলা। আমাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদক বনি আমিন বিশ্লেষণ করেছেন ঘটনার আগে-পরের বিভিন্ন দিক।

ঘটনার দিন পুলিশের বিশেষ ইউনিট ক্রাইম সিনের ধারণা ছিল, ডা. সাবিরার মৃত্যু হয় মরদেহ পাওয়ার বেশ কয়েক ঘণ্টা আগে, মধ্যরাতে। তাহলে প্রশ্ন হলো, সাবলেট থাকা সুবর্ণা কেন তা জানতে পারেননি, না কি তিনি জানতেন?

আবার সুবর্ণার দাবি ধানমন্ডি লেকে হেঁটে বাসায় ফিরে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পান। তাহলে ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টার মধ্যে আগুন লাগাল কে? মৃত মানুষের পক্ষে তো আর আগুন লাগানো সম্ভব নয়!

ডাক্তার সাবেরার মরদেহের গলায় ও পিঠে ছিল ছুরির আঘাতের চিহ্ন। তার মানে, এটি আত্মহত্যা নয়। ছুরিটি না পাওয়ায় হত্যার বিষয়টি নিয়ে মোটামুটি নিশ্চিত তদন্তকারীরা। কিন্তু খুনি কে?

সাবিরা রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন, সেদিক থেকে কোনো ঝামেলা ছিল কি না, খুঁজেছে নিউজবাংলা।

মাস চারেক সাবলেট থাকা সুবর্ণাকে বাসার তত্ত্বাবধায়ক ও দারোয়ানের কাছে নিজের বোনের মেয়ে হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন সাবিরা। ঘটনার পর জানা যায়, তাদের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই। আবার বাসার তত্ত্বাবধায়ক থেকে শুরু করে সবাই জানত কানিজ সুবর্ণা একজন মডেল। কিন্তু কানিজ সুবর্ণার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তিনি মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িত নন। প্রশ্ন হলো, তারা দুজনেই কেন মিথ্যা তথ্য ব্যবহার করলেন?

ডাক্তার সাবিরা ওই ফ্ল্যাটে ওঠেন গত বছরের জানুয়ারিতে। পরের মাসেই সাবলেট হিসেবে উঠেছিলেন আরেক তরুণী। স্কুলশিক্ষক পরিচয় দেয়া সেই তরুণী সাবলেট ছিলেন এক মাস। পরের মাসে ওই ফ্ল্যাটে আসেন সুবর্ণা।

কলাবাগানের বাসাটি ভাড়া নেয়ার আগে ডা. সাবিরা থাকতেন একই এলাকার বশিরউদ্দীন রোডের আরেকটি ফ্ল্যাটে। ৭/২ নম্বর ভবনের বাড়িওয়ালা ফজলুল হকের ফ্ল্যাটে এক কক্ষ ভাড়া নিয়ে একাকী থাকতেন এই চিকিৎসক।

ডা. সাবিরার দ্বিতীয় স্বামী সাবেক ব্যাংকার শামসুদ্দিন আজাদ। তিনি তার প্রথম স্ত্রী ও এক সন্তানকে নিয়ে থাকেন শান্তিনগরের বাসায়।

ডা. সাবিরার প্রথম স্বামীর নাম ডা. ওবায়দুল্লাহ। ২০০৩ সালে ওবায়দুল্লাহ মারা যাওয়ার পর ২০০৬ সালে তিনি বিয়ে করেন শামসুদ্দিন আজাদকে।

সাবিরা কলাবাগানের বশিরউদ্দীন রোডে একাকী বাসা ভাড়া নেয়ার আগে থাকতেন গ্রিন রোডে মায়ের বাসায়। সেখানে তার প্রথম পক্ষের সন্তান আহমেদ তাজওয়ার এবং দ্বিতীয় পক্ষের মেয়েও থাকেন।

স্বামী-সন্তান এমনকি মায়ের বাসা ছেড়ে ডা. সাবিরা কেন একাকী বাসা ভাড়া নিলেন- সেই প্রশ্নের জবাবও খুঁজেছে নিউজবাংলা।

তার আগে চলুন একবার ঘুরে আসি কলাবাগানের যে ফ্ল্যাটে ডা. সাবিরা খুন হন, সেখানে।

রাজধানীর কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড। কলাবাগান ফার্স্ট লেনের পাকা সড়কটি ধরে ৩৩৫ কদম হাঁটলে বাঁ পাশে চোখে পড়ে ৫০ নম্বর বাসা। এই বাসার পাশ দিয়ে একটি গলি। সেই গলি দিয়ে ঢুকতেই দ্বিতীয় বাসাটির নম্বর ৫০/১। এই ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন ডা. সাবিরা রহমান।

যে রহস্যের কিনারা নেই
কলাবাগান ফার্স্ট লেনের সড়ক। ছবি: নিউজবাংলা



প্রধান ফটকে নক করতেই বেরিয়ে আসেন দারোয়ান রমজান। ডা. সাবিরার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলে যান ঘটনাপ্রবাহ।

ঘটনার আগের দিন ৩০ মে ২০২১। রাত ১০টায় বাসায় ঢোকেন ডা. সাবিরা। সাবলেট থাকা সুবর্ণা বাসায় ফেরেন আরও আগে।

বাসার নিয়ম অনুযায়ী, রাত ১১টায় প্রধান গেট বন্ধ হয়। তবে সেদিন রাত ১১টায় গেট বন্ধ হয়নি। কারণ পাশের বাসার তত্ত্বাবধায়ক সামিয়া দারোয়ান রমজানকে পাঠিয়েছিলেন ধানমন্ডিতে তার ব্যক্তিগত কাজে। রমজান কাজ শেষ করে কলাবাগানে ফিরতে রাত প্রায় সাড়ে ১২টা বেজে যায়।

মধ্যরাতে ফিরে প্রধান ফটকসহ ছাদের গেট বন্ধ করেন রমজান। এরপর ঘুমিয়ে যান তিনি।

৩১ মে সকাল ৬টা। ঘুম থেকে উঠে সুবর্ণার জন্য গেট খুলে দেন রমজান।

এরপর নিজের কিছু কাজ সেরে রমজান বাজারে যান, সেখান থেকে বাসায় ফেরেন সকাল ৯টার দিকে। এর কিছু আগেই বাসায় ফেরেন সুবর্ণা।

কিছুক্ষণ পর সুবর্ণা রমজানকে ফোন করে তিন তলায় ডাকেন। রমজান গিয়ে দেখতে পান ফ্ল্যাটের ড্রয়িংরুমে সুবর্ণা পায়চারি করছেন আর মোবাইলের বাটন টিপছেন। এ সময় সাবিরার রুম থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।

রমজান নেমে পাশের বাসায় গিয়ে ভবনের তত্ত্বাবধায়ক সামিয়াকে ডেকে আনেন। এরপর খবর দেয়া হয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে। পরে দরজা ভেঙে উদ্ধার করা হয় ডা. সাবিরার মরদেহ।

ডা. সাবিরা হত্যার আগে ওই ভবনে কোনো সিসিটিভি ছিল না। তবে এখন বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। ভবনের আশপাশে কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ জব্দ করেছে পুলিশ।

ভবনের প্রধান ফটকের পরেই গ্যারেজ। গ্যারেজটির দুই পাশের ওয়াল ডিঙিয়ে কেউ যাতে ভেতরে ঢুকতে না পারে সে জন্য রয়েছে রডের তৈরি বেড়া। তাই এদিক দিয়ে কারও ভেতরে ঢোকার সুযোগ নেই।

ভবনের পাশ দিয়ে বেয়ে তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে ঢুকতে গেলে জানালার গ্রিল ভাঙতে হবে। সে ধরনের কোনো আলামত পায়নি পুলিশ। এর অর্থ, খুনি ঢুকেছে এবং বেরিয়েছে ভবনের প্রধান ফটক দিয়েই।

তৃতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায় সাবিরার ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ। অনুসন্ধানের স্বার্থে চাবি পুলিশের কাছে।

তবে এই বাসার সব ফ্ল্যাট একই ধরনের। সাবিরা হত্যার পর ভবনের তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়ারা একে একে চলে গেছেন। ভবনের এসব ফ্ল্যাটের সবগুলো এখনও ফাঁকা।

যে রহস্যের কিনারা নেই
ডা. সাবিরা কলাবাগানের এই ভবনে থাকতেন। ছবি: নিউজবাংলা

ডা. সাবিরার ফ্ল্যাটের ঠিক ওপরের চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে গিয়ে এর নকশা পর্যবেক্ষণ করেছেন নিউজবাংলার বনি আমিন।

দেখা গেছে, দুই রুম, এক ড্রইং আর এক কিচেনের ফ্ল্যাটে থাকতেন ডা. সাবিরা রহমান। ফ্ল্যাটে ঢুকতেই সোজাসুজি রুমে থাকতেন সুবর্ণা আর ডান পাশেরটিতে থাকতেন সাবিরা।

প্রতিটি কক্ষের দরজার লক ভেতর থেকে বন্ধ করা যায়। তবে বাইরে থেকে চাবি ঘুরিয়ে খোলা সম্ভব। ফ্ল্যাটের প্রধান দরজার লকেও একই ব্যবস্থা। ফলে এমন হতে পারে সাবিরাকে হত্যার পর ভেতর থেকে লক করে দরজা টেনে বেরিয়ে গেছে খুনি।

সাবিরা হত্যার পর থেকে পুলিশের বিধিনিষেধের মধ্যে আছেন ওই ফ্ল্যাটে সাবলেট থাকা সুবর্ণা। সাবিরা সুবর্ণাকে আত্মীয় পরিচয় দিলেও তিনি বলছেন, সাবিরা তার পূর্বপরিচিত নন। সুবর্ণা ওই বাসায় উঠেছিলেন টুলেট বিজ্ঞাপন দেখে।

সুবর্ণা গ্রিন রোড এলাকায় ছিলেন চার বছর। পড়াশোনা করছিলেন সেখানকারই একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুবর্ণা বলছেন, তিনি সাবিরার কাছে শিক্ষার্থী পরিচয়ই দিয়েছিলেন।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সুবর্ণাকে মডেল হিসেবে বলা হলেও তার দাবি, ওইভাবে তিনি মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত নন। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজে পার্টটাইম কাজ করতেন।

টুলেট দেয়ার সময় সুবর্ণাকে ডা. সাবিরা বলেছিলেন, তার স্বামী বিদেশ থাকেন। তবে পরে সুবর্ণা জানতে পারেন, ডা. সাবিরার স্বামী থাকেন ঢাকার শান্তিনগরে। সাবিরা কোনো ধরনের মানসিক চাপ বা ব্যক্তিগত জটিলতার মধ্যে ছিলেন কি না, সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানেন না বলে দাবি করছেন সুবর্ণা।

সাবিরা রহমান কলাবাগানের ৫০/১ নম্বর বাসায় ওঠার আগে থাকতেন একই এলাকার বশিরউদ্দীন রোডের একটি ভবনে। সেই ভবনের মালিক ফজলুল হক জানান, সাবিরার সঙ্গে তার মায়ের সম্পর্ক ভালো ছিল না। দুই সন্তান নানির ভক্ত হওয়ায় মায়ের সঙ্গে দূরত্ব ছিল।

ফজলুল হক বলছেন, দ্বিতীয় স্বামী শামসুদ্দিন আজাদের সঙ্গে ডা. সাবিরার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। শামসুদ্দিন-সাবিরার ঘরে যে মেয়েসন্তান আছে তার খরচ দিতেন শামসুদ্দিন। তবে প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও তার সন্তান পছন্দ করতেন না বলে সাবিরা আলাদা থাকতেন। এসব বিষয় নিয়ে মানসিক কষ্টে ভুগছিলেন সাবিরা। প্রায়ই কান্নাকাটি করতেন।

তবে সাবিরার প্রথম পক্ষের সন্তান আহমেদ তাজওয়ারের দাবি, মায়ের সঙ্গে তাদের কোনো টানাপোড়েন ছিল না। সাবিরার প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষের দুই সন্তান তার মায়ের কাছেই বড় হয়েছেন। এ জন্যই দুই সন্তান নানির কাছে আছেন।

তাজওয়ারের দাবি, করোনা সংক্রমণ শুরুর পর সন্তানদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই সাবিরা আলাদা বাসায় থাকতে শুরু করেন।

ডা. সাবিরা ছেলেকে কানাডা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এই খরচ জোগাড় করতে তিনি নিজের গহনা বিক্রি করেন বলে জানান তাজওয়ার। তবে তিনি এও বলছেন, একসঙ্গে থাকলে কিছু মনোমালিন্য হওয়া অস্বাভাবিক নয়। সে ধরনের কিছু ঘটনা তাদের পরিবারেও ঘটেছে।

অর্থ হাতিয়ে নিতে ডা. সাবিরাকে খুন করা হতে পারে এমন ধারণার পক্ষে নন তাজওয়ার। তিনি বলছেন, ‘তেমন ঘটনা ঘটলে অন্য কারও তো টাকা পাওয়ার কথা নয়। সব টাকা তো আমারই থাকবে।‘

ডা. সাবিরার বাসায় সুবর্ণা চার মাস সাবলেট থাকলেও তাজওয়ার বলছেন, তিনি কখনও সুবর্ণার নামও শোনেননি, মায়ের বাসায় গেলেও কখনও তাদের কথা হয়নি।

সৎবাবার সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না বলেও দাবি করছেন তাজওয়ার।

ডা. সাবিরার বিষয়ে তথ্য জানতে তার দ্বিতীয় স্বামী শামসুদ্দিন আজাদের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সাড়া পায়নি নিউজবাংলা।

ডা. সাবিরা ছিলেন গ্রিন লাইফ হাসপাতালের কনসালট্যান্ট চিকিৎসক। সহকর্মীরা বলছেন, কর্মক্ষেত্রে তার সঙ্গে কারও বিরোধ ছিল না। তিনি নিয়মিত নামাজ-রোজা করতেন। ছিলেন যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী।

ডা. সাবিরার ফ্ল্যাটে গৃহকর্মীর কাজ করতেন শাপলা আক্তার। ভবনের দারোয়ান রমজান বলছেন, ২০২১ সালের শুরু থেকেই শাপলা ওই ফ্ল্যাটে কাজ করেন। শুরুতে সকাল-বিকেল কাজ করলেও মাস খানেক পর থেকে তিনি দুপুরের পর এক বেলা কাজে আসতেন।

রমজানের তথ্য বলছে, খুনের ঘটনার আগের দিন কাজে আসেননি শাপলা। এর কারণ নিউজবাংলা জানতে পারেনি।

ডা. সাবিরার মায়ের বাসার গাড়িচালকের নাম আামিন। ওই পরিবারে ৪ বছর চাকরির পর ২০১৮ সালে চাকরি ছাড়েন আমিন। তবে এরপরেও সাবিরার পরিবারের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল।

প্রায়ই বাসার বাজার করে দিতেন আমিন। ডা. সাবিরার ভাড়া বাসাতেও মাঝেমধ্যে তার যাতায়াত ছিল। আমিন বলছেন, সবশেষ ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি সাবিরার বাসায় কিছু আসবাবপত্র দিতে যান।

শাপলা ও আমিনকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব এখন পিবিআইয়ের কাছে। পিবিআই প্রধান (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার জানাচ্ছেন, বলার মতো অগ্রগতি এখনও আসেনি।

তিনি বলেন, ‘রহস্য উদ্ঘাটনে বিভিন্নমুখী কাজ আমাদের করতে হয়, সেগুলো করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। যতক্ষণ পর্যন্ত কিলারকে শনাক্ত করা না যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা বলব যে মামলার তেমন অগ্রগতি হয়নি।’

৮ মাস পেরিয়ে গেছে এই হত্যার। কিন্তু রহস্য ঘিরে আছে প্রতিটি অংশে। বহুবার তদন্তকারীরা ভেবেছেন এই বুঝি পাওয়া গেল খুনের মোটিভ, চিহ্নিত হতে যাচ্ছে ডা. সাবিরার খুনি!

তবে তারপরই আবার ঘিরে ধরেছে অন্ধকার। আর এভাবেই রহস্যের জালে আটকে আছে ডা. সাবিরা লিপির হত্যাকাণ্ড।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অনুসন্ধান
6 fugitive accused in Jhenaidah murder case arrested

ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহে হত্যা মামলার ৬ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার শৈলকুপায় হত্যা মামলার ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ছবি: সংগৃহীত
স্থানীয়রা জানায়, রোববার বিকেলে কাদা খেলা নিয়ে ওই গ্রামের মাতব্বর সুনিল বিশ্বাসের সঙ্গে অধির বিশ্বাস নামের এক চৈত্র সন্ন্যাসীর কথা কাটাকাটি হয়। দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে সন্ন্যাসীকে থাপ্পড় দেন সুনিল বিশ্বাস। এরই জের ধরে রাতে বাড়ির পেছনে গেলে সুনিল বিশ্বাস ও তার ছেলে স্বাধীনকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন সন্ন্যাসীরা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় স্বাধীন বিশ্বাস হত্যা মামলার ছয়জন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৬।

উপজেলার ভাটই বাজার এলাকা থেকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সোমবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানায় র‍্যাব।

গ্রেপ্তার ছয়জন হলেন ভগবাননগর গ্রামের সজীব বিশ্বাস (২০), বিজয় বিশ্বাস (১৮), সুশান্ত বিশ্বাস (৩৫), সুভাষ বিশ্বাস (৪০), প্রশনজিৎ বিশ্বাস (২৬) ও পলাশ বিশ্বাস (১৬)।

এর আগে রোববার রাতে উপজেলার ভগবান নগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ার সুনিল বিশ্বাসের ছেলে স্বাধীন বিশ্বাসকে (২২) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আহত হন আরও একজন।

স্থানীয়রা জানায়, ভগবান নগর গ্রামের আদিবাসী পাড়ায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে নীলপূজার অংশ হিসেবে কাদা খেলার আয়োজন করে স্থানীয় বাগদি সম্প্রদায়। রোববার বিকেলে এ নিয়ে ওই গ্রামের মাতব্বর সুনিল বিশ্বাসের সঙ্গে অধির বিশ্বাস নামের এক চৈত্র সন্ন্যাসীর কথা কাটাকাটি হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে সন্ন্যাসীকে থাপ্পড় দেন সুনিল বিশ্বাস। এরই জের ধরে রাতে বাড়ির পেছনে গেলে সুনিল বিশ্বাস ও তার ছেলে স্বাধীনকে লাঠি দিয়ে মারধর করেন সন্ন্যাসীরা। রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওই দিন রাত ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বাধীনের মৃত্যু হয় স্বাধীনের।

এ ঘটনায় স্বাধীন বিশ্বাসের বাবা বাদী হয়ে ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে শৈলকুপা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব জানায়, সোমবার বিকেলে র‌্যাব-৬ (ঝিনাইদহ ক্যাম্প)-এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শৈলকুপা উপজেলার ভাটই বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত ছয়জন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের মঙ্গলবার সকালে শৈলকুপা থানায় হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন:
রূপপুরে পড়ে গিয়ে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে দুই বাসের সংঘর্ষে নারীসহ ২ জন নিহত
কাদা খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব, ‘সন্ন্যাসীদের’ পিটুনিতে যুবক নিহত
ঝরে গেল হাসনাহেনা, মা শুধুই কাঁদছেন
গাছে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ২ যুবক নিহত

মন্তব্য

অনুসন্ধান
The sound of mortar shells is coming intermittently in Teknaf

টেকনাফে থেমে থেমে আসছে মর্টার শেলের শব্দ

টেকনাফে থেমে থেমে আসছে মর্টার শেলের শব্দ কক্সবাজারের টেকনাফের একটি এলাকা। ছবি: নিউজবাংলা
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, ‘মনে হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি এবং দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছে। এ কারণে সীমান্তে আগের তুলনায় এখন বিস্ফোরণের শব্দ বেশি শোনা যাচ্ছে।’

মিয়ানমারে সামরিক জান্তার বাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের চলমান লড়াইয়ের মধ্যে থেমে থেমে মর্টার শেলের শব্দ ভেসে আসছে সীমান্তবর্তী কক্সবাজারের টেকনাফে।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত উপজেলাটিতে মর্টার শেলের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

তাদের ভাষ্য, সীমান্তে বসবাসকারীদের জন্য নাফ নদী দিয়ে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া এবং টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ঈদের নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। তখন মিয়ানমারের ওপার থেকে ভারি বিস্ফোরণের শব্দ এপারে ভেসে আসে। এতে সীমান্তের বাড়িঘর কেঁপে ওঠে।

‘সারা দিন থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেলেও রাতে তা তীব্র হয়ে উঠে আরও। এখনও এ রকম চলতেছে। এপারের ভূখণ্ডে গোলা না পড়লেও ভূখণ্ড কাঁপছে ঠিকই।’

টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা মো. রফিক বলেন, ‘মনে হচ্ছে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি এবং দেশটির সরকারি বাহিনীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হচ্ছে। এ কারণে সীমান্তে আগের তুলনায় এখন বিস্ফোরণের শব্দ বেশি শোনা যাচ্ছে।

‘ঈদের দিন ও মধ্যরাতসহ এখনও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ওপার থেকে টেকনাফ সীমান্তে ভেসে আসছে।’

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাসহ মিয়ানমারের কোনো নাগরিক যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য আমাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীগুলো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।’

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সীমান্তবর্তী রাখাইনে তাদের অভ্যন্তরের অনেক দূরে গোলাগুলি চলছে। এ কারণে এপারে বিকট শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু আমাদের সীমান্তবর্তী লোকজনের ভয়ের কোনো কারণ নেই। সীমান্তে বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
মিয়ানমারের ১৮০ সেনা ফিরে যাবে, তবে এখনই নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিন সপ্তাহ পর উদ্ধার টেকনাফে অপহৃত মাদ্রাসাছাত্র ছোয়াদ
৮০০ টাকার জন্য যুবককে গুলি করে হত্যা, দাবি পরিবারের
নওগাঁ সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
টেকনাফের অপহৃত চারজন ফিরেছেন ‘মুক্তিপণ দিয়ে’, এক কৃষকের খোঁজ নেই

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Former UP member injured in BSF firing in Lalmonirhat

লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত

লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন গুলিবিদ্ধ সাইফুল ইসলাম নান্নু। ছবি: নিউজবাংলা
ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু পাচার করতে সন্ধ্যার পর তালুক দুলালী বড় মালদি সীমান্ত এলাকার ২১ নম্বর পিলার সংলগ্ন কাঁটাতারের বেড়ার পাশে যান গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম নান্নুসহ কয়েকজন। এ সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়লে সাইফুল ইসলাম নান্নু গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন।

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে উপজেলার লোহাকুচি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সাইফুল ইসলাম নান্নু নামের সাবেক এক ইউপি সদস্য আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী বড় মালদি এলাকায় অবস্থিত ২১ নম্বর পিলার সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত ৯টার দিকে আহত সাইফুল ইসলামকে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান বিজিবির সদস্যরা।

এলাকাবাসী জানান, ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গরু পাচার করতে সন্ধ্যার পর তালুক দুলালী বড় মালদি সীমান্ত এলাকার ২১ নম্বর পিলার সংলগ্ন কাঁটাতারের বেড়ার পাশে যান গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম নান্নুসহ কয়েকজন। এ সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়লে সাইফুল ইসলাম নান্নু গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার সঙ্গে থাকা সঙ্গীরা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় লোহাকুচি বিজিবি ক্যাম্পের টহল দলকে খবর দিলে তারা আহত সাইফুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

৪৮ বছর বয়সী সাইফুল ইসলাম নান্নু তালুক দুলালী গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ভেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য।

এ বিষয়ে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক বিক্রম চন্দ্র বলেন, ‘আহত সাইফুল ইসলাম নান্নুকে পিঠের নিচে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসে বিজিবি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।’

বিজিবি লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ‘সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। তবে নাম ঠিকানা এখনও জানতে পারিনি।’

আরও পড়ুন:
অভয়নগরে গুলিতে ৩ আওয়ামী লীগ নেতা আহত
সাইফুলের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের রাবার বুলেটে দুই বাংলাদেশি আহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, দুজন আহত
যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

মন্তব্য

অনুসন্ধান
40 gold bars arrested from Maheshpur border 2

মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ আটক ২

মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ আটক ২ ছবি: নিউজবাংলা
আটককৃত স্বর্ণের ওজন ৪ কেজি ৬৩৩ গ্রাম বলে জানান ৫৮ বিজিবি মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সালাহউদ্দিন চৌধুরী।

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৪০টি স্বর্ণের বারসহ দুজনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ভারত সীমান্তবর্তী পলিয়ানপুর সীমান্তের ছয়ঘরিয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন- মহেশপুর উপজেলার ছয়ঘরিয়া গ্রামের ৫৩ বছর বয়সী মো. জসিম উদ্দিন ও ৪০ বছর বয়সী মো. হুমায়ন কবির।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ৫৮ বিজিবি মহেশপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচএম সালাহউদ্দিন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করে বিজিবি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ছয়ঘরিয়া নামক স্থানে মহেশপুর থেকে সীমান্তের দিকে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলের গতিরোধ করা হয়।

তিনি জানান, ওই দুই ব্যক্তির শরীর তল্লাশি করে ৪০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। আটককৃত স্বর্ণের ওজন ৪ কেজি ৬৩৩ গ্রাম বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় জসিম উদ্দিন ও হুমায়ন কবির নামের ওই দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দিয়ে আসামিদের মহেশপুর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
পায়ুপথে স্বর্ণের ৬ বার, একজন আটক

মন্তব্য

অনুসন্ধান
The causes of the Faridpur accident were known

ফরিদপুরের দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানা গেল

ফরিদপুরের দুর্ঘটনার যেসব কারণ জানা গেল অতিরিক্ত গতি থাকায় সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় যানবাহন দুটির সামনের অংশ। ছবি: নিউজবাংলা
সরেজমিনে ঘুরে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছে নিউজবাংলা। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, মহাসড়কে উল্টো লেনে গাড়ি চালানো ও এবড়ো খেবড়ো সড়কের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

ফরিদপুরের কানাইপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। দুর্ঘটনায় এক পরিবারের চার সদস্যসহ মোট ১৪ জন নিহত হয়েছেন। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন আরও দুজন।

মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরের দিগনগর তেঁতুলতলায় ঢাকা থেকে মাগুরা অভিমুখী ইউনিক পরিবহনের একটি বাস ও পিকআপের সংঘর্ষে সড়কেই ঝরে পড়ে ১১ প্রাণ। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও তিনজনের মৃত্যু হয়।

দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার।

তবে সরেজমিনে ঘুরে প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনার বেশ কয়েকটি কারণ খুঁজে পেয়েছে নিউজবাংলা। অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো, মহাসড়কে উল্টো লেনে গাড়ি চালানো ও এবড়ো খেবড়ো সড়কের কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। ফরিদপুর পুলিশ সুপার, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার ও স্থানীয়দের দাবি অন্তত তা-ই।

দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোর্শেদ আলম বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও পিকআপ দুটিরই অতিরিক্ত গতি ছিল। আর পিকআপচালক তার নির্দিষ্ট লেন ছেড়ে বিপরীত লেনে চলে আসেন। এ কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘বাসের চালক ফিট ছিলেন কি না, পিকআপটির চালকের লাইসেন্স ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার সুবাস বাড়ৈ বলেন, ‘গাড়িটি (বাস) ওভার স্পিডে (অতিরিক্ত গতি) চলছিল। এ কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটে।’

দুর্ঘটনাস্থলের পাশেই শেখ লিমনের বাড়ি। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এখানে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কিছু বিট ও তার পাশে গর্ত আছে, রাস্তাও এবড়ো থেবড়ো। ঈদের আগেও এখানে বিশ-বাইশটি ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। সকালে ওই বিটের কাছেই দুর্ঘটনা ঘটে।’

দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার জানান, নিহতদের দাফনের জন্য নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়েছে। নিহতদের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের পরবর্তীতে ৫ লাখ এবং গুরুতর আহতদের ৩ লাখ টাকা করে প্রদান করা হবে।

আরও পড়ুন:
ফরিদপুরে পিকআপে বাসের ধাক্কায় নিহত ১৩

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Clash between Jubo League leader and councilor group in Natore kills 1

নাটোরে যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১

নাটোরে যুবলীগ নেতা ও কাউন্সিলর গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১ নাটোর পৌর কার্যালয় চত্বরে মঙ্গলবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।সিহাব হোসেন শিশির (ডানে)। ছবি: নিউজবাংলা
ঠিকাদারির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষের এই ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান হিরু এবং একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসুকে আটক করা হয়েছে।

ঠিকাদারি কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে নাটোর পৌরসভা চত্বরে যুবলীগ নেতা হাসানুর রহমান হাসু ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরু গ্রুপের সংঘর্ষে সিহাব হোসেন শিশির নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ সময় হাসানুর রহমান হাসু আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষ ও নিহত হওয়ার এই ঘটনায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান হিরু এবং একই ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসুকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে এই সংঘর্ষ হয়। নিহত সিহাব হোসেন শিশির শহরের মল্লিকহাটি মহল্লার মোজাহার আলীর ছেলে ও কাউন্সিলর হিরুর সমর্থক।

নাটোরের পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, দুপুরে পৌরসভার দ্বিতীয় তলায় ঠিকাদারি কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কাউন্সিলর হিরু ও হাসুসহ দুই গ্রুপের কয়েকজনকে নিয়ে পৌর মেয়র উমা চৌধুরী আলোচনা করছিলেন। এ সময় পৌরসভা চত্বরে দুই গ্রুপের সমর্থকদের কথাকাটাকাটি শুরু হয়। হাসু গ্রুপের সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে শিশিরের গলায় আঘাত করে। স্থানীয়রা তাকে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রোকনুজ্জামান হিরু ও ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হাসানুর রহমান হাসুকে আটক করেছে। ঘটনায় জড়িত বাকিদের আটক করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Dr Yunus bail was extended till May 23
শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা

ড. ইউনূসের জামিন বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত

ড. ইউনূসের জামিন বাড়ল ২৩ মে পর্যন্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি
২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডিত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আগামী ২৩ মে পর্যন্ত জামিন বৃদ্ধি করে আদেশ দিয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল।

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম এ আউয়াল মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। খবর বাসসের

আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলমখান।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূস শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি জামিন চান। ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন এ আবেদন দাখিল করেন।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের করা এ মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ চারজনকে গত ১ জানুয়ারি ছয়মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালত। এ ছাড়া প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। রায় ঘোষণার পরপরই আপিল শর্তে ড. ইউনূসসহ চারজনকে এক মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয় আদালত।

২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করা হয়। গত বছরের ৬ জুন মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। গত বছরের ২২ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়, যা শেষ হয় ৯ নভেম্বর। গত ২৪ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, শ্রম আইন ২০০৬ ও শ্রম বিধিমালা ২০১৫ অনুযায়ী, গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক বা কর্মচারীদের শিক্ষানবিশকাল পার হলেও তাদের নিয়োগ স্থায়ী করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক বা কর্মচারীদের মজুরিসহ বার্ষিক ছুটি, ছুটি নগদায়ন ও ছুটির বিপরীতে নগদ অর্থ দেয়া হয়নি। গ্রামীণ টেলিকমে শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। লভ্যাংশের ৫ শতাংশের সমপরিমাণ অর্থ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী গঠিত বিলে জমা দেয়া হয়নি।

শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে গত ২৮ জানুয়ারি আপিল করেন ড. ইউনূসসহ চারজন। শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল এ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

আরও পড়ুন:
ড. ইউনূসের দণ্ড স্থগিতে ট্রাইব্যুনালের আদেশ বাতিল করেছে হাইকোর্ট
স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় নভোএয়ারের গাড়িচালক রিমান্ডে
নাটোরে ধর্ষণ মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন
দেশের বাইরে যেতে আদালতে ড. ইউনূসের আবেদন
আপিলের জন্য ৫৪ কোটি টাকা জমা দিলেন ড. ইউনূস

মন্তব্য

p
উপরে