প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন, ইসরাইল এবং হামাস ‘আমাদের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে সই করেছে।’
ট্রাম্প বলেছেন, ‘এর অর্থ হল, খুব শীঘ্রই সকল জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং ইসরাইল তাদের সৈন্যদের প্রত্যাহার করবে। এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি একটি শক্তিশালী, টেকসই এবং চিরস্থায়ী শান্তির প্রথম পদক্ষেপ। সকল পক্ষের সাথে ন্যায্য আচরণ করা হবে! এটি আরব ও মুসলিম বিশ্ব, ইসরাইল, আশেপাশের সমস্ত দেশ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি মহান দিন।
কায়রো থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো বলেছেন, আমরা কাতার, মিশর এবং তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীদের ধন্যবাদ জানাই, যারা এই ঐতিহাসিক এবং অভূতপূর্ব ঘটনাটি ঘটাতে আমাদের সাথে কাজ করেছেন। শান্তি প্রতিষ্ঠাকারীরা ধন্য!’
হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের এই সপ্তাহান্তে মধ্যপ্রাচ্য ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বলার মাত্র কয়েক ঘন্টা পরেই এই ঘোষণা আসে।
ইসরাইল এবং হামাস একে অপরের সাথে সরাসরি কথা বলে না, যার জন্য পরোক্ষ আলোচনার প্রয়োজন হয় যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভ উইটকফ, প্রেসিডেন্টের জামাতা জ্যারেড কুশনার এবং মিশরের শার্ম-এল-শেখে মিশর, কাতার এবং তুরস্কের মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যস্থতায় হয়েছিল।
তবে যুদ্ধবিরতি কবে থেকে কার্যকর হবে তা স্পষ্ট নয়।
ধারণা করা হচ্ছে, চুক্তিতে হামাসকে জীবিত ও মৃত প্রায় ৫০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার এবং ইসরাইলকে প্রায় ২০০০ ফিলিস্তিনি বন্দী ও আটক ব্যক্তিকে মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ট্রাম্প গত সপ্তাহে যেমন উল্লেখ করেছিলেন, চুক্তির অন্যান্য মূল উপাদানগুলোতে হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ এবং দুই বছরের যুদ্ধে বিধ্বস্ত সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল গাজা শাসনে ভবিষ্যতের ভূমিকা ত্যাগ করার কথা বলা হয়েছে।
ইসরাইল আপাতত গাজায় কিছু সৈন্য রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যুদ্ধবিরতি দৃঢ় হওয়ার সাথে সাথে শান্তি প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে শেষ পর্যন্ত তাদের সরিয়ে নেবে।
এই মূল বিধানগুলোর সুনির্দিষ্ট বিবরণ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট ছিল না।
একাধিক ব্যর্থ প্রচেষ্টা এবং পূর্ববর্তী দু’টি যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর চুক্তিটিকে একটি বড় অগ্রগতি হিসাবে দেখা হচ্ছে। এই বছরের জানুয়ারিতে সম্পাদিত একটি যুদ্ধবিরতি মার্চ মাসে ভেঙে যায় যখন ইসরাইল গাজায় আক্রমণ পুনর্নবীকরণ করে। যুদ্ধের প্রথম দিনগুলোতে, ২০২৩ সালের নভেম্বরে একটি যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছিল।
বিস্তৃত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রতি ব্যাপক সমর্থন তৈরি করেছে এবং আশা জাগিয়েছে যে, এই যুদ্ধবিরতি স্থায়ী হবে। ইসরাইলি এবং ফিলিস্তিনি উভয় সমাজেই শক্তিশালী সংখ্যাগরিষ্ঠরা যুদ্ধের অবসানের পক্ষে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে দক্ষিণ ইসরাইলে ফিলিস্তিনের স্বাথীনতাকামী হামাসের আকস্মিক আক্রমণের মাধ্যমে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। হামলায় প্রায় ১,২১৯ জন নিহত হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই ইসরাইলি বেসামরিক নাগরিক। তাদের অনেকেই সপ্তাহান্তে একটি সঙ্গীত উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে দেশটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এটি ছিল ইসরাইলের ওপর একদিনের সবচেয়ে ভয়াবহ আক্রমণ।
ইসরাইল একটি ভয়াবহ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে, যার ফলে ৬৭ হাজারেরও বেশি বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরাইলের ক্রমাগত বোমা হামলা এবং অবিরাম স্থল বাহিনীর আক্রমণ গাজার বেশিরভাগ বাড়িঘর, স্কুল, হাসপাতাল এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে।
সংঘাত জুড়ে ইসরাইল গাজায় সীমিত সাহায্য দিয়েছে। যার ফলে খাদ্য ও ওষুধের চরম ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
যুদ্ধের সময় গাজার ২০ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যা বারবার বাস্তুুচ্যুত হয়েছে। বেশিরভাগ বাসিন্দা এখন মিশরের সীমান্তের কাছে ভূখণ্ডের দক্ষিণ অংশে তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছে।
যুদ্ধের অবসানের ফলে খাদ্য এবং অন্যান্য মৌলিক চাহিদার সরবরাহ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কিন্তু ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, পানি এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনর্নির্মাণে বহু বছর সময় লাগবে।
যুদ্ধের সমাপ্তি এখন হাতের নাগালে থাকলেও ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্ন সমাধানের জন্য কোনো স্পষ্ট রোডম্যাপ নেই।
এই পরিকল্পনায় প্রায় দুই দশক ধরে গাজা শাসন করার পর হামাসকে সরে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। এতে ‘যোগ্য ফিলিস্তিনি এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের’ একটি অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালনা কমিটি গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়াও, ট্রাম্পের সভাপতিত্বে একটি আন্তর্জাতিক ‘শান্তির বোর্ড’ কমিটি তত্ত্বাবধান করবে এবং গাজার পুনর্গঠন তত্ত্বাবধান করবে।
একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে পরিকল্পনাটি ‘ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রত্বের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য পথ’ তৈরির জন্য একটি অস্পষ্ট আহ্বান জানিয়েছে, তবে কোনো বিবরণ প্রদান করেনি।
ইতোমধ্যে গাজায় হামাসকে ধ্বংস করার পর লেবাননে হিজবুল্লাহকে আক্রমণ এবং ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালানোর পর ইসরাইল যুদ্ধ থেকে অনেক শক্তিশালী অবস্থানে উঠে এসেছে।
তবুও গাজা যুদ্ধ পরিচালনার জন্য ইসরাইল আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যার ফলে অনেক বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সূত্র: বাসস
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষরের খবরে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের মধ্যে। কেউ খুশিতে কাঁদছেন-হাততালি দিচ্ছেন, কেউ বাঁশি বাজাচ্ছেন, কেউ গান গাইছেন-নাচানাচি করছেন এবং চিৎকার করে বলছেন ‘আল্লাহু আকবর’।
৫ সন্তানের মা ঘাদা এই খবর শোনার পর থেকে কাঁদছেন। বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি কাঁদছি; কিন্তু এটা আনন্দের অশ্রু। মনে হচ্ছে, নতুন করে আবার আমাদের জন্ম হলো। আশা করছি, এই ভয়াবহ যুদ্ধের শেষ হচ্ছে।”
ঘাদা জানান, গাজার প্রধান শহর গাজা সিটির বাসিন্দা ছিলেন তিনি। যে বাড়িতে তারা থাকতেন, সেটি ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর গত ১৫ মাস ধরে পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ তাঁবুতে বসবাস করছেন ঘাদা।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর সোমবার স্থানীয় সময় বিকেলে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ও দপ্তর হোয়াইট হাউসে গাজায় যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত নতুন একটি পরিকল্পনার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। তাৎক্ষণিকভাবে ইসরায়েল ও মধ্যস্থতাকারী দুই দেশ মিসর ও কাতার সম্মতি দিলেও হামাস তখনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
পরে ৩ অক্টোবর শুক্রবার হামাস সম্মতি জানানোর পরের দিন ৪ অক্টোবর ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ বন্ধ করতে বলেন ট্রাম্প। তার পর ৬ অক্টোবর মিসরের লোহিত সাগর তীরবর্তী পর্যটন শহর শারম আল শেখ- এ ট্রাম্পের প্রস্তাবের ওপর বৈঠক শুরু হয় ইসরায়েল, হামাস, মিসর, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের প্রতিনিধিদের মধ্যে।
সেই বৈঠকে দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে আলোচনা চলার পর গতকাল রাতে ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রাথমিক পর্যায় বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে স্বাক্ষর করেছে ইসরায়েল-হামাস।
এই পর্যায়টির স্থায়িত্ব হবে ৬ সপ্তাহ। এই ছয় সপ্তাহে নিজেদের হাতে থাকা সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর পরিবর্তে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ, ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি এবং গাজা থেকে পর্যায়ক্রমে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর গতকাল রাতেই আনন্দ মিছিল বের করেন গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের বাসিন্দারা। কিশোর তরুণরা বাঁশি-খঞ্জনি-ড্রাম বাজিয়ে, নেচে গেয়ে উল্লাস শুরু করেন।
ইমান আল কৌকা নামের এক তরুণী এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। রয়টার্সকে তিনি বলেন, “আজ আমাদের আনন্দের দিন, আজ আমাদের দুঃখেরও দিন। এটা এমন দিন যার জন্য আমরা হাসব—আবার যুদ্ধে আমরা যাদের হারিয়েছি, যা যা হারিয়েছে—সেসব স্মরণ করে কাঁদব। আমরা শুধু আমাদের বন্ধু, স্বজন এবং বাড়িঘরই হারাইনি। আমরা আমাদের শহর হারিয়েছি। এই যুদ্ধের মাধ্যমে ইসরায়েল আমাদের প্রাগৈতিহাসিক আমলে ঠেলে দিয়েছে।”
ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় বাড়ি ঘর হারিয়ে গত বছর খান ইউনিসের দেইর আল বালাহ এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন গাজার অপর বাসিন্দা আহমেদ দাহমান। রয়টার্সকে তিনি জানান, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমার আঘাতে বাড়িঘরের পাশাপাশি নিজের বাবাকেও হারিয়েছেন তিনি; কিন্তু তাকে দাফন করতে পারেননি। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বাবার মরদেহ রেখেই নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটতে হয়েছে তাদের।
রয়টার্সকে দাহমান বলেন, “অবশেষে গাজায় রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে এবং আমাদের জীবন রক্ষা পাচ্ছে—এটা আনন্দের খবর। তবে আমি যুদ্ধ-পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত। আমরা যখন ফিরব, তখন দেখব যে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই।”
“আমার বাবার লাশ ধ্বংসস্তূপের তলায় রেখে পালাতে বাধ্য হয়েছিলাম। বাড়ি ফিরে আমার প্রথম কাজ হবে বাবার দেহাবশেষ খুঁজে বের করে তার দাফন সম্পন্ন করা।”
আহমেদ দাহমানের মা বুশরা বলেন, “এ যুদ্ধবিরতি আমার স্বামীকে ফেরত দিতে পারবে না। কিন্তু অন্তত অনেকের জীবন রক্ষা পাবে। আমি কাঁদব, এমন কান্না যা এর আগে কখনও, কোনোদিন কাঁদিনি। এই নিষ্ঠুর যুদ্ধ আমাদের কাঁদার সময় দেয়নি।”
সূত্র : রয়টার্স
চলতি বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জাপানের সুসুমু কিতাগাওয়া, যুক্তরাজ্যের রিচার্ড রবসন এবং জর্ডান বংশোদ্ভুত মার্কিন নাগরিক ওমর এম ইয়াঘি। ধাতব-জৈব কাঠামো (মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস) আবিষ্কারের জন্য তাদের এই পুরস্কারেরস জন্য নির্বাচিত করা হয়।
গতকাল বুধবার রসায়নে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস। স্টকহোম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
নোবেল জুরি বোর্ড জানায়, এই কাঠামোগুলো (মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কস) ব্যবহার করে মরুভূমির বাতাস থেকে পানি সংগ্রহ করা যায়, কার্বন ডাই-অক্সাইড আটকানো যায়, বিষাক্ত গ্যাস সংরক্ষণ করা যায় কিংবা রাসায়নিক বিক্রিয়া অনুঘটক হিসেবে কাজে লাগানো যায়।
দীর্ঘদিন ধরে বিশ্লেষকরা ইয়াঘিকে নোবেলের জন্য শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে গণ্য করে আসছেন। তার সঙ্গে কিতাগাওয়ার নামও প্রায়ই আলোচনায় আসত।
নোবেল কমিটির কেমিস্ট্রি বিভাগের চেয়ারম্যান হেইনার লিংকে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মেটাল-অর্গানিক ফ্রেমওয়ার্কসের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগে কল্পনাও করা যায়নি এমন সব সুযোগ এনে দিয়েছে। বিশেষ করে এটি নতুন বৈশিষ্ট্যের উপযোগী কাস্টমাইজড উপকরণ তৈরির সুযোগ করে দিয়েছে।’
গত বছর রসায়নে নোবেল পান যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড বেকার ও জন জাম্পার এবং ব্রিটেনের ডেমিস হাসাবিস। তারা কম্পিউটিং ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে জীবনের মূল গঠন উপাদান প্রোটিনের গঠন কোড উন্মোচনে কাজ করেন।
এই বছর পদার্থবিজ্ঞানে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ব্রিটেনের জন ক্লার্ক, ফ্রান্সের মিশেল এইচ. দেভরেট ও মার্কিন নাগরিক জন এম মার্টিনিস। গত মঙ্গলবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে সোমবার চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র-জাপানের তিন বিজ্ঞানীকে। যুক্তরাষ্ট্রের মেরি ব্রাঙ্কো ও ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের শিমোন সাকাগুচি মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণার জন্য তারা নোবেল পান।
আজ বৃহস্পতিবার সাহিত্যে এবং আগামীকাল শুক্রবার বহুল আলোচিত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। অর্থনীতির নোবেল দিয়ে আগামী ১৩ অক্টোবর শেষ হবে ২০২৫ সালের নোবেল মৌসুম।
প্রতিটি নোবেল পুরস্কারের সঙ্গে থাকবে একটি সনদপত্র, একটি স্বর্ণপদক এবং ১২ লাখ মার্কিন ডলার সমমূল্যের চেক। কোনো বিভাগে একাধিক বিজয়ী হলে পুরস্কারের অর্থ ভাগ করে দেওয়া হয়।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্টকহোমে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সুইডেনের রাজা কার্ল ষোড়শ গুস্তাফের কাছ থেকে এই বছর নোবেল বিজয়ীরা আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার গ্রহণ করবেন।
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছেছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হামাস চরম প্রতিশোধ নেওয়ার পর ইসরায়েলের দিক থেকে শুরু হওয়া আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৬৭ হাজার ১৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ২০ হাজার ১৭৯ জন শিশু। আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৬৯ হাজার ৭৮০ জন।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, হামলায় চিকিৎসা অবকাঠামো ভেঙে পড়েছে, নিহত হয়েছে ১ হাজার ৭০১ জন স্বাস্থ্যকর্মী এবং আটক হয়েছে আরও ৩৬২ জন। অবরোধ ও বোমাবর্ষণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৪৬০ জন, যাদের মধ্যে শিশু ১৫৪ জন। জাতিসংঘ বলছে, গাজা উপত্যকার মাত্র ১৮ শতাংশ এলাকা এখনো উচ্ছেদ নির্দেশ বা সামরিক নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বারবার বাস্তুচ্যুত হয়ে লাখো ফিলিস্তিনি দক্ষিণে পালিয়ে যাচ্ছে। গত আগস্ট থেকে কেবল গাজা সিটি থেকেই ৪ লাখ ১৭ হাজার মানুষ স্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।
এমন প্রেক্ষাপটে মিসরের শার্ম আল শেখে শুরু হয়েছে হামাস-ইসরায়েল পরোক্ষ আলোচনা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আলোচনায় মূল গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বন্দি বিনিময় ইস্যুতে। ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। হামাস জানিয়েছে, তারা আংশিকভাবে প্রস্তাবে রাজি হয়েছে, তবে গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন ও নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে এখনো আপত্তি রয়েছে।
প্রথম দফার আলোচনা ‘ইতিবাচক পরিবেশে’ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে মিসরের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন। গত মঙ্গলবারও আলোচনায় বসবেন হামাস, মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, দ্রুত বন্দিদের মুক্তির ঘোষণা আসবে। তার প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা প্রবেশ ও সীমিত বন্দি বিনিময়ের কথা রয়েছে।
৭ অক্টোবর হামলার দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে বিশ্বনেতারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ ও যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির পক্ষে জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন। গ্রিস, ইতালি ও সুইডেনের প্রধানমন্ত্রীরাও ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে স্থায়ী সমাধানের পথে এগোনোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তবে ইসরায়েলের ভেতরে জিম্মিদের পরিবারের চাপ বাড়ছে। তেল আবিবে বিক্ষোভকারীরা সরকারকে অভিযুক্ত করছেন জিম্মিদের অবহেলা করার জন্য। তারা দাবি তুলেছেন, বন্দিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনা হোক। এরই মধ্যে কিছু পরিবার নোবেল কমিটিকে চিঠি লিখে ট্রাম্পকে শান্তি প্রচেষ্টার স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েল এবার ৭ অক্টোবরকে সরকারি স্মরণ দিবস হিসেবে পালন করেনি। দেশটির হিব্রু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৬ অক্টোবর জাতীয় কবরস্থানে আনুষ্ঠানিক স্মরণানুষ্ঠান হবে। তবে বেসরকারি উদ্যোগে কনসার্ট, সমাবেশসহ নানা স্মরণ কর্মসূচি হচ্ছে।
অন্যদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২১ জন নিহত এবং ৯৬ জন আহত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের স্বাধীন প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় উভয় পক্ষের দাবি যাচাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
ক্যান্সারে মারা যাওয়া এক নারীর পরিবারকে ৯৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে জনসন অ্যান্ড জনসনকে আদেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের একটি আদালত। জুরি মনে করেছে, বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বেবি পাউডার প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি ওই নারীর মৃত্যুর জন্য দায়ী।
এক প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা মে মুর ২০২১ সালে ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। সে বছরই তার পরিবার জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে মামলা করে। অভিযোগে বলা হয়, কোম্পানিটির তৈরি বেবি পাউডারে অ্যাসবেস্টস নামের ক্ষতিকর তন্তু ছিল, যা তার বিরল মেসোথেলিওমা ক্যান্সারের কারণ।
আদালতের নথি অনুযায়ী, গত সোমবার সন্ধ্যায় জনসন অ্যান্ড জনসনকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার এবং শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ বাবদ ৯৫ কোটি ডলার পরিশোধের নির্দেশ দেয় জুরি।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুসারে, শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ সাধারণত ক্ষতিপূরণের পরিমাণের ৯ গুণের বেশি হওয়া উচিত নয়। তাই আপিলের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ কমতে পারে।
জনসন অ্যান্ড জনসনের আইনি বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিক হাস এক বিবৃতিতে লস অ্যাঞ্জেলেসের আদালতের এ রায়কে ‘ভয়াবহ ও অসাংবিধানিক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তার মক্কেল দ্রুতই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের পরিকল্পনা করছে।
হাস বলেন, বাদীপক্ষের আইনজীবীরা এমন ‘ভুয়া বিজ্ঞানের’ ওপর ভিত্তি করে তাদের যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন, যা জুরির সামনে উপস্থাপন করা উচিত ছিল না।
জনসন অ্যান্ড জনসন বরাবরই দাবি করে আসছে, তাদের পণ্য নিরাপদ; এতে অ্যাসবেস্টস নেই এবং এটি ক্যান্সার সৃষ্টি করে না।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে ভারতের উত্তর-পশ্চিম রাজ্য রাজস্থানে ভারত ও রাশিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া ‘ইন্ডরা ২০২৫’ শুরু হয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই খবর নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাজস্থানের মহাজন রেঞ্জে এই সামরিক মহড়া চলছে এবং তা আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, মহড়ার প্রধান লক্ষ্য হলো- সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উভয় দেশের সামরিক ইউনিটগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধনকে আরও তীক্ষ্ণ করা। এর মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের কৌশল নিখুঁত করাও অন্তর্ভুক্ত।
মন্ত্রণালয় বলেছে, আধুনিক যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ইউনিটগুলোর কার্যক্ষমতাগত সামঞ্জস্যতা বৃদ্ধি এবং সর্বোত্তম অনুশীলন আদান-প্রদানের ওপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে।
এই যৌথ সামরিক মহড়া দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের কৌশলগত অংশীদারত্বকে আরও মজবুত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
চীনকে ঠেকাতে নতুন প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরি করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ অপেক্ষার পর চলতি সপ্তাহের মধ্যেই মার্কিন নৌবাহিনীর নতুন স্টেলথ যুদ্ধবিমান নির্মাণ ও নকশার দায়িত্ব কোন প্রতিরক্ষা কোম্পানিকে দেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে পেন্টাগন।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন, এক মার্কিন কর্মকর্তা এবং এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুইজন। কয়েক বিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্প চীনা প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রকে আরও শক্তিশালী করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বোয়িং কোম্পানি এবং নর্থরপ গ্রুম্যান করপোরেশন এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। তাদের মধ্যে যে কোম্পানি নির্বাচিত হবে, তারা তৈরি করবে ‘এফ/এ-এক্সএক্স’ নামের নতুন যুদ্ধবিমানটি। এটি ১৯৯০-এর দশক থেকে ব্যবহৃত ‘এফ/এ-১৮ ই/এফ’ সুপার হর্নেট বহরের বিকল্প হবে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, প্রতিরক্ষাসচিব পিট হেগসেথ গত শুক্রবার এই প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দিয়েছেন। সম্ভবত এই সপ্তাহেই নৌবাহিনী বিজয়ী কোম্পানির নাম ঘোষণা করবে। তবে অতীতের মতো শেষ মুহূর্তের জটিলতা আবারও বিলম্ব ঘটাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও পেন্টাগন ও মার্কিন নৌবাহিনী এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
এফ/এ-এক্সএক্স প্রকল্পে বিলম্ব মার্কিন নৌবাহিনীর বিমান সক্ষমতা ও চীনের বিরুদ্ধে বিমানবাহী রণতরির কৌশলগত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রকল্পটি বিলম্বিত হলে বা বাজেট সংকুচিত হলে মার্কিন নৌবাহিনী ২০৩০ সালের পর আধুনিক যুদ্ধবিমানের ঘাটতিতে পড়তে পারে, যা তাদের বিশ্ব রণাঙ্গনের মঞ্চে দুর্বল করবে।
এই নতুন যুদ্ধবিমানটিতে থাকবে উন্নত স্টেলথ প্রযুক্তি, বেশি পরিসর ও স্থায়িত্ব এবং বিনা চালকে উড্ডয়নযোগ্য ও নৌবাহিনীর প্রতিরক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের সক্ষমতা।
বসন্ত ও গ্রীষ্মে কংগ্রেস ও পেন্টাগনের মধ্যে অর্থায়ন নিয়ে বিরোধের কারণে প্রকল্পের অগ্রগতি থেমে যায়। পেন্টাগন ৭৪ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ চেয়েছিল ‘ন্যূনতম উন্নয়ন তহবিল’ হিসেবে। কিছু কর্মকর্তা প্রকৌশল ও সরবরাহ শৃঙ্খলের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রকল্পটি তিন বছর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু কংগ্রেস ও নৌবাহিনী দ্রুত চুক্তির পক্ষেই ছিল।
পরবর্তীকালে প্রকল্পটি ত্বরান্বিত করতে কংগ্রেস ৭৫০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করে, যা এই গ্রীষ্মে স্বাক্ষরিত কর বিল ও ব্যয় আইনের অংশ। তা ছাড়া ২০২৬ অর্থবছরের জন্য আরও ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, বিলম্বের আরেকটি কারণ ছিল এই বিতর্ক- বোয়িং ও নর্থরপ গ্রুম্যান সময়মতো বিমান সরবরাহ করতে পারবে কি না। কেউ কেউ আশঙ্কা করেছিলেন, বোয়িং হয়তো পর্যাপ্ত প্রকৌশলী নিয়োগ দিতে পারবে না। কারণ, তারা সম্প্রতি মার্কিন বিমানবাহিনীর এফ-৪৭ জেট প্রকল্পও পেয়েছে। আবার নর্থরপ গ্রুম্যানের ক্ষেত্রেও উদ্বেগ ছিল যে তাদের সেন্টিনেল আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্প এরই মধ্যে ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে।
যদিও এফ/এ-এক্সএক্সের সংখ্যা, মূল্য ও সময়সীমা গোপন রাখা হয়েছে। ধারণা করা হয়, এটি এফ-৩৫ প্রকল্পের মতোই বহু বিলিয়ন ডলারের হবে।
এদিকে মার্কিন নৌবাহিনী এখনো লকহিড মার্টিন কর্পের এফ-৩৫সি জেটের ২৭০টিরও বেশি ইউনিট কেনার পরিকল্পনা করছে। তবে লকহিড মার্টিনকে এই বছরই এফ/এ-এক্সএক্স প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রথম ধাপের উৎপাদিত যুদ্ধবিমানগুলো ২০৩০ সালের পর পরিষেবায় যুক্ত হওয়ার কথা, আর বিদ্যমান এফ/এ-১৮ বহর ২০৪০-এর দশক পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য