অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী ‘হাফেজ’ আহমেদ আল রাজির সঙ্গে গত বছরের শুরুতে অনলাইনে পরিচয় ঢাকার মেয়ে নুসরাত শারমিনের (ছদ্মনাম)। কিছুদিনের মধ্যেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। বিয়ের জন্য ‘পাগলপ্রায়’ হয়ে ওঠেন ছেলেটি। কিন্তু তার পরিবারের ছিল ঘোরতর আপত্তি।
ছেলেটি তখন মেয়েটিকে এই বলে বোঝান, ‘সংসার তো আমরা করব; আমরা হ্যাপি থাকলেই সব ঠিক।’ তার এমন আশ্বাসে পরিবারকে একরকম জোর করেই বিয়েতে রাজি করান মেয়েটি। এভাবে পরিচয়ের তিন মাস না পেরোতেই অস্ট্রেলিয়ায় বসে মেয়েটির বাসায় কথিত কাজি ও দুই বন্ধুকে পাঠিয়ে অনলাইনে বিয়েও করেন ছেলেটি।
এর প্রায় এক বছর পর দেশে আসেন আল রাজি; নিজেদের মোহাম্মদপুরের ভাড়াবাসায় না উঠে মেয়েটিকে নিয়ে রাজধানীর একটি হোটেলে ওঠেন। সেখানে দুই দিন থাকার পর উত্তরার একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন তারা। সেই বাসায় ওঠার পরই ছেলেটি ‘আজেবাজে’ কথা বলা শুরু করেন।
ওই তরুণী বলছেন, পেটে সন্তান আসার খবরে ‘তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে’ আল রাজি, গলা টিপে হত্যারও চেষ্টা করে। ‘ডিভোর্স দিয়ে দিছি’ বলে বাসা ছেড়ে চলে যেতে বলে। ছেলেটির পরিবারের সদস্যরাও তাকে হত্যার হুমকি দেয়। এরই একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে গত ১১ মে বাবার বাড়ি চলে গেছেন মেয়েটি।
এই তরুণীর অভিযোগ, ‘স্বপ্নের সংসার’ ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ার আগে তুরাগ থানায় গিয়েছিলেন তার সঙ্গে প্রতারণার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিতে। কিন্তু থানা থেকে জানানো হয়, এক দিন আগেই ছেলেটি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে গেছেন। তাই তারা তার অভিযোগ নিতে পারবে না। এদিকে ছেলেটিকে তার পরিবার আবারও বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে।
এমন পরিস্থিতিতে অনাগত সন্তান আর পরিবারের কথা ভেবে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন নুসরাত। তিনি যে প্রতারিত হয়েছেন সে বক্তব্যের ভিডিও প্রস্তুত করেন ফেসবুকে ছাড়ার জন্য। বিষয়টি জানান কাছের বন্ধুদের। সেই ভিডিওতে তার বাঁচার কোনো ইচ্ছা নেই এবং আল রাজির বিচারের দাবি জানিয়ে আত্মহত্যা করতে যাচ্ছেন- এমন কথা রেকর্ড করেন মেয়েটি।
এই পরিস্থিতিতে এক বন্ধুর মাধ্যমে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় মেয়েটির। কান্নাজড়িত কণ্ঠে শনিবার এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘বিয়ের নামে প্রতারণার শিকার হয়ে এখন আমি ও আমার অনাগত সন্তান জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।’
নুসরাত বলেন, ‘অনলাইনে গত বছরের শুরুতে আমার একজনের সঙ্গে যোগাযোগ হয় এবং একটা পর্যায়ে কথাবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে দেড় মাসের মধ্যে উনি আমাকে বিয়ে করতে চায়। আমরা পারিবারিকভাবে এগোতে চাই।
‘কিন্তু শুরুতেই তার পরিবারের কিছু ব্যবহার আমাদের ভালো লাগেনি। তাই আমরা প্রস্তাবটা বাতিল করতে চাই। কিন্তু ছেলেটা প্রায় মরিয়া হয়ে উঠেছিল আমাকে বিয়ে করার জন্য।’
মেয়েটি বলেন, ‘‘সে একজন হাফেজ। সেই সুবাধে তার মিষ্টি কথায় ভরসা করে ফেলি। সে আমাকে এই বলে সান্ত্বনা দেয় যে, ‘আমরা অনলাইনে বিয়ে করে ফেলি, একটা সময় পরিবার মেনে নেবে। সংসার তো আমরা করব; আমরা হ্যাপি থাকলেই সব ঠিক’।
‘তার কথায় ভুলে আমিও আমার পরিবারকে এই বিয়েতে একপ্রকার জোর করেই রাজি করাই। আমার পরিবারের সবাই তার হাফেজ ও ধর্মভীরু মনোভাব দেখে আমার কথা মেনে নেন।”
এই তরুণী জানিয়েছেন, গত বছরের ৩০ মার্চ অনলাইনে অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী আহমেদ আল রাজির সঙ্গে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় তার।
তিনি বলেন, ‘‘আমি সেই দিন থেকে স্বপ্ন বোনা শুরু করি; একটা মেয়ে ঠিক যেভাবে সংসারের স্বপ্ন বোনে। আমিও নিজেকে তার মনমতো তৈরি করার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। এর মধ্যে তার পরিবার আমাকে অনেক কটু কথা শোনায়। কিন্তু সব সময় তার সাপোর্ট ছিল। ভরসা দিত ‘সব ঠিক হয়ে যাবে’। তারা সব সময় তাকে আবার বিয়ে করানোর এবং আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিতে থাকে। কিন্তু সে আমাকে শুধু ধৈর্য ধরতে বলে। আর আমি তাই করি।”
শ্বশুরবাড়ির এমন আচরণের পরও ছেলেটির কথা বিশ্বাস রেখেছিলেন নুসরাত। অপেক্ষায় ছিলেন স্বামীর দেশে আসার।
তিনি বলেন, ‘আমিও তার বাংলাদেশে ফেরার অপেক্ষা করতে থাকি। সে ফিরেও আসে। গত ২৫ মার্চ সে আসে। দীর্ঘ একটা বছর অপেক্ষা করে প্রথমবার আমি তাকে দেখি। প্রথমে হোটেলে উঠি। সেখানে দুজন আলোচনা করে একটা বাসা নিই উত্তরায়। বলে রাখি, তার নিজের বাসা মোহাম্মদপুরে। সে আমাকে ওখানে ওঠায় না এটা বলে যে তার যৌথ পরিবার। এখনো ওনারা আমাকে মেনে নেয়নি। কিছুদিন যাক সব ঠিক হয়ে যাবে।’
কিন্তু কোনো কিছুই আর ঠিক হয়নি জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন নুসরাত। বলেন, ‘আমিও এই আশাতেই থাকি। তবে সপ্তাহ না যেতেই তার আচার-আচরণে পরিবর্তন দেখতে পাই। নোংরা ভাষায় কথা বলতে থাকে। আমার অসুস্থ বাবাসহ পরিবারের সবাইকে ছোট করতে থাকে। তারা আমাদের থেকে অর্থবিত্তে অনেক এগিয়ে- এটা প্রতিটা মুহূর্তে জাহির করতে শুরু করে।’
‘আমি আগে জব করে সেই টাকা কেন বাসায় দিয়েছি, যেসব ফার্নিচার কিনেছি সেগুলো কেন এই বাসায় আনছি না, আমার বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে আমি, তাহলে বাসা কেন তারা সাজিয়ে দিচ্ছে না- এসব যৌতুকের জন্যও অনেক নির্যাতন করে আমাকে।’
ওই তরুণী আরও বলেন, ‘সে সব সময় এটা বোঝাতে থাকে যে, আমি তার যোগ্য নই। সে ভুল করেছে। বহু ঝগড়া, মারামারি, লোক জানাজানিসহ অনেক ঘটনা হয়। তার পরিবারের মানুষ আমাকে হুমকি দিতে থাকে। প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়।
‘এর মধ্যে আমি জানতে পারি, কনসিভ করেছি। এটা জানার পর তো আমার হাজব্যান্ড তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে। এবং যেকোনো মূল্যে বাচ্চাটাকে সে রাখতে চায় না। এটা নিয়ে কথা বলাতে সে আমার গায়ে হাত তোলে। এ ছাড়া নোংরা নোংরা সিনক্রিয়েট করে। বলে তোকে ডিভোর্স দিয়ে দিছি।’
এরই একপর্যায়ে চলতি মাসে সেই ভাড়া বাসায় তাকে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় বলেও অভিযোগ মেয়েটির।
‘গত ৭ ও ৮ মে আমাকে তালাবদ্ধ করে রাখে। এমনকি আমাকে গলা টিপে মেরে ফেলার জন্য উদ্যত হয়। পরে নিজের ও বাচ্চার জীবনের নিরাপত্তা না পেয়ে ১১ মে আমি বাবার বাসায় চলে আসি।
‘কেননা ও আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। আর সবকিছু নিয়ে গিয়ে বাসা ছেড়ে দেয়। আসার আগে আমি তুরাগ থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে চাই। কিন্তু কোনো পুলিশ অফিসার এ বিষয়ে আমাকে সহযোগিতা করেননি। কারণ আমার স্বামী নাকি আগের দিন রাতেই আমার নামে অভিযোগ করে গেছে। কতটা অসহায় আমরা মেয়েরা।’
এ কথা বলতে বলতে হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন নুসরাত। বেশ কিছুক্ষণ পর তার সঙ্গে আবার কথা বলে নিউজবাংলা।
এ সময় তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘আজ আমার অনাগত বাচ্চা ও আমার জীবন ঝুঁকির সম্মুখীন। আমি মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছি। যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি আমার পরিবারের অশান্তির কারণ হতে চাই না।
‘তার আগে এই বাচ্চার ভবিষ্যৎ কী? আমার জীবনের যে ক্ষতি সে করেছে তার নোংরা স্বার্থ চরিতার্থ করতে, এর প্রতিকার কী? সত্যিই কি দেশের আইন মেয়েদের পাশে আছে? আমি সবার কাছে নিজের আর বাচ্চার সুন্দর একটা জীবন চাই। প্লিজ, হেল্প মি। আমি এই ভদ্র মুখোশধারী প্রতারকের চেহারা সবার কাছে উন্মোচন করে গেলাম। আমি ওর শাস্তি চাই।’
নুসরাতের কাছ থেকে এসব অভিযোগ পাওয়ার পর আল রাজির বক্তব্য জানতে তার তিনটি মোবাইল নম্বরে গত দুই দিনে অন্তত ২৫ বার ফোন করেন নিউজবাংলার এই প্রতিবেদক। এ সময় তার দুটি নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। একটিতে ফোন ঢুকলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া আল রাজিদের মোহাম্মদপুরের ওই ভাড়া বাসায় গিয়েও কাউকে পাওয়া যায়নি। বাসার মালিককে পাওয়া যায়নি। দারোয়ান জানিয়েছেন, তারা গত মাসেই বাসা ছেড়ে চলে গেছেন।
নুসরাতকে তুরাগ থানার কোনো কর্মকর্তা কেন সাহায্য করেননি, তা জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, ‘থানায় এসে এ ধরনের অভিযোগ করলে তা নেয়া হবে না- এমনটা হওয়ার কথা না। আমার আসলে জানা নেই। আমাদের যদি কোনো গ্যাপ থেকে থাকে সেটা আমি দেখছি। ভুক্তভোগীকে থানায় পাঠিয়ে দেন, অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ছেলেটার অভিযোগ কী এবং তার সত্যতা পেয়েছেন কি না- এ কথা জানতে বেশ কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও সাড়া দেননি ওসি মেহেদী হাসান।
বিয়েটা ছিল ভুয়া
২০২০ সালের ৩০ মার্চ অনলাইনে তাদের মধ্যে যে বিয়ে হয়েছিল তার কাবিননামার একটি অনুলিপি পেয়েছে নিউজবাংলা।
কাবিননামাটি ঘেঁটে দেখা গেছে, দুই পক্ষের সাক্ষীর নাম ও কনের নামের ঘরে সই থাকলেও বরের ঘরে কোনো সই নেই।
কাবিননামায় বরের সই নেই কেন- জানতে চাইলে মেয়েটি বলেন, ‘বিয়ের সময় সে দেশের বাইরে থাকায় তার সই নেয়া যায়নি। ওই সময় সে কাজিকে বলে পাত্রের সইয়ের স্থানটা ফাঁকা থাক। দেশে ফিরেই সই করবে।
‘গত মার্চে ও দেশে আসার পর বারবার বললেও সই করেনি। এখন বুঝতে পারছি, ও প্রতারণা করে আমাকে শুধুই ব্যবহার করেছে। স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার কোনো ইচ্ছাই তার ছিল না।’
সেই সই নেয়ার জন্য হোটেল ও ভাড়া বাসায় ছেলেটির সঙ্গে উঠেছিলেন জানিয়ে মেয়েটি বলেন, ‘কিছুতেই রাজি হয়নি ও। ওর পরিবার চাইছে ওকে আবার বিয়ে দিতে। আমাকে বলছে ডিভোর্স লেটারে সই করতে।’
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেয়া বাণীতে বলেছেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সকলকে সজাগ থাকতে হবে।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এ সব কথা বলেছেন। তিনি এ সময় ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে। শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরো সুদৃঢ় করবে বলে উল্লেখ করে তিনি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, আজ গণতন্ত্রের মা, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন। তিনি এ দিনটি উদযাপন করেন না, তবে দল থেকে সারাদেশে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা আজ বিকেলে ম্যাডামের (বেগম জিয়া) জন্য ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন। তাঁর কর্মকর্তারা এটি বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের বাসভবনে পৌঁছে দেন।
বিকেল প্রায় ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সজীব এম খায়রুল ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের বাসভবন ‘ফিরোজা’য় গিয়ে তাঁর একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারের হাতে ফুলের তোড়াটি হস্তান্তর করেন।
এ সময় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এবং চেয়ারপার্সনের ব্যক্তিগত উইংয়ের কর্মকর্তা মাসুদ রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাতে চীনের রাষ্ট্রদূতের কার্যালয় থেকেও বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্য জন্মদিনের ফুলের তোড়া পাঠানো হয়।
বেগম খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। এ বছর তিনি ৮১ বছরে পা রেখেছেন।
ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে পুরস্কৃত করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
বৃহষ্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর রেল ভবনে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এতে ধূমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে রেল স্টেশনে তামাক সচেতনতা ও প্রতিরোধ কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য আরএনবি ও জিআরপি (পুলিশ) এবং রেলওয়ের ২২ কর্মকর্তা/কর্মচারীকে সম্মাননা পদক ২০২৫ প্রদান করা হয়। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে রেলওয়ে কর্মীদের উৎসাহিত করে দেশের সকল স্টেশন ও ট্রেনকে ধূমপান ও তামাকমুক্ত করার প্রক্রিয়া আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন-
মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মজুমদার, উপসচিব (বাজেট অধিশাখা), রেলপথ মন্ত্রণালয়; মোঃ জাকির হোসেন, পরিচালক ট্রাফিক (পরিবহণ), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আনসার আলী, উপ-পরিচালক (টিসি), বাংলাদেশ রেলওয়ে; গৌতম কুমার কুণ্ডু, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (লালমনিরহাট), বাংলাদেশ রেলওয়ে; ফারহান মাহমুদ, এডিসিও (চট্টগ্রাম), বাংলাদেশ রেলওয়ে; মোহাম্মদ আমিনুল হক, এসিও-১ (ঢাকা), বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে “বাংলাদেশ রেলওয়েকে তামাকমুক্ত করার উদ্যোগ” শীর্ষক প্রকল্পের বেজলাইন ও এন্ডলাইন সার্ভের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন ও এর বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্ক এর নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মোঃ আফজাল হোসেন। এছাড়া রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা/কর্মচারীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
ধূমপান ও তামাকের ব্যবহার যাত্রীসেবার মানের ওপর যেসব নেতিবাচক প্রভাব ফেলে অনুষ্ঠানে তার বিস্তারিত আলোচনা করেন তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ভূমিকা পালনকারী সাবেক ও বর্তমান সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তারা। তাঁরা রেলওয়ের প্রতিটি স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম এবং ট্রেনে ধূমপানমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জানান। এ লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, কঠোর নজরদারি এবং আইন প্রয়োগের পাশাপাশি যাত্রী ও কর্মীদের মধ্যে ইতিবাচক আচরণ গড়ে তোলার ওপর তাঁরা গুরুত্বারোপ করেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ফাহিমুল ইসলাম প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, “রেলপথ জনগণের জন্য একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে চায়। তাই ধূমপানমুক্ত পরিবেশ তৈরিতে আমরা কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখাবো না।”
অনুষ্ঠানে সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ধূমপান ও তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা পরিষদের সভা আজ (বৃহস্পতিবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এতে সভাপতিত্ব করেন।
দেশের শতকরা ৯০ ভাগ বিরোধের উৎস্য ভূমি। এটা কিন্তু খুব কমই প্রতিকার নিতে পারছি আমরা। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে আমারও দায়িত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে জনগণেরও সচেতনতা প্রয়োজন। ফেনীতে অনুষ্ঠিত অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংশোধন সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের ভূমি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে অটোমেটেড ভূমি সেবা সিস্টেমে তথ্য সন্নিবেশ ও সংশোধন সংক্রান্ত এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পাইলট প্রকল্প হিসেবে এটি ফেনী থেকে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দীন এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপি, বাংলাদেশ এর আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার।
ফেনী জেলা প্রশাসন, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প, ভূমি মন্ত্রণালয় ও ইউএনডিপি বাংলাদেশ এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো: এমদাদুল হক চৌধুরী, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প এর প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো: পারভেজ হাসান বিপিএএ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব, সাংবাদিক আবু তাহের, ফেনী আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নুরুল আমিন খান, ফেনী সদর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজিব তালুকদার, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা নাসরিন কান্তা, ফেনী জেলা জামায়াতের আমীর মুফতি আব্দুল হান্নান, ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, বৃহত্তর নোয়াখালীর ভূমি বিষয়ক সার্চ অফিসার সরোয়ার উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ফাহমিদা হক প্রমূখ।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন জেলার ভূমি বিভাগ, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ছাত্র প্রতিনিধি সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে রয়েছে, কিন্তু এই পদক্ষেপটি আমরা গত সরকারের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের উত্তরাধিকার হিসেবে গ্রহণ করেছি। তিনি বলেন, গত সরকারের সময়ে প্রকাশিত জিডিপি, ব্যক্তিগত আয়, মাতৃস্বাস্থ্য ও অন্যান্য সামাজিক সূচকগুলো বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। বাস্তবিক অর্থে,স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে বাংলাদেশ এখনও পুরোপুরি প্রস্তুত নয়।
উপদেষ্টা আজ বুধবার (১৩ আগষ্ট) প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) কনফারেন্স রুমে নাগরিক উদ্যোগ ও পিপলস হেলথ মুভমেন্ট আয়োজিত "বাংলাদেশের ভবিষ্যত নির্ধারণী উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উত্তরণ ও দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে সতর্ক পুনর্বিবেচনা প্রয়োজন"- শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পরিসংখ্যান বহন করলেও তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। আগামী ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে আমাদের দেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা গ্রহণের সময় আসবে, এবং অন্তর্বর্তী সরকারকে তা অনুযায়ী নিয়ম মেনে প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণের ফলে শুল্ক ও জিএসপি সুবিধার প্রভাব কোথায় বৃদ্ধি পাবে এবং কোথায় হ্রাস পাবে, তা সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। তিনি সতর্ক করে বলেন, বিদেশ থেকে স্বল্পমূল্যে গরুর মাংস আমদানি করলে দেশীয় গবাদিপশুর বাজারে প্রভাব পড়বে এবং লাখ লাখ খামারি, বিশেষ করে গরীব মহিলারা যারা গরু লালন-পালন করে উদ্যোক্তা হিসেবে অবদান রাখছেন, তাদের ক্ষতি হবে।
উপদেষ্টা বলেন, “আমরা বিদেশ থেকে মাংস আমদানি কমানোর জন্য চেষ্টা করছি। কারণ, আমদানি করা মাংসের মাধ্যমে জুনোটিক রোগ প্রবেশের ঝুঁকি রয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, সাগরের সি উইড ও কুচিয়া রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশ হিসেবে আমাদের আমদানি হ্রাস করতে হবে এবং দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
এসময় আরো বক্তৃতা করেন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, থার্ড ওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্কের জেনেভা ভিত্তিক লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ও সিনিয়র রিসার্চার সানিয়া রিড স্মিথ, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. জাহেদ মাসুদ, অ্যাডভোকেট তাসলিমা জাহান প্রমুখ। সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নাগরিক উদ্যোগের কো-অর্ডিনেটর বারাকাত উল্লাহ মারুফ।
তথ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আরও সক্রিয় হয়ে অপতথ্য ও গুজবের বিরুদ্ধে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের নীতি, উন্নয়ন কর্মসূচি ও সাফল্যের প্রচারে তথ্য অধিদপ্তর প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও এই দায়িত্ব নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করতে হবে।
বুধবার তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘তথ্য অধিদপ্তরের কার্যক্রম অধিকতর দৃশ্যমান করার লক্ষ্যে’ আয়োজিত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীর।
তথ্য সচিব বলেন, সরকার যেসব জনমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করছে, সেগুলো জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে তথ্য অধিদপ্তরের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যারা সরকারের বার্তা জনগণের কাছে সঠিকভাবে পৌঁছে দেন, তারাই প্রথম চালিকাশক্তি। এখন ডিজিটাল মাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকা সময়ের দাবী।
বর্তমানে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে অপতথ্য ও গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ করেন মাহবুবা ফারজানা। তিনি বলেন, অপতথ্যের বিরুদ্ধে আপনাদেরই দক্ষ শক্তি হিসেবে কাজ করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ, সরকারের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত ও উন্নয়ন কার্যক্রম দ্রুত প্রচার করতে হবে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত, শিক্ষিত ও দক্ষ। অপতথ্য ছড়ানো গোষ্ঠী ছোট এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তারা অশিক্ষিত বা সরকারের কাজ সম্পর্কে অবগত নয়। সে তুলনায় আপনারা অনেক বেশি যোগ্য।
তথ্য সচিব বলেন, নিউজ ও কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে শুধু পরিসংখ্যান নয়, মানুষের জীবনে বাস্তব পরিবর্তনের দিকগুলোও তুলে ধরতে হবে। এজন্য মাল্টিমিডিয়া কনটেন্ট, ছোট ভিডিও, লাইভ কভারেজ এবং সময়োপযোগী গল্প বলার কৌশল প্রয়োগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ।
তরুণ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে মাহবুবা ফারজানা বলেন, আপনারা ইয়াং স্টার। আপনারা অবশ্যই পারবেন। প্রচার-প্রচারণার মান উন্নয়ন করুন। লেখার মান, বলার মান উন্নত করুন। প্রতিটি সংবাদ যেন সরকারের সাফল্যের জীবন্ত চিত্র হয়।
তথ্য সচিব আরও বলেন, সংবাদ শুধু নয়, তথ্য হচ্ছে বিশ্বাসের ভিত্তি। সত্যনিষ্ঠ খবর প্রচার করতে হবে। তথ্যের মাধ্যমে আস্থা গড়ে তুলেই বৈষম্যহীন দেশ গড়তে চাই।
মন্তব্য