সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবা সংস্থা ও বেসরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে মাঝেমধ্যেই হামলা চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে হ্যাকাররা। তারপর বিমান, বাস ও রেলের টিকিট থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্য ও পণ্যসামগ্রীর ই-ভাউচার হাতিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে ‘লোভনীয় ছাড়ে’ বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় দেশের অন্যতম চেইন সুপারশপ স্বপ্নের ওয়েবসাইট হ্যাক করে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদকারী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তারা বলছেন, হ্যাকার চক্রটির এই তিন সদস্য রিমান্ডে এসব তথ্য জানিয়েছেন। সারা দেশেই এ ধরনের বেশ কয়েকটি হ্যাকার চক্র সক্রিয় রয়েছে, যারা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করে নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে। তারপর সেসব ওয়েবসাইটের সার্ভারে ঢুকে ইচ্ছেমতো পণ্যের ই-ভাউচার, বিমান বা বাসের টিকিট হাতিয়ে নিয়ে ২৫-৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে বিক্রি করছে।
এসব চক্রের সঙ্গে ই-কমার্স বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত কি না, তাও তদন্ত করছে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
এই বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, সারা দেশে কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট আছে। এসব সাইটের অধিকাংশই আছে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে। যেসব সাইটের নিরাপত্তাব্যবস্থা দুর্বল, হ্যাকাররা সেগুলোতেই বেশি হামলা করে। তারপর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের অবৈধ কারবার চালায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের উপকমিশনার (ডিসি) আ ফ ম আল কিবরিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাজারমূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত ছাড়ে যারাই পণ্য কেনাবেচা করে, সবাই নজরদারির মধ্যে রয়েছে। কারণ অতিরিক্ত ছাড়ের পেছনে পণ্যটির উৎস নিয়ে সন্দেহ থাকে। এ জন্য ভোক্তাদের এসব পণ্য কেনার বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ওয়েবসাইট নিয়মিত আইটি অডিট ও ভিএপিটি করানো উচিত। এতে ওয়েবসাইট অনেকটাই নিরাপদ থাকে।’
দেশে গত কয়েক বছরে বেশ কিছু ই-কমার্স সাইট হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান অনলাইনেও অর্ডার নিয়ে পণ্য সরবরাহ করে আসছে। গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর অনলাইনে কেনাবেচা আরও বেড়েছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি অবিশ্বাস্য ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করছে। তবে টাকা নিয়েও পণ্য সরবরাহে বারবার সময় নেয়ার অভিযোগ আছে। তাদের ব্যবসার কৌশলও স্পষ্ট নয়। এ কারণে নানা সন্দেহ-সংশয় আছে মানুষের মধ্যে। এসব সন্দেহের সূত্র ধরে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ ই-কমার্স সাইটের বিজনেস কৌশল ও পণ্য সরবরাহকারীদের বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া শুরু করে।
এই বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সম্প্রতি সুপারশপ স্বপ্নের সিস্টেমে অভিনব কায়দায় হ্যাক করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে নওগাঁ থেকে নাসিমুল ইসলাম, গাইবান্ধা থেকে রেহানুর হাসান রাশেদ ও রাজধানীর মিরপুর থেকে রাইসুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের দুই দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা বাংলাদেশের অন্যতম সক্রিয় হ্যাকার গ্রুপের সদস্য। হ্যাকার গ্রুপটি স্বপ্ন-এর ডিজিটাল সিস্টেম হ্যাক করে ১৮ লাখ টাকা মূল্যের ডিজিটাল ভাউচার তৈরি ও ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর আগে ডিজিটাল সিস্টেম হ্যাক করার অভিযোগে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় একটি মামলা করে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ। মামলার তদন্তে নেমে স্বপ্নের সিস্টেম হ্যাকের একটি চক্রের সন্ধান পায় সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ।
এ বিষয়ে গত রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরেন সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ওয়েবসাইট হ্যাক করে টাকা আদায় করে আসছিল। চক্রের এই সদস্যরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট যেমন https://www.freelancer.com, https://xrosswork.com এবং বাংলাদেশি বেশ কয়েকটি ই-কমার্স সাইটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সিস্টেম সিকিউরিটি ব্রিচ করে ‘বাউন্টি’ দাবি করেছেন।
তারা প্রথম সারির বাংলাদেশি এয়ারলাইনস, প্রসিদ্ধ বাস কোম্পানি, ইলেকট্রনিক গেজেট চেইন আউটলেটসহ স্বনামধন্য অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল সিস্টেম হ্যাকের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের কথাও স্বীকার করেছেন। এই হ্যাকারদের কাছে সরকারি-বেসরকারি অনেক প্রতিষ্ঠানের সিস্টেমের ‘অ্যাকসেস’ রয়েছে বলে জানা গেছে।
সিটিটিসি জানায়, গত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে ডিজিটাল সিস্টেম থেকে ভাউচার তৈরি করে পণ্য বিক্রির বিষয়টি বুঝতে পারে স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ করলে সিটিটিসির সাইবার ইনভেস্টিগেটরদের একটি টিম স্বপ্ন সুপারশপের ডিজিটাল সিস্টেমের ফরেনসিক বিশ্লেষণ ও রিভার্স অ্যানালাইসিসসহ উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে হ্যাকার চক্রটির ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট শনাক্ত করে।
সিটিটিসির প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, চক্রের সদস্যরা স্বপ্নের ডিজিটাল সিস্টেম হ্যাক করে ১৮ লাখ টাকা মূল্যের ডিজিটাল ভাউচার ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ২৫ শতাংশ ছাড়ে কয়েকটি ই-কমার্স ইউজারের কাছে বিক্রি করে। এভাবে তারা জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাকাউন্টে জমা করে। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে জব্দ করা ডিজিটাল ডিভাইস থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা সমমূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়।
সাইবার ঝুঁকি এড়াতে করণীয়
সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা কর্মকর্তারা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানগুলোর সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা অটুট রাখতে নিয়মিত IT audit/ VAPT (Vulnerability Assessment and Penetration Testing) করতে হবে। কর্মীদের অসতর্কতার ফলে অনেক সময় সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়ে। তাই কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সাইবার নিরাপত্তাব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে অ্যাডভান্স সাইবার সিকিউরিটি প্রটোকল মেনে চলতে হবে, যেমন- End point Protection, উন্নত মানের ফায়ার ওয়াল ইন্সটল করা, ডাটাবেসের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, সর্বোপরি সাইবার সিকিউরিটি ইনফ্রাস্ট্রাকচারের স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন ফলো করা। সাইবার হামলা হলে সাইবার পুলিশকে অবহিত করলে যেমন প্রাইমারি ড্যামেজ কন্ট্রোল করা যায়, তেমনি ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা সম্ভব বলে জানান তারা।
যেভাবে হামলা চালায়
সিটিটিসির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, হ্যাকাররা একে অপরের সঙ্গে এনক্রিপ্টেড ইউজার আইডির মাধ্যমে যোগাযোগ করে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে সংঘবদ্ধ হামলা চালান। সংঘবদ্ধ হামলা করলেও তারা একে অপরের পরিচয় জানতে পারেন না। তারা ‘মাস্কিং’ করেন। প্রকৃত পরিচয় গোপন করে যোগাযোগ রক্ষা করেন। এ কারণে তারা পরস্পরের প্রকৃত নাম, পরিচয়, অবস্থান বা কোন দেশের নাগরিক বুঝতে পারেন না। ফলে দুয়েকজনকে ধরা গেলেও বাকিদের পরিচয়ই শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
‘বাগ বাউন্টি’ থেকে ‘খারাপ হ্যাকার’
সিটিটিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাকারদের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা তাদের রেপুটেশনের কারণে আমাদের জানান না। ফলে হামলার সঠিক তথ্যও উঠে আসে না। তবে পুলিশের নিজস্ব অনুসন্ধানে জানা গেছে, আমাদের দেশের বেশ কিছু দক্ষ হ্যাকার বাগ বাউন্টি করেন। কোনো ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ত্রুটি থাকলে তা শনাক্ত ও ঠিক করে দেন তারা।
‘তাদের কার্যক্রমকে পেনিট্রেশন টেস্টিং বা ইথিক্যাল হ্যাকিং বলা হয়। এ কাজের জন্য দেশ-বিদেশে পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে। এ কাজে অনেকেই যুক্ত থাকেন। তবে আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, এ ধরনের কাজ করতে করতেই অনেকে লোভে পড়েন বা না বুঝে অবৈধ হ্যাকিংয়ে জড়িয়ে পড়েন।’
পণ্য বিক্রি হয় ই-কমার্স সাইটের ফেসবুক গ্রুপে
সিটিটিসি বলছে, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্য অসংখ্য ই-কমার্স সাইটের বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ যেমন- ই-অরেঞ্জ কাস্টমার বা ইভ্যালির কাস্টমারদের ফেসবুক গ্রুপে কেনাবেচা হয়। এসব গ্রুপে লেনদেনের কোনটি বৈধ, কোনটি অবৈধ তা শনাক্ত করা কঠিন। কারণ সবাই ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করেন।
সিটি সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশনের সহকারী কমিশনার চাতক চাকমা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া সেবা বা পণ্য ই-কমার্স সাইটের ফেসবুক গ্রুপে বিক্রির বিষয়টি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এদের শনাক্ত করার সঙ্গে সঙ্গেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’
তিনি জানান, হ্যাকার চক্রটির গ্রেপ্তার তিন সদস্যকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদের আকস্মিক পদত্যাগ নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
পোস্টে সৈয়দ জামিলের কাজের দক্ষতার প্রশংসা করলেও নাটকীয় পদত্যাগ নিয়ে তিনি ডাহা মিথ্যাচার করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন এ উপদেষ্টা।
নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে শনিবার বেলা একটার দিকে একটি পোস্টে ফারুকী এমন অভিযোগ করেন।
ফারুকী বলেন, ‘সৈয়দ জামিল আহমেদের কাজের একজন গুণমুগ্ধ আমি। সম্ভবত উনার কাজ নিয়ে বাংলাদেশে কোনো পত্রিকায় ছাপা হওয়া সবচেয়ে বিস্তারিত লেখাটা আমি লিখেছিলাম যায় যায় দিনের এন্টারটেইনমেন্ট ম্যাগাজিন মৌচাকে ঢিলের জন্য। এর পরেও বাংলা, ইংরেজি অনেক কাগজে লিখেছি।
‘এখনও আমি তাকে বাংলাদেশের থিয়েটারের সবচেয়ে মেধাবী নির্দেশক মনে করি। কয়দিন আগেও জামিল আহমেদের সামনেই একজন বিদেশি রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করেছি উনাকে দিয়ে তাদের দেশে একটা থিয়েটার প্রোডাকশন করাতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু ভালো শিল্পী হওয়া আর আমলাতন্ত্রকে কনফিডেন্সে নিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানো দুইটা দুই রকম আর্ট। দ্বিতীয় কাজটা করবার জন্য লাগে ধৈর্য এবং ম্যানেজারিয়াল ক্যাপাসিটি। কলিগদের বুলিং না করে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা দিয়ে অনেক কাজ আদায় করে নেওয়া যায়।
‘পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে গেলে যে কম্পোজার লাগে, সেটার সাথে কোনো একটা থিয়েটার দলে নির্দেশনা দেওয়ার টেম্পারামেন্ট এক না। আমার ফিল্ম ইউনিটে আমি যা করতে পারি, একটা সরকারি প্রতিষ্ঠানে আমি তা করতে পারি না।’
এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি জামিল ভাইয়ের নাটকীয় পদত্যাগ নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিলাম না। কারণ তাতে আমাকে এমন কিছু রেফারেন্স টানতে হবে যেটা তার জন্য অস্বস্তিকর হবে। আমি চাচ্ছিলাম না কারণ আমি তাকে শ্রদ্ধা করি। কিন্তু ফর রেকর্ডস আমাকে আসলে এগুলো বলতেই হবে। আজকে আমাদের অনেকগুলা কাজ আছে। এটা শেষ করে সময় পেলে লিখব।’
তিনি বলেন, ‘শুধু এইটুকু আপাতত বলে রাখি উনার বলা অনেকগুলা কথা পুরো সত্য নয়, অনেকগুলা কথা ডাহা মিথ্যা এবং কিছু কথা পরিস্থিতি ডিল না করতে পারাজনিত হতাশা থেকে বের হয়ে আসা বলে মনে হচ্ছে। আমার বিস্তারিত লেখা হয়তো উনাকে বিব্রত করতে পারে। কিন্তু আমাকে আপনি এমন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন, যেখানে আমাকে বিব্রতকর হলেও সত্য বলতে হবে, জামিল ভাই।’
আরও পড়ুন:নিজ স্বার্থে কোনো সরকার যেন ইন্টারনেট শাটডাউন করতে না পারে, সে জন্য বাংলাদেশে ইলন মাস্কের স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবা আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মঙ্গলবার এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
ফেসবুক পোস্টে প্রেস সচিব লিখেন, ‘ইলন মাস্কের স্টারলিংককে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো এবং চালু করার মূল কারণ হলো অনলাইন ব্যবসা চিরতরে বন্ধ করা।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে একাধিকবার ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভ দমন বা বিরোধীদের বড় কোনো আন্দোলন দমন করার জন্য ইন্টারনেট শাটডাউন স্বৈরশাসক ও স্বৈরাচারীদের একটি প্রিয় হাতিয়ার। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় কয়েক হাজার ফ্রিল্যান্সার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেউ কেউ তাদের চুক্তি এবং চাকরি চিরতরে হারান।
‘বাংলাদেশের বাজারে স্টারলিংকের আগমন মানে ভবিষ্যতের কোনো সরকার ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ করতে পারবে না। অন্তত বিপিও ফার্ম, কল সেন্টার এবং ফ্রিল্যান্সাররা নেট বন্ধ করার নতুন কোনো প্রচেষ্টায় কখনোই আঘাত পাবে না।’
আগামী ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে স্টারলিংক বাংলাদেশে চালু করার জন্য ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন:সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে গুজব ও উসকানিমূলক কনটেন্ট ছড়ানো বন্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।
এসব প্রচেষ্টা বর্তমান সামাজিক-রাজনৈতিক অস্থিরতা কমাতে এবং অর্থনীতিতে এর ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করে সংগঠনটি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে দেশি ও বিদেশি নানা উৎস থেকে যাচাইহীন ও উসকানিমূলক কনটেন্ট প্রচার হয়েছে। দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিতে এটি বড় ভূমিকা রেখেছে।
‘এর ফলে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এবং বিনিয়োগে বাধা সৃষ্টি হয়। ফলে অর্থনৈতিক উন্নতিও বাধাগ্রস্ত হয়েছে।’
মহিউদ্দিন বলেন, ‘প্রতিবেশী দেশগুলোর সংবাদমাধ্যম এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রবাসীসহ কিছু বিদেশি উৎস থেকে পাওয়া তথ্য প্রচারের উদ্দেশ্য ছিল উসকানি দেয়া এবং নাগরিকদের মধ্যে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দেয়া।’
দেশের ডিজিটাল ও সাইবার নিরাপত্তা আইন সংশোধনে এ সময়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের কনটেন্ট প্রচার বন্ধ করে জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।’
আরও পড়ুন:কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে বাংলাদেশে বন্ধ হওয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বুধবার ফের চালু হয়েছে।
গত ১৭ জুলাই রাত থেকে দেশে বন্ধ ছিল মোবাইল ইন্টারনেট। তখন থেকে বন্ধ হয়ে যায় ফেসবুকসহ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম।
মেটা ও টিকটকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বুধবার বৈঠক শেষে বিটিআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছিলেন, বিকেলের মধ্যে চালু হচ্ছে ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউব।
তার ওই বক্তব্যের পর দুপুর থেকেই ফেসবুক চালু হয় দেশে।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে দেশে জনপ্রিয় তিন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ফের চালু করা নিয়ে পলক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিছুটা সময়ের জন্য আসলে সাময়িকভাবে আমরা তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনার ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলাম বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে। আমরা সার্বিক বিবেচনা করে, আমাদের ফ্রিল্যান্সার, ই-কমার্স উদ্যোক্তা, আমাদের ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং হয়তো স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এগুলো এখন সাময়িকভাবে বন্ধ আছে, কিন্তু আমাদের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, গবেষক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কিন্তু তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে চায়।
‘সে ক্ষেত্রেও কিন্তু ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব—এই প্ল্যাটফর্ম বেশ প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম। এটা আমরা মনে করি। তো সাময়িকভাবে কিছু বিধিনিষেধ আমরা আরোপ করতে বাধ্য হয়েছিলাম, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমি আপনাদেরকে জানাতে চাচ্ছি যে, আজকে আমরা সেই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং বাংলাদেশে আমাদের সাইবার স্পেসে আমরা ফেসবুক, টিকটক এবং ইউটিউবের কার্যক্রম পরিচালনা করতে আর কোনো বাধা রাখছি না। এটা সম্পূর্ণভাবে সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন আমরা ওপেন করে দিচ্ছি।’
কখন থেকে প্ল্যাটফর্মগুলো চালু করা হবে, তা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এটা আমরা এখনই এই প্রেস কনফারেন্স শেষে আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি বিটিআরসিকে। হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। হয়তো এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। আশা করছি আজকে বিকেলের মধ্যে আমরা সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করে দিতে পারব।’
আরও পড়ুন:কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে বাংলাদেশে বন্ধ হওয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউব বিকেলের মধ্যে চালু হচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
মেটা ও টিকটকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে বিটিআরসি ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
দেশে জনপ্রিয় তিন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ফের চালু করা নিয়ে পলক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যে সকল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম কিছুটা সময়ের জন্য আসলে সাময়িকভাবে আমরা তাদের কর্মকাণ্ড পরিচালনার ব্যাপারে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিলাম বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পক্ষ থেকে। আমরা সার্বিক বিবেচনা করে, আমাদের ফ্রিল্যান্সার, ই-কমার্স উদ্যোক্তা, আমাদের ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং হয়তো স্কুল, কলেজ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এগুলো এখন সাময়িকভাবে বন্ধ আছে, কিন্তু আমাদের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, গবেষক বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে কিন্তু তারা শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে চায়।
‘সে ক্ষেত্রেও কিন্তু ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব—এই প্ল্যাটফর্ম বেশ প্রয়োজনীয় প্ল্যাটফর্ম। এটা আমরা মনে করি। তো সাময়িকভাবে কিছু বিধিনিষেধ আমরা আরোপ করতে বাধ্য হয়েছিলাম, তবে আনুষ্ঠানিকভাবে আমি আপনাদেরকে জানাতে চাচ্ছি যে, আজকে আমরা সেই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নিচ্ছি এবং বাংলাদেশে আমাদের সাইবার স্পেসে আমরা ফেসবুক, টিকটক এবং ইউটিউবের কার্যক্রম পরিচালনা করতে আর কোনো বাধা রাখছি না। এটা সম্পূর্ণভাবে সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন আমরা ওপেন করে দিচ্ছি।’
কখন থেকে প্ল্যাটফর্মগুলো চালু করা হবে, তা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা আমরা এখনই এই প্রেস কনফারেন্স শেষে আমরা নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছি বিটিআরসিকে। হয়তো কিছুটা সময় লাগবে। হয়তো এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টা সময় লাগবে। আশা করছি আজকে বিকেলের মধ্যে আমরা সবগুলো অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করে দিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখছি যে, এগুলো বিধিনিষেধ আরোপের ফলে ভিপিএন অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করে অনেক ব্যান্ডউইথ ট্রাফিক দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং সেটা একটা নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি। অপর দিকে আর্থিকভাবেও ক্ষতি। সবকিছু মিলিয়ে আমরা একটাই অনুরোধ করব আমাদের গণমাধ্যমের সাংবাদিক বন্ধুদের মাধ্যমে আমাদের দেশের সকল নাগরিকের কাছে যে, আপনারা কোনো মিথ্যা, গুজব, কোনো মিথ্যা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না।
‘আপনারা দয়া করে আমাদের যদি কোনো কর্মকাণ্ডে আপনারা ক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, আমাদের কোনো আচরণে বা কথায় যদি আপনারা মনঃক্ষুণ্ন হয়ে থাকেন, আপনারা আপনাদের মত প্রকাশ করবেন, সমালোচনা করবেন। সেই স্বাধীনতা আমাদের আছে বাংলাদেশে, কিন্তু কেউ আপনারা সহিংসতাকে উৎসাহ দেবেন না।’
আরও পড়ুন:সারা দেশে বাসাবাড়িতে আজ বুধবার রাত থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হবে। আর মোবাইল ডাটা ইন্টারনেট আগামী সপ্তাহের রোববার বা সোমবার চালু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমন তথ্য জানিয়েছেন।
বুধবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনের প্রধান সম্মেলন কক্ষে বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী।
ইন্টারনেট সেবা সম্পর্কিত সার্বিক বিষয়াবলী নিয়ে তিনি বলেন, ‘আজকে (বুধবার) রাত থেকে ব্রডব্যান্ড কানেক্টিভিটি বাড়ানো হবে। সারা দেশের বাসা-বাড়িতে আজ রাত থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড চালু হবে, যা আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আমরা পর্যবেক্ষণ করব।’
আগামী রবি বা সোমবার সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট চালু হতে পারে জানিয়ে পলক বলেন, ‘আমরা দৈনিক ৭০-৮০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছি। এছাড়া ফেসবুক ও ইউটিউব কোনোভাবেই বাংলাদেশের আইন মানছে না। এমনকি তারা তাদের নিজেদের পলিসিও মানছে না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ফেসবুক আমেরিকার কোম্পানি। তারা সে দেশের সরকারের আইন অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। কিন্তু আমাদের দেশের পলিসি মানে না। আমাদের সাইবার স্পেস ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে হলে দেশের আইন মেনে ফেসবুককে সোশ্যাল মিডিয়া চালাতে হবে। তারা (ফেসবুক) নিজেদের ব্যবসার কথা চিন্তা করে; কিন্তু বাংলাদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে না।’
প্রতিমন্ত্রী পলক আরও বলেন, ‘সহিংসতার বিষয়ে ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবকে চিঠি দেয়া হবে। তাদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশীয় উদ্যোক্তারা ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবের বিকল্প হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ তৈরি করলে আমরা সহযোগিতা করব।’
‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ’- শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে এমন একটি পোস্ট দেখা যেতে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ ও ব্যক্তিগত আইডিতে।
পোস্টগুলোতে বলা হয়, ‘ব্রেকিং নিউজ, গত ৪৮ ঘণ্টায় ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে।’
ফেসবুকে ব্যাপকভাবে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
তবে এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি জানায়, তদন্তে দেখা গেছে একের পর এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার এই অভিযোগ ভিত্তিহীন। নিখোঁজ হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করে পোস্ট করা হয়েছিল তাদের অনেককে পরে পাওয়া গেছে। আবার অনেককে পাওয়া গেলেও তা আর জানানো হয় না।
আদাবর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ধরনের কোনো তথ্য পাইনি।’
একই বক্তব্য দেন শাহবাগ থানার ওসি নূর আলম।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে এমন কোনো তথ্য ডিএমপির কাছে নেই।’
তিনি জানান, ৪ থেকে ৬ মে পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় বিভিন্নভাবে শিশু নিখোঁজের ঘটনায় বিভিন্ন থানায় ৩৩টি জিডি করা হয়েছে। জুন মাসের ৪ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টায় জিডি করা হয়েছে ৩৬টি। একইভাবে ৪ থেকে ৬ জুলাই ৭২ ঘণ্টায় ৩২টি জিডি করা হয়।
ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার হওয়া ‘৪৮ ঘণ্টায় ৩৫ শিশু নিখোঁজ হয়েছে’ এমন তথ্য সঠিক নয়। এছাড়া নিখোঁজ হওয়া শিশুদের পরবর্তীতে সন্ধান পাওয়া গেছে।”
আরও পড়ুন:
মন্তব্য