× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
The Gaza Declaration signed four countries including the United States
google_news print-icon

গাজা ঘোষণাপত্রে সই করল যুক্তরাষ্ট্রসহ চার দেশ

গাজা-ঘোষণাপত্রে-সই-করল-যুক্তরাষ্ট্রসহ-চার-দেশ-
মিসরে শান্তি সম্মেলন

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও আঞ্চলিক নেতারা একটি ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন। গত সোমবার মিসরের শারম আল-শেখ শহরে এ ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরিত হয়। ঘোষণাপত্র স্বাক্ষরকে ‘মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি অসাধারণ দিন’ আখ্যা দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্প। ইসরায়েল ও হামাসের জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের কয়েক ঘণ্টা পর ঘোষণাপত্রটি স্বাক্ষর হয়।
ঘোষণাপত্রটির নাম রাখা হয়েছে ‘ট্রাম্প ডিক্লারেশন ফর এন্ডিউরিং পিস অ্যান্ড প্রসপারিটি’ বা ‘টেকসই শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ট্রাম্প ঘোষণা’। মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও গাজায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে করা হয়েছে এটি।
এতে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। হোয়াইট হাউস কর্তৃক প্রকাশিত সম্পূর্ণ অংশটি নীচে দেওয়া হল।
ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে—আমরা স্বাক্ষরকারীরা ট্রাম্প শান্তি চুক্তির সকল পক্ষের ঐতিহাসিক প্রতিশ্রুতি ও বাস্তবায়নকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। এই চুক্তি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গভীর দুর্ভোগ ও ক্ষতির অবসান ঘটিয়ে আশা, নিরাপত্তা এবং শান্তি ও সমৃদ্ধির এক যৌথ দৃষ্টিভঙ্গিতে সংজ্ঞায়িত একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে।
আমরা গাজায় যুদ্ধের অবসান ও মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আন্তরিক প্রচেষ্টাকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানাই এবং তার পাশে আছি। আমরা একসঙ্গে এই চুক্তি এমনভাবে বাস্তবায়ন করব, যাতে ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি উভয় অঞ্চলের সকল মানুষের জন্য শান্তি, নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের সুযোগ নিশ্চিত হয়।
ঘোষণাপত্রে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, আমরা বুঝতে পারছি স্থায়ী শান্তি তখনই সম্ভব হবে, যখন ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলি উভয় জনগোষ্ঠী তাদের মৌলিক মানবাধিকার সুরক্ষিত রেখে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রেখে সমৃদ্ধির পথে আগাতে পারবে। আমরা বিশ্বাস করি, অর্থবহ অগ্রগতি শুধুমাত্র সহযোগিতা ও ধারাবাহিক সংলাপের মাধ্যমেই অর্জিত হয়।
জাতি ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাতে বলা হয়েছে, আমরা এই অঞ্চলের গভীর ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব স্বীকার করি—যেখানে খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম ও ইহুদি ধর্মসহ বিভিন্ন বিশ্বাসের শিকড় গভীরভাবে রয়েছে। শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে আমরা এই পবিত্র সম্পর্কগুলোর প্রতি শ্রদ্ধা জানাব এবং ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্থাপনাগুলোর সুরক্ষাকে সর্বাগ্রে রাখব।
এ ছাড়া বলা হয়েছে, আমরা সব ধরনের উগ্রবাদ ও চরমপন্থা নির্মূলের প্রতিশ্রুতিতে ঐক্যবদ্ধ। কোনো সমাজই বিকশিত হতে পারে না, যদি সহিংসতা ও বর্ণবাদকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়া হয়, অথবা উগ্র মতাদর্শ নাগরিক জীবনের ভিত্তিকে হুমকির মুখে ফেলে।
আমরা উগ্রবাদের জন্ম দেয় এমন সব পরিস্থিতি মোকাবিলার অঙ্গীকার করছি এবং শিক্ষা, সুযোগ সৃষ্টি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাকে স্থায়ী শান্তির ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
আমরা ঘোষণা করছি যে, ভবিষ্যতের যেকোনো বিরোধ আমরা বলপ্রয়োগ বা দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের পরিবর্তে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব। আমরা স্বীকার করি, মধ্যপ্রাচ্য আর দীর্ঘ যুদ্ধ, স্থগিত আলোচনা বা অসম্পূর্ণ শান্তিচুক্তির পুনরাবৃত্তি সহ্য করতে পারে না। গত দুই বছরের ট্র্যাজেডিগুলো আমাদের জন্য একটি কঠোর শিক্ষা— ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অতীতের ব্যর্থতার চেয়ে আরো ভালো ভবিষ্যতের দাবিদার।
আমরা সহনশীলতা, মর্যাদা ও প্রতিটি মানুষের জন্য সমান সুযোগ কামনা করি, যাতে এই অঞ্চলটি এমন এক জায়গায় পরিণত হয়, যেখানে জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে সবাই শান্তি, নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও যৌথ নিয়তির নীতির ভিত্তিতে এই অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও যৌথ সমৃদ্ধির একটি বিস্তৃত দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করছি।
আরো বলা হয়েছে, এই চেতনা থেকেই আমরা গাজা উপত্যকায় ব্যাপক ও টেকসই শান্তি ব্যবস্থার অগ্রগতি এবং ইসরায়েল ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ পারস্পরিকভাবে উপকারী সম্পর্কের বিকাশকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই। আমরা এই অর্জন বাস্তবায়ন ও টিকিয়ে রাখতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করছি, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শান্তিতে একসঙ্গে উন্নতি করতে পারে এমন এক দৃঢ় প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি তৈরি হয়। আমরা স্থায়ী শান্তির ভবিষ্যতের প্রতি নিজেদের সম্পূর্ণভাবে অঙ্গীকারবদ্ধ করছি।
ইসরায়েলে ঝটিকা সফরে গিয়ে দেশটির পার্লামেন্টে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রশংসা করেছেন ট্রাম্প। এরপর তিনি গাজা শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মিসরে যান। সেখানে তিনি এবং মিসর, কাতার ও তুরস্কের নেতারা গাজা চুক্তির জিম্মাদার হিসেবে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন।
শার্ম আল-শেখের রিসোর্টে ট্রাম্প বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বলেন, এটি বিশ্বের ও মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি অসাধারণ দিন।
ট্রাম্প স্বাক্ষর করার আগে দুবার ‘এটি টিকে থাকবে’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, নথিতে নিয়ম-কানুন ও আরো অনেক কিছু স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে।
গাজা যুদ্ধের অবসানে ট্রাম্পের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সোমবার হামাস উপত্যকায় দুই বছর ধরে তাদের কাছে জিম্মি থাকা ইসরায়েলিদের সর্বশেষ ২০ জনকে জীবিত অবস্থায় ফেরত দিয়েছে।
ইসরায়েলের কারা বিভাগ জানিয়েছে, এর বিনিময়ে ইসরায়েল তাদের কারাগারে থাকা ১ হাজার ৯৬৮ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
ইসরায়েলি পার্লামেন্টে উপস্থিত হলে দীর্ঘক্ষণ ধরে করতালির মাধ্যমে ট্রাম্পকে স্বাগত জানানো হয়। সেখানে ভাষণে ট্রাম্প আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, ৭ অক্টোবর (২০২৩) থেকে চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত ইসরায়েল যুদ্ধে জড়িয়েছিল। এই যুদ্ধের ভার বহন করা কেবল গর্বিত কোনো জাতি ও বিশ্বস্ত জনগণই সহ্য করতে পারে।
তিনি আরো বলেন, এই ভূখণ্ডের পরিবারগুলোতে বছরের পর বছর ধরে সত্যিকারের শান্তিময় একটি দিনও আসেনি। শুধু ইসরায়েলিদের জন্যই নয়, ফিলিস্তিনিদের এবং আরো অনেকের জন্য দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক দুঃস্বপ্নের অবশেষে অবসান ঘটেছে।
জিম্মি পরিবারগুলোর সমর্থনে তেল আবিবে জমায়েত বিপুলসংখ্যক লোকজন জিম্মি মুক্তির খবরে উল্লাস করেছে, অনেকে আনন্দে কান্নায় ভেঙে পড়েছে এবং সমবেতভাবে গানও গেয়েছে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লায় বন্দিদের বহনকারী বাসগুলো পৌঁছালে তাদের স্বাগত জানাতে জনতা ভীড় জমায়। এ সময় অনেকে ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দেয়।
গাজার খান ইউনিসে বন্দিদের বহনকারী ধীর গতির রেড ক্রস বাসগুলো পৌঁছালে অপেক্ষমাণ স্বজনরা তাদের প্রিয়জনদের উষ্ণ আলিঙ্গনের মাধ্যমে স্বাগত জানাতে শুরু করে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ একাধিক পোস্টে জিম্মিদের ফিরে আসায় স্বাগত জানিয়েছে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে হামাসের হাতে জিম্মি অবস্থায় মারা যাওয়া ২৭ জনের মৃতদেহ এবং এর আগে গাজায় সংঘাতের সময় ২০১৪ সালে নিহত একজন সৈন্যের দেহাবশেষও ফিরিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে।
ইসরায়েল সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা হামাস কর্তৃক রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা দুই বন্দির মৃতদেহ পেয়েছে এবং তারা এখনো আরো দুজনের দেহাবশেষ ফেরত পাওয়ার আশা করছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলার সময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে হামাস। ওই হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ৪৭ জন ছাড়া বাকি সব জিম্মিকে এর আগের যুদ্ধবিরতিতে মুক্তি দেওয়া হয়।
গাজায় যুদ্ধবিরতি চালুতে সেখানকার মানুষের মনে স্বস্তি এসেছে। তবে, যুদ্ধের ফলে বেশিরভাগ অঞ্চলই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে মুক্তি পাওয়া ২৫ বছর বয়সী ইউসুফ আফানা খান ইউনিসে এএফপিকে বলেন, সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হলো-আমার পুরো পরিবার আমাকে স্বাগত জানাতে জড়ো হয়েছে। আমি ১০ মাস কারাগারে কাটিয়েছি। আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন দিনগুলোর অন্যতম এসব দিন।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের লক্ষ্য হলো, গত সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তিতে মধ্যস্থতায় তার ভূমিকা উদযাপন করা। তবে, এখনো অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা বাকি রয়েছে।
সম্ভাব্য বাধাগুলোর মধ্যে রয়েছে— হামাসের নিরস্ত্রীকরণে অস্বীকৃতি ও বিধ্বস্ত অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ প্রত্যাহারে ইসরাইলের প্রতিশ্রুতি না পাওয়া।
ট্রাম্প সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে গাজার জন্য একটি ২০ দফা পরিকল্পনা ঘোষণা করেন, যা যুদ্ধবিরতি আনতে সহায়তা করে।
হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম সোমবার ট্রাম্প ও গাজা চুক্তির মধ্যস্থতাকারীদের ‘ইসরায়েলের আচরণ পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখার এবং তাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন পুনরায় শুরু না করার বিষয়টি নিশ্চিত করার’ আহ্বান জানান।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত ভূখণ্ডে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজায় ইসরায়েলের অভিযানে কমপক্ষে ৬৭ হাজার ৮৬৯ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘ এই তথ্য বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে করে।
তথ্যটি বেসামরিক ও যোদ্ধাদের মধ্যে পার্থক্য করে না। তবে ইঙ্গিত দেয় যে-নিহতদের অর্ধেকেরও বেশি নারী ও শিশু।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
More than 5 percent of the buildings were destroyed or damaged in Gaza
জাতিসংঘের প্রতিবেদন

গাজায় ৮০ শতাংশেরও বেশি ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে

গাজায় ৮০ শতাংশেরও বেশি ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে ইসরায়েল। ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকার ৮০ শতাংশেরও বেশি এবং গাজা সিটির ৯২ শতাংশ ভবন ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। গাজা পুনর্গঠনে কী কী দরকার তার চাহিদা মূল্যায়ন করছে সংস্থাটি। জেনেভায় ইউএনডিপির এক মুখপাত্র গাজার ধ্বংসস্তূপকে ‘বিধ্বংসী’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সংস্থাটি অনুমান করছে, সেখানে কমপক্ষে ৫৫ মিলিয়ন বা সাড়ে পাঁচ কোটি টন ধ্বংসস্তূপ পরিষ্কার করা প্রয়োজন।

ইউএনডিপি বলছে, তারা কিছু অপসারণ শুরু করেছে, কিন্তু অবিস্ফোরিত বিস্ফোরক তাদের কার্যক্রমকে ব্যহত করছে। ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার কার্যক্রমের সময় অনেক মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে যেগুলো শনাক্ত ও সমাহিত করা প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তারা।

জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বিশ্বব্যাংক পরিচালিত পুনর্গঠন ব্যয়ের একটি অনুমান অনুসারে, গাজাকে আবার বাসযোগ্য করে তুলতে কমপক্ষে ৭০ বিলিয়ন ডলার (৫২.৭ বিলিয়ন পাউন্ড) প্রয়োজন হবে।

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন, কারণ কেউ ভাবেনি যে এটা সম্ভব।

ইসরায়েল ও মিসর সফরের পর যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। গাজায় যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরছে, এটা বলা তড়িঘড়ি হয়ে যাবে কি না এই প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, অনেক মানুষ এক-রাষ্ট্রীয় সমাধান পছন্দ করেন। কিছু মানুষ দ্বী-রাষ্ট্রীয় সমাধান পছন্দ করেন। আমাদের দেখতে হবে। আমি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করিনি।

মিশরে ২০টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক সম্মেলনে গাজা সংক্রান্ত এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছে এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে গাজা উপত্যকায় পরবর্তীতে কী হবে তা নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প।

তিনি প্রেসিডেন্ট না থাকলে শান্তি থাকবে কি না জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, আমি বলতে পারছি না কী ঘটবে। তবে যেই হোক না কেন, তার পক্ষে আমি লড়াই করব।

গাজায় পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত

যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে পাঁচ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজা শহরের শুজাইয়া এলাকায় ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় দখলদার বাহিনী। খবর আল জাজিরার।

কাতার, মিসর এবং তুরস্কের নেতাদের সঙ্গে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এর মধ্যেই পুরোনো রুপে ফিরে গেছে ইসরায়েলি সেনারা।

এদিকে ইসরায়েলি বন্দিদশা থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনিরা জানিয়েছেন, তাদের মারধর এবং অপমান করা হয়েছে। ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া এক ফিলিস্তিনি ইসরায়েলের ওফার কারাগারকে ‌‘কসাইখানা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বন্দি বিনিময়ের অংশ হিসেবে ইসরায়েল প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে। অপরদিকে হামাস গাজায় আটক ২০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে এবং আরও চারজনের মৃতদেহ হস্তান্তর করেছে।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬৭ হাজার ৮৬৯ জন নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ১০৫ জন আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলায় ইসরায়েলে মোট ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছিল।

গাজায় ৮৩৫টি মসজিদ সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি হামলায় ঐতিহাসিক স্থাপত্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্য কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। উপত্যকার মোট ১ হাজার ২৪৪টি মসজিদের মধ্যে ৮৩৫টিই সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও ১৮০টি মসজিদ। ধ্বংস হওয়া এসব স্থাপত্যের বেশিরভাগই মামলুক ও উসমানীয় আমলে নির্মিত হয়েছিল।

গত শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় গাজার যুদ্ধবিরতি। পুরো উপত্যকা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল ধ্বংস হওয়ার পাশাপাশি শতাব্দী প্রাচীন মসজিদ ও ঐতিহাসিক স্থাপনাও রক্ষা পায়নি। ইসরায়েলের বর্বর ও নৃশংস আগ্রাসনে গত দুই বছরে প্রাণহানি ছাড়িয়েছে সাড়ে ৬৭ হাজার।

গাজার সবচেয়ে বড় ও প্রাচীন মসজিদ ছিল প্রায় ১৪০০ বছর পুরনো মহান ওমরী মসজিদ। ‘ছোট আল-আকসা’ নামে পরিচিত এই স্থাপনাটি একসময় ৫ হাজার বর্গমিটারের বেশি এলাকাজুড়ে বিস্তৃত ছিল এবং এটি ছিল ঐতিহাসিক ফিলিস্তিনের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ। সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলায় এটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থাপনা, সাইয়্যিদ হাশিম মসজিদ, ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এছাড়া মামলুক আমলে নির্মিত কাতিব আল-ওয়ালায়া মসজিদও হামলা থেকে রেহাই পায়নি; ২০২৩ সালের ১৭ অক্টোবর এটিও ধ্বংস হয়ে যায়।

চতুর্দশ শতকে নির্মিত ইবনে উসমান মসজিদ, আলী ইবনে মারওয়ান মসজিদ এবং ১৩৬১ সালে নির্মিত জাফার আদ-দিমরী মসজিদ–এগুলোর সবই এখন কেবল ধ্বংসস্তূপ।

দক্ষিণ গাজার ১৯২৮ সালে নির্মিত গ্রেট খান ইউনিস মসজিদ, যা পরে ৩ হাজার বর্গমিটারের বেশি জায়গায় সম্প্রসারিত হয়েছিল, সেটিও সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

এই মসজিদগুলো কেবল উপাসনার স্থান ছিল না, বরং গাজার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক পরিচয়ের প্রতীক ছিল। ইসরায়েলি হামলায় এখন সেগুলোর জায়গায় কেবলই ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Most coral reefs in the world can be destroyed due to warmth

উষ্ণতার কারণে বিশ্বের অধিকাংশ প্রবালপ্রাচীর ধ্বংস হয়ে যেতে পারে

বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তা
উষ্ণতার কারণে বিশ্বের অধিকাংশ প্রবালপ্রাচীর ধ্বংস হয়ে যেতে পারে

বিশ্বের উষ্ণমণ্ডলীয় প্রবালপ্রাচীরগুলো এমন এক সীমা অতিক্রম করেছে, যেখান থেকে আর ফেরার পথ নেই। কারণ, সমুদ্রের তাপমাত্রা এখন এমন মাত্রায় পৌঁছেছে, যেখানে অধিকাংশ প্রবালের টিকে থাকা অসম্ভব। গতকাল সোমবার প্রকাশিত এক বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পৃথিবী সম্ভবত একটি ‘বিপজ্জনক’ সীমারেখায় পৌঁছেছে। এতে বিশ্বের প্রকৃতিতে বড় ধরনের, এমনকি স্থায়ী পরিবর্তনও দেখা যেতে পারে।
প্রতিবেদনের মূল লেখক এবং এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু ও বিশ্বব্যবস্থাবিষয়ক বিজ্ঞানী টিম লেন্টন এএফপিকে বলেন, ‘দুঃখজনক বিষয় হলো, এখন আমরা অনেকটাই নিশ্চিত যে আমরা উষ্ণ পানির বা উষ্ণমণ্ডলীয় প্রবালপ্রাচীরের একটি ‘বিপজ্জনক সীমা’ অতিক্রম করেছি।’
বিশ্বের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ১৬০ জন বিজ্ঞানী প্রতিবেদনটি তৈরি করছেন। বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে একমত যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির হার শিল্পপূর্ব যুগের চেয়ে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হলেই অধিকাংশ প্রবালপ্রাচীর ধ্বংস হয়ে যাবে। আর কয়েক বছরের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা সে সীমারেখাকে ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
উষ্ণ সমুদ্রে চাপের কারণে প্রবালগুলো তাদের স্বাভাবিক রং ও খাদ্যের উৎস হারাচ্ছে। যদি সমুদ্র ঠাণ্ডা না হয়, তাহলে রং হারিয়ে ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া প্রবাল আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারে না। তা ছাড়া খাবার না পেয়ে এগুলো ধীরে ধীরে মরে যায়।
২০২৩ সালের পর থেকে সমুদ্র বিজ্ঞানীরা এমন মাত্রায় প্রবালের মৃত্যু দেখেছেন, যা আগে কখনো দেখা যায়নি। প্রশান্ত, ভারত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরে প্রবালপ্রাচীরগুলো ভুতুড়ে সাদা রং ধারণ করেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রবালপ্রাচীর পুরোপুরি নষ্ট না হয়ে তা কম বৈচিত্র্যপূর্ণ বাস্তুব্যবস্থায় পরিণত হবে। অ্যালজি, স্পঞ্জের মতো যেসব প্রাণী উষ্ণ সমুদ্রে টিকে থাকতে সক্ষম, তাদের আধিপত্য দেখা যাবে। নতুন জলজ পরিবেশে এসব প্রজাতি আধিপত্য করবে। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মৃত প্রবালের কঙ্কালগুলো ভেঙে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে।
এ ধরনের পরিবর্তন প্রবালপ্রাচীরের ওপর নির্ভরশীল লাখ লাখ মানুষ এবং প্রায় ১০ লাখ প্রজাতির প্রাণীর জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠবে।
সূত্র: এএফপি

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Saudi Arabia banned cigarette shop near mosque school

মসজিদ-স্কুলের কাছে সিগারেটের দোকান নিষিদ্ধ করল সৌদি আরব

মসজিদ-স্কুলের কাছে সিগারেটের দোকান নিষিদ্ধ করল সৌদি আরব

সৌদি আরবের পৌরসভা ও আবাসন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মসজিদ ও স্কুল থেকে ৫০০ মিটারের মধ্যে কোনো তামাক পণ্যের দোকান স্থাপন করা যাবে না। এই পদক্ষেপটি জনস্বাস্থ্য রক্ষা, বিধিমালা মেনে চলা এবং বাণিজ্যিক পরিবেশকে নিরাপদ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দোকানগুলো সিগারেট, ই-সিগারেট, শীশা বা অন্যান্য তামাকজাত পণ্য ও সরঞ্জাম বিক্রি করে, তাদের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। লাইসেন্স পেতে হলে যেসব শর্ত পূরণ করতে হবে তা হলো, বৈধ বাণিজ্যিক রেজিস্ট্রেশন থাকতে হবে, সিভিল ডিফেন্সের অনুমোদন থাকতে হবে, পৌর লাইসেন্সিং আইনের সকল ধারা ও বিধি মানতে হবে, দোকানটি শহরের একটি বাণিজ্যিক ভবনে অবস্থিত হতে হবে, ন্যূনতম দোকানের আকার ৩৬ বর্গমিটার হতে হবে।
চালানোর নিয়ম ও সাইনবোর্ডের বিধিতে রয়েছে, দোকানের বাইরের সাইনবোর্ডে যেকোনও ধরনের লোগো কিংবা প্রচারণামূলক ছবির ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। তবে কেবল দোকানের নাম প্রদর্শন করা যাবে। দোকানের বাইরে ফুটপাত ব্যবহারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, পাবলিক ফুটপাত ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক, ইলেকট্রনিক পেমেন্ট ব্যবস্থা থাকতে হবে, দোকানকে স্বাস্থ্যকর ও পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
স্থাপত্য ও কারিগরি নির্দেশনা অনুযায়ী যা যা থাকতে হবে তা হলো, নাগরিক প্রবেশের জন্য র‍্যাম্প, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা এবং সৌদি বিল্ডিং কোড অনুযায়ী বায়ু চলাচল, আলো, এসি ইত্যাদি।
তামাকজাত পণ্য বিক্রির ওপরও কড়াকড়ি নিয়ম দেওয়া হয়েছে। পণ্যের উৎসের প্রমাণপত্র রাখতে হবে, কোনো ধরণের মিশ্রণ বা পুনঃপ্যাকেজিং নিষিদ্ধ, ১৮ বছরের নিচে কাউকে বিক্রি করা যাবে না (বয়স যাচাই বাধ্যতামূলক), পণ্যের মান হতে হবে এসএফডিএ অনুমোদিত এবং বিনামূল্যে নমুনা, একক সিগারেট বিক্রি বা প্রোমোশন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
প্রদর্শনী ও মোড়ক সংক্রান্ত নিয়মের মধ্যে রয়েছে, তামাকজাত পণ্য সিল করা প্যাকেটে থাকতে হবে, ভেন্ডিং মেশিনের মাধ্যমে বিক্রি নিষিদ্ধ, পণ্যের মূল্য স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে।
সতর্কীকরণ লেবেল ও কিউআর কোড থাকতে হবে, যা লাইসেন্স ও নিয়ম সংক্রান্ত তথ্য দেবে।
নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ নজরদারি চালাবে ও প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে। নতুন এই বিধিনিষেধ কার্যকর হলে তামাক ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ আসবে, জনসুরক্ষা বাড়বে এবং শহরের পরিবেশ আরও সুশৃঙ্খল হবে বলে আশা করছে সরকার।

সূত্র: গালফ নিউজ।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Canadas Foreign Minister in India to restructure relationships

সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভারতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সম্পর্ক পুনর্গঠনে ভারতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল সোমবার নয়াদিল্লিতে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন — দুই দেশের মধ্যে তীব্র কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব কাটিয়ে রাষ্ট্রদূত বিনিময় পুনরায় শুরু হওয়ার পর এটি সবচেয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর বলেন, ‘গত কয়েক মাসে ভারত-কানাডা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে অগ্রগতি দেখাচ্ছে।’
মোদির সঙ্গে আনন্দের সাক্ষাতের পর জয়শঙ্কর আরো বলেন, ‘আমরা কানাডাকে দেখি একটি সহযোগী অর্থনীতি হিসেবে, আরেকটি উন্মুক্ত সমাজ হিসেবে — যা ঘনিষ্ঠ, টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করে।’
দুই দেশের সম্পর্ক ২০২৩ সালে গভীর সংকটে পড়ে, যখন কানাডা অভিযোগ তোলে যে ভারত ভ্যাঙ্কুভারে একজন কানাডীয় শিখ নেতার হত্যায় জড়িত — ভারত অভিযোগটি অস্বীকার করে।
এই কূটনৈতিক উত্তেজনার ফলে দূতাবাস, কনস্যুলার ও বাণিজ্যিক কার্যক্রমে বড় ধরনের বিঘ্ন ঘটে। ২০২৩ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪ সালের মার্চে কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ক্ষমতা গ্রহণের পর সম্পর্কে উন্নতি আসে।
কার্নি ও মোদি জুন মাসে কানাডায় অনুষ্ঠিত জি৭ সম্মেলনের ফাঁকে সাক্ষাৎ করেন এবং নতুন রাষ্ট্রদূত নিয়োগে সম্মত হন। উভয় কূটনীতিক ইতোমধ্যেই দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
আনন্দ বলেন, মোদির সঙ্গে তার বৈঠক ছিল ‘কার্নির সঙ্গে মোদির আলোচনার গতি ধরে রাখার প্রচেষ্টা’।

তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘আইন প্রয়োগ ও নিরাপত্তা সংলাপ বজায় রেখে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিস্তৃত করে কানাডা ও ভারত তাদের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনায়, ভারত ও কানাডা উভয়ই এখন একে অপরের সঙ্গে কাজ করতে আরো আগ্রহী হয়েছে।

নয়াদিল্লিতে সফর শেষে আনন্দ বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে এবং মুম্বাইয়ের ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন বলে জানা গেছে।

কানাডায় ভারতের বাইরে সবচেয়ে বড় শিখ সম্প্রদায় বাস করে। এই সম্প্রদায়ের মধ্যেই রয়েছে ‘খালিস্তান’ আন্দোলনের কর্মীরা — যারা ভারতের শিখ ধর্মাবলম্বীদের জন্য পৃথক রাষ্ট্রের দাবি জানায়।

অটোয়া ২০২৩ সালে অভিযোগ তোলে, ভারত ভ্যাঙ্কুভারে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হারদীপ সিং নিজজারের হত্যায় জড়িত এবং অন্যান্য শিখ কর্মীদেরও লক্ষ্যবস্তু করেছে।

১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতার পর থেকেই শুরু হওয়া খালিস্তান আন্দোলনকে ঘিরে একজন প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা ও একটি যাত্রীবাহী বিমানে বোমা হামলার মতো ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে।

এই ইস্যুটি ভারতের সঙ্গে বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সম্পর্কেরও দীর্ঘদিনের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Nobel Prize for Economics

অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ জন

অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেলেন ৩ জন

চলতি ২০২৫ সালের জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন তিনজন অর্থনীতিবিদ—জোয়েল মোকির, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট। উদ্ভাবন নির্ভর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ব্যাখ্যা করার জন্য তারা এ পুরস্কার পেয়েছেন।
এই তিন অর্থনীতিবিদের মধ্যে অর্ধেক পুরস্কার পেয়েছেন জোয়েল মোকির। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির পূর্বশর্তগুলো শনাক্ত করার জন্য তিনি পুরস্কার পেয়েছেন। ‘সৃজনশীল বিনাশ’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেকসই প্রবৃদ্ধির তত্ত্ব দেওয়ার জন্য বাকি অর্ধেক পুরস্কার যৌথভাবে পেয়েছেন ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট। রয়টার্সের তথ্যানুসারে, এই পুরস্কারের মূল্যমান ১২ লাখ ডলার।
বিবৃতিতে নোবেল কমিটি বলেছে, নোবেলজয়ীরা আমাদের শিখিয়েছেন—সব সময় প্রবৃদ্ধি হবে, এটা কখনোই নিশ্চিত ধরে নেওয়া যায় না। মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রবৃদ্ধি নয়, বরং স্থবিরতাই ছিল স্বাভাবিক অবস্থা। তাদের গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সম্ভাব্য হুমকিগুলো চিহ্নিত করে তা মোকাবিলা করতে হবে।
ঐতিহাসিক উপাত্ত ও দলিল ব্যবহার করে মোকির দেখিয়েছেন, কীভাবে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি ও উদ্ভাবন একসময় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে নিয়মিত বিষয়ে পরিণত করেছে। অন্যদিকে আগিয়োঁ ও হাউইট সেই প্রবৃদ্ধির অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন। ১৯৯২ সালের এক প্রবন্ধে তারা গাণিতিক মডেলের মাধ্যমে ব্যাখ্যা করেন, যখন নতুন ও উন্নত কোনো পণ্য বাজারে আসে, তখন পুরোনো পণ্য বিক্রি করা প্রতিষ্ঠানগুলো ধীরে ধীরে টিকে থাকতে পারে না। এই প্রক্রিয়াই অর্থনীতিতে ‘সৃজনশীল বিনাশ’ নামে পরিচিত। অর্থাৎ পুরোনো ব্যবস্থার ভেতর থেকেই নতুন উদ্ভাবন হয়।
পুরস্কারের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ধারাবাহিকভাবে যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে, গত দুই শতকের ইতিহাসে তা প্রথম দেখা গেছে। এর ধারাবাহিকতায় কোটি কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়েছে। সেই মানুষেরাই আজকের সমৃদ্ধির ভিত্তি গড়ে তুলেছে।
চলতি বছর অর্থনীতিতে নোবেলজয়ী জোয়েল মোকির, ফিলিপ আগিয়োঁ ও পিটার হাউইট দেখিয়েছেন, উদ্ভাবনই ভবিষ্যৎ অগ্রগতির মূল চালিকা শক্তি। তাদের গবেষণা মনে করিয়ে দেয়—অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি স্বয়ংক্রিয় বা নিশ্চিত প্রক্রিয়া নয়।
অর্থনীতির এই পুরস্কার মূল নোবেল পুরস্কারের অন্তর্ভুক্ত নয়। ১৯৬৯ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক নোবেল পুরস্কারের প্রতিষ্ঠাতা আলফ্রেড নোবেলের স্মরণে এই পুরস্কার চালু করে। তখন থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৫৭ জন এই পুরস্কার পেয়েছেন। আলফ্রেড নোবেলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অর্থনীতিতে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুরস্কার—এটাই এই পুরস্কারের কেতাবি নাম।
সবচেয়ে বেশি বয়সে এই পুরস্কার পেয়েছেন লিওনিড হারউইচ। ২০০৭ সালে এই পুরস্কার পাওয়ার সময় তার বয়স ছিল ৯০ বছর। তিনি আরও দুজনের সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন। সবচেয়ে কম বয়সে (৪৬) এই পুরস্কার পেয়েছেন এস্থার দুফলো। ২০১৯ সালে স্বামী অভিজিৎ ব্যানার্জির সঙ্গে যৌথভাবে এই পুরস্কার পান তিনি।

এবারের বিজয়ীদের পরিচয়
জোয়েল মকিয়র যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। তিনি পুরস্কারের অর্ধেক ভাগ পেয়েছেন। অন্য অর্ধেক ভাগ ভাগাভাগি করেছেন ফিলিপ আজিওন ও পিটার হাওয়িট।
আজিওন বর্তমানে প্যারিসের কোলেজ দ্য ফ্রঁস ও ইনসিয়াড এবং যুক্তরাজ্যের লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিকাল সায়েন্সে অধ্যাপনা করছেন। হাওয়িট যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক।
নোবেল কমিটির সদস্য জন হ্যাসলার বলেন, ‘জোয়েল মকিয়র ঐতিহাসিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ওপর নির্ভরশীল টেকসই প্রবৃদ্ধির উপাদানগুলো চিহ্নিত করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিপ আজিওন ও পিটার হাওয়িট ‘ক্রিয়েটিভ ডেস্ট্রাকশন’-এর একটি গাণিতিক মডেল তৈরি করেছেন — এটি এমন এক অন্তহীন প্রক্রিয়া যেখানে নতুন ও উন্নত পণ্য পুরনোকে প্রতিস্থাপন করে।’

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trumps speech while hesitated in Israels parliament

ট্রাম্প ভাষণ দেওয়ার সময় ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

* ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ স্লোগান
ট্রাম্প ভাষণ দেওয়ার সময় ইসরায়েলের পার্লামেন্টে হট্টগোল

গাজা শান্তি চুক্তি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইসরায়েলি পার্লামেন্টে হট্টগোল সৃষ্টি হয়েছে। একজন আইনপ্রণেতা ট্রাম্পের দিকে চিৎকার করে ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ স্লোগান দেন। শুধু তাই নয়, তিনি ট্রাম্পকে ‘সন্ত্রাসী’ বলেও বর্ণনা করেন।
গতকাল সোমবার বিরল এই ঘটনার পর দুই এমপিকে পার্লামেন্ট থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হয়।
জেরুজালেম পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প তার ভাষণের সময় যখন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের প্রশংসা করছিলেন, তখন হাদাশ পার্টির প্রধান আয়মান ওদেহ এবং দলের একজন সদস্য ‘ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিন’ লেখা প্ল্যাকার্ড ধরে রাখেন।
পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়ার জবাবে ওদেহ বলেছেন, তিনি সবচেয়ে মৌলিক দাবি উত্থাপন করেছেন। এটি এমন একটি দাবি, যার সঙ্গে সমগ্র আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একমত: একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়া।
নেসেটের স্পিকার আমির ওহানা এই হট্টগোলের জন্য ট্রাম্পের কাছে তাৎক্ষণিক ক্ষমা চেয়েছেন। ওহানা বলেন, ‘এর জন্য দুঃখিত, মি. প্রেসিডেন্ট।’
ইসরায়েলি এমপি এবং আরেক সদস্যকে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা যখন বের করে দিচ্ছিলেন, তখন ট্রাম্পকে বলতে শোনা যায়, কর্মকর্তারা ‘খুবই দক্ষ’। এটি শুনে অন্যান্য সংসদ সদস্যরা হেসে ওঠেন।
এদিকে, পার্লামেন্ট থেকে বের করে দেওয়া আগে নিজের বক্তৃতায় ওদেহ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা করে বলেন, ‘নেসেটে ভণ্ডামির মাত্রা অসহনীয়।’
তিনি বলেন, নজিরবিহীন তোষামোদের মাধ্যমে নেতানিয়াহুকে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত করলেই তাকে বা তার সরকারকে গাজায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ থেকে অব্যাহতি দেওয়া যাবে না। এমনকি লাখ লাখ ফিলিস্তিনি এবং হাজার হাজার ইসরায়েলি নিহতদের রক্তপাতের দায় থেকেও মুক্তি দেওয়া যাবে না।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
The president of Madagascar fled the country in the Jane G protest

জেন-জি বিক্ষোভে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

জেন-জি বিক্ষোভে দেশ ছেড়ে পালালেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট

জেন-জি নেতৃত্বাধীন রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি রাজোয়েলিনা। গতকাল সোমবার বিভিন্ন সূত্রের বরাতে রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা সিতেনি র‍্যান্ড্রিয়ানাসোলোনিয়িকো রয়টার্সকে জানান, সেনাবাহিনীর কিছু ইউনিট বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার পর রোববার রাজোয়েলিনা মাদাগাস্কার ত্যাগ করেন।
সিতেনি বলেন, ‘আমরা প্রেসিডেন্সির কর্মীদের ফোন করেছিলাম। তারা নিশ্চিত করেছে, তিনি দেশ ছেড়ে গেছেন।’
এর আগে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলেছিল, রাজোয়েলিনা গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। তবে তার বর্তমান অবস্থান অজানা।
একটি সামরিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, রাজোয়েলিনা রোববার একটি ফরাসি সামরিক বিমানে দেশত্যাগ করেছেন।

ফরাসি রেডিও আরএফআই জানিয়েছে, রাজোয়েলিনা প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছেন।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, মাদাগাস্কারের সেন্ট মেরি বিমানবন্দরে একটি ফরাসি সেনাবাহিনীর বিমান অবতরণ করেছিল। এর পাঁচ মিনিট পরে একটি হেলিকপ্টার এসে রাজোয়েলিনাকে সেটিতে স্থানান্তর করে।

সাবেক ফরাসি উপনিবেশ দেশটিতে ২৫ সেপ্টেম্বর পানি ও বিদ্যুৎ সংকটের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু দ্রুতই তা দুর্নীতি, খারাপ শাসন এবং মৌলিক পরিষেবার অভাবসহ বিস্তৃত অভিযোগের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে পরিণত হয়।

মন্তব্য

p
উপরে