× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অনুসন্ধান
ডাক্তার প্যাথলজিস্ট ছাড়াই টেস্ট রিপোর্ট
google_news print-icon

ডাক্তার-প্যাথলজিস্ট ছাড়াই টেস্ট রিপোর্ট

ডাক্তার-প্যাথলজিস্ট-ছাড়াই-টেস্ট-রিপোর্ট
রোগীদের সঙ্গে নানা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে রাজধানীর পান্থপথের হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। ছবি: নিউজবাংলা
নিউজবাংলার তিন মাসের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে শামীম আহম্মদ নামে এক লোক হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে বসেন পান্থপথে, যার আসলে চিকিৎসা পেশায় কোনো অভিজ্ঞতাই নেই। ভুঁইফোঁড় এই প্রতিষ্ঠানটি এমন সব দম্পতিকে টার্গেট করে, যাদের অনেক দিনেও সন্তান হয়নি।

নেই ডাক্তার, নেই প্যাথলজিস্ট। এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সও নেই। তবু দেদার দিয়ে যাচ্ছে প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট, যা বিশ্বাস করে প্রতারিত হচ্ছেন সন্তানের জন্য পাগলপ্রায় অনেকে।

রাজধানীর পান্থপথ মোড়ের গাজী টাওয়ারের চতুর্থ তলায় অবস্থিত হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার বেশ কয়েক মাস ধরে এমন প্রতারণা করে আসছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীদের সঙ্গে।

বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত তিন মাস অনুসন্ধান চালিয়েছে নিউজবাংলা।

অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে শামীম আহম্মদ নামে এক লোক হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে বসেন পান্থপথে, যার আসলে চিকিৎসা পেশায় কোনো অভিজ্ঞতাই নেই।

ভুঁইফোঁড় এই প্রতিষ্ঠানটি এমন সব দম্পতিকে টার্গেট করে, যাদের অনেক দিনেও সন্তান হয়নি। এরপর তাদের আসলে কী কী সমস্যা রয়েছে, সেসব পরীক্ষার জন্য নমুনা নেয়। প্রতিটি নমুনা পরীক্ষার জন্য রয়েছে আলাদা ফি। সিমেন অ্যানালাইসিসের ফি এক হাজার টাকা।

অধিকাংশ রোগীই এই পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। তবে কোনো ধরনের পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আবার এই টেস্ট রিপোর্টও দেয়া হচ্ছে গ্রিন রোডেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নামে, যেটি গত বছর থেকে বন্ধ রয়েছে।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ মাস আগে চালু হলেও এখনো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্সই পায়নি তাদের কর্যক্রম চালানোর জন্য।

ভুক্তভোগীদের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ রুবেল হোসেন। থাকেন রাজধানীর বসিলা এলাকায়। পাঁচ বছর আগে বিয়ে করলেও তাদের কোনো সন্তান হয়নি।

ডাক্তার-প্যাথলজিস্ট ছাড়াই টেস্ট রিপোর্ট
ভুক্তভোগী রুবেল হোসেনের টেস্ট রিপোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

নিউজবাংলাকে রুবেল জানান, কয়েক বছর ধরে একটি সন্তানের আশায় সামর্থ্য অনুযায়ী সব ধরনের চেষ্টাই করেছেন তিনি। এ-ডাক্তার থেকে ও-ডাক্তারের কাছে গেছেন। তারা একেকজন একেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেসব পরীক্ষা করে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলেও সন্তানের মুখ দেখতে পাননি তিনি।

এরই এক পর্যায়ে এক ডাক্তারের পরামর্শে রুবেল তার সিমেন পরীক্ষার জন্য গত ২৪ মার্চ সকালে গ্রিন রোডের হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান।

সকাল ১০টায় টেস্টের জন্য সিমেন দেন রুবেল। তাকে বলা হয় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে। দুপুর ১২টার মধ্যেই তাকে রিপোর্ট দিয়ে দেন রিসিপশনিস্ট। কিন্তু রিপোর্ট দেখেই চমকে যান তিনি।

নিউজবাংলাকে রুবেল বলেন, ‘টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেয়েই আমার সন্দেহ হয়। কারণ আমি যেখানে টেস্ট করতে গেলাম, সেই প্রতিষ্ঠানের নাম হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। কিন্তু টেস্টের রিপোর্টের ওপরে লেখা আছে গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টার। তার মানে রিপোর্টটি হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের না।

‘আমার মনে আরও প্রশ্ন দেখা দিল, মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই আরেক জায়গা থেকে কীভাবে রিপোর্ট করা সম্ভব? তখন আমার সন্দেহ হয়; এখানে নিশ্চয়ই কোনো ঝামেলা আছে। তখনই আমি রিপোর্টের নিচে যে ডাক্তারের সই আছে, সেই ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাতের সঙ্গে দেখা করতে চাই। কিন্তু রিসিপশনিস্ট বলেন এখন তো ডাক্তার স্যার নেই।’

রুবেল জানান, তখন তার মনে প্রশ্ন আসে, ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাত না থাকলে তার সইটা করল কে?

এমন পরিস্থিতিতে রুবেলের কথার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে নিউজবাংলা। দুই সন্তানের পিতা মুক্তার উদ্দিনকে (ছদ্মনাম) নিঃসন্তান সাজিয়ে গত ৩ এপ্রিল সিমেন অ্যানালাইসিসের টেস্ট করতে তাকে পাঠানো হয় হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সঙ্গে ছিল নিউজবাংলা।

মুক্তার উদ্দিন দুপুর ১২টায় সিমেনের নমুনা দিয়ে পরীক্ষার ফল পেয়ে যান বেলা ২টার মধ্যেই। রিপোর্টটি হাতে পাওয়ার পর বসিলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রুবেলের অভিযোগের অক্ষরে অক্ষরে মিল পায় নিউজবাংলা। রুবেলের মতো তার রিপোর্টও গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারের প্যাডে দেয়া হয়েছে। রিপোর্টের নিচেও সেই ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাতের সই রয়েছে।

ডাক্তার-প্যাথলজিস্ট ছাড়াই টেস্ট রিপোর্ট
মুক্তার উদ্দিনের টেস্ট রিপোর্ট

যদিও এই দুই-আড়াই ঘণ্টায় হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোনো ডাক্তার বা প্যাথলজিস্টকে ঢুকতে বা বের হতে দেখা যায়নি। পুরোটা সময় সেন্টারে ছিলেন শুধু একজন রিসিপশনিস্ট ও দুজন অফিস সহকারী।

তাহলে ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাত কই, রিপোর্টে তার সই কীভাবে এল এবং গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারইবা কোথায়? এমন সব প্রশ্ন নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলতে চায় রিসিপশনিস্টের সঙ্গে।

টেস্ট রিপোর্টে স্বাক্ষরকারী ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাত কি সেন্টারে আছেন- জানতে চাইলে এই তরুণী বলেন, ‘ডাক্তার স্বাক্ষর করে চলে গেছেন।’

এ সময় নাম জানতে চাইলে বিরক্ত হন ওই রিসিপশনিস্ট। বলেন, ‘আমার নাম দিয়ে আপনারা কী করবেন? আপনাদের যা বলার আমাদের মালিক শামীম আহম্মদকে বলবেন।’

এরপর দীর্ঘদিন হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নজর রেখেও শামীম আহম্মদ কখন সেখানে ঢুকছেন-বেরোচ্ছেন তা নিশ্চিত হতে পারেনি নিউজবাংলা। এদিকে করোনা বাড়তে থাকায় শুরু হয় লকডাউন; থেমে যায় নিউজবাংলার নজরদারিও।

লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ার পর আবারও হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নজর রাখা শুরু করে নিউজবাংলা। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সেন্টারেই দেখা মেলে মালিক শামীম আহম্মদের।

ডাক্তার-প্যাথলজিস্ট ছাড়াই টেস্ট রিপোর্ট
হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শামীম আহম্মদ। ছবি: নিউজবাংলা

হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারের প্যাডে রিপোর্ট দেয়া হয় কেন, জানতে চাইলে প্রথমেই বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। বলেন, ‘এ রকম কাজ আমরা কখনোই করি না। এটা সম্ভব না।’

এরপর তাকে জানানো হয়, আমরাই একজনকে রোগী সাজিয়ে এখানে পাঠিয়েছিলাম। তার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। এ কথা শোনার পর বিব্রত হয়ে পড়েন হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শামীম। সুর পাল্টে বলেন, ‘হয়তো ভুল করে এমন হতে পারে।’

তখন শামীম আহম্মদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তার এই প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধন নেয়া হয়েছে কি না? নিবন্ধন নম্বর কত?

জবাবে প্রথমে তিনি বলেন, ‘আমার সব লাইসেন্সই আছে।’ দেখতে চাইলে কিছুক্ষণ পর তিনি বলেন, ‘আবেদন করেছি। কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাব।’

লাইসেন্স ছাড়া কীভাবে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন, জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।

এদিকে ৩ জুন বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, নিবন্ধন পেতে গত ২৭ মে আবেদন করেছে হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, যা পেন্ডিং রয়েছে।

অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অনুমতির জন্য আমাদের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পরিদর্শনে অসংখ্য ত্রুটি পাই। তাই আমরা তাদের লাইসেন্স দিই নাই।’

হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শামীমের সঙ্গে কথা বলার সময় টেস্টের রিপোর্টে সই থাকা ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাতের পরিচয় জানতে চায় নিউজবাংলা। তখন তিনি শুধু তার মোবাইল ফোন নম্বর দেন।

ডাক্তার-প্যাথলজিস্ট ছাড়াই টেস্ট রিপোর্ট

সেখান থেকে বেরিয়ে ফোন দিলে ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাত জানান, তিনি বারডেম হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন।

আপনি পার্টটাইম চাকরি করেন হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। কিন্তু গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারের প্যাডে আপনার সই কেন?

নিউজবাংলার এমন প্রশ্নে রুবায়েতুল জান্নাত বলেন, ‘আমি ওইখানে কাজ করি ঠিক আছে। কিন্তু আপনারা যে স্বাক্ষরের কথা বলছেন সেটা আমার না। কারণ আমি স্বাক্ষর করি হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টেস্ট রিপোর্টে; গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারের প্যাডে না। তা ছাড়া আমি রোজার আগেই হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চাকরি ছেড়ে দিয়েছি।’

রুবায়েতুল জান্নাতের সঙ্গে কথা বলার পর নিউজবাংলা যায় পান্থপথের রূপায়ণ প্রাইম টাওয়ারে অবস্থিত গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারে, যে প্রতিষ্ঠানের প্যাড ব্যবহার করে টেস্ট রিপোর্ট দেয় শামীম আহম্মদের হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

সেখানে গিয়ে কথা হয় গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারের মালিক ডাক্তার নাবিদ তওসিফ হোসাইনের সঙ্গে। তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠানটি গত জানুয়ারি মাসেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

কেন বন্ধ করে দিয়েছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনকার হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শামীম আহম্মদ আর আমি গত বছর এই গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করি।

‘কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই দেখি শামীম আহম্মদ ডাক্তারদের স্বাক্ষর নকল করে রোগীদের সব ধরনের প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট দিচ্ছেন। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে ঝামেলা শুরু হয়। এরপর আমি আমার মানসম্মানের কথা চিন্তা করে নিজেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিই।’

ডাক্তার-প্যাথলজিস্ট ছাড়াই টেস্ট রিপোর্ট
অসংখ্য ত্রুটি থাকার কারণে হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে অনুমোদন দিচ্ছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারের প্যাডে টেস্ট রিপোর্ট দেয়া হচ্ছে, জানালে ডাক্তার নাবিদ তওসিফ হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি আমি বেশ কিছু রোগীর বরাতে জানতে পেরেছি। বিষয়টা আমার জন্য বিব্রতকর। কারণ ওই সব রোগীর কোনো ক্ষতি হলে তার দায়ভার তো আমার ওপরেও পড়বে। সে জন্য আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অবহিত করেছি।’

এ ধরনের রিপোর্টের ফলে রোগী কী ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন, তা জানতে নিউজবাংলা কথা বলেছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা. ফাতেমা আশরাফের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ‘এটা তো একটা প্রতারণা। সবার চোখের সামনে লাইসেন্স ছাড়া, ডাক্তার ছাড়া নন-মেডিক্যাল মানুষ দিয়ে একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে কীভাবে?

‘সাধারণ মানুষ সন্তান না হওয়ার কষ্ট নিয়ে এখানে এসে প্রতারিত হচ্ছেন। কিন্তু তারা জানতেও পারছে না তারা প্রতারিত হচ্ছেন। আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে এর কঠিন শাস্তি চাই।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অনুসন্ধান
The Emir of Qatar at the Prime Ministers Office

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির
রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার  দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।

মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। খবর বাসসের

তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হবেন। পরে তারা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন।

পিএমও ত্যাগের আগে আমির টাইগার গেটে রক্ষিত ভিজিটরস বুকেও সই করবেন। এরপর তিনি বঙ্গভবনে যাবেন যেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতার আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।

সন্ধ্যায় আমির একটি বিশেষ বিমানে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
The Awami League rally was also suspended on Friday

শুক্রবার আওয়ামী লীগের সমাবেশও স্থগিত

শুক্রবার আওয়ামী লীগের সমাবেশও স্থগিত ফাইল ছবি
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বলেছেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’

আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’

প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।

অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Body recovered from Golapshah shrine

গোলাপশাহ মাজারের সামনে থেকে মরদেহ উদ্ধার

গোলাপশাহ মাজারের সামনে থেকে মরদেহ উদ্ধার প্রতীকী ছবি
এসআই বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে হয়তো তার পরিচয় জানা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে।

রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পাঠানো হয়।

শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফ নেওয়াজ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাত থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করি,পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি বলেন, আশেপাশের লোকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, মৃত ব্যক্তি ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং সেখানে ঘুমাতেন। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি তবে জানার চেষ্টা চলছে।

এসআই বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে হয়তো তার পরিচয় জানা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Unhealthy Dhaka air for sensitive population

সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস মানে সামান্য হেরফের হলেও অস্বাস্থ্যকর বাতাসের চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকা। ছবি: পনির হোসেন/রয়টার্স
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউ এয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ১২০ স্কোর নিয়ে ১২২টি শহরের মধ্যে বায়ুর নিম্ন মানে অষ্টম ছিল ঢাকা।

সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে নিম্ন মানে শীর্ষে না থাকলেও অস্বাস্থ্যকরই রয়ে গেছে ঢাকার বাতাস।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউ এয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ১২০ স্কোর নিয়ে ১২২টি শহরের মধ্যে বায়ুর নিম্ন মানে অষ্টম ছিল ঢাকা।

একই সময়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল নেপালের কাঠমান্ডু, চীনের বেইজিং, ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই।

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ দিনের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৭ গুণ বেশি।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

আজ সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১২০। এর মানে হলো ওই সময়টাতে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল ঢাকার বাতাস।

আরও পড়ুন:
ফাঁকা ঢাকার বাতাসও ‘অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, নিম্ন মানে চতুর্থ
ছুটির দিনে বাতাসের নিম্ন মানে সপ্তম ঢাকা
সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস
লাহোরের বাতাস সবচেয়ে দূষিত, ঢাকা অষ্টম

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Anu Muhammads left foot cant hold any toes Doctor

আনু মুহাম্মদের বাম পায়ের কোনো আঙুলই রাখা সম্ভব না: চিকিৎসক

আনু মুহাম্মদের বাম পায়ের কোনো আঙুলই রাখা সম্ভব না: চিকিৎসক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আনু মুহাম্মদ। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা মেডিক্যাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রধান অধ্যাপক ডা. বিধান সরকার বলেন, ‘আহত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বাম পায়ের আঙুল যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে পাঁচটা আঙুলের কোনটাই রাখা সম্ভব না। এছাড়া ডান পায়ের বুড়ো আঙুল ও হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেটে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে আহত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বাম পায়ের কোনো আঙুলই রাখার সম্ভবনা নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

রোববার ঢাকা মেডিক্যাল বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রধান অধ্যাপক ডা. বিধান সরকার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘আহত অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বাম পায়ের আঙুল যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে পাঁচটা আঙুলের কোনটাই রাখা সম্ভব না। এছাড়া ডান পায়ের বুড়ো আঙুল ও হালকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

ডা. বিধান সরকার বলেন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অর্থপেডিক্স বিভাগ, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ ও ক্যাজুয়ালটি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে দেখছেন। বর্তমানে তিনি অপারেশন থিয়েটারে আছেন। তবে তার অবস্থা স্ট্র্যাবল। এ ছাড়া বাম পায়ের পাতার টিস্যুগুলো নষ্ট হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে, রোববার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেটে চলন্ত ট্রেন থেকে নামতে গিয়ে পায়ের আঙুল কাটা পড়ে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের (৬০)।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক (মেডিসিন) ডা. মো. হারুন অর রশিদ জানান, দিনাজপুর ফুলবাড়িয়া গিয়েছিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। বিভিন্ন সময় কয়লা খনির শ্রমিকদের মৃত্যুতে দিনাজপুরে শনিবার একটি শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। রোববার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী থেকে থেকে ট্রেনে করে ঢাকায় ফিরছিলেন।

আনু মুহাম্মদের সাথে থাকা মো. মাহাতাব বলেন,‘ট্রেনটি খিলগাঁও ক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে গতি কমিয়ে দেয়। তখন সেখানে ট্রেন থেকে নামছিলেন তিনি। তবে নামার সময় তার পা পিছলে মাজা পর্যন্ত চাকার নিচে চলে যায়। এমন সময় ট্রেনটি চলতে শুরু করে। দেখতে পেয়ে দ্রুত ট্রেনের নিচ থেকে বের করতে করতে চাকার নিচে পায়ের আঙুলগুলো কাটা পরে।

দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল ক‍্যায়াজুয়ালিটি বিভাগের ১০৫ নম্বর কক্ষে আহত আনু মুহাম্মদকে অপারেশন থিয়েটার (ওটিতে) নেয়া হয়। দুই ঘণ্টা অস্ত্রোপচার শেষে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে পোস্ট অপারেটিভ নেয়া হয় তাকে। তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Anu Mohammad cut his finger in the train

ট্রেনে আঙুল কাটা পড়ল আনু মুহাম্মদের

ট্রেনে আঙুল কাটা পড়ল আনু মুহাম্মদের ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। ছবি: নিউজবাংলা
আনু মুহাম্মদকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থী মাহতাব বলেন, ‘খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় ধীরগতিতে চলা একটি ট্রেন কমলাপুরের দিকে যাওয়ার সময় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ওই ট্রেনে উঠতে যান। ওই সময় পা পিছলে চাকার নিচে পা চলে যায়। এতে তার বাম পায়ের আঙুল থেঁতলে যায় এবং কাটা পড়ে।’

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে ট্রেনে উঠতে গিয়ে বাম পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে তেল-গ্যাস-খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের।

কমলাপুর যাওয়ার জন্য ট্রেনে ওঠার সময় রোববার বেলা ১১টার দিকে অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক এ শিক্ষক।

পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয় তাকে, যেখানে এই মুহূর্তে চিকিৎসা চলছে তার।

আনু মুহাম্মদকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থী মাহতাব বলেন, ‘খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় ধীরগতিতে চলা একটি ট্রেন কমলাপুরের দিকে যাওয়ার সময় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ওই ট্রেনে উঠতে যান। ওই সময় পা পিছলে চাকার নিচে পা চলে যায়। এতে তার বাম পায়ের আঙুল থেঁতলে যায় এবং কাটা পড়ে।’

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক মাসুদ মিয়া বলেন, ‘খিলগাঁও রেলগেট থেকে ট্রেনে পায়ের আঙুল কাটা অবস্থায় আনু মুহাম্মদকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।’

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে দুর্ঘটনা: স্বামী হারিয়ে দিশাহারা হেনারা
মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল মামা-ভাগ্নের 
ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত প্রত্যেকের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা
সড়কে প্রাণ গেল জনপ্রিয় শিল্পী পাগল হাসানের
মার্চে ৫৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Housewife dies of electrocution while leaving AC in Kadmatoli

এসির সুইচ অন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু

এসির সুইচ অন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু প্রতীকী ছবি
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ মিয়া বলেন, ‘মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।’ 

রাজধানীর কদমতলীর একটি বাসায় শনিবার এয়ার কন্ডিশনারের (এসি) সুইচ অন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

নামা শ্যামপুর এলাকায় গতকাল রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ওই সময় আহত হয়েছে ১০ বছর বয়সী এক শিশু।

প্রাণ হারানো তুলি আক্তার (৩২) এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী ছিলেন।

তুলির স্বামী শাহিন মিয়া বলেন, ‘আমাদের বাসা কদমতলী থানাধীন নামা শ্যামপুর বরইতলা হাজী কফিল উদ্দিন রোডে। রাতে আমার স্ত্রী বাথরুম থেকে এসে এসির সুইচ দিতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শরীর ঝাঁকুনি দেয়ার সময় আমার মেয়ে সায়না উদ্ধার করতে যায়।

‘পরে তারা দুজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে ফ্লোরে পড়ে গেলে আমার স্ত্রীকে অচেতন অবস্থায় দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার মেয়েকে স্থানীয় হাসপাতালে নিলে ঘণ্টাখানেক পরে সে সুস্থ হয়ে ওঠে।’

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ মিয়া বলেন, ‘মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার শিবনারায়ণ দাশের মৃত্যু
ভাষানটেকে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত বেড়ে ৪
মানিকগঞ্জে দুই ভাইয়ের হাতাহাতিতে বড় ভাই নিহত
কুড়িগ্রামে নানা বাড়ির পুকুরে প্রাণ গেল খালাতো ভাইবোনের
নারায়ণগঞ্জে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে চীনা প্রকৌশলীর মৃত্যু

মন্তব্য

p
উপরে