× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অনুসন্ধান
Piyasa mau caught in a dispute with her boyfriend
google_news print-icon

‘বয়ফ্রেন্ড’ নিয়ে বিবাদের জেরে ধরা পিয়াসা-মৌ!

বয়ফ্রেন্ড-নিয়ে-বিবাদের-জেরে-ধরা-পিয়াসা-মৌ
সম্প্রতি বারিধারা ও মোহাম্মদপুরে ডিবির অভিযানে আটক করা হয় কথিত মডেল পিয়াসা ও মৌকে। পরে তাদের বিরুদ্ধে আনা হয় একাধিক মামলা। এসব মামলায় রিমান্ডে আছেন তারা। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা এবং প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নিউজবাংলাকে জানান, একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সঙ্গে একটি ফ্যাশন হাউসের এমডির স্ত্রীর ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক রয়েছে। এই দুজনের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কথিত মডেল পিয়াসা-মৌসহ তাদের মতো অনেকেরই। গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে কিছুদিন আগে প্রভাবশালী এক নারীর সঙ্গে তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা হয় পিয়াসার।

কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে গ্রেপ্তারের নেপথ্যে রাজধানীর অভিজাত এলাকার ‘প্রভাবশালী’ নারীদের ‘বয়ফ্রেন্ডদের’ নিয়ে ব্ল্যাকমেইল ও তর্কাতর্কির তথ্য পেয়েছে নিউজবাংলা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে পিয়াসা-মৌ গ্রেপ্তার হওয়ার অল্প কয়েক দিন আগে পার্টির জন্য সংরক্ষিত গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে তাদের সঙ্গে তুমুল বাগ্‌বিতণ্ডা হয় ওই প্রভাবশালী নারীদের। এরই একপর্যায়ে তারা একে অপরের চুল ধরে টানাটানিও করেন।

তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য, মৌ ও এক প্রভাবশালী নারীর কথোপকথনের অডিও রেকর্ড এবং একটি ফ্যাশন হাউসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) স্ত্রীর বক্তব্যের সূত্র ধরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

গত ১ আগস্ট রাতে বারিধারা ও মোহাম্মদপুরে ডিবির অভিযানে আটক হন কথিত মডেল পিয়াসা ও মৌ। তাদের বিরুদ্ধে মামলায় বাসা থেকে ইয়াবা ও মদ উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে। তাদের আটকের পরই ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, এই দুজনের ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েছেন ধনাঢ্য অনেক ব্যক্তি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, তাদের ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়েছেন অনেক বড় ব্যবসায়ী, ঊর্ধ্বতন ব্যাংক কর্মকর্তা, ধনাঢ্য ব্যক্তি ও তাদের সন্তানেরা। তবে এখনও ভুক্তভোগীদের কেউ মামলা করেননি। কারণ হিসেবে তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ভুক্তভোগীদের অধিকাংশই সমাজে সম্মানিত অবস্থানে আছেন। তাদের অনেকে মৌখিক অভিযোগ করলেও ‘সম্মানহানির আশঙ্কায়’ মামলা করছেন না। জনসমক্ষে পরিচয় প্রকাশ হওয়ার ভয় পাচ্ছেন তারা।

‘বয়ফ্রেন্ড’ নিয়ে বিবাদের জেরে ধরা পিয়াসা-মৌ!
কথিত মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ। গত ১ আগস্ট মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে মৌয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে মদ, ইয়াবাসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নাম-পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা এবং ওই প্রভাবশালীদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নিউজবাংলাকে জানান, একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) সঙ্গে একটি ফ্যাশন হাউসের এমডির স্ত্রীর ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক রয়েছে। এই দুজনের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কথিত মডেল পিয়াসা-মৌসহ তাদের মতো অনেকেরই।

বিভিন্ন উপলক্ষে তারা বিভিন্ন বাসায় ও ক্লাবে পার্টি করতেন। সেখানে মদপানের পাশাপাশি মডেলদের দিয়ে নাচের আয়োজন থাকত। এসব পার্টিতে দেশের বড় বড় শিল্পপতি, ব্যবসায়ী ও সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা থাকতেন। পিয়াসা-মৌ সিন্ডিকেট এসব পার্টিতে বড় বড় ব্যবসায়ীকে টার্গেট করতেন। একান্তে সময় কাটাতেন এবং গোপনে সেই একান্ত সময়ের ছবি মোবাইলে বা অন্য কোনো মাধ্যমে ধারণ করতেন। পরে ওই ব্যবসায়ীদের পরিবারের সদস্য বা স্ত্রীদের কাছে ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে অর্থসহ নানা ধরনের অনৈতিক সুবিধা আদায় করতেন।

এসব পার্টিতে অংশগ্রহণকারী এক নারীর দুটি অডিও রেকর্ড পেয়েছে নিউজবাংলা। এতে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়ার ৪-৫ দিন আগে এক শিল্পপতির ছেলের গুলশানের পার্টির জন্য একটি ফ্ল্যাটে জড়ো হন পিয়াসা-মৌসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর স্ত্রী।

সেখানে উপস্থিত নারীরা তাদের ‘বয়ফ্রেন্ডদের’ প্রভাব-ক্ষমতা নিয়ে গল্প করছিলেন। গল্পের একপর্যায়ে পিয়াসার সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয় ফ্যাশন হাউসটির এমডির স্ত্রীর। এ নিয়ে তাদের মধ্যে চুলাচুলিও হয়।

ফ্যাশন হাউসটির ওই কর্মকর্তার স্ত্রী এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে অভিযোগ করেন বেসরকারি ওই ব্যাংকের এমডির কাছে। তিনি বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানিয়ে প্রতিকার চান। এরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর নজরদারিতে পড়েন পিয়াসা ও মৌ। তাদের বিভিন্ন কৃতকর্মের তথ্য পাওয়ার পরপরই অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১ আগস্ট ডিবি পুলিশের অভিযানের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মৌ দাবি করেন, একটি ফ্যাশন হাউসের এমডির স্ত্রীর সঙ্গে পিয়াসার ঝগড়ার জের ধরেই এ অভিযান। অভিযানের সময়ের একটি ভিডিও ক্লিপ পেয়েছে নিউজবাংলা। সেখানেও মৌ একই দাবি করেছেন।

মৌয়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে ফ্যাশন হাউসটির এমডির স্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘আমার ১৩-১৪ বছর আগে বিয়ে হয়। তার সঙ্গে ভালোই আছি। আমরা গুলশান-বনানীর অনেক সোসাইটি মেইনটেইন করি। আমাদের নামে আজ পর্যন্ত কোনো বাজে রেকর্ড ছড়ায়নি। কোনো স্ক্যান্ডাল বের হয়নি।

‘পিয়াসা কে? ওকে নিয়ে আমার নতুন করে কিছু বলার নাই। আর মৌ হচ্ছে সেই মেয়ে, যার চারটা বিয়ে হয়েছে, সবাই জানে। আর পিয়াসার বিষয়টা আপনারাই জানেন। আপন জুয়েলার্স বলেন, এশিয়ান টিভি বলেন।’

‘বয়ফ্রেন্ড’ নিয়ে বিবাদের জেরে ধরা পিয়াসা-মৌ!
গ্রেপ্তারের পর একাধিক মামলায় রিমান্ডে আছেন মডেল পিয়াসা। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা

এই নারী আরও বলেন, ‘মৌ অনেক মানুষের সঙ্গে ফাইজলামি করে কারও কাছ থেকে ৭০ লাখ টাকা নিছে, কারও কাছ থেকে নিয়েছে এক কোটি টাকা। তাদের কাছ থেকেই এটা জেনেছি। এ জন্যই ওরা ভয় পেয়েছিল। যে কারণে আমার নামটা অভিযানের সময় বলেছে। ওরা ভাবছে কাজটা আমি করেছি।

‘কিন্তু বিষয়টা তো এত সোজা না। ওদের ব্ল্যাকমেইলগুলো যখন আমি বুঝতে পেরেছি, তখন ওনাদের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছি। হয়তো এটা ঠিক যে, আমরা খারাপ পারসনদের চুজ করে কিছুটা ফ্রেন্ড রেখেছি, এটা আমরা স্বীকার করি।’

তিনি বলেন, ‘আমি তো ওদের অনেক কিছুই জেনে গেছি। ওদের বাসায় মাঝেমধ্যেই প্রোগ্রাম করেছি। সেখানে কিছু মডেল নিয়ে নাচগান করানো হতো। মদটদও থাকত। এগুলো তো কমপালসরি। এসব ঘটনায় আমি ওদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলাম। কারণ এগুলো কেন করবে? তাই না?’

পিয়াসার সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেখেন, তার বাসায় (শিল্পপতির ছেলে) অনেকেই যাই। তাই আমার নাম মেনশন না করাই বেটার। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে যাই। সেখানে পিয়াসা আমার সঙ্গে অনেক বাড়াবাড়ি করেছে।

‘এ ছাড়া তাকে তো আমার স্বামী পছন্দই করে না। ওপেনলি ও যখন, ওই যে... ভাইয়ারা ... পিয়াসাকে বনানী ক্লাবে আনত, তখন তো আমার স্বামী ডিরেক্টলি বলেছে, এসব মেয়ে ক্লাবে কী করে আসে? কারণ ওরা তো মেম্বার না। মেম্বারশিপ ছাড়া ওখানে ঢুকত। রং-তামাশা করত। আর পিয়াসার তো এই রকম একটা ছবিও আছে। আমি জানি না, আপনাদের কাছে আছে নাকি। ....ভাইয়ার সঙ্গে কিস করছে- এ রকম একটা ছবি আছে।’

এই নারী আরও বলেন, ‘এমনিতেই এগুলো বলতাম না। কারণ... ভাইয়াদের সঙ্গে, কী বলব আর? এগুলো বললে, আকাশের দিকে থুতু মারলে নিজের গায়ে পড়ে। মানে আমার জামাইরা তো তাদের ফ্রেন্ডস। সত্যি কথা বলতে একটু দ্বিধাই লাগে। তো আমি যখন এগুলা বুঝতে পেরেছি, ওর (পিয়াসা) এগুলার কারবার। মৌরা বিভিন্ন পার্টিটার্টিতে মডেলদের নাচতে দিত, আর বড় বড় যেগুলা বিগশট আছে, বড় বড় ব্যবসায়ী আছে, ওদের সঙ্গে এই রকম করত।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এইগুলার প্রতিবাদ করছি। ...ভাইয়ার বউয়ের সঙ্গে আমার ভালো খাতির। ....ভাইয়ার বউয়ের সঙ্গে আমাদের সবার ভালো খাতির। যখন দেখছে বউদেরকে, সবগুলাকে আমিই বলতাম গিয়ে, তো ক্ষেপবে না! আর তার মধ্যে পিয়াসা তো একজনের রক্ষিতা হিসেবেই আছে, তাকে সবাই চেনেন।

‘যার (পিয়াসা) নিজের বেতন ৫০ হাজার টাকা তিনি রাখেন বডিগার্ড! গত তিন-চার মাস ধরে রীতিমতো ওদের সঙ্গে আমার ঝগড়া হয়েছে। আজকে একটা সত্যি কথা বলি, দুই দিন আগেও পিয়াসার বাসায় একটা প্রোগ্রাম হয়েছে, সেখানে কারা কারা ছিলেন তাদের একটা ছবি আছে। শুধু আমরাই যাই নাই। কারণ আমরা সবাই জানি ওদের ঘরে কী হয়। এসব নিয়ে কেউ তো বলে না। সবাই চুপ থাকে। এ জন্যই ওরা সবাই আমাদের বিরুদ্ধে লেগেছে। এমডির সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে এসব কথা বলছে।’

পিয়াসা-মৌয়ের মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিআইডির জনসংযোগ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কারা, কীভাবে পিয়াসা-মৌ চক্রের ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন- সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইল ফোন, ছবি ও অডিও-ভিডিও ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষ হলেই বিষয়গুলো পরিষ্কার হবে।’

আরও পড়ুন:
‘পিয়াসা-পরীমনির বাসায় যাতায়াতকারীর তালিকা হয়নি’
পরীমনি-পিয়াসাদের বিরুদ্ধে ‘যৌন চাঁদাবাজির’ অভিযোগ
পিয়াসা-পরীমনির ‘ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার’ কারা?
তিন মামলায় পিয়াসা ৮ দিনের রিমান্ডে
রিমান্ডে পিয়াসার দুই সহযোগী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অনুসন্ধান
ACC operations at Sirajganj Government College on charges of irregularities

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে দুদকের অভিযান

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে দুদকের অভিযান

বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে জানতে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল।

সোমবার সকালে পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন কুমার সূত্রধরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আমিনুল ইসলামের কক্ষে প্রবেশ করেন। এসময় দুদকের প্রতিনিধি দলটি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চান ও বিভিন্ন কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করেন।

কলেজ সূত্র জানা যায়, পরিবহন খাত নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছিল। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত পরিবহন বাবদ অর্থ নেওয়া হলেও কলেজে বাস্তবে কোনো পরিবহন ক্রয় করা হয়নি। শিক্ষার্থীদের টাকা দিয়ে একটি হাইচ গাড়ি কিনলেও এ গাড়ি মূলত অধ্যক্ষ ও কিছু শিক্ষক ব্যবহার করেন এবং ওই গাড়ির ব্যয়ভার চাপানো হয় শিক্ষার্থীদের ওপর। শুধু পরিবহন খাত নয়, শিক্ষার্থী কল্যাণ তহবিল, খাদ্য বাবদ অতিরিক্ত ব্যয়, সরকারি বরাদ্দের অপব্যবহার এবং শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতি নিয়েও নানামুখী অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের একাংশ অভিযোগ করেন, ফি বাবদ যে অর্থ তোলা হয়, তার সঠিক ব্যবহার হয় না।

অভিযান পরিচালনাকালে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন কুমার সূত্রধর জানান, দুদকের প্রধান কার্যালয়ের অনুমতির প্রেক্ষিতে আজকে এখানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা পরিবহন খাতের লগবুক পরীক্ষা করছি। কোথাও শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের প্রমাণ নেই। বরং শুধু অধ্যক্ষ ও শিক্ষকরা ব্যবহার করেছেন এবং অস্বাভাবিক খরচ দেখানো হয়েছে। এছাড়া অভিযানে প্রাথমিকভাবে কিছু অনিয়ম-দুর্নীতি পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর পাঠানো হবে। এরপর সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম বলেন, দূর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে চেয়েছে আমরা তাদেরকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছি। আমি কোন অনিয়ম দুর্নীতি করি নাই।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Bill of Naogaon Bill

নওগাঁয় বিলের বুকে ব্যতিক্রমী আয়োজন

নওগাঁয় বিলের বুকে ব্যতিক্রমী আয়োজন

নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী গুটারবিলে সোমবার বিকালে এক ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হলো মাছের পোনা অবমুক্তকরণ ও মৎস্যজীবী সমাবেশ।

বিলের মাঝে ভাসমান মঞ্চ স্থাপন করে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের শতাধিক মৎস্যজীবী।

হাঁসাইগাড়ী, শৈলগাছী, শিকারপুর ও দুবলহাটি ইউনিয়নের মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে মাছের পোনা অবমুক্ত করার পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম ধলু। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আজম ভিপি রানা, যুবদলের সদস্য সচিব রুহুল আমিন মুক্তার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জালাল হোসেন শাহানা প্রমুখ।

প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ধলু বলেন, ‘দেশের প্রাণিজসম্পদ রক্ষা এবং মাছের উৎপাদন বাড়াতে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ একটি কার্যকর ও সময়োপযোগী উদ্যোগ। পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জীবনমান উন্নয়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’

পরে অতিথিরা গুটারবিলের পানিতে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ অবমুক্ত করেন।

আয়োজকরা জানান, এ ধরনের কর্মসূচি শুধু প্রাণিজ সম্পদ সংরক্ষণে নয়, বরং মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক জলাশয়ের সুরক্ষা এবং মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠিত হয় আনন্দঘন সাংস্কৃতিক পর্ব। দর্শকদের মনোরঞ্জনের জন্য আয়োজন করা হয় গ্রামীণ জনপ্রিয় খেলা হাঁস ধরা, নৌকাবাইচ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দিনব্যাপী এ আয়োজন প্রাণ পায় স্থানীয় জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে।

এ উদ্যোগকে স্থানীয়রা স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত হলে মৎস্যজীবীদের মধ্যে উৎসাহ বাড়বে এবং বিল ও জলাশয়ের প্রাকৃতিক সম্পদও সুরক্ষিত থাকবে।’

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Last minute preparations are underway in Jhenaidah on the occasion of Durga Puja

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঝিনাইদহের ৪৫৫টি মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

দুর্গাপূজা উপলক্ষে ঝিনাইদহের ৪৫৫টি মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

এগিয়ে আসছে শারদীয় দুর্গাপূজা। উৎসবের আমেজে ভরে ওঠেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিটি উঠোন। জেলার পূজা মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে পুরোদমে। এ বছর জেলায় ৪৫৫টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। পূজা উদযাপনকে নির্বিঘ্ন করতে তৎপর রয়েছে জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব কয়টি ইউনিট।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলার বিভিন্ন এলাকায় মোট ৪৫৫টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১০৯টি, কালীগঞ্জে ১০১টি, কোটচাঁদপুরে ৪৬টি, শৈলকূপায় ১২৫টি, হরিণাকুণ্ডুতে ২৭টি ও মহেশপুর উপজেলায় ৪৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে।

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সার্বিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তৎপরতা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে মতবিনিময়, পূজা উদযাপন কমিটির নেতাদের সঙ্গে একের পর এক সভা করছেন জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তাদের প্রতিনিধিরা মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মহল্লায় মহল্লায় দলীয় কর্মীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলা শহরের ব্যাপারীপাড়া জোড়াপুকুর সংলগ্ন সার্বজনীন মন্দির, কেন্দ্রীয় বারোয়ারি মন্দির ও চাকলাপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে প্রতিমার সাজসজ্জার কাজ।

প্রতীমা তৈরি ও সাজসজ্জার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা। কারিগরদের সাথে কথা বলে জানা যায়, যথাসময়ে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হবে। নির্ধারিত সময়ের আগেই দুর্গা দেবীর আরাধনার জন্য মণ্ডপগুলো প্রস্তুত করা হবে।

শহরের চাকলাপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি রনজিৎ শাখারী একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর মতো এবারও আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। পূজা উপলক্ষে দারুণ উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।’

সদর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা মালা রাণী একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতি বছর আমাদের গ্রামে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়। এবারও প্রস্তুতি শেষের দিকে। এখন সবাই মিলেমিশে আনন্দের সঙ্গে প্রতিমা তৈরি ও মণ্ডপের সাজসজ্জার কাজ করছে।’

জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক চন্দন একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলার মণ্ডপগুলোতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বড় রাজনৈতিক দলগুলো আমাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ। প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন করতে পারব বলে আশা করছি।’

তিনি বলেন, র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা পূজার আয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করছেন। বিশেষ করে, গণমাধ্যমকর্মীরা মণ্ডপে মণ্ডপে ঘোরছেন। আমাদের সঙ্গে তারাও এই পূজা নির্বিঘ্ন করতে কাজ করে যাচ্ছেন।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া একটি গণমাধ্যমকে বলেন, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা ও সাইবার টিমসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল ইউনিট জেলাব্যাপী কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এ বছর শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্ন করতে সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এখন মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা তৈরির কাজ চলমান। পূজা চলাকালীন সকল মণ্ডপে পুলিশের কঠোর নজরদারি রাখা হবে। গত বছর ঝিনাইদহে শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে। এ বছর নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
In Joypurhat more than 500 poor patients are free of charge

জয়পুরহাটে ৬ শতাধিক হতদরিদ্র রোগীকে বিনা মূল্যে চক্ষুসেবা

জয়পুরহাটে ৬ শতাধিক হতদরিদ্র রোগীকে বিনা মূল্যে চক্ষুসেবা

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ৬ শতাধিক হতদরিদ্র রোগীকে বিনা মূল্যে চক্ষুসেবা দেওয়া হয়েছে। সোমবার দিনব্যাপী ব্র্যাক মাইক্রোফিন্যান্স কর্মসূচির উদ্যোগে এই চক্ষু ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

ক্যাম্পে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে ওষুধ, চশমা ও ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়। এছাড়া ক্যাম্প থেকে শতাধিক রোগী বাছাই করে বগুড়ায় গাক চক্ষু হাসপাতালে বিনা খরচে ছানি অপারেশন করা হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ক্ষেতলাল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. আলী হোসেন শাহ, বগুড়া ব্র্যাক ডিভিশনাল কোঅর্ডিনেটর লিড জেনারেশন মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী, জয়পুরহাট জেলা সমন্বয়কারী আরিফুল ইসলাম, এলাকা ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম ও বগুড়া রিজিওনাল কোঅর্ডিনেটর লিড জেনারেশন হাসান উল কবিরসহ বিভিন্ন ডাক্তার ও নার্সরা।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Dispute over land journalists mother in law injured in an opponents attack

জমি নিয়ে বিরোধ: প্রতিপক্ষের হামলায় সাংবাদিকের মা-ভাই আহত

জমি নিয়ে বিরোধ: প্রতিপক্ষের হামলায় সাংবাদিকের মা-ভাই আহত

মানিকগঞ্জের সিংগাইরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মা-ছেলেকে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে।

সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ব্রি-কালিয়াকৈর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্য ও সাংবাদিক আজিজুল হাকিম সিংগাইর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

আহত নান্ন মিয়া ও সম্পি বেগমকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে আজিজুল হাকিমের পরিবারের সাথে চাচাতো ভাইয়ের বউ মধুমালার বিরোধ চলছিল। এরই জেরে সোমবার সকালে মধুমালা বেগম, তার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার, বোন রংমালা আক্তার, বোন জামাই মবজেল ও মধুমালার বাবা তোতা মিয়াসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও কয়েকজন বাঁশের লাঠি নিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপর অভিযুক্তরা ঘরে ঢুকে গালিগালাজ করতে থাকে। এ সময় ভুক্তভোগীর ভাই নান্ন মিয়া প্রতিবাদ করলে তাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। হামলার সময় তাদের মা সম্পি বেগম বাধা দিতে গেলে তাকেও কিল-ঘুষি ও চড়-থাপ্পড় মেরে জখম করা হয়। পরে তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম জানান, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Jamuna fertilizer factory is being wasted for about 20 months

প্রায় ২০ মাস ধরে বন্ধ যমুনা সার কারখানা, নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ

প্রায় ২০ মাস ধরে বন্ধ যমুনা সার কারখানা, নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ

গ্যাস সংকটে প্রায় ২০ মাস ধরে উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়ে আছে জামালপুরের সরিষাবাড়ীর তারাকান্দিতে অবস্থিত ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। এতে প্রতিদিন লোকসান হচ্ছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। কারখানা বন্ধ থাকায় মরিচা ধরে নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রাংশ। চলতি আমন মৌসুমে ইউরিয়া সার সংকটের আশঙ্কা করছে কৃষকরা। দীর্ঘদিন ধরে কারখানা বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে কারখানার সাথে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক পরিবার।

কারখানা সুত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালে তারাকান্দি এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় যমুনা সার কারখানা। এ কারখানাটি বাংলাদেশ রাসায়নিক শিল্প সংস্থা নিয়ন্ত্রণাধীন এবং কেপিআই-১ মানসম্পন্ন সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদনের জন্য দৈনিক ৪২-৪৩ পিএসআই গ্যাসের প্রয়োজন হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই দৈনিক ১ হাজার ৭০০ টন সার উৎপাদন করছিল কারখানাটি। কিন্তু গ্যাসের চাপ স্বল্পতা ও বিভিন্ন ত্রুটির কারণে উৎপাদন কমে ১ হাজার ২০০ টনে নেমে আসে। জামালপুর, শেরপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল ও উত্তরাঞ্চলের রাজবাড়ী ও উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলাসহ প্রায় ২০টি জেলার আড়াই হাজার ডিলারের মাধ্যমে যমুনার সার সরবরাহ করা হয়।

গত ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে তিতাস গ্যাসের চাপ কমিয়ে দেওয়ায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এতে বেকার হয়ে পড়েন কারখানাসংশ্লিষ্ট শ্রমিক, কর্মচারী, পরিবহনের চালক, হেলপার, কারখানার আশপাশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, হোটেল মালিকরা। দীর্ঘ ১৩ মাস পর ২০২৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গ্যাস সংযোগ পেয়ে পুনরায় উৎপাদনে ফিরে কারখানাটি। উৎপাদন শুরুর ৪ দিনের মাথায় ২৬ ফেব্রুয়ারি গত বুধবার রাত ৭টার পর অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ায় ফের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকেই বন্ধ রয়েছে বৃহৎ এ কারখানাটি। দীর্ঘ ২০ মাস ধরে বন্ধ থাকায় প্রতিদিন সাড়ে ৩ কোটি টাকা হারে লোকসান হচ্ছে বলেও জানা যায়। দীর্ঘদিন উৎপাদন বন্ধ থাকায় সার সংকট হওয়ার আশঙ্কা করছে কৃষকরা। দ্রুত গ্যাস সংযোগ দিয়ে বৃহৎ এ শিল্প কারখানাটি সচল রাখতে না পারলে পুরোপুরি নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানান কারখানা কর্তৃপক্ষ।

এদিকে গত ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান যমুনা সার কারখানা পরিদর্শন করতে আসেন। এ সময় স্থানীয় শ্রমিক, ডিলার ও ব্যবসায়ীরা গ্যাস সংযোগের দাবিতে মানববন্ধন করেন। পরে দ্রুত গ্যাস সংযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেন বিসিআইসির চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান।

কারখানার দৈনিক মজুরিভিত্তিক একাধিক শ্রমিক, ট্রাক পরিবহন শ্রমিকসহ একাধিক শ্রমিক বলেন, কারখানার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৫ শতাধিক ট্রাক, ট্যাংক ও লড়ি পরিবহন রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে কারখানা বন্ধ থাকায় আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। কারখানা এভাবে বন্ধ থাকলে এক সময় চিনি ও পাটশিল্পের মতো এ শিল্পও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

এ বিষয়ে যমুনা সারকারখানা শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম তালুকদার বলেন, আমরা কারখানাটি চালুর বিষয়ে ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদের জানিয়েছে অতি তারাতাড়ি গ্যাস সংযোগ দেবে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অনুপ সিংহ বলেন, ‘যমুনার সারের গুণগত মান ভালো। যমুনার সার জমিতে ব্যবহারের ফলে ফসল বৃদ্ধি পায় ও উৎপাদন ভালো হয়। গাছও সতেজ থাকে। আমদানি করা ও অন্য কারখানার সারগুলোর গুণগত মান ভালো না। আমদানিতকৃত সারগুলো দীর্ঘদিন ধরে কারখানায় মজুত করে রাখায় জমাট বেধে শক্ত হয়ে যায়। ফলে এটি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। যমুনা সার কারখানাটি চালু করা অতি প্রয়োজন।’

এ বিষয়ে যমুনা সার কারখানার জিএম (প্রশাসন) মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গ্যাস সংকটের কারণে আমাদের কারখানাটি এখনো বন্ধ রয়েছে। তবে আমরা আশ্বাস পেয়েছি যে আগামী মাস নাগাদ যমুনা সার কারখানায় গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। গ্যাস সংযোগ পেলে আমরা পুনরায় পুরোদমে উৎপাদনে ফিরতে পারব।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
In Madaripur Deputy Commissioner Deleted Yasmin Akhter was appointed as Joint Secretary and notification of the Ministry of Public Administration

মাদারীপুরে জেলা প্রশাসক মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার-কে যুগ্ম-সচিব পদে পদায়ন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন

মাদারীপুরে জেলা প্রশাসক মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার-কে যুগ্ম-সচিব পদে পদায়ন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের (উনি শাখা-২) ১৫/৯/'২৫ ইং তারিখের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার (১৫৭২৮)-কে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম এর স্বাক্ষরিত চিঠি মোতাবেক তার বর্তমান দায়িত্ব থেকে পদায়ন করে যুগ্ম-সচিব পদে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যান বিভাগে বদলী করা হয়েছে। জনস্বার্থে জারিকৃত উক্ত আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

জুলাই-আগষ্ট/'২৪ এর গণ-অভ্যুত্থানের পরে তাকে মাদারীপুরর ডিসি হিসাবে পদায়ন করা হয়েছিলো।মাদারীপুরে যোগদানের পর থেকে তিনি সুনামের সাথে তার নিজ দায়িত্ব পালন করে মাদারীপুরবাসির মধ্যে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। সরকারী দায়িত্বের পাশাপাশি অফিস টাইমের পরেও তাকে অনেক সময় কাজ করতে দেখা গেছে। তার কাছে অফিস ও জনসমস্যা সংক্রান্ত যে কোনো কাজ নিয়ে মাদারীপুরের যে কেউ গেলে তিনি তা অধীর আগ্রহে শুনতেন, ব্যবস্থা নিতেন। তার সততা, নিষ্ঠা ও কর্তব্য পরায়ণতাকে মানুষ পজিটিভ চোখে দেখেছে, অনেকে মনে করছেন যে, মাদারীপুরবাসি একজন অত্যন্ত দক্ষ, কর্মনিষ্ঠ ও জনবান্ধব ডিসিকে হারালো।

মন্তব্য

p
উপরে