× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

অনুসন্ধান
কেমন আছে সেই পল্টন ময়দান
google_news print-icon

কেমন আছে সেই পল্টন ময়দান

কেমন-আছে-সেই-পল্টন-ময়দান
পল্টন ময়দানে এখন আর রাজনৈতিক উত্তেজনা নেই। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস
কয়েক দশকের উত্তাল রাজনীতিকে ধারণ করা ঐতিহাসিক পল্টন ময়দান এখন ধুঁকছে। মাঠের জায়গা ঘিরে গড়ে উঠেছে একের পর এক ভবন। আর সেগুলোর দাপটে ময়দানের পুরোনো রূপ এখন কল্পনা করাই কঠিন।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে পল্টন ময়দান। দেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে অসংখ্য গৌরবগাথার জন্ম দিয়েছে এই ময়দান।

পল্টনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান থেকে শুরু করে মওলানা ভাসানী, শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া—সবাই নির্দেশনা দিয়েছেন নেতাকর্মীদের।

ঢাকার বুকে এই ময়দান দেড় দশক আগেও ছিল সভা-সমাবেশের অন্যতম প্রধান জায়গা। পল্টন ময়দান থেকে নেতাদের দেয়া বিভিন্ন নির্দেশনা ছড়িয়ে পড়ত সারা দেশে।

ঐতিহাসিক সেই পল্টন ময়দান এখন কেমন আছে, তা সরেজমিনে অনুসন্ধান করেছে নিউজবাংলা।

আশপাশেই এখন অপরিচিত

পল্টনের খুব কাছেই গুলিস্থান এলাকায় ভর দুপুরে রিকশা নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন রমিজ মিয়া। পল্টন ময়দানটি কোথায়, জানতে চাইলে তিনি মাথা নেড়ে জানালেন, চেনেন না।

তার মতোই একই উত্তর পাওয়া গেল কয়েকজন ঠেলাগাড়িওয়ালা, পথচারী, দায়িত্বরত পুলিশ ও ফুটপাতের চা-দোকানির কাছ থেকে।

তবে আরেকটু এগিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পূর্বপাশের ফুটপাতে খাবারের ব্যবসায়ী আফসার মিয়াকে জিজ্ঞেস করতেই বললেন, ‘ওই যে দ্যাহেন স্টেডিয়ামের তিন নম্বর গেট, তার সাথের ছোট মাঠটা।’

ছোট মাঠ কেন, এমন প্রশ্নে আফসার কণ্ঠে আক্ষেপ, ‘অহন কি আর সেই ময়দান আছে! ময়দানের জায়গায় এখন অনেক কিছু উঠছে। এক কোনায় একটু জায়গা ফাঁকা। আমি ৪৫ বছর এহানে আছি। আগে ময়দানে ঘটি গরম চানাচুর আর বাদাম বিক্রি করতাম। তহন অনেক সভা হইত, কিন্তু অনেক দিন কিছুই হয় না। হইবোই বা কই, জায়গা থাকলে তো!’

আফসার একটুও বাড়িয়ে বলেননি। কয়েক দশকের উত্তাল রাজনীতিকে ধারণ করা ঐতিহাসিক পল্টন ময়দান এখন ধুঁকছে। মাঠ ঘিরে গড়ে উঠেছে একের পর এক ভবন। আর সেগুলোর দাপটে ময়দানের পুরোনো রূপ এখন কল্পনা করাই কঠিন।

আফসার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগে যখন সভা-সমাবেশ হইত তহন আগের দিন মাইকিং হইত। একটা অন্যরকম ব্যাপার স্যাপার ছিল। বড় নেতারা আইতো, বক্তৃতা করত। অহন আর সেই ময়দান নাই। ঢাকায় যারা দুই-দশ বছরের মধ্যে ঢুকছে তারা চিনবোই না পল্টন ময়দান কই ছিল।’

কেমন আছে সেই পল্টন ময়দান

নামেমাত্র ময়দান

পল্টন ময়দানের বেশির ভাগ জায়গা জুড়েই এখন বিভিন্ন ভবন। শুধু পূর্ব দিক খালি রেখে বাকি তিন দিক থেকে সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে মাঠটি।

পশ্চিম পাশে উত্তর-দক্ষিণে লম্বা হয়ে গড়ে উঠেছে সুবিশাল শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্স। আর দক্ষিণে যেখানে জনসভার মঞ্চ বানানো হতো, সেখানকার কিছু অংশ নিয়ে দক্ষিণের সীমানা পর্যন্ত গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ অ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশন। আগে থেকেই অল্প জায়গায় গড়ে ওঠা অলিম্পিক ফেডারেশনও তাদের পরিধি বাড়িয়েছে সেখানে।

উত্তর-পূর্ব কোণে গড়ে উঠেছে হ্যান্ডবল ফেডারেশন, নার্সারি। আর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে যাওয়া রাস্তার দক্ষিণ অংশ ঘেঁষে তৈরি করা হয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা।

কেমন আছে সেই পল্টন ময়দান

ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন নিউজবাংলাকে জানান, ব্রিটিশ আমলে একটি নতুন সেনানিবাস গড়তে ঢাকার তখনকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট চার্লস ডস নবাবপুর ও ঠাঁটারীবাজার ছাড়িয়ে শহরের উত্তর-পূর্ব দিকের জায়গায় বেশ কিছু সংস্কার করেন। সেখানে সিপাহিদের ছাউনি, অফিসারদের বাসস্থান ও প্যারেড গ্রাউন্ড করা হয়।

এ এলাকাটিই বর্তমান পল্টন বা পুরানা পল্টন এলাকা। ঢাকার ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, এই পল্টনের অবস্থান ছিল স্রোতস্বিনী পাণ্ডু নদীর তীরে। সেই নদীর অস্তিত্ব পরে বিলীন হয়ে যায়।

মুনতাসীর মামুন জানান, মশা, ম্যালেরিয়াসহ বিভিন্ন উপদ্রব ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে ব্রিটিশদের তৈরি করা সেনানিবাসটিও পরে পরিত্যক্ত হয়। ১৮৫৯ সালে তখনকার সার্ভেয়ার জেনারেলের ঢাকার মানচিত্রে পল্টনকে একটি বিরান অঞ্চল হিসেবে দেখানো হয়।

সেনানিবাস সরিয়ে নেয়ার পর পল্টন এলাকাটির পরিচর্যার দায়িত্ব পায় মিউনিসিপ্যাল কমিটি। এরপর এক অংশে গড়ে তোলা হয় ‘কোম্পানির বাগান’। আরেক অংশ খেলাধুলা ও বিভিন্ন সময় সিপাহিদের কুচকাওয়াজের জন্য ব্যবহার করা হতো। উনিশ শতকের শেষার্ধে পল্টনে মাঝেমধ্যে জনসভা হতে শুরু করে। পাকিস্তান পর্বে এই ময়দানই ছিল মুক্তিকামী বাঙালির আন্দোলন-সমাবেশের মূল কেন্দ্র।

স্বাধীনতার পরেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের প্রাণকেন্দ্র ছিল পল্টন ময়দান। নিয়মিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা-সমাবেশ হতো এখানে। তবে জিয়াউর রহমানের সময়ে পল্টনে সভা-সমাবেশের ওপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ আরোপ করায় সেই ধারাবাহিকতায় ছেদ পড়তে শুরু করে।

নব্বইয়ের দশকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় আবার প্রাণ ফিরে পায় পল্টন ময়দান। তবে এরশাদের পতনের পরের প্রায় দেড় যুগে এই ময়দান ধীরে ধীরে ঔজ্জ্বল্য হারাতে থাকে।

কেমন আছে সেই পল্টন ময়দান

মোহাম্মদ হানিফ ঢাকার মেয়র থাকার সময়ে পল্টন ময়দানকে সিটি করপোরেশনের অধীনে নিয়ে সমাবেশের জন্য জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের পর এ ময়দানের নিয়ন্ত্রণ পায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পল্টন ময়দান বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এই মাঠে জনসভায় বঙ্গবন্ধু পূর্ব বাংলায় সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেটা ছিল ১৯৭১ সালের ৩ মার্চের ঘটনা।

‘শুধু তাই না। জাতির মুক্তিসনদ ছয় দফা দেয়ার কারণে বঙ্গবন্ধু মুজিবসহ সর্বমোট ৩৫ জনকে ফাঁসি দেয়ার লক্ষ্যে আগরতলা মামলার আসামি করা হয়। ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু কার্যালয়ে ডাকসু ভিপি হিসেবে আমার সভাপতিত্বে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। ৯ ফেব্রুয়ারি শপথ দিবসে পল্টন ময়দানে সভাপতির ভাষণ শেষে স্লোগান তুলি- শপথ নিলাম শপথ নিলাম মুজিব তোমায় মুক্ত করব; শপথ নিলাম শপথ নিলাম, মাগো তোমায় মুক্ত করব।’

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘২১ ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবসে পল্টনের মহাসমুদ্রে আমরা ১০ ছাত্রনেতা প্রিয় নেতা শেখ মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক সবার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে স্বৈরশাসকের উদ্দেশে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম প্রদান করি। জনরোষের ভয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি আইয়ুব খান আগরতলা মামলা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুসহ সব রাজবন্দিকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পল্টন ময়দান শুধু একটা মাঠ না। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের কাছে এর আলাদা তাৎপর্য রয়েছে। এক সময়ে দেশের সকল আন্দোলন, কর্মসূচি, দাবি-দাওয়া আহ্বানের সাক্ষী এই পল্টন ময়দান। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের বাঘা বাঘা নেতাদের তেজদীপ্ত কণ্ঠে তোলা দাবি-দাওয়া এবং সেগুলো আদায়ের গুরুত্বপূর্ণ গ্রাউন্ড এই মাঠ।

‘সিপিবির অনেক গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ও সভা সমাবেশের সাক্ষীও পল্টন ময়দান। এখানে সিপিবির সমাবেশে বোমা হামলায় দলের ৭ নেতাকর্মী নিহত হন। আবার এই ময়দান থেকেই গণমানুষের হয়ে বহু দাবি আদায় করেছে সিপিবি।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিএনপির কাছে পল্টন ময়দান অনেক অর্থ বহন করে। এই ময়দানে দাড়িয়ে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কথা বলেছেন। ওখানে দাঁড়িয়ে বহু আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাছাড়া পল্টন ময়দান থেকেই কিন্তু চার দলীয় ঐক্যজোট গঠন হয়।

‘শুধু তাই না, এরশাদের আমলে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন হয়েছিল পল্টন ময়দানে। আমি নিজে পল্টন ময়দান থেকে একবার বিশাল মিছিল বের করে নিউ মার্কেট পর্যন্ত গিয়েছিলাম। সবশেষ ২০০৫ সালে পল্টন ময়দানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সমাবেশ করে বিএনপি।’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

অনুসন্ধান
The government is sincere in the development of medium and small industries in the country
প্রধান উপদেষ্টা

সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক

সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে আন্তরিক

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের মাঝারি ও ক্ষুদ্র শিল্পের বিকাশে খুবই আন্তরিক।

এ খাতের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের পাশাপাশি টেকসই শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উদ্‌যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এর সকল অংশীজন এবং সহযোগী সংস্থাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগের ক্ষমতায়ন (এসএমই)’, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।’

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বিশ্ব অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মোট দেশজ উৎপাদনের একটি বৃহৎ অংশ এসএমই খাত থেকে আসে। নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতেও এ খাতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসএমই খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিনিয়ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা, ক্রেতা ও ভোক্তার পরিবর্তনশীল চাহিদা এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতার মতো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রয়োজন সম্মিলিত বৈশ্বিক উদ্যোগ।’

তিনি বলেন, ‘অ্যাক্রেডিটেশন ব্যবস্থা জাতীয় গুণগতমান অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে পণ্য ও সেবার সরবরাহ ব্যবস্থার সকল পর্যায়ে গুণগতমান নিশ্চিতকরণ, দক্ষ কারিগরি জনবল সৃষ্টি, বাণিজ্যে কারিগরি বাধা অপসারণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে এ সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিএবি এ লক্ষ্যে কাজ করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ল্যাবরেটরি, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সনদ প্রদানকারী সংস্থা এবং পরিদর্শন সংস্থাসহ মোট ১৫৫টি সরকারি, বেসরকারি এবং বহুজাতিক সংস্থাকে আন্তর্জাতিক মান অনুসারে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদান করেছে।’

মন্তব্য

অনুসন্ধান
The traditional ha do do play of the village of Phulbaria to build a drug free society

মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে ফুলবাড়িয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলা

মাদক মুক্ত সমাজ গড়তে ফুলবাড়িয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হা-ডু-ডু খেলা

মাদক মুক্ত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ও এক সময়ের জনপ্রিয় খেলা হা-ডু-ডু খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার (৮ জুন) বিকেলে উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের খালইপুড়া দাখিল মাদরাসা মাঠে সূর্য তরুণ যুব সংঘের বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিলুপ্তপ্রায় এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

খোরশেদ আলম আকন্দ এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোমেনশাহী ল কলেজের সভাপতি ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক এড. রেজাউল করিম চৌধুরী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, গ্রামগঞ্জের একসময়কার জনপ্রিয় পুরনো এ খেলাটি গ্রামের কাঁচা রাস্তায়, মাঠ, বাগানে বা খোলা স্থানে জমজমাট ও উৎসবমুখর পরিবেশে হতো। কালের বিবর্তনে এই খেলা এখন আর আগের মতো দেখা যায় না। তাই জনপ্রিয় এ খেলাটি টিকিয়ে রাখা এবং নতুন প্রজন্মকে খেলাধূলায় উজ্জীবিত করায় তিনি সূর্য তরুণ যুব সংঘকে অভিনন্দন জানান।

এ খেলায় ঢাকা একাদশকে হারিয়ে গ্রাম একাদশ বিজয় লাভ করেন। পরে বিজয়ীদলকে পুরস্কার হিসেবে একটি খাসি উপহার দেওয়া হয়। এসময় অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষক সমিতি ফুলবাড়িয়া শাখার সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান বিএসসি, এডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন, ডা. রফিকুল ইসলাম, মো. আবুল কালাম প্রমুখ।

নাগরিক জীবনের ব্যস্ততায় হারিয়ে যাওয়া এই ঐতিহ্যবাহী খেলাটি উপভোগ করতে খালইপুড়া দাখিল মাদরাসা মাঠে বিপুলসংখ্যক দর্শক ও ক্রীড়া প্রেমী জড়ো হয়।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
The meat of the sacrifice with UNO Russell in the door of the poor

গরীবের দরজায় ইউএনও রাসেল, হাতে নিয়ে কুরবানির মাংস

গরীবের দরজায় ইউএনও রাসেল, হাতে নিয়ে কুরবানির মাংস

ঝিনাইগাতীতে ঈদ-উল-আজহার পরদিন, ৮ জুন রবিবার, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মো: মোখতার আহমদে এর মহতী উদ্যোগে এবং ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনাব আশরাফুল আলম রাসেলের সরাসরি তত্ত্বাবধানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অসহায় ও দরিদ্র ১৫০টি পরিবারের মাঝে কুরবানির মাংস বিতরণ করা হয়।

এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদীগ্রাম, নয়া রাংটিয়া, ভারুয়া, পূর্ব গজারীকুড়া আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রামের ১২০টি পরিবার এবং উপজেলার অন্যান্য এলাকার আরও ৩০টি পরিবার এই সহায়তা পান। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল—প্রত্যেকটি পরিবারের দরজায় গিয়ে ইউএনও নিজ হাতে কুরবানির মাংস তুলে দেন এবং প্রত্যেকের সাথে আন্তরিকভাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুচ্ছগ্রামের এক মহিলা বলেন, “আমি তো ভাবছিলাম, আমাগো কথা কে ভাবে? কিন্তু স্যার যেইভাবে সামনে আইস্যা ডাক দিল আর মাংসের প্যাকেট হাতে দিয়ে ঈদ মোবারক কইলো, মনডারে বইলা বোঝানো যাইবো না। দোয়া করি, আল্লাহ যেন ইউএনও স্যারকে সব সময় গরিব-দুখির লগে থাকার তৌফিক দান করেন।”

ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “ঈদের আনন্দ যেন প্রান্তিক ও অসহায় মানুষদের মাঝেও পৌঁছে যায়, সেটাই ছিল আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা চাইনি কেউ এই উৎসব থেকে বাদ পড়ে থাকুক।”

এই ব্যতিক্রমধর্মী ও মানবিক উদ্যোগে কেবল খাবার নয়, পৌঁছে গেছে ভালোবাসা, সম্মান ও রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্বকারী একজন কর্মকর্তার সরাসরি উপস্থিতি—যা ওইসব মানুষের জন্য ছিল এক অনন্য অনুভূতি।

স্থানীয় বাসিন্দারা ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল মহোদয়ের এ আন্তরিক প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, এমন মানবিক প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড মানুষকে রাষ্ট্রের প্রতি আস্থাশীল করে তোলে।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Tulip gave a letter to meet Dr Yunus
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন

ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ

ড. ইউনূসের সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন টিউলিপ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে ‘ভুল–বোঝাবুঝির’ অবসান করতে চান যুক্তরাজ্যের সাবেক ‘সিটি মিনিস্টার’ টিউলিপ সিদ্দিক। তাই অধ্যাপক ইউনূসের আসন্ন যুক্তরাজ্য সফরের সময় তাঁর সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ।

যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

টিউলিপের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে বাংলাদেশে বাড়তি সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ এনেছে কর্তৃপক্ষ। গত বছরের আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। তিনি পালিয়ে ভারতে চলে যান। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে টিউলিপের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ নিয়ে শোরগোল হয়েছে। এর মধ্যে টিউলিপ কিংবা তাঁর মায়ের (শেখ রেহানা) বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে ৭ হাজার ২০০ বর্গফুটের প্লট নেওয়ার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগ রয়েছে।

টিউলিপ এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর টিউলিপের আইনজীবীরা বলেছেন, এসব অভিযোগ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। এর কোনো ভিত্তি নেই। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছে না বলেও অভিযোগ টিউলিপের।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Jamunas womb in Manikganj

মানিকগঞ্জে যমুনার গর্ভে বিলীন তিনতলা স্কুলভবন

মানিকগঞ্জে যমুনার গর্ভে বিলীন তিনতলা স্কুলভবন

কয়েক দিনের প্রবল বৃষ্টি ও যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাচামারা,বাঘুটিয়া,চরকাটারী ইউনিয়নে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি ফলে প্রবল ¯্রােত ভাঙ্গনে করাল গ্রাসে শনিবার ঈদের দিন দুপুরে বাচামারা ইউনিয়নের নিজ ভারাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিনতলা পাকা ভবন নদী গর্ভে তলিয়ে যায় । সেই সাখে গত এক সপ্তাহে কয়েক শত ঘরবাড়ি বসতভিটা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে । স্কুল ভবন নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় ঐ বিদ্যালয়ের কমলমতি ছাত্র/ছাত্রীদের লেখা পড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ।

নদীপাড়ের মানুষ স্বাভাবিক ভাবে জীবন যাপন করলেও বর্ষার শুরুতেই তাদের ভাঙন আতঙ্ককে প্রহর ঘুনতে হচ্ছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদীপাড়ে ভাঙন শুরু হলে ঘরবাড়ি বসতভিটা, ফসলি জমি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়েন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।স্থানীয় পানি উন্নয়ন অফিস ভাঙনরোধে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ হাজার জিও ব্যাগ ফালানোর কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

পানি উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে,মানিকগঞ্জের বুক চিরে বয়ে গেছে পদ্মা, যমুনা, কালীগঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতী, গাজীখালিসহ ১৪টি নদী।ভাঙন আতঙ্ক নদী পাড়ের মানুষেরে এযেন নিত্য দিনের সঙ্গি। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদীপাড়ে ভাঙন শুরু হলে ঘরবাড়ি বসতভিটা, ফসলি জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েন নদীপাড়ের বাসিন্দারা।

জানা গেছে,দৌলতপুর উপজেলার চর কালিয়াপুর,বাঘুটিয়া, ভারাঙ্গা,রংদারপাড়া,বিষ্ণপুর,রামচন্দ্রপুর,আবুডাঙ্গা পূর্বপাড়া,চরকাটারি বোর্ডঘর বাজার,চরকাটারি সবুজসেনা হাইস্কুল,বাচামারা ইউনিয়নের চরভারাঙ্গা সরকার পাড়া,মজম শেকের পাড়া,বাচামারা পশ্চিম পাড়া,উত্তরখন্ড,সুবুদ্ধি,বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পাচুরিয়া , বাঘুটিয়া বাজার,পারুরিয়া বাজার,রাহাতপুর, জিয়নপুর ইউনিয়নের বৈন্যাঘাট,লাউতাড়া,লাউতাড়া আশ্রয়ন কেন্দ্র ,চকবাড়াদিয়া, চকমিরপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গা রামচন্দ্রপুর,রামচন্দ্রপুর নতুন পাড়া, হাতকোড়া খলসী ইউনিয়নের চরমাস্তল,বিষ্ণপুর খাঁপাড়া,পার মাস্তলসহ ২৮ টি এলাকা নদী ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে ।

দৌলতলপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো : গোলাম ইয়াছিন জানান,রাহুতপুর এলাকায় বালুমহল ইজারার নাম করে বাঘুটিয়া এলাকায় নদী থেকে বালু উত্তলোন করায় প্রতি বছর ভাঙন দেখা দেয়।এতে আমাদের গ্রামের কয়েকশ পরিবারকে অপূরনীয় ক্ষতির মূখে পড়তে হয়।বালু না কাটলে আমাদের এলাকায় নদী কিছুটা কম ভাঙবে।

বাচামারা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো: ওয়াজেদ আলী সরকার বলেন, নদীতে প্রবল ¯্রােত ২/৩ দিনে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে । চোখের পলকে নিজ ভারাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত তিনতলা পাকা ভবন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে তলিয়ে গেলো । ভাঙনরোধে সরকারের কাছে ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তিনি।

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান জানান, নদীপাড়ের ঝুকিপূর্ণ স্থানগুলোর ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ১৪ হাজার জিও ব্যাগ ফালানোর কার্যক্রম শুরু করা হবে।এছাড়া নদী ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক প্রকল্প গ্রহণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি চলমান রয়েছে ও কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিয়ান নুরেন জানান, শুক্রবারে নিজভারাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নদী ভাঙ্গনের সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক ভাবে উপজেলা প্রকৌশলীকে জরুরী ভিত্তিতে স্কুল ভবন নিলাম দেয়া যায় কিনা ব্যবস্থা প্রহনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল । উপজেলা প্রকৌশলী সরেজমিনে গিয়ে দেখেছেন কিন্তু ভাঙ্গনের ফলে ভবনটি অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় কোন কুলকিনারা করতে পারেনি । খ্বর পেয়েছি ঈদের দিন ভবনটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Metrorail meat cannot be carried

চলছে মেট্রোরেল, মাংস বহন করা যাবে না

চলছে মেট্রোরেল, মাংস বহন করা যাবে না

গতকাল শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে বন্ধ থাকার পর আজ রোববার থেকে ফের চালু হয়েছে মেট্রোরেল। তবে মেট্রোতে কোরবানির পশুর চামড়া, কাঁচা বা রান্না করা মাংস পরিবহন করা যাবে না।

রোববার সকাল ৮টা থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) সূত্রে জানা যায়, আজ (রোববার) প্রতি ৩০ মিনিট পরপর ট্রেন চলছে। আগামীকাল সোমবার থেকে মেট্রোরেল সরকারি ছুটির দিনের সময়সূচি অনুযায়ী চলাচল করবে।

গত মঙ্গলবার ডিএমটিসিএলের পরিচালক (প্রশাসন) এ কে এম খায়রুল আলমের স্বাক্ষর করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মেট্রোরেলে কোরবানির পশুর চামড়া, কাঁচা বা রান্না করা মাংস পরিবহন করা যাবে না। মেট্রো স্টেশনের প্রতিটি গেটে যাত্রীদের যথাযথভাবে তল্লাশি করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোনো যাত্রীর কাছে কাঁচা বা রান্না করা মাংস পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক তার মেট্রো স্টেশনে প্রবেশ আটকে দেওয়া হবে। মেট্রোরেলের নিরাপত্তা কর্মীদের এসব নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতেও বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য

অনুসন্ধান
Animal sacrifice on the second day of Eid in the capital

রাজধানীতে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও পশু কোরবানি

রাজধানীতে ঈদের দ্বিতীয় দিনেও পশু কোরবানি

ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়েছে।

গতকাল শনিবার ঈদের প্রথম দিন ব্যস্ততা ও চাপ সামলাতে না পেরে কিংবা কসাই সংকটের কারণে যারা কোরবানি করতে পারেননি আজ রোববার ঈদের দ্বিতীয় দিনে তারা পশু কোরবানি করছেন। নগরীর পুরান ঢাকা, লালবাগ, টিকাটুলী, মুগদা এবং বাসাবো এলাকায় সকাল থেকেই কোরবানির পশু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের ব্যস্ত দৃশ্য চোখে পড়েছে।

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকটি বাসার সামনে পলিথিন টানিয়ে পশু কোরবানির প্রস্তুতি চলছে। আবার অনেকেই ইতোমধ্যে পশু কোরবানি সম্পন্ন করেছেন। তার কিছু দূরেই রাস্তার পাশে কয়েকজন তরুণ মাংস কাটছেন, পাশে দাঁড়িয়ে কসাই নির্দেশনা দিচ্ছেন। কিছু দূরে শিশু-কিশোররা দাঁড়িয়ে কোরবানির দৃশ্য দেখছে। লালবাগের বউবাজার, টিকাটুলীর জনবহুল গলি, মুগদা ও বাসাবোর অভ্যন্তরীণ বেশকিছু সড়কেও একই চিত্র দেখা যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গতকাল ঈদের দিন কসাই সংকট এবং সময় ও প্রস্তুতির অভাবে কোরবানি করতে না পেরে অনেকেই আজ করছেন। কারও কারও গরু হাট থেকে বাড়ি পৌঁছেছে ঈদের দিন রাতে। আবার কেউ কেউ ইচ্ছে করেই ভিড় এড়িয়ে আজ কোরবানি করছেন, যাতে সময় নিয়ে কাজ করতে পারেন।

এদিকে আজও পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় সিটি করপোরেশনের তৎপরতা দেখা গেছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, কোরবানির দ্বিতীয় দিনেও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে। ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, যেসব এলাকায় আজ কোরবানি হচ্ছে, সেখানে আমরা নির্ধারিত পয়েন্টে কর্মী পাঠিয়ে বর্জ্য অপসারণ করছি। ঈদের তিন দিনই আমরা মাঠে থাকব।

ধর্মীয় দিক থেকে ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১১ জিলহজও কোরবানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের বর্ণনায় এ দিনটি মর্যাদাপূর্ণ বলে উল্লেখ রয়েছে। নবী করিম (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হলো কোরবানির দিন, এরপরের দিনটি। তাই অনেকেই আজও কোরবানি করছেন। শরিয়ত অনুযায়ী ১০ থেকে ১২ জিলহজ, মোট তিন দিন কোরবানি করার বিধান রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে যে কোনো দিন কোরবানি দেওয়া বৈধ, তবে প্রথম দিন কোরবানি করা সবচেয়ে উত্তম। সময়মতো কোরবানি না হলে তার পরিবর্তে সদকা করারও নির্দেশ রয়েছে।

মন্তব্য

p
উপরে