× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অনুসন্ধান
আবু হেনার মর্জিতে ৯ কোটি টাকার করোনা কিট
google_news print-icon

আবু হেনার ‘মর্জিতে’ ৯ কোটি টাকার করোনা কিট

আবু-হেনার-মর্জিতে-৯-কোটি-টাকার-করোনা-কিট
সিএমএসডি পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান। ছবি: সংগৃহীত
সিএমএসডি পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান গত ৯ মে জিএস বায়োটেক নামের একটি নতুন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই এক লাখ আরটি পিসিআর কিটের সরবরাহ নেন। এই সরবরাহের আগে কোনো ধরনের নোটিফিকেশন অফ অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) ইস্যু করা হয়নি। এছাড়া, কেনাকাটার প্রতিটি ধাপে হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম।

সরকারি আইন ও বিধি না মেনেই কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে (সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরস ডিপো-সিএমএসডি) প্রায় ৯ কোটি টাকার করোনা পরীক্ষার আরটি পিসিআর কিট কেনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরকারি কার্যাদেশ ও ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়াই এসব কিট কেনা হয়েছে।

এর আগে গত বছরেও কেন্দ্রীয় ঔষধাগারে চিকিৎসা সরঞ্জাম ও করোনা সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটা নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে বিভিন্ন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের ৩৪৩ কোটি টাকার বিল আটকে আছে।

অভিযোগ উঠেছে, সেই সমালোচনা রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও কোনো রকম চুক্তি ছাড়াই একক সিদ্ধান্তে সিএমএসডির পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান তার ‘পছন্দের কোম্পানির’ কাছ থেকে এক লাখ কিট কিনেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান জিএস বায়োটেকের মাধ্যমে সম্প্রতি ৯ কোটি টাকায় ১ লাখ কিট কিনেছে সিএমএসডি। এসব কিট গত রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বুঝে নিয়েছে। এর আগে ৬ মে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ ব্যাপারে অনাপত্তি দেয়।

নিউজবাংলার অনুসন্ধানে জানা যায়, সিএমএসডি পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান গত ৯ মে জিএস বায়োটেক নামের একটি নতুন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই এক লাখ আরটি পিসিআর কিটের সরবরাহ নেন। এই সরবরাহের আগে কোনো ধরনের নোটিফিকেশন অফ অ্যাওয়ার্ড (এনওএ) ইস্যু করা হয়নি।

আবু হেনার ‘মর্জিতে’ ৯ কোটি টাকার করোনা কিট

পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী, সরকারি ক্রয় পদ্ধতিতে যে কোনো সরবরাহ নেয়ার আগে ক্রয়কারী কার্যালয় প্রধানের মাধ্যমে ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন পেতে হয়। আনুষ্ঠানিক দর কষাকষির পর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির প্রস্তাব ঠিক করে ক্রয় প্রক্রিয়া শুরুর বিধান রয়েছে।

এই অনুমোদন পাওয়ার পর নোটিফিকেশন অফ অ্যাওয়ার্ড জারি করে কার্য সম্পাদন জামানত ও কার্য সম্পাদন চুক্তি করে সরবরাহ নেয়ার নিয়ম রয়েছে।

তবে এক লাখ কিট কেনার ক্ষেত্রে সিএমএসডির পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামান এসব নিয়মের তোয়াক্কা না করে তার একক সিদ্ধান্তে জিএস বায়োটককে কিট সরবরাহের অনুমতি দেন। কিট সরবরাহের পুরো প্রক্রিয়াটিই অস্বচ্ছ হওয়ায় এখানে ব্যাপক দুর্নীতির শংকা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরকারি সরবরাহ কাজে কোনো প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করার ক্ষেত্রে তাদের অভিজ্ঞতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। তবে নতুন লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান জিএস বায়োটেকের করোনা কিটের রিএজেন্ট নিয়ে কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতাই নেই।

আবু হেনার ‘মর্জিতে’ ৯ কোটি টাকার করোনা কিট
কিটের কার্টন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, জিএস মূলত একটি গার্মেন্টস কোম্পানি। সিএমএসডি পরিচালকের সঙ্গে সুসম্পর্কের সুযোগ নিয়ে কোনো যোগ্যতা ছাড়াই এই কোম্পানি কিট সরবরাহ করেছে।

করোনা পরীক্ষার আরটি পিসিআর কিট আমদানি করতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এনওসি বা অনাপত্তি নিতে হয়। নিউজবাংলার হাতে আসা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এনওসিতে দেখা যায়, কিট সরবরাহকারী প্রকৃত প্রতিষ্ঠান চিনের সানসিউর কোম্পানি। তবে সরাসরি তাদের কাছ থেকে না এনে হংকংয়ের জাইলি ইন্ডস্ট্রি কোম্পানি নামে তৃতীয় পক্ষের কাছ থেকে এগুলো দেশে আনা হয়েছে।

হংকং থেকে কিট সংগ্রহের ক্ষেত্রেও কোনো নিয়ম মানা হয়নি। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছ থেকে এনওসি নেয়া হয় ২৩ এপ্রিল। এই এনওসি দেয়ার পূর্ব শর্ত হিসেবে ওয়ার্ক অর্ডার এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে হয়। তবে এগুলো এনওসি পেয়েছে জিএস বায়োটেক।

অভিযোগ আছে, ক্রয় কমিটি থেকে শুরু করে মূল্য যাচাই কমিটিতে একটি একটি চক্র রয়েছে, যার সবাই সিএমএসডির পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামানের ঘনিষ্ঠ।

আবু হেনার ‘মর্জিতে’ ৯ কোটি টাকার করোনা কিট

প্রতিষ্ঠানটির আগের বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন কেনাকাটার নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, কখনও কখনও মালামাল কেনার ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় অনুমোদন, অধিদপ্তর অনুমোদন, ক্রয় কমিটি ও মূল্য যাচাই কমিটির মিটিং, নোটিফিকেশন অফ অ্যাওয়ার্ড ইস্যু, কার্যাদেশ চুক্তি সবই একই তারিখে হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, আবু হেনা মোর্শেদ জামান সব ধরনের জরুরি কেনাকাটায় একক সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন। সবশেষ এক লাখ কিট কেনায় অনিয়মের তথ্য পেয়ে বুধবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল মহাখালির স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্টোর পরিদর্শন করে। সেখানকার নথি ঘেঁটে জানা যায়, গত ৯ মে জিএস বায়োটেকের কাছ থেকে থেকে এক লাখ পিসিআর কিট বুঝে নিয়েছেন স্টোর কিপার। তবে তার কাছে কোনো ওয়ার্ক অর্ডার বা আনুষঙ্গিক কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। শুধু জিএস বায়োটেকের একটি অসম্পূর্ণ চালান কপি পেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল।

এসব অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোরস ডিপোর (সিএমএসডি) উপসচিব শরীফ মুহম্মদ ফয়েজুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কথা বলার উপযুক্ত ব্যক্তি নই। আমি স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এখানে অ্যাটাচমেন্টে আছি। কোনো অনিয়মের বিষয়ে জানতে হলে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষেরর কাছ থেকে জেনে নেন।’

অন্যদিকে, সিএমএসডির উপ-পরিচালক তউহীদ আহমদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সুনির্দিষ্টি পণ্যের কেনাকাটায় কোনো অনিয়ম হলে এবং সেক্ষেত্রে লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি আমরা দেখব।’

নতুন প্রতিষ্ঠান জিএস বায়োটেকের মাধ্যমে করোনা কিটের মতো স্পর্শকাতর পণ্য সংগ্রহ ঝুঁকিপূর্ণ কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘জিনিসপত্র কেনার ক্ষেত্রে সরকারের কিছু প্রেসক্রাইবড ফরম্যাট আছে, কোনো কিছু কিনতে হলে সেভাবে দরপত্র আহ্বান করতে হবে। সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সিটিউ একটা প্রতিষ্ঠান আছে, তার মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড ডক্যুমেন্ট তৈরি করা থাকে, এই ডক্যুমেন্টস অনুযায়ী কারও যদি লাইসেন্স না থাকে বা অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকে তাহলে অটোমেটিক্যালি বাদ পড়ে যাবে। অভিজ্ঞতা না থাকলে তার এগেইন্সেটে একটা পয়েন্ট থাকে।’

আবু হেনার ‘মর্জিতে’ ৯ কোটি টাকার করোনা কিট

তউহীদ আহমদ বলেন, ‘এ বছর টেন্ডার দিয়ে কোনো মালামাল সংগ্রহ করা হয় নাই। যে কয়টা মালামাল কেনা হয়েছে মন্ত্রণালয়ের সরাসরি পারমিশনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে।’

বিতর্ক ওঠা এক লাখ কিটের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডিপিএম (ডাইরেক্ট পার্চেজ মেথড) পদ্ধতিতে আনা হলে সেটা আমার দেখার বিষয় না, এ বিষয়ে ডিরেক্টরের কাছে জানতে পারেন।’

গত বছর কার্যাদেশ ছাড়া কেনাকাটার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘কার্যাদেশ ছাড়া জিনিসপত্র আনায় সমস্যা হয়েছে। বিল-টিল আটকে আছে, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ হচ্ছে।’

এ বিষয়ে সিএমএসডির পরিচালক আবু হেনা মোর্শেদ জামানের মোবাইল ফোনে অনেকবার কল করা তিনি রিসিভ করেননি। মোবাইল ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

কিট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জিএস বায়োটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈকত সাহার মোবাইল ফোনে কল করেও সাড়া পায়নি নিউজবাংলা।

আরও পড়ুন:
করোনাভাইরাস প্রভাব ফেলছে মানব জিনে!
এভারেস্টকে ভাগ করছে চীন
করোনাভাইরাসকে ‘জৈব অস্ত্র’ বানানোর পরিকল্পনা হয়েছিল!
নতুন ভ্যারিয়েন্ট, টিকার ঘাটতিতে উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞরা
ভারতে করোনা রোগীদের নতুন আতঙ্ক ‘কালো ছত্রাক’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

আরো ১৩ জনের করোনা শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১২টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ দিন প্রতি ১০০ নমুনায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু ২৯ হাজার ৫২১ জন। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২২ জনের। এছাড়া ২০২০ সালের ৮ মার্চ থেকে মোট শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৫২ হাজার ১২৭ জন। এর মধ্যে গত জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ৫৮২ জন।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
The number of people in the dengue is increasing

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে

একদিনে রেকর্ড ৪২৯ জন শনাক্ত, চলতি বছর ১০ হাজার ছাড়াল
ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।

এডিশ মশাবাহিত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। সারা দেশে মশা নিধন কার্যক্রমের দুর্বলতার কারণে ডেঙ্গু পরিস্থিতি উদ্বেগজনক মোড় নিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসের তুলনায় জুন মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বছরের শুরুর দিকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম ছিল। জানুয়ারিতে ১,১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪, মার্চে ৩৩৬ এবং এপ্রিলে ৭০১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে মে মাস থেকে পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করে এবং জুনে এসে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। আশঙ্কার বিষয় হলো, ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে, বিশেষ করে বরগুনায়, ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেক বেশি।

এদিকে চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ২৯৬ জনে পৌঁছেছে। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ৪২৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে
অঞ্চলভেদে নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গু রোগীর তালিকা:

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন শনাক্ত ৪২৯ জন ডেঙ্গুরোগীর মধ্যে— বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪৯ জন; চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন; ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৬১ জন; ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ৪২ জন; ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৪৫ জন; খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২১ জন ও রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩৫৮ জন রোগী। চলতি বছরে এ পর্যন্ত মোট ৯ হাজার ৮৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন।

চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে পুরুষ ৫৯ দশমিক ১ শতাংশ এবং নারী ৪০ দশমিক ৯ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না ঘটলেও চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৪২ জন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে একজন রাজশাহী বিভাগের বাসিন্দা।

এদিকে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, এডিস মশার বিস্তার এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে রাজধানীর বাইরের এলাকাগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, 'মে মাসের তুলনায় জুনে আক্রান্তের সংখ্যা তিনগুণ হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুলাইয়ে এ সংখ্যা চার থেকে পাঁচগুণ এবং আগস্টে দশগুণ পর্যন্ত বাড়তে পারে।'

প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২৯৬ জনে। এর আগে ২০২৩ সালের পুরো বছরে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মারা যান ১ হাজার ৭০৫ জন। ২০২৪ সালের পুরো বছরের (১ জানুয়ারি–৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সর্বমোট হিসাব অনুযায়ী, ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৭৫ জন।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
The body of 20 more people in the country

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

দেশে আরও ২১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত

করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের মধ্যে দেশে আরও ২১ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ জুন) সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় এসব শনাক্ত হয়েছে। তবে, নতুন করে কোনো মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি এই সময়ের মধ্যে।

সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ২০ লাখ ৫২ হাজার ১১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ জন। আর দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৫২১ জনের।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Dengue death of 5 more people in a day

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে আরও ৩৮৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

গত শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত (একদিনে) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ৩৮৩ জন রোগী। এসব রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩৬ জন আক্রান্ত বরিশাল বিভাগে। একইসঙ্গে এই সময়ে ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, হাসপাতালে নতুন ভর্তিদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫৫ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৪৮, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৩২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ২৮, খুলনা বিভাগে ৪১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১০ জন এবং রাজশাহী বিভাগে ৩৩ জন নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

এদিকে গত এক দিনে সারাদেশে ৩৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮ হাজার ৭২৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯ হাজার ৮৬৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে বছরের এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।

মন্তব্য

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সিলেটে করোনায় একজনের মৃত্যু

সারাদেশে করোনা ভাইরাসের নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট এর সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পর সিলেট এ ভাইরাসে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার দুপরে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন করে করোনার আক্রমন শুরুর পর সিলেটে প্রথম এই কোন রোগী মারা গেলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনায় আক্রান্ত ৬৯ বছর বয়েসি পুরুষ ১৯ জুন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান তিনি। এছাড়া সিলেটে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ জন বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. মিজানুর রহমান জানান, নিহত ব‍্যক্তির বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়। তিনি করোনা ছাড়াও আরও অন‍্যান‍্য জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
One more death in Karona in Chittagong is the new identification

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ৬

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে; গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন আরও ছয়জন। এ নিয়ে চলতি জুন মাসেই জেলায় করোনায় মৃতের সংখ্যা সাতজনে দাঁড়াল।

২৮ জুন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাঠানো সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলার মিরসরাই উপজেলার বাসিন্দা সালেহা বেগম (৪০) নামে এক নারী শুক্রবার নগরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকেই তিনি হৃদরোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।

এদিকে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৯১টি নমুনা পরীক্ষা করে ছয়জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন নগরের এবং দুজন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

শনাক্ত হওয়া রোগীদের মধ্যে নগরের শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চারজন এবং এভারকেয়ার হাসপাতালে দুজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে চলতি জুন মাসে মোট ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬৬ জন পুরুষ, ৬৩ জন নারী ও একজন শিশু রয়েছে।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Two more deaths in Barisal Dengue

বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

নতুন আক্রান্ত ১০৫
বরিশালে ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু

মশাবাহীত রোগ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের দুই জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় গোটা বিভাগের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছেন আরও ১০৫ জন আক্রান্ত রোগী। এ নিয়ে বর্তমানে বিভাগের ছয় জেলার সরকারি হাসপাতালগুলোতে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন। মৃত্যুবরণ করা দুজন হলেন- বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কালিকাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আ. করিম (৫০) ও পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী ইউনিয়নের রাজপাড়া এলাকার মো. ইউসুফ খন্দকার (৭২)। এর মধ্যে আ. করিম বরিশাল শেরইবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ও বৃদ্ধ মো. ইউসুফ খন্দকার কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা উদ্বেগ ও আশঙ্কাজনক। এ পরিস্থিতি থেকে বেরোতে হবে। চিকিৎসার চেয়ে প্রতিরোধ জরুরি। তাই মশার বিস্তার রোধ করতে বাড়ির আশেপাশে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করতে হবে। মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষায় ব্যবস্থা নিতে হবে।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪ হাজার ৩০৫ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। বর্তমানে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৩৫ জন।

বরগুনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। মৃত ১১ জনের মধ্যে ছয়জনেরই বরগুনার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। শুধু মৃত্যুই নয় এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যাও বেশি, বরগুনা জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৬৩২ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মন্তব্য

p
উপরে