× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অনুসন্ধান
কেমন আছে সেই পল্টন ময়দান
google_news print-icon

কেমন আছে সেই পল্টন ময়দান

কেমন-আছে-সেই-পল্টন-ময়দান
পল্টন ময়দানে এখন আর রাজনৈতিক উত্তেজনা নেই। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
কয়েক দশকের উত্তাল রাজনীতিকে ধারণ করা ঐতিহাসিক পল্টন ময়দান এখন ধুঁকছে। মাঠের জায়গা ঘিরে গড়ে উঠেছে একের পর এক ভবন। আর সেগুলোর দাপটে ময়দানের পুরোনো রূপ এখন কল্পনা করাই কঠিন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে পল্টন ময়দান। দেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে অসংখ্য গৌরবগাথার জন্ম দিয়েছে এই ময়দান।

পল্টনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে মওলানা ভাসানী, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া—সবাই নির্দেশনা দিয়েছেন নেতাকর্মীদের।

ঢাকার বুকে এই ময়দান দেড় দশক আগেও ছিল সভা-সমাবেশের অন্যতম প্রধান জায়গা। পল্টন ময়দান থেকে নেতাদের দেয়া বিভিন্ন নির্দেশনা ছড়িয়ে পড়ত সারা দেশে।

ঐতিহাসিক সেই পল্টন ময়দান এখন কেমন আছে, তা সরেজমিনে অনুসন্ধান করেছে নিউজবাংলা।

আশপাশেই এখন অপরিচিত

পল্টনের খুব কাছেই গুলিস্থান এলাকায় ভর দুপুরে রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রমিজ মিয়া। পল্টন ময়দানটি কোথায়, জানতে চাইলে তিনি মাথা নেড়ে জানালেন, চেনেন না।

তার মতোই একই উত্তর পাওয়া গেল কয়েকজন ঠেলাগাড়িওয়ালা, পথচারী, দায়িত্বরত পুলিশ ও ফুটপাতের চা-দোকানির কাছ থেকে।

তবে আরেকটু এগিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পূর্বপাশের ফুটপাতে খাবারের ব্যবসায়ী আফসার মিয়াকে জিজ্ঞেস করতেই বললেন, ‘ওই যে দ্যাহেন স্টেডিয়ামের তিন নম্বর গেট, তার সাথের ছোট মাঠটা।’

ছোট মাঠ কেন, এমন প্রশ্নে আফসার কণ্ঠে আক্ষেপ, ‘অহন কি আর সেই ময়দান আছে! ময়দানের জায়গায় এখন অনেক কিছু উঠছে। এক কোনায় একটু জায়গা ফাঁকা। আমি ৪৫ বছর এহানে আছি। আগে ময়দানে ঘটি গরম চানাচুর আর বাদাম বিক্রি করতাম। তহন অনেক সভা হইত, কিন্তু অনেক দিন কিছুই হয় না। হইবোই বা কই, জায়গা থাকলে তো!’

আফসার একটুও বাড়িয়ে বলেননি। কয়েক দশকের উত্তাল রাজনীতিকে ধারণ করা ঐতিহাসিক পল্টন ময়দান এখন ধুঁকছে। মাঠ ঘিরে গড়ে উঠেছে একের পর এক ভবন। আর সেগুলোর দাপটে ময়দানের পুরোনো রূপ এখন কল্পনা করাই কঠিন।

আফসার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে যখন সভা-সমাবেশ হইত তহন আগের দিন মাইকিং হইত। একটা অন্যরকম ব্যাপার স্যাপার ছিল। বড় নেতারা আইতো, বক্তৃতা করত। অহন আর সেই ময়দান নাই। ঢাকায় যারা দুই-দশ বছরের মধ্যে ঢুকছে তারা চিনবোই না পল্টন ময়দান কই ছিল।’

কেমন আছে সেই পল্টন ময়দান

নামেমাত্র ময়দান

পল্টন ময়দানের বেশির ভাগ জায়গা জুড়েই এখন বিভিন্ন ভবন। শুধু পূর্ব দিক খালি রেখে বাকি তিন দিক থেকে সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে মাঠটি।

পশ্চিম পাশে উত্তর-দক্ষিণে লম্বা হয়ে গড়ে উঠেছে সুবিশাল শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স। আর দক্ষিণে যেখানে জনসভার মঞ্চ বানানো হতো, সেখানকার কিছু অংশ নিয়ে দক্ষিণের সীমানা পর্যন্ত গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশন। আগে থেকেই অল্প জায়গায় গড়ে ওঠা অলিম্পিক ফেডারেশনও তাদের পরিধি বাড়িয়েছে সেখানে।

উত্তর-পূর্ব কোণে গড়ে উঠেছে হ্যান্ডবল ফেডারেশন, নার্সারি। আর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তার দক্ষিণ অংশ ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।

কেমন আছে সেই পল্টন ময়দান

ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন নিউজবাংলাকে জানান, ব্রিটিশ আমলে একটি নতুন সেনানিবাস গড়তে ঢাকার তখনকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট চার্লস ডস নবাবপুর ও ঠাঁটারীবাজার ছাড়িয়ে শহরের উত্তর-পূর্ব দিকের জায়গায় বেশ কিছু সংস্কার করেন। সেখানে সিপাহিদের ছাউনি, অফিসারদের বাসস্থান ও প্যারেড গ্রাউন্ড করা হয়।

এ এলাকাটিই বর্তমান পল্টন বা পুরানা পল্টন এলাকা। ঢাকার ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, এই পল্টনের অবস্থান ছিল স্রোতস্বিনী পাণ্ডু নদীর তীরে। সেই নদীর অস্তিত্ব পরে বিলীন হয়ে যায়।

মুনতাসীর মামুন জানান, মশা, ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন উপদ্রব ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে ব্রিটিশদের তৈরি করা সেনানিবাসটিও পরে পরিত্যক্ত হয়। ১৮৫৯ সালে তখনকার সার্ভেয়ার জেনারেলের ঢাকার মানচিত্রে পল্টনকে একটি বিরান অঞ্চল হিসেবে দেখানো হয়।

সেনানিবাস সরিয়ে নেয়ার পর পল্টন এলাকাটির পরিচর্যার দায়িত্ব পায় মিউনিসিপ্যাল কমিটি। এরপর এক অংশে গড়ে তোলা হয় ‘কোম্পানির বাগান’। আরেক অংশ খেলাধুলা ও বিভিন্ন সময় সিপাহিদের কুচকাওয়াজের জন্য ব্যবহার করা হতো। উনিশ শতকের শেষার্ধে পল্টনে মাঝেমধ্যে জনসভা হতে শুরু করে। পাকিস্তান পর্বে এই ময়দানই ছিল মুক্তিকামী বাঙালির আন্দোলন-সমাবেশের মূল কেন্দ্র।

স্বাধীনতার পরেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের প্রাণকেন্দ্র ছিল পল্টন ময়দান। নিয়মিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ হতো এখানে। তবে জিয়াউর রহমানের সময়ে পল্টনে সভা-সমাবেশের ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করায় সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়তে শুরু করে।

নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় আবার প্রাণ ফিরে পায় পল্টন ময়দান। তবে এরশাদের পতনের পরের প্রায় দেড় যুগে এই ময়দান ধীরে ধীরে ঔজ্জ্বল্য হারাতে থাকে।

কেমন আছে সেই পল্টন ময়দান

মোহাম্মদ হানিফ ঢাকার মেয়র থাকার সময়ে পল্টন ময়দানকে সিটি করপোরেশনের অধীনে নিয়ে সমাবেশের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের পর এ ময়দানের নিয়ন্ত্রণ পায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পল্টন ময়দান বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এই মাঠে জনসভায় বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেটা ছিল ১৯৭১ সালের ৩ মার্চের ঘটনা।

‘শুধু তাই না। জাতির মুক্তিসনদ ছয় দফা দেয়ার কারণে বঙ্গবন্ধু মুজিবসহ সর্বমোট ৩৫ জনকে ফাঁসি দেয়ার লক্ষ্যে আগরতলা মামলার আসামি করা হয়। ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু কার্যালয়ে ডাকসু ভিপি হিসেবে আমার সভাপতিত্বে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি শপথ দিবসে পল্টন ময়দানে সভাপতির ভাষণ শেষে স্লোগান তুলি- শপথ নিলাম শপথ নিলাম মুজিব তোমায় মুক্ত করব; শপথ নিলাম শপথ নিলাম, মাগো তোমায় মুক্ত করব।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে পল্টনের মহাসমুদ্রে আমরা ১০ ছাত্রনেতা প্রিয় নেতা শেখ মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক সবার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্বৈরশাসকের উদ্দেশে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম প্রদান করি। জনরোষের ভয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান আগরতলা মামলা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুসহ সব রাজবন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পল্টন ময়দান শুধু একটা মাঠ না। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের কাছে এর আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। এক সময়ে দেশের সকল আন্দোলন, কর্মসূচি, দাবি-দাওয়া আহ্বানের সাক্ষী এই পল্টন ময়দান। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের বাঘা বাঘা নেতাদের তেজদীপ্ত কণ্ঠে তোলা দাবি-দাওয়া এবং সেগুলো আদায়ের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাউন্ড এই মাঠ।

‘সিপিবির অনেক গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ও সভা সমাবেশের সাক্ষীও পল্টন ময়দান। এখানে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলায় দলের ৭ নেতাকর্মী নিহত হন। আবার এই ময়দান থেকেই গণমানুষের হয়ে বহু দাবি আদায় করেছে সিপিবি।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপির কাছে পল্টন ময়দান অনেক অর্থ বহন করে। এই ময়দানে দাড়িয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কথা বলেছেন। ওখানে দাঁড়িয়ে বহু আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাছাড়া পল্টন ময়দান থেকেই কিন্তু চার দলীয় ঐক্যজোট গঠন হয়।

‘শুধু তাই না, এরশাদের আমলে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন হয়েছিল পল্টন ময়দানে। আমি নিজে পল্টন ময়দান থেকে একবার বিশাল মিছিল বের করে নিউ মার্কেট পর্যন্ত গিয়েছিলাম। সবশেষ ২০০৫ সালে পল্টন ময়দানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সমাবেশ করে বিএনপি।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অনুসন্ধান
Seven suggestions to prevent corona infection again

আবারও বাড়ছে করোনা, সংক্রমণ প্রতিরোধে সাত পরামর্শ

আবারও বাড়ছে করোনা, সংক্রমণ প্রতিরোধে সাত পরামর্শ

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। চিহ্নিত হচ্ছে ভাইরাসটির নতুন নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশেও সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

সংক্রমণ ঠেকাতে বন্দরে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি জনসাধারণের উদ্দেশ্যে সাতটি পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। বুধবার (১১ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সতর্কতার কথা জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।

তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাসজনিত সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা ভাইরাসের কয়েকটি নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট এরইমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে।’

‘আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের বিস্তার প্রতিরোধে দেশের সব স্থল-নৌ-বিমান বন্দরের আইএইচআর ডেস্কে নজরদারি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়গুলো জোরদার করার বিষয়ে এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।

এসময় স্বাস্থ্য মহাপরিচালক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ৭ নির্দেশনা দেন। সেগুলো হলো-

১. জনসমাগম এড়িয়ে চলুন। একান্ত প্রয়োজন হলে অবশ্যই মাস্ক পরুন।

২. শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে বাঁচতে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করুন।

৩. হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখুন (কনুই বা টিস্যু ব্যবহার করে)।

৪. ব্যবহৃত টিস্যু ঢাকনাযুক্ত ময়লার ঝুড়িতে ফেলুন।

৫. সাবান ও পানি অথবা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ধুয়ে ফেলুন।

৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করবেন না।

৭. আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে অন্তত ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।

সংবাদ সম্মেলনে করোনা শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থার প্রস্তুতির বিষয়েও বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, করোনা শনাক্তে আবারও আরটি-পিসিআর ও র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি করোনার টিকা, প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন, হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা, ভেন্টিলেটর, আইসিইউ ও এইচডিইউ সুবিধাসহ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলো প্রস্তুত রাখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও সেবা প্রদানকারী স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম যেমন—কেএন-৯৫ মাস্ক, পিপিই ও ফেস শিল্ড নিশ্চিত করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে এসব প্রস্তুতি চলছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট দেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে দেশের বিমানবন্দর, স্থলবন্দর ও নৌবন্দরে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালার (আইএইচআর) আওতায় পরিচালিত ডেস্কগুলোকে আরও সক্রিয় করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

নওগাঁয় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলা

নওগাঁয় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলা

নওগাঁর মহাদেবপুরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা করায় বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটছে বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের।

মামলার এজাহারে ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারবাকপুর গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক আব্দুল মান্নান ও তার ভাতিজা শাহজাহান আলীর সাথে একই গ্রামের আজাহার আলী, তার ভাই ওবায়দুল হক, ওয়াহেদ আলী ও শামসুল আলমের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে আলী ও তার ছেলে সোহেল রানা এবং তাদের লোকজন গত রোববার বারবাকপুর জামে মজসিদে আসরের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুল মান্নানের উপর হামলা চালায়। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে আব্দুল মান্নানের ভাতিজা শাহজাহান আলীসহ পরিবারের আরও চারজনকে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় শাহজাহান আলী বাদী হয়ে পরদিন সোমবার থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করলেও অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে আসামি ও তাদের লোকজন মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যদের দাবি।

মামলার বাদী শাহজাহান আলী বলেন, আজহার আলী তার ছেলে ও ভাই ভাতিজারা দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়ভাবে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আগে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে আমাদের প্রতিপক্ষ তাদের স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় আমাদের পক্ষে আইনজীবীরা লিখিতভাবে তাদের মতামত জানান। যেসব জমি তারা দাবি করে আসছে সেগুলোর সিএস, আরএস জরিপে আমাদের নামে রেকর্ডভুক্ত। তারপরেও অন্যায়ভাবে তারা আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করে আসছে। আমাদের একটি পুকুর লিজ দেওয়া আছে। গত ২৩ এপ্রিল প্রতিপক্ষের লোকজন ওই পুকুর থেকে জোরপূূর্বক মাছ লুট করে এবং পুকুরে থাকা জাল পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় আদালতে মামলা করেন মাছচাষী। মামলার পর তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরই জেরে গত রোববার আবারো হামলা চালায় তারা। এ ঘটনায় মামলার পরেও আসামিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরো বলেন, তারা প্রায় সবাই মাদকাসক্ত। তারা সন্ত্রাসী কায়দায় আমাকে, আমার স্ত্রী ও সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে। আরো বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে এমন আশঙ্কায় দিন কাটছে তাদের।

মামলায় অভিযুক্ত আজহার আলী বলেন, আমার বাবার ভাগের সম্পত্তি আমার চাচা ও ভাতিজারা জোর করে খাচ্ছে। এ বিষয়ে আদালতে একটি বাটোয়ারা মামলা চলছে। এছাড়া আমাদের ভোগদখলীয় সম্পত্তিও তারা বিভিন্ন সময় দখলের চেষ্টা করছে। তারা আমাদের উপর মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

মহাদেবপুর থানার ওসি শাহীন রেজা বলেন, মারধরের ঘটনায় করা মামলার এক নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিরা পলাতক থাকলেও তাদেরকে ধরার চেষ্টা চলছে। মামলা তুলে নিতে হুমকির বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
One of the terrorists attacked in Jessores Sharsha

যশোরের শার্শায় সন্ত্রাসীদের হামলয় একজন নিহত

যশোরের শার্শায় সন্ত্রাসীদের হামলয় একজন নিহত

যশোরের শার্শায় সন্ত্রাসীদের হামলয় বিএনপি কর্মী নিহত হয়েছে। এলাকায় অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।

মঙ্গলবার (১০ জুন) রাত ১০টার দিকে উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লিটন (৩০) দুর্গাপুর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল (মঙ্গলবার) রাত ১০ টার দিকে লিটন বাজারে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় ওই এলাকার সেলিম ও রমজান তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় এবং কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

এ সময় লিটনের চিৎকারে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্বজনরা এসে তাকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বাবা আজগর আলী বলেন, ‘স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মমিন, সেলিম হোসেন ও রমজান আলীর সঙ্গে তার ছেলের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধ ছিল। তারা এর আগেও কয়েকবার আমার ছেলেকে মারধরও করেছে। ঈদের আগের দিন তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কিও হয়। এসব ঘটনার জেরে লিটনকে হত্যা করা হয়েছে।’

শার্শা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লিটন বলেন, ‘লিটন বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী। শত্রুতার জেরে সেলিম ও রমজানসহ সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলার লক্ষ্মণপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটকের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।’

মন্তব্য

অনুসন্ধান
In Pabna a mother killed in a cover van with a mother and daughter

পাবনায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মা মেয়েসহ নিহত ৩

পাবনায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মা মেয়েসহ নিহত ৩

পাবনার ঈশ্বরদীতে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মা মেয়েসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও একজন।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের ভর্তি করা হয়।

বুধবার (১১ জুন) সকাল ৭টায় ঈশ্বরদী উপজেলার ছলিমপুর ইউনিয়নের মুন্নার মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন নাটোর সদর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মফিজুল ইসলামের স্ত্রী সুর্বনা খাতুন, মেয়ে পূর্ণতা এবং ঈশ্বরদীর ছলিমপুর ইউনিয়নের মুন্নার মোড় এলাকার মৃত আবেদ আলী মন্ডলের ছেলে আনিছুর রহমান।

পাকশী হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশফিকুর রহমান জানান, অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য মফিজুল ইসলাম পরিবারসহ কুষ্টিয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজ বাড়ি নাটোরে ফিরছিলেন। পথে ঈশ্বরদীর মুন্নার মোড়ে সড়কের পাশে লিচু কিনতে মোটরসাইকেল থামান। এসময় পিছন থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান মফিজুল ইসলাম, তার স্ত্রী, মেয়ে এবং এক লিচু বিক্রেতাকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মা-মেয়ে ও আনিছুর রহমানের মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত মফিজুল ইসলামকে উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

তবে দুর্ঘটনার পর ঘাতক কাভার্ড ভ্যানটি পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশফিকুর রহমান।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Rail connectivity with Rajshahi is normal after withdrawing the siege

অবরোধ প্রত্যাহারের পর রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

অবরোধ প্রত্যাহারের পর রাজশাহীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে তিন ঘণ্টা রেলপথ অবরোধ করেছিলেন স্থানীয়রা। বুধবার (১১ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত এই অবরোধ করেন তারা। এতে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া বিভিন্ন স্থানের ট্রেন আটকা পড়ে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে অবরোধ শুরু করে স্থানীয়রা। স্টেশনের দুই পাশে লাল নিশান দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরপর তারা সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। আন্দোলনকারীরা স্টেশন সংস্কার ও আন্তঃনগর ট্রেন থামানোর দাবি-সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন তুলে ধরেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেও তিন ঘণ্টা পর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
অবরোধের ফলে রাজশাহী থেকে সারাদেশের সঙ্গে তিন ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঈদের ছুটি শেষে ঢাকাসহ বিভিন্ন গন্তব্যে ফেরা মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ট্রেনগুলোর শিডিউল বিপর্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কর্মকর্তারা।
এদিন সকালে রাজশাহী থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া সাগরদাঁড়ি ট্রেন সবার প্রথমে আটকা পড়েন। এরপর ঢাকাগামী মধুমতি ও চিলাহাটিগামী তিতুমীর এক্সপ্রেস আরেকটি স্টেশনে রাখা হয়। বনলতা ও সিল্কসিটি এক্সপ্রেস রাজশাহী স্টেশনে থেকে যায়। আন্দোলন প্রত্যাহার করা হলে ট্রেনগুলো ছেড়ে যায়।
তাদের দাবি, নন্দনগাছি স্টেশনে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস, বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতি দিতে হবে এবং স্টেশন সংস্কার করতে হবে। এই দাবি না মানা হলে আবারও ২০ তারিখ রেলপথ অবরোধের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, ১৯২৯ সালে উপজেলার নন্দনগাছী স্টেশনটি স্থাপিত হয়। শতবর্ষী স্টেশনটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায় ২০১৫ সালের শেষের দিকে। বন্ধের আগে ১২ জন জনবল থাকলেও বর্তমানে শুধু পোর্টারম্যান পদে একজন কর্মরত আছেন। এখানে দুটি লোকাল ট্রেন থামে। প্রায় ২০ বছর ধরে বন্ধ এই স্টেশনের কোনো কার্যক্রম নেই। পুরো স্টেশনের প্লাটফর্মে ছাউনি আছে। স্টপেজ না থাকলেও অনেক সময় ক্রসিং এর জন্য দাঁড়ায় ট্রেন।
পশ্চিম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক আহম্মদ হোসেন মাসুম বলেন, নন্দনগাছি রেলওয়ে স্টেশনে স্থানীয় দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করছে। এর আগেও তারা অবরোধ করেছিলেন। তখন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছিল। তারা ঈদের এই সময় অবরোধ করে যাত্রীদের ভোগান্তিতে ফেলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের কাছে গিয়ে দাবি-দাওয়া শোনা হয়েছে। তারা তিন ঘণ্টা পর অবরোধ তুলে নেয়। এরপর ট্রেনগুলো চলতে শুরু করে। এতে ঢাকাগামী তিনটি ট্রেনই শিডিউল বিপর্যয় হওয়ার আশঙ্কা আছে।

এর আগে একই দাবিতে গেল ১ মে আন্তঃনগর ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করেছে হাজারো মানুষ। এ সময় রাজশাহী ও চিলাহাটির মধ্যে চলাচল করা বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ও লোকাল মেল ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
District administration next 

দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হরিজনদের পাশে জেলা প্রশাসন 

দুষ্কৃতকারীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হরিজনদের পাশে জেলা প্রশাসন 

নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনী ইউনিয়নের জালশুকা স্টেশন বাজারসংলগ্ন এলাকায় রবিদাস সম্প্রদায়ের পাঁচটি পরিবারের ওপর হামলা ও ঘরবাড়ি ভেঙে দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বনানী বিশ্বাসের নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নেত্রকোণা জেলার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার।

বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার।

এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং ঘটনার বিস্তারিত শুনেন। এছাড়াও সহকারী কমিশনার(ভূমি) নাজনীন আখতার, পূর্বধলা থানার অফিসার ইন চার্জ (তদন্ত) মিন্টু দে ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে মত বিনিময় করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সার্বিক সহায়তা ও সুষ্ঠু বিচারের ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোণার পূর্বধলায় পাঁচটি হরিজন পরিবারের ওপর হামলা ও ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। কয়েক দিন ধরে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের জালশুকা বাজার সংলগ্ন রেললাইনের পাশের একটি খাসজমিতে বংশপরম্পরায় বসবাস করছে কয়েকটি হরিজন পরিবার। কিছু দিন ধরে পূর্বধলা উপজেলার ধারা গ্রামের জানু মিয়ার ছেলে সিরাজ মিয়া জমিটি তাঁর ব্যক্তিমালিকানাধীন বলে দাবি করেন এবং পরিবারগুলোকে জমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলেন। এ ঘটনায় হরিজন পল্লির বাসিন্দা সুনীল রবিদাস সম্প্রতি নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে সিরাজ ক্ষিপ্ত হয়ে প্রথমে শুক্রবার সুনীল রবিদাসের বাড়িতে হামলা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের মারধর করেন। এরপর গত রোববার পুনরায় হামলা চালিয়ে তিনটি ঘর ভাঙচুর করেন। মঙ্গলবার দুপুরে ফের কিছু গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে হামলা চালায় এবং অবশিষ্ট দুইটি ঘর ভাঙচুরসহ পরিবারগুলোর সদস্যদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। ফলে পাঁচটি পরিবারের ২২ জন সদস্য আশ্রয়হীন হয়ে বসত ভিটায় খোলা আকাশের নিচে রাতদিন কাটায়।

অভিযুক্ত সিরাজ মিয়ার সঙ্গে চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। পালিয়ে আত্মগোপনে আছেন।

পূর্বধলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিন্টু দে জানান, আজ বুধবার সকালের দিকে নেত্রকোণা জেলা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার ও সহকারী কমিশনার ভূমি নাজনীন আখতার সহ স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনদের নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘরবাড়িগুলো ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী অনিল রবিদাস বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

পূর্বধলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজনীন আখতার জানান, খবরটি শুনতে পেয়ে বিশকাকুনি ইউনিয়নের তহশিলদারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, এই জমিটি ব্যক্তিমালিকানাধীন নয়, খাস খতিয়ানভুক্ত।

আজ বুধবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকারের সাথে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুখময় সরকার জানান, জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস এর পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি পরিবারের ২২জন সদস্যের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বনানী বিশ্বাস অতিদ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি পরিবারকে ১০বান্ডিল টিন এবং প্রতি পরিবারকে ১০হাজার টাকা করে অর্থসহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তিনি আরও আশ্বস্ত করেছেন দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের ব্যবস্থা করা হবে।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Commonwealth is interested in supporting Bangladeshs renovation process 

কমনওয়েলথ বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহায়তায় আগ্রহী 

কমনওয়েলথ বাংলাদেশের সংস্কার প্রক্রিয়ায় সহায়তায় আগ্রহী 

কমনওয়েলথ মহাসচিব শার্লি আয়র্কর বোচওয়ে বলেছেন, আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী সংস্থাটি।

গতকাল লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বোচওয়ে বলেন, 'বাংলাদেশ যদি চায়, বিশেষ করে সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য, তাহলে আমরা সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।'

বোচওয়ে বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা আগামী পাঁচ বছরের জন্য কমনওয়েলথের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার।

তিনি আরও জানান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সংগ্রামে সহায়তা করাও সংগঠনের অগ্রাধিকারভিত্তিক লক্ষ্য।

কমনওয়েলথ ২.৭ বিলিয়ন জনগণের প্ল্যাটফর্ম উল্লেখ করে ঘানার এই নাগরিক বলেন, বর্তমানে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগামী কয়েক বছরে তা কমপক্ষে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, কমনওয়েলথের অনেক সদস্য রাষ্ট্র জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এর মধ্যে অনেক দেশ আকারে অত্যন্ত ছোট।

'আমরা তাদের জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার পেতে সহায়তা করার চেষ্টা করব,' তিনি বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কমনওয়েলথ মহাসচিবকে ক্রীড়া খাতে সম্ভাবনা অনুসন্ধান এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়ানোর আহ্বান জানান।

'ক্রীড়া শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি একটি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও। আমরা ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উৎসাহ দিচ্ছি। কমনওয়েলথের স্মরণীয় হয়ে ওঠার জন্য ক্রীড়া হতে পারে একটি ভালো মাধ্যম,' বলেন প্রধান উপদেষ্টা।

কমনওয়েলথ মহাসচিব জানান, চলতি মাসে তারা ঢাকায় একটি যুব প্রোগ্রাম আয়োজন করতে যাচ্ছেন।

তিনি আরো জানান, কমনওয়েলথের ১.৫ বিলিয়ন জনগণ তরুণ এবং তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার জন্য তারা কাজ করছেন।

তিনি জানান, তারা কমনওয়েলথ বৃত্তিগুলো পুনর্গঠনের পরিকল্পনাও করছেন, একটি ক্ষেত্র যা প্রধান উপদেষ্টা গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

সাক্ষাৎকালে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

p
উপরে