× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অনুসন্ধান
জয়েন্ট স্টকের ঘাটে ঘাটে ঘুষের ফাঁদ
google_news print-icon

জয়েন্ট স্টকের ঘাটে ঘাটে ঘুষের ফাঁদ!

জয়েন্ট-স্টকের-ঘাটে-ঘাটে-ঘুষের-ফাঁদ
জয়েন্ট স্টক নামে পরিচিত যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক (আরজেএসসি) পরিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় অবস্থিত রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে। ছবি: সংগৃহীত
দেশের যেকোনো জায়গায় যৌথ ব্যবসা বা এককভাবে বড় কোনো ব্যবসা করতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের (আরজেএসসি) সনদ বাধ্যতামূলক। নিউজবাংলার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, জয়েন্ট স্টক নামে পরিচিত এই অফিস যেন এখন ভোগান্তির আরেক নাম। নতুন কোনো কোম্পানির নামের ছাড়পত্র ও নিবন্ধন সনদ নিতে ঘাটে ঘাটে দিতে হচ্ছে ঘুষ।

যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধক (আরজেএসসি) হলো বাংলাদেশ সরকারের একমাত্র অফিস, যা দেশের আইন অনুযায়ী কোম্পানি ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান গঠনের সুবিধা দেয় এবং এর মালিকানা সম্পর্কিত সব নথিপত্র সংরক্ষণ করে।

দেশের যেকোনো জায়গায় যৌথ ব্যবসা বা এককভাবে বড় কোনো ব্যবসা করতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এই পরিদপ্তরের সনদ বাধ্যতামূলক। জয়েন্ট স্টক নামে পরিচিত এই পরিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের টিসিবি ভবনে।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই অফিস যেন এখন ভোগান্তির আরেক নাম। নতুন কোনো কোম্পানির নামের ছাড়পত্র ও নিবন্ধন সনদ নিতে ঘাটে ঘাটে দিতে হচ্ছে ঘুষ।

এই নিবন্ধন সেবা কার্যক্রম বেশ কয়েক বছর অনলাইনে শুরু করা হলেও তার সুফল মেলেনি আজও। ডিজিটাল কারসাজির মাধ্যমে ঘুষ আদায় করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন উদ্যোক্তা ও আইনজীবী। অভিযোগ আছে পুরোনো কোম্পানির নিবন্ধন নবায়নেও ভোগান্তিতে পড়ার।

অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, নতুন কোম্পানি খুলতে বা পুরোনো কোম্পানির নিবন্ধন নবায়ন করতে অনেকেই আর এই অফিসে যেতে চান না। প্রয়োজন মেটাচ্ছেন আইনজীবীদের মাধ্যমে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আরজেএসসির প্রধান। নিউজবাংলার কাছে বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, এটা আলু-পটলের ব্যবসা না। একটা অনলাইন সিস্টেমে যা যা থাকা দরকার তা তাদের ওয়েবসাইটে আছে। শুধু ‘অশিক্ষিতরাই’ এটা বুঝতে পারে না।

বেশ কয়েক মাস আগে ব্যবসা শুরু করতে সনদ নিতে আরজেএসসিতে যান ওবায়দুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।

নিউজবাংলাকে সনদ নেয়ার তিক্ত অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমার নতুন কোম্পানির সনদ নিতে প্রথমে একাই জয়েন্ট স্টকে যাই। তারা আমাকে অনলাইনে আবেদন করতে বলে। তাদের কথামতো তাদের সাইটে ঢুকে নামের ছাড়পত্র নিতে গিয়ে দেখি প্রথমেই আমার ইউজার আইডি চাইছে। এখন নতুন মানুষ হিসেবে আমি কীভাবে বুঝব- ইউজার আইডি কীভাবে দিতে হয়?

‘পরে আরেকজনের সাহায্য নিয়ে নামের ছাড়পত্র নিই। এরপর নিবন্ধন সনদ নিতে গিয়ে দেখি অসংখ্য তথ্যের ঘর পূরণ করতে হবে। কষ্ট করে তারা যা যা চায় সেটাও পূরণ করলাম। টাকাও জমা দিলাম। কিন্তু পরে আমার সনদের আর কোনো হদিসই পেলাম না।’

ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘পরে এক আইনজীবীর কাছ থেকে জানতে পারলাম অনলাইনে ফরম পূরণের ২১ দিনের মধ্যে সনদ পেয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু কোনো ভুল তথ্য দিলে সেটা ২১ দিন পর আপনা আপনি বাতিল হয়ে যাবে। আমারটাও বাতিল হয়ে যায়। এই ভুলের জন্য পরে আইনজীবীর মাধ্যমে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পুনরায় আবেদন করে সনদ পেয়েছি।’

নিউজবাংলার কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘অনলাইনে ফরম পূরণ করলে আমার ভুল ধরিয়ে দেবে কে? একজন নতুন মানুষ কীভাবে বুঝবে কোনটা ভুল আর কোনটা সঠিক।’

আরজেএসসিতে বিভিন্ন কোম্পানির সনদ নিতে সাহায্য করেন এমন এক আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘অনলাইনে সনদ নেয়ার এমন একটা প্রক্রিয়া এখানে সৃষ্টি করা হয়েছে, যাতে নতুন কোনো সাধারণ মানুষ এটা না করতে পারেন। করলেও সবাই যেন ভুল করে- এটা তাদের জানা।

‘সবাই যেন আমাদের মতো আইনজীবীর মাধ্যমে করে সেই ব্যবস্থাই করা আছে। কারণ আইনজীবীরা সবাই কর্মকর্তাদের পরিচিত, তাই তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিতে তাদের কোনো সমস্যা হয় না। আমরাও রুটিরুজির জন্য কর্মকর্তাদের নিয়মিত ঘুষ দিয়ে কাজ করি।’

তিনি বলেন, অনলাইনে কোনো ভুল তথ্য রেকর্ড করা হলে তা সংশোধনের জন্য আবেদনকারীদের জানানোর কথা থাকলেও কর্মকর্তারা সেটা জানান না। তাই তারা বাধ্য হয়ে নিজেরাই ২১ দিনের মধ্যে কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। তখনই শুরু হয় ঘুষ লেনদেনের ঘটনা।

কারণ ২১ দিনের মধ্যেই ভুল সংশোধন করে সনদ পেতে হবে। ওই সংশোধন না করলে সনদ তো মিলবেই না, জমা দেয়া অর্থও ফেরত পাওয়া যাবে না। আর এই সুযোগটাই নেন অসাধু কর্মকর্তারা।

‘তাছাড়া সব সঠিক তথ্য দিলেও লাভ হয় না। ওখানকার সিন্ডিকেট টালবাহানা করতে থাকে। ফরমে সঠিক তথ্য থাকলেও তথ্যের ঘাটতি বা ভুল দেখায়। এসব অজুহাত দেখিয়ে ঘুষ দাবি করে আবেদনকারীর কাছে। না দিলে অনলাইনে এই সনদ আর পাওয়া যায় না।’

এই আইনজীবী জানান, এখানে নতুন কোম্পানির সনদ নিতে আসা ব্যক্তিদের দুই ধরনের কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে হয়। প্রথমে ঘুষ দিতে হয় অথরিটি কর্মকর্তাকে, যিনি কোম্পানির নামের প্রথম অক্ষর অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে থাকেন। আরজেএসসিতে এই রকম ১০ জন আছেন। এরা সবাই কমবেশি টাকার বিনিময়ে সনদ যাচাই-বাছাই করে থাকেন। টাকা না দিলে সনদ পাওয়া যায় না।

এই ১০ জনের মধ্যে কম্পিউটার অপারেটর মো. তাজুল ইসলাম, মো. জালাল উদ্দিন খান, শারমিন আক্তার, তাজমিন নাহার ও সঞ্জীব সরকার অন্যতম। এরা সবাই উচ্চমান সহকারী পদে কর্মরত। সাধারণ মানুষ সনদ নিতে গেলে এদের দুই-আড়াই হাজার টাকা দেয়া লাগেই। আর আইনজীবীরা গেলে এক হাজার টাকা দিলেই হয়।

এই আইনজীবী আরও জানান, এই অথরিটি কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাইয়ের পর ফাইল যায় সহকারী নিবন্ধকদের কাছে। তারাও টাকা ছাড়া ফাইল ছাড়েন না।

আরজেএসসিতে সহকারী নিবন্ধক পদে আছেন তিনজন। এর মধ্যে মো. সিরাজ উদ্দিন ও মো. শরিফুল ইসলাম এই ঘুষ সিন্ডিকেটের অন্যতম। এই সিরাজ গত বছর ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের কাছে ধরাও খেয়েছিলেন।

সে সময় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় মুচলেকা দিয়ে কোনো রকমে পার পেয়ে যান বলে জানান আরজেএসসি-সংশ্লিষ্ট এই আইনজীবী।

তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ এই সনদ নিতে গেলে এই তিন সহকারী নিবন্ধককে দিতে হয় তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। আর আমাদের দিতে হয় দুই হাজার টাকা।

‘সব মিলিয়ে একজন সাধারণ মানুষ সনদ নিতে গেলে তাকে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হবে। আর আমাদের মতো আইনজীবী দিয়ে সনদ নিতে গেলেও দুই থেকে তিন হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়।’

তিনি জানান, পুরোনো কোম্পানির নিবন্ধন নবায়ন, মালিকানা পরিবর্তনসহ নানা ধরনের ছাড়পত্রের জন্য যেতে হয় সহকারী নিবন্ধকের চেয়ে বড় কর্মকর্তাদের কাছে।

ওই আইনজীবী বলেন, ‘এসব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বেশি ঘুষ আদায় করেন বার্ষিক রিটার্ন ফাইলিং, কোম্পানির পরিচালক পরিবর্তনসহ সংশ্লিষ্ট সব নথির অবিকল নকল কপি সরবরাহসহ নানা ধরনের সেবার ছাড়পত্র দেয়ার নামে।’

তিনি জানান, নতুন কোম্পানি খোলার নিবন্ধন ও পুরোনো কোম্পানির নিবন্ধন নবায়নসহ এসব কাজ ঘুষ ছাড়া করা যায় না। এটাই এখানকার নিয়মে পরিণত হয়েছে।

এসব বিষয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় রুবেল হোসেন নামে আরেক আইনজীবীর সঙ্গে, যিনি নিয়মিত আরজেএসসি থেকে সাধারণ মানুষকে সনদ নেয়ার কাজে সাহায্য করেন।

এখানে অবৈধ লেনদেন হয় কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এখানে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে নানা ধরনের সমস্যা আমাদের মোকাবিলা করতে হয়। এখানে কাজের তুলনায় লোকবল অনেক কম, যার কারণে ফাইলের জট লেগেই থাকে। মানুষও হয়রানির শিকার হয়।

‘তাছাড়া হাই ম্যানেজমেন্টের তদারকির অভাব আছে, যার কারণে অনেক কর্মকর্তাই সময়মতো কাজ করেন না। পাবলিক রিলেশনেরও অভাব আছে এই অফিসে। সাধারণ মানুষ জানে না এই অফিসে কীভাবে কী করতে হয়। কর্তৃপক্ষ এগুলোর সমাধান করতে পারলে আমাদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঘুষের টাকাসহ দুদক কর্মকর্তাদের হাতেনাতে ধরা পড়া সহকারী নিবন্ধক সিরাজ উদ্দিন এখনো বহাল তবিয়তে আরজেএসসিতে রয়েছেন। অভিযোগ আছে, তিনি এখনো অবৈধ লেনদেন চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে সহকারী নিবন্ধক সিরাজ উদ্দিনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলেছে আরজেএসসির নিবন্ধক মো. মকবুল হোসেনের সঙ্গে।

অনলাইনে নিবন্ধন নিয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা কোনো আলু-পটলের ব্যবসা না। ব্যবসা করতে হলে আমাদের এই সিস্টেম বুঝতে হবে। একটা অনলাইন সিস্টেমে যা যা থাকা দরকার আমাদের ওয়েবসাইটে তার সবই আছে। যারা এটা বোঝে না বলে তারা নিজেরাই দুর্বোধ্য। তারা অশিক্ষিত, লেখাপড়া জানে না।’

সহকারী নিবন্ধক সিরাজ উদ্দিনের দুদকের হাতে ধরা পড়ার পরও কীভাবে এখনো বহাল আছেন জানতে চাইলে আরজেএসসি প্রধান বলেন, ‘তাকে যে সময় দুদক ধরেছিল সে সময় আমি এখানে ছিলাম না। আর এটা দুদকের বিষয়, তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না।’

সনদ পেতে ঘাটে ঘাটে ঘুষ লাগার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিরক্তি প্রকাশ করে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আপনি কি এইসব বিষয় শোনার জন্য আমাকে মোবাইল করছেন? এইভাবে কি কেউ কাউকে ইন্টারভিউ নেয়?’

এর এক পর্যায়ে স্যরি, স্যরি বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন আরজেএসসির নিবন্ধক মকবুল।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অনুসন্ধান
The transaction on the capital market with the index decreases

সূচকের সঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে

সূচকের সঙ্গে পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (১৪ জুলাই) পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন কমেছে। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার (১৪ জুলাই) ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৪ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৬১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৮ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ১১০৪ ও ১৯০০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

এদিন ডিএসইতে ৫৬৪ কোটি ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসের চেয়ে ১০০ কোটি টাকা কম। আগের দিন ডিএসইতে ৬৬৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।

সোমবার (১৪ জুলাই) ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৬টি কোম্পানির, কমেছে ১৬৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৬টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটের দর।

এদিন লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০টি প্রতিষ্ঠান হলো- ব্র্যাক ব্যাংক, খান ব্রাদার্স, বিচ হ্যাচারি, বিএটিবিসি, সী পার্ল, ওরিয়ন ইনফিউশন, ইসলামী ব্যাংক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রি, রহিমা ফুড ও মিডল্যান্ড ব্যাংক।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই সোমবার (১৪ জুলাই) ২৮ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৪ হাজার ৯৭ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১০৮টির, কমেছে ৯৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির শেয়ার দর।

সোমবার (১৪ জুলাই) সিএসইতে ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১ কোটি টাকা কম। আগের দিন সিএসইতে ৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছিল।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Bangladesh Bank bought and 1 million at the auction for the first time

প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রথমবারের মতো নিলামে ১৭ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনলো বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রথমবারের মতো নিলামের মাধ্যমে রোববার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ১৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বাড়ার ফলে মার্কিন ডলারের দাম টাকার তুলনায় গত এক সপ্তাহ ধরে কমছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে।

এই ডলার কেনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি ডলারের দাম ১২১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করেছে, যা বেশিরভাগ ব্যাংকের দেওয়া প্রায় ১২০ টাকা দামের চেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসস’কে জানান, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম স্থির রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কিনেছে।

তিনি বলেন, যদি ডলারের বিনিময় হার টাকার তুলনায় বেড়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক একইভাবে নিলামের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করবে।

তিনি আরও বলেন, টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার যেন স্থির থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো সময় বাজারে হস্তক্ষেপ করতে পারে।

একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন ট্রেজারি কর্মকর্তা জানান, রোববার প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২০ টাকা। আজ তা বেড়ে ১২১ টাকা ৫০ পয়সায় পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোববার অধিকাংশ ব্যাংক প্রতি ডলারের বিনিময় হার প্রায় ১২০ টাকা নির্ধারণ করেছিল। এক সপ্তাহ আগে এই হার ছিল ১২৩ টাকারও বেশি।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Chinas exports in June are better imports than expected by 5 percent increase

জুনে চীনের রফতানি ৫.৮ শতাংশ বৃদ্ধি, প্রত্যাশার চেয়ে ভালো আমদানিও

জুনে চীনের রফতানি ৫.৮ শতাংশ বৃদ্ধি, প্রত্যাশার চেয়ে ভালো আমদানিও

চীনের রপ্তানি ৫.৮ শতাংশ বেড়েছে গত জুন মাসে, যা পূর্বাভাসের চেয়েও ভালো ফলাফল। এ সময় ওয়াশিংটন ও বেইজিং পরস্পরের ওপর আরোপিত উচ্চ শুল্ক কমাতে একটি প্রাথমিক চুক্তিতে পৌঁছায়।

বেইজিং থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

চীনের শুল্ক প্রশাসনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুনে রপ্তানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৮ শতাংশ বেড়েছে। যদিও অর্থনীতিবিদদের নিয়ে ব্লুমবার্গের করা সমীক্ষায় ৫ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

এছাড়া, একই মাসে চীনের আমদানিও ১.১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেটিও পূর্বাভাস দেওয়া ০.৩ শতাংশের চেয়ে ভালো।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
In the first 12 days of July the remittance of around Rs

জুলাই মাসের  প্রথম ১২ দিনে এল প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স

জুলাই মাসের  প্রথম ১২ দিনে এল প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের প্রথম ১২ দিনে ১০৭ কোটি ১০ লাখ (১.০৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাস করা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ (এক ডলার ১২১ টাকা ধরে) প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাইয়ের প্রথম ১২ দিনে ১০৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। যা গত বছরের একই সময়ে আসে (২০২৪ সালের জুলাইয়ের ১২ দিন) ৯৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলার বা প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বেশি এসেছে।

এর আগে সদ্যবিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় প্রায় ২৮১ কোটি ৮০ লাখ (২.৮২ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স। দেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকার বেশি। আর প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ১ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।

এটি একক মাস হিসেবে তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। এর আগে মে মাসে দেশে এসেছে ২.৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

অন্যদিকে বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে জুন পর্যন্ত পুরো সময়ে মোট ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে এসেছে ২৯৭ কোটি ডলার এবং সবশেষ জুন মাসে এসেছে ২৮২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Trump is going to implement 5 percent of the tariff on Canada products on August 7

কানাডার পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, কার্যকর ১ আগস্ট

কানাডার পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসাতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, কার্যকর ১ আগস্ট

কানাডা থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১ আগস্ট থেকে এ শুল্ক কার্যকর হবে।

বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নিকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এই কথা জানান।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, সোমবার থেকে এ পর্যন্ত ট্রাম্পের এমন ধরনের ২০টিরও বেশি চিঠি গেছে বিশ্বের নানা দেশের নেতার কাছে। চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের অংশ হিসেবেই এসব পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি।

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে একটি বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২১ জুলাইয়ের মধ্যে সমঝোতায় পৌঁছানোর লক্ষ্য রয়েছে। তবে ট্রাম্পের সর্বশেষ এই হুমকিতে আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

একইসঙ্গে কানাডা ও মেক্সিকো উভয়ই ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করতে চেষ্টা করছে, যাতে উত্তর আমেরিকার তিন দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (ইউএসএমসিএ) আবার সঠিক পথে ফিরে আসে।

২০২০ সালের জুলাইয়ে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে পুরোনো (নাফটা) বাতিল করে ইউএসএমসিএ চালু করা হয়। ২০২৬ সালের জুলাইয়ে এর পরবর্তী পর্যালোচনা হওয়ার কথা। তবে দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প নানা দেশে শুল্ক আরোপ করে পর্যালোচনার প্রক্রিয়াই অস্থির করে তুলেছেন।

শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ২৫ শতাংশ শুল্ক বসায় কানাডা ও মেক্সিকোর বহু পণ্যের ওপর। কানাডার জ্বালানির ক্ষেত্রে অবশ্য কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়।

বাণিজ্যের পাশাপাশি অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার ঠেকাতে যথেষ্ট উদ্যোগ না নেওয়ার অভিযোগে প্রতিবেশী এ দুই দেশকে একাধিকবার সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।

তবে পরবর্তীতে ইউএসএমসিএ চুক্তির আওতায় থাকা পণ্যের ক্ষেত্রে তিনি ছাড় দেন, যার ফলে বড় পরিসরের পণ্য শুল্কমুক্ত হয়।

বৃহস্পতিবারের চিঠিটি এমন এক সময় এলো, যখন ট্রাম্প ও কার্নির মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা উষ্ণ হচ্ছিল। এমনকি এর আগে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানো নিয়েও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প।

গত ৬ মে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হোয়াইট হাউসে এসে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর পরের মাসে কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-৭ সম্মেলনেও আবার দেখা হয় দুই নেতার। সম্মেলনে ট্রাম্পকে বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে সরে আসার আহ্বান জানান বিশ্বনেতারা।

এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ওপর কানাডা যে কর আরোপ করেছিল, তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে ট্রাম্প আলোচনার টেবিল ত্যাগ করলেও পরে আবার আলোচনা শুরুর পথ খুলে যায়।

অন্যদিকে, এনবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, যেসব দেশকে এখনো এ ধরনের চিঠি পাঠানো হয়নি, তাদের ওপরও ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় আছে। সেটিও কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।

তিনি জানান, ব্রাজিলের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক নির্ধারণ করা হয়েছে, যদি এর আগেই কোনো সমঝোতা না হয়।

এনবিসি’কে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ টি দেশের উদ্দেশে চিঠি পাঠানো হবে ‘আজ বা আগামীকাল (শুক্রবার)’।

এদিকে, ট্রাম্পের হুমকির পর বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী। তবে দেশটি পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করছে।

ট্রাম্পের পাঠানো চিঠিতে ব্রাজিলের সাবেক ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোর প্রতি আচরণ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Jute shrimp export revenue in Khulna is around Tk 1000 crore

খুলনায় পাট-চিংড়ি রপ্তানি আয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা

২০২৪-২৫ অর্থবছর
খুলনায় পাট-চিংড়ি রপ্তানি আয় প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা

খুলনা অঞ্চলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পাট, পাটজাত পণ্য, চিংড়ি, সবজি ও ফলমূল রপ্তানি করে আয় হয়েছে ৫ হাজার ৯৭১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দেওয়া তথ্যমতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে বিদেশে নতুন বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ায় খুলনা থেকে পাট, পাটজাত পণ্য এবং চিংড়ি রপ্তানি বেড়েছে।

ইপিবি আরও জানায়, বিশ্ব অর্থনীতির উন্নতির কারণেও রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত খুলনা অঞ্চলের রপ্তানি আয় ছিল ৫ হাজার ৩৭৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা। আর চলতি অর্থবছরে একই সময়ে আয় দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৭১ কোটি টাকায়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ১৩ হাজার ১৯ দশমিক ৮০ টন হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি করে আয় হয়েছে ১ হাজার ৯৯০ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

এছাড়া কুচিয়া, কাঁকড়া, সবজি, কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের রপ্তানিও বেড়েছে।

মাসভিত্তিক রপ্তানি আয়ের হিসাবে দেখা যায়, খুলনা অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা জুলাইয়ে ৫১৭ কোটি ৬৮ লাখ, আগস্টে ৪৪৭ কোটি ৫৩ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৬০১ কোটি ৯৮ লাখ, অক্টোবরে ৫৬৬ কোটি ৯৬ লাখ, নভেম্বরে ৫২৩ কোটি ১৩ লাখ, ডিসেম্বরে ৪৫৭ কোটি ৩৭ লাখ, জানুয়ারিতে ৪২৩ কোটি ৬৫ লাখ, ফেব্রুয়ারিতে ৪০২ কোটি ৫২ লাখ, মার্চে ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ, এপ্রিলে ৫৫০ কোটি ৮৭ লাখ, মে মাসে ৬১১ কোটি ৬৯ লাখ এবং ২০২৫ সালের জুনে ৪২৯ কোটি ১১ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি করেছেন।

খুলনা ইপিবির পরিচালক জিনাত আরা জানান, বৈশ্বিক অর্থনীতির উন্নতি, বৈদেশিক মুদ্রার স্থিতিশীলতা এবং বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ফিরে আসায় রপ্তানি বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘পূর্ববর্তী সরকারের আমলে সরকারি পাটকল ও চিংড়ি কারখানা বন্ধসহ নানা কারণে খুলনা অঞ্চলের রপ্তানি কমে গিয়েছিল।’

পাট ও বস্ত্র উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সম্প্রতি খুলনা সফর করেছেন উল্লেখ করে তিনি জানান, খুলনা অঞ্চল পাট, চিংড়ি ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানিতে তার আগের গৌরব ফিরে পাবে। সরকার বন্ধ থাকা পাটকলগুলো বেসরকারি খাতে ইজারা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে, যাতে সেগুলো পুনরায় চালু করা যায়।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএফইএ)’র সাবেক সহ-সভাপতি মো. আবদুল বাকী বাসসকে বলেন, ‘খুলনার ব্যবসায়ীরা মনে করছেন দেশে অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশের কারণে চিংড়ি, পাট, পাটজাত পণ্য ও অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

তিনি আরও জানান, খুলনায় মোট ৬৩টি চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা থাকলেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উৎপাদন ও বৈদেশিক চাহিদা কমে যাওয়ায় ৩৩টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।

যোগাযোগ করা হলে পাট ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ পাট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ)-এর সাবেক সহ-সভাপতি ও পাট ব্যবসায়ী শরীফ ফজলুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববাজারে কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। খুলনায় এর বড় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ সরকারের নীতির তীব্র সমালোচনা করে তিনি অভিযোগ করেছেন, পতিত সরকার দেশের পাট খাত ধ্বংস করে দিয়েছে।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
The adviser to ensure transparency in the preparation of financial reports to increase investment

বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আর্থিক প্রতিবেদন প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার

বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে আর্থিক প্রতিবেদন প্রণয়নে স্বচ্ছতা নিশ্চিতের আহ্বান অর্থ উপদেষ্টার

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিরীক্ষক এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের আর্থিক প্রতিবেদন ও নিরীক্ষায় আরও স্বচ্ছতা ও সততা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগকারীরা যখন একটি দেশের ব্যবসা পরিবেশ সম্পর্কে স্পষ্ট ও নির্ভরযোগ্য তথ্য পান, তখন তারা সেই অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন।’

রাজধানীর একটি হোটেলে ‘অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড অডিটিং সামিট’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিশ্বব্যাংক এবং ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) যৌথভাবে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শাসনে এফআরসি’র ভূমিকা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ. মনসুর, ঢাকাস্থ বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর সৌলেমানে কুলিবালি এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন।

অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি) চেয়ারম্যান ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

ড. সালেহউদ্দিন বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিরীক্ষা ও হিসাবরক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যারা এসব কাজে জড়িত তাদের স্বচ্ছতা ও সততা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।

ড. আহসান এইচ. মনসুর বলেন, দেশীয় ও বিদেশি উভয় বিনিয়োগকারীর আস্থা অর্জনের জন্য ব্যাংকগুলোর নিরীক্ষা প্রতিবেদন স্বচ্ছভাবে এবং যথাযথ তথ্যসহ উপস্থাপন করা উচিত।

তিনি বলেন, একটি সুদৃঢ়, সহনশীল ও ভবিষ্যতমুখী আর্থিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে দেশের সব ব্যাংকে রিস্ক-বেসড সুপারভিশন (আরবিএস) চালু করা হবে।

মূল প্রবন্ধে এফআরসি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশ যখন একটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন সুসংগঠিত প্রতিষ্ঠান ও সুশাসন কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

তিনি বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল একটি সুস্পষ্ট ম্যান্ডেট নিয়ে কাজ করছে যা আর্থিক প্রতিবেদন, নিরীক্ষা, মূল্যায়ন এবং সঠিক মানদণ্ডে সততা, শৃঙ্খলা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।’

তিনি আরও বলেন, এফআরসি চায় সব পক্ষ যেন পূর্ণ প্রকাশসহ সত্য আর্থিক প্রতিবেদন প্রস্তুত করে, যাতে অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা বজায় থাকে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) প্রকৃত ও কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব—আয়কর ও ভ্যাট—সংগ্রহ করতে পারে।

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘ভুয়া বা মিথ্যা আর্থিক প্রতিবেদনই কর ফাঁকি ও কর এড়ানোর প্রধান হাতিয়ার।’

মন্তব্য

p
উপরে