× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

আন্তর্জাতিক
Diplomats walkout while Netanyahus speech at the United Nations
google_news print-icon

জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় কূটনীতিকদের ওয়াকআউট

জাতিসংঘে-নেতানিয়াহুর-ভাষণের-সময়-কূটনীতিকদের-ওয়াকআউট

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তব্য দেওয়ার জন্য মঞ্চে ঊঠতেই বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক প্রতিনিধিরা গণহারে ওয়াকআউট করেন। তবে একই সময় দর্শক সারিতে থাকা তার সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করেন।

জাতিসংঘ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের প্রথম দিনে নেতানিয়াহু তার ভাষণ শুরু করার আগে সকল প্রতিনিধিদের শান্ত থাকতে বলা হয়।

সূত্র : বাসস

মন্তব্য

আরও পড়ুন

আন্তর্জাতিক
Rohingya Crisis Calling for permanent solutions and funds to increase funds

রোহিঙ্গা সংকট: স্থায়ী সমাধান ও তহবিল বৃদ্ধির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

রোহিঙ্গা সংকট: স্থায়ী সমাধান ও তহবিল বৃদ্ধির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান এবং তহবিল বৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তহবিল সংকটের কারণে আজকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ন্যূনতম জীবনমান বজায় রাখার যৌথ প্রয়াসও ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি ইতোমধ্যে এই সংকটের বিষয়ে সতর্ক করেছে। অবিলম্বে নতুন তহবিল না এলে, মাসিক রেশন অর্ধেকে নামিয়ে মাথাপিছু মাত্র ৬ ডলারে নামতে পারে, যা রোহিঙ্গাদের অনাহার ও অপুষ্টিতে নিমজ্জিত করবে।’

প্রধান উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, ‘বিদ্যমান তহবিলের বাইরে নতুন ও বর্ধিত তহবিল নিশ্চিত করতে হবে এবং মিয়ানমার সরকার ও রাখাইনের অন্যান্য অংশীদারদের উপর ইতিবাচক পরিবর্তন ও দ্রুত রাজনৈতিক সমাধানের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে হবে।’

মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে চলমান সংঘাত সমগ্র অঞ্চলের জন্য এক গভীর উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকেই ঝুঁকিতে ফেলছে না, বরং বাংলাদেশে আশ্রয়প্রাপ্ত বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনও কঠিন করে তুলেছে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আট বছর পার হলেও রোহিঙ্গা সংকটের কোনো সমাধান দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। উপরন্তু, বাংলাদেশ প্রতিনিয়তই মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাধ্য হচ্ছে। সাংস্কৃতিক পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতির কারণে রোহিঙ্গাদের ওপর অধিকার বঞ্চনা ও নির্যাতন রাখাইনে অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের প্রান্তিকীকরণের প্রক্রিয়া আর চলতে দেওয়া যাবে না। যেসব বৈষম্যমূলক নীতি ও কর্মকাণ্ড আজকের এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তার সমাধান এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা এখনই গ্রহণ করা সম্ভব।’

তিনি উল্লেখ করেন, ‘পূর্ণাঙ্গ জাতীয় রাজনৈতিক মীমাংসার অপেক্ষা না করে রাখাইনের সমস্যাগুলোর চূড়ান্ত রাজনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। তবে এর জন্য রাখাইন অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট সকল জাতিসত্তার অংশগ্রহণে এমন একটি বন্দোবস্ত প্রয়োজন যেন রোহিঙ্গারা সমঅধিকার ও নাগরিকত্বসহ সমাজের অংশ হতে পারে।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সংকটের সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী রোহিঙ্গারা, আর তাদের পরেই বৃহত্তম ভুক্তভোগী হল বাংলাদেশ। তবে রোহিঙ্গা সংকট কোনোভাবেই বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমারের কোনো দ্বিপাক্ষিক বিষয় নয়। আমরা শুধু একটি দায়িত্বশীল প্রতিবেশী এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্বশীল সদস্য হিসেবে আমাদের মানবিক দায়িত্ব পালন করে আসছি।’

তিনি যোগ করেন, ‘অন্য প্রতিবেশী দেশগুলোকেও তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। রাখাইনে স্থিতিশীলতা আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে কোনো যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সদাপ্রস্তুত।’

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা আশা করি, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের উচ্চপর্যায়ের রোহিঙ্গা সম্মেলন বিশ্বব্যাপী দৃঢ় সংকল্প তৈরি করবে এবং রোহিঙ্গাদের জন্য বাস্তবসম্মত আন্তর্জাতিক সহায়তা নিশ্চিত করবে, যেখানে তহবিল সংগ্রহ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। একইসঙ্গে একটি রোডম্যাপ গ্রহণ করে সময় নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান সম্ভব হবে।’

সূত্র : বাসস

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Israeli attacks were killed in Sanaa 3 injured

ইসরাইলি হামলায় সানায় নিহত ৯, আহত ১৭০

ইসরাইলি হামলায় সানায় নিহত ৯, আহত ১৭০

ইয়েমেনের রাজধানী সানায় গতকাল বৃহস্পতিবার ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলি ওই হামলায় কমপক্ষে নয় জন নিহত এবং ১৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ইয়েমেনের হুতিরা এই তথ্য জানিয়েছে।

দক্ষিণ ইসরাইলে বিদ্রোহীরা ড্রোন হামলা চালানোর একদিন পর ইসরাইলি বাহিনী এই হামলা চালায়।

সানা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

এএফপি’র সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, তারা সানা এলাকার তিনটি স্থান থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন এবং ধোঁয়ার কুণ্ডলী উড়তে দেখেছেন। গাজা যুদ্ধের পর হুতিরা ইসরাইলকে টার্গেটে পরিণত করার পর থেকে এটি সর্বশেষ প্রতিশোধমূলক হামলা।

ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্রোহী-অধিষ্ঠিত রাজধানীতে ইসরাইলি বাহিনী হুতি-সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি স্থাপনায় আঘাত হেনেছে এবং আরো হামলা হতে পারে।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী পরে বলেছে, ‘ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করা হয়েছে’। এই সময় মধ্য ইসরাইলে সাইরেন বেজে ওঠে।

হুতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলাসবাহি এক্স-এ এক পোস্টে বলেছেন, ইয়েমেনে উদ্ধারকারীরা এখনো ইসরাইলি হামলার শিকারদের সন্ধান করছে। হামলায় ‘নয়জন শহীদ এবং ১৭৪ জন আহত’ হয়েছেন।

হুতির আল-মাসিরাহ টেলিভিশন চ্যানেল, ‘একটি নিরাপত্তা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইসরাইল ‘নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার একটি সংশোধনাগারকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকজন বন্দী রয়েছে।’
আল-মাসিরাহ আগে বলেছিল, একটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং দ’ুটি আবাসিক এলাকাকে টার্গেট করা হয়েছে। আল-মাসিরাহ শেয়ার করা ছবিতে বোমা বিস্ফোরিত হওয়াসহ নিচু ভবনগুলো দেখা যাচ্ছে।

একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে রাস্তা পেঁচানো ধাতু ও কংক্রিটের টুকরো দিয়ে ভরা এবং অন্য ছবিতে একটি ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের ছাদে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ দেখা যাচ্ছে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ বলেছেন, এই হামলা ‘সানায় হুতিদের অসংখ্য সন্ত্রাসী স্থাপনার ওপর একটি শক্তিশালী আঘাত’।

কাৎজ এক্স-এ বলেছেন, তারা ‘বেশ কয়েকটি সামরিক শিবিরে আঘাত করেছে ও হামলায় কয়েক ডজন হুতিকে নির্মূল করা হয়েছে এবং ইউএভি (ড্রোন) এবং অস্ত্রের মজুদ ধ্বংস করেছে।’

ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থাপনায় হুতিদের জেনারেল স্টাফ সদর দপ্তরসহ অন্যান্য নিরাপত্তা ও গোয়েন্দার স্থান অন্তর্ভুক্ত ছিল। যার মধ্যে কিছু অস্ত্র মজুদ এবং ইসরাইলে হামলার ‘পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন’ করার জন্য ব্যবহৃত হত।

এতে আরো বলা হয়েছে, হুতিদের ‘সামরিক জনসংযোগ সদর দপ্তর’ও টার্গেট করা হয়েছিল।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
We live with the dead Gaza displays take shelter in the cemetery

‘আমরা মৃতদের সাথে বাস করি’: গাজার বাস্তুচ্যুতরা কবরস্থানে আশ্রয় নেয়

‘আমরা মৃতদের সাথে বাস করি’: গাজার বাস্তুচ্যুতরা কবরস্থানে আশ্রয় নেয়

দক্ষিণ গাজার একটি কবরস্থানে সমাধিফলকের মধ্যে তিনটি শিশু বালি এবং নুড়িপাথর নিয়ে খেলছে। অন্যদিকে একটি কিশোর খালি পায়ে কবরস্থানের মধ্য দিয়ে দুই বালতি পানি বহন করে তাঁবুতে নিখোঁজ হয়ে গেছে।

এই ভয়াবহ দৃশ্যগুলো কিছু বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রতিদিনের বাস্তবতা, যারা অন্য কোথাও আশ্রয় খুঁজে না পেয়ে দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের একটি কবরস্থানে তাঁবু স্থাপন করতে বাধ্য হয়েছে।

গাজার খান ইউনিস থেকে এএফপি এই খবর জানিয়েছে।
রান্ডা মুসলেহ তার তাঁবুর ভেতর থেকে তার ১১ সন্তানের সাথে চা পান করতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না’।

তিনি এএফপি’কে বলেছেন, বাড়িওয়ালারা ‘মোটা অঙ্কের টাকা চেয়েছেন।’

মুসলেহ বলেন, ৫০ বর্গমিটার (৫৪০ বর্গফুট) জমির তুলনামূলকভাবে ছোট অংশের দাম মাসে ১ হাজার শেকেল (৩০০ ডলার) পর্যন্ত হতে পারে। বেশিরভাগ গাজাবাসীর জন্য এটি একটি অত্যন্ত কঠিন পরিমাণ।

গাজার উত্তরে বেইত হানুনে তাদের বাড়ির কাছে ইসরাইলি সামরিক অভিযান তীব্রতর হলে তিনি তার সন্তানদের নিয়ে খান ইউনিসে পালিয়ে যান।

তিনি বলেছেন, ‘আমি হেঁটে হেঁটে আমার সন্তানদের জন্য বসবাসের উপযুক্ত জায়গায় জমি খুঁজে পাই।

লোকেরা আমাদের বলেছিল, মরুভূমি এবং কবরস্থানের মধ্যে আমাদের এখানে অর্থ প্রদান করতে হবে না’।
‘তাই আমরা তাঁবু স্থাপন করেছি এবং এখানেই থেকেছি।’

গাজা শহরের অভ্যন্তরে ইসরাইলি সেনাবাহিনী যখন আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক বাসিন্দা দক্ষিণে পালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যেই জনাকীর্ণ এলাকায় জায়গা খুঁজে পেতে হিমশিম খাচ্ছেন, কারণ সেখানে লক্ষ লক্ষ লোক আশ্রয় নিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার, ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ৭ লক্ষ মানুষ গাজা শহর ছেড়ে চলে গেছে।

ইসরাইল বলেছে, তারা হামাসের অবশিষ্ট গোষ্ঠীগুলোকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে, যেখানে হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটিগুলোর মধ্যে একটি, যারা অক্টোবর ২০২৩ সালে আক্রমণ যুদ্ধের সূত্রপাত করেছিল।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ একটি কম পরিসংখ্যান জানিয়েছে, আগস্টের মাঝামাঝি থেকে গাজার উত্তর থেকে ৩৮৮,৪০০ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই গাজা সিটি থেকে।

পরিবহন এবং আশ্রয়ের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে দাম আকাশচুম্বী হয়েছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, পরিবারগুলোকে পরিবহন, একটি তাঁবু এবং জমির জন্য ৩ হাজার ডলারেরও বেশি দেওয়া উচিত।

অনেকেই এই খরচ বহন করতে পারে না এবং পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করতে বাধ্য হয়, যেখানেই জায়গা পাওয়া যায় সেখানে তাঁবু স্থাপন করে।

মুসলেহ বলেছেন, ‘এখানে পানি নেই এবং আমার বাচ্চারা পানি পেতে প্রায় চার কিলোমিটার (২.৫ মাইল) হেঁটে যায়’।

‘এবং আমরা মরুভূমিতে আছি এবং সেখানে বিচ্ছু এবং সাপ রয়েছে।’

কবরের কাছাকাছি থাকা পরিবারগুলোর দুর্দশা আরো বাড়িয়ে তোলে।

উত্তরাঞ্চলীয় শহর বেইত লাহিয়া থেকে সরিয়ে নেওয়া উম্মে মুহাম্মদ আবু শাহলা বলেছেন, ‘আমরা কবরস্থানের মাঝখানে আছি এবং আমরা কোনো জীবন খুঁজে পাচ্ছি না’।

তিনি এএফপি’কে বলেছেন, ‘আমরা মৃতদের সাথে থাকি এবং আমাদের অবস্থা মৃতদের মতো হয়ে গেছে’।

তিনি বলেছেন, ‘তারা আমাদের পুরো গাজা উপত্যকায় পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বোমা মারুক যাতে আমরা বিশ্রাম নিতে পারি’।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Trump gave the theory of a conspiracy to the United Nations

জাতিসংঘে ৩ ‘ষড়যন্ত্রের’ তত্ত্ব দিলেন ট্রাম্প

দাবি করলেন তদন্তের
জাতিসংঘে ৩ ‘ষড়যন্ত্রের’ তত্ত্ব দিলেন ট্রাম্প

নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ নেতারা। তাদের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও আছেন। তবে তার এই ‘সফর’ সুখের হয়নি। একের পর এক ঝামেলায় পড়েছেন তিনি। দাবি করেছেন, তিনি তিন ষড়যন্ত্রের শিকার। গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
গত বুধবার ট্রাম্প তার সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, ‘জাতিসংঘে যা ঘটেছে, তা প্রকৃত অর্থে অপমানজনক- একটি নয়, দুইটি নয়, তিনটি অশুভ ঘটনা ঘটেছে!’
জাতিসংঘের সদরদপ্তরে বন্ধ হয়ে যাওয়া এসকেলেটর, নষ্ট টেলিপ্রম্পটার ও অডিও নিয়ে দুর্ভোগ পোহান ট্রাম্প। তিনি এই ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে এর যথাযথ তদন্তের দাবি করেছেন।
গত মঙ্গলবার সকালে জাতিসংঘে বক্তব্যের শুরুতেই তিনি ওই তথাকথিত ষড়যন্ত্রের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ‘আমি জাতিসংঘের কাছ থেকে দুটি জিনিস পেয়েছি: একটি নষ্ট এসকেলেটর ও অন্যটি নষ্ট টেলিপ্রম্পটার।’
পরের পোস্ট তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় ‘অডিও’ নিয়ে কারিগরি সমস্যায় ভোগার কথাও উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, টেলিপ্রম্পটার এমন একটি যন্ত্র যা বক্তাকে বক্তব্য রাখায় সহায়তা করে। ওই যন্ত্রের ছোট স্কিনে পরের লাইন বা এর অংশবিশেষ ফুটে ওঠে, যা দেখে বক্তা বোঝতে পারেন এরপর কোনো কথাগুলো বলতে হবে।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিক গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বলেন, ‘ইতোমধ্যে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী মিশনকে নিজেই জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।’
যুক্তরাষ্ট্র যেসব ঘটনা উল্লেখ করেছে, সেগুলোর কারণ খুঁজে পেতে যা যা করণীয়, সে বিষয়ে জাতিসংঘ শতভাগ স্বচ্ছতায় সংশ্লিষ্ট মার্কিন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত।
মুখপাত্র দুজারিক ব্যাখ্যা দেন, একটি ‘বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা’ স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয়ে যাওয়ায় এসকেলেটর বন্ধ হয়।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের এক ভিডিওগ্রাফার অজান্তে ওই নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করে দেন বলে উল্লেখ করেন দুজারিক। দীর্ঘ বক্তব্যে বিষয়টির খুঁটিনাটি জানান তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশে আন্তর্জাতিক সংস্থাটির প্রতি ট্রাম্পের সার্বিক বৈরী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। গত সপ্তাহে একাধিকবার জাতিসংঘের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ট্রাম্প।
এসব কারিগরি সমস্যা নিয়ে লেখা পোস্টে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘বলাই বাহুল্য, যে কাজের জন্য জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, সে কাজটিই তারা করতে পারছে না।’
‘প্রথমত, বক্তব্য দেওয়ার জায়গাটিতে পৌঁছানোর জন্য নির্ধারিত এসকেলেটরটি জোরে শব্দ করে বন্ধ হয়ে গেল।’
‘কপালগুণে আমি আর মেলানিয়া ওই ধারালো স্টিলের সিঁড়িতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাইনি। আমরা শক্ত করে রেলিং ধরে রেখেছিলাম। না হলে চরম বিপর্যয় হতো,’ যোগ করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, ‘এটা নিঃসন্দেহে ষড়যন্ত্র।’
সপ্তাহান্তে লন্ডন টাইমসে প্রতিবেদন প্রকাশ পায়। সেখানে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের কর্মীরা ট্রাম্পকে হেনস্তা করতে এসকেলেটর ও লিফট বন্ধ রাখা নিয়ে কৌতুক করেছেন।
‘যারা এই কাজ করেছে, তাদের গ্রেপ্তার করা উচিত,’ বলে মনে করেন ট্রাম্প। পোস্টে ট্রাম্প জানান, সাধারণ পরিষদে বক্তব্যের শুরুতেই টেলিপ্রম্পটার ‘অকেজো’ হয়ে যায়।
পরে টেলিপ্রম্পটার চালু হলেও ট্রাম্প তার বক্তব্যের শেষে বলেন, ‘মিলনায়তনে অডিও ঠিক মতো কাজ করছিল না।’
এরপর বিদ্রূপাত্মক সুরে ট্রাম্প বলেন, ‘বিষয়টা এমন, সঙ্গে থাকা দোভাষীদের ইয়ারপিস কানে না লাগালে কোনো বিশ্বনেতা আমার কথাই শুনতে পেতেন না।’
ট্রাম্প জানান, যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়ে তিনি জাতিসংঘের নেতৃত্বের কাছে ইমেইল পাঠাবেন। তিনি এসকেলেটরের আশেপাশের ভিডিও ফুটেজও দেখতে চাওয়ার দাবি করেছেন। এ কাজে মার্কিন গোয়েন্দারা সহায়তা করবে বলেও জানান তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এটা কাকতালীয় ঘটনা নয়। জাতিসংঘে তিনবার ষড়যন্ত্রের ঘটনা ঘটেছে। তাদের লজ্জিত হওয়া উচিত। আমি এই চিঠির কপি মহাসচিবকে পাঠাব। এ নিয়ে অবিলম্বে তদন্তের দাবি জানাব।’
জাতিসংঘ ও প্রশাসন একে অপরকে এই ‘কারিগরি ত্রুটির’ জন্য একে অপরকে দায় দিয়েছে। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা জানান, প্রেসিডেন্টের টেলিপ্রম্পটার পরিচালনার দায়িত্ব হোয়াইট হাউসের। অপরদিকে, হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার দাবি, যন্ত্রটি জাতিসংঘ সরবরাহ করেছিল।
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত এক্স পোস্টে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ফোরামে নিরাপত্তা ও সম্মানহানির হুমকি বরদাশত করবে না। এ বিষয়টিতে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা ও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপের প্রত্যাশা করছি।’
ট্রাম্পের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ত্রুটি গ্রহণযোগ্য নয়। এতে একটি ভঙ্গুর প্রতিষ্ঠানের গুরুতর নিরাপত্তা ঝুঁকির প্রতিফলন ঘটেছে।’
গত মঙ্গলবার বিকেলে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট এসব ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি এক পোস্টে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি যখন এসকেলেটরে পা রাখতে যাচ্ছেন, তখন যদি জাতিসংঘের কোনো কর্মী ইচ্ছা করে তা বন্ধ করে দিয়ে থাকেন, তাহলে তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে হবে।’
তার এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা করতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমসের এক প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন লেভিট। সেখানে বলা হয়, ‘ট্রাম্পের আগমনকে ঘিরে জাতিসংঘের কর্মীরা ঠাট্টা করে বলছিলেন, তারা এসকেলেটর ও লিফট বন্ধ করে দেবেন আর প্রেসিডেন্টকে বলবেন, আমাদের টাকা ফুরিয়ে গেছে। এখন আপনাকে সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে উঠতে হবে।’

মন্তব্য

‘জেন-জি' দের বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের লাদাখ

* সহিংসতায় নিহত ৪, কারফিউ জারি * চ্যালেঞ্জের মুখে মোদি সরকার
‘জেন-জি' দের বিক্ষোভে উত্তাল ভারতের লাদাখ বিক্ষোভ চলাকালে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একটি পুলিশের গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের লাদাখে রাজ্য মর্যাদা এবং সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে অন্তর্ভুক্তির দাবিকে ঘিরে চলমান আন্দোলন সহিংস রূপ নিয়েছে। গত বুধবার লেহ শহরে ব্যাপক বিক্ষোভে অন্তত চারজন নিহত এবং অন্তত ৮০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। বিক্ষোভ-আন্দোলন সহিংস হয়ে ওঠায় লেহ শহরে কারফিউ জারি করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
লাদাখে এখন হাড় কাঁপানো শীত। হিমালয়ের সাড়ে ১১ হাজার ফিট উচ্চতায় ছিমছাম ছোট শহরে এখন বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে। আলাদা রাজ্যের মর্যাদা ও বিশেষ সংবিধানিক সুরক্ষার দাবিতে তরুণরা ফেটে পড়েছেন বিক্ষোভে। আগুন দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির স্থানীয় কার্যালয়ে।
ভারতের হিমালয় অঞ্চলের লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা, স্থানীয় বাসিন্দাদের চাকরির কোটা, লেহ ও কার্গিলকে নিয়ে একটি লোকসভা আসনের দাবিতে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে অনশন করে আসছিলেন পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুকসহ ১৫ জন।
একসময় তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আন্দোলনের ডাক দেয় লাদাখ অ্যাপেক্স বডি(এলএবির) যুব শাখা। পরে গত বুধবার এনডিএস মেমোরিয়াল গ্রাউন্ডে জমায়েত হয় কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী।
এরপর মিছিল নিয়ে তারা লেহ শহর প্রদক্ষিণ করার সময় বিজেপি সদরদপ্তর ও হিল কাউন্সিলের অফিসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপে অবনতি হয় পরিস্থিতির।
তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল নিক্ষেপ করলে জনতা সহিংস হয়ে ওঠে। এরপর দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত ও ৮০ জনের বেশি আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে প্রায় ৪০ জন পুলিশ সদস্য।
এরপরই অনশনভঙ্গ করে বিবৃতি দেন সোনম ওয়াংচুক।
তিনি বলেন, ‘আমি সব যুবককে সহিংসতা থামিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা লাদাখ বা দেশে অস্থিরতা চাই না।’
তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বিক্ষোভের দায় কংগ্রেসের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে শাসক দল বিজেপি।
বিজেপির আইটি সেল প্রধান অমিত মালব্য এক্সে একটি ছবি শেয়ার করে দাবি করেন, লেহ শহরের আপার ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর ফুনছগ স্তানজিন ছেপাগকে বিক্ষোভকারীদের উসকানি দিতে দেখা গেছে।
এরপর বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র সাম্বিত পাত্রা দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে আরও একধাপ এগিয়ে অভিযোগ তুললেন, লাদাখে জেন জিয়ের নামে যে আন্দোলনের ছবি দেখানো হচ্ছে, তা আসলে কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র।’
পাত্রার দাবি, ওই কাউন্সিলরকে অস্ত্র হাতে বিজেপি কার্যালয়ের দিকে মিছিল করতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘এটা আসলে রাহুল গান্ধীর নকশা, জর্জ সোরোসের সঙ্গে মিলে দেশকে অশান্ত করার চক্রান্ত।’
অন্যদিকে, এই অভিযোগ একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন পরিবেশকর্মী সোনম ওয়াংচুক। তিনি বলেন, ‘লাদাখে কংগ্রেসের এত প্রভাব নেই যে তারা পাঁচ হাজার তরুণকে রাস্তায় নামাতে পারে।’ তার দাবি, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ফল না মেলায় তরুণদের হতাশাই সহিংসতার বড় কারণ।
ওয়াংচুক আরও জানান, জেন জি প্রজন্ম এতদিন বিক্ষোভে সেভাবে অংশ নেয়নি। তবে গত বুধবার একসঙ্গে ২ থেকে ৫ হাজার তরুণ বিক্ষোভে যোগ দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
এছাড়া দুজন বয়স্ক নাগরিকের আহত হওয়ার ঘটনা বিক্ষোভকারীদের মধ্যে স্ফুলিঙ্গের মতো কাজ করেছে। আর তাতে জ্বালানি জুগিয়েছে দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত দাবি, সঙ্গে কেন্দ্রের প্রতিশ্রুত আলোচনার তারিখ পিছিয়ে যাওয়ার মতো সিদ্ধান্ত।
লাদাখকে রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া ও ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত করার দাবি ২০১৯ সালে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বাতিলের পর থেকেই তীব্র আকার ধারণ করেছে। তবে বিজেপি এখন সেটিকে কংগ্রেসের ষড়যন্ত্র হিসেবে ব্যাখ্যা করে দায় মুক্তি চাইছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বিক্ষোভকারীদের।
লাদাখ ভারতের একটি কৌশলগত এলাকা, যা চীনের সঙ্গে ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত শেয়ার করে। ২০২০ সালে ভারত-চীন সেনাবাহিনীর সংঘর্ষেও এই এলাকাই ছিল মূল কেন্দ্র।
এখন এই সীমান্তবর্তী এলাকায় অভ্যন্তরীণ অসন্তোষ ভারতের জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক সিদ্দিক ওয়াহিদ বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত ২০১৯ সালে নিয়েছিল, তারই ফল এখন ঘরে ঘরে আগুন হয়ে ফিরছে। আগে ছিল কাশ্মীর, এখন লাদাখও সরকারের মাথাব্যথা।

মন্তব্য

আন্তর্জাতিক
Russia responded to Trumps comments

ট্রাম্পের মন্তব্যের কড়া জবাব দিল রাশিয়া

ট্রাম্পের মন্তব্যের কড়া জবাব দিল রাশিয়া

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে হঠাৎই অবস্থান বদলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনীকে ‘কাগুজে বাঘ’ বলে খোঁচা দিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তার কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ক্রেমলিন। বলেছে, ‘রাশিয়া বাঘ নয় ভালুক।’

ট্রাম্প গত মঙ্গলবার ট্রুথ সোশ্যালে বলেছিলেন, রাশিয়া তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে উদ্দেশ্যহীনভাবে এমন এক যুদ্ধ লড়ছে, যা এক সপ্তাহেরও কম সময়ে জয় করা উচিত ছিল। কিন্তু রাশিয়া তা না পারায় তারা ‘কাগুজে বাঘ’ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

তিনিও আরও বলেছিলেন, ‘ভ্লাদিমির পুতিন ও রাশিয়া এখন বড়সড় অর্থনৈতিক সমস্যায়, এখনই সময় ইউক্রেনের পদক্ষেপ নেওয়ার। (যুদ্ধে) রাশিয়ায় যে অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে তা দেখে আমার মনে হচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন নিয়ে লড়াই করার ও তার সব অঞ্চল আদি অবস্থায় পুনরুদ্ধার করতে ইউক্রেইন পারবে।

ট্রাম্পের এমন সব মন্তব্যের পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া জানাল রাশিয়া। তার ‘কাগুজে বাঘ’ মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘রাশিয়া বাঘ নয়, বরং রাশিয়াকে ভালুকের সঙ্গে তুলনা করা হয়। আর আমরা কাগুজে ভালুক নই। সত্যিকারের ভালুক।’

রাশিয়ার অর্থনৈতিক সমস্যা নিয়ে ট্রাম্প যা বলেছেন সে প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের জবাব, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার চাপে থাকার পরও রুশ অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে। আর ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর ধীর অগ্রযাত্রা মূলত কৌশলগত পরিকল্পনার অংশ, দুর্বলতা নয়।

‘যুদ্ধে ইউক্রেন জিততে পারে’- এমন পরামর্শ প্রত্যাখ্যান করেছেন দিমিত্রি পেসকভ। তিনি বলেন, রাশিয়ার জাতীয় স্বার্থ নিশ্চিত করতে বিশেষ এই সামরিক অভিযান চালানো হচ্ছে। দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য এ লড়াই করা হচ্ছে। এর কোনো বিকল্প নেই।

মস্কোর ওপর যুদ্ধ বন্ধে চাপ সৃষ্টি করতে ট্রাম্প ইউরোপের দেশগুলোকে রাশিয়ার জ্বালানি কেনা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

পেসকভ এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক স্বার্থেই ট্রাম্প ইউরোপের দেশগুলোকে রুশ জ্বালানি কিনতে বাঁধা দিচ্ছেন। এর ফলে ইউরোপের স্বার্থও ক্ষুণ্ণ হবে।’

গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প রাশিয়ার অনুকূল বার্তা দিয়ে আসলেও এবার সরাসরি অবস্থান বদলে ইউক্রেন এবং ইউরোপের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ইউক্রেনে আগ্রাসনের জন্য দুষেছেন রাশিয়াকে।

এর মধ্যেই গত বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ট্রাম্পের প্রশংসা করেন। সেইসঙ্গে নিউইয়র্কে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। তারপরেই রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ ঘিরে অবস্থান বদলান ট্রাম্প।

মন্তব্য

p
উপরে