নেই ডাক্তার, নেই প্যাথলজিস্ট। এমনকি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সও নেই। তবু দেদার দিয়ে যাচ্ছে প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট, যা বিশ্বাস করে প্রতারিত হচ্ছেন সন্তানের জন্য পাগলপ্রায় অনেকে।
রাজধানীর পান্থপথ মোড়ের গাজী টাওয়ারের চতুর্থ তলায় অবস্থিত হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার বেশ কয়েক মাস ধরে এমন প্রতারণা করে আসছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা রোগীদের সঙ্গে।
বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত তিন মাস অনুসন্ধান চালিয়েছে নিউজবাংলা।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে শামীম আহম্মদ নামে এক লোক হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে বসেন পান্থপথে, যার আসলে চিকিৎসা পেশায় কোনো অভিজ্ঞতাই নেই।
ভুঁইফোঁড় এই প্রতিষ্ঠানটি এমন সব দম্পতিকে টার্গেট করে, যাদের অনেক দিনেও সন্তান হয়নি। এরপর তাদের আসলে কী কী সমস্যা রয়েছে, সেসব পরীক্ষার জন্য নমুনা নেয়। প্রতিটি নমুনা পরীক্ষার জন্য রয়েছে আলাদা ফি। সিমেন অ্যানালাইসিসের ফি এক হাজার টাকা।
অধিকাংশ রোগীই এই পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। তবে কোনো ধরনের পরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আবার এই টেস্ট রিপোর্টও দেয়া হচ্ছে গ্রিন রোডেরই আরেকটি প্রতিষ্ঠানের নামে, যেটি গত বছর থেকে বন্ধ রয়েছে।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ মাস আগে চালু হলেও এখনো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে লাইসেন্সই পায়নি তাদের কর্যক্রম চালানোর জন্য।
ভুক্তভোগীদের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ রুবেল হোসেন। থাকেন রাজধানীর বসিলা এলাকায়। পাঁচ বছর আগে বিয়ে করলেও তাদের কোনো সন্তান হয়নি।
নিউজবাংলাকে রুবেল জানান, কয়েক বছর ধরে একটি সন্তানের আশায় সামর্থ্য অনুযায়ী সব ধরনের চেষ্টাই করেছেন তিনি। এ-ডাক্তার থেকে ও-ডাক্তারের কাছে গেছেন। তারা একেকজন একেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেসব পরীক্ষা করে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলেও সন্তানের মুখ দেখতে পাননি তিনি।
এরই এক পর্যায়ে এক ডাক্তারের পরামর্শে রুবেল তার সিমেন পরীক্ষার জন্য গত ২৪ মার্চ সকালে গ্রিন রোডের হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান।
সকাল ১০টায় টেস্টের জন্য সিমেন দেন রুবেল। তাকে বলা হয় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে। দুপুর ১২টার মধ্যেই তাকে রিপোর্ট দিয়ে দেন রিসিপশনিস্ট। কিন্তু রিপোর্ট দেখেই চমকে যান তিনি।
নিউজবাংলাকে রুবেল বলেন, ‘টেস্টের রিপোর্ট হাতে পেয়েই আমার সন্দেহ হয়। কারণ আমি যেখানে টেস্ট করতে গেলাম, সেই প্রতিষ্ঠানের নাম হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। কিন্তু টেস্টের রিপোর্টের ওপরে লেখা আছে গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টার। তার মানে রিপোর্টটি হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের না।
‘আমার মনে আরও প্রশ্ন দেখা দিল, মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই আরেক জায়গা থেকে কীভাবে রিপোর্ট করা সম্ভব? তখন আমার সন্দেহ হয়; এখানে নিশ্চয়ই কোনো ঝামেলা আছে। তখনই আমি রিপোর্টের নিচে যে ডাক্তারের সই আছে, সেই ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাতের সঙ্গে দেখা করতে চাই। কিন্তু রিসিপশনিস্ট বলেন এখন তো ডাক্তার স্যার নেই।’
রুবেল জানান, তখন তার মনে প্রশ্ন আসে, ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাত না থাকলে তার সইটা করল কে?
এমন পরিস্থিতিতে রুবেলের কথার সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে নিউজবাংলা। দুই সন্তানের পিতা মুক্তার উদ্দিনকে (ছদ্মনাম) নিঃসন্তান সাজিয়ে গত ৩ এপ্রিল সিমেন অ্যানালাইসিসের টেস্ট করতে তাকে পাঠানো হয় হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। সঙ্গে ছিল নিউজবাংলা।
মুক্তার উদ্দিন দুপুর ১২টায় সিমেনের নমুনা দিয়ে পরীক্ষার ফল পেয়ে যান বেলা ২টার মধ্যেই। রিপোর্টটি হাতে পাওয়ার পর বসিলার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রুবেলের অভিযোগের অক্ষরে অক্ষরে মিল পায় নিউজবাংলা। রুবেলের মতো তার রিপোর্টও গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারের প্যাডে দেয়া হয়েছে। রিপোর্টের নিচেও সেই ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাতের সই রয়েছে।
যদিও এই দুই-আড়াই ঘণ্টায় হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কোনো ডাক্তার বা প্যাথলজিস্টকে ঢুকতে বা বের হতে দেখা যায়নি। পুরোটা সময় সেন্টারে ছিলেন শুধু একজন রিসিপশনিস্ট ও দুজন অফিস সহকারী।
তাহলে ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাত কই, রিপোর্টে তার সই কীভাবে এল এবং গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারইবা কোথায়? এমন সব প্রশ্ন নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলতে চায় রিসিপশনিস্টের সঙ্গে।
টেস্ট রিপোর্টে স্বাক্ষরকারী ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাত কি সেন্টারে আছেন- জানতে চাইলে এই তরুণী বলেন, ‘ডাক্তার স্বাক্ষর করে চলে গেছেন।’
এ সময় নাম জানতে চাইলে বিরক্ত হন ওই রিসিপশনিস্ট। বলেন, ‘আমার নাম দিয়ে আপনারা কী করবেন? আপনাদের যা বলার আমাদের মালিক শামীম আহম্মদকে বলবেন।’
এরপর দীর্ঘদিন হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নজর রেখেও শামীম আহম্মদ কখন সেখানে ঢুকছেন-বেরোচ্ছেন তা নিশ্চিত হতে পারেনি নিউজবাংলা। এদিকে করোনা বাড়তে থাকায় শুরু হয় লকডাউন; থেমে যায় নিউজবাংলার নজরদারিও।
লকডাউন কিছুটা শিথিল হওয়ার পর আবারও হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নজর রাখা শুরু করে নিউজবাংলা। এরই ধারাবাহিকতায় ৩ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সেন্টারেই দেখা মেলে মালিক শামীম আহম্মদের।
হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করালে গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারের প্যাডে রিপোর্ট দেয়া হয় কেন, জানতে চাইলে প্রথমেই বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। বলেন, ‘এ রকম কাজ আমরা কখনোই করি না। এটা সম্ভব না।’
এরপর তাকে জানানো হয়, আমরাই একজনকে রোগী সাজিয়ে এখানে পাঠিয়েছিলাম। তার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। এ কথা শোনার পর বিব্রত হয়ে পড়েন হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শামীম। সুর পাল্টে বলেন, ‘হয়তো ভুল করে এমন হতে পারে।’
তখন শামীম আহম্মদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তার এই প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধন নেয়া হয়েছে কি না? নিবন্ধন নম্বর কত?
জবাবে প্রথমে তিনি বলেন, ‘আমার সব লাইসেন্সই আছে।’ দেখতে চাইলে কিছুক্ষণ পর তিনি বলেন, ‘আবেদন করেছি। কিছুদিনের মধ্যেই পেয়ে যাব।’
লাইসেন্স ছাড়া কীভাবে প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন, জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দিতে পারেননি।
এদিকে ৩ জুন বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ঘেঁটে দেখা গেছে, নিবন্ধন পেতে গত ২৭ মে আবেদন করেছে হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, যা পেন্ডিং রয়েছে।
অধিদপ্তরের হাসপাতাল শাখার এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অনুমতির জন্য আমাদের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা পরিদর্শনে অসংখ্য ত্রুটি পাই। তাই আমরা তাদের লাইসেন্স দিই নাই।’
হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শামীমের সঙ্গে কথা বলার সময় টেস্টের রিপোর্টে সই থাকা ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাতের পরিচয় জানতে চায় নিউজবাংলা। তখন তিনি শুধু তার মোবাইল ফোন নম্বর দেন।
সেখান থেকে বেরিয়ে ফোন দিলে ডাক্তার রুবায়েতুল জান্নাত জানান, তিনি বারডেম হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন।
আপনি পার্টটাইম চাকরি করেন হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। কিন্তু গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারের প্যাডে আপনার সই কেন?
নিউজবাংলার এমন প্রশ্নে রুবায়েতুল জান্নাত বলেন, ‘আমি ওইখানে কাজ করি ঠিক আছে। কিন্তু আপনারা যে স্বাক্ষরের কথা বলছেন সেটা আমার না। কারণ আমি স্বাক্ষর করি হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টেস্ট রিপোর্টে; গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারের প্যাডে না। তা ছাড়া আমি রোজার আগেই হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চাকরি ছেড়ে দিয়েছি।’
রুবায়েতুল জান্নাতের সঙ্গে কথা বলার পর নিউজবাংলা যায় পান্থপথের রূপায়ণ প্রাইম টাওয়ারে অবস্থিত গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারে, যে প্রতিষ্ঠানের প্যাড ব্যবহার করে টেস্ট রিপোর্ট দেয় শামীম আহম্মদের হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
সেখানে গিয়ে কথা হয় গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারের মালিক ডাক্তার নাবিদ তওসিফ হোসাইনের সঙ্গে। তিনি জানান, তার প্রতিষ্ঠানটি গত জানুয়ারি মাসেই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
কেন বন্ধ করে দিয়েছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনকার হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শামীম আহম্মদ আর আমি গত বছর এই গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করি।
‘কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই দেখি শামীম আহম্মদ ডাক্তারদের স্বাক্ষর নকল করে রোগীদের সব ধরনের প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট দিচ্ছেন। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে ঝামেলা শুরু হয়। এরপর আমি আমার মানসম্মানের কথা চিন্তা করে নিজেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিই।’
হার্টবিট ফার্টিলিটি অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে গ্রিন ইনফার্টিলিটি সেন্টারের প্যাডে টেস্ট রিপোর্ট দেয়া হচ্ছে, জানালে ডাক্তার নাবিদ তওসিফ হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি আমি বেশ কিছু রোগীর বরাতে জানতে পেরেছি। বিষয়টা আমার জন্য বিব্রতকর। কারণ ওই সব রোগীর কোনো ক্ষতি হলে তার দায়ভার তো আমার ওপরেও পড়বে। সে জন্য আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অবহিত করেছি।’
এ ধরনের রিপোর্টের ফলে রোগী কী ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন, তা জানতে নিউজবাংলা কথা বলেছে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের গাইনি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডা. ফাতেমা আশরাফের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ‘এটা তো একটা প্রতারণা। সবার চোখের সামনে লাইসেন্স ছাড়া, ডাক্তার ছাড়া নন-মেডিক্যাল মানুষ দিয়ে একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার চলছে কীভাবে?
‘সাধারণ মানুষ সন্তান না হওয়ার কষ্ট নিয়ে এখানে এসে প্রতারিত হচ্ছেন। কিন্তু তারা জানতেও পারছে না তারা প্রতারিত হচ্ছেন। আমি একজন চিকিৎসক হিসেবে এর কঠিন শাস্তি চাই।’
সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শাহবাগ থানার মামলায় আজ সোমবার রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সিনিয়র সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আবু আলম শহীদ খান ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৫৬৭টি মামলা করেছে ঢাকা
মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩২০টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১৩৫টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, রোববার ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করে।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
দূষিত বায়ুদূষণ বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫ বছর ৫ মাস কমিয়ে দিচ্ছে। বিষাক্ত বায়ুর এই প্রভাব রাজধানী ঢাকায় বিশেষভাবে তীব্র। বায়ুদূষণ এই শহরের মানুষের গড় আয়ু ৬ বছর ৯ মাস কমিয়ে দেয়।
শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের এনার্জি পলিসি ইনস্টিটিউটের গত সপ্তাহের এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বাংলাদেশকে বায়ুদূষণে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণ হলো আয়ুর জন্য সবচেয়ে বড় বহিরাগত হুমকি। বাংলাদেশে, যা বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত দেশ।
রিপোর্ট অনুসারে, বাংলাদেশের ১৬ কোটির বেশি মানুষের সবাই এমন এলাকায় বাস করে, যেখানে বাতাসে ফাইন পার্টিকুলেট দূষণের বার্ষিক গড় মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা (৫ মাইক্রোগ্রাম প্রতি ঘনমিটার) এবং দেশের জাতীয় সীমা (৩৫ মাইক্রোগ্রাম) উভয়ই ছাড়িয়ে গেছে। রাজধানী ঢাকার মতো জায়গায় এই মাত্রা ৭৬ মাইক্রোগ্রামের ওপরে দেখা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা মেনে চললে বাংলাদেশিদের গড় আয়ু ৫.৫ বছর বেশি হতে পারে।’
প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, সরকার সমস্যা সমাধানের জন্য প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বায়ুর মান দ্রুত খারাপ হচ্ছে।
ঢাকার স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুবই উদ্বেগের। আমার সন্দেহ আছে, বিশ্বের আর কোনো দেশ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সাক্ষী আছে কিনা।’
তিনি বলেন, ‘এখানে বায়ু দূষণ এতটাই মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে, এটি শনাক্ত করার জন্য কোনো গবেষণার প্রয়োজন নেই, কারণ এটি খালি চোখেই দেখা যায়।’
বাংলাদেশের শহরগুলোর বাসিন্দাদের জন্য ‘ধোঁয়াশা’ একটি নিত্যদিনের বাস্তবতা। প্রায় প্রতিদিন সকালেই তাদের ঢেকে রাখে এই ‘ধোঁয়াশা’। কিন্তু আরও বিপজ্জনক হলো, দূষণ যেগুলো চোখ দেখতে পায় না: কণা পদার্থ, PM2.5 — ২.৫ মাইক্রোমিটারের কম প্রশস্ত বায়ুবাহিত ক্ষুদ্র কণা- এগুলো ফুসফুস এবং রক্তপ্রবাহের গভীরে প্রবেশ করে মারত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
১৯৯০-এর দশকের শেষের দিক থেকে বাংলাদেশে PM2.5-এর মাত্রা তীব্রভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২২ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির সময়ই কেবল এই মাত্রা কমেছিল। কিন্তু সেই প্রবণতা স্থায়ী হয়নি।
ড. আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ‘গত বছরের AQLI রিপোর্টে, আমাদের গড় আয়ু ৪.৮ বছর কমেছে, এবং এই বছর তা ৫.৫ বছর হিসাবে রিপোর্ট করা হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ‘পরিস্থিতি খুবই উদ্বেগজনক। এটি দেখায় যে, রাষ্ট্র তার জনগণের সুরক্ষার জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশ এই প্রতিবেদনটি প্রত্যাখ্যান করেনি, যার অর্থ বাংলাদেশ সরকারও এই প্রতিবেদনের ফলাফলের সঙ্গে একমত। রাষ্ট্র এখানে দায়িত্ব এড়াতে পারে না।’
দূষণের প্রধান উৎস হিসেবে তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি এবং ইটভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ার ক্রমবর্ধমান ব্যবহারকে তালিকাভুক্ত করেন, বিশেষত ইটের জন্য কয়লা বা কাঠ পোড়ানো।
তিনি বলেন, ‘প্রতি বছর ঢাকার রাস্তায় অতিরিক্ত ১ লাখ যানবাহন চলাচল করে। এই যানবাহনগুলোর অনেকগুলো যথাযথ ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই চলে। এটি বায়ু দূষণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণও আমাদের ওপর প্রভাব ফেলছে। খোলা জায়গায় পোড়ানোসহ সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাবও একটি বড় কারণ।’
সর্বশেষ বায়ুদূষণ প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সরকার বছরের শেষ নাগাদ তার প্রচেষ্টা আরও জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যদিও কাজটি সহজ নয়, তবুও পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ু মান ব্যবস্থাপনার পরিচালক ড. জিয়াউল হক স্বীকার করেছেন, ‘বায়ু দূষণের প্রতিটি উৎস’ বাংলাদেশের পরিবেশে বিদ্যমান।
তিনি আরব নিউজকে বলেন, ‘আমরা রাস্তা থেকে ফিটনেস পরীক্ষা ছাড়াই যানবাহনগুলো সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু এই খাতে আমরা এখনো কোনো সাফল্য দেখতে পাচ্ছি না।’
ড. জিয়াউল হক বলেন, ‘যেসব বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বায়ুদূষণের জন্য দায়ী, আমরা তাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের আওতায় আনব। তাদের কারখানার চুল্লিতে একটি যন্ত্র স্থাপন করা হবে এবং আমাদের কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয়ভাবে নির্গমনের ফলাফল নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবেন। যদি কোনো বিচ্যুতি পাওয়া যায়, তাহলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে হস্তক্ষেপ করব। ‘বাংলাদেশ পরিষ্কার বায়ু’ প্রকল্পের আওতায় আগামী দুই মাসের মধ্যে এই কাজ শুরু হবে।’
যদিও দূষণের সমস্ত উৎস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়, তবুও কিছু উৎস এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে মোকাবিলা করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘ঢাকার ক্ষেত্রে আন্তঃসীমান্ত দূষণ ৩০ শতাংশ থেকে ৩৫ শতাংশ বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। এই পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। অক্টোবর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার ৩৫ শতাংশ বায়ু দূষণ দেশের বাইরে থেকে আসে।’
তিনি উল্লেখ করেন, ঢাকার বায়ু দূষণের ২৯ শতাংশই বর্জ্য এবং জ্বালানি কাঠ পোড়ানোর কারণে হয়। আমরা এই সমস্যাটি সঠিকভাবে সমাধান করতে পারিনি। আমাদের প্রচেষ্টা সেখানেই আছে।’
সূত্র: আরব নিউজ
রাজধানীর শাহবাগে ‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটেছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র দিকে অগ্রসর হতে চাইলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়।
পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)- সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের একদল শিক্ষার্থী সকাল ১০টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে সড়কে অবস্থান নেন। এতে শাহবাগ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষার্থীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের সামনে স্থাপিত ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে পুলিশ পানি ছোড়ার পাশাপাশি লাঠিচার্জ শুরু করে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ সময় পুলিশ সদস্যদের সাউন্ড গ্রেনেডও নিক্ষেপ করতে দেখা যায়। পরে বাধা পেয়ে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ মোড়ের মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে অবস্থান নেন।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।
বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ‘মার্চ টু ঢাকা’ অনুযায়ী আজ (বুধবার) সকাল ১০টা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা প্রকৌশলের শিক্ষার্থীরা শাহবাগে জড়ো হন। এর ফলে সড়কটির যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো— ইঞ্জিনিয়ারিং নবম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সবাইকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রিসম্পন্ন হতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি নয়, এমনকি অন্য নামে সমমান পদ তৈরি করেও পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
টেকনিক্যাল দশম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা ন্যূনতম ডিপ্লোমা এবং একই ডিসিপ্লিনে উচ্চতর ডিগ্রিসম্পন্ন বিএসসিদের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি ডিগ্রি ব্যতীত প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নন-অ্যাক্রিডেট বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইইবি-বিএইটিই অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনতে হবে।
বুয়েট শিক্ষার্থী জাহিদুল হক বলেন, আমাদের স্পষ্ট দাবি, প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের ৩ দফা বাস্তবায়নের জন্য নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। এ ছাড়া প্রকৌশলী রোকনুজ্জামানকে হত্যার হুমকি দেওয়া ডিপ্লোমা সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩৪৪টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
এছাড়াও অভিযানকালে ৩১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১১৪টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপি’র মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব মামলা করা হয়।
ঢাকা মহানগর এলাকায় ট্রাফিক শৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
রাজধানীর মুগদায় মায়ের সঙ্গে অভিমানে ইঁদুর মারার বিষ পান করে সামিয়া আক্তার (১৫) নামে এক স্কুল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সামিয়া মুগদা মাল্টিমিডিয়া স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ও উত্তর মান্ডার এলাকার আজিজুল হকের মেয়ে।
সামিয়ার ভাই সাহিম জানান, সামিয়া একটু রাগী স্বভাবের ছিল। রাতে মায়ের সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে অভিমানে বাসায় রাখা ইঁদুর মারার বিষ পান করে। পরে দ্রুত ঢামেকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া বলেন, ‘নিহত শিক্ষার্থীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি মুগদা থানা পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে।
মন্তব্য