যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক (আরজেএসসি) হলো বাংলাদেশ সরকারের একমাত্র অফিস, যা দেশের আইন অনুযায়ী কোম্পানি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গঠনের সুবিধা দেয় এবং এর মালিকানা সম্পর্কিত সব নথিপত্র সংরক্ষণ করে।
দেশের যেকোনো জায়গায় যৌথ ব্যবসা বা এককভাবে বড় কোনো ব্যবসা করতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এই পরিদপ্তরের সনদ বাধ্যতামূলক। জয়েন্ট স্টক নামে পরিচিত এই পরিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে।
নিউজবাংলার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই অফিস যেন এখন ভোগান্তির আরেক নাম। নতুন কোনো কোম্পানির নামের ছাড়পত্র ও নিবন্ধন সনদ নিতে ঘাটে ঘাটে দিতে হচ্ছে ঘুষ।
এই নিবন্ধন সেবা কার্যক্রম বেশ কয়েক বছর অনলাইনে শুরু করা হলেও তার সুফল মেলেনি আজও। ডিজিটাল কারসাজির মাধ্যমে ঘুষ আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন উদ্যোক্তা ও আইনজীবী। অভিযোগ আছে পুরোনো কোম্পানির নিবন্ধন নবায়নেও ভোগান্তিতে পড়ার।
অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, নতুন কোম্পানি খুলতে বা পুরোনো কোম্পানির নিবন্ধন নবায়ন করতে অনেকেই আর এই অফিসে যেতে চান না। প্রয়োজন মেটাচ্ছেন আইনজীবীদের মাধ্যমে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আরজেএসসির প্রধান। নিউজবাংলার কাছে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, এটা আলু-পটলের ব্যবসা না। একটা অনলাইন সিস্টেমে যা যা থাকা দরকার তা তাদের ওয়েবসাইটে আছে। শুধু ‘অশিক্ষিতরাই’ এটা বুঝতে পারে না।
বেশ কয়েক মাস আগে ব্যবসা শুরু করতে সনদ নিতে আরজেএসসিতে যান ওবায়দুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।
নিউজবাংলাকে সনদ নেয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমার নতুন কোম্পানির সনদ নিতে প্রথমে একাই জয়েন্ট স্টকে যাই। তারা আমাকে অনলাইনে আবেদন করতে বলে। তাদের কথামতো তাদের সাইটে ঢুকে নামের ছাড়পত্র নিতে গিয়ে দেখি প্রথমেই আমার ইউজার আইডি চাইছে। এখন নতুন মানুষ হিসেবে আমি কীভাবে বুঝব- ইউজার আইডি কীভাবে দিতে হয়?
‘পরে আরেকজনের সাহায্য নিয়ে নামের ছাড়পত্র নিই। এরপর নিবন্ধন সনদ নিতে গিয়ে দেখি অসংখ্য তথ্যের ঘর পূরণ করতে হবে। কষ্ট করে তারা যা যা চায় সেটাও পূরণ করলাম। টাকাও জমা দিলাম। কিন্তু পরে আমার সনদের আর কোনো হদিসই পেলাম না।’
ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘পরে এক আইনজীবীর কাছ থেকে জানতে পারলাম অনলাইনে ফরম পূরণের ২১ দিনের মধ্যে সনদ পেয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কোনো ভুল তথ্য দিলে সেটা ২১ দিন পর আপনা আপনি বাতিল হয়ে যাবে। আমারটাও বাতিল হয়ে যায়। এই ভুলের জন্য পরে আইনজীবীর মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পুনরায় আবেদন করে সনদ পেয়েছি।’
নিউজবাংলার কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে ফরম পূরণ করলে আমার ভুল ধরিয়ে দেবে কে? একজন নতুন মানুষ কীভাবে বুঝবে কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক।’
আরজেএসসিতে বিভিন্ন কোম্পানির সনদ নিতে সাহায্য করেন এমন এক আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অনলাইনে সনদ নেয়ার এমন একটা প্রক্রিয়া এখানে সৃষ্টি করা হয়েছে, যাতে নতুন কোনো সাধারণ মানুষ এটা না করতে পারেন। করলেও সবাই যেন ভুল করে- এটা তাদের জানা।
‘সবাই যেন আমাদের মতো আইনজীবীর মাধ্যমে করে সেই ব্যবস্থাই করা আছে। কারণ আইনজীবীরা সবাই কর্মকর্তাদের পরিচিত, তাই তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিতে তাদের কোনো সমস্যা হয় না। আমরাও রুটিরুজির জন্য কর্মকর্তাদের নিয়মিত ঘুষ দিয়ে কাজ করি।’
তিনি বলেন, অনলাইনে কোনো ভুল তথ্য রেকর্ড করা হলে তা সংশোধনের জন্য আবেদনকারীদের জানানোর কথা থাকলেও কর্মকর্তারা সেটা জানান না। তাই তারা বাধ্য হয়ে নিজেরাই ২১ দিনের মধ্যে কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। তখনই শুরু হয় ঘুষ লেনদেনের ঘটনা।
কারণ ২১ দিনের মধ্যেই ভুল সংশোধন করে সনদ পেতে হবে। ওই সংশোধন না করলে সনদ তো মিলবেই না, জমা দেয়া অর্থও ফেরত পাওয়া যাবে না। আর এই সুযোগটাই নেন অসাধু কর্মকর্তারা।
‘তাছাড়া সব সঠিক তথ্য দিলেও লাভ হয় না। ওখানকার সিন্ডিকেট টালবাহানা করতে থাকে। ফরমে সঠিক তথ্য থাকলেও তথ্যের ঘাটতি বা ভুল দেখায়। এসব অজুহাত দেখিয়ে ঘুষ দাবি করে আবেদনকারীর কাছে। না দিলে অনলাইনে এই সনদ আর পাওয়া যায় না।’
এই আইনজীবী জানান, এখানে নতুন কোম্পানির সনদ নিতে আসা ব্যক্তিদের দুই ধরনের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে হয়। প্রথমে ঘুষ দিতে হয় অথরিটি কর্মকর্তাকে, যিনি কোম্পানির নামের প্রথম অক্ষর অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে থাকেন। আরজেএসসিতে এই রকম ১০ জন আছেন। এরা সবাই কমবেশি টাকার বিনিময়ে সনদ যাচাই-বাছাই করে থাকেন। টাকা না দিলে সনদ পাওয়া যায় না।
এই ১০ জনের মধ্যে কম্পিউটার অপারেটর মো. তাজুল ইসলাম, মো. জালাল উদ্দিন খান, শারমিন আক্তার, তাজমিন নাহার ও সঞ্জীব সরকার অন্যতম। এরা সবাই উচ্চমান সহকারী পদে কর্মরত। সাধারণ মানুষ সনদ নিতে গেলে এদের দুই-আড়াই হাজার টাকা দেয়া লাগেই। আর আইনজীবীরা গেলে এক হাজার টাকা দিলেই হয়।
এই আইনজীবী আরও জানান, এই অথরিটি কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাইয়ের পর ফাইল যায় সহকারী নিবন্ধকদের কাছে। তারাও টাকা ছাড়া ফাইল ছাড়েন না।
আরজেএসসিতে সহকারী নিবন্ধক পদে আছেন তিনজন। এর মধ্যে মো. সিরাজ উদ্দিন ও মো. শরিফুল ইসলাম এই ঘুষ সিন্ডিকেটের অন্যতম। এই সিরাজ গত বছর ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের কাছে ধরাও খেয়েছিলেন।
সে সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় মুচলেকা দিয়ে কোনো রকমে পার পেয়ে যান বলে জানান আরজেএসসি-সংশ্লিষ্ট এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ এই সনদ নিতে গেলে এই তিন সহকারী নিবন্ধককে দিতে হয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। আর আমাদের দিতে হয় দুই হাজার টাকা।
‘সব মিলিয়ে একজন সাধারণ মানুষ সনদ নিতে গেলে তাকে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হবে। আর আমাদের মতো আইনজীবী দিয়ে সনদ নিতে গেলেও দুই থেকে তিন হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়।’
তিনি জানান, পুরোনো কোম্পানির নিবন্ধন নবায়ন, মালিকানা পরিবর্তনসহ নানা ধরনের ছাড়পত্রের জন্য যেতে হয় সহকারী নিবন্ধকের চেয়ে বড় কর্মকর্তাদের কাছে।
ওই আইনজীবী বলেন, ‘এসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেশি ঘুষ আদায় করেন বার্ষিক রিটার্ন ফাইলিং, কোম্পানির পরিচালক পরিবর্তনসহ সংশ্লিষ্ট সব নথির অবিকল নকল কপি সরবরাহসহ নানা ধরনের সেবার ছাড়পত্র দেয়ার নামে।’
তিনি জানান, নতুন কোম্পানি খোলার নিবন্ধন ও পুরোনো কোম্পানির নিবন্ধন নবায়নসহ এসব কাজ ঘুষ ছাড়া করা যায় না। এটাই এখানকার নিয়মে পরিণত হয়েছে।
এসব বিষয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় রুবেল হোসেন নামে আরেক আইনজীবীর সঙ্গে, যিনি নিয়মিত আরজেএসসি থেকে সাধারণ মানুষকে সনদ নেয়ার কাজে সাহায্য করেন।
এখানে অবৈধ লেনদেন হয় কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে নানা ধরনের সমস্যা আমাদের মোকাবিলা করতে হয়। এখানে কাজের তুলনায় লোকবল অনেক কম, যার কারণে ফাইলের জট লেগেই থাকে। মানুষও হয়রানির শিকার হয়।
‘তাছাড়া হাই ম্যানেজমেন্টের তদারকির অভাব আছে, যার কারণে অনেক কর্মকর্তাই সময়মতো কাজ করেন না। পাবলিক রিলেশনেরও অভাব আছে এই অফিসে। সাধারণ মানুষ জানে না এই অফিসে কীভাবে কী করতে হয়। কর্তৃপক্ষ এগুলোর সমাধান করতে পারলে আমাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঘুষের টাকাসহ দুদক কর্মকর্তাদের হাতেনাতে ধরা পড়া সহকারী নিবন্ধক সিরাজ উদ্দিন এখনো বহাল তবিয়তে আরজেএসসিতে রয়েছেন। অভিযোগ আছে, তিনি এখনো অবৈধ লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী নিবন্ধক সিরাজ উদ্দিনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে আরজেএসসির নিবন্ধক মো. মকবুল হোসেনের সঙ্গে।
অনলাইনে নিবন্ধন নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা কোনো আলু-পটলের ব্যবসা না। ব্যবসা করতে হলে আমাদের এই সিস্টেম বুঝতে হবে। একটা অনলাইন সিস্টেমে যা যা থাকা দরকার আমাদের ওয়েবসাইটে তার সবই আছে। যারা এটা বোঝে না বলে তারা নিজেরাই দুর্বোধ্য। তারা অশিক্ষিত, লেখাপড়া জানে না।’
সহকারী নিবন্ধক সিরাজ উদ্দিনের দুদকের হাতে ধরা পড়ার পরও কীভাবে এখনো বহাল আছেন জানতে চাইলে আরজেএসসি প্রধান বলেন, ‘তাকে যে সময় দুদক ধরেছিল সে সময় আমি এখানে ছিলাম না। আর এটা দুদকের বিষয়, তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’
সনদ পেতে ঘাটে ঘাটে ঘুষ লাগার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিরক্তি প্রকাশ করে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আপনি কি এইসব বিষয় শোনার জন্য আমাকে মোবাইল করছেন? এইভাবে কি কেউ কাউকে ইন্টারভিউ নেয়?’
এর এক পর্যায়ে স্যরি, স্যরি বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন আরজেএসসির নিবন্ধক মকবুল।
বাংলাদেশের বাজারে গত বছর প্রথমবারের মতো ল্যাপটপ নিয়ে আসে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। ইনবুক ওয়াইটু প্লাস নামের ল্যাপটপটি দিচ্ছে চমৎকার ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ী দামের প্রতিশ্রুতি। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী ও এক্সিকিউটিভদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে এ ল্যাপটপ।
দেখে নেওয়া যাক কী আছে ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস ল্যাপটপটিতে। এর ফিচার, পারফরম্যান্স ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাই বা কেমন।
ডিজাইন ও গঠন
স্লিক ও হালকা ডিজাইনের ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস সহজেই সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। শিক্ষার্থী ও ব্যস্ত এক্সিকিউটিভদের জন্য এ ল্যাপটপ যথার্থ। এর পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক মেটালিক ডিজাইন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে দেয় প্রিমিয়াম অনুভূতি। স্লিক প্রোফাইল ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত সরু বেজেল ল্যাপটপটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। ফলে বাজারের একই ধরনের দামি ল্যাপটপের সমকক্ষ হয়ে ওঠে ওয়াইটু প্লাস।
তা ছাড়া এর মসৃণ এজি গ্লাস টাচ প্যানেলের কারণে সিল্কি-স্মুথ ও স্থায়ী টাচের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। ১.৫ মিলিমিটার কি ট্র্যাভেল এবং ব্যাকলাইটিংযুক্ত রেসপনসিভ কি-বোর্ড টাইপিংকে করে তোলে সহজ ও আরামদায়ক। তাই কম আলোতেও টাইপ করতে কোনো সমস্যা হয় না।
পারফরম্যান্স ও প্রোডাক্টিভিটি
১১তম প্রজন্মের কোর আই৫ প্রসেসর ও ৮ জিবি র্যাম রয়েছে ইনফিনিক্স ওয়াইটু প্লাসে। স্টোরেজের প্রয়োজন মেটাতে এতে আছে ৫১২ জিবি এনভিএমই পিসিআইই এসএসডি। প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যার, ওয়েব ব্রাউজ করা কিংবা কনটেন্ট স্ট্রিম করাসহ সব ধরনের উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানো যায় খুব সহজেই। এর ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিকস সাধারণ গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া এডিটিংয়ের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় গ্রাফিকস পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। উইন্ডোজ ১১ পরিচালিত ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের অপারেটিং সিস্টেম সবার পরিচিত ও ব্যবহার করা সহজ।
ডিসপ্লে ও মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতা
উজ্জ্বল রং ও ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে স্পষ্ট ও পরিষ্কার ভিজ্যুয়াল দেয় ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লেযুক্ত ইনবুক ওয়াইটু প্লাস। ৮৫ শতাংশ স্ক্রিন-টু-বডি রেশিওর সঙ্গে চমৎকার মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতার জন্য ডিসপ্লেটি দারুণ। কাজেই আপনার প্রিয় নেটফ্লিক্স সিরিজ দেখা কিংবা ফটো এডিট করা— সবই হবে স্বাচ্ছন্দ্যে।
ল্যাপটপটিতে আছে ডুয়েল এলইডি ফ্ল্যাশ ও এআই নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তিযুক্ত ১ হাজার ৮০ পিক্সেলের ফুল এইচডি+ ক্যামেরা। এর ফলে ভিডিও কলের অভিজ্ঞতা হবে আরও উন্নত।
ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং
ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের ৫০ ওয়াট-আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কোনো চার্জ ছাড়াই প্রতিদিনের কাজে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। পাশাপাশি এর ৪৫ ওয়াট টাইপ-সি পোর্টযুক্ত চার্জারে ডিভাইসটি দ্রুত ও সহজেই চার্জ করা যায়। ফলে ভারী চার্জার বহনের প্রয়োজন হয় না।
দাম
ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অনুমোদিত ইনফিনিক্স রিটেইলার থেকে ল্যাপটপটি কেনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:‘ডিজিটাল আর্কিটেকচার ট্রান্সফরমেশন ইন লোকাল গভর্মেন্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক উদ্যোগের পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নে স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন ও অবহিতকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় রাজশাহীতে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নির্দেশিত স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র জনাব এএইচএম খায়রুজ্জামা (লিটনের) পরামর্শক্রমে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের (বিএমজিএফ) অর্থায়ন এবং এটুআই, আইসিটি ডিভিশনের বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের ৫টি পাবলিক ফাইন্যানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট (হোল্ডিং ট্যাক্স, ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন ধরনের সনদ যেমন জাতীয়তা সনদ, রিকশা/ভ্যান লাইসেন্স, বিদ্যুৎ/গ্যাসসহ বিভিন্ন ধরনের বিল) সংক্রান্ত সেবার স্মার্ট রূপান্তরের লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল আর্কিটেকচার ট্রান্সফরমেশন ইন লোকাল গভর্মেন্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক উদ্যোগ রাজশাহীতে বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।
উদ্যোগের পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন ও অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রায় ৬০ জনের অংশগ্রহণে ৩ দিনব্যাপী কর্মশালার প্রথম দিন মঙ্গলবার রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়। এ উদ্যোগটি রাজশাহী সিটি করপোরেশন, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদে পাইলটিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়।
উক্ত উদ্যোগের প্রধান সমন্বায়ক এটুআই, আইসিটি ডিভিশন চিফ ই-গর্ভনেন্স ড. ফরহাদ জাহিদ শেখ বর্ণিত কর্মশালায় স্মার্ট সার্ভিস ট্রান্সফরমেশন অ্যান্ড প্রসেস ডিজাইন এবং পাইলটিং কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন, রাজশাহী জেলা পরিষদ, পবা উপজেলা পরিষদ, চারঘাট পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদ, কাটাখালী পৌরসভা ও পারিলা, হরিপুর, হরিয়ান, হুজরীপাড়া ও ইউনিয়নের সম্মানিত মেয়র, চেয়ারম্যান, মেম্বার, কাউন্সিলর, প্রধান প্রকৌশলী, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সচিব, সিস্টেম অ্যানালিস্ট এবং এটুআই আইসিটি ডিভিশনের কর্মকর্তারা।
দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে বিগত বছরগুলোর প্রতিকূলতা কাটিয়ে রেকর্ড ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। চলতি বছর ওয়ালটন পণ্যের বিক্রয় বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। যার পরিপ্রেক্ষিতে চলতি হিসাব বছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই’২০২৩-মার্চ’২০২৪) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ওয়ালটন হাই-টেকের মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা বা ২০৫ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির মুনাফা ব্যাপক বৃদ্ধিসহ আর্থিক প্রায় সব সূচকেই উন্নতি হয়েছে।
ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাব বছরের জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
রোববার কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৮তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাব বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬২.৩৪ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৪৯.৯১ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা বেড়েছে ৫১২.৪২ কোটি টাকা। শতকরা হিসেবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০৫ শতাংশ।
এদিকে চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২০২৪) ওয়ালটনের মুনাফা হয়েছে ৪২১.৯৮ কোটি টাকা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২৩৫.৫৫ কোটি টাকা।
বিক্রয় বৃদ্ধির পাশাপাশি কস্ট অব গুড্স সোল্ড উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির মোট মুনাফার শতকরা হার পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। তাছাড়া মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাপক হারে হ্রাস পাওয়ায় কোম্পানিটির কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সমাপ্ত সময়ে (জুলাই’২০২৩-মার্চ’২০২৪) প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫.১৭ টাকা; যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিলো ৮.২৫ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির এনএভিপিএস পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত দাঁড়িয়েছে ২৫৮.২২ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫৯.৬৮ টাকা। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ২২.৮৮ টাকা।
চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। প্রথম নয় মাসে বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে ৬.১৪ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিলো ১৪.৭৯ শতাংশ।
এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটি ৩৯২.৭৩ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলো। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে মাত্র ৪১.৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এদিকে জুলাই-২০২৩ থেকে মার্চ-২০২৪ পর্যন্ত সময়ে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৬৩.০৭ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ৬০৪.৭৯ কোটি টাকা।
এছাড়া, শেষ প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন’২০২৪) কোম্পানির মুনাফা আরো দৃঢ় অবস্থানে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট। প্রেস রিলিজ
শীর্ষস্থানীয় রাইড শেয়ারিং অ্যাপ উবারের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ইনডেক্স-এর অষ্টম সংস্করণ প্রকাশ হয়েছে রোববার।
উবার ব্যবহারকারীরা কোন জিনিসগুলো গাড়িতে সবচেয়ে বেশি ফেলে রেখে গেছেন এবং দিনের কোন সময়ে, সপ্তাহের কোন দিনে ও বছরের কোন সময়ে হারানো জিনিস রিপোর্ট করেছেন, এসব তথ্যের একটি স্ন্যাপশট হলো এ ইনডেক্স।
গত এক বছরের মে ও জুন মাসে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে বেশি জিনিসপত্র ভুলে ফেলে রেখে গেছেন। বেশির ভাগ জিনিসপত্র ফেলে রেখে আসার ঘটনাটি ঘটেছে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে।
গত বছর বাংলাদেশজুড়ে যাত্রীদের ভুলে যাওয়া জিনিসের তালিকায় প্রথম দুটি স্থানে ছিল পোশাক ও ছাতা। তালিকায় এর পরেই ছিল ওয়ালেট, বালিশ ও হেডফোন।
বাংলাদেশিরা উবারে এ রকম সাধারণ জিনিসপত্র যেমন ভুলে ফেলে রেখে গেছেন, স্পিকারের মতো অপ্রত্যাশিত জিনিসও তেমনি ভুলে রেখে গেছেন।
উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ইনডেক্স সম্পর্কে বলেন, ‘যাত্রীদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্য উবারের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রিপের সময় যাত্রীদের ফেলে যাওয়া জিনিস নিরাপদে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেয়াও এর অন্তর্ভুক্ত। হারানো জিনিস খুঁজে পেতে উবারের কিছু ইন-অ্যাপ অপশন আছে।
‘এ ব্যাপারে যাত্রীদের জানানোর জন্য লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ইনডেক্স একটি চমৎকার শিক্ষণীয় উপায়। যাত্রীদের আমরা জানাতে চাই যে, রাইডের সময় তারা কিছু ভুলে ফেলে গেলে তাদের সাহায্য করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’
ফেলে যাওয়া জিনিস উদ্ধারের উপায়
গাড়িতে ফেলে যাওয়া কোনো জিনিস উদ্ধারের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো চালককে কল করা। কীভাবে করবেন জেনে নিন।
১. ‘ইয়োর ট্রিপস’ অপশনে ট্যাপ করুন এবং যে ট্রিপে আপনার জিনিসটি হারিয়ে গেছে, তা সিলেক্ট করুন
২. নিচে স্ক্রল করে ‘ফাইন্ড লস্ট আইটেম’ অপশনে ট্যাপ করুন
৩. ‘কনটাক্ট ড্রাইভার অ্যাবাউট আ লস্ট আইটেম’ অপশনে ট্যাপ করুন
৪. স্ক্রল করে নিচে নামুন এবং আপনার সঙ্গে যোগযোগ করা যাবে এমন একটি ফোন নম্বর লিখুন। সাবমিট অপশনে ট্যাপ করুন
৫. যদি নিজের ফোন হারিয়ে যায়, তাহলে আপনার বন্ধুর ফোন নম্বর ব্যবহার করুন (এর জন্য আপনাকে কম্পিউটার বা বন্ধুর ফোন থেকে নিজের অ্যাকাউন্টে লগ ইন করতে হবে)
৬. আপনার ফোন বেজে উঠবে এবং আপনার চালকের মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আপনাকে সরাসরি যুক্ত করে দেয়া হবে
৭. যদি চালক ফোন ধরেন এবং নিশ্চিত করেন যে আপনার জিনিসটি পাওয়া গেছে, সেটি ফিরিয়ে নিতে উভয়ের জন্য সুবিধাজনক একটি সময় ও স্থান নির্বাচন করুন
৮. যদি চালকের সাথে যোগাযোগ করতে না পারেন, আপনার হারানো জিনিসটির বিস্তারিত বর্ণনা এবং আপনার সঙ্গে যোগাযোগের উপায় জানিয়ে চালককে একটি ভয়ে সমেইল পাঠিয়ে রাখুন
উবারে কিছু হারিয়ে ফেললে সহজে কীভাবে তা ফিরে পেতে পারেন, এই ভিডিও থেকে তা দেখে নিন।
উবার যাত্রীরা যেসব জিনিস সবচেয়ে বেশি ভুলে ফেলে রেখে গেছেন, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে পোশাক। এরপরই রয়েছে ছাতা, ওয়ালেট, নেক-পিলো, হেডফোন ও স্পিকার।
যে শহরগুলোতে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি জিনিস হারিয়েছেন, তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা। এরপরের স্থানগুলো যথাক্রমে চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল।
বছরের যে দিনগুলোতে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশিসংখ্যক জিনিস ভুলে রেখে গেছেন তার মধ্যে রয়েছে ১৩ মে, ২০২৩। এ ছাড়া ৯ জুন এবং ১৬ জুন, ২০২৩ বেশি ভুল করেছেন যাত্রীরা।
সপ্তাহের শুক্র, শনি ও রোববার সবচেয়ে বেশি জিনিস হারিয়েছে।
দিনের যে সময়ে যাত্রীরা সবচেয়ে বেশি জিনিস ফেলে রেখে যান, তার সময় রাত আটটা। এরপরই সন্ধ্যা সাতটা ও রাত ৯টায় বেশি জিনিস ফেলে রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন:কমানোর পরের দিনই বাড়ল স্বর্ণের দাম। ভালো মান বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৬২৯ টাকা। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৭ টাকা।
রোববার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন দাম কার্যকর করা হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী, ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৫১৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৪২০ টাকা বাড়িয়ে ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ এপ্রিল দেশের বাজারে রেকর্ড স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাজুস। ওই সময় ভরিতে ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়। তাতে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকা। এটিই সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিল। পরে শনিবার ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম কমে ৮৪০ টাকা। এতে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকা।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্যমতে, এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধপথে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার এসেছে।
এর আগে মার্চ মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে এসেছে ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
দেশের স্বর্ণের বাজারে চলতি এপ্রিল মাসেই ২২ ক্যারেটের ভরিতে তিন দফায় ৪ হাজার ৫৬০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। এবার প্রতি ভরিতে দাম কমানো হয়েছে ৮৪০ টাকা। নামমাত্র এই কমানোর পর ভালো মানের (২২ ক্যারেট) এক ভরি স্বর্ণের দাম দাড়িয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) শনিবার এই দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে। সংগঠনটির মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের দাম কিছুটা কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বাজুস এর চলতি মাসে তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল ২ হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের স্বর্ণ ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ১৯৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা ভরি বিক্রি হবে।
এদিকে স্বর্ণের দাম বাড়নো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। বর্তমানে ২২ ক্যারেট প্রতি ভরি রুপা ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপা ১ হাজার ২৮৩ টাকা ভরি বিক্রি হচ্ছে।
মন্তব্য